এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড ) - ২০

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১২৪ বার পঠিত
  • ( ২০ )

    সকাল সকাল দুটো নাকে মুখে গুঁজে কাগজপত্র গুছিয়ে নিয়ে লালবিহারিবাবু এস এন ব্যানার্জী রোডের লাল বাড়িতে এসে হাজির হলেন। সাড়ে দশটা বাজতে এখনও দশ মিনিট দেরি আছে। ওপরে উঠে দেখলেন সমস্ত চেয়ার ফাঁকা। প্রায় আটটা সিলিং ফ্যান বনবন করে ঘুরছে। হাওয়ায় ফরফর করছে গার্ডারে বাঁধা কাগজপত্র। লালুবাবু পাশের ঘরে গেলেন। ওখানেও একই অবস্থা। জনহীন ঘরে ফুল স্পীডে হাওয়ার ঝড় চলছে। গৌতম নামের সেই ছেলেটাকেও ধারে কাছে দেখা যাচ্ছে না। লালবিহারিবাবু অগত্যা বাইরের বেঞ্চে গিয়ে বসলেন। ওখানে এক ঝাড়ুদার ঝাড়ু চালাচ্ছে ধীর গতিতে। তাড়াহুড়োর কিছু নেই সে জানে। এরপর বোধহয় ঘরে ঢুকবে ঝাঁটা নিয়ে।
    লালুবাবু তাকেই জিজ্ঞাসা করলেন, ' বাবুরা কখন আসবে ? '
    সে ঝাড়ু মারতে মারতেই বলল, ' এসে যাবে একটু পরেই ... টাইম হয়ে গেছে ... কাজ আছে ? '
    ---- ' হ্যাঁ একটু দরকার ছিল ... দুলালবাবুর কাছে ... '
    ---- ' ঠিক আছে ... বসুন, এসে যাবে ... '

    দুলালবাবুর আগমন ঘটল সাড়ে এগারোটা নাগাদ।
    লালবিহারিবাবুর বুকে স্বস্তি এবং অস্বস্তি দুটোই একসঙ্গে ফিরে এল। দুলালবাবু ঘরে ঢুকলেন রুমাল দিয়ে গলার আর ঘাড়ের ঘাম মুছতে মুছতে 'উঃ ... উ উ ফ্ ... ' বলে একটা নিশ্বাস ছেড়ে। বাসে খুব ভিড় ছিল হয়ত।
    তাকে তার আসনে একটু থিতু হবার সময় দিয়ে লালবিহারিবাবু গুটিগুটি ঘরে ঢুকলেন। দুলালবাবুর টেবিলের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন। জল খাওয়া, চুল আঁচড়ানো, চাবি লাগিয়ে একাধিক ড্রয়্যার খোলা, কাকে একটা ডেকে চা দিতে বলা ইত্যাদি জরুরী কাজে দুলাল এতই ব্যস্ত রইলেন যে তার সামনে কৃপাপ্রার্থীর মতো দাঁড়িয়ে থাকা লালবিহারিবাবুর দিকে তাকানোরই ফুরসত হল না এখনও। এইসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে দুলালবাবু তার বেঁটে মতো একটা ব্যাগ থেকে আজকের খবরের কাগজটা বের করে হেডলাইনগুলোয় চোখ বোলাতে লাগলেন চেয়ারে ঠেস দিয়ে। হঠাৎ কাগজটা মুড়ে ড্রয়্যারে ঢুকিয়ে রেখে চেয়ার থেকে উঠে পড়লেন।
    লালবিহারিবাবু প্রমাদ গুনলেন। তিনি মরীয়া হয়ে মৃদুকন্ঠে বলে উঠলেন, ' দুলালবাবু ... '
    দুলাল ঘোষ এতক্ষণে তাকালেন লালবিহারির দিকে। তিনি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে অস্ফূটে বললেন, ' হ্যাঁ ... '
    লালুবাবু বুঝতে পারলেন দুলালবাবু তাকে ঠিক স্মরণে নেই। তিনি ভাবলেন, হতেই পারে, সারাদিনে কত দায়িত্বপূর্ণ কাজ সামলাতে হচ্ছে তাকে। কাজের চাপ তো কম নয়।
    তিনি সবিনয়ে বললেন, ' আমি পরশু এসেছিলাম।কালও এসেছিলাম ... অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলাম কিন্তু ... সে যাকগে, আমি ওই এক্সটেনশানের ব্যাপারে এসেছিলাম ... আপনি ডকুমেন্ট আনতে বলেছিলেন ... '
    ---- ' ও হ্যাঁ হ্যাঁ ... ওই ব্যালকনি কন্স্ট্রাকশানের ব্যাপারটা ... বুঝতে পেরেছি। দেখি কি এনেছেন ... প্ল্যান আর ডিডের কপি এনেছেন তো ? '
    ---- ' আজ্ঞে হ্যাঁ ... এই যে ... '
    ওগুলো একটু উল্টেপাল্টে দেখে নিয়ে দুলালবাবু বললেন, ' দরখাস্ত লিখে এনেছেন ? '
    ---- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... এই যে ... '
    ---- ' দিন ... '
    দুলালবাবু দরখাস্তটা নিয়ে একবার চোখ বুলিয়ে নিলেন, তারপর অন্য কাগজগুলোর সঙ্গে লাগিয়ে নিয়ে একটা জেমস ক্লিপ লাগিয়ে কাগজের গোছা ড্রয়্যারে ঢুকিয়ে দিলেন।
    বললেন, ' ঠিক আছে ... '
    লালবিহারিবাবু প্রত্যাশা ভরা চোখে দুলালবাবুর দিকে তাকিয়ে বললেন, ' কবে তা'লে ... ইয়ে ... '
    ---- ' দেখি যতটা তাড়াতাড়ি পারি ... কাজের প্রচুর চাপ ... বুঝলেন তো। এই ... মোটামুটি মাসখানেক বাদে একবার খোঁজ নিন ... '
    লালবিহারিবাবুর উদ্দীপনার বারুদে জল পড়ল।
    ---- ' মাসখানেক ! ইয়ে ... একটু তাড়াতাড়ি হয় না ? তিনদিন কলেজ কামাই হয়ে গেল ... '
    ---- ' বুঝতে পারছি কিন্তু কি করা যাবে বলুন, ফাইল অনেকগুলো টেবিল ঘোরে তো। অনেক স্টেপ আছে। মেলা ঝামেলার ব্যাপার ... আপনারা বুঝতে পারবেন না ঠিক। ইন্সপেকশানের দরকার আছে কি ? দরকার না থাকলে আর যাব না ...'
    লালুবাবু বললেন, ' সেটা আমি কি করে বলব ? যেটা দরকার করবেন। একটু তাড়াতাড়ি হলে ভাল হয় ... কি আর বলব ... '
    ---- ' হ্যাঁ সে তো ঠিক কথা ... কাজ ঝুলিয়ে রাখা আমার একদম পছন্দ না। আপনি এক কাজ করুন ... ওর সঙ্গে কথা বলুন, সব বুঝিয়ে দেবে...'
    লালবিহারিবাবু অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ' কার সঙ্গে ? '
    ---- ' লক্ষী পালের সঙ্গে ... '
    ---- ' সে কে? '
    ---- ' বাইরে বেরিয়ে কাউকে জিজ্ঞেস করুন, ওখানেই আছে ... লক্ষীকান্ত পাল। বাইরেই পেয়ে যাবেন। ওর সঙ্গে কথা বলুন, সুবিধে হবে আপনার ... '

    ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলেন লালবিহারিবাবু। বেঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে বললেন, ' আচ্ছা ... লক্ষীকান্তবাবু কে আছেন ? '
    বেঞ্চে বসে চেককাটা হাফশার্ট আর হলুদ প্যান্ট পরা বছর পঁয়ত্রিশের এক যুবক সমবয়সী আর একজনের সঙ্গে কথা বলছিল।
    সে তক্ষুণি ' হ্যাঁ ... বলুন কাকাবাবু ... ', বলে বেঞ্চ থেকে উঠে অতি পরিচিত লোকের মতো এক গাল হেসে লালবিহারিবাবুর দিকে এগিয়ে এল।
    লালুবাবু বললেন, ' দুলালবাবু বললেন আপনার সঙ্গে কথা বলতে ... '
    ---- ' হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি ... বলুন ... '
    লালবিহারিবাবু সেই একই কথা আবার গোড়া থেকে বলতে যাচ্ছিলেন।
    লক্ষীকান্ত মনে হয় বিবেচক মানুষ। সে লালবিহারিবাবুকে অত কষ্ট করতে দিল না।
    ---- ' হ্যাঁ ঠিক আছে কাকাবাবু ... বুঝতে পেরেছি .... বুঝতে পেরেছি ... '
    কিছু না শুনেই লক্ষীকান্ত পাল কি করে বুঝতে পারল সেটা ভেবে পেলেন না লালবিহারিবাবু।
    লক্ষী পাল আবার বলল, ' কাগজপত্র সব জমা দিয়ে দিয়েছেন তো ? '
    ---- ' হ্যাঁ ... দিলাম তো ... দুলালবাবুর কাছে ... '
    ---- ' ব্যস ব্যস ... ঠিক আছে। নিশ্চিন্দে থাকুন কাকাবাবু। আপনার কাজ হয়ে যাবে ... ওসব ইন্সপেকশানের ঝামেলায় কেন যাবেন ? কেসটা ইজি করে নিন ... দেখতে গেলেই হাজারো ফ্যাকড়া বার করবে ... '
    ---- ' না মানে ... একটু তাড়াতাড়ি যদি হত ... দুলালবাবু বললেন এক মাস পরে আসতে... '
    ---- ' না না কাকাবাবু ... ওসব কথায় কিছু মনে করবেন না। ওসব ফালতু লোকেদের জন্য। আপনাদের মতো লোকেদের জন্য নয়। আপনি কোন চিন্তা করবেন না। কাজ তো করাব আমি।
    আসলে ফাইল অনেকগুলো টেবিল ঘোরে তো ... তাই আর কি ... বুঝতেই তো পারছেন ... সে হোক, আপনার জন্য এইটুকু তো করতেই হবে ... '
    লালবিহারিবাবু কিছু বুঝতে না পেরে লক্ষী পালের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
    লক্ষী বলতে থাকল, ' আজ তো বুধবার। সামনের মঙ্গলবারে আসুন আপনি। ওয়ার্ক অর্ডার হাতে পেয়ে যাবেন। মাঝখানে রোববার পড়ে যাচ্ছে, নইলে সোমবারই হয়ে যেত ... '
    লালবিহারি বিস্ময়মাখা গলায় বললেন, ' তাই... তাই ? '
    ---- ' একদম পাক্কা কাকাবাবু। ওই দুলালবাবুর টেবিল থেকেই পাবেন। কোথ্থাও যেতে হবে না ...'
    ---- ' কিন্তু উনি যে বললেন এন ও সি ইস্যু করাতে হবে আগে ... '
    ---- ' আরে স্যার ... এন ও সি, টেন ও সি নিয়ে আপনি মাথা ঘামাচ্ছেন কেন ? ও সব আমি বের করে নেব, কিচ্ছু চিন্তা করবেন না। আমার ওপর ছেড়ে দিন ... '
    লালবিহারিবাবু আবেগে, বিস্ময়ে, কৃতজ্ঞতাবোধে বাক্যহারা হয়ে গেলেন।
    লক্ষীকান্ত এবার বলল, ' খুব ঝক্কির ব্যাপার বুঝলেন তো কাকাবাবু ... রিস্কও আছে। আসলে, অনেকগুলো ফাইল ওভারটেক করে যেতে হয় তো। সব জায়গাতেই কিছু দিতে হয়। আমার আর কত থাকে ... '
    কথাগুলো লালবিহারিবাবুর মাথার অনেক ওপর দিয়ে চলে গেল। তিনি লক্ষীকান্তর কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করতে লাগলেন।
    ---- ' এমনিতে পাঁচ হাজার লাগে। আপনি চার দেবেন। তার বেশি চাইব না। কিন্তু এর কমে পারব না। আমার আর কত থাকে ? আজ না পারেন কাল এসে দিয়ে গেলেও হবে। আমাকে এখানেই পাবেন দুটো থেকে তিনটের মধ্যে। টাকাটা হাতে পেলেই আমি কাজ শুরু করতে পারব। ঠিক আছে স্যার ... তা'লে ওই কথাই রইল ... আসছি আমি, ওদিকের বিল্ডিং-এ যেতে হবে একবার ... '
    নিজের বক্তব্য পেশ করে লক্ষীকান্ত আর এক মুহুর্ত কালক্ষেপ না করে ওদিকের বিল্ডিং-এর দিকে হাঁটা দিল।

    সন্ধে ছটা নাগাদ লালবিহারিবাবু চিন্তান্বিত মুখে বৈকুন্ঠ বুক হাউসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। ওখানে গোপীনাথের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। ওখানে বোধহয় কারও অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে।
    লালবিহারিবাবুকে দেখে বলল, ' এস এন ব্যানার্জী থেকে নিশ্চয়ই। মুখ দেখে মনে হচ্ছে নতুন কিছু শিখেছেন আজকে। শেখার তো কোন বয়স নেই ... তাই না স্যার ? '
    ---- ' আজ বড় ঘা খেলাম, বুঝলে গোপী। এসব তো জানতাম না কিছু। বড় আঘাত পেলাম। এ ঘা এ জীবনে শুকোবে না বোধহয় ... '
    ---- ' না স্যার ... শুকোবে শুকোবে, নিশ্চয়ই শুকোবে ... মলমটা ঠিকমতো পড়া চাই ... '
    তারপর একটু চুপ করে থেকে গোপীনাথ বলল, ' কত টাকা চেয়েছে স্যার ? '
    ---- ' টাকা ... মানে, তুমি কি করে জানলে ? '
    ---- ' ওদের তো আমি চিনি স্যার ... আগাপাস্তলা চিনি ... '
    ---- ' কি করে ? '
    ---- ' আমিও তো একসময়ে ওই কাজ করতাম ... এটা আপনাদের জানা নেই ... '
    ---- ' ও ... তাই ? কিন্তু কি মুশ্কিলে পড়লাম বল তো ... আমার তো অত টাকা নেই ... '
    ---- ' না স্যার ... কোন মুশ্কিল নেই। আপনাকে কোন টাকা দিতে হবে না ...'
    ---- ' ব্যালকনিটা করার খুব ইচ্ছে ছিল। সেটা আর হল না ... '
    ---- ' কেন হবে না স্যার। আলবাত হবে। কালই হবে। পরশু আপনার ওয়ার্ক অর্ডার বেরোবে ... '
    ---- ' কিন্তু আমি তো ... '
    ---- ' আপনি তো আর যাবেন না। যাব আমি। দুলাল ঘোষের টেবিল তো ... '
    ---- ' হ্যাঁ ... '
    ---- ' আমার সঙ্গে আরও একজন যেতে পারে ... তাকে বলা আছে ... '
    ---- ' সে কে ? '
    ---- ' সেটা নয় পরে জানবেন ... '

    ( চলবে )

    **********
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন