এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • ট্রেনযাত্রার পাঁচালি - চিত্রকূট থেকে উদুপী - ১

    সমরেশ মুখার্জী লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ৪০৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • শায়িকা শ্রেণীর USP

    এসি কোচে বাইরের শব্দ বিশেষ আসেনা‌। ওখানে যাত্রীদের কথা, হাসি মাপা এবং মৃদু। অন্ততঃ যাদের পাবলিক প্লেসে আচরণের সহবৎবোধ আছে।  অবশ্য তার মধ্যে থার্ড এসিতে এখন একটু মঙ্গলাহাটের  ফিলিং আসে। যাদের ট্রেনের কামরাটা‍ও নিজস্ব বৈঠকখানা মনে হয় তাদের নিজেদের মধ্যে উচ্চগ্রামে কথা হাসি চলে, ছোট মেজো বাচ্চাদের দল করিডরে হুটোপুটি করে বা বাঙ্কের সিঁড়ি বেয়ে সার্কাস করে। সেকেন্ড এসির খোপে খোপে পর্দা দেয় একটু আড়াল। থার্ডের থেকে ভাড়া বেশি হ‍ওয়ায় আমজনতার ভীড় একটু কম। ফার্স্ট এসির খোপের দরজা প্রাইভেসির সাথে দেয় নিরাপত্তার আশ্বাস। নবদম্পতির কপালে কেবল দুটি বার্থের হানিমুন ক‍্যুপ জুটলে একদম কম্পার্টমেন্টালাইজড্ অস্তিত্ব। কেউ ডিসটার্ব করার নেই। অত‌এব চলন্ত লৌহশকটেই চলতে পারে জীবনের জয়গান। পরে সুর-তাল কেটে না গেলে যে গান গাওয়া হবে আরো বহুবার - হোটেলে বা গৃহে। 

    এসিতে কালচে কাঁচের জানলা দিয়ে যায়না ভালো বাইরে দেখা। আসে না মুক্ত বাতাস। আমি একাকী ভ্রমণে থার্ড এসিতে যাই কেবলমাত্র এপ্রিল থেকে জুনের গরমে, তাও দুরপাল্লার যাত্রায়‌। শীতে স্বল্প বা দূর - সব যাত্রা‌তেই যাই শায়িকা শ্রেণী‌তে। শরীর‌কে এখনো বেশী আরামে অভ‍্যস্থ হতে দিইনি। মনের নাক‌‌ও ওঠেনি উঁচুতে। তাছাড়া শায়িকা শ্রেণী‌তে বিনে পয়সায় দেখা যায় নানা নাটক। কিছু যাত্রী‌র আচরণ স্মৃতি‌তে দীর্ঘ ছাপ রেখে যায়। সেসব‌ নিয়ে‌ই এই লেখা‌।

    পারিবারিক বা দলবদ্ধ ভ্রমণে বাকিদের পছন্দ শিরোধার্য। আমার একাকী ভ্রমণবৃত্তান্ত পড়ে অনেকের হয়তো মনে হয় অযথা কৃচ্ছসাধন। এ প্রসঙ্গে তাই চাণক‍্য সেনের ‘সে নহি সে নহি’ উপন‍্যাসের কিছুটা অংশ উদ্ধৃত করার লোভ সামলাতে পারছি না। 

    এক দরিদ্র বিধবা মায়ের দুটি মেয়ে - দেববাণী ও দেবযানী। দুজনেই পড়াশোনা‌য় ভালো। বড় বোন দেববাণী বিজ্ঞানী। আমেরিকা‌য় গিয়ে পড়াশোনা, গবেষণা, অধ‍্যাপনা করে অনেকদিন কাটিয়ে‌ছে।  ছোট বোন ইংলন্ডে ডাক্তারি করছে। দেববাণীর প্রেমিক হিমাদ্রি। সেও ভিয়েনায় গবেষক। দুজনে মিলে দিল্লী‌তে একটি উচ্চ‌তর গবেষণা‌ প্রতিষ্ঠান স্থাপনা করতে চায়। সরকারের থেকে আর্থিক সাহায‍্য চায় না। বিদেশী দানের অঙ্গীকার পেয়েছে। তাদের প্রয়োজন কেবল সরকারি অনুমোদন এবং একটু জমি। ঐ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপনা‌র জন‍্য দেববাণী‌ কিছুদিনের জন‍্য আমেরিকা থেকে ছুটি নিয়ে দিল্লী এসেছে। আছে পূর্ব‌পরিচিত এক আমেরিকা‌ন পরিবারের বাড়িতে। এখন তার দারিদ্র্য নেই। অবস্থা সচ্ছল। সে মাকে কলকাতা থেকে কিছুদিনের জন‍্য দিল্লী‌তে নিজের কাছে আনতে চায়। শীতকালে‌ ঠাণ্ডা‌র জন‍্য মাকে সে ট্রেনে ফার্স্ট ক্লাসে আসতে বলেছে। খরচ তার। কিন্তু মা তাতে রাজী হননি। এবার চাণক‍্য সেনের লেখনী থেকে:

    দেববাণী নীচে নেমে এল। একতলায় পোষ্ট পরিবার তখনও নিদ্রিত। এই মার্কিন ভদ্রলোক  ডাক্তার রবার্ট পোস্টের গৃহে দেববাণী সাময়িক অতিথি। তিনি দিল্লীতে নতুন স্থাপিত আমেরিকান মিশন হাসপাতালে স্পেশালিস্ট ডাক্তার হিসেবে এসেছে‌ন। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করার সময় পোস্ট পরিবারের সঙ্গে দেববাণী‌র আলাপ হয়; আলাপ ক্রমে বন্ধুত্বে পরিণত হয়েছিল। যে কয়জন বিদেশী দেববাণীর গবেষণা-কেন্দ্র স্থাপনে আন্তরিক উৎসাহী, রবার্ট পোস্ট তাদের একজন। দেববাণী গ্যারাজ থেকে গাড়ী বার করবার জন‍্য নীচে নেমে অপ্রত্যাশিত ভাবে দেখতে পেল সুজন সিং গাড়ীর গাত্রমর্দনে ব্যস্ত। দেববাণীকে দেখে সে নমস্তে করল।

    "নমস্তে, সুজন সিং। তোমাকে ত আসতে বলিনি।”

    "আমি নিজেই এলাম, হুজুর।”

    " এই শীতের সকালে !” 

    "কোই বাৎ নেই, হুজুর। আপনি একা গাড়ী নিয়ে স্টেশনে যাবেন, তা কেমন ক'রে হয়?”

    "সুক্রিয়া, সুজন সিং। এবার চল। গাড়ীর সময় হয়ে এল।”

    শীতের সকালে জনবিরল রাস্তায় গাড়ী দ্রুতই পৌঁছে গেল স্টেশনে। ট্রেন আসতে তখন মিনিট আটেক দেরি। দেববাণী নামলে সুজন সিং বলে - কৌন্ গাড়ী হুজুর?

    - জনতা।

    দেববাণী‌ বুঝলো সুজন সিং বেশ অবাক হয়েছে। সুগঠিত মুখে বড় বড় চোখ দু'টির ওপরে তির্যক ভ্রূ ঈষৎ বেঁকেই স্বাভাবিক হ'ল। দেববাণীর মজা লাগল। সুজন সিং ভাবতে পারে নি দেববাণীর মা জনতায় আসবেন। আরও পরিষ্কার ক'রে দেববাণী দ্বিতীয়বার বলল: "আমার মা আসছেন, কলকাতার জনতায়।”

    মা বেশী পয়সার আরামপ্রদ রেলযাত্রার বিরোধী। সারা জীবন দারিদ্র্য ও অভাবের সঙ্গে সংগ্রামে দু'পক্ষে কেমন মিতালি হয়ে গেছে। এ জন্য মার কোনো অভাব বোধ‌ই নেই। দারিদ্র্যকে তিনি আজীবন তুচ্ছ করেছেন, মাথা ঘামাবার সম্মানটুকু পর্যন্ত দেন নি তাকে। অল্প বয়সে দুটি মেয়ে নিয়ে বিধবা হবার পর থেকে দারিদ্র্যর সঙ্গে তাঁর লড়াই। মেয়েদের মানুষ করতে হবে এই সঙ্কল্প যেদিন তিনি অন্তরে গ্রহণ করলেন, সেদিন জন্ম নিল অন্য এক সঙ্কল্প : দারিদ্র্যের কাছে হার মানলে চলবে না। 

    হার মানেনও নি। দেববাণী ও দেবযানী অনেক পেয়েছে, যা তাদের পাওয়ার কথা তার চেয়ে বেশী। তাদের শিক্ষার ত্রুটি মা করেন নি। শুধু স্কুল কলেজে পড়ান নি, গান শিখিয়েছেন, ছবি আঁকা শিখিয়েছেন। দেববাণী-দেবযানী কখনো ছেঁড়া শাড়ী পরে নি, ছেঁড়া জুতো ব্যবহার করে নি। আবার তেমনি যা নিতান্ত প্রয়োজন, তার বেশী‌ও পায় নি। গৌরব ও দুঃখের সঙ্গে মা বলেন, তোরা কত কষ্ট করেছিস। স্কুলে ফার্ষ্ট হতিস, কোনও দিন মাইনে লাগে নি; কলেজে বৃত্তি পেয়েছিলি, মাইনে লাগে নি। তোদের জন‍্যে আমি আর কি‌ই বা করেছি। যা করেছেন, মঙ্গলময় ভগবান। এই হল মার স্বভাব। কোন কিছুর জন্যে কৃতিত্ব নেবেন না। 

    আজ দেববাণী যথেষ্ট রোজগার করে, মাকে সে আরামে রাখতে চায়। তবু আজও, অভাব যখন বিগত, তিনি প্রয়োজনের বেশী কিছু নিতে রাজী নন। দেববাণী ফোনে বলেছিল, বড্ড শীত হবে মা রাস্তায়, তুমি ফার্ষ্ট ক্লাসেই এসো লেপ গায়ে দিয়ে আরামে ঘুমিয়ে। মা ওপার থেকে হেসে বলেছিলেন, তোর যেমন কথা। কে না কে থাকবে কম্পার্টমেন্টে, আমি অমন ক'রে যেতে পারব না। তাছাড়া আমি তো যাব জনতায়। ওতে তো ফার্ষ্ট ক্লাস‌ই নেই।

    জনতায়? সে যে দু' রাত্রির পথ। বলেছিল দেববাণী।

    মা বলেছিলেন, তাতে কী? বেশ র'য়ে-স'য়ে, দেশ দেখতে দেখতে যাব। থার্ড ক্লাসে যাওয়ার মস্ত সুবিধে কী জানিস? কত সব বিচিত্র মানুষ দেখতে পাওয়া যায়। পকেটমার, সাধুসন্ত, বরযাত্রী, নতুন বৌ থেকে থুড়থুড়ে বুড়ো-বুড়ী। তাদের শরীরের বিচিত্র সুবাস। বিড়ির গন্ধ। চিনেবাদামের খোলসের ছড়াছড়ি, বহু মানুষের কথা, হাসি, শিশুর কান্না। মালপত্র নিয়ে ঝগড়া। হাসতে হাসতে মা বলেন, বলতো তুই, এমন জীবন্ত নাটক ফেলে ফার্ষ্ট ক্লাসে কেন যাবো?

    ঘুম চাই নে তোমার দুটো পুরো রাত?

    বেঞ্চি রিজার্ভ ক'রে রাতে আরামে ঘুম দেব। ভাল ভাল স্বপ্নও দেখব। তুই ভাবিস নে।

    এর পরে আর কিছু বলার থাকে না দেববাণী‌র। মা আসছেন জনতায়।

    তো এই পর্বে চাণক্য‍বাবুর লেখনী‍তেই আমার মনোভাব, অভিলাষ প্রকাশ পেলো। পরের পর্বে থাকবে আমার অভিজ্ঞতা।

    (চলবে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ৪০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • . | ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:০৪540510
  • অ নে ক কা ল  পরে আপনার লেখা পেলাম। চলুক কাহিনি।
  • kk | 172.56.***.*** | ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৫০540513
  • আরে সমরেশ লান যে! অনেকদিন পরে লিখছেন। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৫২540515
  • স‍্যাম, ভালো লাগছে ফিরে আসায়। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম‌।
  • সমরেশ মুখার্জী | ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:১০540524
  • . / kk / অমিতাভ / হীরেনদা - সবাইকে জানাই ধন্যবাদ ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা। 

    হীরেনদা - আপনি আমার থেকে অনেক সিনিয়র - তাই আপনাকে জানাই নমস্কার । 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন