এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে

  • পুরোনো দিল্লি /২

    দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ | ৮৩৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • তৈমুর লং তিন দিন ধরে দিল্লি জ্বালিয়ে , এক লাখ সাধারণ মানুষকে মেরে চলে যাবার অনেক বছর পরে , মুলতানের খিজির খান দিল্লির মসনদে সৈয়দ বংশের প্রতিষ্ঠা করলেন। ১৪৫১ সালে বহলুল লোদী সেই সৈয়দদের সরিয়ে দিল্লির মসনদে আনলেন লোদী বংশকে। এই লোদীদের সময় দিল্লিতে আলাদা কোনো শহর তৈরী হয়নি। সিকান্দের লোদীর সময় কিছু নতুন কায়দার মসোলিয়াম তৈরী হয়েছিল।
     
    মহারাজ অগ্রসেনের বাওলি। অনেক আগে তৈরী হলেও তুঘলক / লোদী আমলে এই বাওলি সংস্কার করা হয়েছিল এবং সেটাই বর্তমান রূপ। এটা দিল্লির সবথেকে ইন্স্টাগ্রামড জায়গা। 
     
    দিল্লি সুলতান আমলের যে বাওলিগুলো দেখতে পাওয়া যায় তাদের গঠন প্রায় সমসাময়িক রাজস্থানের বাওলিদের থেকে আলাদা। দিল্লির গুলো লম্বাটে , একটা দিকে ধাপে ধাপে সিঁড়ি নেমে যায়। রাজস্থানের গুলো চৌকো এবং চারদিকে খোলা , যাদের চারটে বাহুতেই সিঁড়ির ধাপ করা থাকে। 
     
    উদাহরণ - রাজস্থানের জয়পুরের বাওলি। বর্ষাকালে পুরো ভরে যায়। 
     
    লোদীদের বানানো লোদী বাগানও এখন হজ খাসের মত দিল্লির আরেকটা বড় পার্ক। সেখানে কিছু স্থাপত্য এবং সিকান্দের লোদীর মসোলিয়াম আছে। এই সময় দুরকম মসোলিয়াম তৈরী হত - চৌকো এবং অষ্টভুজাকৃতি। সিকান্দের লোদীর মসোলিয়াম দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে।  
     

    লোদী বাগানের বড় গুম্বর [গম্বুজ] চৌকো মসোলিয়ামের উদাহরণ। এর সঙ্গে পিছনে বাঁদিকে এক তিন গম্বুজ ওয়ালা মসজিদ এবং ডানদিকে মেহমানখানা [অতিথিদের থাকার জায়গা]  যোগ করা আছে। 
     
    লোদী বাগানের আরেকটি চৌকো মসোলিয়াম - শিশ গম্বুজ [ওপরের দিকের নীল কাচগুলোর জন্য এই নাম] 
     
    এর পর ১৫২৬ সালে পানিপথের প্রথম যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদীকে হারালেন তৈমুরের বংশধর বাবর। মুঘল আমল শুরু হল। হুমায়ুন দিল্লির এক পাহাড়ের ওপর দিনপানাহ বলে নতুন কেল্লা বানালেন। ১৫৪০ সালে শের শাহ সুরি হুমায়ূনকে হারালেন এবং হুমায়ূনের দিনপানাহ কেল্লা ভেঙে তার ওপর তৈরী করলেন শেরগড়। এই শেরগড় এখন পুরোনো কেল্লা বা পান্ডবদের কেল্লা হিসেবে খ্যাত। পরে দিল্লিতে ফিরে এসে হুমায়ুন এই শেরগড় ধ্বংস করেননি। 
     

    পুরোনো কেল্লায় প্রবেশপথ যা বড় দরজা হিসেবে খ্যাত 
     
    পুরোনো কেল্লার চারপাশের পরিখা। পুরোনো কেল্লার চারপাশে হলেও এই জায়গায় আলাদা টিকিট কেটে নিব্বা নিব্বিরা পেরেম করতে আসে।  
     

    কেল্লার ভেতর থেকে বড় দরজা। এই কেল্লার ভেতর এএসআইয়ের অফিস , দুটো মিউজিয়াম ইত্যাদি আছে। 
     
    শের শাহের বানানো কেল্লার ভেতরের মসজিদ। 
     
    বড় বড় ঝরোখা , উঁচু খিলান ইত্যাদির জন্য এই মসজিদ স্থাপত্যকে আলাদা গুরুত্ত্ব দেওয়া হয়। 
     
    এই ষড়ভুজের চিহ্ন কেল্লার বড় দরজার বাইরেও ছিল। 
     
    কেল্লা থেকে দূরে প্রগতি ময়দানের বাড়ি দেখা যাচ্ছে। তখনও জি ২০ সম্মেলন হয়নি , এখন সে জায়গার নাম ভারতমন্ডপ। 
     

    কেল্লার ভেতরের লম্বাটে বাওলি 
     

    লালপাথরের তৈরি অষ্টভুজ এবং দোতলা শের মন্ডল। পারস্য থেকে দিল্লি ফিরে আসার পর হুমায়ুন এই বাড়ির দোতলায় এক গ্রন্থাগার তৈরী করেছিলেন। পরে এই বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় গড়িয়ে পড়ে গিয়েই নাকি তার মৃত্যু হয়েছিল।
     

    এই রাস্তা ধরে সোজা চলে গেলে কেল্লার হুমায়ুন দরজা।
     
    এখন এএসআই এই হুমায়ুন দরজা এবং তৎসংলগ্ন পাঁচিল সারাচ্ছে। 
     
    হুমাযূন দরজার উল্টো পথে , কেল্লার অপর দিকে আছে তালাকি দরজা। 
     
     
    এই তালাকি দরজা এবং তৎসলগ্ন পাঁচিল অক্ষত থাকলেও বন্ধ কারণ দরজার ওপারে নিচের দিকে পরিখা। 
     
    পান্ডবদের ইন্দ্রপ্রস্থ দিল্লি ছিল কিনা সেটার জন্যই এই কেল্লার ভেতর কিছু জায়গায় খোঁড়া চলছে। সে আমলের বাসন ইত্যাদি পেলেও কোনো স্ট্রাকচার বা বাড়ির কাঠামো যতক্ষণ না পাওয়া যায় , পুরাতত্ত্ব বিভাগ এই পুরোনো কেল্লার জমিকে ইন্দ্রপ্রস্থ হিসেবে সরকারী সিলমোহর দিতে অরাজি। খুঁড়ে পাওয়া বাসন , পুঁতির মালা , টেরাকোটার জিনিস , তামার অস্ত্র ইত্যাদি এই কেল্লার মিউজিয়ামে রাখা আছে। এছাড়াও আরেকটা মিউজিয়ামে দেশ থেকে কোনো সময় চুরি যাওয়া জিনিসপত্র যেগুলো পরে উদ্ধার করা হয়েছিল -  মূর্তি মুদ্রা ইত্যাদির সংগ্রহশালা করা হয়েছে। 
     
    যুদ্ধে হুমায়ূন হেরে যাবার সময় শের শাহের সেনাপতি ছিলেন ঈশা খান। 
     

    ঈশা খানের অষ্টভুজাকৃতি মসোলিয়াম। নীল মাথার ছোট ছোট গম্বুজের জন্য এই মসোলিয়াম বিখ্যাত। 
     
    হুমায়ূনের মৃত্যুর পর তার প্রথমা স্ত্রী হামিদা হানু বেগমের নির্দেশে পারস্যের দুজন স্থপতিকে এই ঈশা খানের সমাধির অদূরে নতুন মসোলিয়াম বানানোর ভার দেওয়া হল। হুমায়ুনের এই নতুন মসোলিয়ামের চারপাশে তৈরী হল 'চারবাগ' বলে এক নতুন সিমেট্রিক উদ্যানের স্ট্রাকচার , যেখানে মসোলিয়ামের চারদিকে চারটে জলের নালা ইত্যাদি কাটা থাকবে। পরবর্তীকালে আগ্রার তাজমহল , ঔরঙ্গাবাদে বিবির মকবারা , দিল্লিতে সফদরজঙ্গের মসোলিয়াম ইত্যাদি সমস্ত মুঘল মসোলিয়াম স্থাপত্য এই চারবাগ স্ট্রাকচার মেনে তৈরী হবে, যেখানে কেন্দ্রে থাকবে এক মসোলিয়াম এবং তার চারদিকে চারটে কোয়াড্রনগল।   
     

    হুমায়ূনের বিখ্যাত মসোলিয়াম 
     
    মসোলিয়ামের ছাদের অলঙ্করণের সিমেট্রি
     
    মসোলিয়ামের ভেতর এখনো শুধুমাত্র হুমায়ুনের সমাধি থাকলেও পরে ধীরে ধীরে এই চারবাগের অন্যন্য জায়গায় অন্য মুঘলদেরও [যেমন দারা শিকোহ] সমাধিস্থ করা হয়েছে। চারবাগের এক কোণায় হুমায়ূনের নাপিতের জন্য একটি আলাদা ছোট মসোলিয়ামও বানানো হয়েছিল। এখন সেখান থেকে পাঁচিলের ওপারে পাশের নিজামুদ্দিন স্টেশনের রেললাইন , ট্রেন ইত্যাদি দেখা যায়।
     

    মসোলিয়ামের পিছন দিক   
     
    এর পর আকবর তার রাজধানী সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন আগ্রা কেল্লা এবং ফতেপুর সিক্রিতে। ১৬৩৯ সালে শাহজাহান আবার আগ্রা থেকে রাজধানী ফিরিয়ে আনলেন দিল্লিতে। তৈরী করতে নির্দেশ দিলেন শাহজাহানাবাদ , এই শহরের বাড়িগুলোই এখন সবাই পুরোনো দিল্লি বলে জানে। শাহজাহানাবাদ ছিল সম্পূর্ণ পাঁচিলে ঘেরা। লাল কেল্লা , জামা মসজিদ তৈরী হল। চাঁদনী চকে বাজার বসানো হল। পুরোপুরি পাঁচিলে ঘেরা এই শহরে দশরকম দিকে দশটা দরজা তৈরী হল। কাশ্মীরি , আজমেরী , কলকাতা , লাহোর , কাবুল দরজা ইত্যাদি। নামেই বোঝা যাচ্ছে কোন দরজা দিয়ে কোন দিকে যাওয়া যেত। জামা মসজিদ , চোর বাজার এবং চাঁদনী চক ঘিরে তৈরী হল এখনকার দিল্লি ৬, পাহাড়গঞ্জ ইত্যাদি। 
     
    মুঘলদের সময় রান্নায় চালু হল তন্দুরি উনুনের ব্যবহার। আগুনে সেঁকিয়ে ফাঁপানো খামেরি ইত্যাদি রুটি এবং নানের ব্যবহার। এই জামা মসজিদ এলাকার খাবারের দোকানে গেলে এই কায়দায় বানানো যে ইউনিক মিষ্টি রুটিটা খাওয়া যায় , সেটা হল শিরমল। মোটা এই রুটিটা ফাঁপানো হয় দুধ , চিনি , এলাচের একটা মিশ্রণ দিয়ে এবং একটা খেলেই পেট ভরে যায়। আর সঙ্গে মুরগি চাঁপ। বিরিয়ানি খাবার চেষ্টা করবেন না কারণ দিল্লিতে মোগলাই বিরিয়ানির নামে যেটা পাওয়া যায় সেটা আসলে মোরদাবাদী বিরিয়ানি এবং লখনৌ , হায়দ্রাবাদি বা কলকাতা বিরিয়ানির তুলনায় বাজে খেতে। 
     

    লালকেল্লার ভেতর জাফর মহল , দেওয়ান ই আম , দেওয়ান ই খাস , ইবাদতখানা ইত্যাদি। এগুলো আর নতুন করে বলবার কিছু নেই। 
     
    ১৭২৩ সালে মুঘলদের মিত্র জয়পুরের জয় সিংহ জয়পুর , কাশি , মথুরা , উজ্জয়িনীর পাশাপাশি দিল্লিতে যন্তর মন্তর বানান। বড় বড় যন্ত্র দিয়ে গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান , দিনক্ষণ ইত্যাদি মাপা হত। বারাণসীরটা নিয়ে আগে লিখেছি। দিল্লির যন্ত্রগুলো সেই তুলনায় আয়তনে বেশ বড় এবং জয়পুরের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে।  
     

    দিনক্ষণ মাপার জন্য সম্রাট যন্ত্র। এটার ভূমি মাটির থেকে নিচে , ওপর থেকে ড্রোন দিয়ে তুললে গোল ঘড়ির মত দেখাবে। 
     
    সমকৌণিক ত্রিভুজ ইত্যাদি 
     
    তারাদের উচ্চতা , azimuth ইত্যাদি মাপার জন্য গোল রাম যন্ত্র। এ রাম সে রাম নয় , জয় সিংহের পিতামহ রাম সিংহের নামে নামকরণ। 
     
    এই বিখ্যাত মিশ্র যন্ত্র চারটে যন্ত্রের সমাহার - দক্ষিণোভিত্তি , কর্কট রাশি বলয় , দুটো ভাগে ভাগ করা সম্রাট যন্ত্র এবং মাঝখানে হৃদয় আকৃতির নিয়ত চক্র। 
     
     
    ১৭৫৪তে তৈরী অযোধ্যার নবাব সফদরজংয়ের মসোলিয়াম। 
     
    ১৭৩৯ সালে ইরানের নাদির শাহ পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে মুঘলদের হারালেন। ব্যবসায়ীদের কালোবাজারিতে যুদ্ধের বাজারে দিল্লিতে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছিল। নাদির শাহের সৈন্যদেরও বেশি দামে জিনিস কিনতে হচ্ছিল এবং অসন্তোষ তৈরী হয়। এই চাপান উতোরে শহরের জনতা দাঙ্গা বাঁধায় এবং কিছু ইরানি সৈন্য মারা যায়। নাদির শাহ রেগে গিয়ে বাকি সৈন্যদের কুখ্যাত 'কাতিল এ আম' করার নির্দেশ দেন। তৈমুরের পর আরেকবার দিল্লিতে আগুন জ্বলল। হাজারে হাজরে সাধারণ মানুষকে কোতল এবং দাসে পরিণত করা হল। ময়ূর সিংহাসন , কোহ-ই-নূর , দারিয়া -ই-নূরের মত বিখ্যাত হীরেসম্পদ লুঠ হল। দারিয়া -ই-নূর চলে গেল ইরানের মহাফেজখানায় , কোহিনুর নানা হাত ঘুরে ব্রিটেনের রাজপরিবারের মুকুটে। নাদির শাহ এত লুঠ করে দেশে ফিরে গেছিলেন যে তার পর পারস্যে দশ বছর সাধারণ মানুষের জন্য কর মকুব করে দেওয়া হয়েছিল। 
     
    ১৮৫৭র সিপাহী বিদ্রোহে হেরে যাবার পর শেষ মুঘল বাহাদুর শাহ জাফর তার উত্তরাধিকারীদের নিয়ে হুমায়ূনের মসোলিয়ামে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ধরা পড়ার পর তার দুই ছেলে এবং নাতিকে নিয়ে যাবার সময় বৃটিশদের চারপাশে ঘিরে ফেলা হয়। ব্রিটিশ অফিসার হজসন তিনজনকেই গুলি করে মেরে ফেলেন এবং চাঁদনীর কুখ্যাত কোতোয়ালি যেখানে ঔরঙ্গজেব সবার সামনে দারাশিকোর কাটা মুন্ডু লটকেছিলেন , সেখানে তিন দিন ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়। বাহাদুর শাহ জাফর বার্মার রেঙ্গুনে নির্বাসিত হন। অতঃপর বণিকের মানদণ্ড পোহালে শর্বরী দেখা দিল রাজদন্ড রূপে। বৃটিশ আমলে তৈরী হল লুটিয়েনের নতুন দিল্লি , যেখানে রাস্তার নাম টলস্টয় বা কোপার্নিকাস মার্গ। কালক্রমে এখন লুটিয়েনের দিল্লিও অতীত হতে চলেছে। অমৃতকাল , সেঙ্গল , সেন্ট্রাল ভিস্তার সময়।
     
    এই এতগুলো জায়গা একদিনে দেখা সম্ভব নয়। অগ্রসেনের বাওলি , হজ খাস ডিয়ার পার্ক এবং লোদী বাগান বিনামূল্যে দেখা যায়। হজ খাসের মাদ্রাসা , T বাড়ি ইত্যাদি শুদ্ধু বাকি সমস্ত জায়গাগুলো এএসাইয়ের অধীনে। আমার মূলত কাছাকাছি মেট্রো স্টেশনে নেমে হেঁটে ঘুরে দেখা। কুতুব মিনার কমপ্লেক্স এবং তুঘলকাবাদ তাদের কাছাকাছি স্টেশন থেকে বেশ দূরে সেজন্য ক্যাবে যাওয়া উচিত। 
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ | ৮৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩১527960
  • খুব ভালো হয়েছে।
  • kk | 2607:fb91:1481:4b77:45d2:e6f8:e9b8:***:*** | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৪৪527963
  • কী সুন্দর সব আর্কিটেক্চার! শিশ মহলের নীল কাঁচ আর ইশা খানের মসোলিয়ামের নীল মাথা ওয়ালা গম্বুজ গুলো সবথেকে ভালো লাগলো। আর যন্তর মন্তরের ছবিগুলো। শের শাহ'র বানানো কেল্লা আর শের মন্ডলের ঐ ছ'বিন্দু তারাগুলো স্টার অফ ডেভিডের মত দেখতে না? খুবই ইন্টারেস্টিং। এই চিহ্নগুলো এখানে ইউজ করার কি কোনো গল্প আছে?
    ছোট হলেও খুব ভালো সিরিজ হলো এটা। অ্যাজ ইউজুয়াল।
  • kk | 2607:fb91:1481:4b77:45d2:e6f8:e9b8:***:*** | ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০২:১৪527967
  • হুম, খুবই ইন্টারেস্টিং!
  • dc | 2401:4900:232c:6999:d861:72e2:e0ed:***:*** | ২৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:২৮527971
  • জয়পুরের বাওলির সিঁড়ির প্যাটার্ণটা খুব ভাল্লাগলো। এমনিতে একটা সিঁড়ি ইউনিট দিয়ে পুরো দেওয়ালটা পিরিয়ডিকালি টাইল করা হয়েছে, কিন্তু দেখছি কয়েকটা ইউনিটের গায়ে একটা করে অ্যালকোভ বানানো আছে, যেটা অ্যাপিরিয়ডিক। ভারি ইন্টারেস্টিং! 
     
    আমি দিল্লিতে অনেক বছর আগে ঘুরতে গেছিলাম, তখন সেখানকার যন্তর মন্তর দেখতে গেছিলাম। খুব একটা ইম্প্রেসিভ মনে হয়নি, বরং কুতুব মিনারের চত্বর বেশ ভালো লেগেছিল। তবে দিল্লির বহু ঐতিহাসিক জায়গাই ঘুরে দেখার সময় পাইনি। এই লেখাটার সাথে ফটোগুলো খুব ভালো হয়েছে। 
  • দীমু | 182.69.***.*** | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:১৬527977
  • ধন্যবাদ কেকে , ডিসি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন