এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • ভ্রমণ-বিষয়ক তথ্যঃ কলকাতা – চটকপুর – কলকাতা

    শুভংকর লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ৩০ মে ২০২৫ | ৪৭ বার পঠিত
  • কবে গিয়েছিলামঃ ২২ – ২৬ মে, ২০২৫

    কারা গিয়েছিলামঃ মোট ৮ জন (পাঁচজন বড়, তিনজন ছোট; ছোটদের বয়স ৬ – ১৩র মধ্যে)

    ২২/০৫/২০২৫

    ২২শে মে হাওড়া থেকে শতাব্দী এক্সপ্রেস ছাড়ল দুপুরে আড়াইটে নাগাদ। নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছল রাত দশটা চল্লিশ নাগাদ। ২২ তারিখ সন্ধের দিকে শেয়ালদা থেকে যে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলো ছাড়ে, তার কোনওটায় চাপতে পারলে ভালো হত, রাতে নিউ জলপাইগুড়িতে থাকার খরচ বাঁচানো যেত। কিন্তু টিকিটের অভাবে শতাব্দীই বাছতে হয়েছিল আমাদের।

    শতাব্দী ডিনার দেয়। কাজেই রাতে ট্রেন থেকে নেমে আর কিছু খাওয়ার ব্যাপার ছিল না। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের কাছে একাধিক হোটেল/লজ ইত্যাদি আছে। আমরা উঠেছিলাম নীলাচল লজে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের ১ নং প্লাটফর্ম দিয়ে বেরিয়ে, ফুটব্রিজ ধরে স্টেশন চত্বরের বাইরে এসে ডানদিকে মিনিট তিনেকের হাঁটা দূরত্বে নীলাচল লজ – অপেক্ষাকৃত বেশি নামী ও দামি তিরুপতি লজের গলিতে। 

    খাবারের ব্যবস্থা নীলাচল লজে নেই। আশেপাশে একাধিক জায়গা আছে খাওয়ার, যদিও শতাব্দীর ডিনারের পর আর দরকার পড়ে না। আমরা নীলাচলে একটা চার বেডের ঘর আর একটা দুই বেডের (এক্সট্রা কট নিয়ে তিন) ঘর নিয়েছিলাম, নন-এসি। ঘর ভাড়া পড়েছিল ২২০০+১২০০+৩০০ (এক্সট্রা কট) = ৩৭০০ টাকা। ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, বাথরুম ছোট হলেও মোটের উপর ঠিকঠাক। রিসেপশনের অভ্যর্থনা উষ্ণ নয়, তবে এক রাতের জন্য উষ্ণতা ধুয়ে কী এমন আর জল খাবো! নীলাচল লজের ফোন নং – ৮৯২৭১৯৭০৪৭।

    ২৩/০৫/২০২৫

    ২৩ তারিখ আমরা পৌঁছলাম চটকপুর। পৌঁছনোর আগে সেখানকার বুকিং সম্বন্ধে কাজের কথা আগে সেরে রাখা যাক।

    চটকপুর জায়গাটির সন্ধান এবং সেখানে আমরা যে হোমস্টে-তে ছিলাম তার সন্ধান আমি পাই আমারই পরিবারের একজনের থেকে। তাঁরা বছর দুই আগে ঘুরে এসেছিলেন, এবং খুবই ভালো লেগেছিল তাঁদের। চটকপুরে সরকারি টুরিস্ট হাট ছাড়াও একাধিক হোমস্টে আছে। তারই একটি SUNRISE HOMESTAY অন্যান্য হোমস্টেগুলোর তুলনায় বেশ কিছুটা উচ্চতায়, নিরিবিলিতে অবস্থিত। হোমস্টের মালিকের নাম অংচু শেরপা। ফোন নং – ৮১১৬৯৬৯৫৬৩। মার্চ মাস নাগাদ এই নম্বরেই যোগাযোগ করে আমরা আমাদের চটকপুর যাওয়ার প্ল্যান জানাই তাঁকে। ছোট-বড় মিলিয়ে আট জনের জন্য তাঁদের হোমস্টে-র দুটো চার-বেডের ঘরই যথেষ্ট, তিনি জানান। মাথাপিছু ১৫০০ টাকা লাগে প্রতিদিন, থাকা-খাওয়া মিলিয়ে। আমরা ২০০০ টাকা অ্যাডভান্স করে বুক করি, বাকি পেমেন্ট একেবারে ফেরার দিন সকালে করলেই চলে। খাওয়ার মধ্যে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ইভনিং স্ন্যাক্স আর ডিনার। এবং চায়ের জোগান অফুরান। তাঁদের আতিথেয়তা, ঘরের মান, খাওয়ার মান, সব মিলিয়েই “সানরাইজ হোমস্টে” highly recommended! অংচু ভাইকে বললে, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে একেবারে চটকপুরে হোমস্টে অবধি নিয়ে আসার গাড়ির ব্যবস্থাও তিনি করে দেন; আমরাও গাড়ি সেভাবেই পেয়েছিলাম।

    এবার ফিরে আসি ২৩ তারিখের সকালে আবার। সাতটার দিকেই চটকপুর থেকে পাঠানো গাড়ি এসে পৌঁছল নীলাচল লজের সামনে। আমরা সাড়ে সাতটার মধ্যে বেরিয়ে পড়লাম। বড় বোলেরো গাড়ি, আট জন তাতে সহজেই ধরে যায়। সঙ্গে শুকনো খাবার থাকলেও সকালে যেহেতু কিছুই খেয়ে বেরোনো হয়নি, মাঝে রোহিণীতে গাড়ি থামিয়ে কিছু ব্রেকফাস্ট করা হল। তারপর আবার যাত্রা – সোনাদা থেকে চটকপুরের দিকে একটি রাস্তা বেঁকে যায়। একেবারে এবড়ো-খেবড়ো পাহাড়ি রাস্তা। এই শেষ ৫০-৫৫ মিনিটের পথ কিন্তু খুব ধকলের। গাড়িতে বসে একেবারে হাড়গোড় আলগা হয়ে যাওয়ার দশা হয়। 

    বেলা এগারোটার একটু আগেই আমরা এসে পৌঁছলাম চটকপুরে, সানরাইজ হোমস্টেতে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে আসতে গাড়ি নিল ৩৫০০ টাকা। সানরাইজে অংচু ভাইরা আমাদের অভ্যর্থনা জানালেন গরম চায়ের কাপ সাজিয়ে। পাশাপাশি দুটো ঘর আমাদের।
    সানরাইজ হোমস্টে থেকে মিনিট কুড়ির হাঁটা পথে একটা ভিউ পয়েন্ট আছে। কোনও গাইড ছাড়া নিজেরাই হেঁটে যাওয়া যায়। যদি দিন পরিষ্কার থাকে, ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে এক দিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা ও অন্যদিকে নীচের সবুজ উপত্যকার দেখা পাওয়া যায়। মেঘ থাকলে অবশ্য এসব কপালে জোটে না; তবে মেঘে মোড়া চটকপুরের সৌন্দর্যও কিছু কম নয়। 

    ২৪/০৫/২৫

    এইদিন যাওয়া হল দার্জিলিঙয়ে। ছোটরা আছে, তাদের নিয়ে একবার চিড়িয়াখানা, Himalayan Mountaineering Institute ঘুরিয়ে আনা গেল। মহাকাল মন্দিরের কথা এর আগের বছরই এই গ্রুপে লিখেছিলাম, সেখানেও ঘুরে আসা যায়। 

    দুপুরের খাওয়া দাওয়া সারলাম ম্যাল চত্বরের একেবারে কাছেই অবস্থিত ‘টিবেট কিচেন’ রেস্তোরাঁয়। এখানের থেনঠুক (Hand-pulled soupy noodles) দারুণ খেতে; গেলে অবশ্যই নেবেন। তার পাশেই আছে ‘তাজ বেকারি’ – সেখানকার ব্লু বেরি মাফিন, ম্যাঙ্গো মাফিন আর কোকোনাট কুকিজ চেখে দেখারও অনুরোধ রইল।
    চটকপুর থেকে দার্জিলিং প্রায় ঘণ্টা দুই লাগে যেতে। ট্রাফিক জ্যাম থাকলে তো আরোই দেরী হয়। যাওয়া আসা মিলে আমাদের গাড়ি ভাড়া লাগলো চার হাজার টাকা। সকাল আটটা নাগাদ বেরিয়ে, সন্ধে ছটায় আবার ফিরে এলাম চটকপুর।

    ২৫/০৫/২৫

    সারাদিন চটকপুরেই কাটল। সকালে পায়ে হেঁটে গেলাম কালিপোখরি – সেঞ্চল ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারির মধ্য দিয়ে মিনিট পঁয়তাল্লিশ ট্রেক করে গেলে একটি প্রাকৃতিক হ্রদ দেখা যায়। তারই নাম কালিপোখরি। হ্রদটি বিরাট বড় কিছু নয়, আকারে ছোট পুকুরের মতোই বলা যায়। জলের মধ্য থেকে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে বিরাট কালো এক পাথর। স্থানীয়রা তাঁকে ‘শিবজী’ বলে মানেন, এবং প্রতি বছর পৌষ মাসের পূর্ণিমায় দুই দিন ধরে সেই হ্রদের ধারে ‘শিবজী’র পুজো হয়। সারাবছর এই হ্রদে জলস্তর একরকমই থাকে – বৃষ্টি হলেও বাড়ে না, রুখাশুখা মরসুমেও কমে না। গোটা চটকপুরের আশেপাশে স্যাংচুয়ারির এলাকা জুড়ে এই একটিই ওয়াটারবডি, তাই সমস্ত বন্য প্রাণীই দিনের কোনও না কোনও সময়ে এখানে জল খেতে আসে। আমরা যাওয়ার কিছু আগেই একজন লেপার্ড বাবাজি জলপান করতে এসেছিলেন, তার প্রমাণ পেলাম হ্রদের ধারের নরম মাটিতে তার কাঁচা পায়ের ছাপ দেখে। বলে রাখা ভালো, কালিপোখরি যাওয়ার এই পথটিতে গাইড নিতে হয়। স্যাংচুয়ারির মধ্যে লেপার্ড, ব্ল্যাক প্যান্থার এবং ভালুকের আনাগোনার সুযোগ থাকে, তাই সেই পথটির জন্য গাইড থাকা প্রয়োজন। গাইডের ফী চারশো টাকা। 
    বাকি দিনটা কাটলো সানরাইজ হোমস্টের আশেপাশেই – কখনও সকলে মিলে গল্প করে, কখনও পথে পথে হেঁটে, কখনও নির্জনে চুপচাপ বসে, দূরের উপত্যকার দিকে তাকিয়ে থেকে। নির্ভেজাল অবসরযাপন বলে যাকে। 

    পরদিন সকালে ব্রেকফাস্ট সেরে বেরিয়ে এলাম আমরা সমতলের উদ্দেশ্যে, ফেরার ট্রেন ধরবো। এমনিতে সানরাইজ হোমস্টে থেকে চেক আউট করার সময় বেলা দশটা। আমরা তার কিছুটা আগেই বেরিয়ে পড়েছিলাম। সানরাইজ হোমস্টে সম্বন্ধে আরও দুটো কথা বলে রাখি –

    ১। লাঞ্চে ওঁরা করোলা-পাকোড়া করেন অনেক সময়। যদি যান, এটি অবশ্যই খেয়ে দেখবেন। আমরা বাঙালিরা যেভাবে করোলা খাই, তার চেয়ে আলাদা অনেকটাই। ডালের বা সব্জির সঙ্গে বেশ লাগে।

    ২। সানরাইজ হোমস্টের নিজস্ব একটি প্রার্থনাঘর বা শ্রাইন আছে। নির্জনে কিছুটা সময় সেখানে বসে কাটাতে পারেন। মন ভালো হয়ে যায়।

    পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা মাথায় রেখেই উপরের যাবতীয় তথ্য,কথা লিখলাম। একা একা, বা ট্রেকিঙয়ের উদ্দেশ্যে গেলে এর চেয়েও আলাদা ভাবে চটকপুর ঘোরা যায় নিশ্চয়ই। সে কথা এখানে পাবেন না।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ৩০ মে ২০২৫ | ৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন