এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড )  - ৭  

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৬ মার্চ ২০২৫ | ৬০ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০
    ( ৭ )

    সকাল পৌনে দশটা নাগাদ মোনাবাবু আর সাগর এসে গুলু ওস্তাগর লেনে চায়ের দোকানে এসে বসল। রাস্তার ওপারে স্কটিশ চার্চ স্কুলের সামনে জমজমাট, কলরবমুখর। স্কুল বসতে চলেছে। উঁচু নীচু নানা ক্লাসের ছেলেপুলেরা হরিণের মতো নিষ্পাপ ভঙ্গীতে সামনের গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকছে।
    তারা হয়ত শুনেছে এখন জরুরী অবস্থা না কি একটা চলছে, যেটা নিয়ে তাদের মাথা ঘামাবার কথা নয়। যাদের মাথা ঘামাবার তারা মাথা ঘামাচ্ছে।
    মোনাবাবু বললেন, ' কই কোথায় সব ... কেউ আসেনি এখনও ? '
    --- ' একটু বসুন ... বাবুরা এসে পড়বে এখনই ...আপনার কি আসার কথা ছিল দাদা ? '
    মোনা আপন মনে বলল, ' অ্যাপয়েন্টমেন্টের কথা জিজ্ঞেস করছে নাকি শালা ... কানের গোড়ায় দুটো দিলে বুঝে যাবে ... '
    --- ' আরে হ্যাঁ হ্যাঁ ... কথা আবার কি ... ক'টায় আসে ক'টায় ? '
    --- ' কে প্রতাপদা ? '
    --- ' হ্যাঁ হ্যাঁ ... '
    দোকানদার খুব সম্ভবত প্রতাপের বাপের বয়সী হবে। সে বলছে প্রতাপদা। কেঁচো আর কাকে বলে ...
    --- ' এই ধরুন ... দশটা সাড়ে দশটা নাগাদ। অনেক কাজ থাকে তো ওনার ... '
    মোনা মজুমদার আবার মনে মনে বলল, ' ওরে আমার কাজের ভগীরথ রে ... হরিদাস পাল ... ইয়েতে নেই চাম, মুখে হরেকৃষ্ণ নাম ... শান্তির ছেলে ... '
    চাওয়ালা মোনাদের 'প্রতাপদা'-র অতিথি অনুমান করে যথাসাধ্য আপ্যায়নের চেষ্টা করল।
    --- ' তা স্যার ... আপনারা ততক্ষণ চা টা খান না।
    দেব নাকি ? '
    --- ' দাও দেখি দুটো ... ' '
    --- ' বিস্কুট ? '
    মোনা মজুমদার তার সঙ্গীর দিকে তাকাল তারপর হাত নেড়ে বলল, ' না না ... লাগবে না ... শুধু চা ...'

    এই সময়ে দোকানদার সনৎ রাহা ছাঁকবার জন্য সসপ্যান থেকে ন্যাকড়ায় চা ঢালতে ঢালতে সামনের দিকে তাকিয়ে বলল, ' ওই তো আসছে ...'
    মোনা সামনের দিকে তাকিয়ে দেখল প্রতাপ ধর আসছে। সঙ্গে কালকের সেই দেবাশিস বলে ছেলেটা রয়েছে। মনোরঞ্জন ভাবল, এ তো দেখছি পার্মানেন্ট চামচা।
    প্রতাপ মোনাকে দূর থেকে দেখেই হাসল। মোনা চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দিল নির্বিকারভাবে।
    প্রতাপ কাছে এসে পড়ল মুখে এক গাল হাসি নিয়ে।
    বলল, ' আমি এটাই ভাবছিলাম ... '
    --- ' কি ? '
    --- ' জানতাম তুমি আজকেই আসবে ... '
    --- ' কি করে জানলে ? '
    --- ' না ... মানে গেস করে নিলাম। তোমরা পুরনো লোক। না এসে যাবে কোথায় ? আর কোথায় যাবার আছে ? '
    মোনা মজুমদার ভ্রু ওপরে তুলে প্রতাপের দিকে তাকিয়ে রইল।
    --- ' আচ্ছা ... তাই নাকি ? '
    প্রতাপ বেঞ্চে বসে পড়ল। বলল, ' কি আর বলব ? সবই তো বোঝ। তুমি নিশ্চয়ই ইন ক্লাব জিন্দাবাদের দলে যাবে না ... '
    সাগর একটাও কথা না বলে চুপচাপ চা খাওয়া শেষ করে কাপটা একপাশে নামিয়ে রাখল।
    প্রতাপ সাগরের দিকে দেখিয়ে মোনাকে চোখের ইশারায় বলল, ' তোমার ওয়ার্ডের নাকি ? '
    মোনা সংক্ষেপে বলল, ' হুঁ ... সেরকমই ... '
    প্রতাপের কাছে কথাটা পরিষ্কার হল না। সে একটু চুপ করে থেকে বলল, ' হ্যাঁ ... কাজের লোক দরকার আছে। ইয়ং ছেলে না হলেও চলবে। কাউকে কিভাবে তৈরি করে নিতে হয় আমি ভালই জানি ... ঠিক কাজে লাগিয়ে নেব। চিন্তা কোর না ... '
    মোনা হেসে বলল, ' না না ... আমি কেন চিন্তা করতে যাব। তুমি সামলাতে পারলে সামলাবে ... আমার কি আছে ... প্র্যাকটিস আছে তো ? '
    --- ' কিসের প্র্যাকটিস ? '
    --- ' ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের শিং পাকড়ানোর ... '
    প্রতাপ ধর খ্যাক খ্যাক করে হেসে বলল, ' দারুন বললে কিন্তু দাদা ... ক্ষ্যাপা ষাঁড়। আগে বুঝে নিতে দাও ষাঁড় না ভেড়া ... তারপর তো ... '
    মোনা সাগরের দিকে তাকিয়ে দেখল সাগর চুপচাপ নির্বিকার ভঙ্গীতে বসে একটা বিড়ি ধরাচ্ছে পকেট থেকে দেশলাই বার করে সামনের দিকে তাকিয়ে। প্রতাপ ধর গাল চুলকোতে চুলকোতে ভাবছে, বেশ ঘাঘু মাল মনে হচ্ছে। ভালই হল। কাজে লাগবে ...
    এই সময়ে দেবাশিস পাল বলল, ' ওই যে মালটা আসছে ... '
    দেখা গেল হাতে দুটো থলে নিয়ে অভয় পাল আসছে ধীর গতিতে। বোধহয় বাজারে যাচ্ছে। বেশ সন্ত্রস্ত জড়সড় ভঙ্গী।
    মোনাবাবু আন্দাজে চিনে নিলেন অভয়কৃষ্ণকে।
    বাঁদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে সাগরের দিকে তাকালেন। সে উদাসীন ভঙ্গীমায় বিড়ি টেনে চলেছে।
    মোনা দেবাশিসের দিকে তাকিয়ে সরল স্বরে বললেন, ' কে ? '
    উত্তর দিল প্রতাপ, ' আরে আর বোল না ... বহুত ঝামেলাবাজ লোক। মেয়েকে আটকে রেখেছে ... শ্বশুরবাড়িতে যেতে দিচ্ছে না। খালি হয়রাণ করছে ওদের। ভাল লোক বলে ওরা কিছু করছে না ... তেমন টেঁটিয়া লোক হলে বারোটা বাজিয়ে দিত। ওরা আমার কাছে এসেছিল ব্যাপারটা ফয়সালা করে দেবার জন্য। কিন্তু ওই শালা এমন দুনম্বরী হাভাতে যে আমার কথাও শুনছে না। এবার ভাবছি কড়া ডোজ দেব। বাপের নাম খগেন হয়ে যাবে ... আমাকে চেনে না শালা ... '
    মোনাবাবু পায়ের ওপর পা তুলে বসে আলতোভাবে শুধু বললেন, ' অ ... তাই ? '
    অভয় পাল জড়ানো পায়ে হাঁটতে হাঁটতে দোকানের কাছে এসে পড়ল। মোনা ছাড়া বাকিরা সবিস্ময়ে লক্ষ করল মোনা মজুমদারের পাশে বসা লোকটা বিড়িটা ফেলে দিয়ে উঠে দাঁড়াল এবং প্রথমবারের মতো তাকে কথা বলতে শোনা গেল।
    সে অভয় পালের দিকে কয়েক পা এগিয়ে গিয়ে বলল, ' এস এস ...বাজারে যাচ্ছ ... চা খেয়েছ ?'
    অভয় স্নায়ুচাপজনিত জড়তায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। সে বলল, ' হ্যাঁ ... ইয়ে না ... পরে খাব ... আপনি এসে গেছেন ... '
    --- ' আমি তো কখন এসেছি। প্রতাপবাবুর সঙ্গে অবশ্য ভালভাবে আলাপ হয়নি এখনও। হয়ে যাবে, হয়ে যাবে ... চিন্তার কি আছে। তা, অভয় তুমি এখনও চা খাওনি ? এস, বস ... এক কাপ চা খেয়ে যাও। চা টা এখানে ভালই করে দেখছি ... এই খেলাম তো একটা ... '
    বলে সাগর অভয়ের হাত ধরে বেঞ্চে বসিয়ে দিল।অভয়ের শরীরে ঘাম দিতে লাগল।
    সাগর বলল, ' আরে তুমি এত ঘামছ কেন ? আমি তো এসে গেছি ... '
    মোনাবাবু বললেন, ' তাই তো ... তাই তো ... ঘামছ কেন ? '
    বলে একটা সিগারেট ধরালেন।
    অভয় বলল, ' না ... মানে ... '
    --- ' আহা, মানে আবার কি ? মানে টানে কিছু নেই... এই একটা চা দাও... ' সাগর আদেশ দিল।
    হতচকিত দোকানদার বলল, ' হ্যাঁ ... এই যে ...দিচ্ছি ... '
    ' ... আচ্ছা অভয়, তোমার বাবার নাম কি ? বাবার নাম খগেন করে দেবে বলেছে প্রতাপ ভাই... তুমি রাজি আছ ? '
    বিষয়বস্তু অনুধাবন করতে অভয় পালের বিশেষ অসুবিধা হল না। সে ভয় পাওয়া চোখে সাগরের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল।
    --- ' কি হল ... কিছু বল ... আমি না, ওই প্রতাপবাবু জানতে চাইছে ... খুব কাজের লোক তো উনি ... আমাকেও কাজ দেবে বলেছে পার্টিতে ... '
    প্রতাপ ধর ঘোরাল বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে গেল। একেবারে অপ্রত্যাশিত সব ঘটনা ঘটছে। সে চোখ সরু করে দেখতে দেখতে সাগরকে মাপতে লাগল।
    ভ্রু ওপরে তুলে মোনা মজুমদারের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসাসূচক ভঙ্গীতে ঘাড় ওপরে নীচে করল প্রতাপ ধর।
    মোনাবাবু নির্লিপ্তভাবে সিগারেট টানছিলেন। তিনি মুখটা কুঁচকে ডান হাতটা এদিক ওদিক নাড়ালেন, যার মানে হল ' বাদ দাও ... বাদ দাও ... ও নিয়ে মাথা ঘামিও না ... '
    কিন্তু ও নিয়ে মাথা ঘামিও না বললেই কি হয়। প্রতাপ ধর এ মহল্লার একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলাচ্ছে। পাড়ার লোকের মঙ্গল অমঙ্গলের দায়িত্ব সামলানোর ঠেকা নিয়েছে সে নিজে কাঁধ পেতে, এমনকি অনেক দূরের লোকেরা এসেও ঘরোয়া ব্যাপারে তার সাহায্য চাইছে, এখন বললেই হল মাথা ঘামিও না।
    সে নিজেই রহস্য উদ্ঘাটনে সক্রিয় হল। প্রতাপ
    এগিয়ে গিয়ে সাগরের সামনে এসে দাঁড়াল।
    --- ' তুমি কি একে চেন নাকি ? '
    অভয় পালকে দেখিয়ে সাগরকে সওয়াল করল প্রতাপ।
    'তুমি' সম্বোধনটা ইচ্ছে করেই করা সাগরের বুঝতে কোন অসুবিধা হল না।
    সাগর অভয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল। সে ধীর গতিতে প্রতাপের দিকে মুখ ঘোরাল।
    --- ' তা জেনে তুই কি করবি রে ? কোথাকার লাটের বাট তুই ? '
    শুনে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিল না প্রতাপ। তার উঠোনে দাঁড়িয়ে তাকে তুই তোকারি করছে একটা অচেনা অজানা লোক ... সে বুঝতে পারছিল না, সে কি স্বপ্ন দেখছে !
    ধাতস্থ হতে সময় লাগছিল প্রতাপের। তার মধ্যে গুরুর সম্মানহানি করার প্রতিবাদ করা অবশ্য কর্তব্য বিবেচনা করল দেবাশিস পাল।
    সে তেড়েমেড়ে এগিয়ে এসে বলল, 'কে বে ... ঘুঘুডাঙার ঘুঘু ... '
    আচমকা সাগরের বাঁ হাতের একটা ঝোড়ো ঝাপটা এসে পড়ল দেবাশিসের ডান গালে। এই সম্পূর্ণ অচেনা ঝাপটায় বেসামাল হয়ে টাল সামলাতে না পেরে সে চায়ের দোকানে সাজিয়ে রাখা বিস্কুটের বয়ামগুলোর ওপর গিয়ে পড়ল।
    মোনা মজুমদার সিগারেটটা আর একটা টান মেরে ফেলে দিয়ে উঠে দাঁড়াল।
    --- ' এঃহে .... কি কেলেঙ্কারি কান্ড বল দিকিনি
    ... ভাবলাম সকালবেলা একটু আড্ডা মারব ... এই সাগর ...মিটিয়ে নে না ভাই ... ওঃ, কি অশান্তি ...'
    মোনার মুখে সাগর নামটা শুনেও প্রতাপের কোন ভাবান্তর হল না। সে অবধারিতভাবে এ নামটার
    সঙ্গে পরিচিত নয়। কালের স্রোত কত পরিচিতি ভাসিয়ে নিয়ে যায়। প্রতাপ ধরের আর দোষ কি ?
    কিন্তু সমুদ্রের বুকে জেগে থাকা কোন কালভৈরবীসম অনমনীয় পাহাড়কে কি বহু যুগব্যাপী বিপুল তরঙ্গের ধাক্কাও এক চুল নড়াতে পারে ! সে একইভাবে তার অবয়ব জাগিয়ে রেখে তার অস্তিত্ব জানান দিতে থাকে আমৃত্যু।
    সাগর কোন ধানাইপানাইয়ের মধ্যে গেল না।
    বলল, ' অশান্তির এই তো সবে শুরু ... '
    প্রতাপ ধরের সামনে গিয়ে, প্রায় গিয়ে গা ঠেকিয়ে, চোখে চোখ রেখে আচমকা একটা বিকট বিস্ফোরণ ঘটাল।
    --- ' স্বরূপ খাঁড়াকে কে মেরেছিল জানিস ? কি, বল বল ... জানিস ? '
    মোনা চমকে উঠল, তবে অবাক হল না। সে বুঝতে পারল ঘুমন্ত সিংহ জেগে উঠেছে। আগের থেকে অনেক বেশি বেপরোয়া। সরাসরি আক্রমণ। কোন নাটকের ঢাকনা নেই।
    প্রতাপ রাগে, বিস্ময়ে, সাময়িক বিপন্নতায় বাকরুদ্ধ হয়ে সাগরের চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছে। মাথায় অগ্নিকুন্ড জ্বলছে।
    সাগর আবার একটা অপ্রত্যাশিত বোমা ফাটাল ---
    ' আমি ... আমি ... জেনে রাখ ... পারবি কিছু প্রমাণ করতে ? বল ... পারবি ? তোর কি স্বরূপ খাঁড়া হবার ইচ্ছে হয়েছে ফুটো মাস্তান ? '
    প্রতাপ ধর রাগে ফুটিফাটা হচ্ছে ভিতরে ভিতরে। কিন্তু সে এখন আর তেমন কচি নেই। ক'বছরের মধ্যেই বেশ ঝানু হয়ে উঠেছে। বাইরে কোন স্ফূলিঙ্গ ছিটকে বেরোচ্ছে না। মুখে কুলুপ এঁটে সে এই অবিশ্বাস্য পরিস্থিতিটার তল পাবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কোন হিসেব তার মাথায় ঢুকছে না।

    সাগর চাপা গলায় বলল, 'তোদের আয়ু আর বড়জোর দু বছর। কি করবি ... তারপর কোন ঘাটে যাবি এখন থেকে ভেবে রাখ ... '
    প্রতাপের মুখ থেকে এতক্ষণে তার পক্ষে মানানসই একটা কথা বেরিয়ে এল। কারণ সবারই সহ্যের সীমা আছে।
    --- ' তুমি কোন ঘাটে যাবে আগে শুনি ... কাশী মিত্তির না নিমতলা ? '
    উত্তরটা মোনা মজুমদার দিলেন, ' ও কারও ঘাটে যায় না। মানুষই ওর ঘাটে ভেড়ে পায়ের নীচে একটু ডাঙা পাবার আশায়। '
    প্রতাপ ধারাল কিছুর গন্ধ পেয়ে মোনার কথার কোন উত্তর না দিয়ে এদিক ওদিক তাকাতে লাগল।
    সাগর বলল, ' ডাক ... তোর লোকজন কে আছে ডাক ... দাঁড়িয়ে আছি এখানে ... টাইম দিলাম তোকে ... আর একটা চা দিন তো দাদা ... '
    সনৎ শশব্যস্ত হয়ে কাঁপা হাতে চা ছাঁকতে লাগল।

    প্রতাপ দেখল গলির তিন মাথার মোড়ে পাঁচটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। সকলেরই প্যান্টের ডান পকেটে হাত।

    ( চলবে )

    ******
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন