এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • লা পত্নী ভ্যানতাড়াঃ পর্ব ১১  

    রানা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০৬ নভেম্বর ২০২৫ | ২০ বার পঠিত
  • 0 | | | | | | | | | | ১০ | ১১
    আর কথা না বাড়িয়ে বেরিয়ে এলো ওরা। বৈদেহী হেলমেট পরতে পরতে ইশারায় প্রণয়ের কাছে জানতে চাইল যে ডাক্তারই কী না? প্রণয় হেলমেট পরা মাথা নেড়ে বলল, “মনে হয় না। কিন্তু এর পরের অ্যাপয়েন্টমেন্ট দুটো তো বিকেলে আর সন্ধ্যায়। নিজে তো বেশ সাঁটালে। ওদিকে খিদেতে আমার পেট চোঁ চোঁ করছে”।        

    “চলো, লেকগার্ডেন্সে আমার এক বান্ধবীর বাড়ি আছে। ওখানে দুপুরটা কাটিয়ে বিকেলে গলফগ্রীণ সেরে তারপর যাব সল্টলেক”।

    “আর খাব কী?”

    “আরে! খাবারের অভাব আছে? দোকান থেকে চিড়ে দই বা ইডলি কিনে নিলেই হবে”। স্কুটিতে স্টার্ট দিল বৈদেহী। পথে তেল ভরাবার সময় ফোন করে ওর বান্ধবীকে জানিয়ে দিল যে তারা আসছে।

    গিয়ে দেখা গেল যে ফ্ল্যাটে বৈদেহীর বান্ধবী আর ওর মা থাকেন। বাবা থাকেন আলাদা। বৈদেহীর সঙ্গে প্রণয়কে দেখে একটু ভ্রু কোঁচকালেন মা। কিন্তু ওর বান্ধবী মাকে ইশারা করে কিছু বলতে বারণ করল। জানা গেল বান্ধবীর নাম রিমঝিম।

    “তোরা কিছু খাবি তো?”। রিমঝিমের মা জানতে চাইল।

    “না কাকীমা। আমার পেট ভর্তি। তুমি খালি প্রণয়দার জন্য এই চিড়েটা ভিজিয়ে দাও। দই দিয়ে ও খেয়ে নেবে”।

    “ওমা! দুপুরে শুধু চিড়ে দই! না না, ওসব চলবে না। বাড়িতে মাছ আর ডিম রান্না করা আছে। তোকেও একটু খেতে হবে”। এবার প্রণয়ের দিকে তাকিয়ে কাকীমা বলল, “তুমি কি খাবে? মাছ না ডিম?”

    “না ইয়ে, মানে আমার আবার…”

    “চুপ করো। এই আজকাল হয়েছে। এটা খাব না সেটা খাব না। বৈদেহীর বন্ধু মানে রিমঝিমেরও বন্ধু। যাও, গিয়ে বসো। আমি দেখছি”।

    “আচ্ছা, তাহলে মাছ…। আর বন্ধু না; স্যার”। বলে প্রণয় ওয়াসরুমটা কোথায় আছে জেনে নিয়ে ভেতরে ঢুকে গেল। জাঙ্গিয়া খুলে ভেতরটা নিল দেখে যে সেখানে পটি হয়েছে কীনা? না। তবে খানিকটা হিসুর জন্য দুটোই গেছে ভিজে। প্রণয় কমোডে বসে পটি করবার চেষ্টা করল। সেখানে বসেই শুনতে পেল রিমঝিম বৈদেহীকে বলছে, “ভালোই বল? এইরকম বয়ফ্রেন্ড নিয়ে উড়ে উড়ে বেড়াচ্ছিস?”

    “আরে! আস্তে বল। উনি আমার স্যার”।

    “ও, এখন আবার স্যার হয়ে গেল? ভালোই। মাষ্টারের সঙ্গে ছাত্রীর প্রেম কিন্তু বহুদিন ধরেই হয়ে আসছে”

    “ফাজলামি মারিস না”।

    “আচ্ছা মারবো না। ব্যাপারটা কী বলতো? বলা নেই কওয়া নেই?”

    “সে এক ভীষণ ব্যাপার। এখন তোকে সব খুলে বলা যাবে না। শুধু এইটুকু জেনে রাখ যে we are after a crook”.

    “ওমা! তাই নাকি? এই, আমিও যাব”।

    “তোকে সব বলবো। এখন কিছু জিজ্ঞাসা করিস না ভাই। আর সরি, তোকে এখন আর ইনক্লুড করা যাবে না। কারণ খেলা শুরু হয়ে গেছে”।

    ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে এল প্রণয়। খানিকটা পটি হওয়াতে শান্তি শান্তি লাগছে মনে। ব্যাগের থেকে নতুন একটা কাপড় বের করে ভিজে জাঙিয়ার নিচে পরে নিয়েছে সে। দুপুরে খেলও বেশ কম। কারণ রাস্তায় যদি আবার চাপ লাগে তবে সমস্যা হতে পারে।

    বেশ খানিকক্ষণ এটা সেটা কথা হল রিমঝিম আর ওর মায়ের সঙ্গে। ওর মা জানতে চাইলেন যে প্রণয় কী করে আর ওর বাড়িতে কে কে আছে? মা-বাবা নেই শুনে বললেন যে মাঝেমধ্যে বৈদেহীর সঙ্গে চলে আসতে। রিমঝিম অবশ্য প্রণয়কে একটা ট্রিট দিতে বলল। উত্তরে প্রণয় জানালো যে কেস সল্ভ হলেই সে পাক্কা একটা ট্রিট দেবে।

    খানিকক্ষণ ঘুমিয়ে বিকেল চারটে নাগাদ বেরিয়ে গেল ওরা। তার আগে ছদ্মবেশ পাল্টাতে ভুলল না। এবারের গন্তব্য চিত্র পরিচালক আকাশ। কাঁটায় কাঁটায় সোয়া চারটেতে গেটে বেল বাজালো। প্রণয়ের একটু নার্ভাস লাগছিল কারণ একবার ওরা এখানে এসে গেছে। যদি কেউ চিনে ফেলে?
     
    কিন্তু তেমন কোনও অসুবিধা হল না। আকাশ ওদেরকে নিয়ে ড্রয়িংরুমে বসাল। বৈদেহীর অভিনয়ের দিকে টান আছে শুনে জিজ্ঞাসা করল, “আগে কি কোনও অভিনয়ের অভিজ্ঞতা আছে?”

    “ইয়ে মানে পাড়ায় স্টেজ শো করেছি। স্কুলে, কলেজে করেছি”।

    “I see. কোনও পোর্ট ফোলিও বা ভিডিও তোলা আছে?”

    “আজকে ঠিক নিয়ে আসতে পারিনি। দুম করে অ্যাপয়েন্টমেন্টা পেয়ে গেছি তো”।

    “চা না কফি?”

    “না না। থ্যাংকস। আমরা কিছু নেব না”। কথাটা প্রণয় বলল। ঘরের চারপাশ এতক্ষন দেখছিল সে। সোহিনীকে অবশ্য দেখতে পেল না। মেরে ফেলল নাকি!

    আকাশ প্রণয়ের দিকে চাইল। বৈদেহী বলল, “ও আমার দাদা। দারুণ গল্প লেখে। কিছু ছেপেও বেরিয়েছে…”

    “তাই নাকি? আমরা তো গল্পও খুঁজছি। তবে চিত্রনাট্যের ফরম্যাটে লেখা থাকলে আরও ভালো হয়”। আকাশ দুজনের দিকেই একবার করে দেখে নিল।

    “হুম, আছে। একটা নতুন প্লট আমি ঠিক ওইভাবেই লিখছি”। ঢপ মারল প্রণয়।

    “Interesting, তা প্লটটা কী?”

    “ইয়ে, গোয়েন্দা আর থ্রিলারের মাঝামাঝি। হাউ ডান ইট …”

    “বাহ! বেশ। এখন তো থ্রিলার আর হু ডান ইটের ছড়াছড়ি। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে তো সুনামি লেগে গেছে। ব্যোমকেশ, শবর, ফেলুদা, কিরিটি সঙ্গে আরও নতুন সব হিরো। তা আপনার গল্পটা ঠিক কেমন?”

    “একজন হাজব্যান্ড তার বৌকে খুন করবে বা করাবে। এখানে অবশ্য আমি একটু আটকে গেছি”।

    “কী রকম?”

    “না। মানে ঠিক কীভাবে যে খুনটা হবে সেটা ঠিক করে উঠতে পারিনি। আর এটাই ঠিক করে উঠতে পারছি না যে হাজব্যান্ড নিজে মারবে না হিটম্যান দিয়ে খুনটা করবে”।

    “If you ask my advice, I would prefer the Hitman sort of thing. কারণ আপনি ধরাছোঁয়ার বাইরেও রইলেন। তারপর হাজব্যান্ড সেই হিটম্যানকে পেমেন্ট করতে গিয়ে মেরে দেবে। ব্যাস, No thread”.

    “ঠিক বলেছেন। দারুণ আইডিয়া দিয়েছেন। আর সেইজন্যই সদ্য জেল থেকে জামিনে ছাড়া পাওয়া দুজন হিটম্যানের সঙ্গে আমি দেখাও করেছি। কথাও বলেছি…”

    “ব্রাভো!”। পরিচালক আকাশ যদিও ওদেরকেও সন্দেহ করছিল। ওর ধারণা যে এইসব লালবাজার থেকে ফোন টোন সব সাগ্নিক করিয়েছে। ওর ওপর গোয়েন্দাগিরি করবার জন্য। আর এই দুজন হচ্ছে সাগ্নিকের সেই ভাড়া করা দুজন টিকটিকি। ভাবল যে ওদেরকে একটু ফাঁদে ফেলা যাক। বলল, “তাহলে ওদেরকে তো আমার একটু দরকার…”

    উৎসাহিত হয়ে প্রণয় জানতে চাইল, “কেন?”

    “উমম, একটা উৎপাত আছে।টিকটিকিও বলতে পারেন। তাকে সরিয়ে দিতে চাই”। শেষ কথাটা ফিসফিসিয়ে বলল আকাশ।

    “তাই নাকি? আপনি একদম চিন্তা করবেন না স্যার। আমি আপনাকে আগামীকাল ফোন করে জানিয়ে দিচ্ছি যে কখন আর কোথায় দেখা করতে হবে”।

    “ওকে। ডান। আর তোমার পোর্ট ফোলিওটা তারপর না হয় হবে?”

    “হ্যাঁ হ্যাঁ”। বলে উঠল বৈদেহী। “আমার অতো তাড়া নেই”।

    “তাহলে ওই কথাই রইল। আপনি আমাকে ফোন দিচ্ছেন”। এবারে প্রণয়কে উদ্দেশ্য করে বলল আকাশ।

    “একদম। কোনও চিন্তা করবেন না। আপনার নম্বরটা যদি…”

    “Oh sure”.

    ওদেরকে গেট অবধি ছাড়তে এল আকাশ। আসল উদ্দেশ্য ওদের গাড়ির নম্বরটা টুকে নেওয়া।

    স্কুটি স্টার্ট করে ওরা গলফগ্রীণ মোড় থেকে যাদবপুর থানার দিকে চলতে থাকল। বৈদেহী বলে উঠল, “তাহলে একজন সাস্পেক্ট পাওয়া গেল?”

    “হ্যাঁ। মনে হচ্ছে একেই সেদিন সন্ধ্যেবেলা দেখেছিলাম”।

    “তাহলে এই পরিচালককে ফোন করছ কবে?”

    “দেখি। কাল বা পরশু”।

    যাদবপুর থানা পেরিয়ে বাইপাসের দিকে স্কুটি চালিয়ে দিল বৈদেহী। এবার ওদের গন্তব্য চতুর্থ তথা শেষ আকাশ। ফোটোগ্রাফার আকাশ অবশ্য ওদের বাড়িতে আসতে না বলে স্টুডিওতে আসতে বলেছিল। সেখানে পৌঁছতে পৌঁছতে প্রায় ৭টা গেল বেজে। কারণ ইতিমধ্যে প্রণয়কে রাস্তায় একবার সুলভে যেতে হয়েছিল।

    স্টুডিওর দরজায় বেল বাজাতেই আকাশের সেক্রেটারি মেয়েটি এসে দরজা খুলে ওদের এখানে আসবার কারণ জিজ্ঞাসা করল। আগে থেকে অ্যাপো করা আছে বলাতে ওদের রিসেপসনে বসতে বলল সে। প্রায় মিনিট ১৫ পর ভিতর থেকে দুজন মহিলা এল বেরিয়ে। তাদের মধ্যে একজন সীমান্তি। দুজনেই দুজনকে দেখে অবাক হল। কিন্তু কেউ কাউকে কিছু বলল না। তবে সীমান্তি আবার ভেতরে ঢুকে আকাশকে এই নতুন দুই সাক্ষ্যাতকারীর ব্যাপারে জানতে চাইল।

    আকাশ ওকে জানালো যে ওরা দুজন এসেছে ওই মেয়েটির ব্যাপারে। কিন্তু সীমান্তি সেটা বুঝতে চাইল না। ভাবল যে প্রণয়ের এত সাহস যে সে তার পিছু নিয়ে তার কাজের জায়গায় পর্যন্ত হানা দিয়েছে? রাগে গটগট করতে করতে প্রণয়ের দিকে কটমট করে তাকাতে তাকাতে সে বেরিয়ে গেল। প্রণয় সেক্রেটারিকে ডেকে সীমান্তিদের এখানে আসবার কারণ জানতে চাইল। উত্তর পেল যে ভেতরে ফোটোস্যুট চলছিল।

    কিছুক্ষণ পর ভেতর থেকে ডাক পেল ওরা।

    ওরা দুজন ভেতরে গিয়ে দেখল সেখানে ফটোস্যুটের আধুনিক সব সেট লাগানো রয়েছে। রয়েছে কৃত্রিম ঝর্ণা। দামী সব ক্যামেরা। আকাশ ফোনে কথা বলছিল। ইশারায় ওদেরকে বসতে বলল। বৈদেহী আর প্রণয় ঘাড় ঘুরিয়ে ঘরের চারপাশ পর্যবেক্ষণ করছিল।

    ফোনে কথা শেষ হওয়ার পর আকাশ বৈদেহীকে জিজ্ঞাসা করল, “আপনার কাকাই কি ফোন করেছিলেন?”

    “কাকা না, মামা”।

    “হুম। তা কী দরকার? মডেল হতে চাও নাকি?”, বৈদেহীকে আগাপাশতলা মেপে নিয়ে ওদের বিপরীত দিকের চেয়ারে বসল আকাশ।

    “সেইরকমই খানিকটা ইচ্ছে আছে”। হেসে জবাব দিল বৈদেহী।

    “আর উনি?”, প্রণয়ের দিকে লক্ষ্য করে জিজ্ঞাসা করল আকাশ।

    “আমার দাদা”।

    “I see”.

    প্রণয় অবশ্য আকাশকে লক্ষ করছিল। ভাবছিল এ কি পোটেনশিয়াল খুনি?

    “কি ভাবছেন?”

    “না মানে, আপনাদের এখানে কেমন ফিস নেন? মানে গ্রুমিং, ফোটোস্যুট…, এইসবের জন্য?”

    “কেন? সেক্রেটারি আপনাদের কিছু বলেননি?”

    “কই! না তো”।

    “ঠিক আছে। যাবার সময় ব্রোশিওর নিয়ে যাবেন। তাহলে…”, এবার আকাশ মুখ ফেরালো বৈদেহীর দিকে। “তোমাকে কিন্তু এক্সারসাইজ করতে হবে। ডায়েট চার্ট মেইন্টেন করতে হবে। মানে সব মিলিয়ে বলতে চাইছি যে আরও অ্যাট্ট্রাক্টিভ হতে হবে। তা না হলে ছবিতে তোমাকে কেউ দেখবে না। মানে I think you understood what I mean?”

    “হ্যাঁ। বুঝতে পেরেছি”। আকাশের আঙুলে পরা একগাদা আংটির দিকে দৃষ্টি যায় বৈদেহীর। সে তৎক্ষণাৎ বলে ওঠে, “আমার দাদার কিন্তু একটা গুণ আছে…”

    “উনিও কি মডেল হতে চান নাকি?”

    “আরে না না। বলছিলাম যে ও খুব ভালো হাত দেখতে পারে”।

    কথাটা শুনে আকাশ যতটা না চমৎকৃত হল তার থেকে বেশি ঘাবড়ে গেল প্রণয়। যদিও মনে মনে বৈদেহীর প্রত্যুতপন্নমতিত্বতার প্রশংসা না করে পারল না সে। ভাবল, নাহ্‌, মেয়েটা কিন্তু বেশ স্মার্ট। এককথায় দারুণ। একদম মিস মার্পলের মতো।  

    ভাগ্যের ব্যাপারে যাদের দূর্বলতা আছে তাঁরা জানেন যে হাতের কাছে একজন ভাগ্যগণনাকারীকে পেলে কেমন তাঁরা যেন ভক্তিগদগদ হয়ে ওঠেন। আকাশও উৎসাহিত হয়ে বলে উঠল, “দেখি বলুন তো, কেমন বলতে পারেন?”। সে হাত বাড়িয়ে দিল প্রণয়ের দিকে।

    বৈদেহীর লালবাজারের মামার থেকে আকাশের সম্বন্ধে যেটুকু তথ্য প্রণয়ের জানা ছিল সেগুলোই মনে মনে একবার আউড়ে নিল সে। তারপর আকাশের বাড়িয়ে দেওয়া ডানহাতটা নিয়ে খুঁটিয়ে এমনভাবে দেখতে থাকল যেন সে একজন ঝানু অ্যাস্ট্রোপামিস্ট। বলল, “হুম, বেশ কয়েকবার আপনার বউ অ্যাকসিডেন্ট থেকে বেঁচে গেছেন মনে হচ্ছে। পড়াশনায় তেমন ভালো না হলেও এই ফটোগ্রাফির কাজে দারুণ উন্নতি করেছেন। কিন্তু আরও উন্নতি হওয়ার কথা ছিল”। শুনে আকাশ একটু ভ্রু কোঁচকাল। প্রণয় হাতটাকে আবার ভালো করে উলটেপালটে দেখল। বলল, “বাবা-মা মারা গেছেন। বউকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। বউয়েরও বাবা-মা নেই…”

    “বাপরে!”

    “হ্যাঁ। এই ক’দিন আগে সমুদ্রের ধার থেকে বেরিয়ে এলেন…”

    “এই সবও লেখা আছে নাকি হাতে!”

    “পড়তে জানলে অনেক কিছুই পড়া যায়…”

    “বাপস! আপনি দেখছি ম্যাজিক জানেন…”

    (ক্রমশ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    0 | | | | | | | | | | ১০ | ১১
  • ধারাবাহিক | ০৬ নভেম্বর ২০২৫ | ২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন