এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড ) - ৩২

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১১ জুন ২০২৫ | ১৪৩ বার পঠিত
  • ( ৩২ )

    কলেজ স্ট্রিট চত্বরে ছাত্র পরিষদ আর এস এফ আই-এর মধ্যে হঠাৎ বিরাট ধস্তাধস্তি লেগে গেল। সে এক ধুন্ধুমার কান্ড। ওর মধ্যেই ইউনিভার্সিটির গেটের একপাশে একটা টুলের ওপর দাঁড়িয়ে প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সী বক্তব্য রাখতে লাগল।

    ওদিকে এস এফ আই- এর ওরা প্রেসিডেন্সি কলেজের ওদিকে টুল পেতেছে। লক্ষী সেন বলে একজন ছাত্রনেতা টুলের ওপর দাঁড়িয়ে তারস্বরে গরম গরম কথা বলতে লাগল। প্রেসিডেন্সির ওখানে জমাট ভিড় ছাত্রছাত্রীদের। বক্তৃতার মাঝে মাঝে তুমুল আওয়াজ তুলছে বক্তার সমর্থনে। তুলনায় প্রিয়রঞ্জনের জমায়েতে মনে হচ্ছে ভাঁটার টান। বিক্ষিপ্ত সমর্থন ধ্বনি উঠে তারপর ঝিমিয়ে যাচ্ছে। এইসময়ে রাস্তার ওপারে কলেজ স্কোয়্যারের গেটের মুখে মহীনের ঘোড়াগুলি বলে একটা নতুন গানের দলের ক'জনকে দেখা গেল দাঁড়িয়ে থাকতে। তাপস দাস আর গৌতম চট্টোপাধ্যায় নামে ওদের দলের দুই ছোকরাকেও দেখা গেল। রক ব্যান্ড বলে একদম অন্য ধরণের গান বাজনা করে কিছু লোকের মধ্যে রীতিমতো ঝড় তুলেছে। বাংলা গানে একদম নতুন জিনিস।

    এরা এখানে দাঁড়িয়ে কি করছে কে জানে। মনে হয় ইউনিভার্সিটি অডিটোরিয়ামে কোন প্রোগ্রাম ছিল বিকেলের দিকে। কিন্তু সেটা হবার কোন সম্ভাবনা নেই বলেই মনে হচ্ছে। তাপস আর গৌতম, দুজনকেই দেখা গেল রেলিংয়ের ধারে বসে বসে এন্তার বিড়ির ধোঁয়া ছাড়তে। আর একটু অপেক্ষা করে মনে হয় এখান থেকে পাততাড়ি গোটাবে। রাস্তার ওদিক থেকে দুটো ছেলে হন্তদন্ত হয়ে এদিকে এসে গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কি বলতে লাগল। গৌতম ঘাড় নেড়ে তাতে সায় দিল বোধহয়। মনে হচ্ছে প্রোগ্রামটা বাতিল হয়ে গেল। তাপস গৌতমরা মালপত্র গোটাতে লাগল।

    কাবেরী সেদিন মালঞ্চ রেস্টুরেন্টে বসে চা আর ফিস ফ্রাই খেতে খেতে গত দশ বছরের নানা ঘটনার স্মৃতি রোমন্থন করতে লাগল। সেখানে তার জীবনের অমিতাভর জানা বা অজানা কোন ঘটনাই বাকি রইল না। সেখানে অবশ্য শ্যামবাজার কফিহাউসের দিনগুলো এবং পার্থপ্রতিমের সঙ্গে খুনসুড়ির কথা বাদ গেল না।

    অমিতাভর সঙ্গে সিনেমা দেখার কথাও বলল নির্বিবাদে। এক প্রসঙ্গ থেকে আর এক প্রসঙ্গে চলাচল করতে লাগল অবিশ্রান্তভাবে। একটা কথার পর ' ...এই শোন না তারপর কি হল ... ', বলে আর এক প্রসঙ্গে যেতে লাগল কাবেরী। তাকে যেন কথা বলার নেশায় পেয়েছে। কি ভেবে কে জানে এর মধ্যে তার আর শমিকের ব্যাপারটা বাদ দিয়ে গেল। বাসন্তীদেবীর মৃত্যু সংবাদও দিল একসময়ে। তবে তার দাম্পত্য জীবনের কথা বিশেষ খোলসা হল না। অমিতাভ বিশেষ কথা বলার সুযোগ পেল না। অনেকক্ষণ পরে হঠাৎ বোধহয় হুঁশ ফিরল কাবেরীর। সে বলল, ' ওঃহো, আমি একাই তখন থেকে বকবক করে চলেছি। সরি সরি ... তারপর বল, তোমার খবর কি ? '
    বলেই সে আবার সরব হল, ' এই শোন না ... আমি একটা প্রবলেমে পড়েছি ... কি যে করি ... একটা প্রাইভেট ব্যাপার ... তোমাকে বলতে অবশ্য কোন অসুবিধে নেই।
    কাবেরীর প্রবলেম শোনার মতো মেজাজ এতক্ষণে হারিয়ে ফেলেছে অমিতাভ। তাছাড়া, ওসব শুনেই বা কি হবে। কাবেরীর সারা জীবনই প্রবলেমময়।
    তার জটিলতা সে নিজেই তৈরি করে। অনেক বয়স হল, ওসব কূটকচালি আর ভাল লাগে না, অমিতাভ ভাবল।
    সে কাবেরীর কথাটা ঠেলে সরিয়ে দিল। চেয়ার থেকে উঠে পড়ে তাড়াতাড়ি কাউন্টারে গিয়ে বলল, ' কত হয়েছে ? '
    কাবেরী চেঁচিয়ে বলল, ' আরে ... দাঁড়াও দাঁড়াও... আমি দিচ্ছি ... আমি দিচ্ছি ... আমি নিয়ে এলাম আর তুমি ... '
    অমিতাভ বলল, ' ঠিক আছে ... নে চল ... যাবি তো ওদিকে ? নইলে আমি এগোচ্ছি ... দীপঙ্করকে কি আর পাব ওখানে ... জরুরী কাজ ছিল, কোন মানে হয় ... '
    --- ' আরে দাঁড়াও দাঁড়াও ... যাচ্ছি যাচ্ছি ... কি যে কর না ... ' কাবেরী তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে এল।
    মালঞ্চের বাইরে বেরিয়ে অমিতাভ বলল, ' আমি এগোলাম ... দেখি দীপঙ্করকে পাই কিনা ... আসলাম ... '
    বলে অমিতাভ হনহন করে হাঁটতে লাগল।
    কাবেরী মিত্রা সিনেমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ল। স্বগতোক্তি করল, ' যা ব্বাবা ... এ আবার কি ! অদ্ভুত পাগল সব ... দূর ছাই ... '

    রাত্তিরবেলায় ঘরে বসে আরও ক'টা লাইন এসে গেল অমিতাভর মনে।

    নদীর পাড়ে অসংসারী স্বাধীন বট, ইটের পাঁজা
    ভর দুপুরে হচ্ছে মাটি ফুটিফাটা চৈত্র ঝাঁ ঝাঁ
    তোমার জামা পরলে আমি হবে কি আর মানানসই
    আমারও আছে আয়না চিরুন খাতা ও বই।

    নাছোড় একটা ছায়া জড়ায় আর একটার গায়ে
    যেন বেড়াল ছানা অবুঝ হাঁটে পায়ে পায়ে
    আমরা বকি আবোল তাবোল কুচিকুচি
    নিজের ছবি নিজেই আঁকি আবার মুছি
    প্রচুর ছায়া গলাগলি আসলে কিন্তু হাঁটছি একাই
    চাঁপা কিংবা কদম্বহীন, অসার হল বর্ষা দেখাই।

    একটা সিগারেট ধরিয়ে অমিতাভ ভাবল, পুরোটা লিখে নিয়ে তারপর কাটা ছেঁড়া শুরু করা যাবে। এখন এই পর্যন্ত থাক। অমিতাভ জানে ব্রাত্য খুব নাক উঁচু গোষ্ঠী। কবিতা নাকচ হতে বেশি সময় লাগবে না। যদিও আমন্ত্রিত কবিদের ক্ষেত্রে তা হওয়ার সম্ভাবনা নেই । তবু সতর্ক থাকা ভাল। আরও দু একটা কবিতা লিখে নিতে হবে। দেখতে হবে কোনটা ওদের খাওয়ানো যায়। যাক এখন শুয়ে পড়া যাক। অনেক রাত হয়েছে।

    ইন্দ্রাণী আর মাণিকলাল এতদিনে বেশ পরিপাটি খাপ খেয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। সাগরের মোহ একেবারে মুছে না গেলেও মনে হয় ফিকে হয়ে গেছে অনেকটা। সংসারে বেশ মন বসে গেছে ইন্দ্রাণীর। রান্নাঘরের কাজকর্ম হোক বা শ্বাশুড়ির যত্নআত্তি হোক ইন্দ্রানী ডুবিয়ে দিল নিজেকে। এটাই স্বাভাবিক। নিজের ভাল তো পাগলেও বোঝে। দেবদাস পার্বতী মডেলে তো আর জীবন চলে না। আর ক'বছর পরেই তো বয়সের কুয়াশা জমতে শুরু করবে। যতক্ষণ রোদ্দুর থাকে খড় সেঁকে নাও। বেলা পড়ে গেলে আর খড় সেঁকা হবে না। ইন্দ্রাণী কার কাছে যেন শুনেছে প্রেম হল একধরণের মানসিক অসুস্থতা। সে ভাবে, তা হবে হয়ত। সে আর কতটুকু বোঝে। সে এখন এইসব ঘর সংসার নিয়ে ভালই আছে। সাগরের সঙ্গে আর দেখা না হলেই ভাল। তাও যদি ওর দিক থেকে কোন টান থাকত তো বোঝা যেত হ্যাঁ ... আরে দূর দূর ... ভারি একেবারে ...
    তাছাড়া সাগরও তো সংসারী মানুষ এখন। স্ত্রী পুত্র আছে।

    মাণিকবাবু বললেন,' থিয়েটার দেখতে যাবে নাকি?'
    --- ' হ্যাঁ চল না ... কবে ? '
    --- ' কাল বৃহস্পতিবার। ম্যাটিনি শো আছে ... '
    --- ' দূর ... ম্যাটিনি শোয়ে যেতে ভাল লাগে না। ইভনিং বা নাইট ... '
    --- ' নাইট শো তো হয় না। রবিবার দুটো শো আছে। তাই চল তা'লে ... '
    --- ' কোন নাটক ? '
    --- ' যাহোক একটা গেলেই হল। স্টার, রঙমহল, বিশ্বরূপা ... এক কাজ কর রঙমহলে চল। কি একটা মজার নাটক হচ্ছে। জহর রায় আছে ... '
    --- ' বুড়োবুড়ি যাব। অত বাছ বিচারের কি আছে? বাড়ি থেকে একটু বেরনো তো হবে ... '
    --- ' এই হ্যাঃ ... তুমি মোটেই বুড়ি হওনি। আমার কথা বাদ দাও ... ' মাণিকলাল বলেন সরস স্বরে।
    --- ' হমম্ ... তোমাকেও কিন্তু বুড়ো হলে চলবে না, যতক্ষণ না আমাদের ঘরে আর একজন আসছে ... '
    মাণিকলালবাবু গম্ভীর হয়ে বললেন, ' হ্যাঁ, তাও তো বটে ... চিন্তায় ফেলে দিলে। দিব্যি ছিলাম ... আবার কেন ... '
    --- ' ওটা হলে দেখবে আরও দিব্যি থাকবে ... '
    মাণিকবাবু আবার বললেন, ' তা বটে ... চিন্তায় ফেলে দিলে দেখছি ... '
    --- ' বিয়ে যখন করেছ, ও চিন্তাটা তো করতেই হবে। সন্তানই হল স্বামী স্ত্রীর মধ্যেকার আসল বন্ধন, আসল সেতু ... বুঝলে মশাই... '
    --- ' ও বাবা, কত জ্ঞান তোমার ! আচ্ছা ওসব হবে'খন ... আগে তো জহর রায়ের নাটক দেখে আসি ... '
    বলে মাণিকবাবু বিছানায় শরীর ফেলে দিলেন। কয়েক সেকেন্ড পরেই তার নাসিকা গর্জন শুরু হল।
    এ বাড়িতে এখন আর গ্র্যান্ডফাদার ক্লক নেই। টং টং করে বারো বার শব্দ করে সময় জানান দিল পাশের বাড়ির একটা দেয়াল ঘড়ি যার চলার জন্য কোন নরেন পালের হাত ধরতে হয় না।
    ভারি রাতে সব শব্দই অতি স্পষ্ট ।

    ( চলবে )

    *********************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন