এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  পড়াবই  বই পছন্দসই

  • "অশান্ত সময়, অপ্রিয় প্রসঙ্গ, কিন্তু সব ঋতুতেই, প্রতি অবস্থাতেই, আদর্শের বিকল্প নেই”

    যদুবাবু লেখকের গ্রাহক হোন
    পড়াবই | বই পছন্দসই | ০৮ মে ২০২৫ | ২০০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • "অবশ্যই সাম্যের গান গেয়েছিলেন নজরুল। 'সঞ্চিতা' পেড়ে সেই বিবিধ গান-কবিতা, ফুরসৎ হলে, আমরা মাঝে মাঝে পড়ার অভিনয় করি। কিন্তু নজরুলকে বোঝবার চেষ্টা করেছি কি আদৌ? সামোর কথা বলতেন নজরুল। অজস্র গানে-কবিতায় তার নিদর্শন ছড়ানো, কিন্তু সেই সঙ্গে আকারে-ইঙ্গিতে- ভাষার ব্যবহারে প্রকাশনার বিভঙ্গে অন্ত-একটি কথাও বলতেন, সাংস্কৃতিক আচরণিক সংশ্লেষণের কথা। প্রধানত বাঙালি চেতনা-বাঙালি সমাজ নিয়েই তিনি উৎকণ্ঠ ছিলেন, বাঙালি চেতনার উপাদান, বাংলা সংস্কৃতির গঠন- প্রকরণ তাকে অহরহ ভাবাতো। অথচ তার সমস্ত ভাবনা-চিন্তা বছর কুড়ি বাইশ সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ, ১৯২০ সাল থেকে শুরু ক'রে ১৯৪২ সালের মধ্যবর্তী সময়ে, তারপর তো অন্ধকারের ঢল নামলো। খুব দ্রুততার মধ্যে ছিলেন নজরুল, কী ক'রে যেন বুঝতে পারছিলেন হাতে বড়ো সময় কম, কোনো- ক্রমে পড়শীদের, সহোদর-সহোদরাদের চেতনার গভীরে অনুপ্রবেশ ক'রে, তাদের বোঝাতে হবে কোন্ মৃত্তিকা থেকে আমাদের উৎস, কোন্ অবলম্বনের বাইরে আমাদের আশ্রয় নেই। হাতে সময় বড়ো কম ছিল নজরুলের, বাইরে সমুৎপন্ন সর্বনাশের পূর্বাভাস থাকা ঘন করে আসছে, বেপরোয়া উদ্দামতায় নিজের জীবনীশক্তিকেও তিনি ক্রমশ ক্ষইয়ে-ক্ষইয়ে এনেছেন, অথচ যাদের বোঝাতে চাইছেন, তাঁরা এই অন্ত তার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না, উপলব্ধিতে তদ্গত- হওয়ার দিকে তাঁদের কোনো আগ্রহ নেই, নজরুল তাই সতত প্রতিহত হয়ে ফিরছেন, ব্যর্থতা থেকে হতাশা, হতাশা থেকে মানিবোধ, গ্লানিবোধ থেকে আত্মহননের প্রবণতা। একদিন নির্বাক হয়ে পড়লেন। অভিমান থেকে এই নির্বাক হয়ে যাওয়া কিনা তা এখন আর কেউই প্রমাণ বা প্রমাণ করতে পারবেন না।

    একটি অতি সহজ কথা বাঙালিদের বলতে চেয়েছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। একজন-দুজন গোপাল রাজা বা হুসেন শাহের হঠাৎ-জাবির্ভাব নেহাৎই ছুটকো ছাটকা ব্যাপার, আসলে বাঙালিরা কোনো কালেই রাজার জাত ছিল না, সহজিয়া পরিবেশ তাদের প্রধান উত্তরাধিকার – যে পরিবেশে ধর্মাচরণ-লোকশাখা ইত্যাদির সঙ্গে প্রাতাহিক দিনযাপন ওতপ্রোত জড়ানো, ফকির- আউল-বাউল মানুষগুলি সাধারণ গৃহস্থের চেয়ে আলাদা নয়, তাঁদের গানে- চর্চায়-ভক্তির প্রকাশে দৈনন্দিন অস্তিত্বের সমস্তাগুলিই প্রতিভাত-পরিস্ফুট হয়। বাঙালি সমাজে সাম্যচেতনা প্রায় তাই ঐতিহ্যগত, ধর্মীয় চেতনাও অহরণ- ভাবেই ঐতিহ্যের শরীরে মিশে গেছে, ধর্মাচরণের বিকল্প ব্যাখ্যা তো ন্যায়াচরণ। ধর্মকে বড়োলোকেরা যে-বিবিধ উপকরণ- আচারের আবরণ পরিয়েছেন, তা কৃপাভরে, কখনো-কখনো প্রয়োজন হ'লে ঘৃণাভরে, পাশে সরিয়ে রাখতে হয় তাই, পাশে সরিয়ে রেখে ধর্মাচরণের গহনতম গভীরে পৌঁছে যেতে হয়। সেখানে ধর্মভেদ-বর্ণভেদ-পংক্তিভেদ অবান্তর প্রসঙ্গ, 'কাণ্ডারী, বলো, ডুবিছে মা সন্তান মোর মা'র'। উপদেশ এখানে কথকতার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে : 'চাষা ব'লে করো ঘৃণা!/ দেখো চাষারূপে লুকায়ে জনক বলরাম এলো কিনা! / যত নবী ছিল মেষের রাখাল, তারাও ধরিল হাল / তারাই আনিল অমর বাণী, – যা আছে, যা রবে চিরকাল!’ "


    - "অরসিকে কয় বাতুল", নাস্তিকতার বাইরে ও অন্যান্য প্রবন্ধ, অশোক মিত্র। প্রথম প্রকাশ ১৩৬৭ বঙ্গাব্দ।

    একটু বেশীই লম্বা হয়ে গেলো, তবুও কাটছাঁট করতে ইচ্ছে হ'লো না। থাক! এইটি যে বই থেকে, সেটি আমার আরেকটি অতিপ্রিয়, বহুপঠিত বই। আন্দাজ করছি এখানকার অধিকাংশ লোকের পড়া। এটিও দুই ভাগে, বেশ কিছু প্রবন্ধের (অথবা অশোকবাবুর ভাষায় প্রবন্ধিকার) সংগ্রহ। হুড়মুড়িয়ে পড়ার মত নয়, একটি করে পড়ে - একটু করে ভাবার মত। এগুলোর কোনোটি হয়ত সাময়িকীতে প্রকাশিত, কোনোটি আবার সমাবর্তনী বক্তৃতার ট্রান্সক্রিপ্ট। এবং বিভিন্ন সময়ের খইবাতাসা বলেই হয়তো প্রবন্ধগুলির ব্যাপ্তি বিশাল। 

    শুরুর দিকেই অন্তত দুটি লেখায় এসেছে মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা এবং বিজ্ঞানচর্চার প্রসঙ্গ, লিখেছেন, ‘শ্রেণীহীন সমাজকে, স্বপ্নের আকাশ থেকে, দ্রুত ছিনিয়ে এনে মাটির পৃথিবীতে আমরা নামাতে চাইছি বলেই মাতৃভাষায় শিক্ষার এত উদ্যোগ-আয়োজন’। স্পষ্ট করেই লিখেছেন, 'আমরা বঙ্গভাষী হিশেবে যদি বেঁচে থাকতে না পারি, ভারতীয় হিশেবে আমাদের পরিচয়ও তাহলে মিথ্যে হয়ে যাবে'। আবার সেই সঙ্গে এও লিখেছেন, 'ভাষার সঙ্গে জড়িয়ে আছে শ্রেণীগত সমস্যা, আরো জড়িয়ে আছে সংস্কৃতিগত সমস্যা, এবং এই সব-কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে জাতির অস্তিত্বের অগ্রগতির সমস্যা।' সহজ কথা, অন্তত দুর্বোধ্য তত্ত্ব কিছু নয়, কিন্তু বোঝে ক'জন? ভাষা-অধিকার আন্দোলনের নামে যারা জাতিবিদ্বেষ ছড়ায় উপায়হীন মানুষের উপর হামলা করে, পরাক্রম দেখিয়ে তারা অন্তত বোঝেন বলে মনে হয়নি আমার। ভুল-ও হতেই পারি। 

    আবার এক-ই স্বাচ্ছন্দ্যে লিখেছেন ‘শ্রেণীবদ্ধ বিদ্যাসাগর’ - এবং সেই প্রবন্ধে একটি শব্দ শিখেছি আমি - 'কালিক' (যার অর্থ - বিশেষ সময়ের প্রাসঙ্গিকতায় বিশিষ্ট)। লিখেছেন যেটা না লিখলেই নয় - সময়বিশ্লেষণ এড়িয়ে শ্রেণীবিশ্লেষণ অসম্ভব, কালবদ্ধতার দায় শ্রেণীবদ্ধতার ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে কি না সেও দেখার দরকার আছে। আর একটা ভারি দরকারি কথা লিখেছেন, যেটা মাঝে মাঝেই মনে হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক চাপান-ওতোরের মাঝে, বিশেষ করে কট্টরপন্থীদের (ব্যঙ্গার্থে নয়, আর কোনো শব্দ না পেয়ে) সাথে আলোচনা, বা আলোচনার অভাবের প্রসঙ্গে। বিদ্যাসাগরের আচরণিক আপাত-অসংগতির প্রসঙ্গে লিখেছেন, 'কাঠামোটা আমূল না পাল্টাতে পারলে গতি নেই, কিন্তু ইচ্ছের হাওয়ায় তো কাঠামো ভেঙে পড়বে না। যদি হুট-হাট এমন কিছু করার চেষ্টা হয়, যাতে উলটো পরিণাম ঘটবে, পুরো কাঠামো জগদ্দল পাথরের মত আরো চেপে বসবে, তাহলে কে বহন করবে সেই অবিমৃষ্যকারিতার দায়ভাগ? ...

    দ্বিতীয় পর্বের সাহিত্য/কাব্য/সমাজ প্রসঙ্গের লেখাগুলিও অনন্য। ‘অরসিকে কয় বাতুল’ (উপরের অংশটি যেখান থেকে নেওয়া), অথবা ‘আমরা বেদনাহীন—অন্তহীন বেদনার পথে’। জীবনানন্দের মৃত্যুর প্রায় তিন যুগ পরে লেখা সেই প্রবন্ধে অশোকবাবু লিখেছেন, ‘এখন আমরা বলছি, একমাত্র রবীন্দ্রনাথ ব্যতিক্রম, আর-কেউই তাঁর মত, বাংলার হৃৎপিণ্ড ছুঁয়ে যেতে পারেননি, লক্ষ কবির রাজ্য এটা, কিন্তু এখন আমরা বলছি জীবনানন্দকে পেরিয়ে আমাদের অন্য-কোনো আনুগত্য নেই’।  

    এসেছে যুদ্ধজিগির বনাম উন্নয়ন-প্রসঙ্গ। মে দিবস সম্পর্কে প্রবন্ধে লিখেছেন আন্তর্জাতিক সৌভাতৃত্বের কথা - কারমেল ব্রিকম্যানের গল্প মনে করে। অশোক মিত্রর সঙ্গে ব্রিকম্যানের দেখা অনেক-অনেক পরে ১৯৭৬ সালে লণ্ডনে ভারতীয়দের মে-দিবস উদযাপনে।  ইংল্যাণ্ডের মেয়ে কারমেল ব্রিকম্যান, যিনি দীর্ঘদিন ইন্দোনেশিয়ার কারাগারে অমানুষিক অত্যাচার ভোগ করেন, যে দেশের আন্দোলনে নিজেকে অল্প বয়সে সঁপে দিয়েছিলেন তিনি। সম্ভবত, লিখেছেন অশোকবাবু, ব্রিকম্যানের সাথে তার সহচর, স্বামী ইন্দোনেশীয় কমরেডের আলাপ হয় কলকাতাতেই, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া যুব সম্মেলনে। আমি ইন্টারনেট খুঁজে দেখলাম ইন্দোনেশিয়ার কারাগারবাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বইও লিখেছিলেন তিনি, 'Surviving Indonesia's Gulag: A Western Woman Tells Her Story.' 

    তার ঠিক পরের প্রবন্ধিকার নাম “তাই বসে বসে করছি লিস্টি, এ পাড়ায় কে কে দেশদ্রোহী?”। এসেছে ওঁর নিজের পুরোনো দিনের স্মৃতির – ১৯৬৪ সালের ভারত-চীন সীমান্তযুদ্ধ। এবং ইতিহাসের কী অসামান্য ছন্দোবোধ, পড়তে পড়তে মনে হয় প্রায় প্রত্যেকটি প্রবন্ধ-ই যেন ঠিক এই এখনকার সমাজের দিকে তাকিয়েই লেখা। কী সমাপতন দেখুন, অশোকবাবু লিখছেন, সেই যুদ্ধতৎপর পরিস্থিতির ধারাবিবরণী - “রেডিও-তে সকাল-বিকেল দিলীপকুমার রায়ের কণ্ঠে “ধাও ধাও সমরক্ষেত্রে” আর “অরাতি রক্তে করিব স্নান” শোনানো হচ্ছে, কে রে এই বেরসিকগুলো যারা বলছে “যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই, নিশ্চয়ই এরা দেশদ্রোহী, ধ’রে জেলে পুরে দাও সব ক’টাকে” … আর তার পরেই আক্ষেপ, “যেহেতু পঁচিশ বছরের ইতিহাস গড়িয়ে গেছে, আমরা অনেকে ভেবেছিলাম এ-ধরনের তাৎক্ষণিক আখ্যাভূষণের পালা আর পুনরাভিনীত হবে না। ভুল ভেবেছিলাম আমরা”। তবে আমরা, এই ২০২৫ সালে, বোধহয় এখন মোটামুটি জেনেই গেছি যে আখ্যাভূষণ চলবেই চলবে। দেশদ্রোহীদের লিস্টি বানানো তো চলছেই বহুদিন। যেন সেই জেরেমি বেন্থ্যামের প্যান-অপ্টিকন - সেই 'আদর্শ' জেলখানা যার ঠিক মধ্যিখানে একটি ওয়চ-টাওয়ার - আর চারদিকে বৃত্তাকার কারাগারে বন্দী অথবা শ্রমিক। ওয়াচ-টাওয়ারের কাচ একমুখী - ভেতর থেকে বাইরের সব কিছু দৃশ্যমান, কিন্তু বাইরে থেকে ভেতর দেখা যায় না। অর্থাৎ নজরাধীনরা জানে না ঠিক কখন তারা নজরবন্দি হচ্ছেন বা হচ্ছেন না। শাস্তি এড়ানোর একমাত্র উপায় তবে সেলফ-সেন্সরশিপ। এই শতাব্দীর প্যান-অপ্টিকন অবশ্য ডিজিট্যাল ও সর্বশক্তিমান বিগব্রাদারোচিত। কোথায়, কখন, কোন মুহুর্তে কে যে সেই লিস্টে উঠে যাবে কে জানে ... তাই, আন্তর্জাতিক সৌভ্রাতৃত্ব দূরের আকাশ হয়েই রয়ে গেলেও, শাসকের লিস্টিপ্রীতি, এবং শাসিতের লিস্টিফোবিয়া - সর্বত্র সমান। 

    ভাবতে ইচ্ছে হয় অশোক মিত্র আজ বেঁচে থাকলে কী বলতেন? সে উত্তর-ও দিয়ে গেছেন নিজেই, ‘না তিনি মেলাবেন না’ শেষ করেছেন এই বলে --
     
    “আদর্শের সঙ্গে আদর্শহীনতার মিল হয় না, মিল হয় না সমাজতন্ত্রের সঙ্গে ধনতন্ত্রের, আদর্শকে পাশে সরিয়ে রেখে স্রেফ প্রকরণের উপর নির্ভর করে আমরা এগোতে পারবো এই কিংবদন্তীতে বিশ্বাস আরোপ করলে আমাদের আদর্শবোধ-ও বিপদগ্রস্ত হবে।

    অশান্ত সময়, অপ্রিয় প্রসঙ্গ, কিন্তু সব ঋতুতেই, প্রতি অবস্থাতেই, আদর্শের বিকল্প নেই
    ”।

    (এটাও যেন আশ্চর্য সমাপতন, যে অশোক মিত্রর চলে যাওয়ার দিন ঐ মে দিবস-ই, পয়লা মে। ভেবেছিলাম সেইদিন-ই লিখব। তারপর দেরি হয়ে গেলো। অবশ্য আজ-ও কী এইসব লেখার উপযুক্ত দিন? সম্ভবত, না।)

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • পড়াবই | ০৮ মে ২০২৫ | ২০০ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বাবর - upal mukhopadhyay
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন