এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  • বর্ষা মঙ্গল-অমঙ্গল কাব্য

    রানা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৮ আগস্ট ২০২৫ | ৮৯ বার পঠিত
  • তাঁর বর্ষামঙ্গল কবিতায় রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন –
    ‘ঐ আসে ঐ অতি ভৈরব হরষে
    জলসিঞ্চিত ক্ষিতিসৌরভরভসে
    ঘনগৌরবে নবযৌবনা বরষা
    শ্যামগম্ভীর সরসা’।

    তখন একটা সময় ছিল। যখন বর্ষাকাল ভাবলেই মনে পড়ে যায় কাদা প্যাচপ্যাচে রাস্তা। চলতে গেলে চটি জুতো সব নিত আটকে। সত্যজিৎ রায়ের সমাপ্তি ছায়াছবির কথা মনে আছে? সেখানে এঁটেল মাটির সেই কাদা প্যাচপ্যাচে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে কেমন জুতোর দফা গয়া হয়ে গেছিল?  

    আবার বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে পড়ে কেমন ভাবে জলে ভরে যেত ফুটো ছাদওয়ালা ঘর। আর জমা জলের তোড়ে ভাসতে ভাসতে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে চলে যেত বাসনগুলো; নড়তে নড়তে এমনভাবে সেগুলো ভেসে যেত যেন দেখে মনে হত কোনও মোচ্ছবে যাচ্ছে!

    তিন থাক ইট দিয়ে তার ওপরে রাখা হত চৌকির পায়া। এই তো সেদিন কাগজে পড়লাম যে খাট থেকে ঘরের জমা জলে পড়ে গিয়ে শিশু মৃত্যু ঘটেছে। আহা! কী মর্মান্তিক। লার্স ভন ট্রাইয়ার Anti Christ সিনেমার কথা মনে পড়ে গেল। জানি না এখানে প্রেক্ষিতটি ঠিক কী। 

    সেই বা জানবে কী করে ২০২৫ সালে এতো বৃষ্টি হবে আর রাস্তার জমা জল ঢুকে পড়বে ঘরে। আর জল এমন জমে যাবে যে তাতে দিব্য মাছ চাষ করা যাবে!
     
    আবার বর্ষাকাল ভাবলেই মনে পড়ে যায় হঠাৎ কয়েক খাবলা জল ছলাৎ ঢুকে গেল ছাদের ভাঙা আলসে দিয়ে। অথবা ছাঁট, যেন মুহুর্তে স্প্রে পেইন্টিং করে লহমায় পাল্টে দিত মনে ভেতরটা। টালমাটাল হয়ে যেত মন মাতাল আর কাউকে যেন খুঁজে বেড়াত নিরন্তর।

    আর ছিলো কাদা মাঠে ফুটবল নিয়ে নেমে পড়া আর পুকুরের জলে ঝাঁপের পর ঝাঁপ। রাস্তায় এখানে ওখানে পড়ে থাকত গোবর। সেসব যদিও এখনও আছে।  

    ছোটবেলায় সহজপাঠে আমরা পড়েছিলাম – ‘বর্ষা নেমেছে। গর্মি আর নেই। থেকে থেকে মেঘের গর্জন আর বিদ্যুতের চমকানি চলছে। শিলং পর্বতে ঝর্ণার জল বেড়ে উঠল। কর্ণফুলি নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। সর্ষে ক্ষেত ডুবিয়ে দিলে। দুর্গানাথের আঙিনায় জল উঠেছে। তার দর্মার বেড়া ভেঙে গেল। বেচারা গোরুগুলোর বড় দূর্গতি।এক হাঁটু পাঁকে দাঁড়িয়ে আছে। চাষীদের কাজকর্ম সব বন্ধ।ঘরে ঘরে সর্দিকাশি।কর্তাবাবু বর্ষাতি পরে চলেছেন।সঙ্গে তার আর্দালি তুর্কিমিয়াঁ। গর্তসব ভরে গিয়ে ব্যাঙের বাসা হল।পাড়ার নর্দমাগুলো জলে ছাপিয়ে গেছে’।

    এ যেন ইলশেগুঁড়ি গদ্য। বড় স্মৃতিমেদুর করে তোলে মন।   

    তখন পদ্মপাতা বা কচুপাতার ওপরে স্বচ্ছ পারদের মতো টলটল করত জল। একটা সোঁদা গন্ধে ম ম করত চারপাশ। সঙ্গে থাকত ব্যাঙের ডাক, ফড়িং আর মশা। কানের চারপাশে পোঁ পোঁ করতে করতে টুকুস করে কামড় মেরে এক ফোঁটা রক্ত নিয়ে বা না নিয়েই ধাঁ। আর ইলেকট্রিক তারের গা বেয়ে ফোঁটা ফোঁটা জল যেত বয়ে। কয়েকটা ভিজে কাক বৃষ্টির ছাঁট থেকে নিজেকে আড়াল করে মুছে নিত গা। সকালে ফুল পাড়তে এসে গায়ে পড়ত গাছে গাছে জমা বৃষ্টির জল। আর ফুল তুলুনিরা ভাবত বুঝি শান্তিজলের ছিটে পড়ল গায়ে।    

    বেধুম বৃষ্টিতে কখনো কখনো ভটাস করে ট্রান্সফরমার বার্স্ট করে হয়ে যেত লোডশেডিং আর দুম করে গড়ে উঠত একটা আধা ভৌতিক পরিবেশ। ব্যাস, তখন চলত একে ওকে ভয় দেখানোর পালা।

    যাদের নিশ্চিন্ত আশ্রয় ছিল, তাদের ছিল বৃষ্টি নিয়ে রোম্যান্টিকতা। কিন্তু যাদের ছাদ থাকত না, বা ছাদ দিয়ে চুইয়ে জল পড়ত ঘরে বা নিরিবিচ্ছিন্ন বৃষ্টিতে যাদের ঘরে ঢুকে যেত জল বা বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে যেত গ্রামে, ভাসিয়ে নিয়ে যেত ঘর গৃহস্থালির জিনিসপত্র; জলে ডুবে যেত ক্ষেত। যেখানে চড়াৎ করে কয়েকটা ঘরবাড়ি বা আস্ত একখানা গ্রাম হুঁশ করে জলে ডুবে গিয়ে হারিয়ে ফেলত ঠিকানা। বা যারা বর্ষাকালে কলেরা বা ডেঙ্গীতে আক্রান্ত হয়েও চিকিৎসা করবার খরচ টুকুও করতে পারেন না – তাদের বৃষ্টি হলেই চোখ দিয়ে জল গড়াত বা এখনও গড়ায়। তাই আকাশে মেঘ দেখলেই তারা এখনও কেঁপে কেঁপে ওঠে অমঙ্গলের আশঙ্কায়।

    যারা রোম্যান্টিক তারা বৃষ্টির হলেই রিমঝিম সুরে গেয়ে উঠত গান; নেচে উঠত তাদের সদ্য ভেজা মন। আর সঙ্গে যদি থাকত ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গত তাহলে ‘পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে পাগল আমার মন নেচে ওঠে’ মন করত বা এখনও করে। তাই না?  

    সোনা ব্যাঙ আর কোলা ব্যাঙের তান ধরা দিত সলিল চৌধুরির হারমোনিয়ামে আর অন্তরা চৌধুরির গলায়। খিচুরি আর ভাজাভুজির হত অসামান্য আয়োজন। ভাগ্য সদয় থাকলে ভেসে যাওয়া পুকুর থেকে আচমকা মিলে যেত মাছ।  

    বর্ষায় আবার জমে যেত ইন্ডোর গেমস। তাস, দাবা, পাশা, ব্যাগাডুলি, চাইনিজ চেকার, ক্যারাম, লুডো,  ব্যবসায়ী বা নিদেন পক্ষে বাবু, ডাকাত, চোর, পুলিশ অথবা ‘রসকষ শিঙাড়া বুলবুলি মস্তক’। টিভি আর ভিডিও গেমস ছিল বটে, কিন্তু কারেন্ট তো ফক্কা। আর কারেন্ট থাকলেও বজ্রপাতে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে সেসব বন্ধই থাকত। 
     
    আড্ডাধারীরা ছাতা মাথায় দিয়ে চায়ের দোকানে দোকানে ভিড় জমাতো এক অমোঘ টানে। আর সন্ধ্যেবেলার চপের দোকানে লাইন যেত পড়ে। 
     
    যারা খুব ঘুমাতে ভালোবাসেন তাদের বর্ষাকাল মানেই হল ভিজে ঘুমের ম্যারাথন প্রস্তুতি।  নাক ডাকার আওয়াজ বেশি না মেঘ ডাকার - সে নিয়ে তর্ক জমে যেতে পারে।  বিছানার চাদর মুড়ি দিয়ে বই পড়া বা সেই চুপি চুপি আসে ছায়াছবির মতো অবস্থা।  ডিটেকটিভ গল্পে কিন্তু বর্ষা থাকবেই। 

    পাড়ার মানিকবাবুরা আবার মেঘের সঙ্গে কথা বলতো। রাগ করত। প্রেম করত। অভিযোগ যদি কিছু থাকত তাও জানাতো সেই মেঘকে। আর মেঘ জানাতো তার ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাওয়ায় গল্প; ওজোন স্তর ফুটো হয়ে যাওয়ার যন্ত্রণা।  

    আর কবিদের হত সর্দিগর্মি। আর হ্যাঁচ্চো হ্যাঁচ্চো করে কয়েকবার হেঁচেই তারা লিখে ফেলত কবিতা।       

    তবে অনেক কিছু পাল্টে গেছে এখন। বৃষ্টিতে রাস্তার বা ড্রেনের জল স্থানীয় প্রোমোটার আর  ন্যাতাদের আকাট ইঞ্জিনিয়ারিং-এর কারসাজিতে ঘরে ঢুকে পড়েছে। ড্রেনের ঢাল হয়ে গেছে উল্টো। কোথাও কোথাও আবার ড্রেন ধসে পড়ছে! দেওয়াল ধসে পড়ছে। ধ্বজভঙ্গ ত্রিফলায় বিদ্যুতপৃষ্ঠ হয়ে উন্নয়নের ঠেলায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে কিছু কচি তাজা প্রাণ। মেট্রোতে জল ঢুকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ট্রেন। কারশেড ডুবে গিয়ে বোঝাই যাচ্ছে না কোনটা মেইনলাইন আর কোনটা কর্ডলাইন। কলকাতায় ১০ লিটার ঝড় আসছে! ’ভারী জল’ পান করে কেউ কেউ করে ফেলছে অনর্থ। কলকাতাকে ভেনিসের মতো লাগছে আর ভেনিসকে কলকাতার মতো। ডিভিসি জল ছেড়ে দেখছে মজা! উন্নয়নের ঠেলায় অনেক পুকুর বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে। বড় বড় বাড়ির কম্পাউন্ডের জমা জলে ব্যাঙ আর ডাকছে না তেমন একটা। কারণ সেখানে ফ্ল্যাট উঠে গেছে যে।   

    আর ফ্ল্যাটের খোপে খোপে থাকা মানুষেরা ভিজে জামাকাপড় শুকানোর জন্য পাগল হয়ে উঠছে। মেঘ আর আকাশ তেমন আর বড় একটা দেখা যাচ্ছে না ফ্ল্যাটের জানলা দিয়ে; দৃষ্টি আটকে যাচ্ছে। একটানা বর্ষার খবর কাগজে বেরোলেই মন টকটক করে উঠছে যে কাঁচা আনাজ আর চাল ডালের দাম বেড়ে যাবে। আগে ছিল ম্যালেরিয়া আর এখন দোসর ডেঙ্গী চোখ রাঙাচ্ছে। থাকছে মসৃণ পাকা রাস্তায় বেপরোয়া গতির গাড়িতে ধাক্কা লাগবার ভয়।

    সঙ্গে মিলছে পাহাড়ে পাহাড়ে হড়পা বান বা মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ট্যুরিস্ট স্পটে স্পটে কিছু ডুবে যাওয়ার খবর। রাস্তায় ধস। ত্রাণ আর ত্রাণের ত্রিপল থেকে শুরু করে চাল-ডাল-মুড়ি-গুড়ের জনকল্যাণমূলক পদ্ধতিতে হাওয়া হয়ে যাওয়া!

    অর্থোপেডিক সার্জেনদের পোয়াবারো তেরো। বজ্রপাতের সংখ্যা এবং হতাহতের সংখ্যা দিনকে দিন যাচ্ছে বেড়ে।

    এখন বর্ষা নিয়ে গান গাইতেও ভয় লাগে। কী জানি, যদি হারমোনিয়াম বা গীটারের ভিতর থেকে ভ্যাপসা কাটমানির আওয়াজ বেরিয়ে আসে! আর সমাজের দেওয়ালে দেওয়ালে ধরে যায় নোনা। বা যদি যুদ্ধ লেগে যায় আর ফেক কথার বৃষ্টির ঝাপসাতে স্বচ্ছ ভারত যায় হারিয়ে! বা কোনও ন্যাতার ডজন ডজন প্রতিশ্রুতির ফাঁপা বৃষ্টিতে দিশেহারা জনতা ক্রমাগত ভুলে যেতে থাকে তার আসল পরিচয়; তার আসল চাওয়া পাওয়া – সবার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ন্যায় বিচার, কর্মসংস্থান আর বাসযোগ্য পরিবেশ। ভয় লাগে! ভাবনা হয়। এখন যেন এইসব বৃষ্টির ভয়ানক দাপট।

    বৃষ্টিরও অবশ্য রকম ফের আছে।

    এই তো কয়েক বছর আগে, বড়বাজার চত্বরে টাকার বৃষ্টি হল। আহা! সেদিন যদি সেখানে থাকতে পারতাম। বা ইট বৃষ্টির খপ্পরে পড়া পুলিশেরা সেইসব ইট নিয়ে পরে কী করেন, বড় জানতে ইচ্ছে করে। তার থেকেও জানতে ইচ্ছে করে যারা এইসব ইট ছোঁড়ে, আর তারা সেসব পায় কোথা থেকে? সাপ্লাইটাই বা করে কে?
     
     ‘মোহনবাগানের মেয়ে’ সিনেমায় আমরা দেখেছিলাম ময়দানের ফুটবল খেলায় কীভাবে ইট বৃষ্টি হত আর কে বা কারা সেসব সাপ্লাই করে সিজনে সিজনে দু’পয়সা নিত কামিয়ে। 
     
    আর আছে ক্ষমতার আস্ফালনের বৃষ্টি; অশিক্ষিত ঔধত্যের বৃষ্টি। আছে ফেক প্রতিশ্রুতির বৃষ্টি। আর ধর্মের পচা জলের প্রকোপে সমাজের পচন।  

    আমরা জানি যে পৃথিবীর বিচিত্র জৈব ব্যবস্থাকে বাঁচিয়ে রাখতে, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলিকে সচল রাখতে এবং কৃষি ও সেচ ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে বৃষ্টির প্রয়োজন।

    কোনও শুষ্ক জায়গাতে বৃষ্টিপাতের করানোর জন্য তাই মানুষ তৈরি করেছে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের বন্দোবস্ত। কোথাও ব্যবহৃত হয়েছে সিলভার আয়োডাইড, আবার কোথাও ড্রাই আইসের টুকরো ছুঁড়ে দিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছেন কৃত্রিম মেঘের জনক ভিন্সেন্ট শ্যাফেয়ার।
     
    তাই আমরা চাই মানবতার যে চেতনা তার বৃষ্টিও এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ুক দিকে দিকে।  মানুষ মানব হয়ে উঠুক।  

    আবার বর্ষাকালের হাত থেকে বাঁচবার জন্য রয়েছে ছাতা, গাম্বুট, বর্ষাতি। তারাপদবাবুর ‘কান্ডজ্ঞান’-এ এক ক্রেতা দোকানে হরিণের চামড়ার চটি কিনতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন – “বৃষ্টিতে ভিজলে এটার কোনও ক্ষতি হবে না তো?”। বিজ্ঞ দোকানি উত্তর দিয়েছিলেন – “না। কোনোদিন শুনেছেন কি যে কোনও হরিণ ছাতা ব্যবহার করছে?”

    অনেকে আবার দেখেছি যে ছাতা থাকা সত্ত্বেও বর্ষাকালে ছাতা ব্যবহার করছেন না। এর কারণ জানতে চাইলে আমাকে অবাক করে তারা জানিয়েছেন – “আসলে আমার ছাতার গায়ে লেখা আছে ‘Keep in a cool and dry place’. তাই আমি গরমকালে আর বর্ষাকালে ছাতা ব্যবহার করি না”। বোঝো কাণ্ড!  

    সৈয়দ মুজতবা আলী তার এক গল্পে ইহুদীদের কার্পণ্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে লিখেছিলেন – ইহুদীরা এতোটাই হিসেবী জাত যে বর্ষাকালে ওরা ছাতা কেনেন না। বরং বৃষ্টির ফোঁটার ফাঁক দিয়ে দিয়ে এমনভাবে চলাফেরা করেন যে বৃষ্টির একটা ফোঁটাও ওদের গায়ে লাগে না!

    তবে বর্ষাকালে ছাতা হারায় নি, এমন মানুষ কিন্তু বিরল। আবার বর্ষাকাল মানেই খিচুড়ি। আর খিচুড়ির কথায় মনে পড়ল সমাজের মধ্যেকার জগাখিচুড়ি অবস্থা যেখানে সারাটা দেশ জুড়ে অনেক ‘ন্যাতা’ ছ্যারছ্যার করে মুতে চলেছেন আর বহু মানুষ চলেছেন কেঁদে।

    কিন্তু বর্ষাকালের জন্য সেসব বোঝাই যাচ্ছে না। 
     
    মুত, চোখের জল আর বৃষ্টির জল মিলেমিশে এমন একাকার হয়ে গেছে যে তাদের আলাদা করে চেনাই যাচ্ছে না।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৮ আগস্ট ২০২৫ | ৮৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন