গঙ্গা বংশের পতনের পর চালুক্যদের অধীনে থাকা হয়সালারা বর্তমান কর্ণাটকে সক্রিয় শাসক হয়ে ওঠে। ~১০৯৬ সালে সেই হয়সালা রাজ্যের রাজধানী ছিল এই বেলুর। হয়সালা বংশে বিষ্ণুবর্ধন প্রথম চালুক্যদের থেকে নিজেকে স্বাধীন ঘোষণা করে ১১০০ সালে বেলুরে চেন্নাকেশব [বিষ্ণু] মন্দির বানান। তারপর বেলুর দক্ষিণ কাশী নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। এরপর নরসিংহ , দ্বিতীয় বল্লালের আমলে দোরসমুদ্র [বর্তমানে যা হালেবিদু ] বানিয়ে সেখানে রাজধানী সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ~১৩০০ সালে দিল্লি খিজি সুলতানদের মালিক কাফুর হালেবিদু আক্রমণ করলে তৃতীয় বল্লাল বেলুরে আশ্রয় নেন। আরো দশ বছর বাদে মহম্মদ বিন তুঘলকের সেনা হয়সালা রাজ্য দখল করলে তৃতীয় বল্লাল মাদুরাইতে পালিয়ে যান। ~১৪০০ সালে হরিহর বিজয়নগর রাজ্যের প্রবর্তন করেন এবং সমগ্র হয়সালা অঞ্চল বিজয়নগরে ঢুকে যায়।
খাজুরাহোর সঙ্গে পার্থক্য - শিখর নেই। ভূমিজ ঘরানার স্থাপত্যে শিখর থাকে না।
জাগতি বলে মঞ্চের ওপর অধিষ্ঠান , ভিত্তি এবং ছাদ।
মূল চৌহদ্দির মধ্যে আছে আরো কিছু মন্দির , পুকুর , ধানগোলা , চাতাল ইত্যাদি।
ঢোলবাদনরত।
এগুলি ছোট ছোট মন্দিরের গায়ে আছে।
বংশীধারী
বরাহ অবতার
অন্যরকম পাথরের খোদাই
শিবের ভৈরব মূর্তি
মহিষাসুরমর্দিনী
যুদ্ধসাজ
ধনুক
ঢোল তখন একটা জনপ্রিয় বাজনা ছিল যা দেখা যাচ্ছে
প্রধান মন্দিরের পেছন দিক
শিবের গজসংহারমূর্তি।
হিরণ্যকশিপু।
ব্রম্ভা এই একটিমাত্র। সঙ্গে বরাহ অবতার।
সৈন্যবাহিনী
কৈলাস পর্বত মাথায় রাবণ অনুগ্রহ। এলিফ্যান্টায় যেমন আছে।
হয়সালা মন্দিরের প্রধান আকর্ষণ মন্দিরের সিলিংয়ে থাকা মদনিকাগুলি। এখানে বীণা বাদনরতা।
বাঘকে খালি হাতে মারছেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা সাল। এই কিংবদন্তী থেকেই বংশের নাম হয়সালা।
মন্দিরের ছাদে থাকা নবরঙ্গের কেন্দ্রে হিরণ্যকশিপু।
মদনিকাদের ত্রিভঙ্গ , ভরতনাট্যম , ওড়িশি ইত্যাদি নাচের ভঙ্গি।
রাজদরবার হতে পারে
প্রতিটি ফ্রেমের মূর্তিভঙ্গিমা আলাদা
আরো উদাঃ
পুকুর
হয়সালাদের এরকম আরো দুখানা মন্দির আছে হালেবিডুতে আর মাইসোরের কাছে সোমনাথপুরায়। এএসআই জাদুঘরও হালেবিডুতে। বড় সমস্যা , মন্দিরগুলোতে পুজো এএসআই বন্ধ করেনি বা করতে পারেনি। ফলে ভিতরে ব্যবসা অব্যাহত। বাইরে চটি রাখার ব্যবস্থাও দুপাঁচদশ টাকার বিনিময়ে। টিকিট নেই।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।