এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড ) - ৩০

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৬ জুন ২০২৫ | ২৭ বার পঠিত
  • ( ৩০ )

    আর দুদিন পরে অলোকেন্দু মিত্র শেষ পর্যন্ত সত্যিই একা হয়ে গেলেন। অর্ধ শতাব্দী ধরে তাকে আগলে রাখার মানুষটি তাকে ফেলে রেখে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। রবিবারের দুপুরবেলা। অনুরোধের আসর চলছে। বাসন্তীদেবীর প্রাণের ট্রানজিস্টর নিস্তব্ধ নিস্তরঙ্গ, খাটের ওপর একলাই পড়ে আছে। এ বাড়িতে সে বাড়িতে দুঃখী কন্ঠে সতীনাথের গান বেজে চলেছে ... জানি একদিন আমার জীবনী লেখা হবে ...
    আকাশে মেঘ আর রোদ্দুরের খেলা চলছে সকাল থেকে।
    বাসন্তীদেবীর শরীর নামান হল বাড়ির সামনে। ধ্বস্ত, বিহ্বলা সুমনাকে আগাগোড়া জড়িয়ে ধরে রইল 'হতচ্ছাড়া' মেয়ে কাবেরী। দুদিন ধরে সে বাড়ি যায়নি।
    সাগর কার কাছে যেন খবর পেয়ে বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ অশোক পালকে সঙ্গে নিয়ে এখানে এসে পৌঁছল। তাকে খবর দেবার লোকের অভাব নেই। আজ রাত্রে পটলের বৌভাত। সাগর মন্ডলের বোধহয় যাওয়া হল না পটলের বৌভাতে। সুমনারও না।
    অশোক পাল মশায় অলোকেন্দুবাবুর বড় জামাইকে বললেন, ' আপনারা নিশ্চিন্তে থাকেন, আমি সব ব্যবস্থা করত্যাসি ... '
    সাগর বলল, ' হ্যাঁ, মাণিক আর শম্ভুকে খবর পাঠিয়েছি। ওরা এসে গেলে কাজগুলো বুঝিয়ে দেবেন ওদের ...'
    --- ' অবশ্য অবশ্য ... ' অশোক পাল বললেন।

    অমিতাভর একটা কবিতা বেরিয়েছে ব্রাত্য পত্রিকায়। স্নেহাংশু, সুনির্মলরা অনেকদিন আগেই লেখালেখি ছেড়ে দিয়েছে। অমিতাভও আজকাল তেমন কফি হাউসে যায় না। এর মধ্যেই একদিন অর্কপ্রভর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল কলেজ স্ট্রিটে। অর্কপ্রভ মৈত্র। ব্রাত্য পত্রিকার চারজন সম্পাদকের মধ্যে একজন। অমিতাভর চেয়ে প্রায় দশ বছরের বড়। বাংলার কবিগোষ্ঠীতে বেশ প্রতিষ্ঠিত নাম এখন। কবিতা সত্যিই ভাল লেখে। গদ্য লেখার হাতও অতি চমৎকার। এটা তার শত্রুরাও স্বীকার করে। ব্রাত্যকে দাঁড় করানোর পিছনে অর্কপ্রভর প্রচুর অবদান আছে।
    মুখে একগাল কাঁচা পাকা দাড়ি নিয়ে, রঙীন পাঞ্জাবী, সাদা পাজামা পরে কলেজে স্ট্রিট চত্বরে ঘুরে বেড়ায়। লোকে বলে ঠিক মতো ধামা ধরতে পারলে দেশ-এ জমি শক্ত হয়ে যেত এতদিনে। এই রকম ঘুরতে ঘুরতেই সেদিন অমিতাভর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল।
    --- ' আরে, অমিতাভ না ... কি খবর ? লেখা ছেড়ে দিলে নাকি ... অনেকদিন কোথাও কিছু পাচ্ছি না। তোমাদের নৈঋত কি বন্ধ করে দিলে ? '
    --- ' হ্যাঁ, অনেক চেষ্টা করেছিলাম। চালাতে পারলাম না অর্কদা... খুব কষ্ট হয় ... '
    --- ' খুব স্বাভাবিক। আমি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পারি ব্যথাটা। যাক, তুমি ব্রাত্যর পরের সংখ্যার জন্য একটা কবিতা দাও না। আমি আমন্ত্রণটা দিয়ে দেব'খন... '
    --- ' দেখি ... চেষ্টা করব ... অনেকদিন লিখিনি ... '
    --- ' তোমরা তো তৈরি লেখক। কলম ধরলেই কিছু না কিছু জন্ম নেবে ... '
    --- ' তাও ... ব্রাত্যয় দেবার মতো লেখা হওয়া চাই তো ... '
    --- ' হবে হবে ... নিশ্চয়ই হবে। কলম ধরেই দেখ না ... '
    --- ' দেখি ... '
    --- ' ঠিক আছে। সামনের শনিবার কফি হাউসে এস না ... ওখানে কথা হবে ... '
    --- ' দেখি ... যদি সময় পাই ... '
    --- ' ওইদিন চিঠিটা দিয়ে দেব ... '

    অমিতাভ শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিল। সন্ধে সাতটা বাজে। দীপঙ্করের জন্য অপেক্ষা করছিল। দীপঙ্কর তার অফিস কলিগ। বেলগাছিয়ায় থাকে। ওকে নিয়ে বউবাজারে যাবে একটা দরকারি কাজে। অমিতাভ ওদিকে হরলালকার দোকানের দিকে তাকিয়ে রইল। ওখানে ছিল শ্যামবাজারের কফি হাউস। এখন আর নেই। জীবনটা কেমন ছিল আর কেমন হয়ে গেল। অফিসের নীরস কাজ করা ছাড়া যেন জীবনে আর কিছু নেই। রাস্তার ওদিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে সেসব দিনগুলোর কথা মনে পড়তে লাগল। স্নেহাংশু, সুনির্মলদের কথা মনে পড়তে লাগল। পার্থপ্রতিমের পাগলামির কথা মনে পড়ল। তারপর হঠাৎই কাবেরীর কথা মনে পড়ে গেল। কি পাগল মেয়েই ছিল। ওর সঙ্গে পার্থর ছেলেমানুষি ঝগড়াঝাটির কথা মনে পড়ে বেশ মজা লাগল অমিতাভর।
    তবে কাবেরীর কথা মনে পড়তে অমিতাভর এক রকম সিরসিরানি বইতে লাগল বুকের ভিতর আচমকা। কাবেরীর ওপর তার যে একটা মনোরম ভাললাগা ছিল তা অস্বীকার করে লাভ নেই এবং তা সে করেও না। কিন্তু একটা বাঁধন ছেঁড়া অশ্বকে বাগ মানানো তার পক্ষে সম্ভব হয়নি এবং সে সেই চেষ্টা করেওনি। অমিতাভর মনে হল এই মুহুর্তে পাঁচমাথার মোড়ে দাঁড়িয়ে একবার কাবেরীর সঙ্গে দেখা হলে ভাল হত। এতদিন বাদে দুজনের দেখা, বেশ স্বপ্নের মতো লাগত।
    কি আশ্চর্যের ব্যাপার, কত কি না হয় প্রকৃতির খেয়ালে। এক একটা ইচ্ছা কেমন লেগে যায় অদ্ভুত ভাবে। একশটার মধ্যে এরকম একটা তো লাগেই লাগে। নিখিল স্যার বেঁচে থাকলে হয়ত বলতেন, ফ্রিক প্রোব্যাবিলিটি।
    পাশ থেকে কে যেন বলল, ' আরে ... অমিতাভদা না ? '
    অমিতাভ ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল কাবেরী দাঁড়িয়ে আছে হাসি হাসি মুখে। কাঁধে ভ্যানিটি ব্যাগ ঝুলছে। কপালে এত্তবড় একটা সবুজ রঙের টিপ। ম্যাচ করে পরা খয়েরি পাড়ের সবুজ রঙের শাড়ি।
    অমিতাভ চমকে গেল। ভাবল, কি অদ্ভুত ... এই মাত্র কাবেরীর কথা ভাবল সে, আর কাবেরীও এসে গেল।
    --- ' কিরে কেমন আছিস ? বিয়ে করেছিস শুনেছিলাম। সব ঠিকঠাক আছে তো ? তোর মাথাটা তো মাঝেমাঝে বিগড়ে যায় ... ' অমিতাভ বলল।
    --- ' হ্যাঁ বিয়ে তো অনেকদিন হল। আছি একরকম ... ওসব বাদ দাও। তোমার খবর কি ?
    লেখা চলছে ? '
    --- ' ন্না ... লেখা তেমন আর হচ্ছে কোথায়। নৈঋতও বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের গ্রুপটাও ভেঙে গেল ... '
    --- ' ইশশ্ ... খুব বাজে ... কি ভাল লাগত। আবার শুরু কর না গো। ম্যাগাজিন না কর, লেখাটা তো আবার ধর। ছেড়ে দেবে কেন ? '
    --- ' দেখি কি করা যায়। সেদিন ব্রাত্য পত্রিকার অর্কপ্রভ মৈত্র সঙ্গে দেখা হল ... অর্কদার নাম শুনেছিস তো ? '
    --- ' না না ... আমি ওসব অত খবর টবর রাখি না ... ওসব তোমাদের জগৎ। কী বলল কী ? '
    --- ' পরের সংখ্যার জন্য একটা কবিতা চাইল ... '
    --- ' বাঃ, দিয়ে দাও ...'
    --- ' শনিবার কফি হাউসে যেতে বলল। তুইও আমার সঙ্গে চল না। অসুবিধে হবে ? আগে তো আসতিস এখানে ... অসুবিধে থাকলে দরকার নেই ... '
    --- ' ওঃ ... তুমি এমনভাবে বলছ আমি যেন কে না কে ... সুবিধে থাকলে ... অসুবিধে থাকলে ... কি সব বলছ ! যেতে বলছ যাব, ব্যস ... হয়েছে ? এখন চল ... '
    --- ' কোথায় ? '
    --- ' কোথাও গিয়ে বসি। চা খেতে ইচ্ছে করছে...'
    অমিতাভর মনে পুরণো ইচ্ছেগুলো ঘুম ভেঙে উঠে বসল। সে কাবেরীর কপালে সবুজ টিপটার দিকে তাকিয়ে রইল।
    আনমনা হয়ে বলল, ' ইচ্ছে তো আমারও করছে। কিন্তু দীপঙ্করের আসার কথা ... '
    --- ' সে আবার কে ? '
    --- ' অফিস কলিগ। বউবাজারে শিহরণবাবুর বাড়ি যাবার কথা ওকে নিয়ে ... '
    --- ' আরে দূর ... ওসব দীপঙ্কর, শিহরণ টিহরণ ছাড় তো ... চল চল ... এসে ফিরে যাবে, আবার কি ? চল চল ... অত ভাবলে হয় না ... '
    বলে কাবেরী অমিতাভর হাত ধরে টেনে নিয়ে চলল।
    'অত ভাবলে হয় না ... ' কথাটা ঠিকই। কিন্তু সবাই তো আর কাবেরী হতে পারে না, এটাই মুশ্কিল। তাদের জন্য উপযুক্ত হল, ' ভাবিয়া করিও কাজ ...'
    --- ' আরে, দাঁড়া দাঁড়া ... কি করছিস ... কি মুশ্কিল ! তুই কি কাজে এসেছিলি ? '
    --- ' কোন কাজে না, এমনি এসেছিলাম ... আমার হাজব্যান্ডের জন্য একটা এলার্জির ওষুধ কিনতে ... ক্রনিক অ্যালার্জিটিক ... সারবার নয় ... দূর ছাই ... চল তো ... '

    কাবেরীর হাতের টানে যেতে যেতে অমিতাভর মনে কবিতার প্রথম ক'টা লাইন এসে গেল ---
    মোড়ের মাথায় ভর সন্ধের কূটকচালি হইচই
    কপালে তোমার জেগে আছে সবুজ দ্বীপ
    মাথার ভিতর গুবরে পোকার হামাগুড়ি
    হৃৎপিন্ডে ফাতনা নড়ে, চঞ্চল ছিপ।

    বিভূতিবাবু অলস পায়ে হাঁটতে হাঁটতে রামদুলালের মোড়ে এসে দাঁড়ালেন। সি পি এম পার্টির একটা ছোটখাট মিছিল গেল বিবেকানন্দ রোডের দিকে। একদল লোক কি সব স্লোগান দিতে দিতে যাচ্ছে। ইলেকশান এগিয়ে আসছে। আর ক'মাসের মামলা। বিভূতিবাবু ভাবলেন আর একটা নতুন বাঁক দেখতে চলেছেন কি তিনি ? কে জানে, হবে হয়ত।
    তিনি রাস্তা পার হয়ে হেদুয়ায় গিয়ে ঢুকলেন।

    ( চলবে )

    *************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন