এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • আত্রেয়ীতে অবগাহন করে হাঁটা হয়নি আর সুবর্ণ‍রেখার তীরে - ১

    সমরেশ মুখার্জী লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৩৪ বার পঠিত
  • | | | | |
    সাতাত্তরে শেষে সদ্য সতেরোর সুমনের সাথে আলাপ হয়েছিল সমবয়সী উৎপলের। আশিতে দুজনে বিশ। নব্য যুবক উৎপলের হাবভাবে ম‍্যাচো ম‍্যানের ছাপ। চ‍ওড়া কাঁধ, বলিষ্ঠ বাহু, ডান হাতে ঘড়ি। শুধু চুল, গোঁফের স্টাইল‌ নয় - হাসিটাও অনিল কাপুরের মতো। 
      
      একবার ভ্রমণপাগল সুমনের হুজুগে উৎপল দুর্গাপুজোর সময় সুমন ও অর্জুনকে নিয়ে চললো বালুরঘাটে ওর কলেজবান্ধবী অতসী‌র বাড়ি - বিনা বার্তায় - পূজোর কদিন কলকাতার ভীড়ভাট্টা এড়িয়ে বাইরে অচেনা কোথাও যাওয়ার তাগিদে। সুমনের অবশ‍্য বালুরঘাট ভ্রমণের আর এক আকর্ষণ ছিল - অতসী দর্শনের কৌতূহল‌। 
     
      উৎপলের কাছে কিছুটা অতসীবৃত্তান্ত শুনে‌ছে সুমন। উৎপল বলেছে মনে হয় ওর মগজে কয়েকটি স্ক্রু হয়তো একটু ঢিলে আছে। কৌতূহলের সেটা‌ও একটা কারণ। কারণ খাঁজকাটা হীরের মতো সুন্দরী‌ তো দেখা‌ই যায়, দেখেওছে, তাই দেখা‌ই যাক না মৃদু প‍্যাঁচকাটা যুবতী কেমন হয়। উৎপল বলেছিল, তিন রবাহুতর আগমনে ওর মনে কী তরঙ্গ উঠবে তা অনুমান করা কঠিন তবু ওর কোনো অপ্রত‍্যাশিত আচরণে কিছু মনে না করা‌ই শ্রেয়। 
     
       কোনো কারণে উষ্মা‌য়িত সুন্দরীর‍ও কঠিন দৃষ্টি‌পাত বেশ অস্বস্তিকর। তবে পাষাণী না হলে মনোরম তরুণী‌র সাথে অপরিচয়ের জড়তা কাটতে স্বাভাবিক, আন্তরিক ব‍্যবহার‌ই সচরাচর ফলপ্রসূ হয়। তেমনটা দেখেওছে সুমন। চাটুকারিতা অনেকেরই অসহ্য লাগে। তাই সুমনের বাঙময় দৃষ্টিভাষ‍্যে বা ইংগিত‍ময় রসভাষ‍্যে সুন্দরী‌র সৌন্দর্যের তারিফ তির্যকভাবে উদ্ভাসিত হয়। তাতে অন্তরে মুগ্ধ হয় না এমন সুন্দরী‌ বিরল। উৎপল বা অর্জুন হাতের তাস পেতে খেলায় সচ্ছন্দ নয়। ওদের মনোবাঞ্ছা ভ্রমর‌ উদ্বেলিত হলেও ফুলে না বসে ফড়িংয়ের মতো আশপাশে উড়বে। ফুল‌ই হাওয়ায় দুলে, আশ্লেষে ঢলে পড়বে ভ্রমরের গলে। 
     
                                    * * * * * * 
     
       ধর্মতলা থেকে রাতের রকেট বাসে তিনমূর্তি চললো সাড়ে চারশো কিমি যাত্রা‌য়। বর্ষার শেষে ভাঙাচোরা রাস্তা তখন‌ও বহু জায়গায় মেরামত হয়নি। ফলে উবরখাবড় রাস্তায় রকেট বাস চললো গোশকটের মতো নাচতে নাচতে। সকাল সাতটা‌র বদলে দু ঘণ্টা লেটে বালু্রঘাট বাসস্ট‍্যান্ডে নামলো ওরা। ঠিকানা খুঁজে রিকশা করে অতসীদের বাড়িতে গিয়ে হাজির হোলো তিন ভগ্নদূত। গায়ে মুখে মাথায় ধুলোর মিহি পাউডার। নিদ্রাহীন রক্তচক্ষু‌। যা রূপ‌ খুলেছে সে আর কহতব‍্য নয়।
     
      পুজোর ছুটি পড়ার আগে কলকাতার কলেজ ক‍্যান্টিনে আড্ডায় অতসী একবার এমনিই বলে‌ছিল উৎপলকে, তোরা কখনো আয় না আমাদের দেশের বাড়ি - বালুরঘাটে - ভালো লাগবে। এমন আলগা আমন্ত্রনে কোনো আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন যুবক কোনো যুবতীর বাড়ি খবর না দিয়ে যায় না। তবে অচেনা সুন্দরী‌র সাথে আলাপিত হ‌ওয়ার সম্ভাবনা‌য় সুমন মান সম্মানের মতো তুচ্ছ ব‍্যাপার নিয়ে মাথা ঘামায় না।
     
      এও জানা ছিল অতসী পিতৃহীনা হলেও অরক্ষণীয়া নয়। ওর এক ষণ্ডা‌মার্কা দাদা আছে। বিনা খবরে যুবতী বোনের সাথে দেখা করতে কলকাতা থেকে আচমকা তিন উটকো তরুণের আগমনে কেমন আপ‍্যায়ন হতে পারে সেটা ভেবে মৃদু আশংকা‍ও ছিল সবার। 
     
      কয়েক বছর আগে হঠাৎ বাবা মারা যাওয়ায় সংসারে নেমে এসেছিল আর্থিক বিপর্যয়। সঞ্চয়‌ বেশী ছিল না। একমাত্র বড় দাদা তখন শক্ত হাতে ধরেছি‌ল সংসারের হাল। বাবা কিছুটা জমি কিনেছি‌লেন। দাদা তাতে দরমার দেওয়াল, টালির চালের বাড়ি তুলেছেন। মাঝের বোন অতসী‌কে কলকাতার কলেজে পড়তে পাঠিয়েছেন। ছোট বোন করবী ওখানেই পড়ছে দশম শ্রেণী‌তে। দু বোন ও বিধবা মাকে নিয়ে দাদা পরিতোষ যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন সংসার‌টাকে গুছিয়ে তুলতে। তাই এখন কিছুদিন উনি বিয়েথা করে সংসারী হ‌ওয়ার কথা ভাবছেন না।
     
       উঠোনের বেড়ার গেট খুলে একটু গিয়ে ঘরের দরজায় কড়া নাড়ে উৎপল। ঘটা‍ং করে দরজা খুলে দুয়ারে দাঁড়ানো আটপৌরে শাড়ি পড়া মেয়েটিকে দেখেই সুমনের মনে হয় - এই অতসী। শান্ত সৌম‍্য সুশ্রী। বিংশ বসন্তের আগমনেও চেহারা ছিপছিপে। প্রাচুর্যের ঢল নেই। প্রথম দর্শনে তাকে এতটুকু অস্বাভাবিক মনে হয় না। কিন্তু পরক্ষণেই খটকা লাগে তার কথায়। উৎপলকে দেখে বলে, ও তুই, আয়, তোরা ভেতরে আয়। 
     
      সুমন ও অর্জুন চকিতে নিজেদের মধ্যে একটু বিষ্ময়াবিষ্ট দৃষ্টি‌বিনিময় করে। এ কী অদ্ভুত মেয়ে রে বাবা! কোনো খবর না দিয়ে তিনটে ছেলে কলকাতা থেকে হঠাৎ এসে হাজির হোলো এক সকালে। উৎপল চেনা, তাই সম্মোধন, 'ও তুই' কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্র বিষ্ময়ে‌র লেশ নেই। যেন কলকাতা নয়, পাশের পাড়া থেকে এসেছে। যেন প্রায়‌ই আসে।
     
      চেনা উৎপলের সাথে যে আরো দুজন অচেনা মূর্তিমান আছে তা খেয়াল করেই ঘরে আহ্বান বহুবচনে। কিন্তু তারা কে, কী বৃত্তান্ত তা জানতে দরজায় দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন না করলেও ওর দৃষ্টিতে‌ সামান্যতম জিজ্ঞাসা‌ও নেই। সুমনের মনে হয় এসবই অতসী‌র কিঞ্চিৎ কাটা প‍্যাঁচের লক্ষণ নয় তো? অস্বাভাবিক কৌতূহল‌হীনতা। 
     
      সদ্য আড়মোড়া ভেঙে কৈশরের খোলস ছেড়েছে করবী। মুখে সদ‍্য মুকুলিত তারুণ্যের লাবণ‍্য। দাদা তখন কর্মসূত্রে বাইরে। বাড়িতে দুটি উঠতি বয়সের মেয়েকে নিয়ে‌ থাকেন পঞ্চাশোর্ধ্ব বিধবা মা। তিনি মেয়ের সাথে দেখা করতে আসা তিনটি তরুণ‍কে উষ্ণ আপ‍্যায়নে গ্ৰহণ করলেন। যে পাঁচটি দিন ওখানে ছিল তাঁর স্নেহ‍ময় আদর যত্নে ওরা মুগ্ধ হয়েছে। নানা পদ রেঁধে খাইয়েছে‌ন। গল্প করেছেন এমন ভাবে যেন কতদিনে‌র চেনা।
     
                                  * * * * * * * 
     
      পরদিন অতসী ওদেরকে বলে, এখান থেকে একটু দূরে ডাঙ্গা ফরেস্ট। যাবি? ওরা রাজি হয়। তিনটি উঠতি বয়েসের বন্ধু‌র সাথে নির্জন বনে ঘুরে বেড়ায় স্বচ্ছন্দে। এক জায়গায় বসে অনেকক্ষণ গল্প আড্ডা হয়। অতসীর আচরণে বনপথে বেভুল পদক্ষেপের বিন্দুমাত্র সংকেত নেই। যেন অরণ‍্যে নিঃসংকোচ সাবলীলতায় বিচরণ করছে এক বনবালা।
     
      তৃতীয়দিন অতসী বলে, তোরা কী নদীতে চান করতে চাস? ওরা হৈহৈ করে সম্মতি জানায়। অতসী বলে, চল তাহলে তোদের আত্রা‌ই নদীতে নিয়ে যাই। আমি কিন্তু জলে নামবো না। আমি সাঁতার জানিনা। ভয় করে। তোরা চান করবি। আমি পারে বসে থাকবো। 
     
       পশ্চিমবঙ্গে উৎপত্তি হয়ে বাংলাদেশের সীমানা‌র সাথে লুকোচুরি খেলে ৩৯০ কিমি দীর্ঘ আত্রাই অবশেষে ব্রহ্মপূত্রে বিলীন হয়েছে। এই আত্রাই নদী‌ই পূরাণে বর্ণিত আত্রেয়ী রূপে। মহাভারতের সভাপর্বে নারদমুনি পাণ্ডব সভায় যুধিষ্ঠিরের সাথে আলোচনা কালে জলদেবতা বরুণের সভার বর্ণনা করতে বলছেন বরুণের সেই মনোরম সভায় আরো অনেকের সাথে ছিলেন চার সমূদ্র, বেশ কিছু নদী যেমন গঙ্গা, যমুনা, সরযু, লৌহিত‍্য বা বহ্মপূত্র, আত্রেয়ী ইত্যাদি। 
     
      বালুরঘাটে তার আকার মাঝারি। স্রোত সামান্য। পরিস্কার জল। ওরা তিনজনে জলে নেমে হুটোপুটি করে চান করে। সুমন একটু সাঁতার কাটে। অতসী জনহীন নদীপারে ছাতা মাথায় বসে মুখে মিটিমিটি হাসি নিয়ে ওদের উল্লসিত স্নানপর্ব দেখে। 
     
      সুমন বলে, অতসী, তুই নদীর কাছে এসেও অতো দূরে বসে আছিস কেন? চান না করিস কাছে আয়, একটু জলে পা তো ডুবিয়ে যা। উঠে দাঁড়িয়ে এগিয়ে আসে অতসী। কাছাকাছি আসতেই সুমন আচমকা নদী থেকে আঁজলা করে জল তুলে ছিটিয়ে দেয় অতসীর গায়ে। 
     
     ধেয়ে আসা জলের ঝাপটা ঠেকাতে চকিতে মাথা থেকে ছাতা নামিয়ে নদীর দিকে ঢালের মতো ধরে অতসী। আঁজলা ভরা জল উড়ে এসে ছাতায় লেগে আওয়াজ করে - ফররর। অতসী ছাতার আড়াল থেকে চ‍্যাঁচায়, এ্যাই, ভালো হবে না বলছি।
     
      সুমন থেমে যায়। বলে, আচ্ছা বাবা, আর ছেটাবো না। একটু বাদে ভয়ে ভয়ে ছাতার আড়াল থেকে মুখ বাড়ায় অতসী। সুমনের খুব মজা লাগে ওর রকমসকম দেখে। ছেলেমানুষী শংকা মাখা মুখে। কিন্তু প্রতিবর্তী প্রেরণায় মাথা থেকে ছাতা নামাতে একটু দেরী হয়ে গেছি‌ল। তাই সুমনের প্রথম জলাঞ্জলি পুরোটা প্রতিহত করতে পারেনি ছাতা। পাতলা সাদাটে সিন্থেটিক শাড়ি বুকের কাছে ভিজে গিয়ে স্বচ্ছ লাগছে। ব্লাউজে আবৃত মিত লাবণ‍্যের স্মিত উদ্ভাস পরিস্ফুট। আঁচল‌টা ঘুরিয়ে গায়ে জড়িয়ে অতসী কপট রাগে বলে, খুব পাজি তুই, এই জন‍্য দূরে বসে ছিলাম। 

      সুমন হেসে বলে, তার মানে তুই জানতিস কাছে এলে আমি জল ছেটাতে পারি? 
     
     কোনো কথা না বলে, দৃষ্টি‍তে - “তুই একটি আস্ত শয়তান” গোছের ভাব ফুটিয়ে অতসী আবার দূরে গিয়ে দাঁড়ায়। 
     
     সুমন বলে, তবে নদীর কাছে এসে একদম শুকনো থাকাটাও ঠিক না। রাগ করিস না, ওইটুকু ভেজা এক্ষুনি শুকিয়ে যাবে।
     
    ওরা নদী থেকে উঠে মাথা মুছে ভিজে কাপড়েই চললো বাড়ি‌র দিকে। মধ‍্য আশ্বিনের ভরদুপুরে ভিজে পোষাক গায়েই শুকিয়ে যাবে। 
     
      উৎপল অতসী‌কে বলে, তুই‌ কিন্তু নামতে পারতিস নদীতে। কী পরিস্কার জল! সাঁতার তো আমি‌ও জানিনা। তবে সুমন ভালো সাঁতার জানে, অর্জুন‌ও জানে। আমরা তো তীরের কাছেই ছিলাম। ভয়ের কিছু ছিল না।
     
      অতসী বলে, হ‍্যাঁ রে, তোদের চান করতে দেখে পরে আমার‌ও খুব ইচ্ছে করছিল নদীতে নামতে। তবে শুনেছি যারা সাঁতার জানেনা তলিয়ে যাওয়ার সময় কেউ বাঁচাতে এলে তার গলা এমন ভাবে জড়িয়ে ধরে যে দুজনেই ডুবে যায়।
     
      সুমন বলে, শুধু জলে কেন, কোনো সুন্দরী মেয়ে ডাঙাতে গলা জড়িয়ে ধরলেও আমি তলিয়ে যেতে পারি।
     
      অতসী চোখ পাকিয়ে বলে, তুই খুব অসভ‍্য, তাল পেলেই আজে বাজে বকিস।
     
                               * * * * * * * * 
     
      পরদিন নবমী। ঠিক হোলো বিকেলে রথতলার দিকে ঠাকুর দেখতে যাওয়া হবে। করবী‌ও যাবে ওদের সাথে। মাসিমা বললেন, হ‍্যাঁ, বাবা, যাও তো তোমরা, ওদের একটু ঘুরিয়ে নিয়ে এসো। পুজোর ছুটি পড়ে থেকে বেরোতেই চায়না মেয়ে দুটো বাড়ি থেকে।
     
      একটা লাল সিন্থেটিক শাড়ি পরেছে অতসী। সামান‍্য সেজেছে। কপালে লাল টিপ। একটু লিপস্টিক লাগিয়েছে। চোখে কাজল। কানে ছোট্ট দুল। গলায় পুঁতির হার। তাতেই ভারি মিষ্টি লাগছে ওকে। অতসী লতানে গাছের মতো নরম স্বভাবের। এমন মেয়েকে কষ্ট দিতে যে কোনো হৃদয়বান পুরুষের‌ই খারাপ লাগবে। 
     
      করবী পরেছে সালোয়ার কামিজ। সেও দিদির মতো শান্ত। বয়সগুণে কচি পুঁই‌ডাঁটার মতো সজীব। মুখটা খুব ধারালো। বছর কয়েক বাদে ওর মুখ থেকে চোখ ফেরাতে মনের জোর লাগবে। ওর সাথে অর্জুনের খুব ভাব হয়েছে। উঠোনে গাছের তলায় মোড়ায় বসে টুকটুক করে গল্প করে দুটিতে। 
     
      পাঁচটি ঝলমলে ছেলেমেয়ে কলকল করতে করতে বেরোলো ঠাকুর দেখতে। চরাচরে আগত সন্ধ‍্যার ম্লান আলো। বেড়ার পাশে সাদা থান পরে দাঁড়িয়ে আছেন মা। স্বামীকে হারিয়ে‌ছেন কিছুদিন হোলো। নিজের দিন‌ও ফুরিয়ে গেছে অনেকটা‌ই। তিনটি প্রাণের এই বাড়িতে প্রায়শই বিরাজ করে অস্পষ্ট বিষন্নতা। ছেলে তো মাসের অধিকাংশ দিন‌ই থাকে বাড়ি‌র বাইরে, দূরে। 
     
      তাই উৎসবের দিনে তিনটি প্রাণোচ্ছল তরুণের আচমকা আগমনে তিনি খুব খুশি হয়েছেন। বিষন্ন বাড়িতে যেন উঠেছে সাময়িক আনন্দের উচ্ছাস। মেয়ে দুটির মুখে‌ও ফুটেছে স্বতঃস্ফূর্ত খুশী‌র আভাস। নাহলে ওরা প্রায়শই চুপচাপ, মনমরা হয়ে থাকে। যাক, একটু বেড়িয়ে আসুক ওরা। আনন্দ করুক। হাসুক মন খুলে কদিন। মুখে স্মিত হাসি নিয়ে মা দাঁড়িয়ে দেখেন ওদের চলে যাওয়া। কিন্তু মুখ ফিরিয়ে ওনাকে দেখে সুমনের ভেতরটা মুচড়ে ওঠে। এই হচ্ছে মায়ের প্রাণ। সন্তানের আনন্দে‌ই লাঘব হয় নিজের দুঃখের ভার।
     
     
    (চলবে) 
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | |
  • ভ্রমণ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • . | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:২৭541313
  • বাহ। চলুক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন