এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  অর্থনীতি

  • "স্বার্থপরতাই আমাদের সমষ্টিগত দুর্দশার দিকে নিয়ে যেতে পারে"

    যদুবাবু লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | অর্থনীতি | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১০৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৫ জন)
  • সুডোকু তো অনেকেই খেলেছেন, না খেলে থাকলেও কাগজের পাতায় দেখেছেন, কেউ দুইডোকু খেলেছেন? খেলে দেখতে পারেন, মন্দ না। সুডোকু-র মতই খেলা, কিন্তু খেলতে হবে দুইজনে। যে শেষ "ভ্যালিড" চাল দেবে সে জিতবে। সঙ্গে একজন খেলার সঙ্গী থাকলে তো কথাই নেই, না থাকলেও https://www.duidoku.com/ সাইটে এখন এ্যাই-এর সাথে খ্যালা যাচ্ছে। আমি আবার হেব্বি আনতাবড়ি খেলে প্রথম রাউন্ডে এ্যাই-কে হারিয়ে দিলাম। মনে হচ্ছে ভালো কোম্পানির এ্যাই না। হয়তো পেটরোগা শীর্ণ নিউরাল নেট। কে জানে!

    এই খেলাটার কথা জানতে পারলাম খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর উপর অমিতাভ গুপ্ত-র লেখা একটি ফিচার থেকে। কৌশিকবাবু ট্রাভেলার্স ডিলেমা নিয়ে গতবছর শারদীয়া উদ্বোধনে একটা প্রবন্ধ লিখেছিলেন। সেটা খুঁজতে গিয়ে অমিতাভ গুপ্তর লেখাটা পেলাম। বলাই বাহুল্য, ট্রাভেলার্স ডিলেমা, দুইডোকু দুটোই কৌশিকবাবুর মস্তিষ্কপ্রসূত।

    যাই হোক, উদ্বোধনের প্রবন্ধটা যখন পাই-ই নি, ট্রাভেলার্স ডিলেমা কী সেটাও ছোটো করে নিজের ভাষায় বলে দিই। আমি একদম অজ্জিনাল থেকেই চোথা করে দিচ্ছি। তাও, গুরুর নিয়মিত লেখকদের মধ্যে প্রচুর প্রচুর দারুণ অর্থনীতির ছাত্রছাত্রী আছেন, ভুলভাল লিখলে কেউ ঠিক করে দেবে আশা করছি।

    ধরা যাক দুজন লোক - রামবাবু আর শ্যামবাবু ফরেন ট্যুর সেরে দেশে ফিরছেন। দুজনের লাগেজে দুটি আইডেন্টিকাল অ্যান্টিক দ্রব্য। ফিরে দেখছেন এয়ারলাইন্সের বদান্যতায় ওদের দুজনের-ই অ্যান্টিক চোট পেয়েছে। এয়ারলাইনের ম্যানেজার ক্ষতিপূরণ দিতে চান, কিন্তু তাঁর আবার ঐ বস্তুটির দাম কত সেই নিয়ে কোনো ধারণা-ই নেই আর দুজনকে দাম জিজ্ঞেস করতে মোট্টে চান না, কারণ জিজ্ঞেস করলে নির্ঘাত বাড়িয়ে-চাড়িয়েই বলবে দুজন।

    এই অবস্থায় ম্যানেজার বাবু একটা জটিল স্কিম বা খেলা মাথা থেকে বের করলেন। খেলাটা এই রকম : রাম আর শ্যাম দুজনকেই একটা চিরকুটে ২ থেকে ১০০-র মধ্যে একটা পূর্ণসংখ্যা লিখতে হবে। কিন্তু নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা বারণ। যদি দুজনেই এক-ই সংখ্যা লেখেন, ম্যানেজার ধরে নেবেন ঐটিই সঠিক দাম, আর সেটাই হাতে ধরে দেবেন। যদি দুজনে আলাদা আলাদা সংখ্যা লেখেন, তাহলে, ম্যানেজার ধরে নেবেন যে কম লিখেছে সে-ই সত্যি বলেছে, অর্থাৎ সে যেটা লিখেছে সেটাই, মানে সেই লোয়ার ভ্যালুটাই আসল দাম, আর অন্যজন ঠকানোর চেষ্টা করছে। এবার ঐ ম্যানেজার রাম-শ্যাম দুজনকেই ঐ দামটা (লোয়ার ভ্যালু) তো দেবেন-ই, কিন্তু একজনকে অল্প পুরস্কার আর অন্যজনকে শাস্তি। যিনি কম লিখেছেন তাকে দেবেন ঐ লোয়ার ভ্যালুর থেকে ২টাকা বেশি, আর যে বেশি লিখেছেন তাকে দেবেন ঐ লোয়ার ভ্যালুর থেকে দুটাকা কম। অর্থাৎ, যদি রাম চিরকুটে লেখে ৪৬, আর শ্যাম লেখে ১০০। তাহলে ম্যানেজার রামকে দেবেন.৪৬ + ২ = ৪৮, আর শ্যামকে দেবেন ৪৬ - ২ = ৪৪।

    এবার গপ্পো হচ্ছে যে সত্যিকারের খেলা-টা খেলা হলে রাম আর শ্যাম কী লিখতো? আপনি-ই যদি এইরকম সিচুয়েশনে পড়েন, আপনি-ই বা চিরকুটে কী লিখবেন?

    ১৯৯৪ সালের পেপারে কৌশিক বাবু দেখিয়েছিলেন যে এইরকম গেমের "লজিক্যাল" সলিউশন দুজনের-ই ২ লেখা। গেম থিওরির ভাষায় বললে এই গেমের ন্যাশ ইকুইলিব্রিয়াম একটাই, এবং সেটা ঐ (২,২)। মানে রাম-ও দুই, শ্যাম-ও দুই।

    কিন্তু গাদা-গাদা এম্পিরিক্যাল/প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে যে লোকে সচরাচর ১০০ বা ১০০-র কাছাকাছি কিছু একটা লেখে। কৌশিকবাবুর ২০০৭ সালের সায়েন্টিফিক আমেরিকানের প্রবন্ধে সুন্দর করে সামারাইজ করা, 
     
      "When playing this simple game, people consistently reject the rational choice. In fact, by acting illogically, they end up reaping a large reward - an outcome that demands a new kind of formal reasoning."

    ইকুইলিব্রিয়াম কেন (২,২)? সেইটার যুক্তি ব্যাকওয়ার্ড ইনডাকশন। ইনডাকশনের কী যেন একটা বাংলা ছিলো ভুলে গেছি। যাই হোক, গপ্পোটা এইরকম যে ধরা যাক শ্যাম ভাবলো যে সবথেকে বড় নাম্বারটাই লেখা উচিত, তাই সে ১০০ লিখবে, আর রাম-ও যদি এক-ই যুক্তি অনুসরণ করে তা'লে রাম-ও ১০০-ই লিখবে। আর আসল জিনিষটার দাম ১০০-র অনেক কম হলে তো পোয়াবারো।
    কিন্তু তারপরেই শ্যাম ভেবে দেখতেই পারে, যে সে যদি ১০০ না লিখে ৯৯ লেখে, আর রাম ১০০ লেখে, তাহলে কিন্তু অল্প হলেও বেশি লাভ। কারণ ঐ খেলার নিয়ম অনুযায়ী সে এখন পাবে ৯৯ + ২ = ১০১, আর অন্যজন পাবে ৯৯-২ = ৯৭। কিন্তু যদি রাম-ও মাথা খাটিয়ে ৯৯ লেখে? তাহলে তো দুজনেই ৯৯? তাহলে শ্যামের লেখা উচিত ৯৮, তাতে করে রাম ৯৯ লিখে থাকলে সে পাবে ১০০ আর রাম পাবে ৯৭। কিন্তু আবার-ও এক-ই যুক্তিতে রামের উচিত ৯৯ না, ৯৮ লেখা। "অ্যান্ড সো অন অ্যান্ড সো ফোর্থ।" এই যুক্তিতে একে অন্যকে কাঠি করে নিজের লাভ করতে গেলে দেখা যাবে যে একদম সাপ-লুডোর মত সাপ দিয়ে নামতে নামতে দুজনেই নেমে পৌঁছে যাবে একদম সবথেকে ছোট্ট সংখ্যায় - সেটা ঐ "২"। 

    আমার স্মৃতিশক্তি জঘন্য, ফলস মডেস্টি না সত্যিই জঘন্য, কিন্তু কৌশিকবাবুর লেখার গুণেই উদ্বোধনের প্রবন্ধটা একটা লাইন আমার মাথায় গেঁথে আছে। সেটা এইরকম যে, "স্বার্থপরতাই আমাদের সমষ্টিগত দুর্দশার দিকে নিয়ে যেতে পারে"।

    এর খুব কাছাকাছি আরেকটা গেম আরও বেশি পরিচিত। সেটার নাম প্রিজনার্স ডিলেমা। সেটা এইরকম যে দুজন অপরাধী, এও ধরা যাক রাম আর শ্যাম, দুটো আলাদা আলাদা কুঠুরিতে বন্দী - যোগাযোগের উপায় নেই। পুলিশের দারোগাবাবু দুজনকেই একটা ফাউস্তিয়ান বার্গেন দিলেন। যদি দুজনেই মুখে কুলুপ এঁটে থাকে, তাহলে দুজনেই এক বছর করে জেল খাটবে, আর দুজনেই মুখ খুললে, অর্থাৎ একে অপরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে, দুই বছর করে। কিন্তু, যদি একজন সাক্ষ্য দেয় আর অন্যজন চুপ থাকে? তাহলে যে সাক্ষ্য দিচ্ছে সে সঙ্গে-সঙ্গে ছাড়া পেয়ে যাবে, আর অন্যজন জেল খাটবে তিন-তিনটে বছর। বালাই ষাট, কেউ জেলে যান চাই না, কিন্তু ঐ এক-ই প্রশ্ন। এইরকম পরিস্থিতিতে কী করতেন? সহযোগিতা না বিশ্বাসঘাতকতা?
     


    এই গেম থিওরির অতিপরিচিত উদাহরণগুলোর কথা আজ সন্ধ্যেবেলায় বাড়ি ফিরতে ফিরতে আবার মনে পড়লো, কারণ, দুইদেশের দুইটি বিষাক্ত মৌলবাদী দলের আস্ফালন আর সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার দেখতে দেখতে মনে হয়, যে ঐ ট্রাভেলার্স ডিলেমার মতোই কিছু একটা হচ্ছে যেন, যেন ঐরকম একটা ইনফাইনাইট রিগ্রেসের ফাঁদে আটকা পড়ে গেছি। পরের যাত্রাভঙ্গ করতে গিয়ে কখন যে নাক-নরুণ সব-ই চলে যাচ্ছে তার আর ঠিক নেই। অথচ, একজন অচেনা মানুষের প্রতি সহজ স্বাভাবিক বিশ্বাসের বা একদম সামান্য, ন্যূনতম শ্রদ্ধার একটুখানি খোলা জায়গায় আলোবাতাস খেলতে দিলেই হয়তো এই অন্ধকারে আমরা পৌঁছতাম না, কে জানে?
     
    --

    পুনশ্চ - 
     
    আমি যেসব জিনিষ ছেলেবেলায় সুযোগ পেয়েও মন দিয়ে পড়িনি সেগুলো বুড়ো বয়সে পড়ছি আবার করে। এই যেমন হোমস-মরিয়ার্টি প্রবলেম, সেই যে হোমস লণ্ডন থেকে ডোভারে যাচ্ছে মরিয়ার্টির থেকে পালিয়ে, ডোভার-ই শেষ স্টেশন, মাঝে ক্যাণ্টারবেরি। কিন্তু, ঠিক ট্রেনটা স্টেশন ছাড়ার সময় হোমস দেখছেন প্ল্যাটফর্মে মরিয়ার্টি দাঁড়িয়ে। এবার হোমস কোথায় নামবেন? একেবারে সোজা ডোভার চলে যেতেই পারেন, কিন্তু ধড়িবাজ মরিয়ার্টি হয়তো আরো দ্রুতগামী ট্রেন বা অন্য কিছুতে করে সেখানে আগেই পৌঁছে গেছে? তাহলে হোমস নামবে ক্যান্টারবেরি। কিন্তু মরিয়ার্টি যদি আন্দাজ করে যে হোমস মরিয়ার্টির চাল আন্দাজ করে নিয়ে ক্যান্টারবেরি নামবে, তাহলে মরিয়ার্টি-ও আর ডোভার না গিয়ে যাবে ক্যান্টারবেরি? আর এক ধাপ এগোলে, হোমস যদি আন্দাজ করে যে মরিয়ার্টি হোমসের চাল আন্দাজ করে ক্যান্টারবেরি-ই যাচ্ছে, তাহলে হোমস থোড়াই সেখানে যাবে ... এইভাবে চলবে তো চলবে, অথবা বলা ভালো, এইভাবে এগোলে দেখা যাবে যে দুজনের কারুর পক্ষেই বেস্ট স্ট্র্যাটেজি নেওয়া সম্ভব নয়, এই অর্থে যে নিতে গেলেই এইরকম একটা ইনফাইনাইট রিগ্রেসের ব্যাপার ঘটে যায়।

    ফাইন্যাল প্রবলেমের সেই বিখ্যাত ডায়লগ মনে করুন -

    ‘All that I have to say has already crossed your mind,’ said he.
    ‘Then possibly my answer has crossed yours,’ I replied.
    ‘You stand fast?’
    ‘Absolutely.’

    এই নিয়ে অস্কার মর্গ্যানস্টার্নের বিখ্যাত একটা পেপার আছে, যার বক্তব্য হ'ল "perfect foresight is inconsistent with economic equilibrium", এই নিয়ে মর্গ্যান্সটার্ন আর আমাদের ম্যান ফ্রম ফিউচার জন ভন নয়ম্যানের যুগ্ম কাজ আছে। আর আমাদের পার্ডুর অনির্বাণদার একটা ভারি সুন্দর কলাম আছে আই-এম-এস বুলেটিনে, নাম "Randomization, Bootstrap and Sherlock Holmes"।

    কিন্তু আজকে ঘুম পেয়ে গেছে, আরেকদিন লিখবো সে সব।
     
    সূত্রঃ

    ১) https://www.anandabazar.com/culture/poila-baisakh/a-special-write-up-on-kaushik-basu-by-amitabha-gupta-1.597792
    ২) https://imstat.org/2013/07/17/anirbans-angle-randomization-bootstrap-and-sherlock-holmes/
    ৩) https://www.duidoku.com/
    ৪) Basu K (2007) The Traveler’s Dilemma. Sci Am 296: 90–95
    ৫) The Traveler’s Dilemma: Paradoxes of Rationality in Game Theory. Kaushik Basu in American Economic Review, Vol. 84, No. 2, pages 391–395; May 1994.
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্যালারাম | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:২৪539915
  • কিছুদিন আগে ভেরিটাসিয়ামের একটা ভিডিওয় প্রিজনার্স ডিলেমা দেখেছিলাম, সেখানে একটা ভারী ভালো কথা আছে – এক-দুবারের ইন্টার-অ্যাকশনে স্বার্থপরতা লাভজনক হলেও, লম্বা সময়ের যৌথ সম্পর্কে মঙ্গলই স্বর্গ। অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত দূরপাল্লার চিন্তা করে নিতে শেখালেই হয়তো সে কথা মনে রাখা সম্ভব।.. 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:e192:ba70:66ee:***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:২৭539916
  • আহা, গেম থিওরি! :-) আমাকে একবার দুটো টার্মে গেম থিওরি পড়তে হয়েছিল, প্রথম টার্মে ছিল সিংগল রাউন্ড বা স্টেজ গেম (যা নিয়ে যদুবাবুর এই টই) আর পরের টার্মে ছিল রিপিটেড গেম (যার কথা প্যালারাম বললেন)। 
     
    লেখাটা তো ভালো লাগলোই, তবে দুইখান কথা আছে। 
     
    প্রথম হলো, প্যারেটো অপটিমালিটি, অর্থাত সবার জন্য বেস্ট পসিবল আউটকাম। প্যারেটো অপটিমালিটি আর ন্যাশ ইকুইল্ব্রিয়াম সবসময়ে এক নাও হতে পারে। যেমন কিনা কৌশিকবাবুর গেম এ দেখা যাচ্ছে প্যারেটো অপটিমাল সলিউশান হলো, দুজনেই জিনিষটার দাম ১০০ ডলার লিখবে, কারন তাতেই প্রত্যেকের সবচেয়ে বেশী লাভ। আর যেহেতু দুজনেই ১০০ লিখবে, কাজেই ১০০ হলো এক্ষেত্রে প্যারেটো অপটিমাল সলিউশান। আমার মনে হয়, এই  গেমটা রিয়েল লাইফে খেললে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে মানুষরা প্যারেটো অপ্টিমালিটির দিকে ঝুঁকবে, কারন "ইনস্টিংকটিভলি" আমরা চাইবো ১০০র কাছকাছি কিছু যেন পাই। অর্থাত কোল্যাবোরেশান। 
     
    দ্বিতীয় কথা হলো, যদুবাবু যে বললেন ইন্ডিয়া আর বাংলাদেশ দুদিকেই চাড্ডিরা ক্রমাগত একটা ডাউনওয়ার্ড ট্র‌্যাজেক্টরিতে নিয়ে যাচ্ছে, এখানে কিন্তু আমার মতে দুটো দলই নিজেদের ন্যাশ ইকুইলিব্রিয়াম দেখছে, যে আউটকাম বৃহত্তর জনতার স্বার্থের বিরুদ্ধে। অর্থাত ইন্ডিয়ার মৌলবাদী যারা ক্ষমতায় আছে আর বাংলাদেশের মৌলবাদী যারা ক্ষমতায় আছে, তারা দুজনেই ক্ষমতায় থাকতে চায়, আর জানে যে ক্ষমতায় থাকার জন্য ক্রমাগত নিজের নিজের দেশে "aadaar" খুঁজে বার করে যেতে হবে, ক্রমাগত দাংগা লাগিয়ে যেতে হবে। যারা ক্ষমতায় আছে তারা এই গেমটা ঠিকই খেলছে :-)
     
    (বিটিডাব্লু, বাংলাদেশ নামটা ভয়ে ভয়ে লিখলাম, এই শব্দটা দেখেই দীপচাড্ডি এন্তার কপি পেস্ট না শুরু করে দেয়) 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৫১539918
  • মাইক্রো ইকনমিকস শুরু হয় ইনডিফারেনস কারভ থিওরি দিয়ে। কে কি কতটা কিনতে পারে সেটা পকেটের পরিস্থিতি দ্বারা সীমাবদ্ধ কিন্তু কে কোনটা কিনবে সেটা একান্ত অনিশ্চিত । 
  • যদুবাবু | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:২৯539920
  • প্যালারাম, থ্যাঙ্ক ইউ। ভেরিটাসিয়ামের দারুণ দারুণ সব ভিডিও আছে। এইটা দেখিনি। দেখে ফেলবো। যদিও এই লিঙ্কটা খুলছে না। এমনি সার্চ করে দেখি। ঐ লম্বা সময়ের যৌথ সম্পর্কের ব্যাপারটা, যেটা ডিসি-ও লিখেছেন, সেইটাও পড়েছি, তার-ও বিচিত্র সব অ্যাপ্লিকেশন, এক্সটেনশন, উদাহরণ। উইকি শুনলে মানুষ নাক সিঁটকোয় কিন্তু উইকিতেই এক গাদা।
     
    হীরেনদা- ঠিক-ই। আমি অবশ্য এসব খুব সামান্য জানি। একটু কমফোর্ট জোনের বাইরের বিষয় আর কি। ইন্ডিফারেন্স কার্ভ অবশ্য জানি। স্ট্যাট/মেশিন লার্নিং-এর লোকজন আজকাল মডেল ইভ্যালুয়েট করতে ব্যবহার করেন। অবশ্য এই ফিল্ডগুলো কাছাকাছিই ছিলো একসময়। আবার কাছাকাছি আসবে আশা করি। 

    ডিসি, বাঃ বেশ ভালো ভালো দুইখান কথা বললেন। আমাদের এক টার্মে গেম থিওরি পড়তে হয়েছিল। সে আবার এক গাঁজাখোর প্রোফেসর। কিছুই পড়াতেন না। একদিন ক্লাসে এসে একটা আঁকাবাঁকা ইচ্ছামতী নদীর মত গ্রাফ এঁকে বললেন "এই যে ধরো টি ইকুয়ালস টু টি-নট, মানে একদম শুরুতে পৌঁছে গ্যাছো। মনে করো বিগ ব্যাং।" বলে যারপরনাই গম্ভীর মুখ করে চেয়ারে বসে পড়লেন। আমরাও বিগ ব্যাং নিয়ে খানিক চিলুবিলু বললাম। এইসব করে দিন কেটে গেছে। 
     
    প্যারেটো অপ্টিম্যালিটি / এফিশিয়েন্সির কথাটা লেখা উচিত ছিলো। মিনিম্যাক্স/ম্যাক্সিমিনের কথাও। ফেসবুকে এই লেখাটা পোস্ট করেছিলাম, সেখানে এক জুনিয়র ঐ (২,২) সলিউশনের মিনিম্যাক্স/ম্যাক্সিমিন আর্গুমেন্ট-টা গুছিয়ে লিখেছে। ইচ্ছে আছে এর পরে কোনোদিন এই পেপারটার কথা লিখবো (https://www.jstor.org/stable/2006650, A General Equilibrium Model of InsurrectionsHerschell I. Grossman)। তখন ঐ প্যারেটো অপ্টিমালিটি কাকে বলে সেও একটু লিখতে হবে। কিন্তু সেও আমার অফ-স্টাম্পের বহুত বাইরের বল। ব্যাট চালানো ঠিক হবে না। 

    দ্বিতীয় কথাটাও আপনি-ই ঠিক বলেছেন। আমি যে লাইনে ভাবছি সেটা ঠিক ফর্মুলেশন নয় হয়তো। আরেকটু ভাবি। তবে আমি ক্ষমতায় থাকা দলের স্ট্যাটেজি ভাবছিলাম না। আমি ভাবছিলাম একজন সাধারণ লোকের কথা। 
     
    অন্য একটা উদাহরণ দেওয়ার চেষ্টা করি। দেখুন তো এইটা দাঁড়ায় কি না। ধরুন এই আমেরিকায় কি দেশের একজন সাধারণ ভোটার। আমেরিকাই ধরুন, একজন নিম্নবিত্ত লোক রিপাবলিকানদের ভোট দিচ্ছে এটা জেনেই যে ক্ষমতায় এসে রিপাব্লিকানরা আগেই তার সোশ্যাল সেফটি নেটের দফারফা করবে। মানুষ কী করে বা কেন সেলফ-ইন্টারেস্টের এগেইনস্টে ভোট দেয় আমি জানি না। আমিই চিনি এমন মানুষ যিনি কর্মহীন, ইনশিওরেন্স নেই, ক্যান্সার রুগী - তিনিও ট্রাম্পকে সাপোর্ট করেন খুব ভালো করে এইটা জেনেই যে ট্রাম্পের দল হয়তো ঐ ইনশিওরেন্সটাই কেড়ে নেবে যেটা তাকে বাঁচতে দিচ্ছে। আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে মনে হ'য়েছে কোথাও একটা  এও একরকম ট্রাভেলার্স বা প্রিজনার্স ডিলেমা গোছের সমস্যা। নিজের ক্ষতি হচ্ছে হোক। অন্য দল (লিবেরাল/ডেমোক্রাট)-দের তো একটু কাঠি করা গেলো। অবশ্য এখানে অনেককিছু অ্যাজিউম করছি যার কোনোটাই ঠিক না, এবং তাবৎ শোভন্তি মূর্খম ইত্যাদি। বেশি বকলে কতোটা বুঝি না আরও পষ্ট হয়ে যাবে। 

    (আপনি দীপের ভয় দেখালেন, আমি মুদ্রোণ প্রমোদের ভয় দেখিয়ে যাই। এই আম্রিকা টাম্রিকা বললাম এইবার চলে আসবেন। এখানেই ডিঃ দিয়ে রাখি, আমি একদম মেনে নিচ্ছি, ভোট ব্যাপারটা এতো সহজ-সরল না, মানুষে অনেককিছু ভেবেটেবে দেয় আরও কী কী সব আছে, সব-ই চক্কান্ত, চক্কান্ত।)
     
     
  • একক | 2409:4060:409:7616::27ad:***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:১৭539921
  • দারুণ লেখা। কিন্তু অঙ্কের হিসেব থেকে সোশ্যাল মরালিটিকে প্রেডিক্ট করা একটু গোলমেলে ব্যাপার। এইগুলোকে " যতটুকু ততটুকুই " হিসেবে দেখা ইন্টারপ্রেটেনশন এর যায়গা ওপেন রাখা ভালো। 
     
    যেমন উদ্দিষ্ট গল্পে মূল সমস্যা তৈরী করেচে এয়ারলাইন কতৃপক্ষ। তারপর তারা দুজনকে একটা অশৈল প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলে শোষন করচে। এভাবেই, শাসক, তার সাব্জেক্টদের ভয়ংকর প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলে যার রেস্পন্স সিস্টেম হচ্চে তথাকথিত স্বার্থপরতা। আবার, শুধু স্বার্থপরতা তাও নয়, যাস্ট আউট অফ ইন্সিকিওরিটি ও দুজন ভাবতে পারে, যে অন্যজন যদি ২ সিলেক্ট করে তাহলে কী হবে??  এই অবিশ্বাসও শাসকের পয়দা করা পরিস্থিতি।  আদতে দুজন লোক ভিক্টিম। এদিকে তাদেরকেই বলা হয় স্বার্থপর। 
     
    এই রাজনৈতিক জায়গা টা জরুরি, যে আমি কোনদিক থেকে দেকচি, এয়ারলাইন্স না তার ভিক্টিম।  
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:2560:2ce8:a325:***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৫৫539923
  • "আমেরিকাই ধরুন, একজন নিম্নবিত্ত লোক রিপাবলিকানদের ভোট দিচ্ছে এটা জেনেই যে ক্ষমতায় এসে রিপাব্লিকানরা আগেই তার সোশ্যাল সেফটি নেটের দফারফা করবে"
     
    এইটা একটা অসাধারণ দুর্দান্ত উদাহরণ, এ নিয়ে বহু গবেষণা হয়েছে, টক শো হয়েছে, কিন্তু তার পরেও এটা একটা দারুন ইন্টারেস্টিং টপিক (মানে শুধু আমেরিকায় না, বহু দেশেই ভোটাররা নিজেদের স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেন ভোট দেয়, বা অটোক্রেসির পক্ষে কেন ভোট দেয়)। এমনকি, এ নিয়ে যদি আমরা ঠিকমতো রিসার্চ করতে পারি তো অর্থনীতিতে নোবেল অবধি পেয়ে যাওয়ার চান্স আছে laugh
     
    রাতে এ নিয়ে আরও লিখবো। 
     
    আর একক এর সাথে ১৫০% একমত, "এভাবেই, শাসক, তার সাব্জেক্টদের ভয়ংকর প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলে যার রেস্পন্স সিস্টেম হচ্চে তথাকথিত স্বার্থপরতা"। অবশ্য বেটেলগিউসের প্রাণিদের সাথে অমত হবোই বা কিভাবে। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:ed59:2ce8:7ac0:***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:২৫539926
  • আমার মনে হয় প্রশ্নটা এভাবে করা যায়ঃ  
     
    ২০২৪ এর ইলেকশানে একজন ল্যাটিনো ট্রাম্পকে কেন ভোট দিলেন? বা, কোভিড এর পর নানা রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকরা কেন বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল? যখন দুজনেরই জানা যে, যাকে ভোট দিচ্ছেন, সে তাঁর জন্য কিছু করেনি, বরং সে ক্ষমতায় এলে তাঁর দুরবস্থা আরও বাড়তে পারে? (অবশ্য কেউ বলতে পারেন যে প্রশ্নটাই ভুল, কারন সব ল্যাটিনো বা সব শ্রমিক একই প্রার্থী বা পার্টিকে ভোট দেয়নি। তাও, আমি একজন কল্পিত অ্যাভারেজ ভোটার ধরে নিয়েছি কারন বহু ল্যাটিনো বা বহু শ্রমিকই ওভাবে ভোট দিয়েছেন, সেটা ডেটা থেকে জানা যায়)। 
     
    এই ভোটার কি নিজের ইউটিলিটি ম্যাক্সিমাইজ করতে চান, নাকি তিনি যে সোশ্যাল গ্রুপে বিলং করেন সেই গ্রুপের ইউটিলিটি ম্যাক্সিমাইজ করতে চান? (সোশ্যাল গ্রুপ মানে তাঁর ইমিডিয়েট ফ্যামিলি হতে পারে, বা বন্ধুবান্ধব আর কোওয়ার্কারদের গ্রুপ হতে পারে) কে কিভাবে ভোট দিচ্ছেন সে অবশ্যই বৃহত্তর সোশ্যাল ইস্যু, কিন্তু পিওর গেম থিওরেটিক পার্স্পেকটিভ থেকে কি কোন উত্তর পাওয়া যেতে পারে?  
  • r2h | 208.127.***.*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:৫২539927
  • এই জিনিসটায় আমার একটু খটকা আছে - এঁরা কি সত্যিই এঁদের নিজেদের স্বার্থের বাইরে গিয়ে ভোট দিচ্ছেন?

    মানে, স্বার্থ তো বহুমুখী। ধরা যাক আমি আমেরিকায়ঃ
    - সরকারি ভর্তুকির স্বাস্থ্যবীমার সুফলভোগী
    - ধর্মানুভূতি প্রবল
    - ল্যাটিনো
    - কালো বা এশিয়ান পছন্দ করি না
    - কমিউনিস্টদের খোক্কস মনে করি

    অথবা ভারতেঃ
    - মহিলা পরিযায়ী শ্রমিক
    - ধর্মে সংখ্যালঘু
    - স্বল্পশিক্ষিত, জনপ্রিয় নিউজ চ্যানেল কালেভদ্রে, জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল নিয়মিত দেখি
    - বিশ্বাস করি কংগ্রেস চোর

    তো, এইসব ব্যাপার স্যাপার থাকা সম্ভব, কীসের সঙ্গে কী কাটাকুটি হচ্ছে, কতদূর ইনফর্মড চয়েস।

    সেদিন একজনের সঙ্গে কথা হচ্ছিল, যেসব দেশে স্বৈরাচার চলে, সেসব দেশে বিপ্লব টিপ্লব করে গণতন্ত্র হওয়ার পর যখন লোকে দেখে দেশটা স্বর্গরাজ্য হয়ে যায়নি, তখন স্বৈরাচারের স্মৃতি ফিকে হতে হতে লোকে ভাবতে শুরু করে আগের জমানাই ভালো ছিল। হাইতির পরিস্থিতি গত কয়েক দশকে বোধয় কিছুটা ওরকম। আবার সব সময়ই কিছু ভালো জিনিস হয়, যেমন ইমার্জেন্সির সময় যতই ধরপাকড় অবদমন হোক, যার অন্য কোন অসুবিধে হয়নি, সে সময় মত ট্রেন চলে দেখে ইমারজেন্সির সমর্থক হয়ে গেল।

    তো, পার্সেপশনের জটিল খেলা। এসবও নিশ্চয় ফর্মুলায় ধরা হয়, তবে ভাবতে গেলে মাথা ঝিমঝিম করে।

    আর,
    • এই রাজনৈতিক জায়গা টা জরুরি, যে আমি কোনদিক থেকে দেকচি, এয়ারলাইন্স না তার ভিক্টিম।  
    -এর সঙ্গে তো একমত বটেই।
  • dc | 2a02:26f7:d6cc:680d:0:97f6:e88a:***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:০৪539928
  • অবশ্যই, প্রত্যেকের নানারকম সেল্ফ ইন্টারেস্ট থাকে। সেগুলো সব জড়ো করে একটা ইউটিলিটি হিসেবে ধরা যেতে পারে। ধরে নিন একটা ইউটিলিটি ফাংশান আছে যেটা দিয়ে প্রত্যেকের কম্পোজিট  ইউটিলিটি মেজার করা যায়। 
  • Ranjan Roy | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:০৬539940
  • আরেকটা সম্ভাবনা হলেও হতে পারে।
    কথাটা কাল  পিটার ব্রুকসের মহাভারত দেখার  সময় কোন কোন চরিত্রের ব্যবহার দেখে মনে হল।
     
    এক অতল খাদের সামনে দাঁড়িয়ে নিশ্চিত সর্বনাশের দিকে পায়ে পায়ে এগিয়ে যাওয়া।
    আত্মধ্বংসের মোহক আকর্ষণ।
    অজগরের সামনে হরিণ শিশু।
    বা রেপ অনিবার্য জেনে সহযোগিতার মধ্যেই মুক্তি খোঁজা। মাইনরিটি এবং দলিতদের এক অংশের বিজেপিকে ভোট দেয়া।
     
    দেখুন, শান্ত সুস্থির র‌্যাশনাল লজিক সবসময় আলুনি লাগে।
    মানুষ তাৎক্ষণিক আনন্দের মধ্যে মুক্তি খোঁজে।
    তাই ধরা পড়ার সম্ভাবনা 50% এর বেশি জেনেও মানুষ ফাটকা খেলে, রেপ করে, খুন করে।
     
    যে জোর করে চায়,  জোর খাটায় তার প্রতি আকর্ষণ।
    সন্দীপের বিমলার প্রতি আকর্ষণ,  নিখিলেশ আলুনি।
    উনিজীর গলাবাজি আকর্ষক,  মনমোহন সিং আলুনি, মিনমিনে।
    তেমনি ট্রাম্প। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:5977:b183:cb35:***:*** | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:১৯539941
  • রঞ্জনদা, একমত। মানুষের বিহেভিয়ার সত্যিই ভারি ইন্টারেস্টিং আর মাল্টিডাইমেনশনাল, তাকে মডেল করা খুব কঠিন। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৮539942
  • ওই গলাবাজির সঙ্গে লাফালাফি নাচানাচি প্রোমোটও করা হয়, সূক্ষ্ম ও স্থূল দুইভাবেই। এমনি সাধারণ নেতার সভাতেও যে প্যাটার্নে "অমুক চাই, তমুক চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই" বলে হাজারো জনতা আওয়াজ তোলে, সেইও তো ওই নাচেরই মহড়া। লজিকাল বা লজিকাল নয়, সে তো দেখানো হবে না, নাচিয়ে তোলাটাই তখন লক্ষ্য।
  • r2h | 165.***.*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০২:১৪539962
  • রঞ্জনদার কমেন্টটা নিয়ে কিছু বক্তব্য আছে, এখানে অপ্রাসঙ্গিক হবে, ভাটে লিখবো।
  • যদুবাবু | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:০৪539964
  • কালকে সারাদিন দ্দুদাড় দৌড়ের মধ্যে কেটেছে, লিখতে পারিনি আজও ঐরকমই মনে হচ্ছে। তাই ছোটো করে উত্তর দিই। 
     
    এককের সঙ্গে অবশ্যই সহমত। "যতটুকু ততটুকুই" আসল বক্তব্য - যে জন্য এম্পিরিক্যাল এভিডেন্স আর থিওরি মেলে না। এই ফাঁদ চারিদিকে পাতা। আমরা যাই বলি না কেন একটা বেশ খাপে-খাপ থিওরি পেলে মনে হয় যেখানে পারি সেঁটে দিই। এই যেমন মানুষ আদৌ র‍্যাশনালি কিছু করে কি না, বা র‍্যাশনালিটি ইত্যাদির অ্যাজাম্পশন নিয়েও প্রচুর প্রচুর কাজ/বাণীসমগ্র। অনেক কঠিন কঠিন জিনিষ আছে। আর ঐ যেটা বললে যে শাসকের তৈরী করা পরিস্থিতি সেটাও ঠিক। কৌশিক-বাবু মজা করে লিখেছেন বোঝাই যাচ্ছে কেন ঐ ম্যানেজার কর্পোরেট কেরিয়ারে এতো চড়চড় করে উন্নতি করেছেন (প্যারাফ্রেজিত।)
     
    @ডিসি - আমি এই ব্যাপারটা নিয়ে প্রায়-ই ভাবি। বহু লোকের সাথে কথাও বলি। কারণ এই এক প্যাটার্ন বিভিন্ন দেশে দেখি।আমাকে একজন ইতালিয়ান কোলিগ দুঃখ করে বলেছিল যে সেই অলীক কুনাট্য আগেও দেখেছে। সে দেশের অটো ওয়ার্কাররা এক ধারসে বার্লুসকোনিকে ভোট দিয়েছিলেন। আর বার্লুসকোনির একমাত্র কাজ পোলিটিক্যাল ডিসকোর্সের লেভেল এতোটা নামিয়ে আনা যে এখন শুধু ট্রোলিং আর অপমান আর স্লোগান-পাল্টা স্লোগান। সেই শুনে অন্যান্য কিছু দেশের লোক মাথা নেড়ে বললো তারাও দেখেছে। এই এক-ই প্যাটার্ন। দিকে-দিকে। 

    এর গেম-থিওরিটিক বা অন্য কোনো উত্তর আমার নেই, আমার কাছে তো থাকার কথাও না, আমি অতটা রাজনীতি/দুনিয়াদারি/গেম-থিওরি কোনোটাই বুঝি না সত্যি বলতে। আমার শুধু "বুক-ভর্তি কুইজ কনটেস্ট, চোখ ভর্তি জল।" আর ভোটের পরের অ্যানালিসিস দেখে দেখে হেজে যাই প্রত্যেকবার। যেই লোক ভোটের আগে চ্যাঁচাচ্ছে 'অমুকরা সবাই তমুক-কে ভোট দেবেই দেবে', সে-ই দেখি কিচ্ছু মেলেনি তাও একবার-ও সরি-টরি না চেয়ে আবার চ্যাঁচাচ্ছে "কৈ এমনটাই বলেছিলুম কি না।" 
     
    রঞ্জনদা যেটা লিখলেন সেটা ঠিক মানতে ইচ্ছে করছে না। তবে ঐ ম্যাক্স ওয়েবারের ক্যারিশমাটিক অথরিটির কথা মনে পড়লো। ওয়েবার তিন রকম অথরিটি/লিডারের কথা লিখেছিলেন, ট্র্যাডিশনাল, লিগ্যাল-র‍্যাশনাল আর ক্যারিশমাটিক। এই শেষোক্ত ক্যাটেগরির সাপোর্টারদের 'ভক্ত' বললে খুব ভুল হবে না “Men do not obey by virtue of tradition or statute, but because they believe in him.” ওয়েবার এ-ও বলেছিলেন যে they often engage in a cult of personality, criticism as disobedience and expect total loyalty। 
     
    পার্সোনালিটি কাল্ট (উদাঃ মুসোলিনি, হিটলার, লেনিন, স্তালিন, মাও, কিংবা হালফিলের নিয়াজভ) এক আশ্চর্য জিনিষ। কাল্ট কেন আদৌ এগজিস্ট করে সে আমি জানি না। তবে, জ্ঞানীগুণী লোকজন নিশ্চয়ই এইসব নিয়ে অনেক ভেবেটেবে কিছু বের করেছেন। 

    @হুতোদা - আরে লিখেই ফ্যালো। আসলে সব-ই অপ্রাসঙ্গিক। বেশি প্রাসঙ্গিক হলে আবার হি-হু-শুড-নট-বি-নেমড এসে কপিপাস্তা মারতে শুরু করবে। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:55a4:5d3f:f07f:***:*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:১৫539965
  • "আর ভোটের পরের অ্যানালিসিস দেখে দেখে হেজে যাই প্রত্যেকবার। যেই লোক ভোটের আগে চ্যাঁচাচ্ছে 'অমুকরা সবাই তমুক-কে ভোট দেবেই দেবে', সে-ই দেখি কিচ্ছু মেলেনি তাও একবার-ও সরি-টরি না চেয়ে আবার চ্যাঁচাচ্ছে "কৈ এমনটাই বলেছিলুম কি না।" "
     
    একদম, একদম! laugh আজকাল পোস্ট পোল অ্যানালিসিস দেখতে এমন বিরক্ত লাগে, কি বলবো। সিএনএন, এমেসেনবিসি, ফক্স, এবিসি, সব্বাই ভোটের আগে তাদের ক্যান্ডিডেটকে জিতিয়েই ছাড়বে। আর ভোটের পর একদল বলবে, ঠিক এই এই কারনে জিতেছে, অন্যদল বলবে, ঠিক এই এই কারনে হেরেছে। এর বদলে যদি ও জিততো তাহলে ঠিক উল্টো কথাটা বলতো। সবাই সবজান্তা হয়ে অ্যানালিসিস করে। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:55a4:5d3f:f07f:***:*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:১৮539966
  • টিভি চ্যানেলগুলো এই পুরো সেফোলজি জিনিষটা একটা বিরাট বড়ো ফার্সের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে :-(
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:55a4:5d3f:f07f:***:*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:২৫539969
  • ডেমোক্র‌্যাটদের সবকটা টকশো দেখুন, এখন সব্বাই গম্ভীরভাবে বলছে আমাদের মানুষের কথা শুনতে হবে, ঘুরে দাঁড়াতে হবে। ওরে মোজার দল, তোরা কি তাহলে ভোটের আগে মানুষের কথা শুনিশনি? laugh আর রিপাবলিকানদের যা কিছু পেট ইস্যু আছে, সব মানুষ নাকি সেই সব ইস্যুতেই ওদেরকে ভোট দিয়েছে। ট্রান্সজেন্ডার রাইটসের দফারফা, এডুকেশান লোন ওয়েভার কেউ চায়না, সব্বাই গান ক্যারি করতে চায়। কেন? কারন নাকি ট্রাম্প জিতেছে। ওরে মোজারা, ওদিকে ট্রাম্প তো পপুলার ভোট জিতেছে সবচাইতে কম মার্জিনে, সে খেয়াল আছে? এই হলো অ্যানালিসিস এর বহর। 
  • r2h | 165.***.*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৩৮539971
    • যদুবাবু | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:০
    • ...আসলে সব-ই অপ্রাসঙ্গিক। বেশি প্রাসঙ্গিক হলে আবার হি-হু-শুড-নট-বি-নেমড এসে কপিপাস্তা মারতে শুরু করবে। 
     
    :D

    ভাটেই লিখলামঃ)
  • | 146.196.***.*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৫০539972
  • তাহলে শ্যামের লেখা উচিত ৯৮, তাতে করে রাম ৯৯ লিখে থাকলে সে পাবে ১০০ আর রাম পাবে ৯৭। এই শেষের সংখ্যাটা ৯৭ হবে না ৯৬ ? আমি এমনিতেই অঙ্কে সংঘাতিক কাঁচা, ঘাবড়ে গেছি ।
  • যদুবাবু | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৩১539973
  • @উ - এ বাবা তাই তো। আমি তো আরও কাঁচা দেখছি। যোগবিয়োগগুণভাগ অবশ্য কঠিন ব্যাপার। কিন্তু, রাম পাবে ৯৬ আর শ্যাম ১০০। মানে দুজনের মধ্যে ঐ চার টাকার একটা গ্যাপ থাকা উচিত। লোয়েস্ট ভ্যালু + ২ আর - ২। 

    আর থ্যাঙ্ক ইউ ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। আপনি পেলেন ১০০। 
  • | 146.196.***.*** | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:০৩539984
  • জানিনা কতটা প্রাসঙ্গিক, একটা প্রশ্ন বহুবছর ধরে মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। কিছুটা অস্বস্তিও হচ্ছে তবু লিখছি। একটা এক্সপেরিমেন্ট  হয়েছিল শুনেছিলাম. এক মা বাঁদরকে তার বাচ্চার সঙ্গে একটা জলের চৌবাচ্চায় রেখে জল ভরা হ্পয়েছিল সেই চৌবাচ্চায়। প্রথমদিকে মা বাঁদর বাচ্চাটাকে ওপরে তুলে জল থেকে বাঁচাবার চেষ্টা করেছিল, তারপর যখন জল তার নাকের উপরে ওঠে সে বাচ্চাটাকে পায়ের তলায়  ফেলে তার উপর উঠে নিশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এটা নিয়ে কোন গাণিতিক সূত্র আছে কি ?
     
  • Ranjan Roy | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:১৯540005
  • @উ
    ছোটবেলায় শুকতারা বা দেব সাহিত্য কুটিরের পুজো বার্ষিকীতে একটা গল্প পড়েছিলাম।  লেখক বোধহয় সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় অথবা মৃত্যুঞ্জয় বরাট সেনগুপ্ত। 
     
    বাংলার পণ্ডিতমশায় বুড়ো বয়েসে ছেলে হওয়ার পর অপত্য স্নেহে মাত্রাজ্ঞান হারালেন। স্কুলে আসতেন দেরিতে। টিফিনে বাড়ি গিয়ে দেখে আসতেন ছেলে ঠিক আছে তো!
    কিন্ত পড়াতেন খুব ভাল।  অন্ধ মুনির শাপের পর দশরথের কেন দুঃখ হল না সেটা ব্যাখ্যা করতেন।
     
    একবার পূকুরে স্নান করার সময় ছটফটে বাচ্চাটি জলে পড়ে গেল। উনি সাঁতার জানেন না, তবু ঝাঁপ দিলেন এবং তলিয়ে গেলেন। 
    হাসপাতালে জ্ঞান ফিরল। ছেলে বাঁচেনি।
     
     
    পণ্ডিত মশায় এখন ঘড়ি ধরে  ঠিক সময়ে ক্লাসে আসেন। যন্ত্রের মত পড়িয়ে বাড়ি যান। পুজোর আসনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্থাণু হয়ে বসে থাকেন। 
    চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে।
    -- ভগবান,  এ কি সত্যি?
     
    জানতে পেরেছেন যে জলে ডোবার পর অজ্ঞান। অবস্থায় বাঁচার  আকুল চেষ্টায়  নিজের বাচ্চাকে দুপায়ের চাপে কাদায় পুঁতে  দিয়েছিলেন। 
  • | 146.196.***.*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:১৪540014
  • তাহলে মানুষের সত্যিকারের পরিচয় কোথায় ? একজন স্নেহময়, দায়িত্বশীল মানুষ, যিনি আজীবন সব স্বার্থত্যাগ করে সন্তান প্রতিপালন করেছেন তাঁর সমস্ত জীবনের সাধনা ভালোবাসা সব মিথ্যে হয়ে যাবে যদি তিনি কোনদিন শুধু প্রাণ বাঁচানোর জন্য ইন্সটিংক্ট এর বশবর্তী হয়ে সেই সন্তানেরই নৃত্যু বা অপূরণীয় ক্ষতি করে বসেন ? আবার এও হয়, যে ভীতু মা কথায় কথায় নিজের বাচ্চাকে মারধোর করে মৃত্যুকামনা করে সেই হঠাৎ বাঘ আক্রমণ করলে নিজে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণ দিয়ে বাচ্চাকে বাঁচায় ?
  • যদুবাবু | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০১:৩৯540015
  • উফ, কী ভীষণ গল্প। শুকতারায় বেরোয়নি নিশ্চয়ই। ওটা তো বেশ একটা শিশুতোষ কলকাকলি মার্কা পত্রিকা ছেলো। 
     
    একটা পেডান্টিক ঘ্যানঘ্যান করেই যাই। আমার মতে, "গাণিতিক সূত্র" মানে যদি ইকোয়েশন বা এক্সপ্রেশন বোঝানো হয়, এই ট্রাভেলার্স ডিলেমা বা প্রিজনার্স ডিলেমা দুটোর কোনোটাই সেই অর্থে সূত্র নয় মনে হয়। এগুলোকে "মডেল" বলে তাও চালানো যেতে পারে। মডেল ভুল হয়, মেলে না, এক মডেলের বিকল্প আরেক উন্নততর মডেল হয়, "অল মডেলস আর রং, সাম আর ইউজফুল" ইত্যাদি প্রভৃতি। সূত্র সেদিক থেকে অনেকটা অবিনশ্বর তালতলার চটির মত, বা অনাদি কেবিনের মত। এই যেমন, eπi + 1 এর মান শূন্যই থেকে যাবে। সে আর ঘুরে দাঁড়াবে না। 
  • Ranjan Roy | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:০৯540016
  • ,না  যদুবাবু,
    পঞ্চাশ এবং ষাটের দশকের শুকতারা, মানে যতদিন সাহিত্যিক নৃপেন্দ্রকৃষ্ঞ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদক ছিলেন, ততদিন অমন শিশুতোষ ছিল না। বেশকিছু নামজাদা সাহিত্যিক লিখতেন।
    দুজনের নাম মনে পড়ছে: অনুবাদক সুধীন্দ্রনাথ রাহা এবং সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়।
    সম্পাদকীয় ছিল "দাদুমণির চিঠি"।
    তাতে কিশোর মনে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা থাকত।
    কমিকস্ বলতে শুধু হাঁদা ভোঁদা। বাঁটুল (আমার অপছন্দের) অনেক পরের।
    দেশভাগের উপর সুধীন্দ্রনাথের ধারাবাহিক উপন্যাস "সেদিন  যারা আপন ছিল "।
     
    তখন শিশুসাথীর সম্পাদক ছিলেন নাট্যকার দিগিন্দ্রচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। নীহাররঞ্জন গুপ্তের (কিরীটি রায় স্রষ্টা) বাদশা ধারাবাহিক (পরে কালী ব্যানার্জি বিকাশ রায় অভিনীত সুপারহিট) গোড়ায় এখানেই বেরোত।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:3088:e97c:98cf:***:*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:১৮540017
  • রঞ্জনদা, এই আলোচনাগুলো ভাটে করতে পারেন :-)
  • Ranjan Roy | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:৫৮540034
  • এই চমৎকার টইকে লাইনচ্যুত করার জন্য দু:খিত।
    বুড়া হইছি। আজাইরা প্যাচাল পাড়ি। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:19d:310c:6733:***:*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:২২540035
  • দুঃখিত হবার কি আছে :-) 
  • | 146.196.***.*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৩540036
  • রঞ্জনদা 
     
    একটু কথা বলতে চাই । আমার মোবাইল নাম্বার ৯৯১০২৮০২০৩। একটু সময় করে যদি একটা মেসেজ করেন । খুব ভালো হয়।
  • PRABIRJIT SARKAR | ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:১৪540047
  • গেম থিওরি যেটুকু জানি বা শুনি তাতে সবাই রাসানাল এবং নিজের সুখ বা লাভ খোঁজে। ইকুইলিব্রিয়াম আছে ধরে আলোচনা হয়। বাস্তবে মানুষ কতটা রাসানাল সন্দেহ আছে। ডিসইকিউইলিব্রাম লেনদেন হয়। সমাজ সংস্কার জাত পাত ভয় এসব ভোটে থাকে। ভোটের আগের দিন বিরিয়ানি খাওয়ালেও অনেকে কৃতজ্ঞতায় ভোট দেয়। brexit ভোটের দিন কেমব্রিজ থেকে হিথ্রো যাচ্ছিলাম। ট্যাক্সি চালাচ্ছিলেন একজন শ্রীলঙ্কার লোক। বললাম কাকে ভোট দিলে? সোজা জবাব ব্রেক্সিট এর পক্ষে। কেন? ইস্ট ইউরোপের মাফিয়াতে নাকি দেশটা ভরে গেছে! এরকম প্রচার ও ভোটে থাকে। ভারতে মুসলিম বিদ্বেষ বিজেপির পালে হাওয়া দেয়।মডেল করতে যে স্টাইলাইজড ফ্যাক্ট নেয় সেগুলো খুবই সরলিকৃত। বাস্তব গেম থিওরির খেলা নয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন