এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড ) - ২১

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০২ মে ২০২৫ | ২৬ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১
    ( ২১ )

    সন্ধে সাড়ে সাতটা। জমজমাট হাতিবাগান। রাধায় ইভনিং শো-এর ইন্টারভ্যাল হয়েছে। লোকজন বেরিয়ে এসে ঝালমুড়ি, পট্যাটো চিপস কিনছে।
    মোনা মজুমদার মোড়ের মাথায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছিল। সিগারেটটা শেষ করে সাগরের দোকানে গিয়ে একটু বসবে। সিগারেট খেতে খেতে নানা কথা ভাবছিলেন মনোরঞ্জনবাবু। সেদিন অমল বলে ভদ্রলোক এসেছিল বেশ লাগল তাকে। শিক্ষিত সুপ্রতিষ্ঠিত মানুষ, কিন্তু ভিতরে আগুন আছে। সমাজে একটা বদল চায়।
    অন্য একটা কিছু চায় তো নিশ্চয়ই নাহলে সাগরের সঙ্গে ভিড়বে কেন ? মনোরঞ্জন অবশ্য ভালভাবেই জানে কোন কিছুই হবে না। সাগরের বা তার জীবন এভাবেই কেটে যাবে। হবেই বা কি করে, ক'টা লোকই বা এসব নিয়ে ভাবে। সাগরের মতো আরো দু চারটে ছেলে যদি এদেশে জন্মাত...
    যাক দু চারটে লোকের উপকার তো হচ্ছে। মোনাবাবু ভাবলেন, যতদিন হাত পায়ের জোর আছে পার্টি করা ছাড়া তার আর উপায় নেই। সেই কোনকালে তিনি পলিটিক্স ধরেছিলেন। কিছুই তেমন পাননি এখান থেকে, তবু ছাড়তে পারেননি। আসলে এটা একটা নেশা বা রোমাঞ্চ বলা যায়। নিজে ক্ষমতাবান না হলেও ক্ষমতাবান লোকের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করাও একটা আত্মতুষ্টি এনে দেয়। বছরের পর বছর এই ঘোরাফেরা করতে করতে জীবন শেষ হয়ে আসে। সাগরকে কিন্তু কোন পলিটিক্যাল পার্টি কোনদিন ছুঁতে পারেনি। পার্টিবাজির পেরেক এড়িয়ে এড়িয়ে পা ফেলে সাগর দৌড়ে গেছে এতগুলো বছর। কিন্তু সবাই তো আর সাগর মন্ডল হতে পারে না। এখন এই জটিল ডামাডোলের মধ্যেও সে নিজের মতো করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
    মোনাবাবু সিগারেটে আর একটা টান দিলেন। সিনেমার ইন্টারভ্যালে রাধা সিনেমার বাইরে ঝালমুড়ি, ভেলপুরি বেচাকেনার হৈ চৈ - এর দিকে তাকিয়েছিলেন। তিনিও একসময়ে খুব সিনেমা দেখতেন। খুব নেশা ছিল সিনেমা দেখার। বাংলা হিন্দী দুটোই। সে সব দিন কবেই ভেসে চলে গেছে অনেক দূরে। সিগারেটটা মোনাবাবুর দু আঙুলের ফাঁকে ক্রমে ছোট হয়ে আসছে। ছাই লম্বা হচ্ছে। মোনাবাবু আনমনে তাকিয়ে রইলেন সামনে দিয়ে চলে যাওয়া একটা পাঁচ নম্বর ট্রামের দিকে।
    পাশ থেকে কে যেন বলল, ' আরে মোনাদা ... এখানে দাঁড়িয়ে ? '
    মোনাবাবু ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলেন গোপীনাথ দাঁড়িয়ে আছে হাসিমুখে।
    ---- ' আরে গোপী ... কি খবর ? অনেকদিন পর ... '
    মোনাবাবু সিগারেটে শেষ টানটা মেরে ফেলে দিলেন।
    ---- ' এদিকে তেমন আসা হয় না ... ডোমজুড়ে যেতে হয় ... '
    ডোমজুড়ে কি কাজ করতে যায় গোপীনাথ সে ব্যাপারে কোন কৌতূহল প্রকাশ করলেন না মনোরঞ্জন মজুমদার। তিনি জানেন, গোপী একসময়ে কর্পোরেশনের হেড অফিসে দালালি করত। কি কারণে সেটা ছেড়ে দিল সেটা মোনাবাবুর অজানা। হয়ত ওই দু নম্বরী ব্যাপার স্যাপার ওর আর ভাল লাগছিল না। সে যাই হোক মোনাবাবু আর কথা না বাড়িয়ে বললেন, ' অ আচ্ছা ... তা এদিকে কোথায় ? '
    ---- ' সাগরদার দোকানে যাব ... একটু দরকার আছে ... '
    ---- ' চল, আমিও তো ওখানে যাব। কোন কেস আছে নাকি ? '
    দুজনে হাঁটতে লাগল সাগরের দোকানের দিকে।
    ---- ' হ্যাঁ ... ফৌজদারি নয়, দেওয়ানি মামলা ... '
    ---- ' কোথায় ? '
    ---- ' কর্পোরেশনে '
    ---- ' আচ্ছা ? কি শুনি ... '
    গোপীনাথ বলল, ' চলুন, দাদার ওখানে তো বলব ... তখন শুনে নেবেন ... '

    সব শুনে সাগর বলল, ' পেটি কেস। মোনাদা তোমার কেউ নেই ওখানে ? একটু দেখে নাও না ... '
    ---- ' হ্যাঁ তা আছে ... তবে আমি কাউকে বলতে চাই না ... যদি ফেল করে তখন আবার ... তার চেয়ে ভাবছি আমি নিজেই যাব ... তিনতলায় বিল্ডিং আর অ্যাসেসমেন্ট তো ? বিপ্লব চক্রবর্তী আর দুলাল ঘোষের টেবিল ... '
    সাগর বলে উঠল, ' না না ... সে হয় না। তুমি নিজে কেন ... এটা তো আমারই দায়িত্ব হওয়া উচিত ... তোমার তেমন তৈরি লোক যদি কেউ ওখানে থাকে তো ... আচ্ছা ঠিক আছে, ছেড়ে দাও। এক কাজ করা যাক ... সন্তোষকে পাঠাই ওখানে, সন্তোষ দাশ। তুখোড় লোক। আগে খোঁচড় ছিল... চেন ?'
    মোনাবাবু দুদিকে নেতিবাচক ভঙ্গীতে মাথা নাড়লেন।
    ---- ' ঠিক আছে গুপি... আমার সঙ্গে চল। বাজারের মধ্যে দোকান ওর ... কথা বলে নাও ... এস মোনাদা ... এই গোবিন্দ, কাস্টমার আসলে একটু দেখে নিস তো ... আমি এক্ষুণি আসছি ... '

    সন্তোষ বেলা বারোটা নাগাদ দুলালবাবুর ডিপার্টমেন্টে গিয়ে ঢুকল। তার আগে গেটের একপাশে ফুটপাথের দোকান থেকে পরোটা আর ঘুগনি খেয়ে নিয়েছে। রুমাল দিয়ে মুখ মুছে একটা বিড়ি ধরাল। বিড়িটা টেনে নিল গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে। তারপর ভিতরে ঢুকল।

    দুলাল ঘোষ তার উল্টোদিকের চেয়ারে বসা একজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তাকে হাত নেড়ে নেড়ে কি সব বোঝাচ্ছিলেন। সামনে বসা টাকমাথা ফর্সামতো নিরীহদর্শন ভদ্রলোক ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে আছে দুলালের মুখের দিকে। দুলাল হাসি হাসি মুখে কি যেন বুঝিয়ে চলেছে।
    সন্তোষ বুঝতে পারল, দুলাল একটা মুরগি পেয়েছে। জবাই করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সে ধীর পায়ে হেঁটে ভদ্রলোকের পাশে গিয়ে দাঁড়াল। দুলালবাবু সন্তোষের দিকে তাকালেন।
    ---- ' বলুন ... '
    ---‐- ' একটু কাজ ছিল ... ' সন্তোষ দাঁত বের করে বিনীত ভঙ্গীতে বলল।
    ---- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... '
    দুলালবাবু টাকমাথা ভদ্রলোককে বললেন,
    ' আচ্ছা ঠিক আছে ... চিন্তা ভাবনা করুন। কিন্তু বেশি দেরি করবেন না। কবে কি হয় কে জানে। সামনের সপ্তায় একদিন চলে আসুন ... '
    ভদ্রলোক কাঁচুমাচু হয়ে বললেন, ' একটু কমসম করা যায় না ? '
    ----‐ ' আমি কমই বলেছি দাদা, বিশ্বাস করুন। আমি কাউকে প্রেসার দিতে চাই না একদম ... কিন্তু কি করব বলুন ... আমার একার হাতে তো নেই... অনেকগুলো টেবিল ঘোরে ... ঠিক আছে, আসুন না আপনি ... দেখা যাবে ... আমি তো আছি ... অসুবিধে হবে না ... '
    ভদ্রলোক হ্যাঁ বা না কিছুই বললেন না। কি চিন্তা করতে করতে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন।
    সন্তোষ ধপ করে বসে পড়ল ওই চেয়ারটায়।
    বলল, ' আপনি থাকতে অসুবিধে হবে না তা জানি। সেই জন্যই আপনার কাছে আসা ... '
    দুলালবাবু সন্তোষের মুখের দিকে একবার তাকিয়ে নিয়ে ঢাকা সরিয়ে এক গ্লাস জল খেলেন।
    তারপর পেশাদারি ভঙ্গীতে বললেন, ' কি আছে ? '
    ---- ' ছোট এক্সটেনশানের একটা কেস ছিল ... '
    ---- ' দিন ... '
    ---- ' কি ? '
    ---- ' ডকুমেন্টস আনেননি ? '
    ---- ' ওসব জমা পড়ে গেছে ... '
    ---- ' কবে ? '
    ---- ' কাল '
    দুলালবাবু ভ্রু কুঁচকে বললেন, ' কাল ! তা এখনই কি ? পরে খোঁজ নেবেন ... '
    ---- ' না না ... আপনি বুঝতে পারছেন না। ওয়ার্ক অর্ডারটা সামনের সোমবার মঙ্গলবারের মধ্যে বের করে দিতে হবে .... আজ তো বৃহস্পতিবার। এখনও দু তিনদিন সময় আছে ... '
    সন্তোষের মুখে এরকম একটা উদ্ভট কথা শুনে দুলালবাবু হাঁ করে তাকিয়ে রইলেন সন্তোষের দিকে।
    ---- ' কোথা থেকে আসছেন আপনি ? '
    সন্তোষ এ কথার কোন জবাব না দিয়ে বলল,
    ' দেখে নিন একটু কষ্ট করে। লালবিহারি সরকারের কেস ... ভুলে যাননি নিশ্চয়ই, এই তো পরশুদিন জমা দিয়েছে ... '
    দুলালবাবুর অভিজ্ঞতা তো কিছু কম হয়নি কর্পোরেশনের কাজে এই এত বছরে। সন্তোষের কথাবার্তার ধরণে তিনি সন্দেহজনক একটা গন্ধ পেলেন। ভাবলেন, লোকটাকে তো মোটেই পাগল মনে হচ্ছে না যে এরকম আবোলতাবোল বকবে।
    তিনি একমনা হয়ে মনে করার চেষ্টা করতে লাগলেন। ভুলে যাওয়াটা তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
    আবেদনকারিদের বেমালুম ভুলে যাওয়াটা তার পক্ষে একটা অতি স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এই নামটা তার হঠাৎ মনে পড়ে গেল। দুলাল ঘোষ
    বিড়বিড় করে বলতে লাগলেন, ' লালবিহারি সরকার .... লালবিহারি ... ও ও ... আ..চ্ছা ... ওই প্রফেসর ভদ্রলোক ? ওনার সঙ্গে তো কথা হয়ে গেছে। বাইরে দেখুন লক্ষীকান্ত পাল আছে, ওর সঙ্গে কথা বলে নিন ... '
    ---- ' লক্ষী সরস্বতী কাউকে চিনি না দাদা ... আমি শুধু আপনাকে চিনি। যা করবার আপনিই করবেন। সামনের সোম মঙ্গলবারের মধ্যে। নাও করতে পারেন অবিশ্যি ... আমি সেটাই গিয়ে জানিয়ে দেব তা'লে ... আমার আর কি করার করার আছে ... '
    ---- ' কাকে জানাবেন ? জানাবেনটা কাকে ? '
    ---- ' সেটা এখন নাই বা জানলেন। এলেই তো দেখতে পাবেন। তখন আমার আর কিছু করার থাকবে না ... এমনিতেই তো আপনার খুব সুনাম ... ডিপার্টমেন্টে আপনার পেছনে কাঠি করার লোকের অভাব নেই, জানেন তো ... হ্যাঃ হ্যাঃ ... কেউ তো আর সাধু সন্ত নয়। একজনই কামাবে শুধু, আর বাকিরা শুধু আঙুল চুষবে এটা কতদিন সহ্য করা যায় বলুন ... বলুন না, আপনিই বলুন ... বলুন না স্যার ... ', সন্তোষ টেবিলের ওপর ঝুঁকে পড়ে দুলালবাবুর একটা হাত চেপে ধরল।
    দুলালবাবু তার কর্মজীবনে এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হননি কখনও। রীতিমতো বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে গেলেন তিনি। ব্যাপারটা কিভাবে সামাল দেবেন বুঝতে পারছিলেন না। বিলকুল অজানা সিলেবাস তার কাছে। তিনি এদিক ওদিক চোখ ঘুরিয়ে দেখে নিলেন কেউ এই নাটকটার দিকে চোখ কান মেলে রেখেছে কিনা। বদমায়েশের তো অভাব নেই।
    তিনি আপাতত একটা রফায় আসাই বুদ্ধিমানের কাজ মনে করলেন। কেসটা একটু বেঁকাচোরা মনে হচ্ছে।
    দুলালবাবু বললেন, ' এই ... শুনুন না ... আপনি আর দুটো দিন সময় দিন ... জানেন হয়ত, প্রসেসটা একটু লম্বা ... '
    দুলালবাবু বললেন, ' ঠিক আছে ঠিক আছে ... কোন ব্যাপার না ... আপনার সুবিধে অসুবিধেটাও তো দেখতে হবে। ঠিক আছে, শুক্রবার করে দিলাম। শুক্রবার এসে যেন আর দাঁড়াতে না হয় ... '
    ---- ' না না ... ভদ্রলোকের এক কথা ... '
    সন্তোষ মনে মনে ভাবল, তোমাদের মতো ভদ্রলোকের রাস্তার ফুটপাথে জায়গা হওয়া উচিত। ঘুষের তেলকল খুলে সরকারি অফিসারের চেয়ারে পালিশ লাগাচ্ছ।
    মুখে বলল, ' অ্যাই ... এটাই হল মোদ্দা কথা ... ভদ্রলোকের এক কথা ... ঠিক আছে, আমি তা'লে উঠি ... আপনার সময় নষ্ট করব না। আপনি আপনার কাজে লেগে যান ... '
    বলে সন্তোষ আবার হাত বাড়িয়ে খপ করে দুলালবাবুর একটা হাত চেপে ধরে ঝাঁকাতে লাগল।
    ---- ' অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ... অনেক ধন্যবাদ। আপনার মতো মানুষ হয় না ... '
    দুলালবাবু অনেক কষ্টে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলেন, ' না ... কি যে বলেন, হেঃ হেঃ ... এ আর কি এমন ... প্রপারলি হয়ে যাক, এটাই ইয়ে ... '
    ---- ' হতে তো হবেই ... প্রপারলি টপারলি ওসব কেত্তন আপনি বুঝবেন ... আমি কে ? আমি শুধু গিয়ে জানিয়ে দেব ... আর তো কোন দায়িত্ব নেই আমার ... আচ্ছা চলি এখন, তা'লে ওই শুক্রবারই আসব'খন ... '
    সন্তোষ চেয়ার থেকে উঠে পড়ল।
    জাঁতাকলে পড়া দুলাল ঘোষ মরীয়া হয়ে আকুল স্বরে জিজ্ঞাসা করল, ' ওই ইয়ে ... দাদা, আপনাকে কে পাঠিয়েছে যদি বলেন ... '
    সন্তোষ বরাভয় ভঙ্গীতে ডান হাতটা তুলে দুলালবাবুকে আশ্বস্ত করে বললেন, ' বলব বলব ... নিশ্চয়ই বলব ... কেন বলব না, না বলার কি আছে। তবে আজ নয়, শুক্রবার। ওটা হাতে পাবার পর ... '

    ( চলবে )

    *****
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন