এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • লা পত্নী ভ্যানতাড়াঃ পর্ব ২ 

    রানা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৪০ বার পঠিত
  • 0 | |
    রবীন্দ্রভারতীতে ড্রামা নিয়ে মাষ্টার্স করলেও সঙ্গে নানান ধরণের ক্ল্যাসিক্যাল আর আধুনিক নাচ শেখে বৈদেহী। মেয়েটা দুর্দান্ত রকমের বিচ্ছু আর অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়।

    এদিকে তার এই পটির সমস্যায় বন্ধুস্থানীয় একজন এমডি ডাক্তারকে দেখাতে তিনি বললেন যে প্রণয়ের আইবিএস হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে স্কিৎজোফ্রেনিক একটা টেন্ডেন্সি। আর এই রোগের জন্য পেটের থেকে মাথার সমস্যা বেশি দায়ী। কারণ মাথার নানান নিউরোট্রান্সমিটারের গোলমাল যেমন গাট ব্যাকটেরিয়াকে প্রভাবিত করে, তেমনি গাট ব্যাকটেরিয়াও আবার প্রভাব ফেলে মাথার নানান কেমিক্যালে।

    ডাক্তারবাবু জানালেন যে প্রণয়ের এখন নিরুত্তাপ আর শান্ত জীবন কাটানো উচিৎ। সঙ্গে দরকার ঘুম আর বিশ্রাম। তিনি প্রণয়কে গমজাত খাবার, দুধ, বাদাম, শাক ইত্যাদি খেতে বারণ করে দিলেন। আর পেটের ওষুধের সঙ্গে সঙ্গে দিলেন মাথার ওষুধ।

    প্রণয় গুগুল সার্চ করে দেখল যে এই আইবিএস নানানরকমের হয়। একটা কন্সটিপেশন, আর অন্যটা ডায়রিয়া। কিন্তু প্রণয়ের হয়েছে দুটোই। একদিন চার-পাঁচ বার হয় তো অন্যদিন একবারও হয় না। সঙ্গে সে গুগুল সার্চ করে দেখেছে যে কী কী খেলে পটি শক্ত হতে পারে। তাতে ভাত, টোস্ট, আপেল সেদ্ধ আর আলুসেদ্ধর খাওয়ার কথা বলেছে। রোজ রোজ আপেল সেদ্ধ খাওয়া প্রণয়ের ক্ষমতার বাইরে। তাই বাকিগুলো সে নিয়মিত খাচ্ছে। আরও বলেছে প্রি-বায়োটিক এবং প্রো-বায়োটিক খাওয়ার কথা। সেইজন্য সে কাঁচাকলা আর পাকা কলা রোজ একটা করে খাচ্ছে।  

    ক’দিন সেইসব ওষুধ খেয়ে সুস্থ থাকলেও সীমান্তির সঙ্গে বাইরে বেরোলেই তাকে হাবিজাবি খেতে হত সীমান্তির মন রাখতে। ফলে আবার যেতে হচ্ছিল ল্যাট্রিনে। বা অনেক সময় চাপতে না পেরে হয়ে যেত প্যান্টে। দিনে দিনে খুবই ডিপ্রেশনে ডুবে যাছিল প্রণয়। একবার ভাবছিল যে তার সত্যিই কি আইবিএস হয়েছে নাকি পেটে কোনও ক্যানসার হয়েছে? একা থাকলেই একটা ভয় সঙ্গে পাবলিক প্লেসে প্যান্টে পটি হয়ে যাওয়ার লজ্জা ঘিরে ধরছিল ক্রমশ।

    আবার গুগুল দেখে সে বেল আর কুর্চির এক ধরণের আয়ুর্বেদিক ট্যাবলেট খেতে শুরু করেছিল। কারণ অ্যালোপ্যাথি ট্যাবলেটের দাম ছিল বেশি। এত খরচা তার পক্ষে সামলানো যাচ্ছিল না। মাঝেমধ্যে কাজে বেরোতে বা সীমান্তির সঙ্গে ঘুরতে যেতেও ইচ্ছে করত না তার। খালি ঘরে বসে ভাবত যে কীভাবে সে ভবিষ্যতে কাজকর্ম করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে? কীভাবে সীমান্তিকে বিয়ে করতে পারবে?

    এক বন্ধুর পরামর্শ মতো তাই এখন বাইরে বেরোলে প্রণয় জাঙ্গিয়ার নীচে একটা কাপড় দিয়ে নিত যাতে লিক করে পটি বেরোলেও জাঙ্গিয়ায় বা প্যান্টে চুইয়ে না আসে।

    “কী হল খাও?”, খানিকটা ধমকের সুরে বলে ওঠে সীমান্তি।

    আজ বেশ কিছুদিন পর সাহস সঞ্চয় করে বেরিয়েছে প্রণয়। কাজে অবশ্য তাকে যেতেই হচ্ছে, নইলে খাবে কী? বাকী নতুন কাজগুলোও করতে হচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে।

    “ইয়ে, হ্যাঁ”, বলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বার্গারে কামড় মারল প্রণয়।

    “তারপর? তোমার কাজকর্মের খবর কী? আর তোমার দিদিই বা কেন শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছে না? শুনলাম নাকি তার বরও এখন তোমাদের বাড়িতেই শুচ্ছে?”

    নার্ভাসনেস খানিকটা বেড়ে গেল প্রণয়ের। কী উত্তর দেবে ভেবে পাচ্ছিল না। সেও প্রমিতাকে জিজ্ঞাসা করেছিল এই কথা। কিন্তু জবাবে প্রমিতা খেঁকিয়ে উঠেছিল প্রণয়ের ওপর। সে বলেছিল যে স্থানীয় নেতার মাধ্যমে মধ্যস্থতা হয়েছে। প্রমিতা শ্বশুরবাড়িতে আর যাবে না। এখানেই থাকবে।

    তবে কবেই বা মিটিং হল আর কবেই বা প্রমিতা সেখানে গেছিল সেসব প্রণয় কিছুই জানে না। আসলে প্রমিতা প্রণয়কে এইসব কথা জানায় নি। পাছে ভুলতে না পারা মা-বাবার মৃত্যু আর সেইসময়ের নানান ঘাতপ্রতিঘাত প্রতিহিংসায় প্রণয় আবার প্রমিতা আর তার বরের মধ্যস্থতায় ব্যাঘাত ঘটায়।

    এছাড়া বাড়ির অংশের একটা ভাগেরও প্রশ্ন ছিল। প্রমিতা মনে করেছিল যে সে যদি শ্বশুরবাড়ি চলে যায় তাহলে সে আর বাড়ির অংশের ভাগ পাবে না।

    কারণ প্রণয়ের সঙ্গে কথা বলে প্রমিতা এইটা বুঝেছিল যে তার প্রতি তার বরের অত্যাচারের জন্য প্রণয় ভগ্নীপতিকে ঘৃণার চোখে দেখে। প্রণয় মনে করে যে তার বরের জন্যই মাকে অসময়ে সে হারিয়েছে। প্রমিতার বর প্রণয়ের কাছে একজন মহা দুষ্টু লোক; অনেকটা মন্দার বোসের মতো, যার পেটে পানি পড়লেই চোখে ছানি পড়ে যায়। এদিকে প্রণয়ের জামাইবাবু তাদের বাড়িতে থাকতে শুরু করেই মাঝেমধ্যে ইয়ারদোস্তদের নিয়ে মদের আসর বসাচ্ছিল। সেখানে প্রমিতাও থাকছিল।

    কিন্তু প্রণয় এটা বুঝতে পারছে না যে প্রমিতা তার বরের সঙ্গে তাদের বাড়িতে কেন থেকে যেতে চায়? কারণ বাড়ির ভাগবাটোয়ারা হলে এমনিতেই প্রমিতা যেখানে ভাগ পাবে সেখানে ঘর দখল করে এভাবে থাকবার মানেটাই বা কী? সীমান্তির প্রশ্ন শুনে খাওয়া বন্ধ করে এইসব ভাবছিল প্রণয়।

    “কি গো? কি বিড়বিড় করছ?”, সীমান্তি আবার ধ্যাতানি দিল। ওর খাওয়া শেষ। সে এবার কফির অর্ডার করল। কফির কথা শুনে প্রণয় সঙ্গে সঙ্গে না করে দিল। একেই এই চীজ আর বার্গারের রুটি খানিকটা পেটে ঢুকেছে। তাতে আবার গরম কফি পড়লে আর দেখতে হবে না। হড়হড় করে খানিকটা হয়তো এক্ষুনি বেরিয়ে আসবে।

    “না মানে আমি ভাবছিলাম…”

    “তুমি না আসলে একটা নপুংসক। নিজের মনের কথা মুখ ফুটে বলবার সাহস নেই। ওদিকে এসেছ আবার আমার সঙ্গে প্রেম করতে। কী নাকি আমাকে বিয়েও করতে চাও…”। খানিকটা ঝাঁজিয়ে কথাগুলো বলল সীমান্তি।

    “নাহ, মানে প্লিজ তুমি বোঝার চেষ্টা করো। এইমাস থেকে আমি আরও দুটো নতুন কোম্পানীর কাজ ধরেছি”।

    “তোমার দিদি সঙ্গে কিন্তু আমি থাকতে পারবো না”। দিয়ে যাওয়া কফিতে চুমুক দিল সীমান্তি। বলল, “আজই এখান থেকে বাড়িতে গিয়ে তোমার দিদিকে বলবে”।

    “ঠিক আছে…”

    “অতো মিনমিন কোরো না তো, পুরুষসিংহ হও। জানো, আমার বাবা কীভাবে তার ভাইবোনদের সরিয়ে দিয়ে দাদুর সম্পত্তিটা একাই করায়ত্ত করেছিল?”

    “নাহ্‌”।

    “একদিন চলে এসো বাড়িতে। বাবা সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেব”।

    “ঠিক আছে”।

    “আর একটু স্মার্ট হও, বুঝলে? আর ক্যালানের মতো করলে অন্য মেয়ে দেখে নাও”।

    “ঠিক আছে”।

    “আর তোমার পেটের সমস্যা কেমন আছে?”, শুনেই প্রণয়ের পেটের ভেতর গুড়গুড় করতে আরম্ভ করল। হবে নাকি আবার! কেমন যেন হবে হবে করছে। সীমান্তি আবার জানতে চাইল, “কী হল? জবাব দিচ্ছ না কেন? এই রোগটোগ নিয়ে আমি কিন্তু তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না। শেষে হয়তো দেখা গেল টয়েলেটে গিয়ে আমাদের মালাবদল করতে হচ্ছে…”।

    “ও সেরে যাবে। ক’দিন যাক”। প্রণয়ের পেটের ভিতর গুড়গুড় করতে শুরু করে দিয়েছে। বার্গারটা এখনো অল্প বাকি আছে। ভাবছে যে আর খাবে না।

    “আর হানিমুনে গিয়ে দেখা যাবে যে তুমি সারাক্ষণ হোটেলের টয়লেটে বসে আছ আর আমি অন্য লোকের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছি”।

    শুনে প্রণয়ের মন খারাপ হয়ে গেল। সঙ্গে মনে হল পটি হবে। ভাবল সীমান্তির জিভ এত ধারালো কেন? ওর মা কি জন্মের পর চকলেট বা মধু খাওয়ানি ওকে?

    “কী বিড়বিড় করছ? চলো, আজ উঠি। কালকে আমার আবার একটা ইন্টারভিউ আছে”।

    “কীসের?”

    “কীসের আবার, মডেলিং এর…”।

    “আজকের বিলটা একটু মিটিয়ে দেবে প্লিজ?”

    “কেন পকেট ফাঁকা বুঝি?”

    “নাহ্‌, মানে মাসের শেষ তো। আর আমি একটু যাব…”। বলে বাকিটা না খেয়ে প্রণয় ল্যাট্রিনের দিকে দৌড় লাগালো।

    “নাহ্‌, একে নিয়ে চলবে না। আমার অন্য ব্যবস্থা করতে হবে”। বিল মিটিয়ে রাগে গজগজ করতে করতে বেরিয়ে গেল সীমান্তি।

    ওদিকে ল্যাট্রিনে গিয়ে প্রণয় দেখল অল্প একটু পটি হল ওর। সঙ্গে অস্বস্তিও বেড়ে গেল। ভাবল ওর কি পটির সমস্যা কমবেই না? জলশৌচ করে প্রণয় যখন বাইরে এসে দেখল যে সীমান্তি চলে গেছে, সেও লেক মল থেকে বেরিয়ে হাঁটা লাগালো।

    কিছুক্ষণ হাঁটার পর আবার যেন পেয়ে গেল বেগ। কিন্তু চারপাশে তাকিয়ে দেখল যে সেখানে কোনও ল্যাট্রিনখানা নেই। সে হনহন করে বড়রাস্তা থেকে ভেতরের রাস্তায় ঢুকে পড়ল। খানিকক্ষণ চেপেচুপে যাওয়ার পর দেখল যে একটা অন্ধকার জায়গা। বেশ কয়েকটা পুরনো বাড়ি। আর তার পাশেই একটা পার্ক। এদিকসেদিক তাকিয়ে পার্কের ধার ঘেঁষে অন্ধকারেই বসে পড়ল প্রণয়।

    চারিদিকে আবর্জনা; দূর্গন্ধ। পাছায় মশা কামড়াচ্ছে। পাশের পার্কটা রাস্তার সঙ্গে একটা তারজালি দিয়ে আলাদা করা আছে যাতে এদিক থেকে কেউ পার্কে ঢুকতে না পারে। মশা মারতে মারতে পটি করছিল প্রণয়, হঠাৎ এমন সময় দুজন লোকের কথা কানে এল। একজন মহিলা কণ্ঠ আর একজন পুরুষ কণ্ঠ।

    মহিলা কণ্ঠ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, “আর কতদিন যে অপেক্ষা করতে হবে সোনা? আমি যে দিনকে দিন বুড়িয়ে যাচ্ছি”।

    পুরুষ কণ্ঠঃ Be patient Honey. আমার নাম আকাশ রায়চৌধুরী। বি এম ডবলু গাড়িটা কি এমনি এমনি কিনেছি? We will go for a long drive. তবে তার আগে বৌকে সরাতে হবে”।

    বৌকে সরাতে হবে শুনেই সজাগ হল প্রণয়ের কান। ভাবল বৌকে সরাবে মানে? খুন করবে নাকি? সে কান আরও সজাগ করল। মন দিয়ে শুনতে থাকল ওদের বাকি কথাবার্তা।

    মহিলা কণ্ঠঃ সাবধানে কিন্তু খুনটা করতে হবে সোনা। তুমি তো আবার ল্যাদোস টাইপের।

    পুরুষ কণ্ঠঃ আরে, Don’t worry জান। সুপারি দেওয়া আছে। হয় এই মাসের মধ্যেই, নয়তো আমি নিজেই ওকে খতম করব।

    উঠতে গিয়েও উঠতে পারল না প্রণয়। আরও একটু হবে। ওদিকে মানুষ দুটো পার্কের আলোছায়ার মধ্যে দিয়ে হাত ধরাধরি করে গেটের দিকে এগিয়ে চলেছে।

    মনে মনে ভেবে নিল প্রণয়। অনেকদিন ধরে নানান রহস্য রোমাঞ্চ কাহিনী পড়েছে সে। যদিও ডাক্তার তাকে উত্তেজিত হতে বারণ করেছে। কিন্তু মনে হচ্ছে ওপরওয়ালার দয়ায় তারই নাগালের মধ্যে এসে পড়েছে মশলাদার ও মুচমুচে আস্ত একটা টসটসে রহস্য। গোয়েন্দা হওয়ার অনেকদিনের শখ ছিল তার! যাক, এবারে এই কেসটা সলভ করে একেবারে চমকে দেবে সীমান্তিকে। তাহলে সে তাকে আর আনস্মার্ট বা ক্যালানে বলতে পারবে না।

    কোনোরকমে পটি শেষ করে পকেট থেকে রুমাল বের করল প্রণয়। তারপর পেছনটা ভালো করে মুছে ফেলে দিল পাশে। প্যান্ট টেনে তুলল। চেন আটকে আস্তে করে টপকাল ফেন্সিং। শরীরের ভেতর কেমন যেন একটা করছে। কিন্তু গেটে পৌঁছতে পৌঁছতে ঐ যুগল রাস্তায় দাঁড়ানো বিএমডবলু গাড়িতে উঠে পড়ল।

    প্রণয় দৌড়ানো শুরু করল। কী করবে ভাবতে ভাবতেই দেখে যেদিকে গাড়িটা গেছে সেদিক থেকে একজন ট্রাফিক সার্জেন বাইক চালিয়ে আসছেন।

    রাস্তায় নেমে হাত দেখিয়ে সার্জেন্টকে দাঁড় করাল প্রণয়। হাফাঁতে হাফাঁতে বলল, “স্যার…, স্যার, ঐ যে বি এম ডবলু গাড়িটা দেখছেন, ওটাকে একজন খুনি বসে আছে, খুনি। প্লিজ, শীগগির কিছু একটা করুন”।

    সার্জেন্ট প্রণয়ের পোশাকআশাক আর অবিন্যস্ত চুল ভালো করে জরীপ করে বললেন, “গাঁজা টানা অভ্যাস আছে নাকি? পার্কে কী করছিলেন?”, সার্জেন্ট তার বুকে আটকানো ক্যামেরাটা অন করল।

    “না স্যার, বিশ্বাস করুন। আমি পার্কের পাশ দিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম”।

    “তারপর?”, নিজের পকেট থেকে মোবাইল ফোন খুলে দেখলেন সার্জেন্ট। প্রনয়কে খুব একটা পাত্তা দিলেন না।

    “ঐ যে দেখুন, ঐ সিগন্যালে দাঁড়িয়ে আছে। ঐ গাড়িতে একজন পুরুষ আর একজন মহিলা। সেই পুরুষ মহিলাকে পার্কে বলছিল। ক’দিনের মধ্যেই সে তার বৌকে খুন করবে”।

    “করে নি তো এখনও?”, সার্জেন্টের মুখে হাসি। “যান, বাড়ি যান। মাথাটা মনে হচ্ছে একেবারেই গেছে”। বুক পকেটে ফোনটা রাখলেন।

    প্রণয় দেখল যে সার্জেন্টের বুকে তার নামটা লেখা আছে। রক্তিম শীট। “প্লিজ স্যার, যান। নয়তো একজন নিরপরাধ, নিষ্পাপ মানুষ খুন হয়ে যাবেন। ভগবানের দিব্যি স্যার, লেককালীর দিব্যি”।

    (ক্রমশ)
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    0 | |
  • ধারাবাহিক | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৪০ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ক বি তা  - asim nondon
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন