এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড ) - ১৮

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ৫৪ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮
    ( ১৮ )

    অমল রবিবারের সকালে সাগরের দোকানে এসে হাজির হল।
    ---- ' আরে, অমল কি খবর ? '
    ---- ' এই ... আজ ছুটির দিন ... ভাবলাম দেখি তুমি দোকানে আছ কিনা ... '
    ---- ' দোকান এবেলা খোলা থাকে। ওবেলা বন্ধ ...চা খাবে নাকি ? '
    ---- ' তা ... হলে হয় একটু ... '
    অমল একটা খবরের কাগজ তুলে নিয়ে পড়তে লাগল।
    ---- ' পরশুদিন একটা ধর্মঘট আছে বামপন্থীদের।
    অফিসে যাওয়া যাবে বলে মনে হয় না ... '
    ---- ' কি ব্যাপারে স্ট্রাইক ডেকেছে বোঝা যাচ্ছে ? '
    সাগর জিজ্ঞাসা করল।
    ---- ' ওই... কিছু একটা হবে। অ্যাজেন্ডা একটা তৈরি করে নিলেই হল। ওটা কোন ব্যাপার না। মোদ্দা কথা হল, বছরে ছোট বড় মিলিয়ে অন্তত তিনটে স্ট্রাইক ডাকতে হবে। নাহলে অস্তিত্ব বজায় রাখা যাবে না। মূল দাবীটা আসলে কি, তারা নিজেরাই জানে কিনা সন্দেহ... '
    ---- ' নাও চা এসে গেছে ... ধর ... '
    সাগর কোন মন্তব্যে না জড়িয়ে চায়ে একটা চুমুক দিল।
    সামনে দিয়ে একটা মিছিল গেল। হাতিবাগান মোড় পেরিয়ে মিছিলটা বাঁদিকে ঘুরল। পরশুদিনের ধর্মঘটের ব্যাপারে স্লোগান তুলছে।
    সাগর মিছিলের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে বলল, ' এতগুলো লোককে যদি নিখিল স্যারের কথাগুলো বোঝানো যেত তাহলে একটা কাজ হত... '
    অমল সাগরের কথাটা প্রায় কেড়ে নিল।
    ---- ' এক্জ্যাক্টলি। স্যার যেটা বলতেন ... সিস্টেমটাই ঠিক নেই। যেই ক্ষমতায় আসুক সে তো এই সিস্টেমেরই অংশ হবে। তাই এই সিস্টেমের ধরণ অনুযায়ী সে ক্ষমতা দখলের রাখার চেষ্টা করবে। সাধারণ মানুষ যেখানে আছে সেখানেই থাকবে। আমি যতটুকু বুঝেছি আর কি ... '
    ---- ' হমম্ ... খুব চিন্তার ব্যাপার ... কি করা যায় ... '
    ---- ' তুমি তো তোমার মতো কাজ করছ, কিন্তু আমরা তোমাকে কিভাবে হেল্প করতে পারব জানি না। ইনডিভিজুয়াল এফোর্টে আর কতটুকু এগোন যায়। বেসিক মেশিনারি তো একই থাকছে ... ' অমল চায়ের কাপে একটা চুমুক দিল।
    দুটো লোক কথা বলতে বলতে দোকানে ঢুকল। একজন বলল, ' জেভিয়ার পায়াস কিন্তু বেশ ভাল প্লেয়ার। সুরজিত তো এতদিন একা টানছিল ...'
    ---- ' সেটা ঠিক আছে। এ সিজনে হাবিব আকবরকে নেবার চেষ্টা করতে পারত। ক্লাব টাকা খরচ করবে না তো কি হবে শালা ... ভৌমিককে আটকাবে কে ?। ডিফেন্সে ওই শুধু বাবলু ভটচাজ ... দাদা, হাফ ইঞ্চি স্ক্রু আর ওয়াশার এক ডজন আর চারটে টি। অ্যালুমিনিয়াম পাইপ পাঁচ ফুট দু পিস ... লেফট ব্যাকে শঙ্কর ব্যানার্জী অবশ্য ভাল গেম দিচ্ছে।
    ---- ' তাতে লাভটা কি ? বাঙালিদের কাছে পাঁচ গোল খাওয়া কি আটকাল তাতে ? লজ্জা রাখার জায়গা নেই ... ইশশ্ ... পি কে কিন্তু প্রত্যেক বছর টিমটা ধরে রাখছে ঠিক ... '
    ---- ' হ্যাঁ সে তো বটেই ... হাফলাইন কিন্তু এ বছরও স্ট্রং করতে পারল না মোহনবাগান। বহুত বাজে ... এই পাঁচ গোলের বদলা কি জীবনে কোনদিন নিতে পারব আমরা ? '
    ---- ' যা বলেছিস মাইরি ... কত হল দাদা ? '
    দাম মিটিয়ে ক্রেতা দুজন বেরিয়ে যাবার পর হঠাৎ মোনা মজুমদার আবির্ভূত হল।
    সাগর বলে উঠল, ' আরে এস এস ... কি খবর বল। ইনি হলেন অমল চ্যাটার্জি। দারুণ আর্টিস্ট ... গীটার শুনলে পাগলা হয়ে যাবে ... '
    ---- ' অ্যাঁ ... পাগলা হয়ে যাব ? তা'লে শুনব না বাবা ... হাঃ হাঃ হাঃ ... না না, মজা করছিলাম ... ডোন্ট মাইন্ড ব্রাদার... '
    অমল সপ্রতিভভাবে বলল, ' কি যে বলেন দাদা, মনে করব কেন ... কোন ব্যাপার না ... '
    ---- ' হ্যাঁ ... সেই ... সাগর একটা সিগারেট খাওয়াবি নাকি ? আমার প্যাকেট শেষ ... '
    ---- হ্যাঁ, আনাচ্ছি ... অত সিগারেট খেও না মোনাদা ... '
    ---- ' কি করব ... এত টেনশান হয় আজকাল। আগে এসব ছিল না ... '
    ---- ' ওসব ছাড় তো ... টেনশান সবারই আছে ...'
    ---- ' তোরও টেনশান আছে নাকি ? '
    ---- বা রে, আমাকে কি মনে কর ... আমি কি মানুষ নয় নাকি ? '
    ---- ' তুই মানুষ ছিলি কবে ? তুই তো মহামানুষ .... হাঃ হাঃ হাঃ ... সে যাকগে, বলছি যে এদিকে একটা খুচরো ক্যাচাল হয়েছে ... '
    ---- ' কিরকম ? '
    ---- ' কাল দুপুরে বিডন স্ট্রিট থানার সামনে দুটো ছেলে আমাকে ধরেছিল ... '
    ---- ' আচ্ছা ! '
    ---- ' বলল, সাগর মন্ডলের কোলে চড়ে পার পেয়ে যাবে ভাবছ ? ও তোমাকে বাঁচাতে পারবে ? সে ক্ষমতা আর আছে ওর ? '
    ---- ' তারপর ? '
    ---- ' এসব জিনিস অনেক দেখা আছে আমার। লাইনে তো কম দিন হল না। আমি কোন কথা না বলে সোজাসুজি তাকিয়ে রইলাম ছেলেটার মুখের দিকে। আমার হাঁটুর বয়সী ছেলে। প্রতাপ ধর এদের কাজে লাগাচ্ছে আর কি। আমি হাসি হাসি মুখে ওর দিকে তাকিয়ে থাকায় আর একটা ছেলে বলল, কি হলটা কি ? আমি ওর দিকেও হাসিমুখে তাকিয়ে বললাম, তোকে কে পাঠিয়েছে, প্রতাপ? কথাটা শুনে একটু থতমত খেয়ে গেল ছেলেদুটো, তারপর তেড়েমেড়ে বলল, সেটা তুমি জেনে কি করবে ... যেই পাঠাক তোমার দরকার কি ? আমি বললাম, সে কিরে আমাকে ধমকি দিচ্ছিস আর আমি জিজ্ঞেস করব নাতো কে করবে রে ... যা, ওকে গিয়ে জিজ্ঞেস করে আয় কোথায় দেখা করতে চায় ... যেখানে বলবে সেখানেই থাকব। ভাল করে গোঁফ গজায়নি এখনও সাগর মন্ডলের সঙ্গে খেলতে চলে এসেছিস ... সামলাতে পারবি তো ? যা ... তোদের বাবাদের জিজ্ঞেস করে জেনে নে আগে ... তারা ভাল চেনে সাগরকে ... শুনে তো একটা ছোঁড়া ক্ষেপে গেল মনে হল ... সে বলল, সব বলছি গিয়ে ... ইয়ে রগে উঠে যাবে ... জান না তো ... বলে ঝটপট কেটে পড়ল, বুঝলি তো ... '
    মোনা মজুমদার চায়ের কাপে আর একটা চুমুক দিল।
    অমল হাঁ করে মোনার কথার শুনছিল।
    সে বলল, ' এ এক আলাদা জগৎ। আমরা সাধারণ মানুষ এ জগতের কোন খবরই রাখি না... '
    সাগর বলল, ' খবর না রাখাই ভাল। তবে লোকের ভাল করতে গেলে খবর রাখতেই হয় ... '
    ---- ' হ্যাঁ, সেটাই সেটাই ... আমার মাঝে মাঝে খুব সাহসী হয়ে উঠতে ইচ্ছে করে, কিন্তু কি বলব ... নিজেকেই নিজে ভরসা করতে পারি না ... '
    ---- ' আরে ভাই, এ পৃথিবীতে এক এক জন এক এক রকম কাজ করার জন্য এসেছে। প্রত্যেকে যদি নিজের কাজটা ঠিকমতো করে তাহলে সব মিলিয়ে একটা কিছু হতে পারে ... ' সাগর মাস্টারমশাইসুলভ ভঙ্গীতে বলল।
    মোনাবাবু বললেন, ' যাকগে যাকগে ... ওসব ছাড়।
    এখন কি করবি ভাবছিস ? '
    ---- ' কিছুই করতে হবে না, যা করার ওদের করতে দাও। তোমার কাছে চেম্বার আছে তো ?
    ---- ' হ্যাঁ, তা আছে। চালানো ওব্যেস নেই অনেকদিন .. সেই কবে চালিয়েছি ... '
    ---- ' দূর ... ওভ্যেস টোভ্যেসের কি আছে ... ফাটা বাঁশে পড়লে সিধে শান্টিং... ঘোড়া টেনে দেবে। তারপর দেখা যাবে। আগে তো নিজের জান ... আর আগে থেকে খবর পেলে আমাকে তো জানাবেই। তবে তোমার পার্টিতে একটু টোকা মেরে রেখ। প্রতাপের অ্যান্টিগ্রুপ পার্টিতেও পাবে ... কি এমন এস্পেশাল গুলতি একেবারে ... একদম ভয় খাবে না ... '
    অমল অবাক হয়ে এদের কথাবার্তা শুনছিল। কি অবলীলায় যেন এক ভিন্ন গ্রহের ভাষায় কথা বলে চলেছে ওরা।
    মোনা মজুমদার বলল, ' হমম্ ... আচ্ছা আচ্ছা। ওটা নিয়ে আমি অত ভাবছি না। ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের একটা কিছু তৈরি করা দরকার ...বেঁচে থাকতে থাকতে যদি কিছু দেখে যেতে পারি ... '
    এই কথাটা অমলের খুব পরিচিত মনে হল। সে আগ্রহী দৃষ্টিতে মোনাবাবুর মুখের দিকে তাকিয়ে রইল।
    সে বলল, ' এটা একটা দামী কথা বলেছেন। আসুন না আমরা সবাই মিলে একটা কিছু ... এভাবে চলে না ... '
    ---- ' ঠিক ঠিক ... অত তত্ত্বকথা বুঝি না। শুধু বুঝি দুনম্বরী আটকাতে হবে ... নক্শালরা, যে যাই বলুক, ঠিকই এগোচ্ছিল ... কিন্তু কারা যেন ওদের রাস্তাটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিল ... ডিরেকশান ঘুরিয়ে দিল বলা যায়, চুলের ভেতর উকুন ঢুকিয়ে ... '
    অমল ঠিক বুঝতে না পেরে বলল, ' মানে ? '
    ---- ' মানে আর কি ... চুলের মধ্যে উঠুন ঢুকিয়ে দেওয়া হল আর কি ... এসব আমার চেয়ে ভাল আর কে জানে ... কি সব দিন গেছে ... '
    ' কি সব দিন গেছে ' বাদ দিয়ে বাকি পরিভাষাগুলো এবারেও ঠিক বোধগম্য হল না অমলের কাছে।
    তবে সে এই নিয়ে আর কোন ঔৎসুক্য প্রকাশ করল না। বলল, ' আমাদের বাড়িতে একদিন আসুন না ... সবাই মিলে আলোচনা করি ... '
    মোনাবাবু বললেন, ' তা নয় হল, কিন্তু আলোচনা করে কিছু বেরোবে কি ? আমি তো কোন রাস্তা দেখছি না। একটাই রাস্তা দেখছি, আমরা যে যতটা পারি সাগরকে সাহায্য করি। তবে সাগরেরও এখন ফ্যামিলি হয়েছে। কতটা রিস্ক সে নিতে পারে ... মানে আমরা কতটা বার্ডেন তার ওপর চাপাতে পারি এটা ভেবে দেখার দরকার ... '
    অমল সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিল, ' তা কেন মোনাদা ... রেসপনসিবিলিটি আমাদের সবাইকেই নিতে হবে ... সাগরদাকে লিডার মেনে নিয়ে ... '
    ---- ' হমম্ ... দেখা যাক কতদূর কি হয় ... '

    লালবিহারি সরকার বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক উত্তর চব্বিশ পরগনার একটা কলেজে। লালুবাবু ইদানীং খুব বিমর্ষ থাকেন। তিনি যে ব্যাপার নিয়ে চিন্তান্বিত তা হল ঘুষ। মানে, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কাজ হাসিল করতে গেলে যে টেবিলের তলা দিয়ে অলিখিত আদান প্রদানের রেওয়াজ প্রতিষ্ঠিত আছে সেটা আর কি। লালুবাবুর বয়স তো কিছু কম হয়নি। তিন বছর বাদে রিটায়ারমেন্ট।
    তাহলে এই বয়সে এসে তিনি সরকারি দপ্তরের বহুকাল ধরে সচল একটা সর্বজনস্বীকৃত সাবেক প্রাতিষ্ঠানিক প্রথা নিয়ে হঠাৎ বিড়ম্বিত হয়ে পড়লেন কেন ? তার কারণ হল, কোন দরকারি কাজ সমাধা করার উদ্দেশ্যে কোন সরকারি অফিসের দ্বারস্থ হওয়ার অভিজ্ঞতা তার আগে হয়নি। তার প্রয়োজনই পড়েনি। ব্যাপারটা আর কিছু না, তার বাড়ির সামান্য বর্ধন সংক্রান্ত ব্যাপার। দোতলার একটা জানলা ভেঙে ছোট একটা ব্যালকনি করার শখ হয়েছিল লালবিহারিবাবুর। সেটার অনুমতি আদায় করার জন্য হাঁটাহাঁটি শুরু করার কথা ভাবছেন লালুবাবু। পাড়ার গোপীনাথ বলেছিল, ' এমনি করে ফেলুন না স্যার ... কিচ্ছু হবে না। কনস্ট্রাকশান স্যাংশান করাতে গেলেই ঝামেলা বাঁধাবে। প্রতিবেশী আপত্তি না করলেই হল। এইটুকু বাড়ানোর জন্য আপনার পাশের বাড়ির প্রবীর বিশ্বাস কি আর আপত্তি করবে ... আগে একবার কথা বলে নেওয়া ভাল ... '
    তা কথা লালুবাবু বলেছিলেন। শুনে টুনে প্রবীর বললেন, ' না না ... সে হয় নাকি ... ছাড়ার জায়গাটার ওপর ওভাবে বাড়ানো যায় নাকি ! আইন মেনে কাজ করুন ... আইন মেনে কাজ করুন ... গন্ডগোল পাকাবেন না ... মুশ্কিলে পড়ে যাবেন ... '
    লালবিহারিবাবু বুঝতে পারলেন এটা অনার্সের সেকেন্ড পেপার পড়ানোর মতো সরল ব্যাপার নয়। এটা তার জন্য বিলকুল অজানা সিলেবাসের তত্ত্ব, যে চ্যাপ্টার এখন পর্যন্ত খোলা হয়নি তার।
    সে যাই হোক, প্রবীর বিশ্বাসের সরাসরি রুক্ষ প্রত্যাখ্যান পেয়ে লালবিহারিবাবুর জেদ হঠাৎ ভীষণ বেড়ে গেল। তিনি ঠিক করলেন, কর্পোরেশন অফিসে গিয়ে আইনসম্মতভাবে
    ' স্যাংশান' আদায় করে আনবেন। একটা ছোট ব্যালকনি তার এবং তার সহধর্মিনীর অনেকদিনের বাসনা। একতলাটা তো অনেকদিন আগেই তার অধিকারের বাইরে বেরিয়ে গেছে। যাক, সেটা অন্য প্রসঙ্গ। এখন ওসব থাক।
    তার সিদ্ধান্ত শুনে গোপীনাথ ঠোঁটের ভাঁজে পাতলা হাসি মাখিয়ে বলল, ' ও আচ্ছা ... ঠিক আছে ... দেখুন ট্রাই করে ... দেখে নিন, তারপর জানাবেন আমায় ... একজন আছে ... '
    লালবিহারিবাবু সংকল্পবদ্ধ স্বরে গোপীনাথের পরামর্শে বাধা দিয়ে বললেন, ' না না ... ওসব লোক টোক দরকার নেই। যা করবার সরকারের অনুমতিক্রমে আইনসম্মতভাবে করব। করেই ছাড়ব ... একদিন নয় কলেজ থেকে ছুটি নেব ... '
    গোপীনাথ সস্নেহে হেসে বলল, ' খুব ভাল কথা স্যার ... দেখুন না চেষ্টা করে ... চেষ্টায় কি না হয় ... '

    ( চলবে )

    ********
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন