এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড ) - ৩৯

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ জুলাই ২০২৫ | ২৮ বার পঠিত
  • ( ৩৯ )

    বিভূতিবাবুর জ্বর আজ নিয়ে চারদিনে পড়ল। নীতিন বিশ্বাস পুরণো দিনের ডাক্তার। পঁচাশি বছরে পদার্পণ করেছেন গত মাসে। এখনও আগেকার দিনের মতো লাল রঙের মিক্সচার দেন। সঙ্গে পেন্টিডস ফোর হানড্রেড জাতীয় কোন বড়ি। স্টেথোস্কোপ কানে লাগিয়ে শরীরের ভিতরের যাবতীয় নাড়িনক্ষত্রের খোঁজখবর পেয়ে যান। কোন এক্সরে টেক্সরের ধার ধারেন না। চতুর্থ দিন দুপুরের পর থেকে শরীরের তাপ খানিক কম মনে হচ্ছে। বিভূতিবাবু কিছুক্ষণ উঠে বসেও থাকলেন।
    একটু পরে অবশ্য অবসন্নতা বোধ করায় আবার শুয়ে পড়লেন। তবে পরের দিন সকাল বেলাতেই শরীরের তাপমাত্রা একদম নেমে গিয়ে সাড়ে সাতানব্বই হয়ে গেল। রমার মুখ থেকে দুশ্চিন্তার মেঘ অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গেল। সে বলল, ' আর যদি জ্বর না আসে কাল উচ্ছে ভাজা দিয়ে ভাত দেব।
    --- ' হ্যাঁ ... জ্বর থেকে উঠে ভাতের সঙ্গে উচ্ছে ভাজা খুব ভাল লাগে ... '
    পরশুদিন সন্ধেবেলায় গঙ্গাপ্রসাদ এসে দেখে গেছে বিভূতিবাবুকে। বিভূতিবাবুর গায়ে তখন খুব জ্বর।
    চোখ বুজে শুয়ে আছেন। মৃদুস্বরে নাক ডাকছে। এর মধ্যে একবার চোখ খুললেন। জ্বরতপ্ত একটু লালাভ ভেজা ভেজা চোখ। ঘোর লাগা চোখে সামনে গঙ্গাকে দেখে তার চিনতে কিন্তু কোন অসুবিধে হল না। তার মনে হল একটা নদীর মাঝখানে জলে দুলতে থাকা একটা নৌকোয় দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। নদীর পাড়ে গঙ্গাপ্রসাদ দাঁড়িয়ে তাকে বারবার হাত নেড়ে নেড়ে পাড়ের দিকে ফিরে আসতে বলছে। বিভূতিবাবু বিড়বিড় করে বললেন, ' তুই বাড়ি যা গঙ্গা .... আমার জন্য দাঁড়িয়ে থাকিস না। আমি বোধহয় আর ফিরতে পারব না। সময় হয়ে গেছে .... '
    গঙ্গা কিংকর্ত্তব্যবিমূঢ় হয়ে নির্বাক অবস্থায় দাঁড়িয়ে রইল। একটু পরে একবার বলল, ' কি করতে হবে যদি বলেন ... ডাক্তারবাবুকে ডাকি তা'লে ... '
    বিভূতিবাবুর ছেলে বলল, ' না ... তার দরকার নেই .... এই তো একটু আগে রিপোর্টিং করে এলাম। বলল যে, ভয় পাবার কিছু নেই। অপেক্ষা করুন। অত ব্যস্ত হবেন না। আশা করি কালকেই রেমিশান হয়ে যাবে ... '
    গঙ্গার মনে কিন্তু কোন আশার দীপ জ্বলল না। সে আর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ' আমি তা'লে এখন আসি ... দেখি কি করা যায় ... '
    এরপরের এক ঘন্টায় দফায় দফায় পাড়ার লোক আসতে লাগল উৎকন্ঠিত চিত্তে। খবরের সূত্র যে গঙ্গাপ্রসাদ এটা অনুমান করার জন্য কোন পুরষ্কার নেই। দুর্বার, সুভাষরাও মাঝে মাঝে যাতায়াত করছে এবং 'কোন দরকার হলে বলবেন মাসীমা ' বারংবার বলেছে।
    কিন্তু আজ সকাল থেকেই যেন মেঘ কেটে গিয়ে আলোর আভা ফুটল। বিভূতিবাবুর শরীর থেকে জ্বরের জ্বালা জুড়িয়ে গেছে মনে হচ্ছে। মাথাও একদম হাল্কা লাগছে। সকাল আটটা নাগাদ পরিবারের এবং আরও অনেকের উৎকন্ঠার অবসান ঘটিয়ে বিভূতিবাবু বিছানায় উঠে বসলেন এবং একজন বালকের মতো বললেন, ' আজ কিন্তু ভাত খাব ... '
    রমাদেবী বললেন, ' ওমা, সে কী কথা ! অন্তত আজকের দিনটা দেখি ... ' বলে থার্মোমিটার নিয়ে এসে বললেন, ' নাও ... লাগাও দেখি ... '
    বিভূতিবাবুর মনে হল তিনি যেন কতদিন ভাত খাননি। জ্বরের ঘোরটা তার কাছে জীবন মৃত্যুর মাঝখানে দোল খাওয়া একটা স্বপ্নের মতো মনে হতে লাগল। এরকম আগে কখনও হয়নি তার। জ্বরজারি তো তার আগেও অনেক হয়েছে। হয়ত তার অবচেতনে একটা মৃত্যু ভয় বাসা বেঁধেছে। সুরেশ্বর মল্লিক চলে যাবার পর থেকে বিভূতিবাবুর শিরায় একটা অদ্ভূত কাঁপন জন্ম নিয়েছে। সেটা বুকের তলায় চাপা থাকে ঠিকই, কিন্তু কখনো কখনও দীঘির সবজে জলে হাওয়ার স্পর্শে জেগে ওঠা তরঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ে।

    আরও ঘন্টাখানেক বাদে ঘরের বাইরে থেকে কে একজন বলল, ' ভেতরে আসব ? '
    বিভূতিবাবু ঠিক চিনতে পারলেন গলাটা। বললেন, ' সাগর এসেছে ... '
    রমাদেবী ঘর থেকে বেরিয়ে বাঁদিকে তাকিয়ে দেখলেন, সাগর এবং এক মহিলা দাঁড়িয়ে আছে। রমাদেবী আন্দাজ করলেন, এ নিশ্চয়ই সাগরের স্ত্রী রাত্রি। নাম শুনেছেন রমা। তবে ওদের সঙ্গে মাথায় সিঁদুর পরা আরও একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। রমা তাকে একেবারেই চিনতে পারলেন না।
    যাই হোক, তিনি সাগরের দিকে তাকিয়ে বললেন, ' ' এস এস ... '
    ওরা তিনজন ঘরে ঢুকল। বিভূতিবাবু বললেন, ' আরে তোমরা আবার কষ্ট করে ... আমি এত সহজে যাব না ... আরে ! পটলের বউ না ? '
    অল্পবয়সী মেয়েটি মুখ ভরিয়ে হেসে নিল একটু, তারপর বলল, ' আপনি এখন কেমন আছেন জ্যাঠামশাই... ও পাড়ার একজনের মুখে শুনলাম ... দাদারা আসছিল, আমি বললাম আমিও যাব ... '
    বিভূতিবাবুর চোখে জল এসে যাচ্ছিল। তিনি কোনরকমে সামলে নিলেন সেটা।
    বললেন, ' ক'দিনের জন্য বিছানায় না পড়লে জানতেই পারতাম না আমার জন্য চিন্তা করার এত লোক আছে। তাও মাত্র চারদিনের অসুখ। আমার মতো একজন অকিঞ্চিৎকর মানুষের জন্যও এত জন ভাবে ... এ পৃথিবীতে যা ঘটে সব কিছুরই বোধহয় একটা উদ্দেশ্য থাকে ... '
    রমাদেবী মনে মনে ভাবলেন, বা...বা, ইনি আবার এত দার্শনিক হয়ে উঠলেন কবে থেকে। কালী ব্যানার্জীর মতো ডায়লগ দিচ্ছে। সে দিক, মানুষটা বেঁচে বর্তে থাক আরো অনেকদিন।
    রমাদেবী সাগরের আগমনে যে খুব খুশি হয়েছেন তা নয়, সাগরের সম্পর্কে এখনও ছুতমার্গ আছে তার। তবু বিভূতিবাবুর প্রতি তার টান দেখে ভাল লাগল রমাদেবীর।
    বিভূতিবাবুর সাগরকে বললেন, ' যাক, তবু এই উপলক্ষে আসা হল আমার বাড়িতে। কি আর বলব ... এরকম এস মাঝে মাঝে। আর ক'দিনই বা আছি ... মনে হচ্ছিল হয়ত এবারেই... '
    রাত্রি বলল, ' তা বললে হবে না মেসোমশাই ... আপনাকে আমরা এত তাড়াতাড়ি ছাড়ছি না ... আপনাদের মতো মানুষ চলে গেলে আমরা খুব ফাঁকা হয়ে যাব ... '
    বিভূতিবাবু বিষণ্ণ হাসি হেসে মাথাটা নীচু করে বললেন, ' কি যে বল তোমরা ... কি আর করতে পারলাম জীবনে ... এখন মনে হয় আবার যদি প্রথম থেকে শুরু করতে পারতাম ... তোমার কর্ত্তা যা করে গেল তাকে বহু লোক চিরকাল মনে রাখবে, যে যা বলে বলুক ... আমি মানি না ... '
    বলে আড়চোখে তাকালেন রমার দিকে। রমাদেবী অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন।

    অনেকদিন পর বাংলায় একটা আটচল্লিশ ঘন্টার বনধ্ ডাকা হয়েছে। মোনা মজুমদার সাগরের দোকানে বসে ছিল। সিগারেটে টান দিতে দিতে বলল, ' ওরা একটা স্ট্রাইক ডেকেছে জানিস তো ? '
    --- 'হ্যাঁ ... আটচল্লিশ ঘন্টার। কি করবে ভাবছ ? '
    --- ' দূর ...আমার কি ? যারা মাথা তারা বুঝবে। আমি মুড়োও নই, দাগাও নই... ল্যাজা হলেও হতে পারি। এমনিতেই যেতে হবে এবার ... বারবার তো আর বাহাত্তর করা যাবে না। তবে, আগে যা বলেছিলাম, এখনও তাই বলছি ... আমি পার্টি ছাড়ব না। দশ বছর বাদে বাংলায় কংগ্রেস পার্টি চালাবার লোক পাওয়া যাবে কিনা ভেবে দেখতে হবে। কিন্তু মনে রাখিস এটা একটা ন্যাশনাল পার্টি। কোন রাজ্যের মধ্যে বাঁধা থাকা পার্টি নয় ... '
    --- ' হমম্ ... তা তুমি কি করবে ভাবছ ? '
    --- ' কি ব্যাপারে ? '
    --- ' ইলেকশানে হেরে গেলে কি করবে ভাবছ ? '
    --- ' কে হেরে গেলে ... পার্টি ? '
    --- ' হ্যাঁ '
    --- ' ওই তো .... বললাম তো ... আমি কংগ্রেস ছাড়ব না। রাজনীতিও ছাড়ব না, যদ্দিন বাঁচব ... '
    --- ' সেটা তো শুনলাম। বলছি যে, তখন তো হাতে অনেক সময় পাবে। ক'জন মিলে তখন বসা যেতে পারে ... '
    --- ' কেন ? নতুন কিছু একটা করা যায় যদি ... নিখিল স্যার যেগুলো আমাদের শিখিয়ে গেছেন ...'
    মোনা মজুমদার কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন সাগরের মুখের দিকে। বোধহয় সাগরের প্রস্তাবটার মানে বোঝার চেষ্টা করছেন।
    একটু পরে বললেন, ' ও, বুঝেছি ... '
    একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, ' নারে, ওসব স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দে সাগর। ওসব এ দেশে কোনদিন হবে না। কিছু করতে গেলে মিছিমিছি কষ্ট পাবি। দেশের লোকের থেকেই কষ্ট পাবি ... এদের তুই এখনও চিনিসনি ... '

    ( চলবে )

    ************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন