এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড ) - ১১

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০১ এপ্রিল ২০২৫ | ৫১ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১
    ( ১১ )

    বর্ষাকাল এসে গেল। আকাশ আজ ঘন কালো মেঘে আচ্ছন্ন। এদিকের পাড়াগুলো মৌসুমী আঁধারে ছেয়ে আছে। দোকানে আলো জ্বলছে। গুমোট আবহাওয়া। বিকেলের দিকে ঝড় বৃষ্টি নামবে বলে মনে হচ্ছে। এই ছাই রঙা বিষণ্ণ আকাশের নীচে একটা ঘুড়ি ভাসছে আনমনে কোন নিঃসঙ্গ চাতকের মতো।

    সাগর যখনই বটতলা থানার সামনে দিয়ে যায় তখনই কালীবাবুর কথা মনে পড়ে। সেই সব দিনগুলোর কথা শ্রাবণমাসের মালতীলতার মতো দোল খেতে থাকে। কত ঘটনা, কত মানুষ, কত কথা ... সাদা কালো পুরণো বাংলা ছবির মতো স্মতির হাওয়ায় ঘুরপাক খেতে থাকে। এই সব অলস মেঘলা দিনে ফেলে আসা দিনগুলো কোথা থেকে ছুটে এসে শিশুর মতো অবুঝপনায় জড়িয়ে ধরে স্নায়ুগুচ্ছ।

    মেদুর বিবশ আষাঢ়ের দুপুর। সাগর গোয়াবাগান পার্কের দিকে যেতে যেতে ভাবল, কালীবাবুর সঙ্গে কতদিন দেখা হয়নি। তিনি আর আছেন কিনা কে জানে। চেনা মানুষেরা তো একে একে হারিয়েই যাচ্ছে। আরও কত হারিয়ে যাবে একে একে।

    সাগর বটতলা থানা পেরিয়ে গেল ওদিকে তাকাতে তাকাতে। থানার বাইরে রাইফেল নিয়ে দুজন কনস্টেবল দাঁড়িয়ে আছে, বোধহয় ইমার্জেন্সি চলছে বলে। সাগর আস্তে আস্তে থানা পেরিয়ে গেল, বিশ্বরূপা পেরিয়ে গেল, পূর্ণশ্রী সিনেমা পেরিয়ে গেল। আকাশ মেঘলা বলেই হয়ত প্রচন্ড গুমোট। জামা ভিজে যাচ্ছে ঘামে। বাতাসে যে প্রচুর জলীয় বাষ্প জমেছে তা মালুম পাওয়া যাচ্ছে। বিকেলের দিকে ভালরকম ঢালবে মনে হয়। বেলা দুটো বাজে। অলস রাজকৃষ্ণ স্ট্রিট। ক'টা কুকুর হন্তদন্ত হয়ে ছুটে গেল রঙ্গনার দিকে। রাস্তার ধারে একটা ক্ষুদে দোকানে দোকানদার পাটায় বসে বিড়ি বেঁধে চলেছে ট্রানজিস্টর চালিয়ে গান শুনতে শুনতে। নীল রঙের হাফশার্ট আর মাখন রঙা প্যান্ট পরা একজন মোটাসোটা ভদ্রলোক বিড়ির দোকানটার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। মোটামুটি পঞ্চাশ বাহান্ন বছর বয়স হবে।

    ভদ্রলোক খানিক দূর থেকেই ডানদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে সাগরের দিকে তাকিয়েছিলেন। দেখে মনে হচ্ছে উনি যেন সাগরের জন্যই অপেক্ষা করছেন ওখানে দাঁড়িয়ে। না না, তা কি করে হবে ... উনি কি করে জানবেন যে এই সময়ে এখান দিয়ে সাগর যাবে। আসলে ঘটনাক্রমে উনি সাগরের দেখা পেয়ে গেলেন।
    সাগর যখন তার সামনাসামনি এসে পড়ল ভদ্রলোক এগিয়ে গিয়ে হাতজোড় করে বললেন,
    ' নমস্কার দাদা ... '
    সাগর থেমে গেল। ভদ্রলোকের দিকে তাকিয়ে রইল। অচেনা লোক। আগে দেখেছে বলে মনে হচ্ছে না। সাগরও একটা হাত তুলে বলল, ' হ্যাঁ, নমস্কার... '
    ভদ্রলোক বলেন, ' আপনি আমাকে চিনবেন না। আমার নাম মধুসূদন সরকার। পার্কের পেছন দিকটায় থাকি। আমি আপনাকে অনেক বছর ধরেই চিনি এবং জানি। ওই থানাতেও আপনাকে দুবার দেখেছি। সে অবশ্য অনেক বছর আগে। একটা কাজে গিয়েছিলাম থানার ওসি কালীকিঙ্কর ভট্টাচার্যের কাছে। তিনি তো এখন আর নেই ... '
    সাগর সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠল, ' কালীবাবুর কোন খবর জানেন নাকি ? '
    মধুসূদন সরকার বলে উঠলেন, ' ওই যে বললাম... '
    --- ' কি ? '
    --- ' উনি আর বেঁচে নেই। মাস ছয়েক আগে ... কোন্নগরে ভাইয়ের বাড়িতে ... কি আর বলব ? ওসব লোক আর হবে না ... এখন যারা আছে তাদের কথা কি আর বলব ... আপনাকে ওসব বলা মানে মায়ের কাছে মাসির গল্প করা ... আমার শ্বশুরবাড়ি কোন্ননগরে, তাই জানতে পারলাম আর কি ... নইলে আর কি করে ... '
    কালীবাবুর মৃত্যুসংবাদ শুনে সাগরের মনটা আজকের আকাশের মতো ঘন বিষাদে ছেয়ে গেল।
    তার মুখ দিয়ে একটা চাপা ব্যথা অস্ফূট একটা শব্দ হয়ে বেরিয়ে এল - ' ওঃ ... '

    সাগরের চোখের দৃষ্টি পীড়িত ও ব্যথাতুর হয়ে উঠল।
    মধুসূদনবাবু বেশ অপ্রস্তুত হয়ে পড়লেন। কুন্ঠিত ভঙ্গীতে বললেন, ' সরি সরি দাদা ... ইয়ে ... আমি ভেবেছিলাম আপনি হয়ত খবর পেয়েছেন ... তাই ... কিছু মনে করবেন না ... আমি বুঝতে পারিনি ...'
    সাগর বলল, ' না না ... ঠিক আছে। আমিই তো জানতে চাইছিলাম। অনেক দিনের পরিচয় ... '
    --- ' হ্যাঁ ... আমি জানি দাদা ... বললাম তো ... রাত্রিদেবীকেও আমি চিনি। ও পাশেই তো আমার বাড়ি ... '
    --- ' ও আচ্ছা ... '
    দু জনে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার একপাশে।
    সাগর দ্রুত বিষাদের গুমোট কাটিয়ে এবার নিজের মধ্যে ফিরে এল।
    --- ' হ্যাঁ ... আপনি কি কিছু বলবেন আমাকে ? '
    --- ' হ্যাঁ ... বলার জন্যই তো ... মানে,আমি একটা বিপদে পড়েছি দাদা। আপনার সাহায্য চাইছি ... '
    --- ' কিরকম ? '
    --- ' ব্যাপারটা বলতেও খারাপ লাগছে। বাগবাজারের নিবেদিতা লেনের কমল সাহাকে তো আপনি চেনেন ... '
    --- ' হুঁ ... '
    --- ' ও আপনার বিজনেস দাঁড় করাতে অনেক সাহায্য করেছে সেটা জানি। সেটা খুব ভাল কথা। আমি হচ্ছি কমলের বিজনেস পার্টনার ... '
    --- ' আচ্ছা ! '
    --- ' হ্যাঁ ... পুরো বিজনেসে আমার ফিফটি পার্সেন্ট ইনভেস্টমেন্ট এবং ফিফটি পার্সেন্ট শেয়ার আছে প্রায় বারো বছর ধরে ... '
    --- ' তাই নাকি ? তা হবে হয়ত ... আমি ওসব শেয়ার টেয়ার ভাল বুঝি না ... তা এখন সমস্যাটা কি ? ' সাগর আসল কথায় আসতে চাইল।
    --- ' সমস্যা হচ্ছে ... কমল এখন পাল্টি খাচ্ছে। বলছে যে আমার কোন শেয়ার টেয়ার নেই এবং আমার ইনভেস্টমেন্ট মাত্র টেন পার্সেন্ট ... আমি তো শুনে থ। এতদিন ধরে আমাকে যেটা দেওয়া হয়েছে সেটা সৌজন্যতাবশত। এখন আর কিছু দেওয়া যাবে না। বলল, পঁচিশ হাজার টাকা দিচ্ছি, অন্য কোথাও কিছু করে নে। একটা এতদিনের পরিচিত লোক যে এরকম সাঙ্ঘাতিক মিথ্যা কথা বলতে পারে আমার চিন্তার বাইরে ছিল ... শুনে প্রথমে ভাবলাম যে ও বোধহয় আমার সঙ্গে তামাশা করছে। তারপরের দিন আবার ওই একই কথা রিপিট করাতে আমি বুঝতে পারলাম ও ঠাট্টা তামাশা করছে না। সিরিয়াসলি বলছে। আমার তো মাথা ঘুরতে আরম্ভ করল। কি বলব, কি করব সব গুলিয়ে যেতে লাগল ... '
    --- ' দেখুন, আমি এসব খুব যে বুঝি তা না, তবে কমনসেন্স থেকে বলছি যে, আপনাদের বিজনেস ডিল ... ইনভেস্টমেন্ট বলুন, পার্টনারশিপ বলুন, এসবের দলিল দস্তাবেজ নেই ? '
    --- ' ঠিকই বলেছেন। যে কোন লোকই এটা জিজ্ঞাসা করবে। কিন্তু বলতে লজ্জা লাগে ... আমি এসব ব্যাপারে একেবারেই আনাড়ি ছিলাম। যা করবার সব কমল করেছিল। আমি শুধু সই করেছিলাম ... '
    --- ' ব্যবসায় আনাড়ি হয়েও ব্যবসা করতে চলে এলেন ? '
    --- ' ওটাই তো বিরাট ভুল সাগরদা। কি আর বলব ... বিরাট ভুল। কমল নানারকম কথা বলে আমাকে এমন লোভ দেখাল যে আমি ঝুঁকে পড়লাম ... আমার যা ছিল সব ওখানে ঢেলে ফেলেছি। এখন আমি কি করব বলুন তো ... পঁচিশ হাজার টাকায় কি হয় ? আর, ওটা আমি নেবই বা কেন ? '
    --- ' আপনার কথা যদি ঠিক হয় আপনি ওকে চেপে ধরুন ... এটা কি মগের মুলুক নাকি ? যা ইচ্ছে তাই করা যায় ? আপনি ছাড়লেন কেন ওকে
    .... কাগজপত্র থাক বা না থাক। বিশ্বাসের কোন দাম নেই ? '
    --- ' দাদা, আপনার কথা একশ ভাগ ঠিক। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমার ব্রেন-এর মতো আমার হার্টও কমজোরি। ওরকম ডেঞ্জারাস লোকের সঙ্গে লড়বার সাহস এবং ক্ষমতা কিছুই আমার নেই ... '
    --- ' কেন কেন ... ওর পেছনে কেউ আছে নাকি ? '
    --- ' হ্যাঁ, আমি সেটাই বলতে চাইছি। নামটা আমি এক্ষুণি বলতে চাইছি না। সেটা আপনি একটু ঝাঁকি দিলেই বেরিয়ে আসবে ... '
    --- ' তার মানে, আমাকে ঢুকতে হবে এখানে ? না ঢুকলে হয় না ? হাজার হোক, ও আমাকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছে। এখনও দিচ্ছে ... '

    মধুসূদন সরকার এবার তার ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করল।
    বলল, ' সিদ্ধান্তটা আপনার বিবেক এবং বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিলাম সাগরদা। যদি আমি মিথ্যাবাদী হই যা শাস্তি দেবেন মাথা পেতে নেব। আমাকে শুধু বলে দিন এই বয়সে পরিবার নিয়ে আমি কোথায় গিয়ে দাঁড়াল। আপনার বিচারের ওপর ছেড়ে দিলাম ... '
    এই সুপ্রযুক্ত ব্রহ্মাস্ত্রে সাগরের তো নিশ্চিতভাবেই ঘায়েল হবার কথা। সেটা হলও। সেই সঙ্গে একটা অভূতপূর্ব ভাবনা এল তার মাথায় যে এহেন ধর্মসঙ্কটে সে আগে কখনও পড়েনি।
    সাগর একটু চুপ করে থেকে বলল, ' ঠিক আছে ... দেখছি ... পটলের দোকান চেনেন কি ? '
    --- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... ওই সাইকেল সারানোর দোকানটা তো ? '
    --- ' ওখানে এক সপ্তাহ বাদে খোঁজ করবেন ... সকালে বা বিকেলে ... '
    মধুসূদন আবার বুকের কাছে দু হাত জড়ো করল বিনা বাক্যে।

    সাগর গিরীশ ঘোষ এভিনিউতে এসে পৌঁছল সন্ধে ছটা নাগাদ। কোন সহকারি নিয়ে নয়, একাই। নিবেদিতা লেনের মুখে দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগল। আজ রবিবার। কমল সাহা হয়ত বাড়িতেই আছে। না থাকলে বাড়িতে বলে যেতে হবে হাতিবাগানে তার দোকানে দেখা করার জন্য।

    এ কেসটা একদম অন্যরকম। এ ধরণের গন্ডগোল সে আগে সামলায়নি কখনও। কমল তাকে কত সাহায্য করেছে। আবার অন্যদিকে ন্যায় অন্যায়ের চিন্তা আছে, যদি অবশ্য মধুসূদন সরকারের কথাগুলো সত্যি হয়। কিভাবে ব্যাপারটা নাড়াচাড়া করা যায় ভেবে পাচ্ছিল না সাগর। এ তো প্রতাপ ধরের মামলা নয়। সাগর ভাবল, একটু ওদিক থেকে পায়চারি করে আসি। তার নিজের দোনামোনা ভাব দেখে তার নিজেরই অবাক লাগতে লাগল।

    সাগর মাথা নীচু করে ভাবতে ভাবতে বাগবাজারের মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। গিরীশ ঘোষের বাড়ির জায়গাটা পেরোতেই হঠাৎ সামনে থেকে কে যেন বলল, ' আরে কাকু আপনি ? '
    সাগর মুখ তুলে দেখল একটা লম্বা রোগামতো ছেলে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে তার সামনে। মুখে হাল্কা গোঁফদাড়ির আভাস।
    সাগর তার দিকে তাকিয়ে চেনবার চেষ্টা করতে লাগল।
    --- ' কে বলতো ? ঠিক ... ' সাগর শেষ পর্যন্ত বলে ফেলল।
    ছেলেটা হেসে ফেলল। বলল, ' আমাকে চিনতে পারলে না কাকু ? আমি চিন্টু ... আমার দিদি স্বাতী ... ওই যে নিবেদিতা স্কুলে পড়ত। আমাদের একটা বেড়াল ছিল জুলি ... মনে পড়ছে কাকু ? '
    সাগর ভীষণ অবাক হয়ে বলে উঠল, ' আরে, চিন্টু ... তুই কত বড় হয়ে গেছিস রে ! কত লম্বা হয়ে গেছিস ... একদম চিনতে পারিনি। কতদিন পরে দেখলাম তোকে ... তা পাঁচ ছ বছর তো হবেই। তোর দিদিও নিশ্চয়ই অনেক বড় হয়ে গেছে ... '
    --- ' চল না বাড়িতে। কত বড় হয়েছে দেখতেই পাবে ... '
    --- ' এখন বাড়িতে ... ইয়ে, একটা কাজ ছিল ... অন্য আর একদিন নয় ... '
    সাগর দেখল চিন্টু মাথায় বাড়লেও এখনও বাচ্চার মতোই আছে। এতদিন পরে যে দেখা হল তা বোঝার কোন উপায় নেই। সে সাগরের হাত ধরে ঝুলোঝুলি শুরু করল শিশুর মতো।
    --- ' না না ... চল চল ... আজকেই চল ... দারুণ একটা সারপ্রাইজ হবে। দিদি এখনও তোমার কথা বলে। মাও বলে ... '
    এই মায়ার টান কাটানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়াল সাগরের পক্ষে।
    সে শেষ পর্যন্ত বলল, ' আ..চ্ছা চল চল ... দেখা করে আসি ... '
    --- ' চল চল ... দারুণ মজা হবে ... '
    সাগরের হঠাৎ জুলির কথা মনে পড়ে গেল।
    সে বলল, ' তোদের জুলির খবর কি ? '
    চিন্টুর মুখটা গম্ভীর হয়ে গেল। সে বলল, ' জুলি একদিন দুপুরবেলায় বেরিয়েছিল। তারপর আর ফিরল না। অনেক খুঁজেও ওকে আর পেলাম না। ও বোধহয় আর বেঁচে নেই। দিদি খাওয়া দাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিল অনেক দিন ধরে। সবসময় কাঁদত... '
    সাগর দেখল চিন্টুর চোখ ছলছল করছে।
    সে কোন কথা বলতে পারল না। শুধু ভাবল, ' এ ভালবাসার দাম দেবার মতো টাকা কি পৃথিবীতে তৈরি হয়েছে এখনও ... '

    ( চলবে )

    ********
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:113c:5671:5dd3:***:*** | ০১ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:০৯542040
  • বেশ 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন