এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • লা পত্নী ভ্যানতাড়াঃ পর্ব ৮ 

    রানা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | ৩১ বার পঠিত
  • 0 | | | | | | | |
    “ও, সব এখন আমার দোষ, না? Ok. Just wait. Everything will be sorted out soon”. প্রোফেসর মুখ ভ্যাংচায়। মৈথিলী বলে চলে, “আমি জানতে পেরেছি যে হাজরায় তোমার একটা গ্যাং আছে…”

    “Oh! Is it? You and all your cock and bull story…”

    হাজরার কথা শুনে চমকে উঠল প্রণয় আর বৈদেহী। যেন বিদ্যুৎ শক খাওয়ার মতো অবস্থা। ভাবল যে মৈথিলী হাজরার কথা জানল কী করে? ইশারায় বৈদেহী জানতে চাইল প্রণয়ের কাছে। আর প্রণয়ের তখন পাছায় গুড়গুড় করছে। খুব নার্ভাস লাগছে। হবে নাকি আবার?

    “চলো, এখানে আর নয়। সামনে একটা পাবলিক…”

    “ইউরিনালে? আবার পেয়ে গেল নাকি?”

    “আরে হাজরা শব্দটা শুনে কেমন কেমন যেন করছে…”

    “ইস, তুমি দেখছি একদম হেগো রুগীর মতো হয়ে গেছ। আরে অতো টেনশনের কী আছে? ডাক্তারকাকু মাকে বলেছে যে অতিরিক্ত টেনশনে তোমার এমন অবস্থা হয়ে গেছে”। হেলমেট পরে স্কুটিতে স্টার্ট দিল বৈদেহী। বলল, “আর এত ভয় পেলে এইসব কাজে আসা কেন বাপু?”।
     
    কিছু বলল না প্রণয়। হেলমেটটা পরে বাধ্য ছেলের মতো উঠে বসল স্কুটিতে।

    এদিকে মৈথিলী স্কুটার স্টার্ট দেওয়ার আওয়াজ পেয়ে ব্যালকনিতে এসে ওদের পেছন থেকে দেখতে পেল। ভাবল, হুম, গ্যাং-এর লোক মনে হচ্ছে। হয় ওকে ফলো করে এসেছিল নয়তো আকাশ ওদেরকে তার পেছনে লাগিয়েছে।
     

    ওদিকে ফটোগ্রাফার আকাশের আজ আবার কী হল? ভাবছে সিঞ্জিনি। আজ সে স্টুডিয়ো গেল না। সকাল থেকেই বউয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ব্রেকফাস্ট করার সময় জানা গেল যে আজকে তারা দীঘা যাচ্ছে।

    কথাটা শুনে মুহুর্তের জন্য সিঞ্জিনির ভালো লাগলেও পর মুহুর্তেই চিন্তায় পড়ে গেল সে। এটা আবার কোনও প্ল্যান নয়ত? হয়তো দীঘায় নিয়ে গিয়ে বা রাস্তায় তাকে মারার প্ল্যান করেছে আকাশ! তারপর লাশ লোপাট করে দিয়ে চলে এসে সবাইকে জানাবে যে বউ পালিয়ে গেছে বা সমুদ্রের জলে ডুবে গেছে। উফ! ফোনটা আসবার পর থেকে আর ওই মেয়েটার ছবিটা পাওয়ার পর থেকে কেমন যেন সব ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে সিঞ্জিনির। কিচ্ছু ভালো লাগছে না। যদিও কাল সে আর পায়েল গিয়ে মেয়েটার বাড়িটাও দেখে এসেছে। সঙ্গে পায়েল এইকথাও বলেছে যে কী হল তাকে সব জানাতে। সিঞ্জিনি তার ফোনটা নিয়ে চলে গেল বাথরুমে। তারপর ফোন করল পায়েলকে।

    সব শুনে পায়েল বলল, “ভালোই তো। যা না। ঘুরে আয়। মনটাও ভালো হয়ে যাবে”।

    “কিন্তু ও যদি সেখানে নিয়ে গিয়ে…”

    “আরে, আমি তো আছি। তোর যদি কিছু হয়, আমি কি আকাশকে ছেড়ে দেব ভেবেছিস?”

    “আরে, আমি যদি খুন হয়ে যাই, তাহলে আমার কী হবে? তখন তুমি আর আমাকে কি করে বাঁচাবে?”

    “ধুর পাগলী। শোন, গতকাল এপ্রিলের পয়লা ছিল। কেউ তোর সঙ্গে নির্ঘাৎ প্র্যাংক করেছে…”

    “কিন্তু সেই ছবি আর সেই মেয়েটা?”

    “দেখ, আজকাল এই গ্ল্যামার জগতে ওসব ‘মদভাত’ হয়ে গেছে। যদি দেখা যায় আকাশ সত্যি সত্যি কারুর সঙ্গে রিলেশনে চলে গেছে, তুইও তাহলে একজনকে জোগাড় করে নিবি…”

    “আমি! আমি ওসব পারবো না”।

    “ঠিক আছে। আমি তোকে জোগাড় করে দেব…”

    “কী সাজেশন চাইলাম আর কী কথা বলছ…”

    “শোন, আমি বলছি তুই যা। মনটা ভালো হয়ে যাবে”। লাইনটা কেটে দিল পায়েল।

    স্নান করবার জন্য সিঞ্জিনি অনেকক্ষণ ধরে বাথরুমে গিয়ে বসে আছে দেখে আকাশ এসে টোকা দিল। জানতে চাইল, “কী গো? হয়েছে?”

    “এই হয়ে গেছে…”

    “আরে, দেরি হয়ে যাচ্ছে…”

    গায়ের জামাকাপড় খুলতে খুলতে বাথরুমের আয়নার দিকে তাকিয়ে থাকে সিঞ্জিনি। ভাবে পায়েলবৌদি আবার এইসবের মধ্যে নেই তো! ঝুপঝাপ করে শুধুমাত্র গা ধুয়ে বেরিয়ে আসে সিঞ্জিনি।

    আকাশ বাথরুমে ঢোকবার আগে বলে যায় যে কিছু খাবার প্যাক করে নিতে। খাবার তৈরি করতে করতে সিঞ্জিনির মাথায় একটা প্ল্যান আসে। সে একটা তরকারি কাটার বড় ছুরি ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে নেয়।

    ওদিকে ডাক্তার আকাশকে আজও আড়াল থেকে লক্ষ করে মিতুল। আজ যেন অন্যরকম লাগে। কেমন যেন ওরা দুজন বেশ দূরে দূরে রয়েছে। কাজ করছে। একজন পেসেন্ট বেরিয়ে যাওয়ার পর রুক্মিণী বলে, “কাল বৌদি ইনজেকশন নিতে ওইরকম কান্ড করেছে বললেন। আজ কি দিতে পারবেন?”

    বাবা! এ যে আপনি আজ্ঞেঁ করছে। অবাক হয়ে যায় মিতুল।

    “হুম। Don’t worry. I have found another way…”। আকাশ বলে।

    “তাই নাকি?”

    “হ্যাঁ”। নিজের আপ্রনের পকেট থেকে একটা একটা শিশি বের করে আকাশ। “এই যে লিক্যুইডটা দেখছ, this is the edible form of that injection”.

    “You are great”.

    “এবার ওকে খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াব”।

    “যদি তাতেও খেতে না চান?”

    “জলের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াব”।

    “You silly Doc. মাথায় কত্ত বুদ্ধি রাখেন…”

    “হ্যাঁ। তারপর সুস্থ করে বিয়ে দিয়ে দেব…”

    “কার? বৌদির?”

    “উফফ! পক্ষাঘাত হওয়ার পর থেকে যা জ্বালাচ্ছে কী বলব আর”।

    “বৌদিকে এই বয়সে কে বিয়ে করবে?”, বলেই রুক্মিণী খিলখিল করে হেসে ওঠে।

    “ও ঠিক লোক পাওয়া যাবে”। 

    সরে আসে মিতুল। তাড়াতাড়ি হুইলচেয়ার চালিয়ে ঘরে চলে আসে। বাড়ির পরিচারিকা মিতুলকে এইভাবে চুরি করে ডাক্তারবাবুর চেম্বারে উঁকি মারতে দেখে হাসে। মিতুল ওকে ঘরে আসতে বলে। বলে, “শোন, এক্ষুনি পাঁচ লিটারের মিনারেল ওয়াটারের একটা বড় বোতল নিয়ে আয়। আজ থেকে আমি বাড়ির জলও খাব না”। পরিচারিকা মাথা নেড়ে চলে যায়।

    সঙ্গে মিতুল এটাও ভাবে যে একবার বাবাকে ফোন করে সব কিছু জানাতে হবে। ভেবেছেটা কী? আমাকে সুস্থ করে বিয়ে দিয়ে দেবে! দাঁড়াও। দেয়াচ্ছি বিয়ে। হ্যাঁ, আমি সুস্থও হব না। আর ওকে ডিভোর্সও দেবো না।

    এদিকে কোলাঘাটে কফি পান করে খানিকটা এগোতেই কী দরকার আছে বলে ফটোগ্রাফার আকাশ গাড়ি থেকে নেমে পাশের হালকা জঙ্গলের মধ্যে চলে গেল। একা এইরকম একটা জাতীয় সড়কে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত লাগছিল সিঞ্জিনির। কী জানি, আকাশ আবার কী করছে ওখানে। পাশ দিয়ে হুশহাশ করে গাড়ি যাচ্ছে বেরিয়ে। দু’একজন অত্যুৎসাহি আবার গাড়িতে একা একজন মহিলাকে দেখে বিকৃত অঙ্গভঙ্গি করল।
     

    হঠাৎ একটা মোটরবাইক গাড়ির সামনে এসে দাঁড়িয়ে নক করল। ইশারায় জানালো যে জল খাবে। ভয়ে কাঁটা হয়ে রইল সিঞ্জিনি। তারপর মনে পড়তেই ব্যাগের ভেতর থেকে ছুরিটা বের করে দেখাল লোকটাকে। আর কথা না বাড়িয়ে বাইকে স্টার্ট দিল লোকটা। সিঞ্জিনির বুকটা এখনও ঢিপঢিপ করছে। ইস, কী সব জানোয়ার রাস্তায় নেমেছে। একা মহিলা দেখলেই ভাবে ভোগের মাল। থাকতে না পেরে আকাশকে কল দিল ও। দেখল এনগেজড। এর মধ্যে হুড়মুড় করে একটা বাইক ধরাম করে এসে ধাক্কা মারল গাড়ির পেছনে।            

    আচমকা ধাক্কায় সামনের সীটে বসে থাকা সিঞ্জিনি মুখ থুবড়ে পড়ল ড্যাশবোর্ডে। লেগেছে। দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ছে। ঠোঁট, নাক ছড়ে গেছে। মিনিট দুই পর কয়েকজন আশেপাশের রাস্তা বা দোকান থেকে চলে এল। এইবার খানিকটা ভরসা পেয়ে গাড়ি থেকে নামল সিঞ্জিনি। লোকটা মদ খেয়ে বেশ জোরে বাইক চালাচ্ছিল। গাড়ির পেছনের গার্ডে টোল পড়ে গেছে।

    একজন এসে লোকটাকে তুলল।তারপর দিল খানিক চড়চাপড়। অন্যেরা সিঞ্জিনিকে জিজ্ঞাসা করল তার কিছু হয়েছে কীনা। সিঞ্জিনি না বলল। লোকটা জড়ানো গলায় ক্ষমা চাইতে থাকল। বলল, “বাইক খেয়ে মদ চালাচ্ছিলাম। হঠাৎ একটা হাওয়া এসে হিক …”

    আরও কয়েকটা চড়চাপড় খেল লোকটা। সিঞ্জিনি মনে মনে ভগবানকে ধন্যবাদ দিল। নিজের গাড়ির থেকে জল দিল ঐ বাইক আরোহীকে। যারা সাহায্য করতে এসেছিল তাদের মধ্যে একজন আবার ব্যাগ হাতড়ে দেখল যে ব্যাগে মদের বোতল আছে কীনা। পেলে তারাও খাবে। অন্য একজন পুলিশকে খবর দিল। এর মধ্যে আকাশ পড়ল এসে। এইরকম একটা ভয়াবহ ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও সিঞ্জিনি ওকে ফোন না করায় খানিকটা ধমকাল ওকে। তারপর নেশায় থাকা বাইক আরোহীকে থাপ্পড় মারল। লোকটা জড়ানো গলায় আবার ক্ষমা চাইতে থাকল। বলল, “বাইকটা পুরুষ বলে মহিলাকে ধাক্কা মেরেছে হিক। যদি এটা মহিলা বাইক হত, হিক তাহলে হিক মারত না”। সিঞ্জিনি মোবাইলের ক্যামেরায় লোকটার ছবি তুলে রাখল।

    পুলিশ এসে লোকটাকে নিতে নিতে আরও আধঘণ্টা গেল কেটে। আকাশ পরম যত্নে বউয়ের নাকে মুখে ওষুধ লাগিয়ে দিল। বলল যে সামনে রাস্তায় কোনও ডেন্টিস্ট বা ফার্মেসি দেখে সিঞ্জিনির চিকিৎসা করিয়ে নেবে।

    আনন্দে আর ভালোবাসায় চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে এল সিঞ্জিনির। নয়তো অ্যাক্সিডেন্টটা সে ভেবেছিল বুঝি আকাশের কোনও চক্রান্ত।

    ওদিকে দুপুরে খাবার সময় ধুন্ধুমার লেগে গেল ডাক্তারের বাড়িতে। ডাক্তার নিজে হাতে করে মিতুলের প্রিয় চিকেন স্যুপ নিয়ে এসেছিল। মিতুল জানালো, “আমি এসব খাব না। বাইরে থেকে খাবার আনিয়ে খেয়ে নিয়েছি”।

    ছেলেমেয়েরা তো অবাক। কী হল কী আবার মায়ের! হিষ্টিরিয়াটা বাড়ল নাকি? গতকাল থেকেই মা যেন ‘করাল বদনী’ মোডে রয়েছে। আর যত রাগ আর ঘৃণা তার বাবার ওপরে।

    “প্লিজ, খেয়ে নাও। তোমার তো আবার বাইরের খাবার সহ্য হয় না”। আকাশ বলল। 

    “আমার এখন সব সহ্য হয়। তোমাকে কে আমার খাবার আনতে বলেছে?”

    “রোজই তো আমরা একসঙ্গে লাঞ্চ আর ডিনার করি…”

    “করতাম। আজ থেকে আমি নিজের খাবার নিজে আনিয়ে খাব”।

    “বেশ, কী খাবার খেতে চাও আমি আনিয়ে দিচ্ছি…। আর আজকে স্পেশালি এই স্যুপটা বানিয়েছি। প্লিজ খেয়ে নাও”

    “না। কেন? তোমার রুক্মিণী বুঝি আজ খাবার আনে নি? ওকে গিয়ে খাওয়াও…” ভেংচিয়ে বলল মিতুল।

    “মিতুল…”, গলাটা উঁচুতে তুলেই ভুল হয়েছে বুঝতে পেরে নামিয়ে নিল আকাশ। বলল, “কী যা তা বলছ? ওর মা-বাবা নেই। মেয়েটা খাবার নিয়ে এলে তাই না করতে পারি না”।

    “শুধু খাবার কেন? বাকি বন্দোবস্তও করে নিলে পারো…”

    “আসলে কী জানো?”, চেয়ারে বসে আকাশ। বলে, “তোমার সাধারণ বুদ্ধিতে আমাদের মতো অসাধারণদের বোঝাবার ক্ষমতা নেই। তোমাদের এই সমাজ, লোকজন আর তাদের মিডিওকার লাইফ আমাদের জন্য না। এক কাজ করছি, তোমাকে সারাদিন যত্নআত্তি করবে, ভালোবাসবে বা ঠিক তোমার কথা মতো চলবে এইরকম একজন জোগাড় করে দিচ্ছি বিয়ে করে নাও। তার সঙ্গে সুখে ঘর করো। ভালো লাগবে…”। আকাশের মুখে এই কথা শুনে ছেলেমেয়েও হাঁ। তারা ভাবছে বাবার আবার হল কী? আকাশ বলে চলল, “ঘরে বসে দিনরাত ওইসব পচাধ্বচা সিরিয়াল না দেখে পারলে অসাধারণ মানুষদের জীবনী পড়”।

    “ওসব ছাইপাঁশ তুমি পড়…”

    “দেখ, তোদের মায়ের কান্ডটা দেখ। ওষুধ খাবে না। খাবার বাইরে থেকে আনিয়ে খাবে। এইভাবে কি শরীর ভালো হবে?”

    “ওরা কী দেখবে? এই তোরা একদম আমাদের ব্যাপারে নাক গলাবি না। নয়ত তোদের একদিন কী আমারই একদিন…”

    “আচ্ছা, বাপি মা যখন তোমার ওপর চটে রয়েছে, তখন তুমিই বা কেন জ্বালাতন করছ?”, মেয়ে বলে ওঠে।

    “বাহ! বাহ! এখন যত দোষ আমার? বলি খাবার না খেলে তোদের মা কি সুস্থ হবে?”

    “আমি আর সুস্থ হতে চাই না”। ঝাঁঝিয়ে ওঠে মিতুল। “এই, তুই আবার হাঁ করে দাঁড়িয়ে কী শুনছিস? যা, বেরো এখান থেকে…”, শেষের কথাটা ওদের কাজের লোককে বলল মিতুল।

    “মা! রাগ করেন ক্যান? দাঁড়ান, আমি অন্য একটা বাসনে নিয়া আইতাসি”।

    “খবরদার। খবরদার বলে দিলাম। কাল থেকে জল আলাদা খাচ্ছি, আজ থেকে খাবারও আলাদা খাব। তুই, তুই আমার জন্য সামনের দোকান থেকে বিরিয়ানি নিয়ে আয়…”

    শুনে বাবা-ছেলে-মেয়ে আরও হতভম্ব। যে মিতুলের বাইরের খাবার খাওয়া বারণ, আর নিজেও বাইরের খাবার পছন্দ করে না, সে কীনা! একি ভোজবাজি নাকি ‘জলে ভাসে শিলা’।

    (ক্রমশ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    0 | | | | | | | |
  • ধারাবাহিক | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | ৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন