এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড ) - ১৫

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪১ বার পঠিত
  • ( ১৫ )

    প্রদীপ একদিন ইন্দ্রানীকে নিয়ে সৌদামিনীর কাছে এসে হাজির। ইন্দ্রাণী প্রদীপের এক মামাতো বোন। তেমন রূপসী না হলেও একটা আলগা শ্রী আছে। দেখলে বেশ ভাল লাগে। চোখে মুখে সবসময় একটা কৌতুক খেলা করছে। আসলে সে যে সবসময় হেসে চলেছে তা না। তার মুখটাই এরকম ধাঁচের। তবে ইন্দ্রানীর আসল বৈশিষ্ট্য হল সে খুব ডাকাবুকো।

    সে একবার মেয়েদের জ্বালাতন করা দুটো বদমাশ ছেলেকে একটা কাঠের ডান্ডা দিয়ে পিটিয়ে সিধে করে দিয়েছিল। তখন তার বয়স মাত্র সতের। এখন তার বয়েস পঁয়তাল্লিশ। তার এতদিন ধরে আইবুড়ো হয়ে বসে থাকার কারণ হল তার স্বভাব। সে কখনও নিপাট সুশীলা মেয়ের মতো কোন মেয়ে দেখতে আসা পরিবারের সদস্যদের সামনে সাক্ষাৎকারে বসতে রাজি হয়নি।

    ইন্দ্রানীর বাবা একজন ডাক্তার। মা বর্ধমান ইউনিভার্সিটির বাংলায় এম এ। এহেন শিক্ষিত পরিবারে এরকম উড়নচন্ডী টাইপের মেয়ে নিয়ে তার বাবা মায়ের অশান্তির শেষ নেই। তার ওপরে এক দাদা আছে এবং নীচে এক বোন আছে। সকলেই বিবাহিত এবং তাদের ছেলেমেয়েও বড় হয়ে গেছে।

    বহু বছর আগে অনেক বলে কয়ে রাজি করিয়ে ইন্দ্রানীকে একবার তার মা কৃষ্ণকলি এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সামনে বসাবার আয়োজন পেরেছিলেন 'মেয়ে দেখানো'র উদ্দেশ্যে। সেবার যা অভিজ্ঞতা হল তাদের তা আর বলার নয়। তার পর থেকে ইন্দ্রানীর বাবা মা আর সে পথ মাড়াননি।

    ইন্দ্রাণীকে যখন দেখতে এল পাত্রপক্ষ থেকে সে তখন বাড়ি ছিল না, যদিও আগে থেকে তাকে পইপই করে বলে দেওয়া হয়েছিল। সে 'একটা কাজ আছে, আমি এক্ষুণি আসছি ... ', বলে সে কোথায় বেরিয়ে গেল। 'এক্ষুণি আসছি' বলে বেরল, ঘন্টাখানেক কাটতে চলল তার দেখা নেই।

    ইন্দ্রানী ফিরল ঘন্টা দুই বাদে। এসে বলল, ' ওঃ ... রাস্তায় সে কি জ্যাম ... সেই কখন বেরিয়েছি .... বাপ রে ... প্রচন্ড ক্ষিধে পেয়ে গেছে ... '

    তার বাবা মা তো শুনে হতবাক। কি বলবেন ভেবে পাচ্ছেন না। ইন্দ্রানীর মা কোনরকমে বললেন, ' তোমার কি কান্ডজ্ঞান বলতে কিছু নেই মা ! বয়েস তো কম হল না ... '
    তীব্র ক্ষোভ এবং হতাশা ঝরে পড়ল ভদ্রমহিলার গলায়।
    ইন্দ্রানী যেন আকাশ থেকে পড়ল।
    ---- ' কেন, কি হয়েছে বল তো ... '
    তার মা বললেন, ' কি হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছ না ? তুমি কবে একটু মানুষের মতো হবে ? তুমি কি জানতে না আজ তোমাকে দেখতে আসবে ? '
    ইন্দ্রানী চোখ কপালে তুলে মাথা চাপড়ে বলে উঠল, ' এঃহে ... একদম ভুলে গিয়েছিলাম ... ইশশ্ ... '
    তার মা রাগের তাপে ফুটতে ফুটতে বললেন, ' থাক থাক ... আর নাটক করতে হবে না ... অনেক হয়েছে। তুমি বসতে রাজি নও সেটা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেই পারতে। ওনারা এসে প্রায় ঘন্টাখানেক বসে রইলেন। গাদা গাদা ডাহা মিথ্যে কথা বলতে হল আমার গুণধরী মেয়ের বেআক্কিলেপনা ঢাকার জন্য। আর কি করার আছে ? তারা নেহাত নিপাট ভালমানুষ বলে আমাদের কোন অপমানজনক কথা বলেননি। কিন্তু মোটেই বোকা নয় তারা। যা বোঝার সবই বুঝতে পারলেন তারা। আমার তো লজ্জায় মরে যেতে ইচ্ছে করছিল। হাজারটা মিথ্যে কথা বলতে হল মান বাঁচাবার জন্য ... কপাল আমার ... '
    এরপর থেকে ইন্দ্রানীর বাড়ির লোক তাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসানোর পরিকল্পনা ত্যাগ করলেন।

    কি কারণে তার বিয়ে থার ব্যাপারে অনীহা সেটা বুঝে ওঠার আগেই তার মা বাবা পরলোকে পাড়ি দিয়েছেন। ব্যাপারটা মনে হয় অহম সম্পর্কিত ব্যাপার। কিংবা মনের গোপন কোণে হয়ত কোন স্মৃতির গোলাপ ফুটে আছে এখনও যা সকলের অজানা। বিবাহের ফলশ্রুতিতে একটা শৃঙ্খল আবদ্ধ পরাধীনতার কাঁটা আছে এটাও হয়ত ইন্দ্রানীর বিবাহ বিকর্ষণের কারণ হতে পারে। পায়ে বেড়ি পরতে সে কোনরকমেই রাজি নয়।

    ভাল ছেলেমেয়েদের মতো লেখাপড়ায় সেভাবে মন দিতে পারেনি ছোটবেলা থেকেই। টেনেটুনে স্কুল ফাইনাল পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছিল কোনরকমে।
    তবে একটা ব্যবসা খুলে ফেলেছিল সে একুশ বছরে পা দিয়েই। সব মিলিয়ে ইন্দ্রানী এক বিচিত্র ধরনের চরিত্র।
    বিয়ের ব্যাপারে তার সর্বজনবিদিত অনিচ্ছা কিভাবে ইচ্ছায় পরিণত হল সেটা একটা আশ্চর্যজনক ঘটনা। মনের গোপন কোণের স্মৃতির গোলাপ হয়ত বিবর্ণ হয়ে গেছে এতদিনে।

    প্রদীপদা কেন তাকে এখানে বেড়াতে নিয়ে এল সে তার বিন্দুমাত্র জানে না। প্রদীপ একটা চান্স নিয়েছে মাত্র। সফল হওয়ার ব্যাপারে মোটেই নিশ্চিত ছিল না। তার একটাই সুবিধে ছিল, ইন্দ্রানী, কি জানি কি কারনে, প্রদীপের কথার বিশেষ অবাধ্য হয় না।
    একই ঘরে বসে সৌদামিনী, মাণিকলাল, প্রদীপ আর ইন্দ্রানী কথা বলছিল। কি করে যে কথাবার্তা বলতে বলতে দুজনের দুজনকে ভাল লেগে গেল সেটা বলা মুশ্কিল। সম্ভবত বিপরীত চরিত্রের মানুষের ওপর চৌম্বক বৈশিষ্ট্যের মতো পারস্পরিক আকর্ষণ সৃষ্টি হয়। ঘটনাক্রমে মাণিকলাল এবং ইন্দ্রানীর মধ্যে এই রসায়নটা কাজ করল।
    প্রদীপ একটা চেষ্টা দিয়েছিল কিন্তু চেষ্টাটা বাস্তবিক লেগে যাবে এতটা আশা করেনি। সে যাই হোক এবং যেভাবেই হোক ব্যাপারটা হয়ে গেল।

    লোকের কথায় দুই 'বুড়ো দামড়ার' মধ্যে এবং বলা যায় দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের মধ্যে গাঁটছড়া বাঁধা হয়ে গেল। মোটেই সাধারনত বেশি বয়সের বিয়ে যেমন দু চারজন নিকটজন নিয়ে মোটামুটি অপ্রকাশ্যে সন্তর্পনে সারা হয় তেমনভাবে হল না।

    বেশ ধূমধাম করেই হল এবং বৌভাতের দিন পাড়ার আরো অনেকের সঙ্গে সদানন্দবাবুও নেমন্তন্ন পেলেন। কাজের বাড়িতে প্রতিযোগিতামূলক ভোজনে তেমনভাবে অংশগ্রহণ করার ঔদরিক সক্ষমতা তার আর নেই। তবু মরা হাতি লাখ টাকা বলে একটা কথা আছে। সদানন্দ এই বয়সেও রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিলেন।

    বিয়ের ভালোমন্দ পরে বোঝা যাবে, ফিলহাল যে কথাটা হচ্ছিল, মাণিকলালবাবুর বাড়িতে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে একটা টিভি এসেছে বিয়ের যৌতুক হিসেবে।
    এসব যৌতুক টৌতুক শুনলে ইন্দ্রানীর মেজাজ খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই ওসব না বলাই ভাল বলে মনে করল সবাই। ইন্দ্রানীকে ঘাঁটানো খুব বুদ্ধিমানের কাজ হবে না এ ব্যাপারে তার নিকটজনেরা সবাই একমত।

    ওসব কথা যাক। মানিকবাবুদের বাড়ির বেশ বড়সড় ছাত। ছাতে ম্যারাপ করা হয়েছে। সুরেশ্বর মল্লিক সপরিবারে এসেছেন। ছাদে এসে খেতে বসলেন। তার উল্টোদিকের সারিতে খেতে বসেছেন সদানন্দবাবু। তিনিও সপরিবারে এসেছেন। তবে তিনি কখনও পরিবারের সঙ্গে খেতে বসেন না। তাতে তার খাদ্যগ্রহণের স্বাধীনতা বাধাপ্রাপ্ত হয়।

    সদান্দবাবুর এখন যথেষ্ট বয়স হয়েছে। অতীতের দক্ষতা ধরে রাখা মুশ্কিল। ছ পিসের বেশি মাছ খেতে পারলেন না। পরিচিতজনেরা তার পারফর্মেন্সে বেশ হতাশ হয়ে পড়ছিলেন। তিনি কিন্তু তার পুরনো ফর্মের কাছাকাছি ফিরে এলেন পোলাও আর মাংসের দফা শুরু হতে। সদানন্দবাবু তার গুণমুগ্ধদের হতাশা দূর করে প্রশংসনীয় দক্ষতা দেখালেন এই খেপে। পর্বতপ্রমাণ পোলাওয়ের পাশে রাশিকৃত মাংস তার পাত আলোকিত করে রেখেছে এবং তিনি অচঞ্চল এবং অনায়াস ভঙ্গীতে তার কর্ত্তব্যে নিমগ্ন আছেন। সব জায়গার মতো এখানেও বেশ কিছু উৎসুক লোকজন তার সুনিপুণ ভক্ষণকলা উপভোগ করছে। কোমরে গামছা বাঁধা দুজন পরিবেশনকারি ঘুরেফিরে সদানন্দবাবুর সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে যাতে পোলাও মাংস বা রসগোল্লা যোগানের শিথিলতাবশত সদানন্দের মসৃন অগ্রগমনে কোন ছেদ না পড়ে।

    সদানন্দ মহানন্দে তার খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন অবিচলিত ভঙ্গীমায়। মুখে একটা মাংসের টুকরো পুরে সদানন্দবাবু প্রসন্ন মুখে সামনের দিকে তাকিয়ে চিবোতে লাগলেন। মাংস চিবোতে চিবোতে উল্টোদিকের সারিতে তার ঠিক মুখোমুখি বসা লোকটার দিকে তার চোখ পড়ে গেল। চেনা চেনা মুখ। অনেকদিন আগের অনেক কথা মনে পড়ে গেল। অনেক বছর পরে ওকে দেখলেও চিনতে কোন অসুবিধে হল না। এ হল সাগর মন্ডল। বাড়িওয়ালার সঙ্গে ঝামেলায় সদানন্দরা সাগরের সাহায্য নিয়েছিল। সাগর কোন সম্পর্কের সূত্রে এখানে নিমন্ত্রিত হয়েছে তা সদানন্দ জানেন না। তিনি মুখের মাংসটা গলাধঃকরণ করে নিয়ে এঁটো ডান হাতটা একটু ওপরে তুলে মুখে বিনয়মাখা হাসি ফুটিয়ে মাথাটা সামান্য ঝোঁকালেন। সাগরও মাথা নেড়ে একটু হাসল সদানন্দবাবুর দিকে তাকিয়ে।

    খাওয়াদাওয়া সেরে নিয়ে সাগর ভাবল যাই একবার কনে দেখে নিই। মাণিকবাবুর সঙ্গে তার পরিচয় অনেকদিনের। বলতে গেলে ছোটবেলা থেকে। তার মা এখানে মাঝে মাঝে আসতেন এমব্রয়ডারি কাজের অর্ডার নিতে। অসাধারণ সেলাইয়ের কাছ জানতেন তিনি। তার তোলা সেলাইয়ের নক্শা দেখে তাক লেগে যেত যে কোন লোকের। এ পাড়ায় আরও অনেক বাড়িতে যেতেন তিনি প্রায় চল্লিশ বছর আগে। সাগর তখন খুব ছোট। সে তার মায়ের সঙ্গে এ বাড়িতে অনেকবার এসেছে। একুশ বাইশ বছর বয়স থেকে তার জীবনের ধারা আমূল বদলে গেল। তার আজকের এই সাগর মন্ডল হয়ে ওঠার শুরু তখন থেকে। বড় হয়ে যাবার পর সাগর আর এ বাড়িতে আসেনি। কিন্তু মাণিকবাবুর সঙ্গে এ অঞ্চলের রাস্তায় প্রায়ই দেখা হত সাগরের। সাগর তখন রীতিমতো পরিচিত লোক। কিন্তু মাণিকলালের সঙ্গে দেখা হলে সেই ছোটবেলার সাগরই বেরিয়ে আসত এক মুহূর্তেই। বুড়ো বয়সে বিয়ে করার সময়ও মাণিকবাবু সাগর মন্ডলকে জানাতে ভোলেননি।

    সে যাই হোক, সাগর ভাবল খাওয়া দাওয়া তো ভালই হল, এবার বউয়ের মুখটা একবার দেখে না নিলে ভাল দেখায় না। নইলে রাত্রি কিছু জিজ্ঞেস করলে কি বলবে সে। যে শাড়িটা রাত্রি কিনে দিয়েছিল ওটা খেতে বসার আগে ওখানে একজনের হাতে দিয়ে দিয়ে সরে গেছে। নতুন বৌয়ের হাতে উপহার হস্তান্তর করে মৃদু হাসি বিনিময় করে একটু বোকার মতো দাঁড়িয়ে থাকা এসবে সে মোটেই তেমন দড় নয়।

    নতুন বউ যথারীতি সেজেগুজে এক রাতের সিংহাসনে রানির মতো বসে আছে। অনুষ্ঠানের কোন ত্রুটি নেই। বয়স তো একটা সংখ্যা মাত্র। সেটাকে মাথায় চড়তে না দিলেই হল।
    সাগর দু চারজনের আড়াল থেকে এক নজর দেখে নিতে লাগল মাণিকদার বউ ইন্দ্রানীকে।
    আচমকা সিংহাসনে রানির মতো বসে থাকা নতুন বউ বলে উঠল, ' আরে ... সাগরদা না ? '
    সাগর চমকে উঠল। তার এখন সরে যাওয়ার কোন উপায় নেই। সরে যাওয়ার দরকারও নেই।

    প্রায় পঁচিশ বছর আগের কথা। কিন্তু সাগরের স্পষ্ট মনে আছে। আর ইন্দ্রানীর যে মনে আছে তা তো বোঝাই যাচ্ছে।

    ( চলবে )

    *******
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন