এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  প্রবন্ধ

  • একটি প্রভাতী কথোপকথন ও এবারের বর্ষামঙ্গল কাব্য।

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    প্রবন্ধ | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ৮৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • একটি প্রভাতী কথোপকথন ও এবারের বর্ষামঙ্গল কাব্য।
     
     
    আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ধূসর কালো রঙের মেঘ চাদরের সামান্য ছেঁড়া অংশ থেকে খানিকটা আলো গড়িয়ে পড়তেই মুখুজ্যে গিন্নি আধ শুকনো জামা কাপড়ের বালতি হাতে ছাদে ছুটলেন। ভিজে আকাশ, ভিজে জবজবে জামাকাপড়, ভিজে মন – সবকিছুকেই সোনা রোদে একটু তাতিয়ে নিয়ে আসা আর কি! জল ভরা কলসিকে উপুড় করলে যেমন গবগবিয়ে শব্দ তুলে জল বেরিয়ে আসে ছাদের এখন তেমনি অবস্থা। পাশাপাশি বাড়ি, ছাদে ছাদে গলাগলি। মুখুজ্যে গিন্নি ছাদে উঠেই আশেপাশের বাড়ির দিকে একবার নজর বুলিয়ে নেয় – “নাহ্! এখনও কেউ ছাদে ওঠেনি। আমিই তাহলে প্রথম।” একথা ভেবে মনে মনে বেশ তৃপ্তি লাভ করে। সবে মাত্র ভিজে গামছাটা দড়ির ওপর বিছিয়েছে ,অমনি শুনতে পায় – “ও দিদি, তুমিও ছাদে উঠে এসেছো? ওহ্! কি শুরু হয়েছে বলো দেখি? আমি তো শুকানোর ভয়ে তিনদিন ধরে জামাকাপড়ে জল লাগাচ্ছি না।” গাঙ্গুলি গিন্নির এক রাশ আক্ষেপ। “আমার অবস্থাও তাই। এমন লাগাতার বর্ষায় সবকিছু একেবারে বেসামাল লাগছে।”-- গাঙ্গুলি গিন্নির কথার ওপর তাঁর কথার চাপান দেন চক্রবর্তী গিন্নি। “বাব্বা, আর বলোনা! আমি তো ভেবেছিলাম একা আমার‌ই এই সমস্যা। চুপচাপ কাজ সেরে 
    নেমে যাব ভাবছিলাম; এখন দেখছি তোমরাও সব লাইনে দাঁড়িয়ে আছো।” ব্যস্ত হাতে ভিজে জামাকাপড় মেলতে মেলতে মুখুজ্যে গিন্নি উত্তর দেয়।মেঘলা সামিয়ানার নিচে সকাল সকাল তিন গিন্নির গল্প চলতে থাকে। সারাদিন একঘেয়ে গৃহস্থালি কাজে মজে থাকা তিন গৃহবধূর বৃষ্টি দিনের কথা মালা বেশ জমে উঠতেই আবার টিপটিপিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। গল্পের সুর কেটে যায়।
     
    এমন ভরা শ্রাবণ মাসেও বৃষ্টির সুর কেটে গেছে ভারতের প্রায় ১৯% এলাকায়। ইন্ডিয়ান মেটিরিওলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এ বছর নির্ধারিত সময়ের বেশ খানিকটা সময় আগেই ভারতের মূল ভূখণ্ডে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বর্ষা শুরু হলেও, দেশের প্রায় ১৯% এলাকায় এখনও খরা বা খরাপ্রায় পরিস্থিতি চলছে। এই এলাকায় মধ্যে রয়েছে দেশের উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় একাধিক রাজ্য যেমন – লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ,বিহার, মণিপুর,আসাম, মিজোরাম এবং পাঞ্জাব। তালিকা থেকে খুব সহজেই বুঝতে পারা যাচ্ছে যে ভারতের শস্যভাণ্ডার বলে পরিচিত যে বিস্তির্ণ অঞ্চল , গাঙ্গেয় সমভূমির সেই অংশেই এখনও পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। কৃষি - আবহবিদদের উদ্বেগ এখানেই।
    আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকদের মতে বর্ষার শুরুতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হলেও দেশের নির্দিষ্ট কিছু অংশে খরা পরিস্থিতি বজায় ছিল। আসলে গ্রীষ্মকালীন অভূতপূর্ব খরাকে কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। তাঁদের মতে সর্বত্র খরা পরিস্থিতির তীব্রতা হয়তো সমান ছিলনা কিন্তু বৃষ্টির ঘাটতি ছিল – কোথাও তা ছিল অস্বাভাবিক শুষ্ক আবার কোনো এলাকা জুড়ে ব্যতিক্রমী ভাবে শুষ্ক। গুজরাটের গান্ধীনগরে অবস্থিত IIT’ র 
    Drought Early Warning System ( DEWS ) এর সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা এমন‌ই জানিয়েছেন গত ৩০ জুলাই,২০২৫ প্রকাশিত তাঁদের রিপোর্টে। 
    এই প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে ১৮.৯% এলাকার মধ্যে ৩.৯% এলাকা অস্বাভাবিক শুষ্ক থেকে ব্যতিক্রমী শুষ্ক এলাকার অন্তর্ভুক্ত ছিল। অন্যদিকে ২.৯% এলাকায় খরার প্রভাব ছিল সুতীব্র প্রকৃতির। আর ৬% পরিমিত এলাকায় খরার মাত্রা ছিল মাঝারি মাত্রার।
    যেইসব অঞ্চল সুতীব্র ও ব্যতিক্রমী খরার আওতাভুক্ত ছিল তাদের মধ্যে রয়েছে লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ , পাঞ্জাব এবং বেশ কয়েকটি উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য যেমন অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মিজোরাম এবং 
    আসাম।এই পরিস্থিতি যে যথেষ্ট চিন্তার তা কৃষি বিজ্ঞানীদের করায় ধরা পড়েছে। 
     
    একদা বৃষ্টির পরিমাণের দিক থেকে সন্তোষজনক অবস্থায় থাকা দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে আজ বৃষ্টিহীন খরার ভ্রুকুটি। অরুণাচল প্রদেশের বিস্তির্ণ এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এতোটাই কমেছে যে এই রাজ্য এখন ব্যতিক্রমী খরার কবলে। এই রাজ্যের কুরুং কুমে, লোয়ার সুবনসিঁড়ি, সামলে,আপার সুবনসিঁড়ি,পাপুমপারে এবং ক্রা ডাডি জেলার বিস্তির্ণ এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অত্যন্ত অপ্রতুল। এক‌ই অবস্থা আসামের কারবি আঙলং, মণিপুর রাজ্যের ফের্জাউয়ি ও চরচান্দপুর , মিজোরামের চাম্ফাই জেলার অন্তর্গত বড়সড় অংশের। এই জেলাগুলোর ব্যতিক্রমী খরা পরিস্থিতি সকলের কপালে ভাঁজ ফেলেছে।
    উল্লিখিত অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি সাধারণ মাত্রা থেকে প্রবল প্রকৃতির। বিগত জুন মাস থেকে আগস্ট মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বৃষ্টিপাতের এমন ঘাটতি ইতিপূর্বে কখনও হয়নি বলে অভিমত আবহবিদদের। এখনও অবধি অরুণাচলের বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ৪১%। আসামের কারবি আঙলং জেলায় এখনও স্বাভাবিকের তুলনায় ২৭% বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে।
     
    লাদাখে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এমনিতেই কম, জলবায়ু শীতল মরুদেশীয় প্রকৃতির। আবহাওয়া দফতরের হিসাব অনুযায়ী এবছর লাদাখে সাধারণ অবস্থার তুলনায় ১৩৯% অতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে ; কিন্তু তা সত্বেও লাদাখের লাহুল ও স্পিতি উপত্যকায় বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে ৬৬% । একদিকে হিমবাহ গলছে দ্রুতগতিতে অন্যদিকে বৃষ্টিপাতের প্রবল অনিয়মিতি ,লাদাখের মানুষের জীবনযাপনের অভ্যস্ত ছন্দটাই হয়তো এবার প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পড়তে চলেছে।
     
    এদিকে বিহার ও উত্তরপ্রদেশের বর্ষণ চিত্র‌ও খুব একটা উজ্জ্বল নয়। বিহারের মুজফ্ফরপুর ,সারন, পূর্ব চম্পারন, সিওয়ান,ও কিষণগঞ্জ জেলা এবং পূর্ব উত্তরপ্রদেশের আমেথি, বহরাইচ, গোরখপুর, মাউ,ফারুখাবাদ, সীতাপুর ও হরদোই জেলাত‌ও ভরা বর্ষায় বিলকুল শুখা মরশুমের শুষ্কতা। এই জেলাগুলোর খরা পরিস্থিতিকে ব্যতিক্রমী শুষ্কতা বলেই অভিহিত করেছেন আবহবিদরা। এখানে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ৪৪--৬০% ,যা সত্যিই উদ্বেগের।
     
    পাঞ্জাবের কাপুরথালা জেলার অবস্থা রীতিমতো সঙ্গীন। এখানে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ৭৩%। চাষবাস লাটে ওঠার জোগাড়। বর্ষার জলের এই বিপুল পরিমাণ ঘাটতি কীভাবে মেটানো সম্ভব তার চিন্তায় রাতের ঘুম ছুটেছে মানুষজনের।
     
    এখানেই যে ব্যাপারটা মিটে গেল তেমনটিও নয়। ভৌগোলিক বিশেষতার কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ২৯% জেলা প্রাকৃতিক ভাবেই খরা প্রবণ। দক্ষিণাপথের মালভূমির 
    একটা বড়ো এলাকা সহ্যাদ্রি পর্বতের আড়ালে থাকায় সেখানে বৃষ্টির দেখা মেলা ভার । এই অঞ্চলের পরিসর মোটেই উপেক্ষণীয় নয়। প্রায় একই হাল মেঘালয় মালভূমির ভেতরের অংশের। সেখানেও জল ভাণ্ডারে টানাটানি। 
     
    সারা দুনিয়া জুড়েই খরা নামের এক অনাহুত অতিথির পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। কৃষি কোনো বিলাসী কর্মকাণ্ড নয় , আমাদের জৈবনিক অস্তিত্ব রক্ষার এক পরম অবলম্বন হলো কৃষি। স্বাধীনতা উত্তর ভারতবর্ষে কৃষির পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের বিকল্প উপায়গুলো অনেকটাই বিকশিত হয়েছে, তবে তা বলে কৃষির গুরুত্ব কিছুমাত্র কমেনি। কোনো দেশের কৃষির সাফল্য প্রাথমিক ভাবে নির্ভর করে জলের জোগানের ওপর,আর এই জল সরবরাহ করে মৌসুমী বর্ষণ। উদ্বেগের বিষয় হলো এই যে, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পার্থিব জলচক্রের শৃঙ্খলা বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছে। আজ জয়সলমীরে বন্যার দাপট, অথচ চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হ্রাসমান। এমনিতেই বলা হয় – Indian agriculture is the gamble of Indian monsoon. খরা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে কৃষির অনিশ্চয়তা বাড়ে যা আমাদের দেশের মতো একটি জনবহুল দেশে কখনোই কাম্য নয়। বৃষ্টিপাতের সুষম বন্টনের ওপর কৃষির তথা কৃষি অর্থনীতির উন্নয়ন একান্তভাবে নির্ভরশীল। সঠিক সময়ে সঠিক মাত্রার বৃষ্টিপাত জরুরি। কিন্তু আমার, আপনার ইচ্ছেতে তা কখনোই হবেনা। আর তাই,একরাশ উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় দিন কাটে পরিশ্রমী কৃষক সমাজের।
     
     ভারতের বর্ষা বয়ে নিয়ে আসে অফুরন্ত সম্ভাবনা, সমৃদ্ধির স‌ওগাত। বর্ষা জোগায় ভরসা। ভারতের কৃষি তথা অর্থনীতি এই বর্ষার মুখ চেয়ে অপেক্ষা করে থাকে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির জন্য কাপড় জামা শুকোতে না পারার আক্ষেপ যেমন সত্যি, ঠিক তেমনই সত্যি এই মুহূর্তে ভারতের প্রায় এক পঞ্চমাংশ এলাকার কৃষকদের চাতক পাখির মতো বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকাটাও। এমন দ্বিবিধতা নিয়েই ভারতের বর্ষা– এক দোলাচলের লীলাখেলা। বিচিত্র এই বর্ষামঙ্গল কাব্য।
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • প্রবন্ধ | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ৮৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Aditi Dasgupta | ১২ আগস্ট ২০২৫ ১৪:৫৭733259
  • লগন এর কথা মনে পড়লো।
    এখন :
    প্রকৃতির প্রতিশোধ ---বিপন্ন কৃষি ---পরিযায়ী শ্রমিক---- শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধি ও তুলনায় অপ্রতুল কাজের সুযোগ (কখনো ইচ্ছে করে সুলভে শ্রমিক সংগ্রহের উদ্দেশ্যে) ----শ্রমিকদের নিজেদের মধ্যে  পারস্পরিক টিকে থাকার প্রতিযোগিতা + রাজনীতি = জাতি ধর্ম বৈরিতা ---রক্তপাত ও মৃত্যু!
  • Somnath mukhopadhyay | ১২ আগস্ট ২০২৫ ১৫:০৭733260
  • মূল্যবান মন্তব্য। এমন সংক্ষিপ্ত অথচ তীক্ষ্ণধার মন্তব্যে লেখক এবং পাঠক উভয়েই সমৃদ্ধ হয়। সকলেই এই লেখাটি পড়বেন এমন কখনোই নয়।যিনি কষ্টকরে পড়বেন তিনি এই মন্তব্যের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ জানাই।
     
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:106b:b8df:8000::***:*** | ১২ আগস্ট ২০২৫ ১৭:৩৭733268
  • অচিরেই তবে গোবি ধার শুধে দেবে চেরাপুঞ্জি কে!
  • #+: | 2405:201:8000:b11b:c0ed:b48d:da67:***:*** | ১২ আগস্ট ২০২৫ ২২:৩৭733285
  • শুরুটা চমৎকার। অমন একটা সূচনা পর্বের পরিণতি শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি হীনতার ভয়ানক ইঙ্গিত দেবে তা ভাবতেই পারিনি। প্রয়োজনীয় আলোচনা। এসব নিয়ে কি আমরা আদৌ ভাবছি ? কে জানে ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন