এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • লা পত্নী ভ্যানতাড়াঃ পর্ব  ৩ 

    রানা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৪৬ বার পঠিত
  • 0 | | |
    সার্জেন্ট রক্তিম কী বুঝলেন কে জানে, প্রণয়ের দিকে কটমট করে একবার তাকিয়ে তার বাইক ঘুরিয়ে সেই বি এম ডবলু গাড়িটার দিকে চলে গেলেন।

    আনন্দে বুক ভরে উঠল প্রণয়ের। মনে হচ্ছিল মূহূর্তের জন্য সে যেন টিনটিন হয়ে গেছে। পেটেও যেন তেমন একটা সমস্যা নেই। শরীর টগবগ করছে উত্তেজনায়। কিন্তু বাড়ি ফেরার সময় আবার মনের মধ্যে আইবিএস নিয়ে, সীমান্তিকে নিয়ে, নিজের খোয়া যাওয়া টাকা নিয়ে, বাড়ির শরীকী ঝামেলা নিয়ে টেনশন চেপে বসল।

    বাড়ি ফেরার পর প্রমিতা জানালো যে বৈদেহী দু’বার এসে ফিরে গেছে। উত্তেজনায় নিজের মোবাইলের কথা মনে ছিল না প্রণয়ের। দেখল যে সেখানে দুটো মিসড কল রয়েছে।

    জামাকাপড় ছেড়ে স্নান করে নিল প্রণয়। জাঙিয়া আর তার ভেতরের কাপড়টা ধুয়ে নিল। তবে স্নানের সময় আরেকবার পটি করল সে। রাতে খাওয়ার আগে আবার আইবিএস-ডি নিয়ে গুগুল সার্চ করল প্রণয়। দেখল যে এই রোগের কারণ এখনও আবিস্কৃত হয় নি। তবে মেন্টাল সমস্যা থেকেও যেমন এই রোগ হতে পারে, তেমনি আবার হেরিডিটি থেকেও হতে পারে।

    মুল ব্যাপার হল অন্ত্রের মধ্যে ভালো গাট ব্যাকটেরিয়া মরে গিয়ে প্যাথোজেন বা খারাপ গাট ব্যাকটেরিয়ায় আধিক্য হলে এমনটা হয়। দেখল আগের দুটো কারণ ছাড়াও অত্যাধিক স্ট্রেস থেকেও এই রোগ হয়। তবে লেখা আছে যে যে খাবারগুলো খেলে এই রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়, সেই খাবারগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।

    তার মানে, তাকে এখন থেকে দেখতে হবে কী কী খাবার খেলে কিছুক্ষণ পর বেগে পটি বেরিয়ে আসছে। সঙ্গে আরও দেখল যে তাকে এমন খাবার খেতে হবে যার মধ্যে বেশি করে সলিউবল ফাইবার আছে। সঙ্গে খেতে হবে প্রোবায়োটিক খাবারদাবার।

    প্রমিতার ডাকে থানকুনি, গ্যাঁদাল, কাঁচকলা দিয়ে চারামাছের ঝোল দিয়ে ভাত খেতে খেতে আবার সেই পার্কের পুরুষ আর মহিলার কথোপকথন মনে করতে থাকল প্রণয়। ভেবে দেখছিল যে এত বড় কলকাতা শহরে এদের খুঁজে পাবে কী করে?

    এক, যদি সেই সার্জেন্ট রক্তিম গাড়িটা ফলো করে তার নম্বর টুকে রাখে। নয়তো…, আরে! আরে! ইউরেকা! হ্যাঁ তো, এখানে দুটো ব্যাপার আছে। এক, বি এম ডবলু গাড়ি আর দুই, সেই লোকটার নাম, আকাশ রায়চৌধুরি। এই দুটো দিয়ে খোঁজ করলে নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে। আহা! ভাবতেই শরীরটা আবার চনমনে হয়ে উঠল প্রণয়ের। নিজেকে তার মনে হতে থাকল শার্লক হোমস!

    রাতে ঘুমের মধ্যে একটা বাজে স্বপ্ন দেখে খুন খুন করে এমন চিৎকার করে উঠল যে শুধু প্রমিতারা নয়, পাশের বাড়ি থেকে বৈদেহীরা পর্যন্ত এল ছুটে। ওরা কারণ জিজ্ঞাসা করল। নিজের ভুল বুঝতে পেরে খানিকটা লজ্জা পেয়ে গেল প্রণয়। তখন প্রায় রাত ২টো বাজে।

    প্রমিতা বলল, “তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে মনে হচ্ছে”।

    বৈদেহী অবাক চোখে প্রণয়কে দেখল। ইশারায় জিজ্ঞাসা করল কী হয়েছিল? প্রমিতা ‘ভীমরতি’ বলে চলে যাওয়ার পর বৈদেহীকে আস্তে করে প্রণয় বলল, “দরকার আছে। কাল কথা হবে”।

    পরদিন সকালে উঠেই বৈদেহীদের বাড়ি চলে এল প্রণয়। একপ্রস্থ চা পান করার পর সব খুলে বলল ওকে। শুনে বৈদেহী তো আনন্দে আত্মহারা। বলল, “দারুণ একটা অ্যাডভেঞ্চার কিন্তু প্রনয়দা। উফফ!”

    “ইয়ে, এখন আমাকে কীভাবে হেল্প করতে পারবে তাই বলো”।

    “শোনো, আমার এক মামা আছেন, লালবাজারে কাজ করেন। আমি একবার তাকে ফোন করে দিচ্ছি। তারপর তোমাকে জানাচ্ছি?”   

    “কী ব্যাপার রে?”, বিদিশা জিজ্ঞাসা করলেন।

    “সে এক দারুণ ব্যাপার মা। আমি তোমাকে পরে বলছি…”।

    চনমনে ভাবটা আবার ফিরে এল প্রণয়ের মধ্যে। বাড়ি ফিরে স্নান করে চিড়ে আর প্যাকেটের দই খেয়ে অফিসে গিয়ে জানালো যে সামনে দিন কতক আসতে পারবে না সে। একজায়গায় যেতে হবে। সেখানে অ্যাকাউন্টসের কাজ আছে। যদিও আজকের কাজ সে যতটা সম্ভব করে দেবে।

    দুপুরের দিকে ফোন এল বৈদেহীর। ওর মামা বলেছেন যে চারটের দিকে লালবাজারে চলে আসতে। অফিস থেকে বলে বেরিয়ে বাড়িতে গেল প্রণয়। পথে দোকান থেকে কিনে নিল প্রোবায়োটিক ট্যাবলেট। শরীরটাকে তো সুস্থ রাখতে হবে, তা না হলে এইসব খুনিদের পেছনে দৌড়াবে কেমন করে?

    ঝোল ভাত খেয়ে সবে একটু চোখটা লেগে এসেছিল, বৈদেহী এসে ডাক দিল। ওকে বসিয়ে একবার ল্যাট্রিন থেকে ঘুরে এল প্রণয়। কিন্তু হল না। ওরা বাসে করে সোজা এসে পৌঁছল লালবাজারে।

    বাইরে থেকে বাসে করে বা পায়ে হেঁটে যেতে যেতে গিয়ে অনেকবার লালবাজারকে দেখেছে কিন্তু এই প্রথমবার সে সেখানে ঢুকছে। ভিতরে একটা উত্তেজনা হচ্ছিল প্রনয়ের। প্যান্টে জাঙিয়ার ভেতরের কাপড়টা ঠিক করে নিল প্রণয়। নিজেকে মনে হচ্ছিল যেন শবর দাশগুপ্ত।

    বৈদেহীর মামা মিঃ দাশ বছর পঞ্চান্নর ভারিক্কী চেহারার লোক। জানা গেল যে তিনি গুন্ডা দমন শাখায় আছেন। ইনস্পেকটর। তিনি মন দিয়ে ঘটনাটা শুনলেন। এর মধ্যে আবার একটু বেগ এসে যাওয়াতে প্রণয় মার্জনা চেয়ে টয়লেটে গেল।
     
    মিঃ দাশ বৈদেহীকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কী রে? ওর আবার মাথার সমস্যা নেই তো?”

    “আরে না না মামা। উনি আমাকে পড়াতেন। হয়তো একটু বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েছে। আর এখন একটা পেটের সমস্যায় ভুগছে”।

    ওদিকে ভিজিটরদের ল্যাট্রিনে বসে আগামীদিনের প্ল্যানের কথা ভাবছে প্রণয়। ভাবতে ভাবতে হঠাৎ শুনল বাইরে কারা যেন কথা বলল। এক মহিলা কন্ঠ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, “আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে সোনা? আমি যে দিনকে দিন বুড়িয়ে যাচ্ছি। তারপর পুরুষ কন্ঠ বলল, “আরে! Be patient Honey. আমার নাম আকাশ রায়চৌধুরী। বি এম ডবলু গাড়িটা কি এমনি এমনি কিনেছি? We will go for a long drive honey. তবে তার আগে বউকে সরাতে হবে”।

    তড়াক করে লাফিয়ে উঠতে গিয়ে খানিকটা পটি লেগে গেল জাঙিয়ায়। ফলে সেটাকে ভালো করে ধুয়ে যখন প্রণয় ল্যাট্রিন থেকে বেরোলো তখন সে আর কাউকে দেখতে পেল না।

    তাহলে আকাশ রায়চৌধুরী কি পুলিশের লোক? ভাবছিল প্রনয়। হতে পারে বা এখানে কোনও কাজে হয়তো দুজন এসেছে। যেই ভাবা সেই কাজ। প্রায় দৌড়তে দৌড়তে বৈদেহীর মামার ঘরে ঢুকে বলল, “স্যার! সেই খুনে এখানেও এসেছে। এখানে, মানে এইমাত্র পটি করতে করতে ওদের কথা শুনলাম”।

    বৈদেহী এই কথা শুনে অবাক। বলছে কী প্রনয়দা! “সেকী!”

    “এখানে! লালবাজারে! মাই গুডনেস!” মিঃ দাশ প্রণয়ের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রইলেন।

    “হ্যাঁ স্যার”।

    “আপনার পেটের সমস্যাটা কী?”

    “ইয়ে, মানে ডাক্তার বলছে আইবিএস”।

    “হুম। রাতে ঘুম হয়?”

    এবারে বৈদেহী বলে উঠল, “কালকে প্রনয়দা না মাঝরাত্তিরে খুন খুন বলে চেঁচিয়ে উঠেছিল”।

    “তাই নাকি!”

    “ইয়ে, মানে একটা স্বপ্ন দেখে”। লজ্জা পেল প্রণয়।

    মিঃ দাশ আবার প্রণয়ের দিকে তাকালেন। মনে মনে ভাবলেন যে এ নির্ঘাত মাথায় গোলমাল আছে। নয়তো যেখানে সেখানে খুনিদের গলা আর সংলাপ শুনতে পাচ্ছে কী করে? তবুও বৈদেহীর চাপাচাপিতে খোঁজ নিয়ে দেখলেন যে লালবাজারে কোনও বিএমডবলু ঢোকে নি।

    “হয়তো অন্য গাড়ি করে এসেছিল। আমি কিন্তু স্পষ্ট শুনলাম”। প্রণয়ও ছাড়নেওয়ালা পার্টি নয়।

    মিঃ দাশ মনে মনে হাসলেন। ভাবলেন মনে হচ্ছে ছেলেটার হ্যালুসিনেশন হচ্ছে। উনি প্রণয়কে বাইরে দাঁড়াতে বললেন। তারপর বৈদেহীকে জিজ্ঞাসা করলেন, “হ্যাঁ রে, তোর মাষ্টারমশাই আবার নেশাটেশা করে না তো?”

    “না না। প্রনয়দা সেইরকম ছেলেই না”।

    “মাথার গোলমালও নেই বলছিস? বেশ, ঠিক আছে। তুইই বেশ চেগে গেছিস দেখছি। একেবারে তোর বাবার মতো। আচ্ছা, আমি খোঁজ নিয়ে তোকে কল করে দেবো”।

    ওরা লালবাজার থেকে বেরিয়ে এল।

    বাসে করে ফিরতে ফিরতে বৈদেহী বলল, “তাহলে এখানেও!”

    “হুম, সর্ষের মধ্যেই ভূত মনে হচ্ছে”।

    “কিন্তু তা বলে পুলিশে?”

    “হতেই পারে। পৃথিবীর সব জায়গার মতো এখানকার সব পুলিশই তো আর সাধুপুরুষ নয়। তাছাড়া বাইরে থেকেও ওরা আসতে পারে। হয়তো ওদের কোনও পুলিশ বন্ধু আছেন। দেখা করতে এসেছিল। বা এই ঘটনার সঙ্গে ওদের কোনও পুলিশ বন্ধুও জড়িত থাকতে পারে”।

    বৈদেহী হাঁ করে প্রণয়ের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়ল।

    “শোনো, আমাদের কিন্তু এখন থেকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। যদিও ক্লু এখানে খুবই কম”।

    “এক, আকাশ রায়চৌধুরী আর দুই, বি এম ডবলু”।

    “হ্যাঁ। কিন্তু এখানে আবার পুলিশ ঢুকে গেল কী করে?”, প্রণয়কে বেশ চিন্তিত দেখালো। পেটের মধ্যে একটু যেন গুড়গুড় করে উঠল। বলল, “হুম, দেখতে হবে ঠিক কীভাবে আকাশ ওর বউকে খুনটা করতে পারে”।

    “কীভাবে?”

    “গুগুল সার্চ করে”।

    বৈদেহী অবাক হয়ে একটু প্রণয়ের দিকে তাকাল। ভাবল, প্রনয়দা কি ঠিক বলছে নাকি ওর মাথাটাই খারাপ হয়ে গেল! গুগুল সার্চ করে খুনের পদ্ধতি আবিষ্কার করবে!
      
    বাড়ি ফিরে প্রণয় শুনল যে প্রমিতার সঙ্গে তার বরের একপ্রস্থ ঝগড়া হয়েছে আর তার ফলে সে রান্নাই করে নি।

    রাগে গজগজ করতে করতে নিজেই ভাত, আলু আর ডিমসেদ্ধ করে খেয়ে নিল। পেটটা কি আবার মোচড় দিল নাকি? নাহ! ও মনের ভুল। খানিকটা গ্যাস বেরিয়ে এল নীচ দিয়ে।

    পরদিন কাজে না বেরিয়ে সকাল সকাল গুগুলে সার্চ দিল প্রণয়। লিখল List of the most popular and safe way by which a husband murdered his wife so far.

    গুগুল উত্তর দিলঃ It looks like there aren’t many great matches for your search. প্রণয় নীচে স্ক্রোল করল। প্রথমে লেখাঃ Watch how to get away with murder | Netflix.

    আবার তার নীচে Domestic abuse: Killers follow eight stage patterns: study says – BBC. লিঙ্কে টাচ করল প্রণয়। পেজটা খুলে গেল সামনে। সেখানে লেখা-

    Men who kill their partners follow a ‘Homicide Timeline’ that could be tracked by police to help prevent deaths, new research suggests.

    Criminology expert Dr. Jane Moncktom Smith found an Eight-stage pattern in 372 killings in UK.

    যদিও UK শব্দটা দেখে প্রণয় একটু থমকাল। ভাবল, ও ঠিক আছে। UKতে যদি এমন হয় তবে আমাদের এখানকার অভিজাত সমাজেও তার একটা প্রভাব নিশ্চয়ই থাকবে। ওরা আবার সব কিছু বিদেশিদের ফলো করেন কীনা? প্রণয় স্ক্রোল করে তার মধ্যে সাতটা উপায় দেখতে থাকল। সেখানে লেখা আছেঃ

    A Pre-relationship history of Stalking or abuse by the perpetrator.

    The romance is developing quickly into a serious relationship.

    The relationship is becoming dominated by coercive control.

    A trigger to threaten the perpetrator’s control – For example, the relationship ends or the perpetrator gets into financial difficulty.

    Escalation – an increase in the intensity or frequency of the partner’s control tactics, such as stalking or threatening suicide.

    Planning – the perpetrator might buy weapons or seek opportunities to get the victim alone.

    Homicide – the perpetrator kills his or her partner, and possibly hurts others, such as the victim’s children.

    খানিকক্ষণ এইসব দেখে শেষে আগের লেখার সঙ্গে ‘In India’ জুড়ে দিয়ে আবার টাইপ করল প্রণয়। এবারে এল – What a breakfast murder in India says about attributes to wife beating – BBC.

    ধুর বলে আবার স্ক্রোল ডাউন করল প্রণয়। তার নিচেই রয়েছে ‘People also ask’ বলে চারখানা প্রশ্ন যার শেষেরটা হ’ল Can husband file 498A against wife? তারপরে রয়েছে আর্টিকেল ৩০২, ৩০৭ ইত্যাদি। বিরক্ত হয়ে ফোন রেখে দিল প্রণয়। শুয়ে পড়ল। মাঝে একটু চোখ লেগে এসেছিল। বৈদেহীর চিৎকারে ঘুমটা গেল ভেঙে। ঘড়িতে তখন প্রায় সাড়ে-তিনটে বাজে।

    (ক্রমশ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    0 | | |
  • ধারাবাহিক | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৪৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন