এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড ) - ২৬ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৭ মে ২০২৫ | ৫০ বার পঠিত
  • ( ২৬ )

    সাগর দেখল তিন চারজনে মিলে কি আলোচনা করছে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে। গলায় কন্ঠি পরা একজন সাদা ধুতি পাঞ্জাবী পরা মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোক একপাশে আলাদা দাঁড়িয়ে ছিলেন। সাগর তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল ' কি হয়েছে দাদা ? '
    ভদ্রলোক সাগরের মুখে একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে মৃদুস্বরে বললেন, ' গিন্নীমার অসুখ হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে ... '
    ---- ' গিন্নীমা মানে, অলোকেন্দু স্যারের ... এ ... '
    --- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... '
    ---- ' ওহ্ ... হঠাৎ কি করে ... '
    ---- ' নিউমোনিয়া বলছে ... '
    ---- ' ওহ্ ... ' সাগর মৃদুস্বরে বলল।
    এই সময়ে হঠাৎ সুমনা কি একটা বলতে নেমে এল হুড়মুড় করে। নেমে গেটের মুখে এসেই দেখল সাগর দাঁড়িয়ে আছে। সঙ্গে একজন সাদা চুলওয়ালা বয়স্ক ভদ্রলোক।
    সুমনা বলে উঠল, ' স্যার ....আপনি কখন এলেন ?'
    ---- ' এই এসেছি। এখান দিয়ে যাচ্ছিলাম। দেখলাম যে ... আমি তো কিছু জানতাম না ... '
    ---- ' না না ... আপনি জানবেন কি করে ... এই তো তিন চার দিন হল ... এর মধ্যেই কি যে হল ... এত ঠান্ডা বোধহয় মা ঠিক নিতে পারল না ... '
    সুমনা সাগরকে স্যার সম্বোধন করায় ওই সাদা পাঞ্জাবী পরা মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোক তটস্থ হয়ে সম্ভ্রমের দৃষ্টিতে সাগরের দিকে তাকাতে লাগল।
    সুমনা ভদ্রলোকের দিকে তাকিয়ে বলল, ' পরাণদা... তুমি একবার ডাক্তারবাবুর বাড়িতে গিয়ে খবর দেবে ? বলবে যে আমরা বেরিয়ে যাচ্ছি। অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেওয়া হয়েছে। ডাক্তারবাবু এখন বাড়িতেই আছেন ... '
    ভদ্রলোক শশব্যস্ত হয়ে বললেন, ' হ্যাঁ ... যাচ্ছি যাচ্ছি ... '
    সুমনা বলল, ' আর হ্যাঁ ... শোন ... বল, যদি সম্ভব হয় একবার আসতে পারলে ভাল হয় ... আধঘন্টার মধ্যে ... '
    ভদ্রলোক বোধহয় দিবাকরের শূন্যস্থান পুরণ করতে এখানে এসেছে। তিনি বশংবদ ভঙ্গীমায় এদিক ওদিক ঘাড় নেড়ে ' আচ্ছা আচ্ছা ... এক্ষুণি যাচ্ছি ... ', বলে জোর পায়ে হাঁটা দিলেন দম দেওয়া পুতুলের মতো। যাওয়ার আগে সাগরের দিকে তাকিয়ে বলল, ' আসছি স্যার ... '
    ---- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... '
    সুমনা বলল, ' আপনারা আসুন স্যার .... '

    সুমনার সঙ্গে ওপরে গিয়ে সাগর আর অশোক পাল দেখল মেলা লোকজন। সুমনার দুই দিদি এবং জামাইবাবুরাও আছে। ঘরের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে মুখ বাড়িয়ে সাগর আর অশোক পাল দেখল বাসন্তীদেবী চোখ বুজে শুয়ে আছেন। মনে হচ্ছে গভীর ঘুমের সাগরের তলায় চাপা পড়েছেন। নিশ্বাস প্রশ্বাসে বুক ওঠা পড়া করছে। বড় মেয়ে চন্দনা পায়ের কাছে বসে মায়ের পায়ের তলা হাত দিয়ে ঘষছে। দুজন মহিলা বাসন্তীদেবীর পায়ের দিকে দাঁড়িয়ে নিজেদের মধ্যে ফিসফিস করে কি সব আলোচনা করছে।
    সাগর দরজার মুখ থেকে সরে এল। পাশের ঘরে অলোকেন্দুবাবু পাশের ঘরে একটা আর্মচেয়ারে চুপচাপ বসে আছেন। কর্মতৎপর হবার ক্ষমতা তার আর এখন নেই। তিনি চেয়ারে বসে বসে এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন। অন্যরা কি ব্যবস্থা করছে পর্যবেক্ষণ করছেন তাদের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে।
    সাগর ঘরের দরজা থেকে সরে আসার পরও অশোক পাল সেখানে দাঁড়িয়ে ঘুমন্ত বাসন্তীদেবীকে একদৃষ্টে দেখতে লাগল।
    সাগর বলল, ' কি এত দেখছ ? ওখান থেকে সরে এস ... অলোকেন্দু স্যারের সঙ্গে দেখা করি ... '
    অশোক পাল তার চোখ না সরিয়েই বলল,
    ' যাইত্যাসি ... এক মিনিট ঠারেন .... '
    সাগর ঘরের বাইরে অপেক্ষা করতে লাগল। বেশ বিরক্ত বোধ করছে। সুমনা একবার এসে বলল, ' আসুন ... আসুন, বাবা পাশের ঘরে আছে ... '
    প্রতিবিম্বকেও দেখা গেল। সে একগাল হেসে এগিয়ে এল। সেও বলল, ' আসুন আসুন ... এ ঘরে আসুন ... '
    এই সময়ে অশোক পাল এসে বলল, ' হ চলেন ... '

    এই ঘোর বিপদের সময় সাগরকে দেখে অলোকেন্দুবাবু যেন পায়ের তলায় মাটি পেলেন।
    আরামকেদারায় সোজা হয় বসলেন।
    ---- ' আরে কি আশ্চর্য ! আশ্চর্য টেলিপ্যাথি। একটু আগে আপনার কথাই ভাবছিলাম। মনে হচ্ছিল এই বিপদের সময় আপনি থাকলে ভাল হত এবং আপনি ঠিক এসে গেলেন। আপনার তো আসবার কথাই না... মানে এসব জানবারই কথা না ... '
    ---- ' আমরা এখান দিয়ে যাচ্ছিলাম। দেখলাম বাড়ির সামনে লোকজন দাঁড়িয়ে আছে। একজনকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম এসব ... তারপর সুমনার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল ... শুনলাম অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেওয়া হয়েছে ... '
    ---- ' হ্যাঁ ওরা দেখছে ... এসে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যে। এছাড়া উপায় কি ... কি যে হবে ... '
    অলোকেন্দুবাবুকে বেশ বিমর্ষ দেখায়।
    অশোক পাল অনেকক্ষণ ধরে উসখুস করছিল। সে এবার বলে উঠল, ' যদি কিসু মনে না করেন, আমি একটা যুক্তি দিতে পারি স্যার ... '
    অলোকেন্দুবাবু অশোক পালের দিকে তাকিয়ে রইলেন আগ্রহী দৃষ্টিতে। সাগরও বলা নেই কওয়া নেই অশোক পালের কাছ থেকে আচমকা এরকম একটা আলটপকা কথা শুনে অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল।
    ---- ' বলুন না ... ' অলোকেন্দুবাবু বললেন।
    ---- ' অ্যাম্বুলেন্স আসার তো একটু দেরি আছে। কইত্যাসি যে আমি একবার ট্রাই করতে পারি কি ?'
    অলোকেন্দুবাবু কিছু বুঝতে পারলেন না।
    ---- ' মানে ? '
    ---- ' রেইকির নাম শুনসেন ? জাপানি চিকিৎসা ... কোন ওষুধ টষুধ কিসু লাগব না ... '
    ---- ' হ্যাঁ ... শোনা শোনা মনে হচ্ছে ... কিন্তু কেন ? '
    ---- ' আমি কয়েক বসর বর্মায় সিলাম স্যার, ওহানে শিখসিলাম ... '
    ---- ' আচ্ছা আচ্ছা ... '
    ---- ' আমারে যদি আধা ঘন্টা সময় দেন, আমি চিষ্টা কইরা দেখতে পারি। তারপর না হয় ... আপনেরা যা ভাল বোঝেন ... '
    অশোক পালের এ বিদ্যার কথা সাগরের ঘুণাক্ষরেও জানা ছিল না। তার এরকম উদ্ভট একটা প্রস্তাব শুনে সে কি বলবে ভেবে পেল না। সাগর অলোকেন্দুবাবুর সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। রেইকি ব্যাপারটা তার ঠিক জানা নেই।
    অলোকেন্দুবাবু মিনিটখানেক চিন্তা করে নিলেন। তারপর এক বিচক্ষণ আইনজ্ঞের ভঙ্গীমায় বললেন, ' হ্যাঁ, তা ... ট্রাই করতে অসুবিধে কি ? হাতে তো কিছুক্ষণ সময় আছে। তবে এটা অ্যাপ্লাই করার ফলে কোন ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব কিন্তু আপনার ... '
    সাগর দেখল অশোক পাল একটুও না ঘাবড়ে সরাসরি এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন।
    ---- ' হ্যাঁ, তাতে কোন অসুবিধা নাই। ক্ষতিকর কিসু একেবারেই হইব না ... ' বলেই উঠে দাঁড়িয়ে পড়লেন। প্রবল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বললেন, ' চলেন ... '
    অলোকেন্দুবাবু অশোক পাল আর সাগরকে নিয়ে
    পাশের ঘরে গিয়ে ঢুকলেন। অশোক পাল একটা চেয়ার টেনে নিয়ে খাটের ধারে বসলেন।
    বাসন্তীদেবী ঘোর তন্দ্রায় আচ্ছন্ন। বুক নিয়মিত ছন্দে ওঠাপড়া করছে। ভ্রু মাঝে মাঝে সামান্য কুঁচকে উঠছে, হয়ত কোন স্নায়বিক বিক্রিয়ায়।
    পায়ের দিকে বসে যে ভদ্রমহিলা বাসন্তীদেবীর পায়ের তলা ঘষে দিচ্ছিলেন, মানে বড় মেয়ে চন্দনা, অশোক পাল তাকে বললেন, ' মা, আপনি একটু বসেন ... '
    চন্দনা খাটের কাছ থেকে সরে গেল।
    অশোক পাল বাসন্তীদেবীর কপালে এবং গলায় দুটো হাতের তালু আলতো করে রাখলেন। রেখে প্রায় দশ মিনিট চোখ বুজে বসে রইলেন প্রায় ধ্যানস্থ হয়ে। এরপর ঘাড়ের দুপাশে হাত রাখলেন ঘাড় এবং মাথার সংযোগ অংশে অতি কোমল ভাবে, হয়ত বিশেষ কোন ধমনী বা স্নায়ুর ওপর।
    একটু পরে নাক এবং চোখের দুদিকের সংযোগ অংশ মৃদু চাপ দিয়ে টিপে ধরে রইলেন। অশোক পাল এই প্রক্রিয়া চলাকালীন আগাগোড়াই চোখ বুজে মৌন এবং ধ্যানস্থ। শেষে তিনি রোগিনীর নাভিতে ডান হাতের চারটে আঙুল রাখলেন সামান্য চাপ দিয়ে। দিয়ে অশোক পাল নিমীলিত চোখে বসে রইলেন মিনিটের পর মিনিট। মনে হচ্ছে পালমশাই তার নিজের শরীরতন্ত্রের স্নায়ু সঞ্চালন বাসন্তীদেবীর স্নায়ুপুঞ্জে মিশিয়ে চলেছেন কোন অজানা অচেনা প্রক্রিয়ায়।
    বত্রিশ মিনিট কাটল এইভাবে। ঘরে ততক্ষণে অলোকেন্দুবাবুর তিন জামাইই এসে দাঁড়িয়েছে। সকলেই অবশ্য নীরব, বাক্যহীন। অলোকেন্দুবাবু একটা হাতলওয়ালা চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছেন উদাসীন ভঙ্গীতে। লোকটার এসব আজগুবি কান্ডকারখানায় তার একটুও আশা ভরসা কিছু জাগছে না। বসে থাকতে থাকতে দুবার হাই উঠল তার। নানা দুশ্চিন্তায় ঘুম মোটেই ঘন এবং একটানা হচ্ছে না ক'দিন ধরে।
    বত্রিশ মিনিট কেটে গেল। অ্যাম্বুলেন্সের খবর কি কে জানে ? যে কোন পরিষেবার অবস্থা একেবারে শোচনীয়। অলোকেন্দু মনে মনে বললেন ... ডিসগাস্টিং।
    এই সময়ে বাসন্তীদেবী হঠাৎ চোখ মেলে তাকালেন। অশোক পালেরও একই সময়ে ধ্যানভঙ্গ হল। বাসন্তীদেবী ঘোলাটে চোখে অশোক পালের দিকে তাকিয়ে রইলেন অবাক দৃষ্টিতে।
    অশোক পাল খাটের কাছ থেকে সরে গিয়ে ঘরের মানুষদের দিকে তাকিয়ে অনুমতি দিলেন,
    ' আসতে পারেন ... '
    নিজে বাসন্তীদেবীর পায়ের কাছে গিয়ে তার পায়ের তলায় হাত দিয়ে উত্তাপ পরীক্ষা করলেন। তার মুখ প্রসন্ন হয়ে উঠল।
    বাউন্ডুলে ভবঘুরে অশোক পাল মশাই অলোকেন্দুবাবুর কাছে গিয়ে বললেন, ' হইসে স্যার। এখনকার মতো অ্যাম্বুলেন্সওয়ালারে না বইল্যা দ্যান ... '
    অলোকেন্দুবাবু বললেন, ' হমম্ ... এটা তাহলে রেইকি !
    সাগর ভাবল, আজব কেস তো। পালবাবু তো ওস্তাদ লোক দেখছি ! ছাড়া যাবে না দেখছি।
    তিন জামাই মুখ চাওয়া চায়ি করল। বোধহয় ভাবল, আপাতত তো দৌড় দৌড়ির ঝক্কি থেকে রেহাই পাওয়া গেল। তাই বা কম কি।
    প্রতিবিম্ব অবশ্য বলল, ' ইন্ট্রেস্টিং ! ব্যাপারটা কালটিভেট করতে হচ্ছে। অমিট করলে হবে না ...'
    সাগর চিন্তা করতে লাগল, সুমনাকে এরকম সংকটপূর্ণ সময়ে পটলের বিয়ের অনুদান সংক্রান্ত ব্যাপারটা তোলা ঠিক হবে কিনা। বিয়েটা তো তিন মাস আগে হওয়ার কথা ছিল। নানা কারণে পিছিয়ে গিয়ে ফাল্গুন মাসে ঠিক হয়েছে।
    তবে সে প্রসঙ্গটা সাগরকে তুলতে হল না। সুমনা একটু বাদে কোথা থেকে এসে সাগরকে বলল, ' পটলের বিয়ের ব্যাপারে কিছু জানেন নাকি স্যার ?'

    বাড়ির পরিস্থিতি মনে হয় একটু হাল্কা হয়েছে। অশোক পাল মশায়ের হাতযশ আছে বলতে হবে।
    দরজা দিয়ে দেখা যাচ্ছে বাসন্তীদেবী উঠে বসেছেন।

    ( চলবে )

    **********
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন