এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড) - ৪

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২২ মার্চ ২০২৫ | ৬৭ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০
    ( ৪ )

    মধুমিতা ঘরে ঢুকে বলল, ' এমনি এলাম ... মাসির কাছে এসেছিলাম ... ভাবলাম একটু দেখা করে যাই ... '
    পাঁচ ছ' বছরে মধুমিতার চেহারা বিশেষ বদলায়নি। প্রায় একইরকম মসৃন উজ্জ্বল আছে। মধুমিতার এখনও বিয়ে থা হয়নি সেটা এরা সবাই জানে। এ বাড়িতে এল প্রায় এক বছর পরে। তার হাতে কি একটা বেশ মোটা বই রয়েছে। কোন বাংলা উপন্যাস মনে হচ্ছে। বইটা বুকের কাছে চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছে। চোখে মুখে সহজ সারল্য।
    অতীশ বলল, ' বসুন ... ইয়ে ... বস না ... '
    মধুমিতা একটা চেয়ারে বসে পড়ল। দুর্বার কি বলবে ভেবে পাচ্ছিল না। অনেক ভেবে চিন্তে বলল, ' অনেক দিন পরে দেখা হল ... '
    মধুমিতা হেসে বলল, ' হ্যাঁ ... ভীষণ বিজি থাকতে হয় ... '
    --- ' কেন কি ... '
    --- ' এম ফিল করছি। এখনও বছরখানেক লাগবে মনে হচ্ছে। স্যার তেমন সময় দিতে পারছে না ... '
    চারজনই মধুমিতার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। কি বলবে ভাবছে। মধুমিতা বইটা কোলের ওপর রেখেছে। মলাটটা দেখা যাচ্ছে এবার। বইয়ের নাম সাহেব বিবি গোলাম।
    সুভাষ জ্যাঠামশাইসুলভ ভঙ্গীতে বলল, ' ভাল ভাল ... পড়াশোনার মধ্যে থাকা ভাল। আইডল ব্রেন ইজ ডেভিলস ওয়ার্কশপ ... '
    মধুমিতা স্বাভাবিক সহজ স্বরে বলল, ' সেই ... একটা কিছু তো করতেই হয় ... বিয়ের পর তো আর কিছু করা মুশ্কিল... '
    সুভাষ বলল, ' তা ... যোগাযোগ চলছে নাকি ? সম্বন্ধ দেখব নাকি ? '
    দুর্বার বিরক্ত হয়ে বলল, ' আঃহা... থাক না ওসব ... পার্সোনাল ব্যাপার... তুমি পারও বটে ... জানই তো ওর বিয়ের ঠিক হয়ে আছে এক জায়গায়। আমেরিকা থেকে ফিরলেই.... তাই তো ? '
    মধুমিতা এ কথার কোন উত্তর দিল না। সম্পূর্ণ অন্য প্রসঙ্গে চলে গেল।
    বলল, ' আমাদের শিমূলতলা ট্যুরটা দারুণ হয়েছিল, না ? '
    সুভাষ আবার একটা আলটপকা কথা বলে বসল, ' গন্ডগোলের সূত্রপাত তো ওখান থেকেই... '
    মধুমিতা অবাক হয়ে বলল, ' গন্ডগোল ! কিসের গন্ডগোল ? আসার সময় ট্রেনের রিসার্ভেশান নিয়ে একটু প্রবলেম হয়েছিল সেটা তো সলভড হয়ে গেল ... '
    দুর্বার বলে উঠল, ' আরে না না ... ওসব না ... কি বলব ... '
    দুর্বার আর চুপ করে থাকতে পারল না। বলল, ' সুভাষদা, তুমি কিন্তু বড্ড বাড়াবাড়ি করে ফেলছ ... এবার লাগাম টান ... '
    --- ' কেন ... কেন, আমি কি এমন ... '
    --- ' সেটা তুমি নিজেই ভেবে দেখ না ... '
    --- ' দেখ ... দুর্বার... তুই কিন্তু এখন বিবাহিত। খোঁটায় বাঁধা। সেই তখনকার মতো ছাড়া বলদ নোস... '
    এসব খরখরে গ্রাম্য কথা শুনে মধুমিতা বিস্মিত চোখে একবার এর মুখের দিকে আর একবার ওর মুখের দিকে তাকাতে লাগল।
    সেটা দেখে দুর্বার অত্যন্ত বিব্রত বোধ করতে লাগল। তার মাথা গরম হয়ে গেল। এটা সিপিএম এম, কংগ্রেসের সমর্থনজনিত উচ্চৈস্বর নৈর্ব্যক্তিক তর্কাতর্কির ব্যাপার না। একেবারে ব্যক্তিগত জীবনের ব্যাপার।
    মাথার ঠিক না রাখতে পেরে দুর্বার বলে উঠল, ' ছোটলোকের মতো কথা বোল না ... আমরা ভদ্রলোকের ছেলে ... '
    --- ' মুখ সামলে কথা বল। জুতিয়ে মুখ ভেঙে দেব ... ' সুভাষ চোখ মুখ লাল করে চেঁচিয়ে ওঠে।

    বিনয় আর অতীশ এতক্ষণ মজা দেখছিল। কিন্তু অতিথির সামনেই ঘটনা এরকম বিষাক্ত হয়ে উঠতে বিনয় আর চুপ করে থাকতে পারল না।
    বলল, ' আরে .... কি হচ্ছে কি .... তোমরা চুপ কর বলছি। চুপ কর চুপ কর ... ছি ছি ছি ... আমরা কি ভদ্রলোকের ছেলে ! '
    ঘুমকাতুরে অতীশ বলল, ' কোন মানে হয় ? কি এসব ... দূর দূর ... একজন মহিলার সামনে ... মান ইজ্জত বলে কিছু আর রইল না ... '
    বলে, মধুমিতার দিকে তাকিয়ে হাতজোড় করে বলল, ' কিছু মনে করবেন না ... আমাদের ক্ষমা করুন ... ইয়ে কর ... '

    মধুমিতা এই বিচিত্র বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে ভীষণ হকচকিয়ে গেল। দুর্বার সম্বন্ধে কোন রোমান্টিক আবেশ যদি একসময়ে থেকেও থাকে তা এখন সময়ের উত্তাপে পুরোপুরি শুকিয়ে গেছে। সে যার বাগদত্তা বলে অনেকে জানে সে ছেলেটিও কোন কারণে তার জীবন থেকে সরে গেছে। মধুমিতা এখন লেখাপড়া নিয়েই নিজেকে ব্যস্ত রাখে।
    সে ভীষন বিব্রত হয়ে উঠে দাঁড়াল।
    বলল, ' সরি সরি ... আমি এখানে আসাতেই বোধহয় এসব হল। সরি ... ভেরি সরি ... আসছি আমি ... ', বলে দ্রুতবেগে বেরিয়ে গেল এই গোলমালের কারণ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অন্ধকারে থেকে।
    মধুমিতা বেরিয়ে যাবার পর দুর্বার বলল, ' সুভাষদা, তুমি যে এরকম লো লেভেলের মানুষ সেটা কিন্তু আগে বুঝিনি। নিজেকে খুলে দেখালে একেবারে ... '
    --- ' অ্যাই... চুপ বলছি ... একদম চুপ। বিয়ে হয়ে গেছে, এখনও চুলকানি গেল না ... আবার বড় বড় কথা ... ' সুভাষ এই রকম গা জ্বালানো নানা কথা বলতে লাগল দুর্বারের উদ্দেশ্যে।
    দুর্বার কিন্তু এবার উত্তেজিত হল না।
    শান্ত গলায় বলল, ' ব্যাপারটা আমি বুঝতে পেরেছি সুভাষদা। মধুমিতাকে নিয়ে এটা তোমার সেক্সুয়াল জেলাসি আমার ওপর। ও আমার কাছাকাছি আসলেই তুমি রেস্টলেস হয়ে যাও। নিজেকে কন্ট্রোল করতে পার না। অ্যাকিউট সাইকিয়াট্রিক ডিজিজ। চিকিৎসার দরকার ... যাও গিয়ে চিকিৎসা করাও ... ডাক্তার দেখাও ... '
    --- ' তবে রে শালা .... যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা ... ওরে আমার ডাক্তারের বাচ্চা ... ', সুভাষ আবার ক্ষেপে ওঠে।
    বিনয় এবং অতীশ বাধ্য হয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্রে নেমে দু পক্ষকেই নিরস্ত করার চেষ্টা করতে থাকে। ওরা চেষ্টা করতে থাকুক কিন্তু একজন নির্দোষ ও দুরভিসন্ধিহীন নারীকে কেন্দ্র করে যে সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত একটা ফাটল তৈরি হয়ে গেল এ ঘরের দুই বাসিন্দার মধ্যে তা আর কোনদিন জোড়া লাগবে কিনা সেটা একটা জটিল প্রশ্ন।

    বাসন্তীদেবী আজ সকাল সকাল উঠে পড়েছেন।
    আজ বাড়িতে সত্যনারায়ণ পুজো। পুরোহিত মশাই সকাল নটায় এসে যাবেন বলেছেন। আজ পাঁজিতে কোন একটা বিশেষ দিন আছে বোধহয়।
    আশপাশের অনেক বাড়ি থেকে শাঁখ ঘন্টার আওয়াজ আসছে। তাদের ক্রিয়াকর্ম মনে হয় ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। পাশের বাড়ি থেকে কোন এক পুজারির চেরা বাঁশের মতো গলায় মন্ত্র বলার আওয়াজ ভেসে আসছে।
    বাসন্তীদেবীর বয়স সত্তর বছর পেরিয়ে গেছে। বিয়ে হয়েছে বাহান্ন বছর আগে। তিনি এই বাড়িতে এখন পর্যন্ত অন্তত পঞ্চাশটি সত্যনারায়ণ পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা, তার শ্বাশুড়ির আমল থেকে।
    আজ সুমনা আর প্রতিবিম্বর আসবার কথা ছেলেকে নিয়ে। বড় মেয়ে চন্দনাও এসেছে। তবে একা এসেছে। আজ কাজের দিন। জামাইয়ের অত সময় নেই। মেজ মেয়ে কলকাতার বাইরে। আসবার প্রশ্নই ওঠে না। আরও দু চারজন আত্মীয়, অলোকেন্দুবাবুর নিয়মিত মক্কেলদের মধ্যে অনেকে আজ দুপুরে খাওয়া দাওয়া করবে।
    পুজো আচ্চার অনুষ্ঠান এ বাড়িতে মহা উৎসবের চেহারা নেয়। কানাই সিকদার উপস্থিত হয়েছে।
    সুমনারা তিনজন একসঙ্গে এল বটে, তবে পুজোর ব্যাপারে তাদের তেমন উৎসাহ বা আগ্রহ দেখা গেল না। প্রতিবিম্ব হিন্দুস্থান লিভারে নতুন চাকরিতে ঢুকেছে, সিনিয়র সায়েন্টিস্ট হিসেবে। সুমনা বলল, ' মা, ওকে তো অফিসে যেতে হবে। বেশিক্ষণ থাকতে পারবে না। নতুন চাকরি ... রাত্রে আসবে'খন ... '
    বাসন্তীদেবী বললেন, ' ওমা, সে কি কথা গো .... হলই বা নতুন চাকরি ... বাড়ির জামাই শান্তির জল না নিয়ে চলে যাবে ... '
    সুমনার ছেলের কাছে মামার বাড়ি অতি পরিচিত। সে এখানে অনেক দিন কাটিয়েছে,বাবা যখন বিদেশে ছিল। সে সারা বাড়িতে ছোটাছুটি করে বেড়াতে লাগল পরমানন্দে।
    অলোকেন্দুবাবু সামনের মাসে আশিতে পড়বেন।তিনি একটা সেগুন কাঠের আরামকেদারায় বসেছিলেন। এখনও একইরকম কর্মক্ষম আছেন। কথাবার্তার সরসতাও একটুও নষ্ট হয়নি।
    তিনি বললেন, ' শান্তির জল নিতে গিয়ে অফিসের অশান্তির বৃষ্টি ডেকে আনা কি ঠিক হবে ... '
    কয়েক বছর আগে হলে হয়ত এই নিয়ে স্বামীর কান্ডজ্ঞানহীনতাকে ভর্ৎসনা করতেন বাসন্তীদেবী। কিন্তু তিনি আজকাল অনুভব করতে পারেন, দিনকাল আর আগের মতো নেই। ভাব গতিক সব কেমন যেন উল্টোপাল্টা হয়ে গেছে।
    বাসন্তী বিশেষ কিছু বললেন না। শুধু বললেন, ' দেখ মা ... তোমরা যা ভাল বোঝ ... আমরা আর কি বুঝি ... সময় তো হয়েই এল ... আর তো ক'টা দিন ... '
    চন্দনা বলল, ' মা ... তুমি এসব কি বলছ ? উঁচু পোস্টে কাজ করলে কাঁধে অনেক দায়িত্ব থাকে।
    তুমি ওসব বুঝবে না ... বোঝা সম্ভব না ... '
    কথা হয়ত আরও গড়াত। ঠিক এই সময়ে পুরোহিত মশাইয়ের আগমন ঘটল। অলোকেন্দুবাবু বলেন, ' এই তো চক্রবর্তীবাবু এসে গেছেন ... নাও, গুছিয়ে নাও তাড়াতাড়ি। হোমকুন্ডটা বার করা হয়েছে তো ... '
    দিবাকর বলল, ' হ্যাঁ স্যার ... বার করা হয়েছে। হোমের কাঠও নিয়ে এসেছি ... '
    প্রতিবিম্ব বলল, ' আমি তাহলে আসি ... দেরি হয়ে যাচ্ছে। রাত্রে আসব আবার ... '
    অলোকেন্দুবাবু বললেন, ' ঠিক আছে প্রতিবিম্ব। কাজের ক্ষতি কোর না। কাজই হল লক্ষ্মী ... এসব কোন ব্যাপার না। সময় বয়ে চলে গেলে তাকে আর ফিরিয়ে আনা যায় না ... '
    স্বামীর এসব তত্ত্বকথা বোঝার অভ্যাস বাসন্তীদেবীর নেই।
    তবে তিনি আর জলঘোলা করলেন না। বললেন, ' ঠিক আছে বাবা... সাবধানে যেও ... '

    ( চলবে )
    ******
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন