এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড ) - ৪০

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৯ জুলাই ২০২৫ | ২১ বার পঠিত
  • ( ৪০ )

    সময়ের চাকা ঘুরে চলেছে বনবন করে। কখন যে দুর্গা পুজো পেরিয়ে শীতকাল এল এবং স্কুলগুলোর অ্যানুয়াল পরীক্ষা টরীক্ষা চুকিয়ে দিয়ে ছিয়াত্তর বিদায় নিল। সাতাত্তর এসে গ্যাঁট হয়ে বসল আমীর থেকে ভিক্ষুক সবার জীবনে।

    ইন্দ্রাণীর ঐকান্তিক চেষ্টা ফলপ্রসূ হতে চলেছে মনে হচ্ছে। বছরের মাঝামাঝি খবর হবে মনে হচ্ছে। ইন্দ্রানীর মনে খুশির হিল্লোল বয়ে যাচ্ছে। বেশ হাসি খুশি মেজাজ। চাপা স্বভাবের মাণিকলালবাবুর মনের কথা ঠিক ধরা যাচ্ছে না বটে, তবে তার হাবভাবে একটা স্বস্তির চিহ্ন স্পষ্ট। ভাবখানা হল, আমিও পারি তালে।

    কাবেরী পাল্টে গেছে অনেকটাই। ডাক্তার সন্দীপ চ্যাটার্জির দেওয়া প্রেসক্রিপশান যে কাজে লেগেছে তা অস্বীকার করে লাভ নেই। ওষুধ খাওয়াতে অবশ্য বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে গৌতমকে। সে সব কথা পরে হবে। মাসখানেক পরে কাবেরীর মতিগতিতে লক্ষণীয় পরিবর্তন এল। শমিকের প্রতি একটা দায়সারা গোছের উদাসীন
    আচরণ দেখা যেতে লাগল। 'কেমিক্যাল ইমব্যালান্স ' যে ব্যালান্সে ফিরে আসছে সেটা গৌতমের চোখ এড়াল না। সম্পর্কটা ক্রমশ ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার দিকে এগোনোর ফলে এ বাড়িতে শমিকের যাতায়াত কমে যেতে লাগল। কাবেরীর অদ্ভুত আচরণ,মানে শমিকের কথায় হঠাৎ 'পাল্টি খাওয়া ' দেখে সে বিস্মিত হলেও কাবেরীকে কিছু জিজ্ঞাসা করল না। হয়ত অনুসন্ধানটা ভবিষ্যতের জন্য তুলে রাখল।

    সুমনাকে প্রতিবিম্বকে বলল, ' চল আমরা ও বাড়িতে গিয়ে কিছুদিন থাকি। বাবা খুব একলা হয়ে গেছে। কাছাকাছির মধ্যে তো আমরাই আছি। দিদিরা দূরে থাকে। সংসারের চাপ আছে ... '
    --- ' ঠিক আছে, চল না। আমার কোন অসুবিধে নেই... বাবাই ওখান থেকে স্কুল করবে, কি আছে ?'
    পরদিন রবিবার। নিরালা দুপুরে বারান্দার কার্নিশে দুটো পায়রা একটানা বকুম বকুম করছে, ভর দুপুরের এক ঘুমপাড়ানি গানের গুঞ্জনের মতো। কাল বড় মেয়ে চন্দনা এসেছিল জামাই সমেত। আজ সকালে চলে গেল। চন্দনা এখানে এসে থাকতে পারে না একদম। সংসারের দায় দায়িত্ব এত বেশি তার ওপর। চলে যাওয়ার আগে সুমনাকে বলে গেল, ' আজ আসি রে ফুচা ... আমার তো থাকার উপায় নেই। তুই তো কাছাকাছি থাকিস। একটু যাওয়া আসা করিস। বাবাকে একটু দেখিস ... '
    প্রতিবিম্ব বলল, ' চিন্তা ক'র না বড়দি, আমরা আছি ... স্যারের কোন অসুবিধে হবে না।
    অলোকেন্দুবাবু, সুমনা, প্রতিবিম্ব একসঙ্গে শ্বেতপাথরের গোল টেবিলে খেতে বসেছে দুপুরবেলায়। অলস রোববার। পুরণো বারান্দার পুরণো কার্নিশে পায়রার বকুম বকুম শুনতে শুনতে সুমনার মনে হল তার মা এইসময়ে রেডিওয় অনুরোধের আসরে মশগুল হয়ে থাকত।
    এখন এ বাড়িতে রেডিও নীরব থাকে সারাদিন। সন্ধেবেলায় সরব হয় খবরের সময়। অলোকেন্দুবাবু নিয়মিত খবর শোনেন। তিনি ঠিক করেছেন কাল থেকে আবার কাজে বেরোবেন। একটানা এতদিন কখনও বাড়িতে বসে থাকেননি তিনি।

    সুমনা ভাবে কত দ্রুত জীবনটা বদলে গেল। চেনা জানা দিনগুলো কিভাবে উড়ে উড়ে পালিয়ে গেল কোন অজানা দিগন্তে। একটা বইয়ের কত পাতা ওল্টানো হয়ে গেল এর মধ্যেই।
    অলোকেন্দুবাবু খেতে খেতে বললেন, ' কানাই সিকদার কিন্তু অনেকদিন আসেনি। আগে কত আসত। এখন তোর মা নেই তো ... এরা কেউ আসে না ... '
    সুমনা চুপ করে রইল। ভাবল, বাবার কথাটা অস্বীকার করে লাভ নেই। তবে কানাই কাকা তো
    আর আগের মতো নেই। বয়েস তো কম হল না।। তার শরীরও ভাল নেই তেমন, খবর পেয়েছে সুমনা। কানাই কাকা আগে কত আসত। নানা জায়গা থেকে বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে আসত তাদের তিন বোনের জন্য। বড়দির জন্য এরকম একটা সম্বন্ধের সূত্র ধরেই তো শঙ্খের ওই কেলেংকারিটা
    হল। মনে পড়ে গেল, ওই ভদ্রলোকের সঙ্গে ন্যাশনাল ভ্যারাইটিজ স্টোর্সে দেখা হয়ে গেল আচমকা। সেও প্রায় ছ মাস হয়ে গেল। কপাল ভাল এখানে এসে হাজির হয়নি। তবে এখনও হয়নি বলে কখনও হবে না, তার নিশ্চয়তা নেই। শঙ্খবাবুকে দেখে অবশ্য মনে হল তিনি একেবারেই বদলে গেছেন। কথাবার্তায় এবং শরীরি ভাষায় আদৌ কোন উন্মাদনা চোখে পড়ল না। মানুষ বদলায় প্রতিদিন, ভাবল সুমনা। বদলানোটাই স্বাভাবিক। সে নিজে কি বদলায়নি ? অনেক বদলেছে। বাবাকে বাদ দিলে নিজের ঘর সংসার ছাড়া আর কাউকে নিয়ে তার তেমন মাথাব্যথা নেই। এমনকি নিজের দিদিদের নিয়েও নয়। কাবেরীর কথা মনে পড়ে গেল হঠাৎ। তার সঙ্গে প্রায় একবছর দেখা হয়নি। সে এখন কি করছে কে জানে। জটিল জীবনযাত্রা তার।

    অলোকেন্দুবাবু বললেন, ' কাল থেকে বেরোব ভাবছি। এখন তো ভালই আছি ... '
    --- ' দেখবেন স্যার, বেশি প্রেসার নেবেন না কিন্তু ... ' প্রতিবিম্ব বলে।
    --- ' না না ... আগে অ্যাকোমোডেট করে নিই ... ডোন্ট ওয়ারি ... '
    সুমনা কি একটা বলতে যাচ্ছিল, এই সময়ে কমলা এসে বলল, ' দুজন লোক এসেছে ... বাবুর নাম বলছে। বসাব ? আগেও এ বাড়িতে দেখেছি ... '
    অলোকেন্দু মিত্র ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেন।
    বললেন, ' নাম কিছু বলেছে নাকি ? '
    --- ' হ্যাঁ। বলল, ওই যে ... কি যেন ... সাগর সাগর ...'
    সুমনা দাঁড়িয়ে উঠল।
    --- ' তাই নাকি ? বসাও কমলাদি। যাচ্ছি আমি। আমার খাওয়া হয়ে গেছে। বাপি তুমি আস্তে আস্তে খাও .... '
    সুমনা এসে দেখল সাগর এবং সেই কোয়াক ডাক্তার, অশোক পাল না কি যেন নাম, বসে আছে।
    সুমনা এসে বলল, ' স্যার, আপনি ? '
    --- ' বেটাইমে এসে পড়লাম। এই, এমনি এসেছি স্যারের সঙ্গে দেখা করতে। প্রায় একবছর দেখা হয় না। এখান দিয়েই যাচ্ছিলাম আমরা ভাবলাম একবার খোঁজ নিয়ে যাই ... তোমাদের খাওয়াদাওয়া হয়ে গেছে তো ? '
    --- ' হ্যাঁ, হয়ে গেছে প্রায় ... আমার হয়ে গেছে।
    --- ' আচ্ছা ঠিক আছে। অপেক্ষা করছি ... '
    সুমনাও ওখানে একটা চেয়ারে বসল। অশোক পালের দিকে তাকিয়ে বলল, ' ভাল আছেন কাকাবাবু ? আপনার ট্রিটমেন্টটা খুব কাজে লেগেছিল। পরে খুব বাড়াবাড়ি হয়ে গেল .... কি করা যাবে। আপনি তো মাকে সুস্থ করে তুলেছিলেন ... '
    অশোকবাবু এরকম অপ্রত্যাশিত প্রশংসাবাক্য শুনে অভিভূত হয়ে গেলেন।
    তিনি আবেগরুদ্ধ কন্ঠে কোনরকমে বললেন, ' তবেই বলেন... তবেই বলেন ... ', বলে বত্রিশ পাটি দাঁত বিকশিত করে সুমনার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
    সুমনা বলল, ' ঠিকই তো ... বলতে তো হবেই। বাবাও বলে মাঝে মাঝে .... '
    পালবাবুর দাঁতের পাটি উন্মুক্তই রইল।
    সাগর বলল, ' উনি হাতিবাগানের ওদিকে কাজ করছেন এগুলো নিয়েই। ব্যবসা একটু একটু করে হচ্ছে। কিন্তু এখনও তেমন কিছু রোজগার হচ্ছে না, যা দিয়ে সংসার চলতে পারে। এ ব্যাপারে স্যারের সঙ্গে একটু কথা বলব ভাবছি .... '
    --- ' হ্যাঁ নিশ্চয়ই ... কথা বলে দেখুন না .... বাবার তো অনেক ক্লায়েন্ট। অনেকেই কনভেনশনাল মেডিকেশান অ্যাভয়েড করতে চায়। অল্টারনেট ট্রিটমেন্ট চায় ... '
    সুমনা সাগরকে বলল, ' বৌদিকে নিয়ে একদিন আসুন না। আমি এখন কিছুদিন আছি এ বাড়িতে
    .... '
    --- ' ঠিক আছে নিয়ে আসব একদিন। সন্ধের পর হলে অসুবিধে নেই তো ? ওর তো স্কুল থাকে .... '
    --- ' না না, রাত দশটা পর্যন্ত কোন অসুবিধে নেই স্যার '
    --- ' ঠিক আছে '

    আরও মিনিট দশেক পরে অলোকেন্দুবাবু খাওয়াদাওয়া সেরে সেখানে এসে আবির্ভূত হলেন।
    --- ' আরে সাগর, তুমি যে একেবারে ডুমুরের ফুল হয়ে উঠলে। একেবারে ত্যাগ করলে আমাকে ?'
    --- ' না স্যার সেরকম কোন ব্যাপার না। মনে হয়, আমি এলে যদি ডিসটার্বড হন ... আপনি ব্যস্ত মানুষ ... '
    --- ' দূর ... এখন আবার ব্যস্ততা কিসের ? এখন রাত্র দিনই বিশ্রাম। ছুটি আর ছুটি। তবে কাল থেকে কোর্টে বেরোব ভাবছি। তারপর বল, তোমার খবর কি ? আর কোন কেস হাতে নিয়েছ নাকি ? ইলেকশান তো এসে পড়ল .... কি হবে মনে হচ্ছে ? '
    --- ' সত্যি কথা বলতে কি আমার একদমই আগ্রহ নেই ওতে। মোনাবাবুর কাছ থেকে যা খবর পাই ...'
    --- ' তিনি কে ? '
    --- ' মনোরঞ্জন মজুমদার। কংগ্রেস পার্টির অনেকদিনের পুরণো কর্মী ... '
    --- ' ও। তিনি কি বলেন ? '
    --- ' তিনি পার্টির অবস্থা দেখে মোটেই খুশি নন। বেশ হতাশ বলতে পারেন ... '
    --- ' হমম্ ... এবারে তাহলে কংগ্রেসের ইয়ং ব্রিগেড মানে সুব্রত, প্রিয়রঞ্জন, সোমেনরা তেমন এফেকটিভ হচ্ছে না ? '
    --- ' অত আমি বলতে পারব না স্যার। পলিটিক্সের অত খবর আমি রাখি না। ওই মোনাদার কাছে যা শুনি। উনি অনেক খবর রাখেন ... '
    --- ' মোনাবাবুকে একদিন নিয়ে এস না সন্ধের পর। চা খেতে খেতে আড্ডা মারা যাবে ... '
    --- ' আচ্ছা বলব। সন্ধের পর আবার পার্টি অফিসে যায়। আচ্ছা ঠিক আছে, নিয়ে আসব একদিন। এনাকে চিনতে পারছেন ? '
    --- ' হ্যাঁ, চেনা চেনা লাগছে যেন। অনেকক্ষণ থেকে মনে করার চেষ্টা করছি ... '
    --- ' অশোক পাল মশাই। সেই যে রেইকি করেছিলেন .... '
    --- ' ও ও ও ... মনে পড়েছে মনে পড়েছে। অশোক পালবাবু। মনেই পড়ছিল না। কোথায় দেখেছি কোথায় দেখেছি .... বয়েস হয়েছে ভালই মালুম পাচ্ছি ... তা, আছেন কেমন ? '
    অশোক পাল বললেন, ' কষ্টেসৃষ্টে চলে যাচ্ছে আর কি ... কি আর বলব ... আমার কপালে কি আর ভাল কিছু হবে কোনদিন ... ফাটা কপাল নিয়ে জন্মেছি ... '
    পালবাবুর মুখে বিষণ্ণতার ছায়া পড়ে।
    সুমনা এইসময়ে বলে উঠল, ' বাপি, তুমি একটু দেখ না, একটু বেটার কোন এসট্যাবলিশমেন্ট যদি দেওয়া যায় ওনাকে। ওনার তো যথেষ্ট ট্যালেন্ট আছে ... শুনেছি উনি বহু দেশ ঘুরেছেন ওনার জীবনে ...'
    --- ' তাই নাকি ? তাহলে তো আপনাকে ছাড়া যাবে না। আপনার সঙ্গে নিয়মিতভাবে আড্ডায় বসতে হবে ... আবার কবে আসছেন তা'লে ? '

    অশোককৃষ্ণ পাল কিছু বলবার আগেই সুমনা বলল, ' সে নয় উনি সময় করে আড্ডা মারতে আসবেন। কিন্তু ওনার এস্ট্যাবলিশমেন্টের ব্যাপারটা কিন্তু মাথায় রেখ .... '
    বাবার ওপর অগাধ প্রত্যয় সুমনার।
    অ্যাডভোকেট অলোকেন্দু মিত্র সুমনার দিকে তাকিয়ে রইলেন। ছোট মেয়ের বলার ভঙ্গী
    তার মনে দেড় দশক আগেকার একটা স্মৃতি উসকে দিল। সেই যে প্রতিবিম্ব আর তার মামা পরমানন্দবাবুর মামলা নিয়ে বাবার ওপর সুমনার ভালবাসার শিশিরে ভেজা অপরিবর্তনীয় অনুরোধ।

    বহুযুগের ওপার থেকে পুনর্বার ভেসে এল সে স্মৃতিপট। অলোকেন্দুবাবু মৃদু হেসে মনে মনে ভাবলেন, নাঃ তার মেয়েটা আর বদলাল না।

    ( চলবে )

    ****************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন