এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • "ভেবে দেখেছো কি? তারারাও কত আলোকবর্ষ দূরে?"

    যদুবাবু লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ৩০ নভেম্বর ২০২৫ | ২৯১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • (আজ একটা মজার জিনিষ লিখে রাখি, নেহায়েতই ব্যক্তিগত স্মৃতির জন্য। অ্যাকাডেমিয়ার অন্ধকার দিক নিয়ে প্রায়ই শুনি, ভাবি, লিখি। আমার থেকে বয়সে ছোটো কত ভবিষ্যত অ্যাকাডেমিক, তাদের যেন মনে না হয় এই দিকে শুধুই অন্ধকার, কিছুই আলো নেই। আলোর বন্যা না হলেও, কয়েকটি বিন্দু আছে।)
     


    উপরের ছবিটা অ্যাস্ট্রোনমি ম্যাগাজ়িনের, প্রকাশিতব্য জানুয়ারি ২০২৬ সংখ্যার - এই আগামী সংখ্যার বিষয় গেইয়া স্পেসক্রাফট : "How Gaia revealed the milky way"! কেন গেইয়া-কে নিয়ে আগামী সংখ্যা? কারণ এই ২০২৫ সালে, দশ-দশটা বছর কক্ষপথে ঘুরে ২ বিলিয়ন জ্যোতিষ্কের ৩ ট্রিলিয়ন অবজার্ভেশন নেওয়ার পর, শেষমেশ সে অবসর নিয়েছে। ২০১৩ সালে গেইয়া উৎক্ষেপণের সময় লক্ষ ছিল, "টু ম্যাপ আ বিলিয়ন স্টার" - সেই লক্ষ্য যে পূরণ হয়েছে শুধু তাই না, এর মাঝে গেইয়ার ম্যাপে ধরা পড়েছে ব্রাউন ডোয়ার্ফ, এক্সোপ্ল্যানেট, কোয়াসার, এমন কী মিল্কি ওয়ের স্যাটেলাইট গ্যালাক্সির ছোট্ট ছোট্ট তারার শহর (স্টেলার সিটি)। কোন সুদূর অতীতের কোন কলিশনের ফলে আমাদের মিল্কি ওয়ের আকৃতি কেমন হয়েছে সেইসবের-ও আভাষ পাওয়া গেছে কিছু কিছু। আরও কত যে পাওয়া যাবে অনাগত ভবিষ্যতে, এক্ষুণি বলা ভারি শক্ত। পুরো সার্ভের বিপুল পরিমাণ ডেটা পাবলিক ডোমেইনে আসতে আসতে হয়তো আরও বছর কয়েক লেগেই যাবে। 

    কিন্তু এই জ্যোতির্বিজ্ঞানের গল্পে রাশিবিজ্ঞানের ভূমিকা কী? সেইটেই আমাদের আসল আগ্রহ। আসলে, এই ব্যাপক সার্ভের তথ্য-উপাত্ত থেকে বহু-বহুদূরের একটি তারার সত্যিকারের দূরত্ব মাপা বেশ কঠিন এক সমস্যা। যে পদ্ধতিতে আমরা, মানে আমরা মানুষেরা, মাপি সেটির নাম প্যারালাক্স এস্টিমেশন। সঙ্গের ছবিদুটি দেখলেই আশা করি পরিষ্কার বোঝা যাবে, জিনিষটা কেমন। ছোটোবেলার পদার্থবিদ্যার বইয়ে পড়া প্যারালাক্স এরর মনে পড়তে পারে। অথবা মনে পড়তে পারে নব্বুইয়ের জনপ্রিয় গান, "ভেবে দেখেছো কি? তারারাও কত আলোকবর্ষ দূরে?"

    খুব সহজ করে বলতে গেলে, প্যারালাক্সের অর্থ এই যে, দর্শকের অবস্থান যেমন যেমন করে পাল্টায়, তার পরিপ্রেক্ষিতে অপেক্ষাকৃত কাছের ও দূরের বস্তুর আপাত অবস্থান-ও পাল্টে যায়। নিচের ছবিটি ঐ অ্যাস্ট্রোনমি ম্যাগাজিনের-ই। আর ছবিতে যেমন দেখানো, গেইয়া স্পেসক্রাফট সূর্য আর পৃথিবীর মধ্যিখানের কোনো একটি দূরত্বের কক্ষপথে ঘুরতে এক-ই তারার ছবি ছ'মাসের ব্যবধানে দুবার যদি তোলে - একবার শীত, আরেকবার গ্রীষ্মে - তাহলে ঐ দুইবারের ছবিতে এক-ই তারার সাথে গেইয়ার দৃষ্টিপথ দিয়ে সরলরেখা টানলে যে কোণটি দেখা যাবে, সেইটিই (আসলে তার অর্ধেক) আমাদের প্যারালাক্স অ্যাঙ্গেল। 


     
    আর বাকিটুকু ত্রিকোণমিতি - প্যারালাক্স কোণ আর দূরত্বের সম্পর্ক ঐ ছোটোবেলার ট্যানজেন্ট, অর্থাৎ লম্ব আর ভূমির অনুপাত, পারপেণ্ডিকুলার ডিভাইডেড বাই বেস। আর, আসলে যে সমীকরণ ব্যবহার করা হয় সেইটা আরও সোজা কারণ খুব ছোট্ট পিচ্চি কোণের জন্য রেডিয়ানে মাপলে ট্যান থিটা ~= থিটা, অর্থাৎ, এক লাইনে লিখলে r = 1/w, যেখানে তারার দূরত্ব r parsec, আর ঐ প্যারালাক্স কোণের মাণ w ... পারসেক কাকে বলে সেই সংজ্ঞা ছবিতেই দেওয়া, তবুও, ১ আর্কসেকেণ্ড প্যারালাক্স কোণের অর্থ, তারাটি ৩.২৬ আলোকবর্ষ দূরে আছে, এই দূরত্বের এককটিই পারসেক (প্যারালাক্সের পার, আর আর্কসেকেণ্ডের সেক।) 



    এতো অব্দি খুব শিশিবোতল হয়ে, ট্যান না গেলে, আরেকটু বলি, কেন আমি এই নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে প্রচণ্ড উচ্ছ্বসিত? কারণ, এই প্যারালাক্স অ্যাঙ্গেলের ডেটা পাওয়া যায় গেইয়ার পাব্লিক ডেটা রিলিজ় থেকে, যার শেষ পাবলিক রিলিজ় হয়েছিল ২০২২ সালে। কিন্তু, প্যারালাক্স অ্যাঙ্গেলের ডেটা পেয়ে গেলেই যে সমস্যার শেষ তা নয়। মেজ়ারমেন্ট এরর কোথায় যাবে? সে তো আস্তিকের ঈশ্বর এবং নাস্তিকের বানানভুলের মত সর্বত্রব্যাপী - অমনিপ্রেজেণ্ট। তবে কি না, ভাগ্যিস সে আছে, নৈলে আমরা এই রাশিবিজ্ঞানীরা আর কী লইয়্যা থাকতাম? 

    গল্পটা তবে এই, যে সেইসব মেজ়ারমেন্ট এরর-কে মডেলে ধরতে গেলে যে স্ট্যাটিস্টিকাল মডেল-টি দাঁড়ায়, সেটাকে সহজ কোনো উপায়ে সামলানো যায় না, তার প্যারামিটার এস্টিমেট করতে গেলে দেখা যায় আপাতদৃষ্টিতে যেসব মেথড দুর্দান্ত কাজ করে, এইটি এমন বেয়াড়া প্রবলেম যে সেইগুলি সব ফেইল। ফেইল হওয়ার একটি কারণ এক-একটি অ্যাঙ্গেলের জন্য একটিমাত্র ডেটা-পয়েন্ট, আর অন্য কারণ কোণ আর দূরত্বের সম্পর্ক ব্যস্তানুপাতিক। সেইটার সাথে মেজ়ারমেন্ট এরর জুড়ে গেলে অন্তত দুটো ঝামেলার কারণ এসে উপস্থিত হয়, এক, নন-লিনিয়ারিটি এবং দুই, হেভি-টেইল। হেভি টেইলের গল্প ছোটো করে করা অসম্ভব। তবুও, খুব সহজে বলতে গেলে, আমাদের সরল রাশিবিজ্ঞানের সর্বত্র যে নর্ম্যাল ডিস্ট্রিবিউশন কাজে লাগানো হয়, সেইটি লাইট-টেইলড, পাতলা ল্যাজ, সে যাকে বলে ওয়েল-বিহেভড, মোটামুটি প্লাস-মাইনাস থ্রি সিগমার মধ্যে প্রায় সবটুকু এঁটে যায়, তার বাইরে দান পড়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য, তাই নর্ম্যালের জন্য হাজার-একটা থিওরি-ইত্যাদি আছে। এর বাইরের জগত হেভি টেইল, সে বলে যে প্রোবাবিলিটি ডিস্ট্রিবিউশনের ল্যাজ বেশ মোটা, পলিনমিয়ালের মত আস্তে আস্তে কমছে, ফলতঃ, মাঝে-মাঝেই উটকো বিশাল বড় অবজার্ভেশন দেখতে পাওয়া বিচিত্র তো নয়ই, সে এতোই ল্যাজ মোটা যে কখনও-সখনো তার জন্য নর্ম্যালের জন্য তয়ের প্রায় কোনো তত্ত্ব-ই খাটে না।

    তার মানে এই নয় কিছুই করার নেই, এই ধরণের কিঞ্চিত বেয়াড়া সমস্যায় রাশিবিজ্ঞানের একটি শাখা - বেইজ়িয়ান ইনফারেন্স দুর্দান্ত কাজ করে। আনন্দের ব্যাপারটা এই যে, আমি দুজন অত্যন্ত প্রিয় জুনিয়র কোলাবরেটরের সাথে এই নিয়ে বেশ বছর দুয়েক ধরে এই প্যারালাক্স এররের বেইজ়িয়ান মডেলিং করেছি। আমরা দেখাতে পেরেছি যে এই আমাদের মতন বেইজিয়ান ফ্রেমওয়ার্কে হেভি-টেইলড এরর ধরা যায় খুব সহজে, এবং তাহলে সমাধানের রাস্তায় এক পা হলেও এগুনো সম্ভব। এই দুজনের একজন সোহম, সে এখন উইসকন্সিন ম্যাডিসনের ফাইন্যাল ইয়ার পিএইচডি, অন্যজন উত্তরণ, এখন জর্জিয়া টেকে পিএইচডি ছাত্র। কেউ পড়তে চাইলে,  লিঙ্ক এইখানেঃ https://arxiv.org/abs/2410.20641



    আর যেটা না বললেই নয়, যে এই প্রবলেমটার কথা জানতে পেরেছিলাম কী করে? আমাদের এক বর্ষীয়ান বেইজ়িয়ান রাশিবিজ্ঞানী ক্রিশ্চিয়ান রোব্যেরের একটা ব্লগপোস্ট থেকে। ভাগ্যিস উনিও শক্ত পেপার ছাড়াও ব্লগ লিখেও সময় নষ্ট করেছিলেন! সেই ব্লগের-ও লিঙ্ক https://xianblog.wordpress.com/2016/07/15/the-curious-incident-of-the-inverse-of-the-mean/

    যাই হোক, এটা আমাদের পেপারের বিজ্ঞাপনী বিরতি নয়, যদিও কিঞ্চিৎ ঢাক পিটিয়েই ফেলেছি যা দেখা যাচ্ছে। সে পেপার-টেপার একদিন বেরুবে আশা করি, অজস্র হার্ডল টপকে, কিন্তু তার চেয়েও বেশি আশা এই যে গেইয়া-র সেই আশ্চর্য ট্রিলিয়ন তারার ঝকমকির মাঝে কোথাও আমাদের এই মিল্কি ওয়ের একটা খুব ছোট্ট একটা গ্রহের আরো ছোটো ক'জন মানুষ এইসব আশ্চর্য অদ্ভুত ব্যাপার ভাবতে ভাবতে, রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হবে। 
     
    হয়তো তাদের মনে হবে, শুধু বিস্মিত হতে পারাই জীবনের সার্থকতা - এইটুকুই জীবনের অর্থ, এর বেশি কিছু নেই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ৩০ নভেম্বর ২০২৫ | ২৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • %% | ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ১১:০১736314
  • দারুণ প্রয়াস 
  • শ্রীমল্লার বলছি | ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ১১:৫৪736317
  • আগ্রহ জাগছে আবারও এই লেখাটা পড়ার, খুঁটিয়ে জানার... 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:7cfb:6de6:5be5:***:*** | ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ২০:১৪736329
  • লেখাটা খুব ভাল লাগলো, তবে পেপারটা এখনো পড়িনি, একটু সময় বার করে পড়বো। আর জ্যোতির্বিজ্ঞানের গল্পে রাশিবিজ্ঞানের ভূমিকা কি, এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় রাশিবিজ্ঞান বাদ দিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞান হলো জলশূণ্য চৌবাচ্চা cheeky
     
    যদুবাবু যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আরেকটু অ্যাড করতে পারি। প্যারালাক্স মেজারমেন্ট আর এরর কারেকশন হলো কসমিক ডিসট্যান্স ল্যাডার এর প্রথম ধাপ। এই মেথড দিয়ে কাছাকাছি তারাগুলোর দূরত্ব বার করে পরের ধাপে (বা পরের সিঁড়িতে) কাছাকাছি সেফিড তারার দূরত্ব বার করা হয়, এই তারাগুলোকে বলা হয় স্ট্যান্ডার্ড ক্যান্ডল। সেই বেসিসে আবার আরও দূরের, মানে অন্য গ্যালক্সির তারাদের দূরত্ব বার করা হয়, সুপারনোভাদের দূরত্ব বার করা হয়, এইভাবে ধাপে ধাপে অনেক দূরের (মানে অনেক অতীতের) অবজেক্টগুলোর দূরত্ব মাপা হয়। কিন্তু ইউনিভার্সের দূরত্ব মাপার আরেকটা উপায় আছে, সেটা হলো কসমিক মাইক্রোওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড বা সিএমবির তাপমাত্রার হেরফের থেকে ইউনিভার্সের এক্সপ্যানশান রেট বার করা যায়, সেখান থেকে হাবল কনস্ট্যান্ট মাপা যায়। মুশকিল হলো, এই দুটো মেথড, অর্থাত কসমিক ল্যাডার আর সিএমবি, দিয়ে হাবল কনস্ট্যান্ট এর দুটো আলাদা ভ্যালু পাওয়া যায়, অর্থাত কোন একটা মেথড ভুল, বা আমাদের ফিজিক্স এর কোথাও গোড়ায় গলদ আছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে হাবল টেনশান বা ক্রাইসিস ইন কসমোলজি।   
  • যদুবাবু | ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ২১:২৩736332
  • @ডিসি, আরে কী মুশকিল মনে করবো কী! খুব ছোট্ট করে দারুণ বুঝিয়েছেন। আমার মত নিতান্ত আউটসাইডারের কাছে এই টেনশনের মানে এই মনে হয় যে আমাদের মহাবিশ্ব সম্বন্ধে এখনো অব্দি যা জানা তার থিওরিতে সত্যিই অল্প ফাঁক আছে, অন্তত থাকা আশ্চর্য নয়। হয়তো নিউ ফিজিক্স লাগবে? (আমাদের প্যালারাম হয়তো সেইসব বের করবে একদিন।) 

    আপনি যদি Hubble tension/crisis-এর মতো ব্যাপক ইন্টারেস্টিং জিনিষ নিয়ে একটু বড়ো করে লেখেন, তাহলে তো দারুণ ব্যাপার হয়। 

    পেপারটা পড়ে জানালে দারুণ লাগবে, এখানে না হলে আলাদা করে। আর, আমরা যাকে বলে বেড়ালের মত স্ক্র্যাচিং দি সারফেস। এতে অ্যাস্ট্রোস্ট্যাটের কিছুই তেমন পাল্টাবে না হয়তো, কিন্তু ঐ আর কী, একটা ঢিল মারার শখ ছিল, মেরে এলাম। এই এক এমন জিনিষ যে সারাজীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়, আমাদের হাতে সময় বড়ো অল্প। 

    আর এই উক্তিটা একঘর - "রাশিবিজ্ঞান বাদ দিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞান হলো জলশূন্য চৌবাচ্চা"। যদি কোনোদিন বড়ো করে আরো গুছিয়ে রেফারেন্স, হিস্টোরিক্যাল ফুটনোট ইত্যাদি দিয়ে লিখি, তবে এইটে তো গুঁজবোই গুঁজবো। :) 

    @শ্রীমল্লার আর %% ঃ থ্যাঙ্ক ইউ। :) 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:dab:3dab:3e0d:***:*** | ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ২২:০৭736334
  • যদুবাবু, অনেক ধন্যবাদ। তাহলে হাবল টেনশান নিয়ে টই খুলেই লিখবো। মোটামুটি ১৫ তারিখ অবধি একগাদা কাজ, তারপর লিখবো :-) আর পেপার পড়েও অবশ্যই জানাবো। 
  • যদুবাবু | ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ২৩:১৪736337
  • ইয়েস!! smileysmiley 
  • b | 14.139.***.*** | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:২৩736345
  • তাহলে যে পড়েছিলাম গাউস সেই ১৮ বছর বয়সেই লিস্ট স্কোয়ার দিয়ে কোন এক বামন গ্রহের চালচন বাৎলে দিয়েছিলেন ?
  • b | 14.139.***.*** | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:২৩736346
  • *চালচলন 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:৪৫736347
  • খুব খুব ভালো লাগল এই লেখাটা।
     
    ডিসির জনাবের মন্তব্যটাও ভীষণ জরুরি এডেন্ডাম।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:80ce:8d70:54be:***:*** | ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:০৬736348
  • বি, হ্যাঁ দিয়েছিলেন তো! গাউস তাঁর আবিষ্কৃত লিস্ট স্কোয়ার্স আর এরর কারেকশান মেথড দিয়ে খুঁজে বার করতে সাহায্য করেছিলেন। এখানে দেখুন, খুব ভালো লেখা আছেঃ 
     
     
    বিটিডাব্লু, আমরা যারা স্ট্যাটিসটিক্স বেচে কটা পাউরুটি আর মাখন-জেলি রোজগার করি, তাদের কাছে গাউস হলেন ভগবান, কারন উনিই নর্মাল ডিস্ট্রিবিউশান এর সাহায্যে এরর কারেকশান পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন (যদুবাবুর লেখাটাও এই বিষয় নিয়ে)। মাত্র দুটো প্যারামিটারের সাহায্যে এই নর্মাল ডিসট্রিবিউশান বহু ন্যাচারাল পদ্ধতি এক্সপ্লেইন করতে পারে।  
  • যদুবাবু | ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৬:৩৬736367
  • থ্যাংক ইউ রমিত। 
     
    ডিসির দেওয়া আর্টিকলটা খুব ভালো লাগলো। গাউসকে নিয়ে সত্যিই কত রকম গল্প। সুপারহিউম্যান এবিলিটি - তারপরেও সেই pauca sed matura। আমি বোধহয় একসময় গাউস আর ল্যজেন্দ্রর প্রায়োরিটি ডিসপিউট নিয়ে লিখেছিলাম। 
     
    Astronomy প্রসঙ্গে, tycho brahe কে নিয়েও কত দুর্দান্ত রোমহর্ষক গল্প। প্যারালক্স নিয়ে বড় করে লিখলে ওঁর কথা আসবেই। কেপলারের কথা আসবে। 
     
    কেউ একটু এন্থু নিয়ে বাংলায় হিস্ট্রি বা ফিলজফি অফ সায়েন্স নিয়ে একটা পডকাস্ট বা পাতি আড্ডাবাজি ঠেক করলে দারুণ হতো। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন