এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • ফুহারী‌জীতে সান্ধ‍্য আড্ডা

    সমরেশ মুখার্জী লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ০১ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৪৭ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)
  • সেবার একাকী মধ‍্যপ্রদেশ ভ্রমণে ৫ই মার্চ ২০১৯ রাতে এসে পৌঁছে‌ছিলাম চান্দেরী। পরদিন সকাল থেকে কিছুটা অটোতে আর প্রায় বারো কিমি হেঁটে কয়েকটি জায়গা সময় নিয়ে, আয়েশ করে দেখেছি। একদিনে বেশী দ্রষ্টব্য দেখতে ভালো লাগে না। তাতে কোনো জায়গা‌ই ঠিকমতো মনে নেওয়া যায় না। বিকেলে চান্দেরী কেল্লার পশ্চিমে খুনি দরওয়াজা দিয়ে কিছুটা নেমে দেখলাম একটা মন্দিরের রাস্তা। সুচনা ফলকে লেখা - ফুহারীজী দেবস্থান। কৌতূহল হোলো। গিয়ে দেখি পাহাড়ের ঢালে লম্বাটে চত্বরে কয়েকটি দেব দেবী‌র মন্দির। বালাজী, রাধা-কৃষ্ণ, রাম-সীতা, দুর্গা, হনুমান। বুঝলাম না ফুহারীজী নামের অর্থ।


    পশ্চিমে পাহাড়ের শিরে যখন অস্তগামী সূর্যের টিপ, এলাম ফুহারীজী মন্দির চত্বরে


    ফুহারীজী মন্দির - পিছনে চান্দেরী কেল্লা


    কচি কাঁচা নিয়ে চত্বরে বসে থাকা মহিলা‌টি ছিলেন বেশ সপ্রতিভ


    সন্ধ‍্যায় তারা চলে যেতে জায়গাটা নির্জন হয়ে গেল


    মন্দিরে অধিষ্ঠিত রাধা কৃষ্ণ


    বিষ্ণুর ভেঙ্কটেশ রূপ বা বালাজি

    বাঁধানো মন্দির প্রাঙ্গণে সতরঞ্চি‌তে একটি স্থানীয় মহিলা তাঁর শিশু পুত্রদের নিয়ে বসেছিলেন। চত্বরে ঘোরাঘুরি করছিল ঘন শ‍্যামবর্ণ, রোগাটে এক প্রৌঢ়। নাম করণ সিং। তার ঝকঝকে সাদা দন্তবিকশিত হাসিটি ভারি অমায়িক। সে এই মন্দিরের পরিচারক। পূজারীর ফাই ফরমাশ খাটা, মন্দির চত্বর পরিস্কার রাখা, এইসব তার কাজ। সাত বছর বয়সে পিতৃমাতৃহীন হয়ে, কিছুদিন এদিক ওদিক ধাক্কা খেয়ে, বছর দশেক বয়সে করণ এখানে আশ্রয় পায়। সেই থেকে এখানেই রয়ে গেছে। 
     

    মন্দিরের পিছনে ও।ছোট একটা ঘরে থাকে। তখন ওর বয়স প্রায় পঞ্চাশ। পড়াশোনা করেনি। অন‍্য কোনো কাজও জানে না। তাই এই বয়সে আর নতুন কিছু করা বা অন‍্য কোথাও যাওয়ার কথা ভাবে না করণ। মন্দির কমিটি থেকে মাসমাইনে পায় দু হাজার টাকা। এছাড়া আছে দর্শনার্থীদের কিছু দান। তাতেই চলে যায় ওর। মনে হোলো এই জীবনযাত্রায় করণের কোনো আক্ষেপ নেই।  থাকলে অকারণে প্রায়শই ওর মুখে এমন অমলিন হাসি দেখা যেতো না।
     
    জায়গাটি অতি মনোরম। শান্ত পরিবেশ। পাহাড়ের গায়ে কিছুটা ওপরে হওয়ায় অবাধ দৃষ্টি চলে যায় বহুদূর। সারাদিনে অনেক হাঁটাহাঁটি করে একটু ক্লান্ত লাগছিল। ঠান্ডা হাওয়ায় শরীর, মন জুড়িয়ে গেল। এবার ধর্মশালায় ফেরা ছাড়া আর কোথাও যাওয়ার নেই। তাই উঁচু চাতালে করণ আর একটা সতরঞ্চি পেতে দিতে জমিয়ে বসে জানতে চাইলাম, এখানে নানান দেব দেবীর মধ‍্যে  ফুহারীজী কে? আগে তো কখোনো শুনিনি। 
     
    আমার প্রশ্ন শুনে করণ করুন ভাবে আমতা আমতা করে। করণের মতো মানুষের জীবনে বিশেষ কিছু না জেনেও দিব‍্যি চলে যায় তাই যেখানে এতদিন আছে সেই স্থানে‌র নামটির তাৎপর্য জানার কৌতূহল‌ও হয়নি ওর। শেক্সপিয়ারের বিখ্যাত কোট - যা রোমি‌ও জুলিয়েট না পড়েও কোথা‌ও উদ্ধৃতি পড়েই জেনেছি -  “What's in a name? That which we call a rose by any other name would smell just as sweet.” মনে হয় এমন খামচা মারা জানা‌র আগ্ৰহ ওর নেই।
     
     কিন্তু স্থানীয় মহিলা‌টি সপ্রতিভ। আগেই সে জানতে চেয়েছে, বাবুজী, আপ কাঁহাসে আয়ে হো? এবারেও সেই জবাব দিল। বাবুজী, ঐ যে পাহাড়ের গায়ে খোদাই করা হনুমানজীর মূর্তি‌ দেখছেন, ওটা খুব প্রাচীন। সেই গড়ের আমলের। বাকি সব মন্দির হালে হয়েছে। একবার এখানে‌ই কারুর কাছে শুনেছিলাম, হনুমানজী তো ফলাহারী, তাই হয়তো ওনাকে ফলাহারীজী দেব‌ও বলা হোতো। ক্রমশ তা লোকমুখে ফুহারীজী হয়ে গেছে। তবে পূজারী‌জী থাকলে হয়তো আরো সঠিক বলতে পারতেন। মহিলা‌টির ব‍্যাখ‍্যা আমার‌ গ্ৰহণযোগ‍্য মনে হোলো।
     
    একটু পরে মহিলাটি ও বাকি কয়েকজন দর্শনার্থী‌রা‌ চলে গেলেন। একদম নির্জন হয়ে গেল এমনিতেই শান্ত জায়গাটি। দুরে পশ্চিম দিগন্তে পাহাড়ের মাথায় গোধূলির লালচে আভাও ক্রমশ মিলিয়ে গেল। 
     
    ব‍্যাগ থেকে কিছু কড়াইশুঁটি, গাঁঠিয়া, প‍্যাঁড়া বার করে করণকে দিলাম। দু হাত পেতে মন ভালো করা হাসিমুখে নিল। ঠান্ডা হাওয়ার দাপট বাড়ছে দেখে করণ একটা চ‍্যাপ্টা কড়াইয়ে কাঠের আগুন জ্বালালো। ততক্ষণে আর একটি বছর আঠারোর ছেলে এসে হাজির হয়েছে। রকমসকম দেখে মনে হোলো কথা বলতে পারে না। করণ জানালো ও এখানে নিয়মিত আসে। আমায় প্রথম দেখেও উৎসাহ নিয়ে নানা ইশারা করে কত কি বোঝাতে চাইলো। আমি মাথা নেড়ে ওর অঙ্গ‌ভঙ্গিতে সায় দিই বটে তবে কিছুই বুঝতে পারি না। অসহায় লাগে। প্রকাশের অক্ষমতায় নয়। ভাষার খাঁচায় আবদ্ধ আমার ওর অব‍্যক্ত অনুভব উপলব্ধি‌ করার দৈন‍্যতায়। করণ কিছুটা ধরিয়ে দেয়।
     
    এক ফাঁকে করণ ঠোঙায় করে কিছু খোলাসমেত কাঁচা চিনেবাদাম এনে দেয় আমায়। সরল প্রতিদান। খারাপ লাগলেও বলি, কাঁচা বাদাম খেলে অসুবিধা হয় আমার। খুব উৎসাহ নিয়ে ও একটা টিনের খোলায় বাদামগুলো আগুনে সেঁকে দেয়। গরম গরম সেঁকা বাদামভাজা খেতে ভালোই লাগে।
     
    ততক্ষণে সেখানে আর একটি স্থানীয় লোক এসে বসছে। বয়স ত্রিশের কোঠায়। নাম প্রদীপ। সেও করণের চেনা। রোজ আসে সন্ধ‍্যা আরতির আগে। দেখলেই বোঝা যায় নিম্নবিত্ত। কিন্তু অত‍্যন্ত ভদ্র। কথাবার্তা খুব মার্জিত। চলতে থাকে টুকটাক আলাপচারিতা। মূলত আমিই জানতে চাই চান্দেরী‌ সম্পর্কে কিছু কথা। ওরা সাধ‍্য মতো জানায়।
     
    হঠাৎ সেই মূক ছেলেটি একটা ছোট্ট বাটিতে একটু নুন এনে আমার পাশে রাখে। ইশারায় বোঝায় বাদামগুলো নুন দিয়ে খেতে। ভালো লাগবে। যারা মূক হয় তারা সচরাচর বধির‌ও হয়। এ‌ও তাই, কানে শুনতে পায় না। কথা বলতে পারে না। লেখাপড়া শেখেনি বলে লিখেও মনের কথা বোঝাতে পারে না। কিন্তু না চাইতে জলের মতো নুনটা তো এনে বেশ রাখলো! আমাদের কথা বলতে দেখে সেও মাঝে মাঝে অবোধ‍্য কিছু আওয়াজ করে মনের ভাব প্রকাশ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে। কথা বলতে পারে না বলেই ওর হয়তো অতো প্রকাশের তাগিদ। যারা বলতে পারে তারা জানে কথা সাজিয়ে মনোভাব গোপনের মন্ত্র। অক্ষমতা সত্ত্বেও ওর  প্রকাশের আকুলতা, মমত্ববোধ নাড়া দেয়। 
     
    করণকে বলি, ওর নাম কী? করণ বলে, ওর কোনো নাম নেই তো। মুখ ফসকে বেরিয়ে যায়, তাহলে ওকে ডাকো কী করে? করণ বলে, ডাকি না তো। ডেকে‌ও তো লাভ‌ নেই। ও তো শুনতেই পায় না। হয় কাছে গিয়ে গায়ে হাত দিয়ে ডাকি বা চোখাচোখি হলে হাতের ইশারা করি। 
    করণের কথায় ক্ষণিকের জন্য স্তম্ভিত হয়ে যাই।
     
    লেখাপড়া, ঘোরাঘুরি, অভিজ্ঞতার এই ফল! একটু আগে‌ ওর প্রতি আমার সামান্য অনুকম্পা হয়েছিল - এতোদিন এখানে‌ থেকেও জায়গাটি‌র স্থান‌মাহাত্ম্য না জানা‌র অনাগ্ৰহে। কিন্তু ওর থেকে অনেক বেশী জেনেও এই সরল সত‍্যটা‌ তো আমার মাথাতে‌ই এলো না! নাম তো তাদের প্রয়োজন  যাদের কাছে নামহীন অস্তিত্ব অর্থহীন। যারা বোঝে নিছক আত্মপরিচয় ছাড়াও নামের কী অপার মহিমা, তাই নামার্জনের মোহে জীবনভর চলে অক্লান্ত  নামকীর্তনের তাড়না। জন্মাবধি নিস্তব্ধতা‌য় নিমগ্ন ওর অস্তিত্ব‌টাই তো প্রায় অকিঞ্চিৎ‌কর। কোথাও কোনো কাগজে ওর একটা নাম থাকলেও তার সাথে তো ওর কোনো একাত্মতাই তৈরি হয় নি। তাই নিজের নাম কারুর মুখে না শুনেও ওর কেটে গেছে এতগুলো বছর। বাকি জীবনটাও হয়তো ওর এভাবেই কেটে যাবে।
     
    সরল সহজ মনের করণ আমার ভাবান্তর, হঠাৎ চুপ করে যাওয়া এসব টের পায় না। কাঠের আগুনের কড়াই‌টা পাশে বসিয়ে দেয়, বাবুজী‌র যাতে ঠাণ্ডা না লাগে। নীচে তখন প্রাচীন চান্দেরী‌ শহরের আলো জ্বলে উঠছে।
     

     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ০১ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 2607:fb90:ea0c:cd31:c5e4:bfd6:bab5:***:*** | ০১ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৫৭525416
  • যারা 'কথা বলতে' পারে তারাও কি সবাই মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে? কী জানি! কেমন সন্দেহ হয়।
  • সমরেশ মুখার্জী | ০১ নভেম্বর ২০২৩ ২০:২৬525417
  • @kk 
     
    এটা আমার‌ও মনে হয়েছে। অস্পষ্টবাদীতা বা হেঁয়ালির প্রবণতা আমার স্বভাবে নেই। তাই যা  বলতে চাই তা প্রাঞ্জল‌ভাবে লিখতে চেষ্টা করি। তাই আমার লেখা এবং মন্তব্য‌ দীর্ঘ হয়ে যায়। কতটা ব‍্যক্ত করতে পারি তা কেবল আমার প্রকাশের দক্ষতার ওপরেই নির্ভর করে না - যারা পড়ে তাদের ওপরে‌ও কিছুটা নির্ভর করে। তার কিছু উদাহরণ রয়ে গেছে কিছু অদ্ভুত, অবাঞ্ছিত মন্তব‍্যে। যা আমি স্বপ্নে‌ও ভাবিনি - কিছু পাঠক তা আমার লেখায় দেখতে পেয়েছেন। 
     
    যা লেখা উচিত নয় বলে মনে হয়, তেমন মন্তব্য করি না। সেটা সৌজন্য। কপটতা নয়।
     
    লেখ‍্য মাধ‍্যমে মানুষ সময় নিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে বক্তব্য পেশ করতে পারে। তবে মুখোমুখি আলাপে কখনো observing incongruity in verbal communications with non verbal clues -  যা মনে হয়েছে তা রবিগুরুর ঢঙে লিখলে দাঁড়ায় - 
     
    যাহা বলি তাহা মানি না - যাহা ভাবি তাহা বলি না।
     
     
     
  • kk | 2607:fb90:ea0c:cd31:c5e4:bfd6:bab5:***:*** | ০১ নভেম্বর ২০২৩ ২০:৪০525418
  • সমরেশবাবু,
    সে তো ঠিকই। তবে আমি ঠিক তা বলতে চাইছিলাম না। আমার ব্যক্তিগত ভাবে এটা মনে হয় যে মনের মধ্যে ঠিক যেমন মনে হচ্ছে, সেগুলো কথা দিয়ে প্রকাশ করার মত যথেষ্ট শব্দ কোনো ভাষাতেই নেই। শব্দ কম পড়ে। খুব সম্ভব এটা আমার নিজের অক্ষমতা। তবে অন্য (যদিও রেয়ারলি) কাউকে কাউকেও বলতে শুনেছি তাঁদেরও মাঝেমাঝে এমন মনে হয়নি তা নয়। যাঁরা দক্ষ শিল্পী তাঁরা রং দিয়ে, সুর দিয়ে, ছবি দিয়েও শব্দের অভাব পূরণ করেন অনেক সময়ে। আমার মত দীন লোকের দ্বারা সে হবার নয়। তাই একেক সময়ে খুব মরিয়া লাগে, অস্থির লাগে। ঐ নামহীণ মানুষটির মত অনেক কিছু বলার আকুতি, কিন্তু উপায় জানা নেই।
    আপনার লেখায় খুব স্বচ্ছন্দে মনে ভাব প্রকাশ পায়। শুধু শব্দগুলোর গল্পই নয়। তার পেছনেও যে অনুভূতি থাকে সেগুলোও আমি বেশ ছুঁতে পারি। সেই জন্যই লেখাগুলো আরো ভালো লাগে। আপনি লিখতে থাকুন। এই সিরিজগুলো খুবই উপভোগ্য হচ্ছে।
  • সমরেশ মুখার্জী | ০১ নভেম্বর ২০২৩ ২২:০৭525421
  • @kk

    ভাষার মাধ‍্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে চিন্তা‌র স্বচ্ছতা, উপলব্ধি‌র গভীর‌তার সাথে শব্দের কায়ায় সেসব মায়া ধরতে পারার মতো লেখ‍্য মুন্সীয়ানার‌ও প্রয়োজন। অবশ‍্য তেমন linguistic efficiency বা ভাষাগত যোগ্যতা থাকলেও অনেকের সরল, স্বচ্ছ প্রকাশ পছন্দ নয়। তাদের পছন্দ দূর্বোধ্য‌তা, রূপক, তির্যক ইংগিত, বিমূর্ত আঙ্গিক। পাহাড়ে চড়ার মতো তেমন লেখা‌র কাছে পাঠককে‌ও চেষ্টা করে পৌছাতে হয়। তবে আমি বুঝি এবং মানি - সব কিছু সবার জন‍্য নয়। আমার পছন্দ সরল, সহজ প্রকাশভঙ্গি।

    তবে আপনি যা বলেছেন, সেটা‌ও ঠিক। লাখ দেড়েক ইংরেজি বা লাখ খানেক বাংলা শব্দ দিয়ে‌ও কখনো মনের সব ভাব সঠিকভাবে প্রকাশ করা যায় না। তবে সেই অক্ষমতা, অসহায়‌তাও জানানো যায় শব্দ দিয়ে‌ই - যেমন Inexplicable, incomprehensible বা unfathomable অথবা অবর্ণনীয় বা অনিবর্চনীয়।
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন