এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড ) - ২৮

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০১ জুন ২০২৫ | ৬১ বার পঠিত
  • ( ২৮ )

    অশোক কুমার পাল মশায় নলিন সরকার স্ট্রিটে একটা ঘর নিলেন। তেমন আহামরি কিছু না, মাথা গোঁজার মতো একটা জায়গা হল আর কি। একটা হল আর কি। সাগরই ব্যবস্থা করে দিল। অশোকবাবু পরিবারকে নিয়ে এলেন। একটাই ঘর। ওই ঘরেই একপাশে রান্নাবান্না। শৌচাগার ঘরের বাইরে। পালমশাই এতে খুশি।
    বললেন, ' আর কি চাই ... এই যথেষ্ট। এই রকম জায়গা ... খুব সুবিধা হইল বোঝলেন ... এত কম ভাড়া ... আপনের জন্যই হইল ... '
    সাগর আর অশোক পাল পরস্পরকে কখনও কখনও তুমি, কখনও আপনি বলে। কোন ঠিক নেই।
    সাগর বলল, ' হ্যাঁ তা বুঝলাম। তবে এটাও জেনে রেখ, তুমি যে ভেল্কি দেখিয়ে এলে অলোকেন্দু মিত্রের বাড়িতে, তোমার কিন্তু আবার ডাক পড়তে পারে। রেডি থেক। এবার কিন্তু বিনা পয়সায় কাজ কর না ... কি বুঝলে ... '
    ---- ' হ বুঝসি ... তা সাড়া উপায় কি ? আমার তো এগুলিই এখন পেশা ... কি করুম ... '
    ---- ' অশোকদা তুমি এখন ঠিক কি কর ? একটা রোজগার তো লাগে ... '
    ---- ' তা ধর, সাপের বিষ নামাতে পারি, মৃগী ঠিক করতে পারি, জলে ডোবা লোকেরে ডাঙায় তোলার পর তার শরীল থিকা জল বাহির করতে পারি, ভূতে পাওয়া লোকেরে, যাকে ডাক্তাররা বলে হ্যালুসিনেশান, সুস্থ করতে পারি। বাচ্চা হইত্যাসে না এমন মেয়েরে আমি সম্পূর্ণ সুস্থ করতে পারি। '
    ---- ' মানে, সে মা হতে পারবে ? '
    ---- ' হ, ওডাই ... '
    ---- ' কিন্তু তুমি যে সব কাজের কথা বললে ও সব তো কলকাতায় চলবে না। গ্রামে চলতে পারে, বিশেষ করে সাপে কাটাটা ... '
    ---- ' ওটার জন্য আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরি, বসিরহাটের দিকে। আর বাকিগুলা এখানে চলে কি না চলে নিজেই দেখতে পাবা .... '
    ---- ' তাই তাই ? তাই হোক ... তোমার ব্যবসা ভালমতো চলুক। ঘরের বাইরে একটা বোর্ড লাগালে ভাল হয়, নাকি ? '
    ---- ' হ্যাঁ, তা ভালই হয় ... '
    ---- ' আচ্ছা দেখছি ... '
    ---- ' হ ... যা হয় ... কি আর বলব ... কপালডাই ফাটা। আসলে প্রেত্যেকের জীবনে পাওনা মাপা থাকে দাদাভাই... '
    ---- ' হুঁ, তা ঠিক ... '

    অশোক পালের বউ সাগরকে চা আর দুটো লিলি বিস্কুট খাওয়াল। বলল, ' এখানে আপনেই ভরসা। আর কারোরে তো চিনি না ... '
    ---- ' ওটা নিয়ে ভাববেন না বৌদি। সব চিনে যাবেন দুদিনে ... দাদার যা এলেম অসুবিধে হবে না ... দেখা যাক। আচ্ছা আসি এখন, পরে খবর নেব ... '
    পালবাবুর স্ত্রী শেফালিদেবী একগাল হেসে বলল, ' আচ্ছা... অনেক উপকার করলেন, আসবেন আবার ... '

    বাসন্তীদেবী দুদিন একটু ভাল। পুরোটাই অশোক পালের হাতযশ বলে মেনে নেওয়া শক্ত।, কারণ পুরোদমে অ্যান্টিবায়োটিক চলছে। তার তো একটা প্রতিক্রিয়া আছে।
    সুমনা এখনও বাপের বাড়িতেই আছে। পরাণ চক্রবর্তী ভিতরের ঘরে এসে বলল, ' ছোট দিদিমনি আপনাকে একজন ডাকছে। বলল, আপনার বন্ধু কাবেরী। সঙ্গে একজন আছে ... '
    ---- ' সঙ্গে কে ... মানে পুরুষ না মহিলা ? '
    ---- ' পুরুষ ... '
    ---- ' হমম্ ... বসাও। যাচ্ছি আমি ... '

    বাইরের ঘরে এসে সুমনা দেখল কাবেরী বসে আছে। তার সঙ্গী একজন কালো মতো, বেশ মিষ্টি দেখতে এক যুবক। সুমনা ঢুকতে সে সোজা হয়ে বসল। দেখে মনে হল বেশ লাজুক স্বভাবের।
    সুমনা বলল, ' কি রে, ভেতরে গেলি না যে ? '
    ---- ' না ... শমিক সঙ্গে আছে বলে এখানেই বসলাম। ও ... এ হল শমিক ... তোকে তো বলেছিলাম সব ... চেহারা লম্বা চওড়া হলে কি হবে ... ভীষণ ভীতু, পেটে খিদে মুখে লাজ টাইপ ... কি বলব, যা করবার আমাকেই করতে হয়। এদিকে ইচ্ছে আছে ষোল আনা... হি হি ... '
    সুমনা কাবেরীর নির্লজ্জতা দেখে অবাক হয়ে গেল। ভাবল, কাবেরী বরাবরই বাঁধন ছেঁড়া ধরণের ছিল কিন্তু এরকম নির্লজ্জ ছিল না।
    সুমনা শমিকের দিকে তাকিয়ে সৌজন্যমূলকভাবে হাসল দু হাত জোড় করে। শমিকও ঠিক সেটাই করল।
    বলল, ' আপনার নাম খুব শুনি কাবেরীর কাছে। আপনারা তো ক্লাসমেট ছিলেন, না ? '
    শমিকের গলার আওয়াজ বেশ সুন্দর। ভরাট ও দানাদার।
    সুমনা বলল, ' হ্যাঁ ... আমরা খুব ক্লোজ ছিলাম ... '
    ---- ' সে সব দিনগুলো খুব সুন্দর ছিল, না ? সেই ভর দুপুরে হেদোয় পাক খাওয়া ... ' কাবেরী বলল।
    ---- ' হুঁ ... খুব মনে পড়ে রে ওই দিনগুলোর কথা ...'
    এরপর তিনজনই বোধহয় আর কোন কথা খুঁজে না পেয়ে চুপ করে বসে রইল। হয়ত কথা খুঁজছে।
    কাবেরীই নীরবতা ভাঙল।
    ---- ' এই সুমনা, শোন না ... বলছি যে, অলোকেন্দু স্যারের সঙ্গে একটু কনসাল্ট করতে চাইছি ... '
    ---- ' কি ব্যাপারে ? '
    ---- ' এই আমাদের ব্যাপারেই... '
    ---- ' আমাদের ব্যাপারে মানে ? '
    ---- ' আমার আর শমিকের ব্যাপারে। সেজন্যই ওকে নিয়ে এসেছি। ডিভোর্সটা না পেলে তো কিছু করতে পারছি না। রিলেশানটা এসট্যাবলিশ করার জন্য ওটা দরকার ... '
    সুমনা চুপ করে তাকিয়ে রইল কাবেরীর মুখের দিকে। সে কি বলবে ভেবে পাচ্ছিল না।
    কারেরী আবার বলল, ' কিন্তু এটাও জানি গৌতম আমাকে কিছুতেই ডিভোর্স দেবে না। আমাকে ট্রাবল দেবে যতটা পারে। অত সহজে ইল্ড করবে না। তাই কাকুর সঙ্গে একটু কথা বলতাম, কিভাবে ডিভোর্সটা পাওয়া যায় ... মানে, বেশি কাঠখড় না পুড়িয়ে ... '
    নির্বিকার ভঙ্গীতে বলা কাবেরীর মুখ থেকে এসব কথা শুনে সুমনার মুখ দিয়ে কথা সরল না।
    খানিকক্ষণ সময় নিয়ে সে বলল, ' তা তোর হাজব্যান্ডের অপরাধটা কি ? '
    ---- ' ওমা... অপরাধ থাকতে যাবে কেন ? ওসব কিছু নেই। একটা কথা অনেস্টলি বল তো সুমনা ... একটা লোকের সঙ্গে সারাজীবন কাটানো যায় ?
    যদি কেউ হ্যাঁ বলে তা'লে সে নিজেকে ঠকাচ্ছে ... '
    ---- ' তাই নাকি ? '
    ---- ' সার্টেনলি ইয়েস ... '
    ---- ' এ পৃথিবীর কতটুকু জানিস তুই ? তোর ভিউপয়েন্টটাই ধ্রুব সত্য বলে ধরে নিচ্ছিস কেন ?' সুমনার গলায় বিরক্তির সুর।
    ---- ' দেখ, অতশত বুঝি না, এ ব্যাপারটা ঠিকঠাকই বুঝি, আমি কনফিডেন্ট ... '
    ---- ' আচ্ছা, এবার বল তো, তুই যেটা করছিস সেটা যদি তোর বর করত তুই সেটা স্বাভাবিক ব্যাপার বলে মেনে নিতিস তো ? ' সুমনা একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে কাবেরীর মুখের দিকে।
    এই সময়ে শমিক বলল, ' আপনি যেটা বলছেন সেটা ঠিকই, কথাটার জাস্টিফিকেশান আছে। কিন্তু মানুষ তো পরিস্থিতির শিকার এবং পরিস্থিতি সবসময়ে নিজের হাতে থাকে না ... শুধু ফিজিক্যালি নয়, মেন্টালিও অ্যাজ ওয়েল ... '
    শমিকের বক্তব্য যাই হোক, বলার ভঙ্গী বেশ বুদ্ধিদীপ্ত লাগল সুমনার।
    সুমনা অবশ্য নিজের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে সরে গেল না।
    সে বলল, ' আমি এটা নিয়ে আর্গু করতে চাই না। মানুষ কোন না কোন পরিস্থিতির শিকার তো সবসময়েই হচ্ছে। তাহলে তো প্রতি মুহুর্তে সেলফ সেনসুয়ালিটির কাছে সারেন্ডার করতে হয়। প্রকৃতি তো মানুষকে পাওয়ার অফ জাজমেন্ট এবং কন্ট্রোলিং এবিলিটি দিয়েছে যা অন্য স্পিসিজদের নেই। তাদের সেটা দরকারও হয় না, কারণ তারা কোন সমাজ বন্ধনের মধ্যে থাকে না ... '
    ---- ' আপনার কথা অস্বীকার করছি না দিদিভাই, কিন্তু কোন ইনডিভিডুয়াল মেন্টালি এবং ফিজিক্যালি কোন কন্ডিশানে আছে তার ওপর নির্ভর করে সে কন্ট্রোলিং এবিলিটি কাজে লাগাতে পারবে কি পারবে না ... '
    সুমনা কিছুটা ব্যঙ্গের সুরে বলল, ' এ তো জ্ঞানপাপী দেখছি ... এরকম পরিস্থিতির উদ্ভব তো আবারও হতে পারে, তখন কি করবেন ... আবার সারেন্ডার করবেন ? '
    শমিক কিন্তু একটুও প্রতিক্রিয়া দেখাল না। ধীর স্থির ভাবে বলল, ' দিদিভাই আপনি যদি কখনও সিমিলার সিচুয়েশানে পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন ... '
    সুমনাই বরং প্রতিক্রিয়া দেখাল। তার কথায় একটু ঝাঁঝ মিশল।
    ---- ' সেই অপেক্ষাতেই থাকুন। কিন্তু কোন আশা নেই এটা জেনে রাখুন ... '
    শমিক যথারীতি ঠান্ডা মাথাতেই জবাব দিল,
    ' অতটা নিশ্চিন্ত হবেন না ম্যাডাম। সময় কখন কাকে কোথায় টেনে এনে ফেলবে একদিন আগেও জানা যায় না ... '
    সুমনা শমিকের মতামতকে যতই অপছন্দ করুক,
    সে মনে মনে ওর পরিশীলিত কথাবার্তা এবং আচরণকে সমীহ না করে পারল না। ভাবল, কাবেরীর মতো একটা ভোলাটাইল নেচারের মেয়েকে তার ভাল লাগল কি করে ! এ দুজনের যদি সম্পর্ক হয়ও তার স্থায়িত্ব কতদিনের ?
    এই সব পাঠ্যপুস্তক মার্কা কথাবার্তায় কাবেরীর ধৈর্য্যে ফাটল ধরছিল। বিরক্তির পারদ চড়ছিল তার।
    সুমনা কি একটা বলতে যাচ্ছিল, কাবেরী সেটা চাপা দিয়ে বলল, ' বাদ দে বাদ দে ... ওসব কথা থাক। কাকুর সঙ্গে কখন কথা বলা যাবে সেটা বল। আমরা দেরি করতে চাই না বুঝলি তো ... '
    সুমনা একটু সময় নিয়ে বলল, ' যদি বলি, আমি এ ব্যাপারে তোদের কোন সাহায্য করতে পারব না... '
    কাবেরী অবাক হয়ে বলল, ' সে কিরে... কেন, কি হল ? '
    ----' কারণ, তোদের এই রিলেশানশিপের ব্যাপারে আমার কোন মরাল অ্যান্ড এথিক্যাল সাপোর্ট নেই। তাছাড়া এ ব্যাপারে তোদের সঙ্গ দিলে গৌতমের ওপর অবিচার করা হয় যে অ্যাপারেন্টলি কোন দোষ করেনি। সো, ইট উইল বি কোয়াইট আনএথিক্যাল অফ মি। তাছাড়া বাবার শরীর এখন ভাল যাচ্ছে না। এখন কোন কেস হাতে নিচ্ছে না ... '
    কাবেরী হয়ত আরও কিছু বলত, কিন্তু শমিক তাকে সে সুযোগ দিল না। সুমনার কথা শেষ হওয়া মাত্র সে দাঁড়িয়ে উঠল।
    বলল, ' ঠিক আছে। উই অনার ইয়োর ডিসিশন। আমি এ নিয়ে ইনসিস্ট করব না। দেখি আমাদের ডেস্টিনি আমাদের কোথায় নিয়ে যায়। আসি তাহলে। চল কাবেরী ... '
    বলে, সঙ্গে সঙ্গে হাঁটা দিল দরজার দিকে।
    কাবেরী নিরুপায় ভঙ্গীতে বলল, ' এখন আসি রে সুমনা ... বড্ড গোঁয়ার ... ভেবে দেখিস একবার ... '
    ওরা বেরিয়ে যাবার পর সুমনার মনে আবার সেই একই কথা ফিরে এল। পরিশীলিত শমিক কাবেরীর খাপছাড়া ঘাটে নৌকো ভেড়াল কি করে ! সবই কি পরিস্থিতির খেলা ? কে জানে ... '
    যাই ঘটুক না কেন, শমিকরা এর পর কি করে তা নিয়ে প্রবল কৌতূহলের সৃষ্টি হল সুমনার মনে।

    দিনের শেষে ঘুমের দেশে ঘোমটা পরা ওই ছায়া ... বাংলার আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। গানটা গাওয়া হয়েছিল অনেকদিন আগে। অনিন্দিতা ছবিতে গানটা হেমন্ত গাওয়ার পর গানটির পুনর্জন্ম হল বলা যায়। সর্বত্র ফুলের রেণুর মতো ছড়িয়ে পড়ল মাদকতা ভরা কন্ঠের অনুপম স্বরক্ষেপ .... ছায়া যেন ছায়ার মতো যায় ....

    অনেকদিন পর অমল গীটারটা নামিয়ে আনল।
    রাত সাড়ে বারোটা বাজে। তৃণা ছেলেকে পাশে নিয়ে ঘুমিয়ে কাদা। নিঃঝুম নিশীথে ঘুমন্ত রামধন মিত্র লেন। অমলের গীটারের তারে তোলা সুর বয়ে যাচ্ছে মাঝরাতের নিড়পিড়ে পাড়ার বাতাস দিয়ে .... ওরে আয় ... আমায় নিয়ে যাবি কিরে দিনশেষের শেষ খেয়ায় ....

    এদিকে কালকে সুরেশ্বর মল্লিকের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। মল্লিকবাড়ির শ্রাদ্ধ বলে কথা। জ্ঞাতিরা জুটেছে এলাহি দানসাগর শ্রাদ্ধ সম্পন্ন করার জন্য। পাড়ায় ঝেঁটিয়ে নেমন্তন্ন করা হয়েছে। নিমন্ত্রিতদের কেউ কেউ কোমর কষে তৈরি হচ্ছে পান্তুয়া ভক্ষণ প্রতিযোগিতায় পাল্লা টানার জন্য।

    সুরেশ্বরের এক জ্যাঠতুতো দাদা ধরণীকান্ত মল্লিক একটা গদিওয়ালা চেয়ারে পায়ের ওপর পা তুলে আয়েশ করে বসে সুরেশ্বরের স্ত্রীকে বললেন, বললেন, ' আচারে যেন কোন ত্রুটি না হয় বুঝলে বৌমা ... মল্লিক বংশের পরম্পরা বলে কতা হুঁ ... মেদোটা বড় অল্প বয়সে চলে গেল। আমার চেয়ে কত ছোট। বড় ভাল ছেলে ছিল। এই খোকা কোথায় যাচ্ছিস ... শোন শোন, আমায় এক কাপ চা দে তো ... চিনি অল্প দিস ... '
    মেদো হল সুরেশ্বরের ডাক নাম।

    ( চলবে )

    ************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :|: | 2607:fb90:bd01:8ef5:f534:ee02:e1f2:***:*** | ০২ জুন ২০২৫ ০৪:২৬731835
  • এই লাইনটি একটু দেখবেন "নির্বিকার ভঙ্গীতে বলা কাবেরীর মুখ থেকে এসব কথা শুনে কাবেরীর মুখ দিয়ে কথা সরল না।"
  • Anjan Banerjee | ০৩ জুন ২০২৫ ১৬:৩১731859
  • হ্যাঁ , ধন্যবাদ।  ঠিক করে দিয়েছি । 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন