
আরে জলদি বসো, কি করছ?
আমি তখন চেপেচুপে হেলমেটটা মাথায় পরার চেষ্টায় আছি, কিন্তু সেটা এতই ছোট, ম্যানেজ করে উঠতে পারছিলাম না। হঠাৎ বকুনি খেয়ে বাচ্চারা যেরম ঢক করে ভাতের দলাটা গিলে ফেলে, ওরম ভাবে এক ধাক্কায় মাথাটা ঢুকিয়ে দিলাম। পরেই মাথা টনটন, সে এমন টাইট। যেন হারকিউলিসের জামার মতো এঁটে বসেছে। কোনোমতে চেপে বসতেই সাথে সাথে সাবধান বাণী, ধরে বসো কিন্তু।
ঝাপসাদা আসার আগে আমি ততক্ষণ মুখ কাঁচুমাচু করে চাতক পাখির মতো বাসের অপেক্ষায় রুবির মোড়ের উল্টোদিকে মেট্রোর নীচে দাঁড়িয়ে ছিলাম। প্রেমদিবসের বিকেলে মলয় বাতাস টাতাস কিচ্ছু বইছে না, বরং গুমোট গরম। বাস আসে আর না, যদি বা আসে তো ব্যাপক ভিড়। আমার টার্গেট সরকারি এসি বাসগুলো, কিন্তু তাদের ওপরের এলইডি আলো বহুদিন হলো আর কাজ করে না, তাই দূর থেকে দেখে মনে হয় ওই বাসটাই বুঝি আসছে, আর কাছে এসেই ধাপ্পা দিয়ে সেগুলো টপাটপ অন্য রুটের বাস হয়ে যায়। একটার হালচাল দেখে মনে হল যেন এয়ারপোর্ট যাবেই, কাছে আসতে দেখি করুণাময়ী। করুণ চোখে সেই বাসটা ছাড়ার কিছুক্ষণ পর আরেকটা বাস এল, কন্ডাক্টর গলা বাড়িয়ে এয়ারপোর্ট এয়ারপোর্ট চিৎকারও করছে। খুব কনফিডেন্স নিয়ে উঠতে যাচ্ছিলাম, কি মনে হল একবার জিজ্ঞেস করলাম, এটা লেকটাউন হয়ে যাবে তো? সে জানাল, না নিউটাউন দিয়ে যাবে। টাউন অব্দি মিলে গিয়েছিল, খালি নতুন পুরোনোর গোলমালে উঠতে পারলাম না। কী করা, বেটার লাক নেক্সট টাইম ভেবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আরো ক'টা বি গার্ডেন, বাগবাজার আর বনহুগলির বাসকে বিদায় দিলাম। ঠিক বাস আর কিছুতেই আসে না, বেজায় বিরক্তি লাগছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে।
ঠিক ওই টাইমে একটা স্কুটি এসে আমার সামনে ঘ্যাঁচ করে ব্রেক কষল।
"কোথায় যাবে উল্টোডাঙা, বাগুইহাটি? জলদি বসো, চল্লিশ টাকা।"
আমি শুনেই অবাক চোখে তাকালাম ঝাপসাদার দিকে, তখনো অবশ্য জানিনা ওটাই ঝাপসাদা।
-বাগুইহাটি যাবেন? তখনো আমি হালকা অবাক। চল্লিশ টাকাই ভাড়া?
-আরে হ্যাঁ, বললাম তো চল্লিশ টাকা, ভালো করে ধরে বসবে।
এসি বাস এমনিতেই পঁয়ত্রিশ টাকা ভাড়া নেয়, তাও সিট পাওয়া যায় না। উবেরও দেখা হয়ে গেছে, একশো দশ টাকা দেখাচ্ছে বাইকে, ক্যাব নিলে সাড়ে তিনশো। নন এসি লঝঝরে কিছু বাস আছে বারাসাত বারুইপুর রুটে, তাতে দাঁড়ানোর জায়গাও অমিল।
সেখানে হঠাৎ এই অযাচিত প্রস্তাবে ডিয়ার লটারির টিকিট কাটব কিনা ভাবছিলাম, কিন্তু শুরুতে যেমন বললাম, ঝাপসাদার বকুনিতে সব ভাবনাচিন্তা তালগোল পাকিয়ে গেল। কি একটা ফোন এসেছিল, টুক করে কথাবার্তা বলে ঝাপসাদা ফোনটা পকেটে ঢুকিয়ে রাখল। শক্ত করে স্কুটির পেছনের হ্যান্ডেল ধরে বসতেই এমন বোঁ করে জোরসে রওনা দিল, যেন গাণ্ডীব থেকে ঠিকরে বেরোনো অর্ধচন্দ্র তীর। বাইকে অনেকবারই চড়েছি, স্কুটিতেও। কিন্তু সেকেন্ডের মধ্যে স্কুটিতে এত স্পিড তোলা যায় বা কলকাতার বেয়াক্কেলে ব্যস্ত রাস্তায় সত্তর আশিতে চালানো যায় এরকম ভাবে এ আমার ভাবনার বাইরে ছিল। মুহূর্তের মধ্যে আশপাশ, গাড়িঘোড়া, বাড়িঘর পুরোপুরি ঝাপসা হয়ে গেছে। এত জোরে স্কুটি ছুটছে, যে স্পেস টাইম গুলিয়ে যাচ্ছে, আমরা যেখান দিয়ে যাচ্ছি সেটা অজয়নগরও হতে পারে আবার অটোবানও হতে পারে, বলা মুশকিল। তারপর খেয়াল হলো, নাঃ অজয় নগর তো হওয়ার কথা নয়, সেটা তো রুবি থেকে উল্টোদিকে, ভালো করে চোখ পিট পিট করে বুঝলাম আপাতত যাচ্ছি উত্তর পঞ্চান্নগ্রামের ওপর দিয়ে।
ততক্ষনে আমি মনে মনে ঝাপসাদা নামটা দিয়ে ফেলেছি। ঝাপসাদা ছাড়া আর কিছু জাস্ট মাথাতেই এলো না, সত্যিই চারিদিক ঝাপসা হয়ে গেছে, বাকিদের কাটিয়ে কুটিয়ে এমন জোরে চালাচ্ছে। একটা চারশো সাত আমাদের হাফ ধাক্কা দিয়ে ফেলছিল, আমাদের তরফ থেকেই তার বকুনি পাওনা হয়, কিন্তু ঝাপসাদা নিরুত্তাপ ও ভ্রূক্ষেপহীন। সায়েন্স সিটির সামনে আরেকজনের কালো স্কর্পিও মাঝরাস্তা দিয়ে বেশ দেমাক নিয়ে যাচ্ছিল, প্রায় তার গা ঘেঁষে এমন হুশ করে বেরিয়ে গেল ঝাপসাদার স্কুটি, স্কর্পিও-সারথি অবাক হতেও ভুলে গিয়ে গ্রীন সিগন্যালেই দাঁড়িয়ে পড়ল হুট করে। তার পিছনের গাড়িগুলো কী করল সেসব আর দেখতেই পেলাম না মোটে, কারণ ততক্ষণে আমরা বর্তমান ভবন পেরিয়ে এসেছি। লাল সিগন্যালগুলো পড়লে আমার একটু স্বস্তি লাগছিল প্রথম প্রথম, যাক এবার তো না দাঁড়িয়ে উপায় নেই, সামনের গাড়ি একে একে ছাড়বে, তারপর যাওয়া। কিন্তু ঝাপসাদার অত ধৈর্য নেই, গাড়ির মাঝের আলপথ দিয়ে ঘুরে ঘুরে ঠিক সামনের সারিতে এসে দাঁড়াবে, লাস্ট বেঞ্চিতে বসা ধাতে সয় না। ওদিকে আমি সেই যে পিছনের হ্যান্ডেল শক্ত করে ধরে বসেছিলাম, সেই হাত ততক্ষণে কুলফির মতো ঠান্ডা হয়ে গেছে। প্রায় বসন্তের কলকাতাতেও এত ঠান্ডা হয়ে গেছে হাত আর পায়ের পাতা, মনে হবে হয়তো কুলু, কার্শিয়াং কিংবা কল্পায় চলে এসেছি। রাতে শুনেছি কলকাতার উড়ালপুলে আগে নাকি বাইকের রেস হতো, এখনো হয় কিনা ঠিক জানিনা, আজ সেই ফিলিংই হচ্ছে পুরো। উল্কার গতিতে স্কুটি চালানো দেখে খালি মনে হচ্ছে এই বুঝি ঠুকে দিল।
আমি মনস্চক্ষে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি ঝাপসাদা ছোটবেলায় খেলনা পুশব্যাক ফর্মুলা ওয়ান গাড়ি নিয়ে মেঝেতে খেলা করছে। কিন্তু সেই খেলনা পুশব্যাকটা যত জোরে যাচ্ছে, তাতে মন উঠছে না, তাই ঝাপসাদা নিজেই সেই ফর্মুলা ওয়ান গাড়িটা নিয়ে ঘরময় ছুটে বেড়াচ্ছে। আর সেই গাড়ির গতিতে বাড়ির দাদু, জেঠু, কাকিমা, বিড়াল, আরশোলা সবাই সন্ত্রস্ত। ঝাপসাদার নির্ঘাত ছোটবেলায় ইচ্ছে ছিল ফর্মুলা ওয়ান ড্রাইভার হওয়ার আর ক্লাস এইটের পরীক্ষায় সেটা নিয়ে রচনাও লিখে ফেলেছিল। কী কারণে কে জানে হওয়া হয়নি, তাই এখন দু চাকার পক্ষীরাজ হাতে পেয়ে খুবসে শখ মিটিয়ে নিচ্ছে। আমার ঠিক মনে হল সামনে ঝাপসাদা নয়, আয়ার্টন সেনা বসে রয়েছে। না আয়ার্টন সেনাকে ভাবা যাবে না, ওঁর তো অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে গিয়েছিল। ভেবেই আমার ঘাম ছুটতে থাকে। শুমাখার চলবে? নাঃ ওরও তো অ্যাক্সিডেন্ট। এখন সেইসব ভাবলে আরও ভয় করবে। শেষমেশ মাথা খাটিয়ে ঝাপসাদা কে সেবাস্তিয়ান ভেটেল এর পদ দেওয়া গেল। যে স্পিডে স্কুটি ছুটছে তার সমতুল্য স্পিডে মাত্র একটা পাবলিক ট্রান্সপোর্টকেই ছুটতে দেখেছি, পরস্পরকে ওভারটেকিত মুহূর্তে পাশাপাশি দৌড়ানো দুটো এল দুশো আটত্রিশ বাস।
চিংড়িঘাটা আসতে মনে একটা পবিত্র শান্তি নেমে এল। সামনে চূড়ান্ত জ্যাম। সব গাড়িঘোড়া স্থাণুবৎ দাঁড়িয়ে। ঠিক আরবি খেজুরের প্যাকেটে খেজুরগুলো যেমন চেপেচুপে গা ঘষাঘষি করে আটকে থাকে। আর কোথাও ছুটবার পথ নেই। সামনে কেঁদো কেঁদো কয়েকটা বাস আর লরি দাঁড়িয়ে আছে। পুরো চাক্কাজ্যাম। আমি নিশ্চিন্ত মনে একটু জিরিয়ে নিচ্ছিলাম বসে বসে, হঠাৎ ঝাপসাদা বললো, পা দুটো একদম গাড়ির গায়ে সেঁটে বসো তো! আমি তাই শুনে কুইক রিফ্লেক্সে স্কুটিতে পা দুটো সেঁটে নিতেই, ঝাপসাদা সেই ছুঁচের মধ্যে দিয়ে উট না কী যেন একটা বলে না, ঠিক সেরকম করে স্কুটিটা বাস আর লরির মধ্যে তিন ইঞ্চি ফাঁকটার মধ্যে দিয়ে গলিয়ে দিয়েছে। বাসের জানলা ঘেঁষে যারা বসেছিল, কেউ কেউ হাঁ হাঁ করে উঠেছে, কেউ আবার ফোন বের করে ফেলেছে এক্সিডেন্ট এর ছবি তুলবে বলে, চট করে না ক্লিকালে লাইক মিস হয়ে যাবে। তাদেরকে হতাশ করে এক অজানা কায়দায় কোনো চোট ছাড়াই আমরা ওই তিনইঞ্চি ফাঁক গলে বেরিয়ে এলাম। সেম টু সেম বাকিদেরও ওভাবে কাটিয়ে কাটিয়ে ঝাপসাদা আবার ফার্স্টবয়। আমি বুঝলাম ঝাপসাদা আসলে আর্নেস্ট প্র্যাং। সেই হ্যারি পটারের গপ্পে একটা তেতলা বাস ছিল না, চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়ে ট্রাফিকের ফাঁক গলে দুর্মদ গতিতে মধ্যরাত শাসন করত, সেই নাইট বাসের ড্রাইভারই হল ঝাপসাদা। আমার সাথে কি ভাগ্যি দেখা হয়ে গেছে।
বাইপাস দিয়ে উন্মাদের মতো গতিতে যেতে যেতে আমি বুঝতে পারলাম, ঝাপসাদার আসল প্রজেক্ট নাস্তিকতা নির্মুলকরণ। নাস্তিকদের প্রতি ঝাপসাদার কেন এত রাগ আমি বুঝতে পারছিলাম না, কিন্তু শিওর ওই স্কুটিতে একবার উঠলে হয় ঠনঠনিয়া, নয় কালীঘাট, নিদেনপক্ষে বিড়লা মন্দির কাউকে না কাউকে হাঁক পাড়তেই হবে মনে মনে, নইলে শুধু নিজের ভরসায় বসে থাকা যায় না। তার ওপর রাস্তার স্পিড ব্রেকারগুলোকে ঝাপসাদা নিতান্তই সাজেশন বলে মনে করে। সেখানে স্পিড কমানোর কথা ভাবতেও পারেনা। তাই যতগুলো সাজেশন থুড়ি স্পিড ব্রেকার আসছিল, আমরা স্কুটি সমেত এক লাফে যুধিষ্ঠিরের রথের মতো আকাশে উঠে যাচ্ছিলাম ধাক্কা খেয়ে। দশ সেকেন্ডের ভারশূন্যতা শেষ করে মাটিতে নামছিলাম আর ধন্যবাদ দিচ্ছিলাম যে বিমা কোম্পানির লোকজন আশেপাশে নেই, নইলে এক্ষুণি চড়চড় করে লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম বেড়ে যেত।
আসন্ন দুর্ঘটনার ভয়ে সিঁটিয়ে বসে আছি এমন সময় টুং টাং করে ঝাপসাদার ফোন বেজে উঠল। এক হাতে স্কুটি চালাতে চালাতেই ফোনটা পকেট থেকে বের করে কল রিসিভ করে স্পিকারে দিয়ে আমার হাতে ধরিয়ে দিল। কলার আইডিতে নাম লেখা বুল্টি। উল্টো দিক থেকে নারীকণ্ঠ কিছু বলতে যেতেই, আগে ঝাপসাদা চেঁচিয়ে আগাম সাবধানবাণী দিয়ে দিল, আমি গাড়ি চালাচ্ছি। তুমি স্পিকারে আছ কিন্তু।
সেটা শুনে 'বুল্টি' কিছুক্ষণ থতমত খেয়ে বললো, কখন আসছো? আর কতক্ষণ লাগবে? ঝাপসাদা জানালো এই এসে গেছি প্ৰায়। তাতে 'ঠিক আছে' বলে টুক করে ফোনটা কেটে দিল ওপারের নারীকণ্ঠ।
সেই মুহূর্তে আমি উপলদ্ধি করলাম, তার মানে বুল্টির হেলমেটটাই আমি পরে আছি এতক্ষণ ধরে, তাই এত টাইট। আর ওদিকে 'এসে গেছি প্রায়' টাও কথার কথা নয়। সত্যিই আমরা চলে এসেছি বাগুইহাটির কাছে, কেষ্টপুর পেরোচ্ছিলাম তখন।
যাই হোক, কবি বলেছেন, একদিন ঝড় থেমে যাবে। বাগুইহাটির মোড়ে এসে সত্যিই থামল। ওইরম জ্যামের মধ্যে ঠিক সতেরো মিনিটে আমাকে রুবি থেকে বাগুইহাটি উড়িয়ে নিয়ে এসেছে ঝাপসাদা। কম হলেও হতে পারে, বেশি নয় আমি নিশ্চিত। আশেপাশে দেখলাম রেকর্ড বইয়ের লোকজন কেউ আছে কিনা, লিমকা, সেভেন আপ নাহলে ক্যাম্পা কোলা বুক অফ রেকর্ডস হলেও চলত, কিন্তু সবাই জানে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যায়না। স্কুটিটা সাইড করলে স্কুটি থেকে নেমে ইউপিআই তে টাকা মেটানোর পর পাশেই চায়ের দোকানের দিকে চোখ গেল। চা খেয়ে একটু গা গরম করা দরকার, ভাবলাম ঝাপসাদাকেও আমন্ত্রণ জানাই। কিন্তু পেছন ফিরতেই দেখি ঝাপসাদা আর নেই, বুল্টির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিয়েছে, আর জেট প্লেনের ইঞ্জিনের মতো কিছুটা ব্লার হওয়া ধোঁয়া রয়ে গেছে ওইখানে। বুঝলাম ঝাপসাদাই আসলে কলকাতার ব্যাটম্যান।
পুনশ্চ: ইউপিআইতে পেমেন্ট করার সময় ঝাপসাদার নামটা দেখতে পেয়েছিলাম, কিন্তু সেসব জেনে আর কি হবে ঝাপসাই থাক। ঝপ করে একটা ছবিও তুলতে চেষ্টা করলাম, কিন্তু সেটাও নড়ে গিয়ে ঝাপসা এসেছে। তাই ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করেই একটা দিয়ে দিলাম, ঝাপসাদাকে ঠিক এরকমই দেখতে।

পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।