এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড ) - ২৫

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৫ মে ২০২৫ | ১১২ বার পঠিত
  • ( ২৫ )

    সাগর পটলের দোকানে গেল বিকেল চারটে নাগাদ।
    --- ' কি হয়েছে রে ? মাণিক এসেছিল নাকি ? '
    পটল কাজ ফেলে বাইরে এল।
    --- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... মোনা মজুমদারের সঙ্গে প্রতাপ ধরের লোক নাকি কি ঝামেলা করেছে ... '
    --- ' কি করেছে ? '
    --- ' কাল নাকি চাকু চালিয়েছিল ... লাগেনি ...'
    --- ' কখন ... কোন জায়গায় ? '
    --- ' মাণিকদা বলল গ্যালিফ স্ট্রিটের ওদিকে ... খালপারে ... টাইমটা তো কিছু বলল না ... '
    ---- ' মোনাদা এখন কোথায় জানিস কিছু ? '
    --- ' মাণিকদা বলল, বাড়িতে আছে ... মাণিকদাকে বলেছে তোমাকে খবর দিতে ... '
    --- ' আচ্ছা, ঠিক আছে ... দেখে নিচ্ছি ... আমি আসলাম। এর মধ্যে মাণিকরা কেউ আসলে দোকানে দেখা করতে বলিস ... '
    ---- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... দাদা ... বলছি যে একটা কথা ছিল ... এখন বলব ? '
    --- ' সে আবার কি ! তুই এরকম ভেবলে গেলি কবে থেকে ? নিশ্চয়ই চৈতালির ব্যাপারে কিছু ? '
    পটলের মুখে লাজুক হাসি দেখা দিল।
    --- ' হ্যাঁ, ওই ... সামনের মাসের পাঁচ তারিখ ঠিক হয়েছে ... '
    --- ' কি ... তোর বিয়ে ? '
    ---- ' হ্যাঁ ... '
    --- ' বাহ্ বাহ্ ... এ তো দারুণ খবর ... তুই এরকম ভেবলে যাচ্ছিস কেন ? বিয়ে কি আর কেউ করে না ... আমরা সবাই আছি, চিন্তা করছিস কেন ? '
    --- ' হ্যাঁ, তা জানি, তবু কেমন যেন ভয় ভয় লাগছে ... টাকা পয়সা তো কিছু নেই। ওরাও খুব গরীব ... খুব ইয়ে ... '
    --- ' ইয়ে আবার কি ? '
    --- ' না মানে, আপনি তো আছেনই, সেটা আর কি বলব, বলছি যে সুমনা ম্যাডাম কিছু দেবে বলেছিল ... আমার সঙ্গে তো যোগাযোগ নেই ... '
    --- ' ও আচ্ছা ... বুঝতে পেরেছি। ঠিক আছে আমি যোগাযোগ করে সুখবরটা দিয়ে দেব। কিচ্ছু চিন্তা করিসনি। সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে। কালকের মধ্যেই ম্যাডাম খবর পেয়ে যাবে ... তুই অন্য সব ব্যবস্থা দেখ। আচ্ছা ... আমি চলি রে এখন, দেরি হয়ে যাচ্ছে ... '

    সাগর সোজা মোনা মজুমদারের বাড়িতে হাজির হল।
    মোনাকে দেখে তেমন বিচলিত মনে হল না। সেটাই অবশ্য স্বাভাবিক। তিনি বহু ঘাটের জল খাওয়া লোক। খাটের ওপর বসেছিলেন।
    সাগরকে দেখে বললেন, ' আরে আয় আয় ... কে খবর দিল মাণিক তো ? মাণিকের সঙ্গে আমার দেখা হয়ে গেল ফেরার রাস্তায়, ভবনাথ সেন স্ট্রিটে, গ্রিন্ডলেজ ব্যাঙ্কের কাছে ... '
    --- ' ও আচ্ছা ... চোট হয়েছে কোথাও ? '
    --- ' নাঃ ... সে চান্স দিইনি, হ্যাঃ .. এসব খেলা আমি অনেক দেখেছি ... '
    --- ' ক'জন ছিল ? '
    --- ' তিনজন ... '
    ---- ' জায়গাটা ফাঁকা ছিল ... '
    ---- ' হ্যাঁ একদম ... '
    --- ' কি করলে ? '
    --- ' মোটামুটি কুড়ি ফুট দূর থেকে চাকু বের করল একজন ... '
    --- ' চেনা কেউ ? '
    ---- ' ন্নাঃ ... মনে তো হল না ... তবে প্রতাপ ধরের লোক ছাড়া আর কে হবে ? '
    ---- ' তারপর ... '
    ---- ' ব্যাপারটা বুঝে নিতে বেশি টাইম নিইনি। কপাল ভাল, রাস্তার একপাশে একটা আধলা ইঁট পেয়ে গেলাম। খুব তাড়াতাড়ি সেটা কুড়িয়ে নিয়ে ছুঁড়ে মারলাম। ছোঁড়াটা ঠিকঠাক হল না অবশ্য, বয়েস হয়েছে ... তবে কাজ হল। চাকু ধরা ছেলেটা পেছন ঘুরে গেল। আধলাটা গিয়ে লাগল শালার পিঠে। তিনটেই মনে হয় লাইনে নতুন। আনাড়ি মাল আর কি। পেছন ঘুরে একসঙ্গে পালাতে আরম্ভ করল। ধড়ে প্রাণ এল আমার। তৈরি জিনিস হলে কি হত বলা মুশ্কিল... হ্যাঃ হ্যাঃ ... এখানে বসে তোর সঙ্গে এখন কথা বলতে হত না ... '
    --- ' যাক যেটা হয়নি সেটা ভেবে লাভ নেই। আমাদের তো ভাঙা কাঁচের ওপর দিয়েই হাঁটতে হবে যতদিন বাঁচব ... '
    --- ' একদম ঠিক বলেছিস। সেই জন্যেই তো পায়ের জুতোর সোলটা পুরু হওয়া চাই ... '
    --- ' কিরকম ? '
    --- ' এই ধর ... ফাঁকা জায়গা অ্যাভয়েড করা। কাছাকাছি সব এরিয়ায় ছেলে রেডি রাখা, মানে যতটা সম্ভব আর কি। আর ... '
    --- ' আর ? '
    --- ' আর ... দলের কাউকে বিশ্বাস না করা। কে কি খেলা খেলছে বোঝা মুশ্কিল ... নে সিগারেট খাবি নাকি ... '
    সাগর হাত বাড়িয়ে সিগারেটা নিয়ে ধরাল।
    ---- ' হমম্ ... কিন্তু আপাতত জানার দরকার, ওগুলো প্রতাপের লোক ছিল কিনা ... '
    --- ' সেটা বার করতে তিন দিনের বেশি সময় লাগবে না। দেড় বছর বাদে ইলেকশন। এইসব মরচে পড়া মাল নিয়ে ইলেকশন জিতবে ! বারবার কি বাহাত্তরের মতো জল মেশানো যাবে নাকি ... ফুঃ ... '
    মোনা মজুমদার নিজের সিগারেটটা ধরিয়ে লম্বা করে ধোঁয়া ছাড়ে। তাকে আনমনা দেখায়।
    সাগর বলল, ' ইলেকশন টিলেকশান নিয়ে আমার কোন মাথাব্যথা নেই। নিখিল স্যার সিস্টেম কথাটা খুব ব্যবহার করতেন। ওই পুরণো কথাটা আবার বলতে হচ্ছে। যারা আসবে তারা তো সিস্টেমেরই পয়দা হওয়া মাল। ভ্যারাইটি আর কি হবে ... '
    --- ' তা তো বুঝলাম। কিন্তু দেশে একটা সরকার তো দরকার ... ' মোনা বলে।
    --- ' ব্যাপারটা আটকে গেছে তো সেখানেই। আচ্ছা বল তো ... ধর তোমার এলাকায় চারটে পার্টির হয়ে চারটে ক্রিমিনাল ভোটে দাঁড়িয়েছে। তোমাকে ভোটের লাইনে দাঁড়াতেই হবে এদের একজনকে ভোট দেবার জন্য ? '
    --- ' ভীষণ ঘোরাল রাস্তায় ঢুকিয়ে দিলি তুই। এক কথায় এর কোন উত্তর হয় না। কিন্তু কি করার আছে বল দেখি। দেখলি তো নক্শালরা কেমন মুছে গেল। আবার যেমন চলছিল তেমনি চলছে দিব্যি। শুয়োরের খোঁয়াড় হোক বা গরুর গোয়াল, এ ছাড়া আমাদের কোন গতি নেই ... '
    --- ' সে আর বলতে ... তবে আমাদের লড়াইটা আলাদা লড়াই, এটা মনে রেখ .... এর সঙ্গে রাজনীতি জড়িও না ... '
    --- ' একশবার একশবার ... ' মোনাবাবু মাথা নাড়লেন জোরে জোরে।

    সাগর রাস্তায় নামল সন্ধে সাতটা নাগাদ। বিডন স্ট্রিট পার হয়ে শ্যামবাজারের দিকে জনসঙ্ঘের একটা মিছিল যাচ্ছে। ওদিকে মোড়ের মাথায় একটা মাথা বেঁধেছে। হরিপদ ভারতী বক্তৃতা দেবে।
    যাই বলুন কেন, ভদ্রলোক বলেন বেশ সুন্দর।
    এখন হাতীবাগানে একবার দোকানে যাওয়ার দরকার। এখন আর কারও মুখাপেক্ষী হয়ে বসে নেই সাগর। পাইকারি বাজার থেকে মাল নিজেই কেনে। ব্যাপারটা আসলে কিছুই না। যাতায়াত করতে করতে সুলুক সন্ধান জানা হয়ে যায়। এখন আর নিবেদিতা লেনের দিকে তেমন যাওয়ার দরকার পড়ে না সাগরের। স্বাতী, চিন্টুর কথা মাঝে মাঝে মনে পড়ে। ভাবল, একদিন ওদের বাড়ি গিয়ে দেখে আসতে হবে, কেমন আছে ওরা ... '
    রূপবাণীর সামনে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে অনেকদিন আগের একটা স্মৃতি মনে ঝিলিক দিল। সেই প্রথমদিন পটলের দোকান থেকে রূপবাণীর মোড় পর্যন্ত রাত্রির সঙ্গে পাশাপাশি হেঁটে আসার স্মৃতি। রাত্রির পাশাপাশি হাঁটছিল আর মনের মধ্যে টাপুর টুপুর বৃষ্টি পড়ছিল, মেঘ ও রৌদ্রের খেলা চলছিল। সাগর বুঝে গেছে,বিয়ে হয়ে গেলে যতই পাশাপাশি হাঁট, টাপুর টুপুর বৃষ্টিও পড়ে না, মেঘ আর রোদ্দুরও খেলা টেলা করে না।
    একটা বুনো কুলের গাছ থেকে হঠাৎ টুপ করে একটা কুল পড়ল জনহীন নিরালা পুকুরের জলে। সেতারের তারে কে যেন একটা মৃদু টংকার দিল।
    শব্দটা স্রোতের মতো বয়ে গেল বুকের এপাশ থেকে ওপাশ। ইন্দ্রাণী খাবার টেবিল থেকে আচমকা উঠে চলে গেল, সাগরের মনে হল বুকের ভিতরের কান্না চেপে। তারপর কি হল কে জানে।
    মাণিকলাল কি বলল তাকে ? ইন্দ্রাণী এখন কি করছে কে জানে। এখনও কি কান্না চেপে আছে? নাকি মাণিকবাবুর সঙ্গে সাংসারিক কথাবার্তা বলছে ...
    কি আশ্চর্য, সাগর প্রাণপণ যত্নে ভোরের শিশির কণার মতো আচমকা ঝরে পড়া একটা নিটোল ক্ষণিকের নীরবিন্দু কোমল পাতার আবরণে ঢেকে রাখার চেষ্টা করতে লাগল, বাইরের তাপ লেগে শুকিয়ে যাবার ভয়ে ... অনুভূতিটা শুকিয়ে যাবার শংকায়।

    মোনা মজুমদারকে চাকু মারতে আসা ছেলেটাকে ক্ষমা করে দিতে ইচ্ছে হল সাগরের। শুধু ওই ছেলেটাকে কেন, প্রতাপ ধরকেও ক্ষমা করে দিতে ইচ্ছে হল। সাগর আনমনে হাঁটতে হাঁটতে দোকানে পৌঁছে গেল। এসে দেখে অশোকবাবু বসে আছেন। অশোক কুমার পাল সাগরের বহুদিনের পরিচিত। আদতে ওপার বাংলার লোক। চট্টগ্রামের আদি বাসিন্দা। একটা চাকরি নিয়ে বর্মা চলে গিয়েছিলেন স্বাধীনতার আগে। স্বাধীনতার পর আসামে চলে গেলেন অশোকবাবু। ওখানে অসুবিধে হওয়ায় ত্রিপুরায় চলে গেলেন।
    ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় এসে পড়লেন পঁয়ষট্টি সালে। এখানে এক আত্মীয় ছিল হাওড়ায় এক রিফিউজি কলোনিতে। সেখানে এসে উঠলেন সস্ত্রিক। স্ত্রী ছাড়া তার আর আছেই বা কে ? ছেলেপুলে হয়নি। সেজন্যই তো এরকম ভবঘুরে জীবন যাপন করা সম্ভব হয়েছে। যেখানে গেছেন একটা না একটা রোজগারের রাস্তা ঠিক বার করে নিয়েছেন। খাওয়া সমেত তার জীবন নির্বাহের অন্যান্য খরচ অতি সামান্য। এখন তার বাহাত্তর বছর বয়স।
    সাগরের সঙ্গে অশোক পালের আলাপ হয় মানিকতলা লোহাপট্টির কাছে প্রায় কুড়ি বছর আগে। সে সব কথা এখন না বললেও চলবে।
    সাগর অনেকদিন পর অশোক পালকে দেখে বেশ উৎফুল্ল হল।
    --- ' আরে ... অশোকবাবু যে ... অনেকদিন পর দেখা দিলেন। কি খবর, এখন কোন মুলুকে ? '
    ---- ' এহানেই আছিলাম। দুই বৎসর কানপুরে সিলাম। ওখানে একটা দোকান দিসিলাম। তেমন সুবিধা হইল না, বোঝলেন। আপনার লগে দেখা করার জন্য অনেকদিন ধইরা চিষ্টা করত্যাসি ... ঠিক খবর পাইতাসিলাম না। তারপর অনেক ঘোরাঘুরি কইরা বিডন ইসটিটের ওহানে পটলের দোকানের সন্ধান পাইলাম। পটলের কাস থিকা শুইন্যা খুইজ্যা খুইজ্যা আপনের দোকানে আসলাম। তা, কেমন আছেন বলেন ... দোকান দিসেন দেখত্যাসি ... খুব ভাল খুব ভাল ... আমারও খুব ইস্যা একটা দোকান দিবার ... আমারে একটু সাহাইয্য করেন না ... '
    --- ' আচ্ছা সে দেখা যাবে'খন। এখন আপনি থাকেন কোথায় ? '
    --- ' থাকার কুনো ঠিক নাই। কগনও এখানে কগনও ওহানে ... পাকা কোন ঠিকানা তো তৈরি করতে পারলাম না জীবনে। কি করতে যে আমার জন্ম হইসিল কে জানে। কিসুই করতে পারলাম না জীবনে ... আমার পাল্লায় পইড়া বৌডারও জীবনডা ছ্যারাব্যারা হয়্যা গেল অ্যাক্কারে ... '
    --- ' কি যে বলেন অশোকদা আপনার মতো এরকম দারুণ মানুষ আর ক'টা আছে ? আপনার মতো অভিজ্ঞতা এ দেশের ক'টা লোকের আছে ? আপনি অনেকদিন পর এলেন। চলুন কিছু খাওয়াদাওয়া করি। ওই ওপাশে পূর্বাণী রেস্টুরেন্টে দারুন মোগলাই পরটা আর কষা মাংস বানায় ... তারপর আপনার কথা শোনা যাবে ... আসুন ... '
    অশোকবাবু সংকোচভরে বললেন, ' আবার এসব কেন ... কি দরকার ... '
    ---- ' আরে আসুন না ... আপনি খেলে আমারও খাওয়া হবে। খেতে খেতেই আপনার কথা শুনব ...এই বিকাশ, এদিকটা একটু দেখিস তো ... আমি একটু ঘুরে আসছি ... আসুন অশোকদা ... '
    ---- ' আসসা, চলেন ... কি আর বলব ... '

    মোগলাই পরটা খেতে খেতে অশোক পাল তার কথা বলতে লাগলেন।
    এসব মাস তিনেক আগের ঘটনা। অশোকবাবু সাগরকে কি বললেন ঠিক জানা যায়নি। হয়ত পরে জানা যাবে।
    এবার আবার ঘটমান বর্তমানে চলে আসি। আগেই বলেছি এখন শীতকাল। বছর শেষ হতে চলেছে। সুমনার মা বাসন্তীদেবী অশক্ত শরীরে ঠান্ডার মোকাবিলা করতে না পেরে অসুস্থ এবং সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লেন। গৃহচিকিৎসক চিন্ময় পুরকায়স্থ এসে পরীক্ষা টরিক্ষা করে বললেন, ' অ্যাকিউট নিউমোনিয়া ... ইমিডিয়েটলি হসপিটালাইজ করতে হবে ... '
    তিন মেয়েকে খবর দেওয়া হয়েছে। জামাইরাও এসে হাজির। অলোকেন্দুবাবু বয়স এবং শারীরিক দুর্বলতার কারণে এখন আর আগের মতো ডাকাবুকো নেই। বেশ জবুথবু হয়ে পড়েছেন।
    অর্ধ অচেতন বাসন্তীদেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার তোড়জোড় চলছে। বেলা প্রায় চারটে বাজে। পৌষ মাসের খাটো বেলা দ্রুত মরে আসছে। ঠিক এইসময়ে অশোক পালকে নিয়ে সেখান দিয়ে যাচ্ছিল সাগর মন্ডল। হয়ত উকিলবাবুর কাছেই আসছিল। বাড়ির সামনে লোকজন দেখে দাঁড়িয়ে গেল।

    ( চলবে )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন