বাঙ্গালী হয়েও সুমন তিন দশকের ওপর পশ্চিমবঙ্গের বাইরে। পেশায় ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার তাই ভারতে কয়েকটি রাজ্যে বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মসূত্রে থাকতে হয়েছে। তখন যতটা পেরেছেন দেখে নিয়েছেন আশপাশের কিছু জায়গা। বেড়াতে খুব ভালোবাসেন সুমন।
অবসরের পর তাঁকে নতুন নেশায় ধরেছে - দীর্ঘ একাকী ভ্রমণ। যতটা সম্ভব পর্যটকবহুল, কোলাহলমূখরিত জায়গার পরিবর্তে একটু অপ্রচলিত, নির্জন জায়গায় যেতে ভালোবাসেন সুমন। সেবার ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বেরিয়েছিলেন দু মাসের জন্য। মধ্যপ্রদেশের বেশ কিছু জায়গা হয়ে যাত্রাপথের শেষের দিকে ঢুকেছেন মহারাষ্ট্রে। এসেছেন কোলহাপুরের কাছে পানহালা দুর্গে।
ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের স্মৃতিধন্য ঐতিহাসিক জায়গা। এখানেই শিবাজী মহারাজ একদা তাঁর দুর্বিনীত জ্যেষ্ঠপূত্র শম্ভাজীকে বন্দী করে রেখেছিলেন। দুর্গটির অবস্থান পঞ্চগনির মতো বড় একটা টেবল টপ পাহাড়ের মাথায় অনেকটা এলাকা নিয়ে। বর্তমানে এক মাঝারি নগরী। রয়েছে পৌরসভা, স্কুল, থানা, বাসস্ট্যান্ড, পাবলিক লাইব্রেরি, বনদপ্তর ও বেশ কিছু হোটেল। সুন্দর রাস্তা। আশ্চর্যরকম শান্ত ও সবুজের অঢেল সমারোহ। কদিন পায়ে পায়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য আদর্শ জায়গা।
পানহালা যাওয়ার আগে সুমন কোলহাপুরে তিনরাত ছিলেন দিনপ্রতি আড়াইশো টাকা ভাড়ায় একটি মামূলী লজের এক শয্যার ঘরে। সন্ধ্যায় ঘুরেফিরে এসে আলাপী লজমালিকের সাথে কিছু গল্পগাছা হয়েছিল। তিনি সুমনকে বলেছিলেন পানহালায় না থাকলেও চলে। ট্যূরিস্ট প্লেস বলে ওখানে হোটেলও বেশ কস্টলি। কোলহাপুর থেকে মাত্র কুড়ি কিমি দূরত্ব। বাসের সার্ভিস ভালোই। সকালে গিয়ে সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যার বাসে ফিরে আসা যায়। কিন্তু পানহালা সম্পর্কে সুমন যা খোঁজখবর নিয়েছিলেন তাতে ওনার মনে হয়েছিল অন্ততঃ দু রাত ওখানে থাকলে ভালো হয়। সুমনের আজ পঞ্চম দিন হয়ে গেল হয়ে পানহালায়। জায়গাটা বেশ ভালো লেগে গেছে সুমনের। ছেড়ে যেতে যেন ইচ্ছেই করছে না।
একাকী যাত্রী বলে সুমনের অনুরোধে সুন্দর, পরিচ্ছন্ন এক হোটেলের ম্যানেজার ভগবানজী হাজার টাকার দ্বিশয্যার ঘর দিয়ে দিলেন মাত্র চারশো টাকায়। ওখানেই থেকে গেলেন তিন রাত। পরবর্তী দু রাত বনদপ্তরের সুন্দর বাংলোতে DFO সাহেবের বদান্যতায় থেকে গেলেন সম্পূর্ণ নিখরচায়। বহু মানুষের এমন সব আশ্চর্য অনুগ্ৰহের ফলেই সুমন অবিশ্বাস্য কম খরচে ঘুরে বেড়াতে পারেন। সেবার ট্রেন, বাস ভাড়া, থাকা, খাওয়া সমস্ত খরচ ধরে সুমন ৬৪ দিন বেড়িয়ে এলেন দিনপ্রতি মাত্র ৩১৪ টাকায়! সুমনের পরিচিত কেউ বিশ্বাসই করতে চায় না।
সেদিন সকালে কেল্লার পূব দিকে সাজ্জা কোঠি এলাকার আশেপাশে অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করেছেন সুমন। এই কোঠিতেই বন্দী ছিলেন শম্ভাজী। তাই নাম সাজ্জা (punishment) কোঠি। কাছেই বনদপ্তরের হেরিটেজ উদ্যান - তবক গার্ডেন। সেখানে সন্ধান পেয়েছেন দুটি আকর্ষণীয় জীবন আখ্যানের। বনদপ্তরের কর্মী অশোক ভোঁসালে ও ডঃ রাজ হোলকর। তাঁর ইচ্ছে আছে সময় করে তা নিয়ে লেখার। একটু আধটু লেখালেখির শখও আছে সুমনের।
লাঞ্চ করে সুমন চলেছেন কেল্লার পশ্চিম প্রান্তে পূসাটি বুরুজ দেখতে। ওখান থেকে নাকি সুন্দর সূর্যাস্ত দেখা যায়। চলার পথে এক জায়গায় দেখেন বেশ বড় একটি গোলাকার বসার জায়গা। বয়স হয়েছে, সকাল থেকে অনেকটা হেঁটে ক্লান্ত লাগছে। ভাতঘুমে চোখ জুড়িয়ে আসছে সুমনের। এক কোনে অনেক গাছপালার মধ্যে সিমেন্টের তৈরি ইগলুর মতো একটা নির্মাণ। পরিস্কার টাইলের মেঝে। ভাবেন ওখানে গিয়ে একটু শোবেন।
কিন্তু হোলো না। একটু কাছে যেতেই দেখেন সেই ইগলুর একটু নিভৃত অংশে দুটি তরুণ তরুণী তীব্র আশ্লেষে পরস্পরের ওষ্ঠভাষ্য পঠনে রত। ছেলেটির একটি হাত মেয়েটির শরীরে প্রবল আবেগে উষ্ণতা অন্বেষনে রত। মেয়েটির শরীরবিভঙ্গেও স্পষ্ট - তাতে তারও রয়েছে অকুণ্ঠ সম্মতি। সুমনের পায়ের আওয়াজে দুজনেই এতটুকু না চমকে নিসংকোচে ঘুরে তাকায়। নিবিড় যুগ্ম ওষ্ঠ হয় অনিচ্ছায় বিযুক্ত। মাঝে অনাকাঙ্ক্ষিত শূণ্যতা। ছেলেটির হাত তখনও বেষ্টন করে আছে মেয়েটির শরীর। তবে চলন স্তব্ধ।
ওদের এ অবস্থায় দেখে সুমনই বিব্রত বোধ করেন। এ বয়স অনুসন্ধানের। এ আকর্ষণও চিরন্তন। শুধু আবিস্কারের নেশায় ওরা বিস্মৃত হয়েছে স্থানটি জনসমক্ষে। আড়াল বলতে কেবল ইগলুর কানাচ। আর জনতার থেকে পিছন ফিরে বসা। মুখ অরণ্যের দিকে। তৃষ্ণাও অরণ্যের মতোই আদিম। তাই জনতার চক্ষুলজ্জা থাকলে এদিকে আসবে না বা দেখবে না। ওদের কোনো দায় নেই।
ভুল করে এসে পড়েছেন সুমন। তাঁর জন্য ব্যহত হোলো ওদের মগ্ন অন্বেষণ। খারাপ লাগে তাঁর। দৃষ্টিতে নীরবে ফোটে একটু অপরাধবোধ। সরে গিয়ে দুরে একটা গাছের তলায় ঘাসে প্লাস্টিক পাতেন। মাথার তলায় ন্যাপস্যাক, চোখে রূমালচাপা দিয়ে শুয়ে পড়েন। ঘন্টাখানেক জিরিয়ে নিয়ে হাঁটতে থাকেন দক্ষিণ দিকে। কালো পাথরের মোটা দেওয়াল ঘেরা একটা জায়গা দেখা যাচ্ছে দুর থেকে। অতীতে কী ছিল কে জানে। কৌতূহলে এগিয়ে যান।
কাছে গিয়ে দেখেন সেটার গেট বন্ধ। হয়তো অতীতে কোনো দপ্তর ছিল। এখন পরিত্যক্ত। তার পাশে রয়েছে একটা ছোট্ট জলাশয়। শেষ কবে বৃষ্টি হয়েছে জানা নেই তবে তাতে তখনও রয়েছে অনেকটা জল। বদ্ধ জলে সবজটে রঙ ধরেছে। কঠিন পাথরের পাড়। হু হু হাওয়ায় জলস্তরে লেগেছে তিরতিরে কাঁপন।
জলাশয়ের চারদিকে ল্যাটেরাইট মাটিতে খানিক গর্ত করে নিয়মিত দুরত্বে লাগানো হয়েছে কিছু চারাগাছ। হয়তো লাগিয়েছে বনদপ্তর। তবে কাঁকুড়ে মাটিতে ঠিকমতো শেকড় চালাতে না পেরে এবং হয়তো নিয়মিত জল না পেয়ে প্রায় চল্লিশভাগ চারার ইতোমধ্যেই অকালমৃত্যু হয়েছে। বেঁচে থাকা বাকিদের অনেকেই ধুঁকছে। কয়েকটি কেবল তাদের প্রবল প্রাণশক্তির জোরে তখনো টিকে আছে। অন্যদের থেকে আকারে কিছুটা বড়োও হয়েছে। তখন মার্চের শুরু। আগামী তিন মাস মহারাষ্ট্রের কঠিন গরম পার করে বর্ষা অবধি যুঝতে পারলে হয়তো অবশিষ্ট চারার কেউ কেউ বেঁচে যাবে।
জলাশয়টা এক পাক মেরে এক জায়গায় দাঁড়ান সুমন। জলতেষ্টা পাচ্ছে। বোতল থেকে জল খেয়ে তৃষ্ণা মিটিয়ে পায়ের কাছে চোখ পড়ে। একটা ছোট্ট চারা জোরালো হাওয়ায় মাথা নাড়ছে। তার সব পাতা শুকিয়ে ঝরে গেছে। শরীরও শীর্ণকায়। তবু আগায় দুটি পাতায় সামান্য সবুজের আভাসে তখনও রয়েছে প্রাণের চিহ্ন। ঝুঁকে পড়ে কাছ থেকে ভালো করে দেখেন সুমন। তাঁর মনে হয় চারাটা যেন নিঃশব্দে বলছে, আমাকেও একটু জল দাও। বড় তেষ্টা।
বোতল থেকে একটু জল দেন চারাটার গোড়ায়। শুষ্ক মাটি নিমেষে তা শুষে নেয়। তবু মনে হয় পাতাটা যেন তৃপ্তিতে জিভ চোকায়। বোতলে জল বেশি নেই। কী করা যায়! চোখ পড়ে জলাশয়ের দিকে। এটা ভারতবর্ষ। এদিক ওদিক পড়ে আছে অনেকের ফেলে যাওয়া খালি বোতল। কাছে গিয়ে দুটো বোতল কুড়িয়ে জলাশয়ের সবজেটে জল ভরেন। উঠে এসে চারাটাকে ধারাস্নান করিয়ে মাটি ভিজিয়ে দেন। এবার আশ মিটিয়ে তৃষ্ণা মেটায় সে।
আশপাশে তাকাতে মনে হয় বাকি শীর্ণ, তৃষ্ণার্ত চারাগুলোও যেন বলছে - আমাকেও, আমাকেও। আবার যান জলাশয়ের কাছে। আরো দু বোতল জল নিয়ে পাশের কয়েকটি চারার গোড়ায় দেন। তারপর আবার।
হঠাৎ দেখেন দুটি ছেলেমেয়ে সেই জলাশয়ের কাছে এসে ওনার দিকে কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে। ছেলেটির মুখাবয়বে কচি শ্মশ্রুগুম্ম্ফের আভাস। মেয়েটিও কৈশরের খোলস ছেড়ে নবপল্লবিত হয়ে ওঠার পর্যায়ে। হয়তো তারা সতেরোর কোঠায়। তাই এখনও মুখে চোখে রয়ে গেছে সদ্য বিগত কৈশরের লাবণ্য। দৃষ্টিতে সচ্ছ সারল্য।
জলাশয়ের কাছে আসার সময় সুমন ওদের দেখেছিলেন একটু দুরে একটা গাছের তলায় মুখোমুখি মার্জিত দুরত্বে বসে গল্প করছে। একটু আগে ইগলুতে দেখা জোড়ের মতো আবিস্কারের উত্তেজনা ওদের বসে থাকার ভঙ্গিমায় চোখে পড়েনি।
মেয়েটিই প্রথমে মুখ খোলে, 'আপনি এসব কী করছেন আঙ্কল?'
- দ্যাখো, ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট তো বৃক্ষরোপণ করেই খালাস। হয়তো অনেকটা দুরে বলে এখানে নিয়মিত কেউ জল দিতে আসে না। চারাগুলো জল না পেয়ে শুকিয়ে মরে যাচ্ছে দেখে একটু জল দিচ্ছিলাম। জানি এর কোনো মানে হয় না। কারণ আমি তো ট্যূরিস্ট। কাল চলে যাবো। আর কখোনো আসবো না এখানে। একদিন জল দিয়ে কী হবে? হয়তো এরা অনেকেই মরে যাবে। তবু সামনে জল রয়েছে দেখে, একটু দিচ্ছিলাম।
ছেলেটি বলে, 'আঙ্কল আপনি কোথা থেকে এসেছেন?
- কলকাতা থেকে।
- ক-ল-কা-ত্তা! বলে মেয়েটি চোখ বড় বড় করে দেখে সুমনকে।
ভারি সুশ্রী দেখতে মেয়েটিকে। পা ঢাকা জুতো। সুঠাম শরীরে লেগিংসের ওপর তুঁতে কুর্তী। নিটোল ফর্সা গ্ৰীবা। পিঠে দুলছে মাঝারি হর্সটেল। ছেলেটিরও ব্যায়াম করা সুস্বাস্থ্য। দুজনের শরীরেই উজ্জ্বল, কমনীয় স্বাস্থ্যের দীপ্তি। মেয়েটি বন্ধুকে বলে, 'বিনয়, আঙ্কল কলকাত্তা থেকে বেড়াতে এসে এই গাছ গুলোতে জল দিচ্ছেন অথচ আমরা তো এখানে প্রায়ই আসি, কই আমাদের তো একথা কখোনো মনে হয়নি?'
বিনয় নামের ছেলেটি নীরবে মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়ে সুমনের কাছে এগিয়ে এসে হাত বাড়িয়ে বলে, 'আঙ্কল, বোতলটা আমায় দিন, আমি দিচ্ছি জল।'
মেয়েটির নাম সঙ্গীতা। সেও একটা বড় বোতল কুড়িয়ে আনে পাশ থেকে। দুজনে বেশ আগ্ৰহ নিয়ে জলাশয়ের কাছে নেমে জল ভরে পাড়ে উঠে গাছগুলোতে জল দিতে থাকে। হয়তো ওদের মনে বিঁধেছে কোনো অপরাধবোধের কাঁটা - এটা ওদের কেন আগে মনে হয় নি - তাহলে হয়তো বাকি গাছগুলোও বেঁচে যেতো।
ওদের উৎসাহ সুমনকে স্পর্শ করে। ওনার বয়স হয়েছে। বার বার ঝুঁকে জল ভরতে কোমরে লাগছিল। ওদের শরীর এখন পাখির মতো হালকা। ওনাকে জল দিতে দেখে যে ওদের একটু বোধোদয় হয়েছে, সেটাই ভালো। কথায় বলে, জীবনে একজনও যদি অন্যকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়, তাও ফেলনা নয়। উনিও অন্যকে দেখে অনেক কিছু শিখেছেন।
সুমন বলেন, 'একবার তোমাদের বয়সে আমি বন্ধুদের সাথে রাস্তার ধারে লাইন করে বেশ কিছু চারাগাছ লাগিয়েছিলাম। শাবল দিয়ে পিচ রাস্তা খুঁড়ে হাতে ফোস্কা পড়ে গেছিল। কিছুদিন পরে বাবার বদলির চাকরির জন্য অন্য শহরে চলে যাই। হয়তো তোমাদের মতোই কেউ পরে নিয়মিত জল দিয়েছিল যতদিন না ওদের শেকড় মাটি ধরে নেয়। তাই বেশিরভাগ গাছই বেঁচে গেছিল।'
বিনয় বলে, 'কলকাতার মাটিও ভালো। এখানে এই পাথুরে মাটিতে অনেক গাছই মরে যায়।'
সুমন বলেন, 'তিরিশ বছর বাদে গিয়ে দেখেছিলাম সেই গাছগুলো অনেক বড় হয়ে ডালপালা ছড়িয়ে সুন্দর ছাওয়া দিচ্ছে রাস্তায়। তলায় সিমেন্টের বেদী হয়েছে। সেখানে বিকেলে বৃদ্ধরা বসে গল্প করেন। কোনো মা এসে বসেন তার শিশুকে নিয়ে। তোমরাও যদি এই গাছগুলোকে বাঁচাতে পারো তাহলে অনেকদিন বাদে এসে এদের বড় অবস্থায় দেখে তোমাদেরও খুব ভালো লাগবে। আজ তোমরা যে গাছটার তলায় বসে গল্প করছিলে, হয়তো সেটাও এভাবেই কারুর যত্নে বেঁচে গেছে। তিনি হয়তো আজ নেই, তবে গাছটি রয়ে গেছে।'
সুমনের কথায় দুজনের কোমল মুখে মমতার ছায়া পড়ে। সঙ্গীতা বলে, 'আঙ্কল, আপনি নিশ্চিন্তে ফিরে যান। আমরা এখানেই থাকি। বর্ষা না আসা অবধি একদিন অন্তর এসে জল দিয়ে যাবো। চেষ্টা করবো গাছগুলো বাঁচিয়ে রাখতে।'
সুমন হাঁটা দেন পূসাটি বুরুজের দিকে ঢালু রাস্তায়। মোড় ঘোরার আগে একবার ফিরে তাকান। জলাশয়ের পাড় ধরে ঘুরে ঘুরে গাছে জল দিচ্ছে ওরা।
আবার কখোনো বহুদিন পরে এখানে এলে হয়তো দেখবেন ঐ চারাগাছগুলি বৃক্ষে রূপান্তরিত হয়ে জলাশয়ে ছায়া ফেলছে। তখন হয়তো ওদের নাম, মুখচ্ছবি মনে পড়বে না। কিন্তু ঐ যে ওরা দুজনে নীল আকাশের পটভূমিতে ঘুরে ঘুরে বোতলে করে গাছে জল দিচ্ছে - এই ছবিটি শিলাচিত্র হয়ে থেকে যাবে সুমনের মনে।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।