এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড ) - ৩৩

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ জুন ২০২৫ | ২৯ বার পঠিত
  • ( ৩৩ )

    অশোক পালের ব্যবসা মোটেই ভাল চলছে না। এসব কাজ শহরে না চলারই কথা। সাগরের দোকানে বসে সেদিন বলল, ' গৌহাটিতে চইল্যা যাব ভাবত্যাসি। এহানে কিসু হবার নয় এসব ... '
    সাগর বলল, ' না না... চলে যাবে কেন ? ওটা থাক। তার সঙ্গে অন্য কিছু কর ... '
    --- ' কি করব বল তো ... '
    --- ' আচ্ছা ... আমাকে দু একদিন ভাবতে দাও। দেখছি আমি ... '
    --- ' দ্যাহ দেহি ... কি করন যায় ... '
    --- ' আমার কিন্তু মনে হয় তোমার ওই রেইকির ব্যাপারটা ভাল চলবে। লোকে একটু জেনে গেলে মনে হয় পসার হবে তোমার ... '
    --- ' কি জানি ... আমার কপালের উপর আমার কোন ভরসা নাই। সাগর, তোমার কাছে একশ'টা টাকা হইব ? '
    --- ' অ্যাঁ ... কি বললে ... একশ টাকা ? '
    --- ' হ্যাঁ, হাতে একটা পয়সা নেই। ক'টা ওষুধ কিনতে হবে ... দিয়ে দেব দিয়ে দেব ... '
    --- ' না সেটা কোন ব্যাপার না ... আচ্ছা দেখছি দাঁড়াও ... মহাজন পেমেন্ট নিতে আসবে ... সেটাই মুশ্কিল... দেখছি ... '
    সাগর তার জামার পকেট, প্যান্টের পকেট হাতড়ে পঞ্চাশ টাকা বার করল।
    টাকাটা অশোককৃষ্ণ পালের হাতে দিয়ে বলল, ' এই নাও ... আজকে চালিয়ে নাও। কাল আশা করি বাকিটা দিতে পারব ... '
    অশোকবাবু টাকাটা হাতে নিয়ে বললেন, ' তোমার অসুবিধা হইব না তো ? '
    --- ' না ঠিক আছে। চালিয়ে নেব। আমার বউ একটা বাঁধা মাইনের চাকরি করে তাই রক্ষে ... আমার দোকানের রোজগার তো রোজ সমান হয় না। সেটাই মুশ্কিল ... '
    --- হ, সেইটাই হইল কথা ... '
    --- ' আমি তোমার কথা অলোকেন্দু স্যারকে বলে দেখব ... যদি কোন ব্যবস্থা হয়। মুশ্কিল হল, অলোকেন্দু স্যার আর আগের মতো নেই। কেমন যেন নিস্তেজ হয়ে পড়েছেন ... '
    --- ' ও ... বোধহয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হইসে। আমার কাসে আয়ুর্বেদিক ওষুধ আসে ... দিমুনে ... '
    --- ' না না, পালদা ওসব না ... ওনার সমস্যা আলাদা ...
    --- ' অ ... ঠিক আসে, একবার দেখতে পারলে হইত ওনারে। ওনারে সুস্থ কইরাই ছাড়ুম ... চ্যালেঞ্জ দিলাম ... '
    --- ' আচ্ছা ঠিক আছে, নিয়ে যাব তোমাকে। দেখা যাক ... '

    রাত্রি যে সাগর মন্ডলের স্ত্রী তা ওর স্কুলের সবাই জানে। কেউ কেউ এ নিয়ে মুখ বেঁকালেও বেশির ভাগই রাত্রিকে বেশ সমীহ করে এবং সাগরের ব্যাপারে যথেষ্ট কৌতূহলও আছে।
    একজন শিক্ষিকা সাবিত্রী বোস রাত্রির থেকে বয়সে বছর তিনেকের ছোট হবে, সেদিন রাত্রিকে বললেন, ' তোমার কর্ত্তার খবর কি গো ? অনেকদিন কোন খবর পাই না ... '
    --- ' ব্যবসা নিয়ে থাকে আর কি ... কি বলব ... তাছাড়া ... '
    --- ' তাছাড়া কি ? '
    --- ' এখন তো পলিটিক্যাল সিনারিও বদলে গেছে। আগের ধরণে কাজ করা এখন সম্ভব না। আর ও তো কোন পার্টির ছাতার তলায় কোনদিন যাবে না। রাজনীতিকে ও ঘেন্না করে ... তাই একটু চাপ আছে।
    --- ' সব জানি গো। আমি সেই স্কুল লাইফ থেকে ওনাকে চিনি। তখন নলিন সরকার স্ট্রিটে থাকতাম। আমার এক ক্লাসমেটকে উনি কিছু লোফার বদমাশের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন। বড়লোকের বখাটে ছেলে ছিল। মেয়েটা আমার এক পিসতুতো বোন। পাজিগুলোর ভয়ে স্কুল যাওয়া আসার পথে সিঁটিয়ে থাকত। সঙ্গে ওর ছোট ভাই যেত। সেও ভীষণ ভয় পেত। এসব প্রায় কুড়ি বছর আগের কথা। সাগরবাবু এবং তার দলের ছেলেরা লোফারগুলোকে এলাকা থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিলেন। ঘটনাটা তোমার হয়ত জানা নেই... '
    --- ' না, আমি ঠিক ... '
    --- ' খুব স্বাভাবিক। এরকম কত ঘটনা আছে। আমরা আর কটা জানি। সে যাই হোক, তখন থেকেই আমি সাগরবাবুকে খুব রেসপেক্ট করি। কে কি বলল না বলল আমার কিছু যায় আসে না। উনি ছিলেন বলে আমরা অনেকেই নিরাপদে বাঁচতে পারতাম। তাই বলছি, উনি যদি বদলে গিয়ে থাকেন সেটা আমাদের পক্ষে খুব দুঃখের ব্যাপার হবে। আমি সেই বিশ পঁচিশ বছর আগেকার সাগর মন্ডলকেই মনে রেখেছি। স্কুল কলেজের পড়াশোনার মণি মানিক্য অনেক দেখেছি। তুমিও অবশ্যই দেখেছ, কিন্তু আমি অন্তত আমার জীবনে আর একটাও সাগর মন্ডল দেখিনি এটা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি ... '
    কথাগুলো শুনতে শুনতে রাত্রির গলায় কি দলা পাকিয়ে উঠতে লাগল। সে কোন প্রতিক্রিয়া দিতে পারল না। নির্নিমেষে তাকিয়ে রইল তার সহকর্মিনী সাবিত্রীর দিকে। আজও কিছু মানুষ সাগর মন্ডলকে এভাবে বুকের মধ্যে ধরে রেখেছে। সাবিত্রীকে দেখে রাত্রি কোনদিন বোঝে নি এসব কথা।
    ছুটির সময় হয়ে এল। টিচার্স রুম প্রায় ফাঁকা। দূরের টেবিলে শ্যামলী তপাদার ব্যাগের ভিতর ধোয়া মোছা টিফিন বাক্স গুছিয়ে নিচ্ছে নিবিষ্ট মনে। তিনি কথা খুব কমই বলেন।
    সাবিত্রী বোস আবার বললেন, ' হয়ত আর একটা পার্টি সরকার গড়বে। কেউ তো আর চিরকাল থাকে না ... একসময়ে তাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় দেশের মানুষের কাছে। আবার অন্য আর এক দল আসে। তারাও একসময়ে তামাদি হয়ে যায়। তামাদি হয় না শুধু সাগরবাবুরা। ওনারা হলেন আকাশের সূর্য। যেদিন দেশের মানুষের কাছে এনাদের প্রয়োজন ফুরোবে বুঝতে হবে, হয় দেশের অবস্থা খুব ভাল। রাতারাতি রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আর নয়ত নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার, যেখানে সূর্যরশ্মি এসে পড়ছে না। হয়ত একসময়ে আমাদের তেমন দিনও দেখতে হবে। জানি না ... '
    রাত্রি সাবিত্রীর মুখে এসব সিরিয়াস কথাবার্তা শুনে অবাক হয়ে গেল। বছর দুই ধরে সাবিত্রীর সঙ্গে মিশছে, এত গভীর কথা বলতে কখনও শোনেনি। সাবিত্রি সাগরকে যে দু দশকের ওপর এভাবে চেনে সেটাও রাত্রি এই প্রথম জানল।
    রাত্রি সাবিত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। ঠিক কি বলা উচিত ভেবে পাচ্ছিল না।
    একটু পরে বলল, ' সাবিত্রী এবার চল ... পাঁচটা বেজে গেছে। সবাই চলে গেছে। বাড়ি ফিরে রান্না করতে হবে। বাজারও করে নিয়ে যেতে হবে হাতিবাগান থেকে ... '
    সাবিত্রী বলল, ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... চল চল ... আমারও আবার টিউশনি আছে ... '
    --- ' এখন কোথায় পড়াতে যাবে ? '
    --- ' বৃন্দাবন পাল লেনে। বাগবাজারের দিকটায়।
    পাড়াটা একদম বাজে। আমার একদম যেতে ইচ্ছে করে না ... ভাবছি ছেড়ে দেব। আমার বিশ্রী লাগে ... কিন্তু ছেড়ে দিলেও আবার একটা টিউশনি পাওয়া কি সোজা ব্যাপার ... এখানে চারটে স্টুডেন্ট একসঙ্গে পড়ে। বাড়ির লোক এসব জানতে পারলে আমায় ছাড়িয়ে দেবে। ওরা ভীষণ ভীতু টাইপের ... '
    --- ' কেন গো ? কি হয়েছে ? '
    --- ' মহেন্দ্র বোস লেনের মুখে ক'টা লোফার দাঁড়িয়ে থাকে রোজ। ইনডায়রেক্টলি আজে বাজে রিমার্ক পাস করে। একজন একদিন একটা চিঠিও দেবার চেষ্টা করেছিল ... ইশশ্ কি বিশ্রী ... কি করে বোধহয় জানতে পেরেছে আমি অবিবাহিত ... '
    দুজনে স্কুল থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসে নামল।
    রাত্রি বিস্মিত হয়ে বলল, ' সেকি ! আমাকে কোনদিন বলনি তো ... '
    --- ' এসব কি আর বলা যায় ? খারাপ লাগে ...
    কমবয়সী তো আর নই ... আমি কাউকে বিব্রত করতে চাই না। কি করা যাবে ... আমার কপালটাই এরকম ... জন যায় বঙ্গে, কপাল যায় সঙ্গে ... জান তো ... '
    --- ' না না ... ওসব কপাল টপাল কোন কাজের কথা নয়। কতদিন ধরে চলছে এসব ? '
    --- ' ইয়ে, মানে ... বাড়াবাড়ি শুরু করেছে মাস খানেক হবে ... যাকগে, বাদ দাও ওসব ... মুখ ফস্কে বলে ফেললাম। কিছু মনে কোর না রাত্রিদি ... বাদ দাও বাদ দাও ... '
    রাত্রি আগুনে গলায় বলল, ' বাদ দেবার কোন জায়গাই নেই সাবিত্রী। আমরা যখন এই দুনিয়ায় আর থাকব না, তখন তো আর আমরা দায়িত্ব নিতে পারব না। কিন্তু যতদিন আছি দায়িত্ব কাঁধ থেকে নামিয়ে রাখতে পারব না। বোঝাতে পারলাম কি ? '
    --- ' হ্যাঁ, তা জানি ... কিন্তু এসব ব্যাপার ...মানে ... '
    --- ' তোমাকে তো কিছু করতে হবে না। ওই বাড়িতে যেমন পড়াতে যাচ্ছ তেমনই যাবে ... বাকিটা তো সাগরের হাতে। আমি ওকে আজই জানাব। কাজ তো ফেলে রাখা যাবে না। সেটা ওর পছন্দ নয়। ও নিখিল ব্যানার্জীর বলা একটা কথা খুব বলে উইডিং অপারেশন, মানে আগাছা সাফ কর যে যার সাধ্যমতো। উইডিং অপারেশন
    যদি সম্ভব নাও হয়, সুইপিং অপারেশন ইজ অ্যানাদার অপারেশন ... '
    --- ' মানে ? নিখিল ব্যানার্জী কে ? '
    --- ' মানে, ঝাঁট দিয়ে দূরে সরিয়ে দাও ... এখানে মনে হয় এই অপারেশানটাই হবে ... দিনকাল একটু অন্যরকম না ... নিখিল স্যার ? পরে বলব...'
    হতভম্ব সাবিত্রী বলল, ' ও ও ও ... '

    সুমনা ছেলেকে নিয়ে ক'দিনের জন্য বাপের বাড়ি এসেছে। অলোকেন্দুবাবুর কাছে অন্তত এক মেয়ে থাকলে ভাল হয়। দাপুটে অলোকেন্দুবাবু শারীরিক এবং মানসিকভাবে বেশ জবুথবু হয়ে পড়েছেন। আগের মতো আর নেই। আগের মতো অবশ্য কোন কিছুই নেই। সবই ক্রমাগত বদলে যাচ্ছে। ড্রেনপাইপ প্যান্ট কবেই জায়গা করে দিয়েছে বেল বটমকে। ছুঁচোল বুটজুতো কবে যেন ভোঁতা বাটার অ্যাম্বাসাডার হয়ে গেল। ফ্রক ছাড়ার পর মেয়েরা শাড়ির বদলে অনেকেই সালোয়ার কামিজ পরছে। মান্না দে-র বাংলা গানের বাজার সবাই কে ছাপিয়ে গেছে কয়েক বছর ধরে। রোমান্টিক গানের আদল এসে পৌঁছেছে ' এই পথ যদি না শেষ হয় ...' থেকে ' হয়ত তোমারই জন্য ... ' তে। ' অলির কথা শুনে বকুল তো হাসে ওই ... ' থেকে ' যখন কেউ আমাকে পাগল বলে ... ' তে। পরিবর্তনকে কি আর ঠেকিয়ে রাখা যায়।

    মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গলের সাবেকি যুদ্ধের মতো বাঙালী এখন হেথায় হোথায় উত্তপ্ত আবেগের কাটাকুটি খেলা খেলে চলেছে হেমন্ত-মান্না এবং উত্তম-সৌমিত্র নিয়ে। মুশ্কিল হচ্ছে, ফুটবল যুদ্ধের মতো অন্য যুদ্ধগুলোয় কোন প্রশ্নাতীত যুক্তিগ্রাহ্য সমাধান হয় না। খেলা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাঝপথে পরিত্যক্ত হয়। চায়ের দোকান থেকে কলেজে ক্যান্টিন বা পাড়ার রক থেকে নানাবিধ চরিত্ররা গা ঝাড়া দিয়ে উঠে অন্য কোথাও চলে যায় প্রতিপক্ষকে মনে মনে গাড়োল আখ্যা দিয়ে। যায় অন্য কোন কাজে বা নিছক অকাজে যেটা একমাত্র বাঙালীর পক্ষেই সম্ভব।

    প্রতিবিম্ব এক সপ্তাহের জন্য বম্বে গেছে অফিসের কাজে। তরতর করে পদোন্নতি হচ্ছে তার। কিন্তু সে আর তার বউ কিন্তু মানসিকতার দিক দিয়ে একই জায়গায় আছে। অহমিকা বা ঔদ্ধত্যের বিন্দুমাত্র ছোঁয়া লাগেনি তাদের মননে চিন্তনে। সেই স্বচ্ছ স্ফটিকের মতো টলমল করা স্কটিশ চার্চ আর বেথুন কলেজের দিনগুলোর কাছেই বাঁধা আছে তারা আজও।
    সুমনা টাউন স্কুলের সামনে ন্যাশনাল ভ্যারাইটি স্টোর্সে গিয়েছিল একজোড়া সোয়েটার বোনার কাঁটা কিনতে। প্রতিবিম্বর জন্য একটা ফুলহাতা সোয়েটার বোনা তার অনেকদিনের ইচ্ছে। এবারে ঠিক করেছে এখন থেকেই শুরু করবে।
    উলও কিনে নেবে এখান থেকে। এখন থেকেই বোনা শুরু করবে বলে ঠিক করেছে।
    সামনে ফেলা উলের লেচিগুলো থেকে রঙ পছন্দ করছে এমন সময় হঠাৎই বাঁদিকের কাউন্টারে তার চোখ ঘুরে গেল ওদিকের শো কেসে খুব সুন্দর একটা শিশুর পুতুল দেখে। ঠিক যেন এক দেবশিশু। সোনালী কোঁকড়ানো চুল, সাদা শরীর, মুখে স্বর্গীয় সুষমা মাখা হাসি, অনাবিল অনুপম দুটি হাসি মাখানো চোখ। সে নিষ্পলকে তাকিয়ে থাকল পুতুলটার দিকে। তাকিয়ে থাকতে থাকতে তার হঠাৎ খেয়াল পড়ল ওখানকার কাউন্টারে দাঁড়ানো বেশ আকর্ষণীয় চেহারার একজন মধ্যবয়স্ক ভদ্রলোক তার দিকে নিষ্পলকে তাকিয়ে আছে।
    সুমনা চোখ ফিরিয়ে নিল। তারপর কিছুটা অস্বস্তিবশত, কিছুটা কৌতূহলবশত আবার খুব সন্তর্পণে ফিরে তাকাল।
    দেখল ভদ্রলোক একইভাবে তার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখের দৃষ্টি নম্র এবং বিনীত।

    ( চলবে )

    *************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন