তবে অতসীর স্বভাবও বেশ খোলামেলা, আন্তরিক। তাই ওরা দুজন অচেনা হলেও ও খুব সাবলীলভাবে ওদের সাথে মিশছে, যেন অনেকদিনের চেনা। পুজোর সময় স্বল্পভ্রমণে এসে ওর সাথে ফুরফুরে মেজাজে হাসি মস্করা করতে সুমনের ভালোই লাগছে। অতসী কিছু মনে করছে না, মজা পাচ্ছে দেখে বেশ লাগছে ওর সাহচর্য। উৎপল অতসীর কলেজের বন্ধু। তাই হয়তো পূর্বপরিচিতির সূবাদে উৎপল একটু বেশি ঘেঁষাঘেষি করছে ওর সাথে। তাতে কী হয়েছে। সুমন, অর্জুন ওদের সাথে পড়ে না। এই যে কাল চলে যাবে ওরা, তারপর ছুটির শেষে উৎপলের সাথে অতসীর কলেজে দেখা হলেও ওদের দুজনের সাথে আবার কবে অতসীর দেখা হবে কে জানে। হয়তো আর কখনো দেখা নাও হতে পারে। সুতরাং এই মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে পারাই তো যথেষ্ট আনন্দময় অভিজ্ঞতা ... ...
এ এক দূর অতীতের অন্যরকম ভ্রমণ স্মৃতি। যে সব স্মৃতি মনের বাক্সে ভেলভেটে জড়িয়ে জমিয়ে রাখার মতো, সুমনের কাছে এটা সেরকমই … ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ৩৪ - বিকেলে পশ্চিম উপকূল ধরে কোঙ্কন রেলের অনবদ্য নৈসর্গিক শোভার মধ্যে দিয়ে যখন ট্রেন যাচ্ছে ওদের খুশি আর ধরে না। একবার এই দরজায় একবার ওই দরজায় মা, মেয়ে ছুটোছুটি করে গিয়ে দেখছে বাইরের অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য। হয়তো নিজেদের দেশের প্রকৃতির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে ওদের। অরণ্য, পাহাড়, নদী, উন্মুক্ত আকাশ এসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক দেশেই প্রায় একই রকম ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ৩৩. “মোবাইল দে দু উসকি হাত মে? শায়দ চুপ হো যায়েগি” আর এক পুরুষ কন্ঠে বর্তমান সময়ের প্যানাসিয়া বা সর্বরোগহর দাওয়াইয়ের পরামর্শ আসে। তা তো বটেই! আজকাল স্মার্টফোন তো কত কাজেই ব্যবহার হয়। রিমোট না পাওয়া গেলে মোবাইল দিয়ে এসি চালু করা যায়। বোধহয় ছিঁচকাঁদুনে শিশুর কান্না থামানোর এ্যাপও বেরিয়ে গেছে ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব-৩২. গুলজারের “লেকিন” সিনেমার দৃশ্যটি মনে পড়ে গেল। সেই সিনেমায় ডিম্পল ছিল প্রেতাত্মা, শিরশিরে অশরীরী চাহনিতে চলন্ত ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর কামরায় প্যাসেজের জানলা দিয়ে ভেতরে তাকিয়ে ছিল সে বিনোদ খান্নার দিকে। এখানে মহিলাটি দাঁড়িয়ে ছিলেন রিটায়ারিং রুমের বারান্দায়। তেমনি ধারালো মুখ। তবে চাহনি নিষ্প্রাণ নয় - বরং বেশ প্রাণবন্ত। সোজাসুজি আমার দিকে তাকিয়ে জড়তাহীন স্বচ্ছতায় মৃদু লাজুক হেসে কথা বলছিলেন ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব-৩১. কথায় বলে - It is not the destination that always matters, some journeys may be quite interesting too. এই লেখায় তাই থাকবে না দ্রষ্টব্যস্থানের বিশদ কথা। শুধু বুড়ি ছুঁয়ে যাবো। এটা মূলত এক ২৪৩০ কিমি দীর্ঘ মনে থেকে যাওয়া ট্রেনযাত্রার অভিজ্ঞতা ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ৩০… দেখা হোলো দুটি আকর্ষণীয় সেতু। আলাপ হোলো দুটি আকর্ষণীয় মানুষের সাথে। একাকী ভ্রমণ তো করেই থাকি তবে ঐ ভ্রমণের সূত্রে পরবর্তীতে হয়েছে কয়েকটি দলগত ভ্রমণ। তার আনন্দ আবার অন্যরকম ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ২৯…।করোনাকালে দুরে না হোক, কাছেপিঠে কোথাও, ঘর হতে শুধু তিন পা ফেলিয়া মোডে মৃদুমন্দ ভ্রমণ তো হতেই পারে। ২০২১ এর মার্চে কর্ণাটকের মনিপাল থেকে কলকাতায় আসার আগে তেমন একটা ব্যবস্থা করে এসেছিলাম। এটা ঠিক একাকী ভ্রমণ বৃত্তান্ত নয়, ফোনালাপ ও হোয়াচ্যাটের মাধ্যমে অদেখা কিন্তু বিশেষ পরিচিত সুজনবাবুর সুবাদে সম্পূর্ণ অচেনা কিছু মানুষের সাথে বাস্তবে আলাপ, আশপাশে টুকুন ঘোরাফেরা, এই সবের আলুনী পাঁচালী। তবু, কলকাতায় এসে যেহেতু ঘর থেকে বেরিয়েছিলাম একাই, আলাপ যা তা হয়েছিল পথে, তাই এটাও রাখলাম এই সিরিজে ... ...
আশির দশকে যাদবপুরের কয়েকটি ছাত্রছাত্রী শুশুনিয়া পাহাড়ে গেছে শৈলারোহণ অভ্যাস করতে - সেই ভিত্তিতে এই আখ্যান … চুনি স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। গভীর, অতলস্পর্শী সে দৃষ্টি। যারা কথা কম বলে তারা কি অন্যের না বলা কথাও বুঝে যায়? কেমন একটা ধরা পড়ে যাওয়ার মতো অস্বস্তি হয় সুমনের। আসলে তখন ওর মনের পর্দায় দ্রুত খেলে যাচ্ছে কয়েকটি দৃশ্যের মন্তাজ ... ...
আশির দশকে যাদবপুরের কয়েকটি ছাত্রছাত্রী শুশুনিয়া পাহাড়ে গেছে শৈলারোহণ অভ্যাস করতে - সেই ভিত্তিতে এই আখ্যান …ওর দিকে না তাকিয়ে আত্মমগ্ন হয়ে কথাগুলো বলছিল ঈশু। সুমন ভাবে, হোলো কী মেয়েটার! এমন ভাবালুতা তো আগে কখনো দেখেনি ওর মধ্যে? দুরে তাকিয়ে আছে ঈশু। কিছুই সেভাবে দেখছে না হয়তো। জোৎস্নায় চরাচরের অস্পষ্টতা কিছুটা স্পষ্ট হয় মাত্র। বিশেষ কিছু বোঝা যায় না। ঈশুর দৃষ্টিতেও তেমনি বিহ্বল শুন্যতা। মুখের ধারালো আভিজাত্য মৃদু বিষন্নতায় মোলায়েম দেখায়। একটু আগে আগুনের পাশে নৃত্যরতা উচ্ছল মেয়েটাকে খুঁজে পায় না সুমন। ওকে দেখে আগেও সুমনের মনে হয়েছে হয়তো ওর কোনো বিষাদময় অতীত আছে। যা ও লুকিয়ে রাখতে চায়। তাই আপাত কাঠিন্য দিয়ে ঢেকে রাখে নিজেকে। কিছু অসতর্ক মূহুর্তে তা সামান্য প্রকাশ হয়ে পড়ে ... ...