এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে

  • পুরোনো দিল্লি /১

    দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ | ৮২৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের আগে পান্ডবরা পাঁচটা গ্রাম কৌরবদের কাছে চেয়েছিল - বাগপত , তিলপত , সোনেপত , পানিপত , ইন্দপত। শেষের এই মহাভারতের ইন্দ্রপ্রস্থ বা ইন্দপতই দিল্লি এককালে ছিল কিনা তা নিয়ে এখনো নানারকম প্রত্নকার্য চলছে। অত পিছনে না গিয়েও পুরোনো দিল্লি বলতে যেটুকু সাধারণ চোখে দেখা যায় , সেটার পত্তন ১১০০ সালে। তার আগে এই অঞ্চলে তোমার রাজপুত বংশের অনঙ্গপাল লাল কোট কেল্লা স্থাপন করেছিলেন। সেই দ্বিতীয় অনঙ্গপালই উদয়গিরির থেকে লোহার স্তম্ভ তুলে এনে লাল কোটের ভেতর পুনর্স্থাপন করেছিলেন মনে করা হয়। এর পর ১১০০ তে পৃথ্বীরাজ চৌহান তোমারদের হারিয়ে লাল কোট দখল করে নাম দিলেন রাই পিথোরা। বর্তমানে কুতুব মিনারের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা এই রাই পিথোরার ধ্বংসাবশেষই দিল্লির প্রথম শহর। এই রাই পিথোরার অবশেষ ভালভাবে সংরক্ষণ করার মত অবস্থায় পাওয়া যায়নি। 
     
    তুর্কেস্তানের কুতুব উদ্দিন আইবককে ছোটবেলায় দাস হিসেবে কিনে নিয়েছিলেন আফঘানিস্তানের ঘজনীর ঘুরিদ বংশের মহম্মদ ঘোরী। কিছুদিন পর ঘুরিদদের রাজ্যপাট বিস্তারের অংশ হিসেবে , মহম্মদ ঘোরীর দাস সেনাপতি হিসেবে সেই কুতুবুদ্দিন আইবক দিল্লিতে পৃথ্বিরাজকে হারালেন। মহম্মদ ঘোরী গুপ্তহত্যায় মারা যাবার পর কুতুবুদ্দিন দিল্লির সুলতান হলেন ~১২০০ সালে। শুরু করলেন দাস বংশ। 
     

    দিল্লীর মেহরৌলিতে কুতুব মিনার তৈরী হল।
     
    এই মিনারের একতলা বানিয়েছিলেন কুতুব উদ্দিন আইবক , পরের তিনটে তলা বানিয়েছিলেন তার জামাই ইলতুৎমিশ , কিন্তু একবার বাজ পড়ে চতুর্থ তলা নষ্ট হয়ে গেছিল। সেটাকে সারিয়ে পরে ফিরোজ শাহ তুঘলক আরো দুটো তলা বানিয়ে দেন। একদম ওপরে তিনি একটা ঢাকা গম্বুজও বানিয়ে দিয়েছিলেন। বৃটিশ আমলে সেটাকে তুলে একটা ছত্রী বসানো হয়েছিল। কালক্রমে আরো একবার ছত্রীতে বাজ পড়ায় ভাইসরয় হার্ডিঞ্জ ছত্রীটাকে সরিয়ে দেন। 
     
    এই ইলতুৎমিশকেও ছোটবেলায় দাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। দিল্লির বাজার থেকে যখন কুতুব উদ্দিন আইবক তাকে কিনেছিলেন , কুতুব উদ্দিন আইবক নিজেও স্বাধীন ছিলেন না। কিছুদিন পর পাঞ্জাবের এক জনজাতির বিদ্রোহ ঠেকানোয় খুশি হয়ে মহম্মদ ঘোরী কুতুব উদ্দিন আইবকের আগেই ইলতুৎমিশকে দাসত্ত্ব থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। 
     

    ইলতুৎমিশ কুতুব মিনার বানানো শেষ করার পর তার পাশে অন্য কিছুও গড়ে তুলেছিলেন। এখন সেগুলোর ছাদটা ধ্বসে গিয়ে কটা স্তম্ভ দাঁড়িয়ে আছে। 
     
    কুতুব মিনার চত্ত্বরে ইলতুৎমিশের আয়তাকার সমাধি ও মসোলিয়াম
     
    কুতুব মিনার চত্ত্বরে দ্বিতীয় অনঙ্গপালের তুলে আনা লোহার স্তম্ভ। এখনো মরচে ধরেনি ইত্যাদি। 
     
    অনঙ্গপালের স্তম্ভের গায়ের লিপির অনুবাদে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের প্রশস্তি। 
     
    ইলতুৎমিশ মারা যাবার পর তার মেয়ে রাজিয়া প্রথম এবং একমাত্র নারী হিসেবে দিল্লির সুলতানা হন। তার ভাই রুকনুদ্দিন তাকে সহজে সুলতানা হতে দেননি। এই সমস্ত ইতিহাস জুড়েই ক্ষমতার হস্তান্তরে প্রচুর রক্তপাত আছে। একসময় পর্দা প্রথা উড়িয়ে আম দরবারে রাজিয়া পুরুষের পোশাকে হাজিরও হলেন। লাহোরের রাজ্যপাল তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন। সেটা সামলাতে গিয়ে রাজিয়া মারা পড়লেন। ধনীরা দিল্লির মসনদে নিজেদের ইচ্ছেমত পুতুলদের বসাতে থাকল। 
     
    ~১৩০০র শেষ দিকে দিল্লির শাসনভার গেল আলাউদ্দিন খিলজির হাতে। তিনি কুতুব মিনার চত্বরে আলাই মিনার তৈরী শুরু করেছিলেন। 
     

    আলাই মিনারের ব্যাস কুতুব মিনারের দ্বিগুণ 
     
    এই মিনার শেষ করতে না পেরেই আলাউদ্দিন মারা যান। তার বংশধররা এটা শেষ করতে কোনো আগ্রহ দেখাননি। 
     
    এই দাসবংশ এবং আলাউদ্দিন খিলজীর সময়কালে সমান্তরালভাবে এশিয়ার অন্য অংশ শাসন করত মোঙ্গলরা। তাদেরও চোখ ছিল দিল্লি সমেত উত্তর ভারতের দিকে। মঙ্গোল আক্রমণ বাড়তে থাকায় আলাউদ্দিন পুরো কুতুব মিনারকে ঘিরে গড়ে ওঠা তৎকালীন দিল্লিকে কেল্লার প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেন। এই কেল্লার নাম দিলেন সিরি কেল্লা। 
     
    সিরি কেল্লায় ঢোকার জন্য বিখ্যাত আলাই দরজা। স্থাপত্য বিশেষজ্ঞদের মতে এই আলাই দরজা ভারতের ইসলামিক স্থাপত্যের ইতিহাসে প্রথম ঠিকঠাক আর্চ। 
     
    সন্ধ্যেবেলা আলাই দরজা সমেত কুতুব মিনার 
     
    সিরি কেল্লার জলের চাহিদা মেটাতে কিছু দূরে আলাউদ্দিন খিলজি হজ খাস বলে একটা পুকুর কাটিয়েছিলেন। বর্তমানে সেটাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে হজ খাস ডিয়ার পার্ক হিসেবে খ্যাত দিল্লির এক প্রধান পার্ক। 
     
    ~১৩২০ , খুশরো শাহের সেনা অভ্যুত্থানে খিলজীরা ক্ষমতা হারালেন। খুশরো শাহকআবার সেই সিরি চলে গেল গিয়াসুদ্দিন তুঘলকের হাতে। তিনি মেহেরৌলি ছেড়ে তৈরী করলেন একটু দূরে তৈরী করলেন দিল্লির তৃতীয় পাঁচিলঘেরা শহর - তুঘলকাবাদ। 
     

    অষ্টভুজাকৃতি তুঘলকাবাদের ভেতরে একটি ছোট কেল্লা , প্রাসাদ ছিল। এটা তুঘলকাবাদের বাইরের পাঁচিলে দাঁড়িয়ে তোলা , সামনে তুঘলকাবাদের কেল্লা। কেল্লা ছাড়া সাধারণ প্রজাদের বাড়িগুলো বাঁদিকের জঙ্গলের পেটে চলে গেছে। 
     
    তুঘলকাবাদে মাটির নিচে মিনা বাজার 
     

    তুঘলকাবাদ কেল্লার সবথেকে উঁচু জায়গা থেকে বাকিটা 
     
    তুঘলকাবাদ কেল্লার উল্টোদিকে ঘিয়াসুদ্দীন তুঘলকের সমাধি ও মসোলিয়াম। সেসময় কেল্লা থেকে ওখানে সরাসরি যাবার জন্য মাটির নিচে রাস্তা ছিল। কেল্লার মিনা বাজারের সঙ্গেও সেই রাস্তা যুক্ত ছিল সাতশো বছর আগে। এখন পাথর চাপা পড়ে বাকিটা বন্ধ। 
     
    তুঘলকাবাদ থেকে বেরিয়ে রাস্তা পেরিয়ে সমাধির দিকে। এই সমাধির চারপাশও এক কেল্লার আদলে তৈরি , উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। 
     
    লাল পাথরে তৈরী ঘিয়াসুদ্দীন তুঘলকের সমাধির মসোলিয়াম। পিছনে আকারে ছোট তার সেনাপতি জাফর খানের সমাধি। 
     
    কিছুটা ট্রাপিজিয়াম আকৃতি। এরকম জ্যামিতিক মসোলিয়াম একটাই দেখেছি এযাবৎ। 
     

    সমাধি মসোলিয়ামের কেল্লার অর্ধবৃত্তাকার পাঁচিল এবং তুঘলকি স্টাইলের স্টোনহেঞ্জ 
     

    মসোলিয়ামের গম্বুজের ছাদে পায়রার দল 
     
    তখনও দিল্লিতে মঙ্গোল আক্রমণের ভয় ছিল। এই তুঘলকাবাদ বানানো নিয়ে ঘিয়াসুদ্দীন এতই মেতে গেছিলেন [পাতি বাংলায় অবসেসড] যে তৎকালীন বিখ্যাত সুফী সাধক নিজামুদ্দিন আউলিয়াকে তিনি তার প্রিয় কেল্লার ভেতর একটা বাওলি[জলাধার] কাটতে দেননি। নিজামুদ্দিন আউলিয়া ক্ষেপে অভিশাপ দিয়েছিলেন - ঘিয়াসুদ্দিনের সাধের তুঘলকাবাদ একদিন পরিত্যক্ত হবে। 'দিল্লি এখনো বহু দূর' -  এই লব্জও নাকি অভিশাপের অংশ ছিল। তখন ঘিয়াসুদ্দীন বিষয়টা গুরুত্ত্ব দেননি মনে হয় , কালক্রমে বাংলা জিতে ফেরার সময় দিল্লি থেকে বহুদূরেই এক তাঁবু চাপা পড়ে ঘিয়াসুদ্দীন মারা যান। তার চার বছরের মধ্যে তুঘলকাবাদ খাঁ খাঁ হয়ে যায়। 
     
    এই তাঁবু চাপা পড়ে মারা যাওয়াটা অস্বাভাবিক। দুষ্টু লোকেদের মতে দুর্ঘটনাটা তার ছেলে , মানসিক অসুস্থতার জন্য এখনো ভারতবিখ্যাত মহম্মদ বিন তুঘলকের নির্দেশে ঘটেছিল। 
     
    ক্রমাগত মঙ্গোল আক্রমণে বিরক্ত হয়ে মহম্মদ বিন তুঘলক তার বিখ্যাত তুঘলকি কায়দায় একসময় রাজধানী সরিয়ে নিয়ে চলে গেলেন দাক্ষিণাত্যের দৌলতবাদে। সাত বছর পর জলের সমস্যায় আবার ফিরেও এলেন। দিল্লি ফিরে আসার পরে আর পরিত্যক্ত তুঘলকাবাদে ঢুকলেন না। সিরি , লাল কোট এবং তুঘলকাবাদ মিশিয়ে বাকি যাবতীয় ফাঁকা জায়গা নিয়ে তৈরী করলেন জাঁহানপনা বলে এক নতুন শহর। তুঘলকাবাদের অদূরে গড়ে ওঠা আদিলাবাদ দিল্লির এই চতুর্থ শহরের অংশ ছিল। বর্তমানে আদিলাবাদও বহুদিন পরিত্যক্ত। 
     
    ~১৩৫১ , মহম্মদ বিন তুঘলক মারা যাবার পর দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলক যমুনার ধারে আরেক নতুন শহর তৈরী করলেন - ফিরোজাবাদ। সেখানকার প্রাসাদ ফিরোজ শাহ কোটলায় পাঞ্জাবের আম্বালা থেকে এক অশোক স্তম্ভ এনে পুনর্স্থাপন করা হয়েছিল। 
     

    অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের পাশে ফিরোজ শাহ কোটলার ধ্বংসাবশেষ। 
     
    এই তিনতলা পিরামিডাকৃতি বাড়ির ওপরে আম্বালার অশোক স্তম্ভটা স্থাপন করা হয়েছিল। এছাড়াও ফিরোজ শাহ তুঘলক মিরাট থেকেও আরেকটি অশোক স্তম্ভ তৎকালীন দিল্লির অন্য এক জায়গায় স্থাপন করেছিলেন। 
     
    ফিরোজ শাহ কোটলার ভেতরের জামি মসজিদ। ছাদ ধ্বসে গেছে বহুকাল। 
     

    সন্ধ্যে নামছে 

    এই কেল্লার পাশাপাশি ফিরোজ শাহ হজ খাস সংলগ্ন এলাকায় খিড়কি মসজিদ , হজ খাস মাদ্রাসাও স্থাপন করেছিলেন।
     
    হজ খাস এলাকায় ফিরোজ শাহ নিজের মসোলিয়ামও আগে থেকেই বানিয়ে রেখেছিলেন। সেখানেই তাকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। 
     

    পাঁচিলের ওপারে এককালের হজ খাস গ্রামটি এখন পরিণত হয়েছে পানশালা , বিদেশী পর্যটকদের এয়ার বিএনবি ইত্যাদি শুদ্ধ এক জমাটি জায়গায়। 
     
    হজ খাসের ভেতর এই T আকৃতির স্বতন্ত্র ইসলামিক স্থাপত্যও দেখা যায়। এর ভেতরে কোনো সমাধি নেই , অর্থাৎ পুরাবিদদের মতে এই বাড়ি অন্য কোনো কাজে ব্যবহৃত হত।  
     
    এইসব নিয়ে দিল্লি নামকরা শহর হয়ে উঠছিল কিন্তু ১৩৯৮ সালে তৈমুর লঙ শেষ পর্যন্ত দিল্লি আক্রমণ করলেন।   
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ | ৮২৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ০২:০৮527951
  • চলুক
  • kk | 2607:fb91:1481:4b77:45d2:e6f8:e9b8:***:*** | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ০২:২০527952
  • হ্যাঁ চলুক। দীমুর লেখাগুলো লেখা, ছবি, ইতিহাস, গল্প, আর্ট মিশিয়ে খুব রিচ হয়। জাদুঘরের লেখাটা আমার এখনো পুরো পড়া হয়ে ওঠেনি। এইসব লেখা তাড়াহুড়ো করে পড়লে চলেনা। অনেক সময় দিয়ে বুঝে বুঝে, তারিয়ে তারিয়ে পড়তে হয়।
  • :|: | 174.25.***.*** | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫৭527954
  • এখানে যে অনঙ্গপালের কথা বলা হয়েছে ইনি কি শরদিন্দুর ইতিহাসাশ্রিত "তুমি সন্ধ্যার মেঘ" উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র?  
  • dc | 2401:4900:7b9e:963c:d9c7:b2de:80c6:***:*** | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:০২527955
  • দারুন লাগছে পড়তে। তবে কিনা যদি সম্ভব হয় তো পুরানো দিল্লির খাওয়ার কথাও লিখবেন। দিল্লির গলির খাবারের কথাআর মোগলাই খানার কথা ভাবলেও জিভে জল আসে :-)
  • b | 117.194.***.*** | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৪০527956
  • 'ইয়া বসে গুজর , ইয়া রহে উজার ' (হয় পশুপালকেরা থাকবে নয়তো একেবারে ধূ ধূ  করবে),  নিজামুদ্দিনের অভিশাপ , তুঘলকাবাদ   নিয়ে । 
  • | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৪০527957
  • ইশ ১৮-১৯ বছর আগেকার ঘুরে ঘুরে দেখার স্মৃতি হুড়মুড়িয়ে এলো। পুরানো দিল্লি একটা প্রচন্ড ইন্টারেস্টিং জায়গায়। দীপাঞ্জনের লেখাগুলো সত্যিই খুব কম্প্যাক্ট হয়। মেদহীন ঝরঝরে লেখা অথচ সমস্তরকম  তথ্য  দেওয়া। 
  • দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:২৭527961
  • অনেক ধন্যবাদ দদি , যোষিতাদি , কেকে , ডিসি , :|: , b
     
    :|:, আমার ঠিক মনে নেই। তবে ওই অনঙ্গ মনে হয় কাল্পনিক চরিত্র। এই দ্বিতীয় অনঙ্গপাল তোমার আলাদা। 
     
    dc, পরের পর্বে অল্প লিখেছি। দদির ভাটে দেওয়া লেখাটা এই বিষয়ের ওপর বেশি ভাল এবং বিশদে। না খেয়ে থাকলে পরে করিমের শিরমলটা একবার চেষ্টা করতে পারেন। যদিও দোকানের নাম দিয়ে বিশেষ লাভ নেই কারণ এক নামের দুতিনটে করে দোকান আছে আর সবাই দাবি করে তারাই আদি করিম। 
     
    b, হ্যাঁ এটাই হবে। লিখিত আকারে ওখানে ASI র প্লেকে অভিশাপটা দেখিনি। 'দিল্লি এখনো অনেক দূর' এটা মনে হয় মারা যাবার সময় বলেছিলেন। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন