এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • অভয়া কান্ড ও বর্তমান বাঙালি মেয়েদের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি 

    Koushik Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৮২ বার পঠিত
  • "অভয়া" কান্ডের এক বছর হয়ে গেল। বিচার ব্যবস্থা জনপ্রিয় হিন্দি ছবির সংলাপের "তারিখ পে তারিখ" ই হয়ে যাচ্ছে। অভয়া তাঁর কর্মস্থলে নির্যাতিতা ও খুন হয়ে ছিলেন। অত্যন্ত জঘন্য ও ঘৃণ্য ব্যাপার। যদিও বর্তমানের বাঙালি মেয়েদের অবস্থা এর থেকে কি খুব আলাদা কিছু? আমি মূলত: শহুরে মধ্যবিত্ত শিক্ষিতা চাকরি - বাকরি করা মেয়েদের নিয়েই আলোচনা করব। "বিন্দু তে সিন্ধু দর্শন" বলে একটি বাংলা প্রবাদ আছে, সেই জন্য কোনও একজনের জীবন উন্মোচিত করলে সব মেয়েদেরই প্রকৃত আর্থ সামাজিক পরিস্থিতির আভাস পাওয়া যাবে। অনিচ্ছাকৃত মিলের জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন। বেশ কয়েকটি পর্ব লাগবে।
     
    মনে আনন্দের সঙ্গে একধরনের ভয় ও কাজ করতে লাগলো ফুলকির। সহকর্মীরা কেমন হবেন? বস কেমন হবেন? নিজের দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করতে পারবো কিনা? আশা - আশঙ্কায় মন উত্তাল হয়ে উঠলো। শেষ পর্যন্ত চাকরিতে যোগ দেবার দিন এগিয়ে এলো। বাবা সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন অফিসে। যোগদানের পর বস্ সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলেন। সামান্য কিছু কাজ বুঝিয়ে দিয়ে বললেন "যাও আজকের মতো বাড়ি চলে যাও"। এই সময় বাবা বলে বসলেন বস্ কে -- " দেখবেন ওঁকে একটু -- ছোটবেলা থেকেই অনেক আদরে বড় হয়েছে, খুব একটা দায়িত্ব নেওয়ার অভ্যাস নেই ! কোনও ভুল করলে নিজের মেয়ে মনে করে ক্ষমা করে দেবেন"। ভীষন লজ্জা পেল ফুলকি। কিন্তু কি আর করা! বাড়ি ফিরে পরের দিন কি পরে অফিস যাবে, তাই নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। একই শাড়ি দুই দিন পরা যাবে না। শুরুটা বেশ ভালোই হলো। অফিসের এক সিনিয়র দাদা সব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন। ধীরে ধীরে তাঁর ভয় কাটতে লাগলো। কাজে সে বরাবর মনোযোগী , কোনও দায়িত্ব পেলে সেটা সুষ্ঠ ভাবে না করা অবধি শান্তি নেই। বেশ ভালো লাগতে শুরু করলো নতুন পরিবেশ। ফুলকির মনে হলো এতদিন পর একটু শান্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছে। মাস কয়েক পর বাবা বললেন " কিরে এবার বিয়ে থা করতে হবে তো!" । ফুলকি প্রায় ভুলতে বসে ছিল। হঠাৎ ই মনে পড়ে গেলো। আবার মনের মধ্যে এক অদ্ভুত চাপ। বাবা তো মা কে নিয়ে রোজই কলকাতার কোনও না কোনও বিখ্যাত দোকানে শাড়ি গয়না নামোস্কারী ছেলের স্যুট বানানো --- সে এক বিশাল ব্যস্ততা। নিজের হাত - খরচ বাদ দিয়ে বাকি মাইনের টাকা সে মায়ের হাতে তুলে দিত। মাকে বলল ওখানে থেকে খরচ করতে, কিন্ত বাবার ভয়ে মা আর সেদিকে এগোলো না! চাকরি পাওয়ার দ্বিতীয় মাসেই বাবা পোস্ট অফিসে এক Recurring A/C খুলে দিলেন, মাইনের ২৫% টাকা যাতে মাসে মাসে জমা হয়। এদিকে অফিসের কাজে চাপ যত বাড়তে লাগলো সেই পরিমানে সুভাষের সঙ্গে দেখা হওয়াও কমতে লাগলো। এরই মধ্যে পুজোর কিছুদিন আগে বার ননদ ও শ্বাশুড়ি এসে একটা সুতোর মতো পাতলা চেন দিয়ে আশীর্বাদ করে গেলেন। বাবা তাদের চব্য চস্য খাওয়ালেন। শুধু মিষ্টিই এনেছিলেন নয় রকমের!! সেদিনের পর থেকে এক অদ্ভুত মন খারাপ চেপে ধরলো ফুলকির। এই চেনা পরিবেশ ছেড়ে যেখানে মা - বাবা - ভাই কেউ নেই এরকম এক সংসারে যেতে হবে। একবিংশ শতাব্দীতে ও এটাই বাস্তব। সারা দুনিয়া পালটে গেছে কিন্তু এই ব্যাপারে কোনো পরিবর্তন হয়নি। শেষ পর্যন্ত এসে গেল সেইদিন। টুম্পা ও রুম্পা সকাল থেকেই ওদের বাড়িতে, চলছে "বউ" সাজা। কিন্তু মন যে ভালো নেই তা ওর মুখের দিকে তাকিয়েই বোঝা যাচ্ছে। টুম্পা জিজ্ঞাসা করল " কি রে ঝগড়া হয়েছে?" মাছি তাড়ানো ভঙ্গিতে ফুলকির উত্তর "বাদ দে তো!" সন্ধ্যেবেলায় বর যাত্রী এলো। এক একটা এক এক রকমের লাফাঙ্গা !! বাবা সকাল থেকে উপোস করে শাস্ত্র মেনে সব করছিলেন, সম্প্রদানও করলেন। মনের ভিতরটা হু হু করে উঠলো। বাসরে টুম্পাই রইলো ওর সঙ্গে। অনেক নিমন্ত্রিত এসেছিলেন। বাবার অফিসের সহকর্মীরা তাঁর নিজের অফিসের সহকর্মীরা, পাড়ার লোকেরা আত্মীয় স্বজন এমনকি সেই রিক্সাকাকু। সবাই খাওয়া দাওয়ার ও ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করলেন। তাঁর বেশ ভালোই লাগছে কিন্তু চাপা উদ্বেগটা যেন যেতেই চাইছে না। সারারাত ঘুম হলো না। ভোরের দিকে একটু চোখ লেগে এসেছে তখনই ডাক " বাসী বিয়ে"র। শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদের সেই লগ্ন উপস্থিত হলো। বাবা বাচ্চা ছেলের মতো কাঁদতে লাগলেন। সুভাসের দুই হাত ধরে বললেন " দেখ ওর যেন কোনও কষ্ট না হয়"। সবাইকে কাঁদিয়ে সে চলল নতুন বাসায়। ফেলে গেল সব আর নিয়ে গেল স্মৃতি, আশঙ্কা ও অজানা ভয়। 
       এ বাড়িতে এসে তাঁর সংসার পাতার জন্য বরাদ্দ হলো চিলেকোঠার ঘর। বাবার দেওয়া সেগুন কাঠের দারুন সুন্দর কাজ করা ৬'-৭' খাট বড় ননদের দখলে কারণ তার ঘরে এতবড় খাট ঢুকবে না !!! আর আলমারি ও তিন পাল্লা দেওয়া ড্রেসিং টেবিলের জায়গা হলো শ্বাশুড়ির ঘরে!!!! যাইহোক সেই এক চিলতে ঘরেই সব জিনিষ গুছিয়ে ব্যাপক ক্লান্তির পর বাথরুমে ফ্রেস হতে গিয়ে কেঁদেই ফেলল সে। কমন বাথরুম, দুটি আয়রনে শাওলা ধরে যাওয়া বড় বড় দুটো বালতিতে জল ভর্তি করে ধরে রাখার ব্যবস্থা, নড়া - চড়ার জায়গা নেই !! তাঁর কাছে ছোট্টবেলা থেকেই বাথরুমের এক বিশেষ জায়গা রয়েছে, দুঃখ হলেও সেখানে, আনন্দ পেলেও সেখানে জীবনের প্রথম বার গান গাওয়ার চেষ্টা তাও সেখানে। মায়ের কড়া নির্দেশ আগে বাসী জামা কাপড় কেচে তারপর স্নান করে ভালো জামা কাপড় পরে বাইরে আসতে হবে। তাই সে শিখেছে, বাড়ির বাথরুমটাও ছিল বেশ বড় আর শুকনো। আর এখানে তো নড়া চড়ার জায়গাই নাই তায় আবার বাসী আর ভালো জামা কাপড় এর জায়গা ??? চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করলো। কিন্তু সবে মাত্র কয়েক ঘন্টা হয়েছে এসেছে --  একটা সিন ক্রিয়েট হয়ে যাবে !! এমন ঘর সে পেয়েছে যে শুরু হতে হতেই ফুরিয়ে যায় !!! সুভাষের উপরের দিদি (ছোট ননদ) ওদের ঘর গোছাতে সাহায্য করেছে। ফুলকি তাঁর উপহার পাওয়া সোনার গয়না গুলি বার করে দিল তার সামনে একটা পছন্দ করার জন্য অনুরোধ করলো। ফুলকি আশা করে ছিল যে পছন্দের ভার সে তাঁর উপরই ছেড়ে দেবে। কিন্ত অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখলো সবচেয়ে সুন্দর দুলটি সে নির্দ্ধিধায় তুলে নিল !!!! পরের দিনই   সাতসকালে বাবা এসে হাজির, " কেমন আছিস মা?" কেমন যে আছে তা সেই জানে। যাবার আগে বাবা সবার নজর এড়িয়ে তাঁকে ৩২,০০০/ টাকা দিল আর বলল "কোনও অসুবিধা হলে বলিস", কি বলবে সে নিজেই তো এই নরক বেছে নিয়েছে !!! বাবার দেওয়া সেই নোট গুলি সে কোনও দিনই হাত দেয়নি। জামা কাপড় গয়না প্রয়োজনীয় যা কিছু বার করতে তাঁকে বার বার নিচে শ্বাশুড়ির ঘরে যেতে হচ্ছে। সে আবার ভদ্রতা করে চাবিও দিয়ে দিয়েছে শ্বাশুড়ীকে। ব্যক্তিগত পরিসর শেষ, এমনকি বাথরুমেও যেতে হয় শ্বাশুড়ির ঘরের মধ্যে দিয়ে। যাইহোক সন্ধ্যে ৭টার মধ্যেই তৈরী হয়ে " বৌভাত" এর আসরে। বাবা মা ভাই টুম্পা রুম্পা এদের সঙ্গে আর একবার দেখা। আরও অনেক অতিথির সঙ্গেও দেখা ও উপহারের পাওয়ার পালা। যাবার আগে বাবা তাঁকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদলেন। মনটা ভারী হয়ে গেল। যাক সব কিছু মেটার পর রাত ১২ টায় খেতে বসলো। কিছুই তাঁর খেতে ইচ্ছে করছিল না আর রান্নাও ততোধিক জঘন্য। শেষ পর্যন্ত আইসক্রিম খেয়েই রাত কাটালো। ছোটবেলা থেকে বউ সাজার যে বাসনা তা পূর্ণ হলো। খুব একটা ঘটনা ছাড়াই ফুলসজ্জা কাটলো। পরদিন সকালে উঠে চা করতে নিচে গেল, আবার অবাক হওয়ার পালা। এক চিলতে উঠোনের এক দিকে টেবিলের উপর গ্যাসের  ওভেন, এখান থেকে ওখান থেকে খুঁজে এনে চা করা। চা পর্ব শেষ হতেই বড় ননদের চিৎকার "আমার সময় নেই অফিসের ট্রেন ধরতে হবে, ভাত দেবে নাকি আমি রওনা দেব?" বেশ কয়েক দিন লাগলো রোজ নামতার সাথে মানিয়ে নিতে। বাবা রোজই একবার অফিস থেকে ফেরার পথে দেখা করে যেতে লাগলেন। ব্যপারটা লজ্জার হলেও কোথাও যেন তাঁর মনে শক্তি জোগাতে লাগলো। অফিস শুরু করে দিল সে। সকালে বাথরুমে কে আগে যাবে তাই নিয়ে ভাড়া বাড়ির মতো কলহ। বড় ননদ অফিস যাবে, সেও অফিস যাবে তবে দুজনের বাসী জামা কাপড় কেচে তারপর মিলতেও হবে। বাড়িতে কোনও কাজের মাসি নেই। সবই তাকে নিজের হাতে করে নিতে হবে , সাহায্য করার কেউ নেই। শুধু এক তরকারি ভাত রান্না করা শ্বাশুড়ির দায়িত্ব। জীবনে সে বাবার বাড়িতে এরকম খায় নি, সকালে একটা জলখাবার তারপর অফিস বা স্কুলে যাওয়ার আগে ভাত দল তরকারি ভাজা মাছ বা মাংস নিদেন পক্ষে একটি ডিম। প্রথম প্রথম গলা দিয়ে নামতো না, তাও যদি স্বাদ ভালো হতো। যাই হোক সে ভাত ফেলতে পারে না! দাদুর শিক্ষা। দুপুরে অফিসের ক্যান্টিনে পেটপুরে খেত। বাড়িতে সকালে ও রাতে খাবার পরিমাণ কমে যেতে লাগলো। তাঁর স্বাস্থ্য ও খারাপ হতে লাগলো। এসবের মধ্যেই সুভাষ বেড়াতে যাবার প্ল্যান করলো। তাঁর ইচ্ছে এসবের থেকে দূরে কোথাও অন্তত কয়েক দিন এর জন্য মুক্তি পাবার। সে বেশ কয়েক হাজার টাকা সুভাষের হাতে দিল টিকিট ইত্যাদির জন্য। ডুয়ার্স এর কোনও জায়গা। তাঁর ও বেশ পছন্দের। এদিকে সুভাষের আসল চরিত্র প্রকাশ পেতে থাকলো। রোজই প্রায় কোনও না কোনও বন্ধুকে সস্ত্রীক আমন্ত্রণ "আমার বউ এর হাতের রান্না খেয়ে দেখ"। এমনও হয়েছে ভিড় বাসে অফিস থেকে স্টেশনে, ভিড় ট্রেনে বাড়ি পৌঁছনোর আগে ছোট ছোট করে টুকরো করা চিকেন কাটিয়ে নিয়ে রাত ৮টায় ফিরে আবার রান্না ঘরে যদি অবশ্য সেটাকে রান্না ঘর বলা যায় !!! চিকেনের টাকা তাঁর পরিশ্রম তাঁর আর ক্রেডিট সুভাষের। নারী স্বাধীনতার চূড়ান্ত!!! 
     
    ক্রমশঃ 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r2h | 165.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২৫ ২৩:৫৫733311
  • আপনার লেখা অন্য লেখার সঙ্গে জুড়ে আছে, মাস্টার টপিকটা ঠিক করে নিন।
  • Koushik Chatterjee | ১৫ আগস্ট ২০২৫ ০৫:৩৬733316
  • ঠিক বুঝতে পারলাম না !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন