এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • সুরক্ষিতা - পর্ব ১০  

    Kishore Ghosal লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ০৩ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ বার পঠিত
  • ১০

    স্কুলে তাঁর কাজের চাপ বাড়ছে। তিনি এখন অ্যাসিস্ট্যান্ট হেড মিসট্রেস। মাস ছয়েক পরে এখন যিনি হেডমিস্ট্রেস, কণিকাদি, রিটায়ার করবেন। খুব চান্স আছে, কণিকাদির পর শুভময়ীদেবীর হেডমিস্ট্রেস হওয়ার। সেক্ষেত্রে কাজের প্রেসার আরো বাড়বে, বাড়বে দায়িত্ব। বেড়ে যাবে এডুকেশান বোর্ড, কাউন্সিল, স্কুল কমিটির মিটিং সামলানোর টেনসান। এরই মাঝে বেশ কিছুদিন ধরেই একটা কথা শুভময়ীদেবীর বারবার মনে আসছে, বিরক্তিকর মাছির মতো, তাড়িয়ে দিলেও বারবার যেমন ফিরে আসে। কথাটা হল, বিট্টুর কি হবে? কতদিন, আর কতদিন সম্ভব এভাবে বিট্টুকে সামলে চলা এবং তার সঠিক দেখভাল করা?
    বিট্টুর বয়েস বাড়ছে প্রকৃতির সমস্ত নিয়ম মেনেই। আজ সে তার বয়েস প্রায় পনের। তার শরীরে এখন নবীন যৌবনের সূচনা। তার গালে নরম দাড়ি, নাকের নীচে চিকন গোঁফের উন্মেষ। দিন পনের-কুড়ি অন্তর তার মাথার চুলের সঙ্গে তার গোঁফ-দাড়ি বাড়িতেই ছেঁটে দেন শুভময়ী দেবী। এই বয়সের সুস্থ ও স্বাভাবিক ছেলেরা লেখাপড়া, বন্ধু-বান্ধবী, খেলাধুলো, সিনেমা, গান, ফাজলামি নিয়ে চঞ্চল থাকে। বিট্টুর কোন কাজ নেই, বাইরের জগৎ থেকে সে বিচ্ছিন্ন, অচঞ্চল নিয়ন্ত্রণহীন আলাদা এক সত্ত্বা। অথচ নিষ্ঠুর নিষ্ঠার সঙ্গে প্রকৃতি তার শরীরে, তার মনে সাজিয়ে তুলছে যৌবন, জীবধর্ম মেনে তার শরীরে গড়ে উঠছে নতুন জীবন সৃষ্টির সমস্ত সরঞ্জাম ও আয়োজন! বাড়ছে নিত্যনতুন জটিলতা। সে নিজে বিপন্ন হচ্ছে, বিপন্ন করছে ছবিকে, নিজের পরিবারকে। অসুস্থ হয়ে পড়ছে বারবার। কাজেই বিট্টুর এখন দরকার প্রফেসনাল কেয়ার।
    তাছাড়া আজকাল আরও একটা চিন্তা শুভময়ীদেবীর মগজে বাসা বাঁধছে, সেটা হল তাঁদের, তাঁর আর বিট্টুর বাবার মৃত্যুর পর কী হবে বিট্টুর? হয়তো আজই নয় কিন্তু পাঁচ, দশ, বিশ বছর বাদে, ঠিক কবে তাঁরা চলে যাবেন কে বলতে পারবে? সেদিন কার কাছে, কার ভরসায় রেখে যাবেন বিট্টুকে? আজ পর্যন্ত খুব স্বাভাবিক ভাবেই কোন মিরাক্‌ল্‌ ঘটেনি এবং ঘটার কোন সম্ভাবনাও নেই, যাতে বিট্টু স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে। কাজেই কি হবে ওর ভবিষ্যৎ?
     
    এইসব চিন্তার মধ্যেই বিট্টুর বাবা ট্রান্সফার হয়ে গেলেন চেন্নাই। কোম্পানীর রিজিওনাল ম্যানেজার হিসেবে তাঁর প্রমোশন হওয়াতে, তাঁকে সমস্ত দক্ষিণ ভারতের ব্যবসা সামলাতে হবে এখন থেকে। শুভময়ীদেবী প্রস্তাব করেছিলেন, প্রমোশন অ্যাক্সেপ্ট না করার জন্য, অন্য কেউ যাক না। এই বয়সে কলকাতা ছেড়ে, অতদূরে যাওয়া, কী এমন জরুরি? বিশেষ করে বিট্টুর এইরকম অবস্থায়? বিট্টুর ভালোমন্দ সমস্ত দায়িত্ব এখন থেকে শুভময়ীদেবীর? কেন, বিট্টুর এই অবস্থার জন্যে কি শুভময়ীদেবী দায়ী? মা হয়ে নিজের সন্তানকে তিনি এইভাবে বড়ো হতে দেখছেন, তাঁর এই যন্ত্রণা ভাগ করে নেওয়ার মতো কেউ থাকবে না তাঁর পাশে? বাবা হিসেবে কোন ফিলিংস যদি নাও থাকে, কর্তব্যবোধটুকুও কিভাবে লোপ পেয়ে যায়? এই সব ভেবে দিশাহারা হয়ে যাচ্ছেন শুভময়ীদেবী। এক এক সময় তাঁর মনে হয়, তাঁর স্বামীর এমন আচরণ, শুধু তাঁকেই শাস্তি দেবার জন্যে। তিনি তাঁর স্বামী ও শাশুড়ির নির্দেশ মতো স্কুলের চাকরি ছেড়ে বিট্টু-অন্ত-প্রাণ মা এবং গৃহবধূ হতে চাননি বলেই আজও এতদিন পরেও, এও একধরনের প্রতিশোধ ছাড়া আর কি হতে পারে!

    কোন এক বহুজাতিক সংস্থার কোটি কোটি টাকার ব্যবসাকে আর বেশী বেশী কোটিতে দাঁড় করানোটা কি এতই জরুরি! আর তিনি যে ঘরের অধিকাংশ কাজ সামলেও কয়েক হাজার মেয়েকে বড়ো হতে, মানুষ হতে সাহায্য করে চলেছেন, তার কোন মূল্যই নেই কারো কাছে! আজকাল শুভময়ী দেবী নিজেকে ভীষণ একলা অনুভব করেন। কোন ধরনের অ্যাপ্রিসিয়েসনহীন, কোন প্রত্যাশাহীন এমন একটা দীর্ঘ লড়াই, একদম একা একা লড়ে যেতে, তিনি আর যেন পেরে উঠছেন না। কেউ একজন, যদি কেউ একজন থাকত তাঁর পাশে। যার থেকে কোন সাহায্য না পেলেও, তাঁর কাছে দিনের শেষে অন্ততঃ একবার বসলেও যদি পাওয়া যেত একটু শান্ত অবসর। তাহলেই বেঁচে যেতেন তিনি, ফিরে পেতেন লড়ে চলার নতুন শক্তি। 
    তিনি কথাবার্তা বলতে লাগলেন নানান প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। এর আগেও অনেক জায়গা থেকেই তাঁদের কাছে অনেকে এসেছিল। যে ক্লিনিকে বিট্টুর রেগুলার চেকআপ করানো হয়, কোন প্রবলেম হলেই। যেখানে বিট্টুকে নিয়ে দৌড়ে যান ট্রিটমেন্টের জন্যে, তারাও রেফার করেছিল এরকম বেশ কতকগুলি প্রতিষ্ঠানের নাম। তখন আমল দেননি তাঁরা কেউই। মনে হয়েছিল নিজের সন্তান সে যেমনই হোক, তাঁদের কাছেই থাকুক। আজ যতদিন যাচ্ছে শুভময়ীদেবী অসহায় বোধ করছেন, অসম্ভব এক ক্লান্তি তাঁকে ঘিরে থাকছে সারাটাক্ষণ। যে ক্লান্তি থেকে তাঁর আর যেন মুক্তি নেই।

    শনিবার, রবিবার, ছুটির দিন করে তিনি একা একাই আজকাল ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। এই প্রতিষ্ঠানগুলি, তাঁর বিতানের মতো ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিয়ে সারাটা দিন প্রফেসনাল ট্রেনিং দিয়ে চলেছে, ফিজিক্যাল এবং মেন্টাল দুটোই, তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কেয়ার। কেয়ার মানে কিন্তু আদরের প্রশ্রয় নয়। তাঁরা যথাসম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এদের মধ্যেও একধরনের আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার। বেশ কয়েকদিন ঘোরাঘুরি করার পর শুভময়ীদেবীর মনে হল, তিনি হয়তো ভুলই করেছেন, বিতানকে আরো আগেই এ ধরনের কোন প্রতিষ্ঠানে দিয়ে দিলে হয়তো ভালই হত। বিতান তার মতো আরো অনেকের সঙ্গে থাকতে থাকতে, এঁনাদের ট্রেনিং পেয়ে সুস্থ নিশ্চয়ই হয়ে উঠত না, কিন্তু এতটা রিপালসিভ না হয়ে, অনেক সোশাল হয়ে উঠতে পারত ওর নিজের মতো করে। হয়ে উঠতে পারত অনেক বেশি কমিউনিকেটিভ। আজকে বিতানকে নিয়ে যে নিত্যনতুন সমস্যা গড়ে উঠছে, হয়তো সেটা এড়ানো যেত। বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘোরাঘুরি করে তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রায় মনস্থির করে ফেললেন। পাকা কথা দেবার আগে বিতানের বাবার সঙ্গে কথা বলা জরুরি। এক রবিবার সকালে তিনি ফোন করলেন, “হ্যালো। কেমন আছ, কেমন? শরীর ঠিক আছে তো”?
    “হুঁ। ঠিক আছে”।
    “খাওয়া দাওয়ার কোন অসুবিধে নেই তো, স্পাইসি ফুড অ্যাভয়েড করবে, পারলে একদম খাবে না, সাবধানে থেক কিন্তু”।        
    “ঠিক আছে, ঠিক আছে। কোন অসুবিধে নেই”।
    “ওষুধগুলো রেগুলার নিও, ভুলে যেও না।”।
    “হুঁ, নোবো”। এত নিরুত্তাপ, সংক্ষিপ্ত জবাবের পর শুভময়ীদেবী আসল কথাটা কিভাবে বলবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। একবারের জন্যেও ওর কি জানার ইচ্ছে হয় না, কিংবা সামান্য কৌতূহলও হয় না, বিট্টু কেমন আছে! আমি কেমন আছি? তবুও বলতে তো তাঁকে হবেই। তিনি খুব দ্বিধার সঙ্গে আবার কথা বললেন, “শুনছ”?
    “হুঁ”।
    “তোমার “একান্ত সহায়” সোসাইটির কথা মনে আছে? ডাক্তার বাগচি যার কথা বার বার বলতেন”?
    “আছে, কেন”?
    “তুমি তো জান বিট্টুর কি কি প্রবলেম, ও মাঝে মাঝেই খুব অ্যাগ্রেসিভ হয়ে উঠছে। সামলানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে আমাদের পক্ষে। ভাবছি, “একান্ত সহায়”তে বিট্টুকে এবার অ্যাডমিশন করিয়ে দেব।”।
    “ভালোই তো”।
    “তুমি কি বলছ, ওখানে দেওয়াটা ঠিক হবে”?
    “আমার বলায় কি আসে যায়? যা ভালো বোঝো করো”। ব্যস এইটুকুই, ফোনটা কেটে গেল ওপ্রান্ত থেকে।
    একজন পিতা কিভাবে এত শীতল হতে পারে, কিভাবেই বা থাকতে পারে এমন দায়িত্বহীন। শুভময়ীদেবী একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে অনেকক্ষণ তাকিয়ে রইলেন মোবাইলের দিকে। তারপর সিদ্ধান্ত নিলেন নেক্সট মান্থের পয়লা তারিখেই তিনি বিট্টুকে অ্যাডমিশান করিয়ে দেবেন “একান্ত সহায়ে”।

    চলবে.....
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ০৩ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন