এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • লা পত্নী ভ্যানতাড়াঃ পর্ব ৬ 

    রানা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০৩ অক্টোবর ২০২৫ | ৫৩ বার পঠিত
  • 0 | | | | | |
    ওদিকে বাড়িতে ফিরে প্রণয় সীমান্তিকে ফোন করল। কিন্তু কল আনঅ্যান্সার্ড হয়ে গেল। প্রণয় একটা মেসেজ করে রাখল। পরে বৈদেহীর মায়ের করা অ্যাপয়েন্টমেন্ট মতো ডাক্তারের কাছে গ্রে স্ট্রীটে গেল দেখাতে।

    ডাক্তার কার্তিকবাবু তাকে নানান প্রশ্ন করলেন। যেমন, সে নোনতা না মিষ্টি খেতে ভালোবাসে কিনা বা স্বপ্নে সাপ দেখে কিনা? কী কী খাবার খেলে তার এইরকম হচ্ছে? বা তার উৎকণ্ঠার কারণগুলো কী কী? অত্যাধিক টেনশন হয় কীনা? পরিবারে এইরকম ছিল কীনা ইত্যাদি। শেষে চাররকম ওষুধ দিলেন দিয়ে। বললেন যে এতেই হয়ত কমে যাবে। তবে এই পটির পাওয়া বা পটি পাবে বা রাস্তায় বেরোলে কী হবে রে বাবা ইত্যাদি কথা মন থেকে সরিয়ে দিতে হবে। সঙ্গে ফোন করে জানাতে বললেন যে ওষুধ খেয়ে প্রণয় কেমন থাকে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় এই রোগ কমে যায় এই কথা শুনে মনে মনে অনেকটা নিশ্চিন্ত হলেও সীমান্তি আর সেই চারজন মহিলার কথা ভেবে আবার দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল প্রণয়। পেটের ভেতরটা কেমন যেন লাগছে প্রণয়ের…, আবার পটি হবে নাকি?

    এদিকে যে সময় প্রণয় সীমান্তিকে ফোন করেছিল সেইসময় সে ছিল গ্ল্যামার ফটোগ্রাফার আকাশের সঙ্গে। আগে থেকে যোগাযোগ করেই সেখানে গিয়েছিল সে। আগে নিজের একটা পোর্টফোলিও পাঠিয়েছিল। পরনে জিনসের প্যান্ট আর টাইট টপে বেশ মোহময়ী লাগছিল সীমান্তিকে। আকাশ তাকে পা থেকে মাথা অবধি জরীপ করল। বিশেষ করে ওর বুকের দিকে।

    সে হেসে আকাশকে জিজ্ঞাসা করল, “Which one is more attractive Sir?”

    আকাশ ভাবল বুঝি সীমান্তি দুটো স্তনের মধ্যে কোনটা আকর্ষনীয় সেটা জানতে চাইছে। “Sorry?”

    “I mean my snaps or real me?”

    “Real, real. আপনার আরও আগে এই জগতে আসা উচিৎ ছিল”। সাহস পেয়ে আরও কাছে এগিয়ে এল আকাশ। পেছন থেকে আবার জরীপ করল। চুল, পিঠ, নিতম্ব। “হুম, you are quite attractive but need to shed some fat”

    “কিন্তু একটু ফ্ল্যাভি তো আজকাল দারুণ চলছে?” সীমান্তিও এগিয়ে এল কাছে।

    “Let me see your hands…”। হাত বাড়িয়ে দিল সীমান্তি। ওর হাতদুটো ধরে চুলে বিলি কাটবার মতো কিছুক্ষণ নিজের আঙুল বোলালো। দুজনের শরীরেই খেলে গেল একটা শিহরণ। হাত ধরে রেখেই আকাশ বলল, “একজন আইডিয়াল মডেলকে সবার সামনে রিপ্রেজেন্ট করতে গেলে তাকে আগে বাইরে ও ভিতরঃ এই দুই দিক থেকেই জানা একজন ফটোগ্রাফারের কর্তব্য। Don’t you agree?”

    “Absolutely Sir”.

    “Great. You are preety smart. And you will definitely rise. But what you need is my Midus touch and love”.

    চোখ নামিয়ে চোখ তুলল সীমান্তি। বলল, “রাজি”।

    “হ্যাঁ। আমার কাছে একটা মশলার কোম্পানীর অ্যাডের জন্য ফ্রেশ মুখ চাইছে। A fresh new face”.

    “আমি কি?”

    “Oh! Certainly. But first we need to know each other mentally and physically”. মাথা নেড়ে সম্মতি দিল সীমান্তি। আকাশ বলে চলল, “কিন্তু এখানে না। I will give you a call and we will meet in a hotel…”

    “বেশ”।

    “Bravo”, বলে পিঠ চাপড়ে দিয়ে আলতো করে কাছে টেনে গালে ‘ফরাসি চুমু’ খেয়ে সীমান্তিকে ছেড়ে দিল আকাশ।

    সীমান্তি যখন আকাশের স্টুডিয়ো থেকে বেরোল তখন সে লক্ষ করল না যে পায়েল আর সিঞ্জিনি তাকে ফলো করতে শুরু করেছে। তার আগে অবশ্য পায়েল রিসেপশনে ঢুকে জিজ্ঞাসা করে নিয়েছিল যে আকাশ এখন কী করছে? মনে মনে ঠিক করে রেখেছিল যে আকাশ জিজ্ঞাসা করলে বলবে যে সে কাছেই একটা কাজে এসেছিল, তাই একবার দেখা করে জানতে চাইছিল যে আকাশ কেমন আছে।

    একটা এসি বাসে সীমান্তি উঠতেই ট্যাক্সি ডেকে ওরাও চলল পিছু পিছু কারণ আকাশের ওয়ালেটে যে ছবিটা আজ সিঞ্জিনি পেয়েছে সেটা ওই মেয়েটার।

    ওদিকে সোহিনী স্নান সেরে সাগ্নিককে ফোন করে বেরিয়ে গেল। তার আগে অবশ্য আকাশের জামাকাপড় হাতড়ে একটা লোডেড রিভলভার সে খুঁজে পেল।

    সোহিনী যখন পৌঁছল সাগ্নিক তখন শুট্যিং-এ ব্যাস্ত। ওকে দেখে ঠাণ্ডা হয়ে বসতে বলল। তার মিনিট পঞ্চাশ পর প্যাক আপ করে ওরা চলল সাগ্নিকের বাড়ির দিকে। রাস্তায় গাড়িতে যেতে যেতে ওদের কথা হচ্ছিল “দেখো, আগে আমার আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। আধপেটাও কাটাতে হয়েছে অনেকদিন। তুমি তো সবই জানো…”।

    সোহিনী সিগারেট ধরালো।

    সাগ্নিক বলে চলল, “তোমার বাবা আমার আর্থিক অবস্থা দেখে আমাকে নাকচ করে দিল”।

    “এখন দেখছি বাবা ভুল করেছিল”।

    “ভুল কি তুমিও করো নি? কারণ তখন তুমি সিরিয়ালে চুটিয়ে অভিনয় করছিলে। আমার পাশে তো দাঁড়াতে পারতে?”

    “কী করবো বলো? বাবা আর মা একেবারে রে রে করে উঠেছিল। তাছাড়া আমার বয়স কম ছিল। অতশত বুঝেও উঠতে পারিনি”। সিগারেটে টান মেরে ধোঁয়া ছাড়ল সোহিনী।

    “কিন্তু আমি তো তোমাকে বুঝিয়েছিলাম। দেখো তো চুর্ণিদি কীভাবে কৌস্তভদার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কৌস্তভদা ইটিভিতে কাজ করে করে আজ কীসব দুর্দান্ত সিনেমা বানালেন…”

    “ভুল হয়েছে। আর কতবার বলবো। I was in a dilemma.” বাকি সিগারেট নিভিয়ে ফেলে দিল সোহিনী। বলল, “প্লিজ, আজ আর ঐ পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটো না…”

    “ঠিক আছে বাবা”।

    “এখন কী করব তাই বলো”।

    “এই তোমার সিগারেট খাওয়া আর এখানে সেখানে ফেলা দেখলেই রাগে আমার গা রি রি করে। সামান্য সিভিলাইজ কি তোমরা হতে পারো না? সামান্য সংযম নেই কেন তোমাদের?”

    “টেনশন হচ্ছিল। সরি বাবু। এখন বলো…”

    “দাঁড়াও, আগে বাড়ি ঢুকি। ওদিকে আবার আকাশ তোমাকে বাড়িতে না পেয়ে অন্য কিছু আবার সন্দেহ না করে বসে”।

    “ও তুমি ভেব না। মেইড সার্ভেন্টকে সবকিছু বলা আছে। ও ঠিক ম্যানেজ করে নেবে”।

    “হুম”, গাড়ির গতি একটু বাড়িয়ে দিল সাগ্নিক।

    এদিকে লালবাজারে পৌঁছে খানিকক্ষণ অপেক্ষা করতে হল মৈথিলীকে। সে কালকের বদলে আজই চলে এসেছে। ডিউটির মাঝখানে অনন্ত এসে দেখা করল ভিজিটার্স রুমে। সব শুনে মৈথিলীর থেকে ফোন নম্বরটা নিয়ে কলের জায়গাটা ট্রেস করার চেষ্টা করল। ফিরে এসে জানালো, “নাহ, সিমটা সম্ভবত প্রি-অ্যাক্টিভেটেড। আর ফোনটাও এখন বন্ধ। তবে যখন আপনাকে কল করা হয়েছিল তখন মোবাইলের টাওয়ার ছিল হাজরা”।

    “হাজরা!”

    “অমন চমকে উঠলেন কেন? হাজরায় কেউ থাকে নাকি?”

    “নাহ্‌। তবে আকাশের এক বন্ধুর বাড়ি হাজরায়”।

    “তাই নাকি? কী নাম ওর?”

    “দাঁড়ান…, ও হ্যাঁ, মনে পড়েছে ইশরাত তানিয়া…” 

    “কী করেন?”

    “ছবি আঁকেন শুনেছি। অবশ্য আমি মহিলাকে মিট করিনি”।

    “নাম শুনেছেন কতদিন?”

    “এই এক বছর হল। এই যে…ফেসবুকে…, এই হচ্ছেন তানিয়া”।

    অনন্ত মৈথিলীর থেকে ফোনটা হাতে নিয়ে তানিয়ার ফেসবুকটা একবার দেখে তারপর তার লিঙ্কটা নিজের অ্যাপে নিলেন নিয়ে।বললেন, “ঠিক আছে, আমার নম্বরটা তো আপনার কাছে আছে। কোনও দরকার পড়লে ফোন করে নেবেন”।

    “ওকে”

    “আর আপনার বন্ধু মানে আমার বোনকে জানিয়ে দেবেন”।

    “একদম”। মৈথিলী গুছিয়ে বেরোতে যাচ্ছিল।

    “ও, আর একটা কথা…”, অনন্তের মুখে স্মিত হাসি।

    “বলুন?”

    “নাহ। তেমন কিছু না। তবে আজ আবার পয়লা এপ্রিল গেছে। ‘All Fools Day’, কেউ আবার আপনার সঙ্গে কোনও প্র্যাংক করল না তো?”

    হেসে ফেলল মৈথিলী। বলল, “কে জানে! তবে দিনকাল তো ভালো নয়। খবরের কাগজে নানান ঘটনার কথা পড়ি। আর জোক হলে তো ভালই হয়”।

    মৈথিলী যখন লালবাজার থেকে বেরোল, তখন সাগ্নিক গাড়ি নিয়ে বাড়িতে ঢুকল।

    ঘরে ঢুকেই দুজনে খানিকটা হুইস্কি পান করতে করতে সাগ্নিক সোহিনীর থেকে রিভলভারটা নিয়ে তার থেকে সমস্ত গুলিগুলো বের করে নিল। “এইবার এই ফাঁকা পিস্তলটা যেখানে ছিল সেখানে রেখে দেবে…”

    “আর?”। এক চুমুকে সোহিনী নিজের পাত্রটা শেষ করল।

    “আর…, আর সামনে আমার যে সিনেমাটা রিলিজের পার্টি আছে, সেদিন আকাশকে একবার আনতে হবে”।

    “কেন?”

    তাহলে অন্য একজন লোক গিয়ে তোমাদের ঘরগুলো ভালো করে সার্চ করতে পারবে। যদি কিছু পাওয়া যায়…”।

    “Oh! Sagnik, you are too good”। সাগ্নিককে একটা হাগ করল সোহিনী।

    “হুম। সেটা আগে বুঝতে পারলে আরও ভালো হত না?”

    ওরা পরস্পর পরস্পরকে চুমু খেল। সোহিনী বলল, “না গো, এবার যেতে হবে। নয়তো ও সন্দেহ করবে”। সোহিনী আলিঙ্গন আলগা করল।

    সাগ্নিক তার গ্লাস শেষ করল। “একেবারে বিছানার কাজটা করে গেলে ভালো হত না?”    

    “না বাবু। Some other day. I will definetly melt your burning desire”.

    “As you wish Madam”.

    একটা অ্যাপ ক্যাব বুক করে সাগ্নিকের ওখান থেকে বেরিয়ে গেল সোহিনী। বাড়ি ফিরে গিয়ে দেখে যে আকাশ মুখভার করে বসে আছে। হাতে একটা রামের গ্লাস। জানতে চাইল, “ছিলে কোথায়, এতক্ষন?”। আকাশের গলায় একটা কতৃত্বের ভাব।

    “ইয়ে, মানে ডাক্তারের ওখানে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল”।

    “কই? ডঃ খাস্তগীর তো আমাকে জানালেন না…”

    “নাহ…, আমি খাস্তগীরের কাছে যাই নি। সোমলতাকে মনে আছে তোমার?” আড়চোখে একবার আকাশকে দেখে নিল সোহিনী। একটা টেনশন হতে থাকল মনে, যদি আবার তার ব্যাগে নিজের রিভলভারটা আকাশ দেখে ফেলে। “আরে, কাছের মানুষ সিরিয়ালে ছিল। ট্রন ভিডিওস…”

    “ও আচ্ছা…”। চুমুক দেয় আকাশ।

    “আমি একটু চেঞ্জ করে আসছি”।

    ঘরে ঢুকেই গিয়ে হড়বড় করে আগে রিভলভারটা জায়গায় রাখল। তারপর পোশাক পরিবর্তন করে আবার ড্রয়িংরুমে এল। এসে বসল আকাশের মুখোমুখি।

    “এইরকম কত লতাকে দেখলাম”। উঠে গিয়ে আরেক পাত্তর নিল আকাশ।

    “না গো…, ভালই কাজ করছিল। তারপর কী যে হল। একটা ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট ছেলের পাল্লায় পড়ে কেরিয়ারটাই চৌপাট করে দিল”। পরিচারিকা কিছু লাগবে নাকি জিজ্ঞাসা করতে এলে ইশারায় সোহিনী জানতে চাইল যে সব ঠিক আছে কীনা? পরিচারিকাও ইশারায় জানালো যে হ্যাঁ।

    “হ্যাঁ। তোমাদের সব চেনা আছে”। আবার বসল আকাশ। “সিরিয়াল বা সিনেমা করতে তো আসা নয়, আসলে মুখ দেখিয়ে একটা টাকাওয়ালা কাউকে পাকড়ানোই হল আসল উদ্দেশ্য”।

    থমকে গেল সোহিনী। ভ্রু কোঁচকাল। “Do you mean me too?”

    “Yes, I mean that the every other woman in this tinsel town is looking for a boytoy, whom she can control, she can manipulate…”

    “আমি কি তোমাকে ম্যানিপুলেট করি? আর তোমাদের কাস্টিং কাউচের ব্যাপারে কিছু বলবে না?”

    “যাক গে। রাতে আর ভ্যাজরভ্যাজর করতে ভালো লাগছে না। শোনা না, আজ তোমার জন্য স্পেশাল প্রন-গার্লিক বানাতে বলেছি। মানে আমি ইন্সট্রাকশন দিয়েছি আর ও করেছে। চলো, ওটার সৎকার করি”।

    সোহিনী একটু থমকে গেল কথাটা শুনে।বিয়ের আগে ওর নিজের কাজের ফাঁকে এটাসেটা রান্না করত আকাশ যা বিয়ের পর ছেড়েই দিয়েছিল। তাই আজ তার রান্নার ব্যাপারটা কেমন যেন সন্দেহের আগল দিল খুলে। মনে হচ্ছে তাহলে বিষ দিয়েই আমাকে মারতে চায়। বা ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে তারপর গলা টিপে মারবার প্ল্যান আছে। হয়ত এমন কিছু বিষ যা মরে যাওয়ার পর রক্তে ধরা পড়বে না। বেশ কিছু থ্রীলারে দেখেছে সোহিনী। কাগজে এক রাশিয়ান স্পাইয়ের মারা যাওয়ার কথাও পড়েছে। ভাবছিল সোহিনী।

    “আরে কী হল? Where are you my dear?”।বাকি গ্লাস শেষ করল আকাশ।

    “নাহ্‌। মাথাটা একটু ধরেছে বুঝলে, আজ আর রাতে খাব না…”    

    “তাহলে অ্যাস্পিরিন দিয়ে একটু কফি খাও”। আকাশ ওর গাউনের পকেট থেকে একটা ছোট্ট ওষুধের ফাইল বের করল। “দাঁড়াও”, বলে পরিচারিকাকে ডাকল। পরিচারিকা এলে বলল, “ম্যাডামের জন্য এককাপ আইস কফি নিয়ে এসো তো”।

    (ক্রমশ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    0 | | | | | |
  • ধারাবাহিক | ০৩ অক্টোবর ২০২৫ | ৫৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন