এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • অভয়া কান্ড ও বর্তমান বাঙালি মেয়েদের আর্থ সামাজিক অবস্থা 

    Koushik Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ২৩ বার পঠিত
  • "অভয়া" কান্ডের এক বছর হয়ে গেল। বিচার ব্যবস্থা জনপ্রিয় হিন্দি ছবির সংলাপের "তারিখ পে তারিখ" ই হয়ে যাচ্ছে। অভয়া তাঁর কর্মস্থলে নির্যাতিতা ও খুন হয়ে ছিলেন। অত্যন্ত জঘন্য ও ঘৃণ্য ব্যাপার। যদিও বর্তমানের বাঙালি মেয়েদের অবস্থা এর থেকে কি খুব আলাদা কিছু? আমি মূলত: শহুরে মধ্যবিত্ত শিক্ষিতা চাকরি - বাকরি করা মেয়েদের নিয়েই আলোচনা করব। "বিন্দু তে সিন্ধু দর্শন" বলে একটি বাংলা প্রবাদ আছে, সেই জন্য কোনও একজনের জীবন উন্মোচিত করলে সব মেয়েদেরই প্রকৃত আর্থ সামাজিক পরিস্থিতির আভাস পাওয়া যাবে। অনিচ্ছাকৃত মিলের জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন। বেশ কয়েকটি পর্ব লাগবে।
     
    বেড়ানোটা মন্দ হলো না! সুভাষের বন্ধু আরও একটি পরিবারের সঙ্গে লাটাগুড়িতে বেশ কয়েকদিন। হই হুল্লোড় হলো, যদিও সেই বন্ধুর স্ত্রীর এক ঢোকে এক গ্লাস মদ খাওয়া দেখে বেশ অবাকই হলো ফুলকি। তবে তার সাথে বেশ "তুই - তোকারি" সম্পর্কও হয়ে গেল। যত ট্রেন কলকাতার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো তত মন ভারী হতে লাগলো। আবার সেই একই রোজ নামতা সেই গতানুগতিক জীবন। এই সময় কেন্দ্রীয় সরকার D.A. ঘোষণা করলেন। সে বেশ কিছু টাকা এরিয়ার হিসেবে পেল। মাসের মাঝামাঝি টাকাটা ব্যাঙ্কের স্যালারি অ্যাকাউন্টে ঢুকলো। ঠিক তারপর দিন সন্ধ্যেবেলায় বড় ননদ সিঁড়ির নিচের থেকে চিৎকার করে তাঁকে ডাকতে লাগল। তারাতারি নিচে নেমে এলো। বড় ননদ সরাসরি বলল " তুই মনে হয় এরিয়ারের টাকাটা পেয়ে গেছিস ! ওর থেকে আগামীকাল ১,০০,০০০/ টাকা দিবি , আমার একটু দরকার আছে"। কোনও অনুমতি নয়, শুধু নির্দেশ। রাতে সুভাষ বাড়ি ফিরতে সবই বলল ফুলকি। উত্তর এলো " বড় দি চেয়েছে থাকলে দিয়ে দাও। ও আমাদের জন্য অনেক করেছে।" ফুলকির মুখে এসে গেছিল তোমাদের জন্য করেছে আমার জন্য তো করেনি, কিন্ত বলতে পারলো না! মা এ বাড়িতে আসার আগে বলে ছিলেন " মেয়েদের অনেক কিছু সহ্য করতে হয়"। পরদিন অফিসে যাওয়ার আগে চেক লিখে বড় ননদের হাতে দিয়ে দিল। ওর শুধু মনে হতে লাগলো বড় ননদ জানলো কি করে? অফিসের সেই সিনিয়র দাদাকে বলতে তিনিই পরিস্কার করে দিলেন। রেট্রস্পেকটিভ এফেক্ট এর কথা এতদিন রাজ্য সরকারি কর্মী ননদের অজানা থাকার কথা নয়। কি বোকা সে !!! ইতিমধ্যে গরম এসে হাজির, রাত্রিবেলা চিলেকোঠা ঘর যেন ফার্নেস! সারারাত এপাস ওপাশ করে ও একটুও ঘুমানো যায় না। কি যে কষ্ট তা বলে বোঝানো যাবে না !! এরই মধ্যে একদিন সন্ধায় বাবা এসে বললেন " চল মা আমার সঙ্গে চল"। না কেউ আপত্তি করলো না। ফুলকিও যেন বেঁচে গেল। বাবার বাড়ী থেকে ই অফিস। বাবার রিটায়ারমেন্ট এর সময় চলে এসেছে। ভাইয়ের পড়াও শেষ হয়নি। বাবা বেশ চিন্তিত। এদিকে সুভাষের সঙ্গে রোজ রাতে তাদের বাড়িতে গন্ডগোল হতে শুরু করেছে। স্বামী স্ত্রীর স্বাভাবিক যৌন - জীবনের বদলে নানা রকমের বিকৃত যৌন - ইচ্ছে পূরণের চেষ্টাকে বাধা দিতে দিতে ফুলকি ক্লান্ত। অনেক বুঝিয়েও কাজ হচ্ছে না। বাবার বাড়ি এসে তার হাত থেকেও সাময়িক মুক্তি পেল সে। কাকে বলবে এসব কথা!! টুম্পা, সে তো ছেলে আর বর নিয়ে রায়পুরে। বাবা মা ভাই এর কাছে পরিচিত পরিবেশে খানিকটা হালকা হলো। মা একদিন কথায় কথায় জিজ্ঞাসা করলেন " জামাই কি করছে?" সে যা শুনেছিল তাই বলল " ট্যুর অপারেটর এর ব্যবসা করছে "। 
      বেশ কিছুদিন পর বাবাই বললেন " চল তোকে বাড়ি দিয়ে আসি"। ফুলকি বলল " বাবা আমি তো বাড়িতেই আছি"। বাবার উত্তর " না রে বিয়ের পর মেয়েদের শ্বশুরবাড়িই আসল বাড়ি"। তাঁর উদার প্রগতিশীল বাবা আসলে সমাজের চালু ধারণার কথাই বলছিলেন। প্রচলিত ধারণার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস না ছিল তাঁর না ছিল ফুলকির। শ্বশুরবাড়ি ফিরে আবার রাত্রির হলেই তাঁর ভয় করতে শুরু করত। একদিন গণ্ডগোল চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেল। সে সহজে মুখ খোলার পাত্রী নয় !! সেও বলতে বাধ্য হলো " ব্লু ফিল্ম দেখে এসে যা তা বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে নয় পতিতাদের সঙ্গে করতে হয়"। এর জবাব সঙ্গে সঙ্গেই পেল সে --- এখন সুভাষ বিড়ি ছেড়ে সিগারেট খাওয়া ধরেছে, জ্বলন্ত সিগারেট চেপে ধরলো তাঁর বা হাতের বাহুতে, যেখানে ছোটবেলার টিকার দাগ থাকে। মনে হল জীবন বেরিয়ে গেল!! চোখ দিয়ে জলের ধারা বাঁধ না মেনে গড়িয়েই চলেছে। ইচ্ছে করছে চিৎকার করে কাঁদে, কিন্তু অনেক রাত হয়েছে। দৌড়ে বাথরুমে গিয়ে যে জল দেবে তারও উপায় নেই। চুপ করে ওই পশুর পাশেই শুয়ে রইলো সে। 
    ৭ বছর প্রেম(?) করেও এই জানোয়ার কে সে চিনতে পারেনি ! তাঁকে এক প্রচণ্ড যন্ত্রণা আচ্ছন্ন করে ফেললো। তাঁর সঙ্গেই কেন এমন হলো? সে তো জ্ঞানত কোনও অন্যায় করেনি ? টুম্পা - রুম্পা তো বেশ সুখেই স্বামী নিয়ে সংসার করছে ? আমি তো শ্বশুরবাড়ির সবাইকে খুশী করতে চেয়েছি !! প্রতি মাসেই মাইনে পেয়ে বড় ননদ, ছোট ননদ বাড়ির কাজের কোনও না কোনও জিনিষ কিনেছি !!! শ্বাশুড়ি একা বলে তাকে নিয়ে সিনেমা দেখতে নিয়ে গিয়েছি !!! ছুটির দিন গুলোও বিশ্রাম নিই নি, নিত্য নতুন রান্না করে খাইয়েছি, নিজের হাতে কাটা বাটা সব করে যাতে অন্তত এক দিন শ্বাশুড়ি বিশ্রাম পান !!!! এমনকি সেই রান্নার প্রয়োজনীয় যা কিছু সব নিজেই কিনে এনেছি!!!!! যখন যে যা চেয়েছে দিয়েছি বিনা প্রশ্নে !!!! তবে !!!!! 
    সেই ছ্যাঁকা খাওয়ায় জায়গাটার সে কোনও চিকিৎসা করালো না, কালো হয়ে গেল জায়গাটা। ওই কালো দাগ যতদিন দেখবে ততদিন তাঁর নিজের সিদ্ধান্তের উপর ঘৃণা হতে থাকবে !!!!! এরই মধ্যে চাকরিতে তার প্রমোশন হলো। অনেক সহকর্মী বদলি বা রিটায়ারমেন্ট করলেন, তাদের জায়গায় নতুন নতুন ছেলে মেয়েরা এলো। সুভাষেরও ট্যুর ব্যবসা করে টু পাইস কামাতে শুরু করেছে। রোজগারের সঙ্গে সঙ্গে লেকচার ও বেড়েছে। যে ছেলে তাঁর বাবার দেওয়া রেমন্ডস এর জামা কাপড় পড়ে ব্র্যান্ডেড জিনিষ পড়া শুরু, সে কিনা রেমন্ডস গ্রুপের ইতিহাস তাঁর সামনেই বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করছে। ফুলকির হাসি পায়। 
      একদিন অফিসের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে গেল সে। সহকর্মীরা তাঁকে কলকাতার এক বিখ্যাত বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করলো। খবর পেয়ে বাবা ছুটে এলেন, সুভাষের কোনও পাত্তা নেই। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ডাক্তার জানালেন তাঁর "ওভারি তে সিস্ট হয়েছে জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করতে হবে"। বাবা সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসা করলেন " ও মা হতে পারবে তো ডাক্তার বাবু ?" ডাক্তারবাবু আশ্বত্ব করলেন। পাঠক পাঠিকা দের ভেবে দেখতে বলবো ভাবুন অবস্থা মেয়ে সুস্থ হবে কিনা তা নয় তাঁর সবচেয়ে ভালোবাসার মানুষ জানতে চাইছেন যে সে আর " মা" হতে পারবে কিনা ??
    ৮ই মার্চ নারী দিবসের সবচেয়ে বড় ট্যাগ লাইন "Women of Substance" এর নমুনা !!! যেন মা হলেই একমাত্র নারীত্ব পূর্ণতা লাভ করবে। সিদ্ধান্ত হলো 2nd Opinion  নেওয়া হবে। কলকাতার এক বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া হল, তিনিও অপারেশনের কথাই বললেন। এরপর বাবার সঙ্গে ভেলোরে যাওয়া। সেখানেই অপারেশন, ডাক্তার বললেন কদিন অপেক্ষা করে যান। ৭ দিনের মাথায় চেক আপ করতে হবে। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর ডাক্তারবাবু বললেন অপারেশন ভালো হয়েছে। এবার বললেন " আপনার মেয়েকে বাইরে বসিয়ে আসুন , আপনার সঙ্গে কথা আছে"। বাবা তাঁকে বাইরে করিডোরে বসিয়ে ভেতরে গেলেন । এবার ডাক্তার বললেন " বায়োপসি রিপোর্ট পজিটিভ 3rd stage overy ক্যান্সার এখুনি চিকিৎসা চালু করতে হবে, সময় বিশেষ হাতে নেই"।
     
    ক্রমশঃ 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন