এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বিস্মৃতি 

    Indrani Chakraborty লেখকের গ্রাহক হোন
    ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ | ৮৭ বার পঠিত
  • ট্রেন চলেছে দিল্লি, রাজধানী এক্সপ্রেস। বিকেল পাঁচটায় ছেড়েছে হাওড়া থেকে। অম্লান বসে আছেন লোয়ার বার্থে, নিজের সিটে। সামনের লোয়ার আর আপার বার্থে আছেন দুজন যুবক, বয়স পঁচিশের আশেপাশে। অম্লানকে একবার দেখলে কেউ আর ভুলবে না, তাঁর বাঁ গালে আছে একটা বড় কালো আঁচিল। যুবক দুজন অম্লানের সঙ্গে খুব আলাপ জমিয়ে নিয়েছেন। মাঝে মাঝেই ঝালমুড়ি, কমলালেবু, বাদামভাজা, কফি ভাগাভাগি করে খাচ্ছেন ওঁরা তিনজন। সবাই বাংলাতেই কথা বলছেন। গল্প বেশ জমে উঠেছে। সন্ধ্যা আটটায় ট্রেনটা ধানবাদ এলে অম্লান কৌটো খুলে লুচি, আলুর দম আর মিষ্টি খেতে শুরু করলেন। অম্লান যাচ্ছেন দিল্লি, অফিসের কাজে। তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানির অ্যাকাউন্টস অফিসার। কাল দিল্লি পৌঁছবে ট্রেনটা সকাল দশটায়। অন্য দুজন যাত্রী জানা গেল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। অম্লানের বয়স এখন প্রায় পঞ্চান্ন। খাওয়ার পরে বাড়িতে ফোন করলেন। স্ত্রী অর্চনা, ছেলে সায়ন আর মেয়ে তিন্নির সঙ্গে অনেক কথা হল অম্লানের। সায়নের বয়স প্রায় ছাব্বিশ। সোশিয়োলজিতে মাস্টার্স করে চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছে। তিন্নি এখন একুশ, কলেজে পড়ে বাংলা নিয়ে। অর্চনা সংসারের দেখাশোনা করেন।  

    ‘খুব ঘুম পাচ্ছে আর মাথাটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে’, অম্লান শেষে বললেন। ফোন রেখে শোয়ার ব্যবস্থা করতে শুরু করলেন।
     
    ন’টা বাজতেই অম্লানের খুব ঘুম পেয়ে গেল। তিনি শুয়ে পড়লেন নিজের বার্থে। শুয়েই ঘুমের গভীরে ডুবে গেলেন। হঠাৎ একটা প্রচণ্ড ঝাঁকুনি আর চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙল অম্লানের। কানে এল যাত্রীদের কান্নাকাটি, দৌড়োদৌড়ির শব্দ। চেঁচামেচি থেকে বুঝলেন ট্রেন অ্যাকসিডেন্ট করেছে। অম্লান বিছানা ছেড়ে উঠতে গেলেন, কিন্তু মাথাটা যেন টলছে। কোনোমতে কামরা থেকে নামলেন। কিন্তু এক পা এগোতেই পড়ে গেলেন মাথা ঘুরে আর জ্ঞান হারালেন।  

    পরের দিন কাগজে বেরোল রাজধানী এক্সপ্রেস কানপুরের একটু আগে ভোর চারটে নাগাদ অ্যাকসিডেন্ট করেছে। প্রায় ১২০ জন যাত্রী মৃত ও ২০০ জন আহত। খবরটা পড়ে অর্চনা ও ছেলে-মেয়েরা খুব চিন্তিত হয়ে পড়ল অম্লানের জন্য। রেলের হেল্পলাইনে অনেক চেষ্টা করে যোগাযোগ করতে পারল সায়ন। ওরা নির্দিষ্ট কিছু বলতে পারল না।
     
    পরের দিন মৃতের তালিকা প্রকাশ করল রেল। তাতে অম্লানের নাম পাওয়া গেল। এই দুঃসংবাদে বাড়িতে কান্নার রোল উঠল। সবার আগে অর্চনার চিন্তা হল এবার সংসার চলবে কীভাবে। অম্লান একমাত্র রোজগেরে ছিলেন এই পরিবারে। সায়ন সঙ্গে সঙ্গে টিকিট করে ওর এক বন্ধুকে নিয়ে কানপুরের উদ্দেশে রওনা হল। কানপুরে পৌঁছে হতভম্ব হয়ে গেল তারা দৃশ্যের বীভৎসতায়। তালগোল পাকানো শরীরগুলো পড়ে আছে। কাউকে চেনা যাচ্ছে না। রেল পুলিশ একটা পুরুষের দেহ দেখিয়ে সায়নকে জিজ্ঞাসা করল মৃতদেহটি ওর বাবার কি না। মুখ আর শরীরের ঊর্ধ্বাংশ চেনা যাচ্ছে না। প্যান্টের রঙটা কালো, যেমন অম্লান পরে বেরিয়েছিলেন। সায়নের মনে হল যেন ওর বাবা-ই। দেহ নিয়ে দুজন বাড়ি ফিরল পরদিন মাঝরাতে। পাড়াপড়শিরা ভিড় করে এল দেখতে। মৃতদেহ দেখে একেবারেই চেনার উপায় নেই। মুখটা সম্পূর্ণ বিকৃত হয়ে গেছে। পাড়ার মহিলারা অর্চনাকে সান্ত্বনা দিতে থাকেন। অর্চনা আর তিন্নি খুব ভেঙ্গে পড়ে।
     
    পরদিন সকালে দাহকার্য সমাপ্ত হল। বাড়িতে থমথমে পরিবেশ। পাড়ার পুরোহিত হরিনাথ চক্রবর্তীকে ডেকে পাঠালেন অর্চনা শ্রাদ্ধশান্তির ব্যবস্থা করতে।
     
    ‘অপঘাতে মৃত্যু। এর জন্য বিশেষ শান্তি স্বস্ত্যয়ন করতে হবে। খরচ লাগবে প্রায় ১০ হাজার টাকা। আর বাদবাকি শ্রাদ্ধের খরচ প্রায় ৭০ হাজার টাকা’ হিসেব করে বললেন হরিনাথ। সায়ন মনে মনে হিসেব করে, লোকজনকে খাওয়াতেও তো খরচ হবে অনেক। সব মিলিয়ে প্রায় দু লাখ টাকা। খুব চিন্তায় পড়েন তাঁরা। এত টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে! এরপরেই বা চলবে কী করে! মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। সায়নের যদি একটা চাকরি জুটে যেত, ভাবে অর্চনা।
     
    পরদিন বিকেলে অর্চনার দাদা বিশ্বরূপ আসেন। তিনি কিছু আশার কথা শোনান ওদের।
     
    ‘অম্লানের অফিসে ঊর্ধ্বতন পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সায়নকে একটা চাকরি দেওয়ার অনুরোধ করব। যেহেতু অম্লান চাকরিরত অবস্থায় মারা গেছেন, সায়নের কিছু একটা চাকরি হয়তো ওখানে হয়ে যাবে। আর অম্লানের গ্র্যাচুইটি, পিএফের টাকা ও বাকি পাওনা-গণ্ডা মিলিয়ে বেশ কিছু টাকা পাওয়া যাবে। ব্যবস্থা ঠিক একটা হয়ে যাবে। এত ভেঙ্গে পড়ার কারণ নেই’, বিশ্বরূপ বলেন।  

    শ্রাদ্ধশান্তি মিটে গেল ১৩ দিনের মাথায়। তারপর সায়নকে নিয়ে বিশ্বরূপ দেখা করলেন অফিসের ডিরেক্টরের সঙ্গে। তিনি অনেক সমবেদনা জানালেন ওঁদের। অম্লানের কাজের অনেক প্রশংসা করলেন। তারপর বললেন ওঁরা দেখবেন সায়নকে যদি কোনও কাজ দেওয়া যায় ওই অফিসে।  

    এরপর প্রায় আটমাস কেটে গেছে। সায়ন এখন ওর বাবার অফিসে সুপারভাইজার পদে যোগ দিয়েছে। অর্চনার সংসারটা আবার গতি পেয়েছে। তিন্নি কলেজ শেষ করে ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে। ছেলে মেয়েদের বিয়ের কথা ভাবার জন্য আত্মীয়স্বজনেরা এখন ঘনঘন বলছেন অর্চনাকে। অর্চনাও স্বপ্ন দেখেন ছেলে মেয়েদের নিজস্ব সংসার হচ্ছে, নাতি-নাতনিতে বাড়ি ভরে উঠছে। শুধু মাঝে মাঝে বুকের মধ্যেটা হু হু করে ওঠে অম্লানের কথা ভেবে। শেষ দেখাতেও মুখটা ভালো করে দেখতে পেলাম না। না জানি কত কষ্ট পেয়েছে শেষ সময়ে। ভেবে চলে অর্চনা।
     
    আবার পর মুহূর্তেই মনে পড়ে অন্য কথা। অম্লান নেই বলেই সায়নের চাকরি হয়েছে। না হলে আর কতদিন বেকার থাকতো ছেলেটা কে জানে! ভগবান একদিকে মেরেছেন, কিন্তু আরেকদিকে সুরাহা করেছেন সমস্যার। ভগবানের লীলা বোঝা বড় দায়!  

    দেখতে দেখতে আরও দু বছর কেটে গেল। সামনের অগ্রহায়ণে তিন্নির বিয়ে ঠিক হয়েছে একজন সরকারি চাকুরে ছেলের সঙ্গে। এখন ভাদ্র মাস। হাতে আর দু মাস বাকি বিয়ের প্রস্তুতির। অর্চনার ইচ্ছে পরের ফাল্গুনে সায়নের বিয়েটাও দিয়ে দেবেন।
     
    অর্চনা রান্নাঘরে কাজে ব্যস্ত। তিন্নি মাকে সাহায্য করছে কাজে। সায়ন গেছে অফিসে। বেলা প্রায় ১২টা বাজে। হঠাৎ কলিংবেলটা বেজে উঠল। দরজা খুলে অর্চনা দেখেন একজন পুলিশ এবং সঙ্গে আরও দুজন দাঁড়িয়ে আছেন বাইরে।
     
    ‘অম্লান বসুর বাড়ি এটা?’
    ‘হ্যাঁ’।
    ‘ইনি কি আপনার স্বামী?’, ওঁরা একটা ছবি দেখান ওঁকে।
    একজন ভবঘুরে ধরনের মানুষের ছবি সেটা। কিন্তু মুখটা ঠিক অম্লানের মত। বাঁ গালে একটা বড় কালো আঁচিল।
    ‘হ্যাঁ, এঁকে দেখতে তো আমার স্বামীর মত। কেন, কী ব্যাপার?’
    ‘আমরা ওঁকে খুঁজে পেয়েছি একটি এনজিওর মাধ্যমে। উনি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। অনেক এলোমেলো কথা বলছিলেন। এই এনজিওর লোকেরা ওঁকে অনেক জিজ্ঞাসা করাতে উনি শুধু নিজের নাম ও নাগেরবাজারে থাকেন বলতে পেরেছেন কোনোমতে। কিন্তু উনি পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। আপনারা থানায় চলুন আমার সঙ্গে, ওঁকে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য’।
     
    অর্চনা ও তিন্নি বিমূঢ় হয়ে পড়েন। ওঁরা কল্পনাও করতে পারেননি যে অম্লান এখনও বেঁচে আছেন। ওঁরা পুলিশের সঙ্গে থানায় গিয়ে চিনতে পারেন অম্লানকে। একটা ছিন্ন পোশাকে, মুখভর্তি দাড়ি, উসকোখুসকো চুল নিয়ে খালি পায়ে বসে আছেন অম্লান শূন্য দৃষ্টি নিয়ে। তাঁর স্মৃতি পুরোপুরি লোপ পেয়েছে, নিজের স্ত্রী কন্যাকে চিনতে পারলেন না।
     
    অম্লানকে নিয়ে বাড়ি এলেন অর্চনা। সাবান দিয়ে স্নান করিয়ে পরিস্কার পোশাক পরিয়ে খেতে দিলেন। কিছুটা খেলেন, কিছুটা ছড়ালেন। পুরনো কথা সব মনে পড়ে অর্চনার। বুঝতে পারেন, যে বিকৃত দেহটাকে ওঁরা অম্লান বলে ভেবেছিলেন সেটা আসলে অন্য কারোর। আর দিল্লি যাওয়ার ট্রেনে রাতে শোবার আগে অম্লান যখন কথা বলেছিলেন বাড়িতে, তিনি বলেছিলেন ওঁর খুব ঘুম পাচ্ছে। মাথাটা যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। অর্চনার মনে হয় সেদিন ট্রেনে বোধহয় সহযাত্রীরা কফির সঙ্গে কিছু মিশিয়ে দিয়েছিল যার ফলে অম্লানের স্মৃতিবিভ্রম ঘটে। এলোমেলো পথে পথে ঘুরে তাই এতদিন কেটে গেছে।
     
    অর্চনা মনে মনে ভগবানকে কৃতজ্ঞতা জানান। স্মৃতি না থাক, তবু মানুষটা তো ঘরে আছে আজ। আমাদের চিনতে না পারলেও ক্ষতি নেই। কাছে আছে, এটাই বড় পাওনা। ওর যে মৃত্যু হয়নি, এটাই অনেক প্রাপ্তি আমার। ভাবেন অর্চনা।
     
    দিন কাটতে থাকে নিজের ছন্দে। তিন্নি ও সায়নের বিয়ে হয়ে গেছে অনেকদিন। অর্চনার এখন ভরা সংসার। অম্লান বেঁচে আছেন, কিন্তু সে না থাকার মতোই। তবু পরিবারে একটা আনন্দের প্রবাহ চোরাস্রোতের মত বইতে থাকে। মৃত্যু মানে স্মৃতির ওপারে চলে যাওয়া। অম্লান আজ স্মৃতির এপারে, তবু যেন কত দূরে। ওঁর মনের নাগাল আর কেউ ছুঁতে পারবে না। থেকেও নেই যেন মানুষটা। পরিবারের কাউকেই চিনতে পারেন না অম্লান। মানসিক যোগাযোগের সেতুটাই ভেঙ্গে গেছে। মাঝে মাঝে অর্চনার মনে হয় এই বিপন্ন অস্তিত্ব বড় কষ্টের। যদি অম্লান হঠাৎ একদিন স্মৃতি ফিরে পেতেন, আর ওঁর চারদিকে পরিবারের সাবাইকে দেখে আনন্দিত হয়ে উঠতেন! এরকম অলৌকিক ব্যাপার বাস্তবে কি ঘটে? অর্চনা তাঁর গোপালের কাছে রোজ প্রার্থনা করেন এই মিরাকেলের আশায়। সেই বিশেষ দিনটা আর আসেনা। বছর গড়িয়ে গড়িয়ে এগিয়ে যায়।

    এই বিপন্ন অস্তিত্ব না অনস্তিত্ব, কোনটা ভাল ছিল অম্লানের জন্য? মনে মনে সবাই ভাবতে থাকে এক সময়, যা মুখে বলা যায় না। মনের মধ্যে পাক খেতে থাকে শুধু প্রশ্ন, যার উত্তর মেলে না।   
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন