এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড ) - ১৯

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ২১ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯
    ( ১৯ )

    এস এন ব্যানার্জী রোডের লাল বাড়ির গেট দিয়ে ঢুকে খানিকটা এগিয়ে বাঁদিকের বারান্দায় ঢুকে পড়লেন লালবিহারিবাবু। সামনের একটা ঘরের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একজনকে জিজ্ঞাসা করলেন, ' আচ্ছা ... বাড়ির একটা এক্সটেনশান স্যাংশানের ব্যাপার ছিল। কার সঙ্গে দেখা করতে হবে ? '
    লোকটা দ্রুত উত্তর দিল, ' বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট ... তিনতলায়, ও সাইডে ... মাঝখানের ঘর ... '
    --- ' ও আচ্ছা ... অনেক ধন্যবাদ ... '
    তিনতলায় উঠে নির্দিষ্ট জায়গায় সেই পেল্লায় ঘরে ঢুকে দেখলেন প্রচুর পুরনো বিবর্ণ চেয়ার টেবিল, কালচে চিড় ধরা কাঠের আলমারি। টেবিলের ওপর গাদা গাদা শুকনো বাসি ফুলের মতো কাগজপত্র এবং ফাইল। কোন কোন চেয়ারে লোক আছে। বেশির ভাগই খালি। সামনের টেবিলের এক ভদ্রলোক মন দিয়ে খবরের কাগজ পড়ছিলেন। লালুবাবু তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন। ভদ্রলোক অনিচ্ছাসত্ত্বেও চোখ তুললেন। লালুবাবুর মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। লালবিহারি বললেন, ' ওই, ইয়ে ... ছোট একটু এক্সটেনশানের ব্যাপার ছিল ... '
    --- ' ও আচ্ছা আচ্ছা ... ওই যে ওই থার্ড টেবিলে ... বিপ্লব চক্রবর্তী ... '
    --- ' অনেক ধন্যবাদ ... '
    --- ' ঠিক আছে ... '
    ভদ্রলোক আবার খবরের কাগজে ডুবে গেলেন।
    লালবিহারিবাবু থার্ড টেবিলের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন। ভদ্রলোক ব্যস্তভাবে একটা খাতায় কি সব লিখছিলেন। তিনি হাতের ইশারায় লালুবাবুকে সামনের চেয়ারে বসতে বললেন। বিপ্লব চক্রবর্তী মিনিট তিনেক ধরে লিখে যাচ্ছেন। লেখা শেষ হলে খাতাটা বন্ধ করে সামনের দিকে তাকিয়ে কাকে একটা ডেকে বললেন, ' এই গৌতম ... খাতাটা বিশ্বনাথদার টেবিলে দিয়ে আয় তো ... '
    গৌতম নামের ছেলেটা এসে কালো রঙের খাতাটা নিয়ে চলে গেল।
    বিপ্লববাবু এবার লালবিহারির দিকে তাকিয়ে বললেন, ' হ্যাঁ বলুন ... '
    লালবিহারিবাবু বললেন, ' একটা ছোট এক্সটেনশানের ব্যাপার ছিল ... '
    বিপ্লববাবু এর বেশি শুনলেন না। বললেন, ' কোন ফ্লোরে ... '
    --- ' আজ্ঞে ফার্স্ট ফ্লোরে। একটা জানলা ভেঙে ব্যালকনি বার করতে চাইছি ... '
    --- ' প্ল্যান ফোর্সে আছে, না এক্সপায়ার করে গেছে ? '
    --- ' সেটা মানে, ঠিক মনে নেই ... দেখে নেব ... '
    --- ' হ্যাঁ, দেখে নিন। যদি ফোর্সে থাকে ভালই। না থাকলে প্ল্যান রিনিউ করাতে হবে। প্রপার্টি ট্যাক্স আপ টু ডেট আছে তো ? '
    --- ' হ্যাঁ হ্যাঁ অবশ্যই অবশ্যই ... '
    --- ' গুড। সবার আগে একটা এন ও সি বার করতে হবে। এন ও সি টা বেরোলে তারপর কাজ শুরু হবে ... ডিডটা লাগবে কিন্তু ... '
    --- ' ঠিক আছে। আচ্ছা, প্ল্যান যদি ফোর্সে থাকে ? '
    --- ফোর্সে থাকুক বা না থাকুক, এন ও সি লাগবেই। বিল্ডিং কত বছর হয়েছে ? '
    --- ' তা ধরুন, তিরিশ বছর তো হবেই ... '
    --- ' তা'লে ফোর্সে নেই এটা নিশ্চিত। সে যাই হোক দেখে নেবেন একটু। না থাকলে রিনিউ করতে হবে। প্ল্যান রিনিউ না করলে তো কাজ শুরু করা যাবে না ... '
    --- ' ও আচ্ছা বুঝতে পেরেছি। ওটার জন্য কোথায় যেতে হবে ? '
    --- ' এই পাশের ঘরেই। দুলাল ঘোষ। ওখানে আমার নাম করেও বলতে পারেন ... '
    --- ' আচ্ছা আচ্ছা ... অনেক ধন্যবাদ ... '
    বিপ্লববাবু অমায়িকভাবে বললেন, ' না না ... ঠিক আছে ... ঠিক আছে। আপনি কোথায় আছেন ? '
    --- ' আমি ... ওই একটা কলেজে বাংলা পড়াই ... '
    --- ' ও আচ্ছা আচ্ছা ... বাহ্ আপনি অধ্যাপক ? '
    --- ' সেরকমই বলতে পারেন আর কি ... আচ্ছা এন ও সি -র জন্য কোথায় যেতে হবে ? '
    --- ' গ্রাউন্ড ফ্লোরে। ওই দিকটায়। ওখানে কাউকে জিজ্ঞাসা করে নেবেন। দরখাস্ত করতে কি কি জমা দিতে হবে ওরাই বলে দেবে। অসুবিধে হবে না ... '
    --- ' ঠিক আছে স্যার ... অনেক উপকার করলেন ... ', লালবিহারিবাবু পরম কৃতজ্ঞতা সহকারে বললেন।
    --- ' আমাকে স্যার ট্যার বলে লজ্জা দেবেন না ... হ্যাঃ হ্যাঃ ... আপনি প্রফেসর মানুষ ... '

    লালুবাবু এরপর গুটিগুটি পাশের ঘরে গেলেন।
    ঢুকে দুলাল ঘোষের টেবিল খুঁজে বার করলেন। টেবিলের কাছে গিয়ে দেখলেন একজন মোটাসোটা ভদ্রলোকের চেয়ারের দুপাশে দুজন বসে আছে। খুব সম্ভবত সহকর্মী হবেন। তারা নিজেদের মধ্যে কোন একটা ব্যাপার নিয়ে গুরুতর আলোচনায় ব্যস্ত। লালবিহারিবাবু তাদের একাত্মতায় কোন ব্যাঘাত করতে চাইলেন না। একটু দূরে দাঁড়িয়ে রইলেন এবং অপেক্ষা করতে লাগলেন তাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শেষ হওয়ার জন্য। দু একবার মৃদু গলা খাঁকারি দিয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলেন। কিন্তু কোন লাভ হল না। তারা তাদের বিষয়বস্তুতে নিবিড়ভাবে ডুবে রইলেন। তাদের ধ্যান ভঙ্গ হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা গেল না। লালুবাবু সাহস করে দু পা এগিয়ে গিয়ে মাঝখানের চেয়ারে বসা স্থূলকায় ব্যক্তিটিকে দুলাল ঘোষ বলে আন্দাজ করে তার দিকে তাকিয়ে ডান হাতের বুড়ো আঙুল আর তর্জনি এক করে বলে উঠলেন, ' একটু কথা ছিল ... '
    দুলালবাবু মুখ তুলে তাকালেন।
    --- ' হ্যাঁ ... আসুন ... '
    বাকি দুজন চেয়ার থেকে উঠে পড়লেন। একজন বললেন, ' ঠিক আছে, ওই কথাই রইল ... এখন সুধাংশুদার সঙ্গে কথা বলে দেখি ... তিনি তো এক মহাবোদ্ধা ... '
    --- ' ঠিক আছে কথা বল ... কথা বল ... তারপর নয় একদিন মিটিং ডাকা যাবে ... '
    সে দুজন চলে গেল, বোধহয় 'সুধাংশুদা ' -র সঙ্গে কথা বলতে।
    --- ' হ্যাঁ বলুন ... '
    --- ' ওই ঘরের বিপ্লব চক্রবর্তী মশাই আপনার কাছে পাঠালেন ... ' লালুবাবু সবিনয়ে নিবেদন করলেন।
    --- ' ও আচ্ছা আচ্ছা ... হ্যাঁ বলুন ... '
    লালবিহারিবাবু তার সামান্য আংশিক নির্মান সংক্রান্ত বক্তব্য পেশ করলেন।
    দুলাল ঘোষ সব শুনে টুনে বললেন, ' প্ল্যানটা নিয়ে আসলে ভাল করতেন। যাক, দেখে নেবেন একবার। তবে আমি শিয়োর ওটা আর নেই, রিনিউ করতে হবে। কুড়ি বছরের বেশি প্ল্যান থাকে না ... '
    --- ' ঠিক আছে আমি দেখে নেব। এঃহে ... খুব ভুল হয়ে গেছে ... প্ল্যানটা নিয়ে আসলে ভাল হত ... বুঝি না তো ঠিকমতো ... বলছি যে, এইটুকু ছোট কাজ রিনিউয়াল ছাড়া হয় না ? '
    --- ' না না ... ওটা ভুলেও করতে যাবেন না। মহা ফ্যাসাদে পড়ে যাবেন। ছোটকাজ বড়কাজ কোন ব্যাপার না, নিয়ম সব একই ... রুলস গত বছর থেকে খুব স্ট্রিক্ট হয়ে গেছে, বুঝলেন তো ... আইন মেনে কাজ করুন। 'রিকস্' কেন নেবেন মিছিমিছি ... কেন ফালতু হ্যারাসমেন্টে পড়বেন ? '
    --- ' হ্যাঁ ... তা তো ঠিকই। দেখি ... আচ্ছা আমি প্ল্যানটা নিয়ে কাল পরশুর মধ্যে আসব তা'লে ... '
    --- ' নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই। বারোটা থেকে তিনটের মধ্যে। আমার দিক থেকে আমি যতটা পারি করব ... '
    লালবিহারিবাবু বাড়ি ফিরে দেখলেন, তার বিল্ডিং প্ল্যান পাঁচবছর আগে তামাদি হয়ে গেছে। ভাবলেন, ওই দুলালবাবু তা'লে ঠিকই বলেছিলেন।
    সন্ধেবেলায় রাস্তায় গোপীনাথের সঙ্গে দেখা হল। সে বলল, ' কর্পোরেশন অফিসে গিয়েছিলেন নাকি স্যার ? '
    --- ' হ্যাঁ ... কাজ অনেকটা এগিয়েছে। ওখানে দুজন অফিসারের সঙ্গে কথা হল। খুব কোঅপারেটিভ। অমায়িক ব্যবহার .... '
    --- ' তাই নাকি ? যাক, কাজটা এখন ভালয় ভালয় হয়ে গেলেই ভাল ... '
    --- ' হ্যাঁ, অসুবিধে তেমন হবে বলে মনে হয় না, কিন্তু আমারই নির্বুদ্ধিতা, প্ল্যানটা এক্সপায়ার করে গেছে অনেকদিন, খেয়ালই করিনি ... '
    --- ' তাতে কি হল ? আপনি কি কোন ঢালাইয়ের
    কাজ করছেন ... প্ল্যান এক্ষুণি রিনিউ করতে হবে কেন ? '
    গোপীনাথ জানায়।
    --- ' কি জানি, তাই তো বলল ... ওরা ডিপার্টমেন্টের অফিসার, নিশ্চয়ই নিয়ম কানুন ভালমতো জানা আছে ওদের ... বলল, রুলস খুব স্ট্রিক্ট হয়ে গেছে গতবছর থেকে ... '
    --- ' তাই নাকি ? হবে হয়ত ... নিয়মকানুন নিশ্চয়ই ভালমতো জানা আছে কর্তাদের। খুব কোঅপারেটিভ বললেন তো ... '
    --- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... '
    --- ' ঠিক আছে দেখুন দু একদিন ... সহযোগিতা নিশ্চয়ই পাবেন। তবে বেশি এনার্জি মেপে খরচ করবেন। অনর্থক খরচ করবেন না ... '
    লালবিহারিবাবু মনে হয় ঠিক বুঝলেন না গোপীনাথের কথাগুলো।
    বললেন, ' বটেই তো ... বটেই তো ... দেখি কালকেই মনে হয় ব্যাপারটা মিটে যাবে ... '
    --- ' হ্যাঁ ... তা যেতে পারে ... কিছুই অসম্ভব নয় ... অঘটন আজও ঘটে পৃথিবীতে। আসি এখন স্যার ... '

    পরদিন দুটো নাগাদ লালবিহারিবাবু দলিল দস্তাবেজ নিয়ে তেতলায় দুলালবাবুর ঘরে পৌঁছলেন। ঘরে ঢুকে দেখলেন দুলালবাবু চেয়ারে নেই।
    পাশের টেবিলের ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসা করলেন, ' ইনি আসেননি ? '
    --- ' হ্যাঁ হ্যাঁ এসেছে। কোন কাজে বেরিয়েছে বোধহয়। ওয়েট করুন, এসে যাবে। আপনার আসার কথা ছিল ? '
    --- ' আজ্ঞে হ্যাঁ ... কাল এসেছিলাম আমি ... '
    --- ' তা'লে এসে যাবে। একটু ওয়েট করুন ... '

    লালুবাবু বাইরে প্যাসেজে পাতা বেঞ্চে গিয়ে বসলেন এবং লক্ষ রাখতে লাগলেন দুলাল ঘোষ কখন ঢোকেন। এই ভাবে প্রায় এক ঘন্টা কাটল। একবার ঘরের ভিতরে গিয়ে চারদিকে চোখ ঘুরিয়ে দেখে এলেন দুলালবাবু এখানে ওখানে কোথাও আছেন কিনা। কোন লাভ হল না। তিনি একবার পাশের ঘরে গিয়ে বিপ্লব চক্রবর্তীর টেবিলে গেলেন। দেখা গেল, বিপ্লববাবু তাকে ভোলেননি।
    বললেন, ' হ্যাঁ, বলুন স্যার ... কাজ হয়েছে ? '
    --- ' আরে না না ... ইয়ে কখন থেকে বসে আছি। দুলালবাবু যে কোথায় গেলেন ... কাগজপত্র নিয়ে এসেছিলাম ... '
    --- ' ওঃহো ... কি মুশ্কিল .... আউটডোর ইন্সপেকশান পড়েছে নিশ্চয়ই। ঠিক আছে, আর একটু দেখুন ... অফিসে ফিরবেই ... '
    লালুবাবু অগত্যা আবার বাইরের বেঞ্চে গিয়ে বসে রইলেন দুলাল ঘোষের জন্য অধীর প্রতীক্ষায়। উন্মুখ হয়ে নজর রাখতে লাগলেন প্রতিটি প্রবিষ্ট এবং নিষ্ক্রান্ত মানুষের চলাচলের ওপর।

    চারটে বেজে গেল। এই সময়ে বিপ্লব চক্রবর্তী একবার বাইরে এলেন। মনে হচ্ছে নীচে যাবেন কোন দরকারে।
    লালবিহারিবাবুকে দেখে বললেন, ' আরে, আপনি এখনও বসে আছেন ! কি মুশ্কিল ... আপনি এক কাজ করুন, আজ আর ওয়েট করার দরকার নেই। আপনি কতক্ষণ বসে থাকবেন, বয়স্ক মানুষ ... কাল ফার্স্ট আওয়ারে চলে আসুন। ওই সময়ে ওকে পাবেনই ... '
    --- ' ফার্স্ট আওয়ার মানে, কটা নাগাদ ? '
    --- ' এই ধরুন ... সাড়ে দশটা ... '
    --- ' আচ্ছা ঠিক আছে, কালকেই তা'লে ফার্স্ট আওয়ারে ... আপনার সঙ্গে ওনার দেখা হলে একটু বলে রাখবেন কাইন্ডলি ... '
    --- ' নিশ্চয়ই বলব ... নিশ্চয়ই বলব ... অ্যাই গৌতম এদিকে শোন ... অ্যাসেসমেন্টের দুলালদার সঙ্গে দেখা হলে বলে রাখিস তো ... এই প্রফেসর ভদ্রলোক সেই কখন থেকে বসে আছে ... আজ ডকুমেন্ট সাবমিট করার কথা ছিল ... '
    গৌতম বলে ছেলেটা পান খাচ্ছিল। পান চিবোতে চিবোতে মুখে পানের পিক সামলে হাত তুলে আশ্বস্ত করে বলল, ' ঠি... আচে ঠি...আচে... '
    লালুবাবু ছেলেটির দিকে তাকিয়ে বলল, ' একটু দেখবেন ভাই ... '
    গৌতম বোধহয় এসবে অভ্যস্ত। সে আবার হাতের ইশারায় আশ্বস্ত করে বলল, ' উঁ ... উঁ ... হুঁ হুঁ হুঁ ... ঠি... আহে ঠি... আহে ... '

    রাত নটা নাগাদ প্রেসারের ওষুধ কিনতে বেরিয়ে গোপীনাথের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। ও বোধহয় গৌরাঙ্গর চায়ের দোকানে আড্ডা মারতে যাচ্ছিল। লালবিহারিবাবু কর্পোরেশান অফিসে তার আজকের সারাদিনের অভিজ্ঞতা অকপটে বর্ণনা করলেন।
    গোপীনাথ বলল, ' ঠিক আছে স্যার। যেতে যখন বলেছে কালকের দিনটা যান। কিন্তু এরপর আর এত কষ্ট করবেন না। কোন লাভ হবে না। যষ্মিন দেশে যথাচার ... না কি একটা কথা আছে না ? '
    --- ' যথাচার না, যদাচার ... '
    --- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... ওটাই ওটাই। শেখার তো কোন বয়স নেই ... '
    --- ' মানে ? '
    --- ' না কিছু না ... কালকে ওখান থেকে ঘুরে আসুন, আর কিছু না হোক অভিজ্ঞতা তো হচ্ছে। তবে আপনি একজন ভাল মানুষ। আমি চাই না আপনার আর বেশি অভিজ্ঞতা হোক ওখানে গিয়ে ... '
    --- ' মানে ? ওরা যে বলল ... '
    --- ' ঠিক আছে স্যার ... বলেছে যখন কালকের দিনটা যান। কিন্তু তার পরে আর ওখানে যেতে দেব না আপনাকে ... '
    লালুবাবু গোপীনাথের কথাগুলো ঠিক ধরতে না পেরে তার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
    গোপীনাথ বলল, ' ঠিক আছে স্যার, কালই তো আবার দেখা হবে। আমি আছি আপনার জন্য ... '

    ( চলবে )

    *******
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন