এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জান যায় লেকিন ক্যরিয়ার না যায়! 

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৯ জুলাই ২০২৫ | ৮৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • জান যায়, লেকিন ক্যরিয়ার না যায়!

    আমরা যে কালে একটু একটু করে বেড়ে উঠছি সে কালে ক্যারিয়ার শব্দটা আমাদের শরীর ও মনের ওপর সেভাবে কখনোই জেঁকে বসেনি। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। ফলে বাবা - মায়ের লড়াইয়ের আমরা ছিলাম সহযোদ্ধা। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁরা খুব বেশি উদ্বিগ্ন ছিলেন তেমন হয়তো নয়, ফলে ক্যারিয়ারের বিষয়ে আমরাও সেই বিষয়ে একরকম উদাসীন ছিলাম।

    এ কালের অভিভাবকদের হ্যাপা অনেক। সন্তান হামাগুড়ি দিচ্ছে দেখলেই একালের বাবা – মায়েরা দাবার বোর্ডে গুঁটি সাজানোর মতো করে সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য ছক কষতে শুরু করেন – কোন্ স্কুলে ভর্তি করা হবে থেকে শুরু করে ভবিষ্যতের কর্মজীবনের ছবিটি পর্যন্ত আঁকা হয়ে যায় তাঁদের মানসপটে। সেই মোতাবেক চলে পরিকল্পিত তালিম, যতদিনে না তাঁদের সন্তানরা সেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছচ্ছে।এই ভাবনায় একালের অভিভাবকদের একাংশ এতোটাই ডুবে থাকেন যে তাঁদের চেনা ছকের বাইরের কিছুই মেনে নিতে পারেন না। এই মেনে নিতে না পারাটা যে কতটা ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে নিয়ে যায় গোটা বিষয়টিকে তার অজস্র কাহিনি ছড়িয়ে আছে।

    আজকের সকালের ( জুন,২৪,২০২৫ ) কাহিনিটির কথাই ধরুন। এই বিয়োগান্তক কাহিনির (খল) নায়ক হলেন ধোন্দিরাম ভোঁসলে। বয়স ৪৫ বছর। পেশাগত জীবনে তিনি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের মাননীয় প্রধানশিক্ষক। একজন প্রধানশিক্ষকের সন্তান কি আর যেমন তেমন হলে চলে? সুতরাং তাঁর কন্যাটিকে NEET ( পড়ুন নেট - জাল) পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে জাল পেতে বসে থাকা কোনো কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে। বাবা ধোন্দিরাম ভোঁসলে চাইছিলেন, মেয়ে সাধনা যেন সমস্ত হার্ডল পেরিয়ে তরতরিয়ে একেবারে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যায়। বাবার এমন যান্ত্রিক বাসনার শর্ত পূরণ করার প্রচেষ্টায় সাধনা দিশেহারা। কিন্তু ভোঁসলে সাহেবের এক কথা – মী তুঝ্যাতা ইতকে পৈসে ওতালে আহেত,আণি হে তুঝে নিকাল আহেত? – আমি তোমার পেছনে এতো পয়সা ঢালছি, আর তোমার এই ফল?
    বাবা ধোন্দিরাম ভোঁসলের এমন অজুহাতের সামনে সাধনা রীতিমতো কুঁকড়ে যায়। মাকে সে জানিয়েছে তাঁর এই আতঙ্কের কথা। মায়ের কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনা। সাধনা বড়ো একা হয়ে পড়ে।

    ধোন্দিরাম ভোঁসলে কোনো মধ্যপন্থায় বিশ্বাস করেন না। মেয়েকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবার ভাবনায় তিনি এতোটাই মশগুল যে একটা মক টেস্টে কম নম্বর পেয়েছে বলে সাধনাকে বেধড়ক লাঠিপেটা করেন তিনি। শাসনের বহর এমন বেশি হয়ে যাবে তা আগেভাগে অনুমান করতে পারেননি ভোঁসলে সাহেব। যতক্ষণে হুঁশ ফিরল ততক্ষণে তাঁর লাডলি বেটি সমস্ত শাসন আর প্রত্যাশার সীমারেখা অতিক্রম করে পরম শান্তির পথে যাত্রা করেছে। মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলি থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে ধোন্দিরাম ভোঁসলে সাহেবকে। এই সময়ের শিক্ষা - শাসন পরিমন্ডলে ভোঁসলে সাহেব একা, এমনটা ভাবার কোনো সঙ্গত কারণ আছে বলে মনে হয় না। ঘরে ঘরে এখন এমন ভোঁসলে সাহেবদের অধিষ্ঠান যাঁরা তাঁদের বিনিয়োগের প্রতিটি অঙ্ককে এভাবেই বুঝে নিতে চান। জীবন তাঁদের কাছে তুচ্ছ হয়ে গেছে।

    এবার চলুন আরও এক গিনিপিগের কথা শুনে নিই। জনৈক অঙ্কিত সেনগুপ্ত তাঁর X হ্যান্ডেল একাউন্টে ঘটনাটি ট্যুইট করে জানিয়েছেন বৃহত্তর সমাজ-সখাদের অবগতির জন্য। এই মুহূর্তে একজন AI Techie হিসেবে কর্মরত অঙ্কিত তাঁর JEE Exam এর জন্য প্রস্তুতির কঠিন দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেছেন প্রায় এক দশক সময় পরে। কেন এতোদিন পরে অঙ্কিতের হঠাৎ করে মনে হলো ফেলে আসা দিনগুলোর কথা নতুন করে সবাইকে জানানোর? আসলে তাঁর মহা প্রস্তুতির দিনগুলোর ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা আজও ভুলতে পারেনি সে, দুঃস্বপ্নের মতো আজও অঙ্কিতকে ভীষণ ভাবে তাড়িয়ে বেড়ায়। সেই দুর্বিষহ দিনগুলোর কথা আজও ভুলতে পারেনি সে – জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় অসফলতার কারণে তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল।

    ট্যুইটার পোস্টে সে লিখেছে – “ আমি আমার মন থেকে ঐ দিনগুলোর কথা মুছে ফেলতে চাই ; কিন্তু আমি পারিনি। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের কাছে খুব বেশি কিছু বেছে নেবার সুযোগ থাকে না। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে থাকলে পেশাগত জীবনের পরিচিত প্রবেশদ্বার জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাই ভরসা। তাই তার পেছনেই অভিভাবকরা তাঁদের কষ্টার্জিত পুঁজির সমস্তটাই বিনিয়োগ করে বসেন। এ যেন এক ফাটকাবাজি ! সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে জুয়া খেলা। আমি আই আই টি ক্র্যাক করতে পারিনি তিন তিন বারেও। প্রতিবার আশায় আশায় বুক বেঁধে থেকেছি আমি আর আমার পরিবারের সদস্যরা। শিকে ছেড়েনি অঙ্কিত সেনগুপ্তের ভাগ্যে । এই তিন বছর আমার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা কেউই কথা বলেনি। ব্যতিক্রম হলেন আমার মা। বুকে পাথর চাপা দিয়ে, অন্যদের তীক্ষ্ণ নজর এড়িয়ে তিনিই একমাত্র কথা বলেছেন আমার সঙ্গে সুযোগ মতো। আমি যে তাঁর সন্তান। আসলে আমি তাঁদের দোষ দিইনা। তাঁরা তাঁদের সর্বস্ব বাজি রেখেছিলেন কেবলমাত্র আমাকে সফল হিসেবে দেখতে চেয়ে। ব্যতিক্রমী পরিবেশ কি নেই? নিশ্চয়ই আছে, তবে এমনটাই এদেশের ঘর ঘরকি কহানি।”

    কেন এতোদিন পরে অঙ্কিত সেনগুপ্ত এই কথাগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ করছে? আসলে অন্য এক ট্যুইটার হ্যান্ডলার কিছু মন্তব্য করেছেন তাঁর পাতায় , যার প্রত্যুত্তর হিসেবে এই লেখাটি লিখেছে অঙ্কিত।

    অঙ্কিতের ট্যুইটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কোচিং সেন্টারগুলোর দুঃখজনক পরিস্থিতির কথাও উঠে এসেছে। কলকাতা শহরেও কোচিং সেন্টারগুলো বিপুল মুনাফা লোটার আয়োজন করে ফেলেছে কোটা শহরের বিদ্যা ব্যবসা কেন্দ্রগুলোর মতো। অঙ্কিত জানিয়েছে বোকারো, রাঁচি, জামশেদপুরের মতো শহরেও কোচিং সেন্টারগুলো তাদের জাল বিছিয়ে দিয়েছে। নিদারুণ অর্থকষ্টের জ্বালা স‌ইতে না পেরে সপ্তাহে দু তিনজনের আত্মহত্যার ঘটনা যেখানে খুবই সাধারণ ব্যাপার, সেই বিহার ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যেও উত্তরণের উপায় হিসেবে পরিবারগুলো এমন প্রস্তুতির পথ বেছে নিয়েছে বাধ্য হয়ে। অঙ্কিত তাঁর এক বন্ধুর কথা লিখেছে যে মেডিক্যাল পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য তাঁর মুমূর্ষু বাবাকেও ছেড়ে চলে গেছে। অঙ্কিতের মতে – এটাই এখন স্বাভাবিক ঘটনা বলে মেনে নিতে হবে। আগে নিজের ক্যারিয়ার, পরে প্রেম , প্রীতি, কর্তব্য, ভালোবাসা, দায়িত্ব..…….সব।”

    অঙ্কিত জানিয়েছে সে এখনো তাঁর কিশোর বয়সের দুঃস্বপ্নের স্মৃতিগুলোকে ভুলতে পারেননি। প্রস্তুতি কালের এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন অঙ্কিত। এই হাড় হিম করা অভিজ্ঞতা আজ‌ও আমাকে বিধ্বস্ত করে। আমার পরিচিতি এক ছাত্র যে কিনা সফলতার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল তাঁকে কোচিং সেন্টারের এক ফ্যাকাল্টি মেম্বার পরামর্শ দেন ঐ বছর ‘ড্রপ’ দিয়ে পরের বছরের জন্য প্রস্তুতি নিতে যাতে rank ভালো হয়। এজন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করে দেবেন তিনি। ছেলেটি একদম ভেঙে পড়ে এই বলে যে ইতিমধ্যেই সে স্যারকে ৭৫০০০ টাকা দিয়েছে দু বছরের কোচিং এর জন্য। এরপর আর তাঁর পরিবারের পক্ষে কোচিং ক্লাসের জন্য কোনো খরচ করা সম্ভব নয়। এমন অভিজ্ঞতার কথা আমি জীবনে কখনো ভুলবোনা।”

    এই দুই কাহিনি একালের কোচিং সেন্টার কেন্দ্রিক পঠনপাঠনের করুণ অবস্থার প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের কাছে এমন অভিজ্ঞতা ভয়াবহ বিস্মৃতির ছাপ রেখে যায়। সাধনার কাহিনি আমাদের শিক্ষা পরিমন্ডলের গভীর অন্ধকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাধ্য করে। এমন ঘটনা এদেশে এই প্রথমবারের মতো ঘটলো তেমন‌ও নয়। আমাদের রাজ্যেও অতীতে এমন বিয়োগান্তক ঘটনা ঘটেছে। কোটায় ধারাবাহিক ভাবে ঘটে চলা আত্মহননের ঘটনা আমাদের চেতনায় কোনো তরঙ্গ তোলেনা। সব কেমন যেন গা সওয়া হয়ে গেছে। কোটার মৃত্যুমিছিল দেখেও সরকারের কোনো হেলদোল নেই কারণ ছাত্র পিছু জি.এস.টি.খাতে মোটা অংকের টাকা আয় হয় সরকারের। তাই হননপর্ব চলতেই থাকে, চলতেই থাকে। একদিন দুদিনের জন্য এই প্রসঙ্গে কথাবার্তা হয়, তারপর সব শান্ত। এই পরীক্ষাগুলোকে উপলক্ষ করে সমাজের স্তরায়ণ আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের কাছে যা ডু অর ডাই এর সমস্যা, সম্পন্ন পরিবারের সন্তানদের কাছে তা নিছকই একটা পরীক্ষা মাত্র। অঙ্কিত জানিয়েছে কীভাবে তাঁর স্কুলে ৫০০ জন ছাত্রকে ভর্তি করা হয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য তৈরি করার নামে। সেখানে বাণিজ্য বা কলা বিভাগে পড়াশোনা করার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি,ঐ সব বিভাগের পড়ুয়াদের বাজারদর নেই বলে।

    সাধনা, অঙ্কিত এরা একটা লড়াইয়ের অংশীদার, ওয়ারিয়র্স। এদের জীবনের লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছে একালের সমাজ- পরিবেশ। এদের ব্রত একটাই – সকলকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া, শুধুই এগিয়ে যাওয়া। ওদের সামনে অনন্ত সফল জীবনের হাতছানি। আমাদের শাস্ত্রেই তো বলেছে – হয় শরীর পাতন, না হয় মন্ত্রের সাধন। যজ্ঞের অগ্নিকুণ্ডে আহুতি দিতে হয় মনোস্কামনা পূরণের জন্য। এখন চারিদিকে লক্ষ্য পূরণ যজ্ঞ চলছে। সাধনার মতো নিষ্পাপ সারল্যে ভরা আহুতি ছাড়া এই মহাযজ্ঞ সফল হবে কী করে?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • . | ১৯ জুলাই ২০২৫ ১০:২০732560
  • অসুস্থ সমাজব‍্যবস্থা থেকেই এই অসুস্থ মানসিকতা ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের মধ‍্যে। টাকা চাই বেশি করে। যে প্রোফেশনে ঢুকলে মধ‍্যবিত্তের সন্তান বেশি টাকা আয় করতে পারবে সেসব হচ্ছে ডাক্তারি ইঞ্জিনিয়ারিং আইএএস, সেসবখানে আসন সংখ্যা সীমিত। তাই চুড়ান্ত কঠিন পরীক্ষা দিয়ে র‍্যান্ক ভালো করার ইঁদুর দৌড়। প্রাইভেট কলেজে প্রচুর খরচের চাপ তো তারপরেও থাকছে। যারা সেই খরচ বহন করতে পারছে না, অপেক্ষাকৃত কম খরচের কলেজ রয়েছে যেসব দেশে, সেখানে পাঠানো হচ্ছে পড়ুয়াদের। স্বচক্ষে দেখে এলাম ইদানীং জর্জিয়ায়, কাজাখস্তানে, কিরঘিজস্তানে। ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের ভিড়। 
    ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে ছুটছে সমাজ। 
  • Somnath mukhopadhyay | ১৯ জুলাই ২০২৫ ১১:২৫732562
  • মতামতের জন্য ধন্যবাদ জানাই। ইঁদুর দৌঁড় আমরাই শুরু করেছি, শেষ করতে হবে আমাদের‌ই। আরও কতো আত্মবলিদানে আহুতি পর্বের পরিসমাপ্তি ঘটবে কে জানে? 
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:1104:1669:8000::***:*** | ১৯ জুলাই ২০২৫ ২০:০০732573
  • যেনতেন প্রকারেন ডাক্তার হওয়া চাই বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়া চাই । অভিভাবকদের দোষ তো আছেই ।তবে কোন কোন ক্ষেত্রে তারা অসহায়ও। অন্য ক্ষেত্রে চাকরির সংখ্যা এবং নিশ্চয়তা সত্যিই অনেক কম।অবস্থার করুন পরিণতির একটা দিকে আপনি তুলে ধরেছেন। সেটা না পাওয়ার যন্ত্রনা জনিত বা প্রস্তুতি জনিত। আরেকটা দিক হচ্ছে নিম্ন মেধার অনেকেই পয়সার জোরে এইসব পড়ছে। উচ্ছৃংখল জীবন যাপন করছে ।আমাদের নিজেদের স্বাস্থ্য বা ব্রিজের স্বাস্থ্য সব এই মানব সম্পদের হাতে 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন