এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • গল্পগাছা#১  

    Prasun Das লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৫৭ বার পঠিত
  • টানেল

    যেন কালো অন্ধকার আমাকে গিলে খেতে আসছে। কিসব যান্ত্রিক শব্দ হচ্ছে আমার চারপাশে। কানের কাছে ফিসফিস শব্দ। কেউ কি কিছু বলতে চাইছে? চোখ বন্ধ করে বসে আছি আমি। মাঝে মাঝে শব্দগুলো একদম নিশ্চিহ্ন। এত চুপচাপ চারিদিক যে গা শিরশির করে উঠছে। ও কিসের শব্দ। নাহ্, নিজের হৃদপিণ্ডের ধুকপুকানি শুনে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। বেঁচে আছি তাহলে!

    ওই আবার শুরু হলো অপার্থিব শব্দ। ঠিক আমার পিছনে কাঁচ-এর জানলার ওপারে। নাকি এপারেই? কিছুই বুঝতে পারছিনা। সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে.....
    নিজেকে একটু গোছাবার চেষ্টা করলাম। প্রথম থেকে মনে করার চেষ্টা করলাম পর পর ঘটনা গুলো।

    মিনিট চল্লিশ আগে:
    আজও বেরোতে একটু দেরি হয়ে গেল। সারারাত ধরে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে। এখনও টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ে চলেছে গোমড়ামুখো আকাশ থেকে। শনিবারের বিরক্তিকর সকাল। টোটো ধরে বালীখাল, তারপর বাস ধরে দক্ষিণেশ্বর। বাস থেকে নেমে দেখি আর বাকি তিন মিনিট। বেশ জোরেই বৃষ্টি নেমেছে এখন। কিন্তু, সাতটার প্রথম মেট্রোটা না ধরতে পারলে কপালে দুঃখ আছে। অগত্যা, দৌড়.....
    কোনরকমে কম্পার্টমেন্ট এর মধ্যে শরীর টা গলিয়ে দিতেই দরজা বন্ধ হয়ে গেল। যাকবাবা, আজকের লেট টা বাঁচাতে পারবো মনে হচ্ছে।

    ট্রেনে লোক প্রায় নেই বললেই চলে। শনিবার স্কুল ছুটি, অফিসও অনেকের ছুটি থাকে। তার ওপর এরকম দুর্যোগপূর্ণ সকাল। কিছু অভাগা ছাড়া ফার্স্ট মেট্রো মোটামুটি ভুতুড়ে ফাঁকা।

    কাল রাতে ভালো ঘুম হয়নি। ভেবেই নিয়েছি অন্তত গোটা কুড়ি মিনিটের একটা ভালো ঘুম দেব। ট্রেন যথা সময়ে ছাড়ার পর লক্ষ্য করলাম ট্রেনের এই দ্বিতীয় কম্পার্টমেন্টে আমি একাই। দুপাশের বগিগুলোতেও একটু উকিঝুকি মেরে দেখলাম.. ও বাবা, পুরো ফাঁকা। যাকগে, এরকম আবহাওয়ায় এটাই স্বাভাবিক। বৃষ্টি বেশ জোরেই হচ্ছে। কাঁচের জানলার উপর জলের আঁকিবুকি দেখতে দেখতে কখন চোখ লেগে গিয়েছিল বুঝতেই পারিনি।

    হঠাৎ ঘুমটা ভেঙে গেল। তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখে বাইরের দিকে তাকিয়ে দেখে মনে হল নোয়াপাড়া পেরিয়ে গেছি। উল্টো দিকের সিটে চোখ পড়তে দেখলাম একটি লোক বসে। এক মুখ সাদা দাড়ি। চুলও সেরকম সাদা। পোশাক-আসাক সাধারণ। বয়স ষাটের কাছাকাছি মনে হলো। এ পর্যন্ত সবই সাধারণ, তবে যেটা চোখে পড়ল সেটা তার চাহনি। উজ্জ্বল চোখ জোড়া সটান তাকিয়ে আমার দিকে আর গোঁফ দাড়ির ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে এক স্মিত হাসি।

    আমি সেরকম পাত্তা না দিয়ে আবার ঘুমানোর চেষ্টায় চোখ বুজলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই দমদমের আগে যে ছোট আন্ডারপাস আছে সেটায় ট্রেন প্রবেশ করলো বুঝতে পারলাম। একটু পরেই আন্ডারপাস দিয়ে বেরিয়ে দমদম স্টেশনে ট্রেন ঢুকবে।

    কিছু একটা অসস্তি হচ্ছে অনুভব করছি, কিন্তু সেটা যে কি সেটা বুঝতে পারছি না। হটাৎ মনে হলো আন্ডারপাসে ট্রেন ঢুকেছে বেশ কিছুক্ষন হলো। এখনও বের হলাম না কেন! ট্রেনের গতিবেগ ভালোই, মোটামুটি ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ সেকেন্ডে ট্যানেল পেরিয়ে যাওয়া উচিৎ। চোখ খুলে দেখবো ভাবছি, ঠিক তক্ষুনি, কানের কাছে কে যেন ফিসফিস করে বলল, "একদম চোখ খুলবে না"

    বর্তমান:

    আমি বুঝতে পারছি কিছু একটা ঘটছে আমার চারদিকে। সাহস করে চোখ খুলতে পারছি না। কিসব যান্ত্রিক শব্দ হচ্ছে আমার চারপাশে। কানের কাছে ফিসফিস শব্দ। ট্রেনের গতিবেগ অসম্ভব বেড়ে গেছে। পুরো কম্পার্টমেন্টটা থরথর করে কাঁপছে। খেয়াল করলাম যান্ত্রিক শব্দের পাশাপাশি কিছু অযান্ত্রিক অপার্থিব শব্দ কানের কাছে আসছে আবার দূরে চলে যাচ্ছে। যেন সেই শব্দ গুলোকে ট্রেন প্রচণ্ড গতিবেগে পেরিয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে শব্দগুলো একদম নিশ্চিহ্ন। এত চুপচাপ চারিদিক যে গা শিরশির করে উঠছে। উত্তেজনায় আর থাকতে না পেরে চোখ খুললাম।

    ট্রেনের মধ্যে একটাও লাইট জ্বলছে না। কিন্তু, ওই অন্ধকারের মধ্যেও কাঁচের জানালা দিয়ে একটা অদ্ভুত আলোর আভা মাঝে মাঝে আসছে। ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম যেন মনে হচ্ছে প্রচণ্ড ঝড় হচ্ছে বাইরে। টানেলের মধ্যে এসব কি হচ্ছে? কি ওগুলো? কোথায় নিয়ে যাচ্ছে এ ট্রেন? কিছুই বোধগম্য হচ্ছেনা। আমি আর চিন্তা করতে পারছিনা। শুধু অনুভব করছি একটানা গোঁ গোঁ করে যান্ত্রিক শব্দ আর তারসঙ্গে ট্রেনের কাঁপুনি।
    খেয়াল করলাম ওই লোকটাও নেই সামনের সিটে। কেন জানিনা মনে হলো ওই লোকটা কিছু জানে অথবা জড়িত এই ঘটনার সঙ্গে। আমার কানের কাছে কি ফিসফিস করে ও-ই কথা বলেছিল? সামনে প্রথম কম্পার্টমেন্ট টা দেখা যাচ্ছে। চোখ পড়ল ড্রাইভার কেবিনের দরজাটা খোলা। আমার মনে হল, ওই জায়গাটাই হতে পারে সমস্ত রহস্যের উত্তর। চাপা উত্তেজনা নিয়ে আস্তে আস্তে এগোতে শুরু করলাম কেবিনের দিকে।

    প্রায় পৌঁছে গেছি, এমন সময়, জানলার দিকে আবার চোখ পড়তে চমকে উঠলাম। এ কি দেখতে পাচ্ছি অস্পষ্ট ভাবে! আমি স্থবিরের মত দাঁড়িয়ে পড়ে তাকিয়ে রইলাম মেট্রোর জানলার বাইরের দিকে।
    পুরোনো কিছু বাড়ি ঘরদর দেখা যাচ্ছে। দূরে দেখতে পাচ্ছি অস্পষ্ট কিছু জাহাজের মত। কেমন যেন বই এর পাতা থেকে উঠে আসা ছবির মতো। হ্যাঁ...হ্যাঁ...পুরোনো বন্দর! কিছু লোকজন, গরুর গাড়ি এসব চোখে পড়ছে। কিন্তু, কেমন যেন ঘোলাটে সবকিছু। বেশ কিছুক্ষন এ দৃশ্য চলার পর যেন একটা ঝড়ের মতো কিছু এলো, সব আরও অস্পষ্ট হয়ে গেলো। আবার একটু পরিষ্কার হতে দেখছি আবার নতুন দৃশ্য। চারিদিকে জলাভূমি মনে হচ্ছে। সম্পূর্ন অন্য রকম ভূমিরূপ। দূরে কিছু অস্পষ্ট ঘরবাড়ি আর কিছু মানুষজন যেন দেখতে পেলাম মনে হল।
    এসব কি? কোথায় চলেছি আমি?
    কিছু অস্পষ্ট আওয়াজও কানে আসছে। যেন বদ্ধ ট্রেনের জানলার বাইরে অন্য কোনো পৃথিবীর কর্মকাণ্ড চলছে। হঠাৎ মনে হল এখানে কোনো প্রজেক্টর নেই তো? সেখান থেকে কিছু ছবি ফেলে ধোঁকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে হয়তো। নাহ্, সেরকম কিছু খুঁজে পেলাম না। তাহলে কি এসব? নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিনা এবার।
    ওই, ওই আবার, দৃশ্য পরিবর্তন হতে থাকলো। এবার দেখছি প্রচুর গাছ পালা জঙ্গুলে একটা জায়গায় এসে পড়েছি। দূরে বেশ কিছু প্রাণীও দেখা যাচ্ছে বোধহয়। আকাশ দেখা যাচ্ছে। কেমন যেনো লালাভ। বড় বড় গাছের পাতা ঝাপটে পড়ছে ট্রেনের জানলার কাঁচের গায়ে। প্রাণী যেগুলো দেখতে পাচ্ছি ঠিক মত চেনাও যাচ্ছে না। কিন্তু...কিন্তু, কোথায় একটা খটকা লাগতে শুরু করেছে। আমি হতভম্ব হয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখতে থাকলাম আবার দৃশ্যপট পরিবর্তন হতে শুরু করেছে।
    এবারে সেই জঙ্গল কমে গেছে। বিস্তৃর্ন উচুঁ নিচু ঢেউখেলানো তৃণ ভূমি দেখতে পাচ্ছি। মাঝে মাঝে খুব উচুঁ গাছ দেখা যাচ্ছে। কিছু জলা জঙ্গল দেখতে পাচ্ছি। আর, ও কি!
    বই এর পাতায়, সিনেমায় যে ডায়নোসর দেখেছি তা একেবারে চোখের সামনে ! অস্পষ্ট, কিন্তু বোঝা যাচ্ছে।
    শিরদাঁড়া দিয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত নেমে গেল।
    তবে কি, এই ট্রেনটা একটা টাইম মেশিন! পিছনের দিকে ছুটে চলেছি আমরা?
    মাথাটা ঝিমঝিম করছে। এও কি সম্ভব!
    বাইরে তাকিয়ে দেখি আবার লন্ডভন্ড শুরু হয়েছে। উফ্, অসম্ভব অভিজ্ঞতা এ।

    আমি প্রায় চলে এসেছি চালকের কেবিন দরজার কাছে। অল্প ফাঁক করা দরজার ওপারে দেখা যাচ্ছে কেউ একজন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে। আমি দরজাটা একটু খুলে যা দেখলাম তাতে রক্ত জল হয়ে গেল। সেই লোকটা ড্রাইভারের জায়গায় দাঁড়িয়ে। তার সামনে ল্যাপটপ ছাড়াও রয়েছে বেশকিছু বিচিত্র যন্ত্র। বুঝলাম, পাশে যে লোকটা মাটিতে পড়ে আছে, সেই হলো ট্রেনের ড্রাইভার। এবারে, ট্রেনের সামনের কাঁচের দিকে চোখ পড়তে আমি আর সামলাতে পারলাম না,
    "এ কি দেখছি!!" অস্ফুষ্ট ভাবে বলে উঠলাম।
    সামনে উথাল পাথাল জলরাশি। যেন ট্রেনটা ঝাঁপ দিয়েছে সেই জলের মধ্যে। আমার আর্তনাদ শুনে পিছনে ফিরলো লোকটি।
    "এসো, ভয় পেওনা। আমার এই আবিষ্কারের প্রথম স্বাক্ষী হলে তুমি।"
    আশ্চর্য, লোকটা এত গুলো কথা বলল কিন্তু তার ঠোঁট নড়লো না। যেন একটা যান্ত্রিক রেকর্ডিং শোনা গেল আর আমার কানের কাছে ফিসফিস করে কথাগুলো শুনতে পেলাম। আমার অবাক হওয়া মুখ দেখে লোকটা বলল থুড়ি যান্ত্রিক শব্দ এলো, "তুমি কি ভাবছো বুঝতে পারছি। এটাও আমার একটা আবিষ্কার। গলায় ক্যান্সারের জন্য আমি আর কথা বলতে পারিনা, কিন্তু এই যন্ত্র আমায় সাহায্য করে যে কথা গুলো বলবো বলে ঠিক করি সেগুলো শ্রবণযোগ্য করতে।"
    - "আ আর, এই ট্রেনটা কে টাইম মেশিনে রূপান্তর করা হয়েছে?"
    - "ঠিক ধরেছো"। হেসে বলল লোকটা।
    - "আপনার নাম?"
    - "আসল নাম নাই বা জানলে। আমাকে প্রফেসর শঙ্কু বলে ডাকতে পারো। হা হা হা...। ওই চরিত্রের থেকে কম কিছু নই আমি"
    "জানো, আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল..." প্রফেসর শঙ্কু বলে চলল, "এলিয়েন বলে আসলে কিছু নেই। মানবজাতি ভবিষ্যতে এতটাই বিজ্ঞানে উন্নতি করবে যে তারাই টাইম ট্রাভেল করে অতীতের মানুষের সঙ্গে দেখা করবে। অতীতের মানুষ তাদের উত্তরপুরুষ দের দেখে ভাববে এলিয়েন।"
    "আজ দ্যাখো, আমি সেই রাস্তায় কতটা এগিয়েছি "
    "নাকি পিছিয়েছি " মনে মনে বললাম আমি।

    মনের মধ্যে যে আশঙ্কাটা ঘুর ঘুর করছিলো, সেটা বলেই ফেললাম, " আপনার এই মেশিনের পরীক্ষা কি ভাবে থামবে সেটা জানা আছে তো ?"
    লোকটা আমার দিকে ফিরে একটা ক্রুর হাসি হেসে বলল, "শুরুটা জানার বড় ইচ্ছা আমার। শুরু জানতে গেলে শেষ তো করতেই হবে"।

    আঁতকে উঠলাম। চোখের সামনে আবার সব উত্তাল হয়ে উঠেছে। ট্রেনটা প্রচণ্ড কাঁপছে। দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছেনা প্রায়।
    হঠাৎ, সামনের যন্ত্রে বিপ বিপ করে খুব জোর আওয়াজ উঠলো। লোকটা ব্যস্ত হয়ে পড়ল সেটাতে।
    আমার হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, এটাও বুঝতে পারছি কিছু একটা করতেই হবে। এদিক ওদিক তাকাচ্ছি। এক কোণে চোখে পড়লো একটা অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার। আর কিছু না ভেবে সেটাকে হাতে তুলে নিলাম।
    লোকটা বোধহয় কিছু আন্দাজ করে আমাকে আটকাতে এলো। আমি দিকবিদিকশুন্য হয়ে সিলিন্ডারটা দিয়ে জোরে আঘাত করলাম লোকটার মাথায়।
    এমন সময় ট্রেনটা জোরে একটা ঝাঁকুনি দিয়ে উঠলো। কোনরকমে টাল সামলে সামনের কাঁচের দিকে তাকিয়ে দেখি ঘুটঘুটে অন্ধকারের মাঝে দূরে একটা লাল মত কিছু দেখা যাচ্ছে। আস্তে আস্তে সেটা বড় হচ্ছে। লাল আগুনের পিন্ড!!!
    আমি পাগলের মত সিলিন্ডারটা দিয়ে ওই যন্ত্রগুলোর ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে থাকলাম। তারপর একটা প্রচণ্ড ঝাঁকুনি আর আওয়াজ.....

    আঃ, কপালের উপর দিকে বেশ যন্ত্রণা করছে। চোখ খুলে প্রথমে ঝাপসা দেখছিলাম। আস্তে আস্তে দৃষ্টি একটু পরিষ্কার হতে বুঝতে পারলাম আমি ট্রেন কেবিনের মেঝেতে পড়ে আছি। কেবিনের অবস্থা লন্ডভন্ড। ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়েছে।উদ্ধারকারী লোকেদের কোলাহল কানে আসছে ধীরে ধীরে।
    ঠোঁটে একটা প্রশান্তির হাসি ফুটে উঠলো আমার। সৃষ্টি এবং সৃষ্টিকর্তাকে জানার অমোঘ ইচ্ছা চিরকালই আছে আমাদের। কিন্তু, নাহ, এভাবে হবেনা। হয়তো অন্যভাবে তাকে জানা যাবে.....

    প্রসূন
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শ্রীমল্লার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ ২৩:৩৮733357
  • লেখাটি মন্দ নয়। 
    বানানে একটু নজর দেবেন। 
  • Prasun Das | ১৫ আগস্ট ২০২৫ ২৩:৫১733358
  • ধন্যবাদ। অবশ্যই নজর দেব।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন