এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড ) - ১৬ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৬ এপ্রিল ২০২৫ | ৪১ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬
    ( ১৬ )

    ইন্দ্রাণীর সঙ্গে সেই বহুবছর আগে সাগরের পরিচয় হওয়ার মধ্যে বিশেষ কোন নাটক নেই।
    সাগররা তখন সুকিয়া স্ট্রিটে একটা ভাড়া বাড়িতে থাকত। ওই বাড়িতেই সাগরের জন্ম। পরে তারা উল্টোডাঙায় চলে যায়। সুকিয়া স্ট্রিটে ডাক্তার সুবোধ ব্যানার্জীর বাড়ি ছিল তাদের বাড়ির পাশেই। ডাক্তার হিসেবে সুবোধবাবুর যে খুব ভাল পসার ছিল তা না। তবে পাড়ার লোকে মান্যিগণ্যি করত। এই সুবোধ ব্যানার্জী হলেন ইন্দ্রানীর বাবা। ইন্দ্রাণীর জন্ম এই বাড়িতেই। তার মা সুদেষ্ণাদেবী একজন শিক্ষিকা।

    খুব ছোটবেলা থেকেই ইন্দ্রাণী আর সাগরের মেলামেশা। সেই সাগর আর এই সাগর এক নয়। একেবারেই মুখচোরা লাজুক স্বভাবের ছেলে ছিল সে। ইন্দ্রাণী তার থেকে বছর তিনেকের ছোট। দুজনের মধ্যে একটা বড় মিল হল এদের কারোরই স্কুলের পড়াশোনা একেবারেই না পসন্দ ছিল। গল্পের বই পড়ার খুব নেশা ছিল। পাড়ার দুচারজন কাছাকাছি বয়সের ছেলে মিলে তাদের নিজেদের বাড়ির পুরনো গল্পের বই টই জোগাড় করে একটা ছোটখাট লাইব্রেরী মতো করেছিল। সেখানে তারা নিজেরাই সদস্য। দলের মধ্যে সকলেই ছেলে। একমাত্র মেয়ে সদস্য ছিল ইন্দ্রাণী। লাইব্রেরীটা হয়েছিল তাদেরই বাড়ির একতলার একটা ঘরে। সুবোধবাবুর তাতে খুব উৎসাহ ছিল।
    সপ্তাহে দুদিন, বুধ আর শুক্রবার ওরা এসে জুটত ওই লাইব্রেরী ঘরে। ওই দুদিন ওদের কাছে বেশ একটা প্রাণবন্ত উৎসব উদযাপনের মতো ব্যাপার ছিল। 'দেড়শ খোকার কান্ড' কে নেবে তা নিয়ে এক কান্ড হল সেদিন সাগর আর ইন্দ্রাণীর মধ্যে।
    ' আবার যখের ধন ' নিয়েও একই কান্ড হয়েছিল সুপ্রিয় আর শ্যামলের মধ্যে। এরকম হতে থাকে গল্পের বইয়ের পোকাদের মধ্যে। প্রায়ই হয়। তা এবার ঝগড়াঝাটি হতে হতে ইন্দ্রাণীর মাথা গরম হয়ে গেল যেমন তার প্রায়ই হয়। সে মেজাজ হারিয়ে সাগরের হাতে একটা রামচিমটি কেটে বসল। সাগর বলে উঠল, ' উঃ .... তুই কি রে ! পাগল নাকি ? বইটা তুই নিবি তো নে না ... '
    ---- ' না না ... আমার চাই না ... তুইই নে ... আমি পাগল না তুই পাগল ... '
    বলে হুটপাট করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
    সকলে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। ডাক্তারবাবুর মেয়ে বলে কথা, কিছু বলাও যাবে না। যা হোক ওদের একটা ঘর তো দিয়েছে। সকলেই জানে ইন্দ্রাণীর ধরণটাই এরকম। সাগর সেদিন কার যেন লেখা 'মন্টুর মাস্টার' বলে একটা বই নিয়ে বাড়ি গেল।
    তার পরের লাইব্রেরীর দিন, মানে শুক্রবার সাগর লাইব্রেরীতে যেতে পারেনি। তার মায়ের শরীর একটু খারাপ হয়েছিল।
    সন্ধে সাতটা নাগাদ ইন্দ্রানী সাগরদের বাড়ি গিয়ে
    হাজির। সাগর বাইরে বেরোতেই তার প্রথম কথা হল, ' আজ যাসনি কেন ? '
    ---- ' যাইনি তো কি হয়েছে ? আমি না গেলে কি লাইব্রেরী বন্ধ থাকবে নাকি ? ' সাগর বলল।
    ---- ' লাইব্রেরী কেন বন্ধ থাকবে ? তুই নিজেকে কি ভাবিস ? '
    ---- ' তুই কি ঝগড়া করতে এসেছিস ? আমার এখন ঝগড়া করার মুড নেই। মার শরীর খারাপ ... '
    ---- ' সেটা আগে বলিসনি কেন ? '
    ---- ' তুই বলবার সময় দিলি কোথায় ?
    ---- ' ডাক্তার দেখিয়েছিস ? '
    ---- ' ন্না ... দু একটা দিন দেখি। এর মধ্যে জ্বর না নামলে তারপর নয় ... '
    ইন্দ্রানী মাথা নীচু করে কি যেন ভাবতে লাগল।
    সাগর ভাবল নতুন কোন ঝগড়ার তাল খুঁজছে বোধহয়। ওটাই তো ওর কাজ।
    ইন্দ্রাণী খুব নরম গলায় বলল, ' ব্যথা নেই তো ? '
    সাগর বলল, ' না না ব্যথা ট্যাথা কিছু নেই ... শুধু জ্বর আছে গায়ে ... কালকের দিনটা দেখি ... '
    ইন্দ্রাণী আবার নরম গলায় বলল, ' আমি মাসিমার কথা বলছি না ... তোর হাতে ... ওই মানে ... '
    ---- ' কি ... হাতে কি ? '
    ---- ' সেদিন বই নেওয়া নিয়ে ঝগড়ার সময় ...আমি যে ... '
    ---- ' কি ... তুই কি ? '
    ইন্দ্রাণীর পক্ষে এতক্ষণ ধরে নরম মেজাজ ধরে রাখা মুশ্কিল। সেটা তার ধাতে নেই। সে অল্প সময়েই তেতে ওঠে।
    সে স্বমেজাজে ফিরে আসল। বলে উঠল, ' আমার মাথা আর তোমার মুন্ডু ... ক্যাবলা কোথাকার ... সেদিন যে চিমটিটা কাটলাম সেটার কথা বলছি ...'
    ---- ' ও তাই বল ... ওটা আবার কোন ব্যাপার হল ? '
    ইন্দ্রাণী মুখ ভেংচে বলে উঠল, ' ওটা আবার কোন ব্যাপার হল ... মাথামোটা ... '
    তর্কাতর্কি হয়ত আরও গড়াত। ভিতর থেকে সরযূদেবীর গলা শোনা গেল, ' কে রে খোকা ... কার সঙ্গে কথা বলছিস ? '
    সাগর সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিল, ' ডাক্তারবাবুর মেয়ে মা ... ডাক্তারবাবু পাঠিয়েছেন ... '
    ভিতর থেকে ক্ষীণ কন্ঠে আওয়াজ এল, ' আবার কেন কষ্ট করে ... একটা দিন দেখি, তারপর নয় ...'
    ইন্দ্রানী তীক্ষ্ণ চোখে সাগরের মুখের দিকে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে রইল। তারপর জিভ বার করে দেখিয়ে রাগমাখা মুখে সাগরের কথার পুনরাবৃত্তি করে বলে উঠল, ' ডাক্তারবাবুর মেয়ে ... ডাক্তারবাবু পাঠিয়েছেন.... ন্যাকা ... '
    তারপর বলল, ' বুধবার আসবি কিন্তু... '
    সাগর হাঁ করে তাকিয়ে থেকে বলল, ' কোথায় ? '
    ইন্দ্রাণী উত্তর দিল, ' আমার মাথায় ... ক্যাবলারাম ... '
    বলে পিছন ফিরে হাঁটা দিল জোর পায়ে। চিন্তা ভাবনা করে সাগরের মনে হল, ইন্দ্রাণী বোধহয় লাইব্রেরীতে যাওয়ার কথা বলল বুধবার।

    শ্রাবণ মাস। বর্ষাকাল। আকাশ সকাল থেকেই কাঁদকাঁদ। বিকেলবেলাতেই ঘরে ঘরে আলো জ্বলে উঠেছে। জ্বলছে গাড়ির হেডলাইটও। আজ বুধবার, কিন্তু লাইব্রেরীতে কেউ আসেনি। শুধু সাগর এসে দাঁড়িয়ে আছে। ইন্দ্রানী ওপর থেকে নেমে এল দরজার তালা খোলার জন্য।
    তালা খুলে ভিতরে ঢুকে জানলা দুটো খুলে দিল। জানলার গরাদ পেরিয়ে এক মুঠো আঁধার চেরা আলো এসে পড়ল লাইব্রেরী ঘরের মধ্যে।
    ইন্দ্রানী একটা উঁচু মতো বেঞ্চে বসে পা দোলাতে লাগল। সাগর ক্যাটালগের খাতাটা খুলে চোখ বোলাতে লাগল। জানলা দিয়ে দেখা গেল একটা কালো রঙের পুলিশের গাড়ি গেল। পুলিশের কালো গাড়ির ওপর গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে। একটা ষাঁড় হেলেদুলে হেঁটে গিয়ে একটা চিঁড়ে মুড়ির দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়াল স্থির গম্ভীর ভঙ্গীমায়। ও বোধহয় এ দোকানের নিয়মিত অতিথি। এক মুঠো আলো ফেলে দিয়ে আকাশ আবার ছাই রঙা কম্বলে লুকিয়ে পড়েছে। ইন্দ্রানী ঘরের আলো জ্বালিয়ে দিল, পাখা চালিয়ে দিল।
    সাগর বলল, ' আজ মনে হয় কেউ আসবে না। খুব জোর বৃষ্টি নামবে মনে হয় ... '
    ইন্দ্রাণী পা দোলাতে দোলাতে বলল, ' নামুক নামুক ... খুব জোর নামুক ... যেন কেউ আসতে না পারে। শুধু তুই আর আমি আজ বই বাছাবাছি করব ... রোজ কি আর এমন দিন পাওয়া যাবে ... '
    সাগর অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল ইন্দ্রাণীর দিকে।
    ---- ' কি যে বলিস ! বিশ্রী দিন একটা। মনটা এমনিতেই খারাপ হয়ে যায় ... ' সাগর বলে।
    ---- ' দূর ... মন খারাপ হবে কেন ? আয় আমরা গল্প করি ... কাল চোরবাগানে যাবি ? '
    ---- ' কেন ? '
    ---- ' ঝুলনের মেলা বসেছে ... '
    ---- ' ও ... তা গেলে হয় ... দেখি স্বপনরা কেউ যায় কিনা ... '
    ---- ' না না কাউকে বলবি না। শুধু তুই আর আমি। নইলে আমি কিন্তু যাব না বলে দিচ্ছি। কি, ঠিক আছে তো ? '
    সাগর চুপচাপ করে রইল। হ্যাঁ বা না কিছুই বলল না। ভাবল, কি মুশ্কিলেই পড়া গেছে।
    ---- ' কি হল ... অত কি ভাবছিস ? ', ইন্দ্রাণী আবার ঠেলা মারে।
    সাগর বলল, ' কি হবে ওখানে গিয়ে ? দূর ভাল লাগে না ... '
    ---- ' এই যে বললি গেলে হয় ... কথা ঘোরাস না, ভাল হবে না কিন্তু ... আমাকে তো চিনিস... '
    ---- ' তা চিনি ... '
    ---- ' তবে ? দেখি তোর ডান হাতটা দেখি ... '
    ---- ' কেন ? '
    ---- ' আরে, দেখি না ... ', বলে ইন্দ্রাণী সাগরের ডান হাতটা তুলে নিয়ে কব্জীর ঠিক ওপরটা যেখানে সে রামচিমটি কেটেছিল সেখানটা আঙুল বুলিয়ে দেখতে লাগল।
    ---- ' ব্যথা নেই তো ? '
    ---- ' আরে না না ... আমার অত ব্যথা ট্যাথা হয় না ... ছাড় ছাড় ... '
    এই সময়ে সাগরকে চমকে দিয়ে ইন্দ্রাণী ওর হাতের ওই জায়গাটায় আলতো করে একটা চুমু খেল। তারপর হাতটা ছেড়ে দিয়ে বলে একটা অদ্ভুত মুখভঙ্গী করে বলে উঠল, ' ওঃ ... তা হবে কেন ? ক্যাবলা কোথাকার ... কাল কিন্তু ঝুলন দেখতে যাবই ... '
    ইন্দ্রানী ছুটে ওপরে উঠে গেল। সাগর ভাবল, এ আবার কি ... পাগল নাকি।
    সে চেঁচিয়ে বলল, ' দরজাটা বন্ধ করে যা ... আমি বাড়ি চলে যাচ্ছি ... '
    ওপর থেকে জবাব এল, ' তোকে অত চিন্তা করতে হবে না ... তুই যেখানে খুশি যা ... '
    ঠান্ডা ঠান্ডা জোলো হাওয়া দিচ্ছে। ঝেঁপে বৃষ্টি এল বলে। এলোমেলো বাতাস ঢুকছে লাইব্রেরী ঘরের খোলা জানলা দিয়ে।

    ( চলবে )

    *********
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন