এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • সুরক্ষিতা - পর্ব ১১

    Kishore Ghosal লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ১৭ বার পঠিত
  • ১১

    প্রতিষ্ঠার মনটা আজ নিজের মনে নেই। গতকাল রাত্রে সম্রাট তার সঙ্গে ভীষণ খারাপ ব্যবহার করেছে। নাইট ডিউটির অবসরে ছেলেদের সঙ্গে একটু ঘনিষ্ঠ মাখামাখি তার বেশ লাগে। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠার সতীত্ব-টতীত্ব নিয়ে কোন আদেখলাপনা নেই, তা সত্যি। কিন্তু, এসবের মধ্যেই সম্রাট ওকে এমন একটা গালাগাল দিল! ব্যাপারটা মন থেকে কিছুতেই সরাতে পারছে না। বসে গেছে তার মাথার ভিতরে। এইরকম বেজায় মন খারাপের সময় ছবির সাহচর্য তাকে বরাবর শান্তি এনে দিয়েছে। আজও ছবির সঙ্গে সে যতক্ষণ ছিল, বেশ ছিল – মন খারাপের কথা মনেও হয়নি একবারের জন্যেও! কী যে জাদু আছে ছবি বলে অতি সাধারণ মেয়েটার মধ্যে, আজও সম্পূর্ণ করে বুঝে উঠতে পারেনি প্রতিষ্ঠা। তবে এটুকু সে বোঝে, যে ছবি তাকে ভালোবাসে। ও বাড়িতে গেলে ছবির উজ্জ্বল চোখের দৃষ্টি, তার আন্তরিক “মিঠুদিদি” ডাক, তাকে অদ্ভূত এক নিরাপত্তা এবং বিশ্বাসের অনুভূতি এনে দেয়।

    কিন্তু একটি মেয়ের এই নিখাদ ভালোবাসার মধ্যে প্রতিষ্ঠা কী করে যেন এনে ফেলেছিল এক শরীরী আবেগ। প্রায় মাস আষ্টেক আগে তারা প্রথম মিলিত হয়েছিল ভালোবাসার উচ্ছ্বাসে। তার জন্যে দায়ি প্রতিষ্ঠা নিজেই। মনে আছে প্রথম দিন ছবি প্রচণ্ড অবাক হয়েছিল তার মিঠুদিদির এই আকস্মিক আচরণে। বুঝেই উঠতে পারেনি, একজন মেয়ে হয়ে মিঠুদিদি তার কাছে ঠিক কী পেতে চাইছে? বাধা দিয়েছিল। অনুরোধ করেছিল বারবার, এমন না করতে। প্রতিষ্ঠা শোনেনি, প্রচণ্ড আবেগে সে নিজেও ভেসে গিয়েছিল - ভাসিয়ে দিয়েছিল ছবির সমস্ত সংকোচ, লজ্জা আর আপত্তি। তার পরে প্রায় নিয়মিত ছবির সঙ্গে শরীরী সম্পর্কে প্রতিষ্ঠা বড়ো তৃপ্তি পায়। আগে থেকে ফোন করে প্রতিষ্ঠাই চলে আসে ছবির কাছে – নির্জন দুপুরে। অনেক সাধ্য সাধনা করে, কাঠ-খড় পুড়িয়ে, ছবিকে মাত্র দুই রাত সে নিয়ে যেতে পেরেছিল নিজের ঘরে। পিছুটান নেই, কোন তাড়া নেই, শুধু দুজনে সারারাত – সে বড় আনন্দের রাত – মনে হয়েছিল প্রতিষ্ঠার।
     
    ছবি তাকে ভালোবাসে এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠা যতটা নিশ্চিত, ততটাই নিশ্চিত, তার এই শরীরী সম্পর্ক ছবি খুব ভালো মনে নেয় না। যে কোন কারণেই হোক মেনে নিয়েছে – আজকাল অভ্যস্ত হয়েও উঠছে দিন কে দিন। আগের মতো বাধা দেয় না বা আপত্তি করে না ঠিকই, তাই বলে কোন উৎসাহও দেখায় না। উদ্‌গ্রীব আগ্রহও যেমন নেই, তেমনি উদাসীন শীতলতাও থাকে না তার ব্যবহারে।
    প্রতিষ্ঠা জানে বহু স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্যও এমনই নিয়মানুবর্তিতার অনুশীলন। সে নিজের ঘনিষ্ঠ জীবনেই দেখেছে এরকম। তার বাবা-মার সম্পর্কটাই আজও এমনতর। তার বাবার ভীষণ সন্দেহবাতিক। নিজের স্ত্রীকে সর্বদাই মনে করে কারুর প্রতি আসক্তা। ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, এমনকি জামাকাপড় ইস্ত্রির ধোপা, আগে যে ছেলেটা দুধ দিতে আসত, যে কেউ হতে পারে। পুরুষ হলেই হোল, আর সুপুরুষ হলে তো কথাই নেই। আজকাল কেউ আর আসে না তাদের বাড়িতে। কারণ উপস্থিত লোকের সামনেই বাবা তার মাকে যে ভাষায় বিদ্রূপ করে, চেঁচামেচি করে, অপমান করে তাতে কেউই আর এ মুখো হয় না।
     
    জ্ঞান হয়ে থেকে প্রতিষ্ঠা এ সবই দেখে আসছে। সে বড়ো হতে হতে বহুবার তার বাবাকে বুঝিয়েছে। ঝগড়া করেছে। বাবাকে প্রস্তাব দিয়েছে কোন সাইকোথেরাপিস্টকে কনসাল্ট করতে। তাতে ফল হয়েছে উল্টো। বাবার এখন ধারণা সেও তার মায়ের এই ব্যাভিচারবৃত্তির পৃষ্ঠপোষক এবং মা-মেয়ে দুজনে মিলে ষড়যন্ত্র করছে, বাবাকে পাগল প্রতিপন্ন করতে। সাইকোথেরাপিস্ট মানে পাগলের ডাক্তার! বাবার এই মানসিক ব্যাধির জন্যে তারা তিনজনেই এক অসুস্থ জীবনের বোঝা টেনে চলেছে নিরন্তর। অথচ অন্য সব ব্যাপারে তার বাবার সব ঠিকঠাক -  কাজকর্ম, অফিস, খাওয়াদাওয়া, জিনিষপত্র তাতে কোন অসামঞ্জস্য নেই। মায়ের জন্যেও প্রায়ই দামি শাড়ি, মাঝে মাঝেই গয়না, এখান সেখান বেড়াতে নিয়ে যাওয়া, সবই করে।
     
    ছোটবেলায় একবার পনেরই আগস্টের ছুটিতে তারা চিড়িয়াখানা যাবার প্ল্যান করে বেড়িয়েছিল। বাবা সেদিন দারুণ ভালো মুডে ছিল। খুব হাসি-খুশি আর মজার। সকাল থেকে বাজার করে, মায়ের সঙ্গে রান্নায়বান্নায় হাত লাগিয়ে, তাড়াতাড়ি মাংসেরঝোল-ভাত খেয়ে বেরিয়ে পড়েছিল তারা। সকাল থেকেই সেদিন মেঘলা ছিল, বেশ ঠাণ্ডা ওয়েদার – গরমের দিনেও বেড়ানোর পক্ষে আদর্শ ছিল দিনটা। ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে তারা বাসে উঠেছিল। লেডিজ সিটে তারা দুজনে সিট পেয়ে গিয়েছিল, বাবা পায়নি – কারণ জেন্টস সিট সব ভর্তি ছিল। খুব বেশি ভিড় ছিল না বাসে, তাদের কাছাকাছিই বাবা দাঁড়িয়েছিল।
     
    বাস ছাড়ার একটু পরেই বৃষ্টিটা নামল। প্রচণ্ড বৃষ্টি। বাসের কণ্ডাকটার দৌড়ে এসে বাসের জানালার কাঠের পাল্লাগুলো তুলে দিচ্ছিল। প্রতিষ্ঠাদের পিছনের জানালাটায় কোন ডিফেক্ট ছিল বারবার নেমে যাচ্ছিল পাল্লাটা, কণ্ডাকটার তার আর মায়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে একটু ঝুঁকে চেষ্টা করছিল পাল্লাটাকে ঠিকঠাক লাগাতে...। হঠাৎ বাবা বীভৎস বিকৃত স্বরে চেঁচিয়ে উঠেছিল, “কী হচ্ছেটা কি? পাশে মেয়েকে বসিয়ে, এই এক বাস লোকের সামনে, বাসের কণ্ডাকটারের সঙ্গে ফস্টিনস্টি না করলে চলছিল না..। এই জন্যে তোর বাইরে বেরোনোর এত টান? লজ্জা, ঘেন্না-পিত্তি সব ঘুঁচে গেছে..”?
     
    সে আর তার মা বসেই রইল পাথরের মূর্তির মতো। অপমানে তার সমস্ত শরীর রী রী করছিল। বছর বাইশ-তেইশের ছোকরা বাসের কণ্ডাকটারটা বলেছিল, “আলফাল কি বলছেন? জানালাটা বন্ধ করছিলাম – ফস্টিনস্টি কি বে?  শালার এতোই যদি, ট্যাক্সিতে যান না ...”
     
    বাবা তাও থামেনি। অনর্গল চেঁচিয়ে চলেছিল, মাকে নিয়ে। সামনের এক ভদ্রলোক কিছু বলতে উঠেছিলেন, বাবাকে সামলাতে, বাবা তাকে নিয়েও শুরু করল, “আপনিও কিছু কম যান না, সেই থেকে দেখছি চোখে চোখে ইশারা চলছে...এখন আবার সাউখুরি করতে এয়েচেন...।”?
     
    বাসের আরো কিছু লোকজন বাবাকে শান্ত করতে চেষ্টা করছিল, বাবা থামছিল না, উল্টে বেড়েই চলেছিল চেঁচামেচি আর মায়ের প্রতি অশ্রাব্য সম্পর্কের টিপ্পনি। শেষে বাস ড্রাইভার রাস্তার ধারে সাইড করে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল বাসটা, বলেছিল, “অ্যাই, পরাণ, মালগুলোকে খালাস করত। শালা, এমনিতেই বৃষ্টিতে প্যাসেঞ্জার নেই, তার ওপর ফালতু ক্যাচাল..., হাটা সব কটাকে”।
    বাসের দুজন কণ্ডাকটার মিলে তাদের তিনজনকে একরকম জোর করে নামিয়ে দিয়েছিল রাস্তায়। অঝোরে বৃষ্টি ঝরা মধ্যদিনে তারা বাস থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছিল রাস্তার ধারে। চারিদিকে মাথা বাঁচানোর কোন উপায় ছিল না। জনহীন রাস্তা – গাড়ীগুলো খুব দ্রুত বেরিয়ে যাচ্ছিল – জল ছিটিয়ে। ওপারে ফোর্ট উইলিয়ামের মাঠ, এপারে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউণ্ড। কিছুটা দূরে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল আর ব্রিগেডের ওপারে আধুনিক শহরের ইমারতের সারি বৃষ্টিধারায় ঝাপসা দৃশ্যপট হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাদের পিছনে।           
     
    বাবার মুখের দিকে সে তাকায়নি, প্রবৃত্তি হয়নি তার। মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে সে খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল। নির্লিপ্ত ভাবলেশহীন পাথরের মতো শক্ত মুখ, চোয়াল শক্ত করে কিছু ভাবছে। মায়ের দৃষ্টিতে যেন কেউ নেই, সে নেই, এই শহরের রাস্তাঘাট, নিবিড় সবুজ গাছপালা, অবিশ্রান্ত বৃষ্টির ধারাপাত কিচ্ছু নেই। সে মাকে ধরতে গেল। মা হাত ছাড়িয়ে নিয়ে, ভীষণ কর্কশ গলায় বলেছিল – “ছেড়ে দে, আমায় – ছেড়ে দে। দূর হয়ে যা সব -”, আর তারপরেই আচমকা দৌড়তে শুরু করেছিল রাস্তা পার হয়ে। আতঙ্কে প্রতিষ্ঠা চোখ বন্ধ করে ফেলেছিল, সমস্ত আবেগ দিয়ে প্রাণপণ ডেকে উঠেছিল – “মা.....”।
     
    তীক্ষ্ণ আওয়াজ করে গাড়িটা ব্রেক কষেছিল তাই, নাহলে কি হত ভাবতে আজও প্রতিষ্ঠা শিউরে ওঠে। গাড়ির দরজা খোলার শব্দে প্রতিষ্ঠা চোখ মেলে তাকাল। মায়ের শরীর থেকে এতটুকু দূরত্বে দাঁড়িয়ে গেছে গাড়িটা। দরজা খুলে নেমে এসেছিল এক ভদ্রলোক আর মহিলা। প্রতিষ্ঠা দৌড়ে চলে গিয়েছিল মায়ের কাছে – মাকে জড়িয়ে ধরল। এতক্ষণ যে কাঠিন্য সে দেখছিল মায়ের মধ্যে, আর এখন নেই। নিশ্চিত মৃত্যুর গ্রাস থেকে ফিরে আসা মা,  তার কাঁধে ভর দিয়ে, দুর্বল-শিথিল হয়ে আসা নিজের শরীরটা টেনে আনল রাস্তার ধারে ঘাসের ওপর। মা বসে পড়েছিল, বসতে বসতে বলল, “এ বারেও হল না রে, মিঠু, আমার মরণও হবার নয়...কেন বল তো”?
     
    মায়ের বুকে মুখ ঘষতে ঘষতে প্রতিষ্ঠা বলেছিল, “না মা, না – প্লিজ, আমি কার কাছে থাকব, মা – তুমি মরবে না, মা, কিছুতেই না। ঐ জানোয়ারটার হাতে আমাকে ছেড়ে দিয়ে তুমি শান্তি পাবে, মা? প্লিজ মা, প্লিজ, আমার জন্যে তোমাকে বেঁচে থাকতেই হবে, মা”।

    তারা দুজনে দুজনকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল। দুজনেই অনেক কিছু বলছিল – কিন্তু বোঝা যাচ্ছিল না, কান্নায় ভেঙে যাচ্ছিল তাদের উচ্চারণ আর স্বর। গাড়ি থেকে নেমে আসা ভদ্রলোক-ভদ্রমহিলা এতক্ষণ কিছু বলছিল না, শুধু দেখছিল তাদের। এবার ভদ্রলোক খুব উঁচুস্বরে দাঁতে দাঁত চেপে বাবাকে বলেছিল, “চেহারা দেখে তো শালা, ভদ্রলোক বলেই মনে হয় – মেয়ে বউকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে সঙের মতো কী দেখছিস কি, য়্যাঁ...”? সপাটে এক চড় কষিয়েছিল বাবার গালে।
     
    সেই শব্দে প্রতিষ্ঠা এবং তার মাও চমকে উঠে তাকিয়েছিল। প্রতিষ্ঠা দেখেছিল বাবা চোখ নীচু করে তাকিয়ে আছে ঘাসের দিকে... বাবাকে তার মনে হয়েছিল দুইপায়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক সরীসৃপ বিশেষ - শীতল, আপাত নিরীহ – কিন্তু অদ্ভূত বিষযুক্ত – যে বিষে জর্জরিত তার মা এবং ওদের একমাত্র সন্তান হিসেবে, সেও। এক মারাত্মক বিপদ থেকে ভাগ্যক্রমে বেরিয়ে আসা ক্রুদ্ধ ভদ্রলোক আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলেন, উদ্যত হয়েছিলেন হয়তো আরও মারধোর করতে -। তাই দেখে মা খুব কঠিন স্বরে বলেছিল, “শুনছেন, ওকে ছেড়ে দিন। আপনারা যান, যেখানে যাচ্ছিলেন...আমাদের একা থাকতে দিন, প্লিজ”।
     
    ভদ্রলোক একটু দমে গেলেও কিছু বলতে যাচ্ছিলেন, সঙ্গের ভদ্রমহিলা জোর করে টেনে নিয়ে গাড়িতে উঠে পড়লেন। গাড়িতে উঠে বসলেন ভদ্রমহিলা। ওদের দিকে একবারও তাকালেন না, ভদ্রলোক গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলেন। ওরা চলে যেতে মা বলল – “চ, মিঠু, ঘরে যাই”।

    বৃষ্টিটা তখন অনেকটাই ধরে এসেছিল, পড়ছিল - তবে হাল্কা।   

     
    চলবে...

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন