এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড ) - ২২

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৬ মে ২০২৫ | ১৪৩ বার পঠিত
  • ( ২২ )

    প্রতিবিম্ব বলল, ' পুজোর সময় দার্জিলিং ট্যুরে গেলে হয় না ? '
    সুমনা সঙ্গে সঙ্গে বলল, ' না না ... পুজোর সময় আমি কলকাতা ছেড়ে কোথাও যাব না ... যা হবার পুজোর পরে ... '
    --- ' তখন কি আর ছুটি পাব ? ঠিক আছে দেখা যাক ... বাবাইয়ের অ্যানুয়াল পরীক্ষা হয়ে গেলে একটা গ্যাপ পাওয়া যাবে অবশ্য। এর মধ্যে মাসখানেকের জন্য আর একবার আমেরিকা যেতে হবে মনে হচ্ছে। অ্যাভয়েড করার চেষ্টা করেছিলাম নানাভাবে। কিন্তু আলটিমেটলি যেতেই হবে মনে হচ্ছে। কি আর করা যাবে ... '
    --- ' সেটা কবে ? '
    --- ' পুজোর ঠিক পরেই ... '
    --- ' যাক তবু ভাল ... '
    --- ' তা বলতে পার। ওই , ইয়ে ... বায় দা বায় ... কাল কাবেরীর সঙ্গে দেখা হল পার্ক স্ট্রিটের মোড়ে ...'
    --- ' তাই নাকি, ওখানে কি করতে গেছে ? একা ছিল ? '
    --- ' না ... সঙ্গে একজন ছিল। বলল, ওর দেওর ... শমিক না কি যেন নাম বলল ... গ্রিন্ডলেজ ব্যাঙ্কে কি কাজ ছিল বলল ... সত্যি মিথ্যে জানি না অবশ্য ... '
    --- ' ও বাবা, সে আবার কে ! কিরকম দেওর কে জানে। এত বয়স হয়ে গেল মেয়েটা একইরকম থেকে গেল ... '
    --- ' অথচ এমনিতে এত ভাল। নিখিল স্যারের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিল। আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ডেডিকেটেড ছিল ও ... '
    --- ' সেটাই তো, সেটাই তো। ও আগাগোড়াই একটা কমপ্লেক্স ক্যারেক্টার। আচ্ছা দেখি কোন খোঁজ পাওয়া কিনা ... আমার যেন কেমন ফিশি ফিশি লাগছে ... ওকে তো আমি চিনি ... ' সুমনা চিন্তায় পড়ে যায়।
    --- ' দূর ওসব ছাড় তো ... তোমার কি দরকার, নেই কাজ তো খই ভাজ ... ' প্রতিবিম্ব বলে।
    --- ' তা অবশ্য ঠিক। খই ভাজার মতো সময় নেই এখন। অনেক কাজ অনেক কাজ ... দেখি এখন রান্নাঘরে যাই ... '
    বলল বটে, তবে কাবেরীর ব্যাপারে কৌতূহলটা সুমনার মাথা থেকে সরে গেল না। সুমনা রান্নাঘরে গেল। চিন্তা অবশ্য আরও আছে। তার মা বাসন্তী দেবী এবং বাবা অলোকেন্দু মিত্র দুজনের শরীরই ইদানীং ভাল যাচ্ছে না। মিত্র বাড়ির পরিবেশ আর আগের মতো জমজমাট নেই। দিবাকরের বয়স হয়েছে। সে কাজ ছেড়ে দিয়ে দেশে চলে গেছে বীরভূমের নলহাটিতে। তার দুই ছেলে আছে সেখানে। যাবার সময় অলোকেন্দুবাবু তাকে পনের হাজার টাকা দিলেন।
    বললেন, ' কিছু দরকার হলে জানিও গো। তোমার সঙ্গে কি আজকের পরিচয় ... সেই কবে এসেছিলে কত কম বয়সে ... খুব খারাপ লাগছে ... '
    বাসন্তীদেবীর মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। তিনি বললেন, ' মনটা বড় আছড়া পিছড়ি করছে। কিছু ভাল লাগছে না। আমার সংসারটা কেমন ভেঙে যাচ্ছে। তুমি সব দিক দিয়ে কেমন আগলে রেখেছিলে আমার সংসারটা। আগের দিনগুলো আর কোনদিন ফিরে আসবে না। আমাদের ভুলে যেও না বাবা ... '
    এসব শুনে দিবাকরের মনও হু হু করতে লাগল। সে জামাটা ওপরের দিকে তুলে দু চোখ মুছে নিল।
    প্রায় অবরুদ্ধ কন্ঠে যে কটা কথা বলতে পারল তা হল, ' আপনাদের কি ভুলে যেতে পারি মা ... এ জন্মে আপনাদের কথা কোনদিন ... নেহাত আর পারছি না তাই... '
    দিবাকর আর একবার জামা তুলে চোখ মুছল।
    বিষণ্ণতায় মেদুর শ্রাবণের দুপুরে মিত্রবাড়ির পুরণো দেয়াল ঘড়িতে টং টং টং করে তিনটে ঘন্টা বাজল।

    সাগর রামদুলাল সরকার পার হয়ে ওদিকে পটলের দোকানে যাচ্ছিল। মোড়ের কাছে পৌঁছে তার মনে হল অনেকদিন বিভূতিবাবুর কোন খবর নেওয়া হয়নি। কেমন আছে কে জানে। বয়েস হয়েছে, কবে আছে কবে নেই । পুরণো মানুষগুলো তো সবই একে একে বিদায় নিচ্ছে। একবার খোঁজ নেওয়া উচিত। সন্ধে ছ'টা বাজে। এখন নিশ্চয়ই বিভূতিবাবু বাড়িতে আছেন।
    সাগর বৈকুন্ঠ বুক হাউসের সামনে দিয়ে বাঁ দিকে ঘুরল। মাথা নীচু করে কি একটা চিন্তা করতে করতে যাচ্ছিল। তারপর হঠাৎ ভাবল, এখন একবার পটলের দোকানে যাই। অনেকদিন পটলের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। তারপর নয় বিভূতিবাবুর বাড়ি যাওয়া যাবে। সে বেথুন কলেজের গেটের সামনে দিয়ে যাচ্ছে, সামনে থেকে আওয়াজ এল মহিলা কন্ঠে , ' কিরে সাগর ... কি এত ভাবছিস ... কি খবর তোর ... '
    সাগর চমকে উঠে সামনে তাকাল। সামনে হাসিমুখে তার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ইন্দ্রাণী। পাশে তার স্বামী মাণিকলাল চ্যাটার্জি। মাণিকলালের বয়স হয়েছে বটে, তবে চেহারায় একটা আভিজাত্যের জৌলুস আছে। বিয়ের পর এ ক'দিনেই সে জৌলুস আরও বেড়েছে বলে মনে হল সাগরের। অন্তত সাগরের চোখে সেরকম ধরা পড়ল। মাণিকবাবুরও হাসি হাসি বেশ সুখী সুখী মুখ।
    কিন্তু সাগর ইন্দ্রাণীর মতো এ রকম অবলীলায় সাড়ে তিন দশক আগে ফিরে যেতে পারল না। সেদিনের সেই রিং লাটিম ঘোরানো ইন্দ্রানী যে এখনও সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে সাবলীলভাবে কারও পরোয়া না করে এটা দেখে সাগরের শিরায় কেমন একটা কাঁপন ধরল। সে যে চিরকালই এক নম্বর বোকা সে বিষয়ে তার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
    কিন্তু মুশ্কিল হল এই ইন্দ্রানী আর সেই ইন্দ্রাণীর মধ্যে কোন পর্দা না থাকলেও, সাগর নিশ্চিতভাবে জানে এই সাগর সেই সাগর নয়।
    ইন্দ্রাণীকে কি ভাবে সম্বোধন করলে যথাযথ হবে ভেবে না পেয়ে সে বলল, ' ওই ... না কিছু না ... এমনি ... '
    --- ' সে কিরে ... কিছু না মানে ... কিছু তো নিশ্চয়ই... '
    --- ' ওই আর কি...তা কোথায় যাওয়া হয়েছিল ?'
    একথা শুনে ইন্দ্রাণী ষোল বছরের কোন কিশোরীর মতো খিলখিল করে হেসে উঠল।
    --- ' ক্কি ... কি বললি ... কোথায় যাওয়া হয়েছিল ... হি হি হি হি ... ক্যাবলা তো ক্যাবলাই থেকে গেলি ... আমার হাতে পড়লে তোকে স্মার্ট করে দিতাম ... '
    স্ত্রীর সঙ্গে সাগর মন্ডলের পূর্ব পরিচয় আছে এটা মাণিকলালবাবু বুঝতে পেরেছেন বৌভাতের দিন থেকেই, কিন্তু এ সম্পর্কটার বিশেষ রসায়নের ব্যাপারে বোধহয় তিনি এখনও ঠিক আন্দাজ পাননি। কোন প্রয়োজনও বোধ করেননি।
    সাগর মন্ডলকে ইন্দ্রাণী এ ভাবে অবোধ নাবালক জ্ঞানে কথা বলতে থাকায় তিনি অস্বস্তিতে কুঁকড়ে উঠলেন।
    বললেন, ' আরে ... ওকি বলছ ... তুমি ওকে চেন না, ওর কত নাম ডাক জান ? চুপ কর চুপ কর ... '
    ইন্দ্রাণী ভ্রু ওপরে তুলে চোখ বড় বড় করে গালে হাত দিয়ে বলল, ' ওমা ... তাই তো তাই তো ... কি সব্বনাশ ... আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম ... সাগর মন্ডল কত বড় বীরপুরুষ। শুধু একটা বাচ্চা মেয়েকে ভয় পেয়ে পালিয়ে গেল ... '
    সাগর ভাসা ভাসা ভাবে কিছু বুঝল, কিছু বুঝল না। কিন্তু মাণিকলালবাবুর সামনে ইন্দ্রাণীর এ ধরণের ভাব উন্মোচনে সে বেশ বিব্রত বোধ করতে লাগল। আর কিছু না বুঝলেও সাগর এটুকু বুঝতে পারল যে ইন্দ্রাণী সেই সাড়ে তিন দশক আগের সুকিয়া স্ট্রিটের দিনগুলো এখনও পরম মমতায় বুকের মধ্যে ধরে রেখেছে। সেখান থেকে এক চুলও সরে যায়নি, বলা ভাল সরতে পারেনি।
    কি কারণে, তা বুঝতে পারে না সাগর। কি করেই বা পারবে তার মানসিক ভরকেন্দ্র যে শত যোজন সরে গেছে সুকিয়া স্ট্রিটের লাইব্রেরীর সেই শ্রাবণী মেঘ মাখা দিনগুলো থেকে।
    সে মাণিকলালবাবুর উপস্থিতিতে ইন্দ্রাণীর এহেন আবেগরক্তিম এবং নিয়ন্ত্রণহীন বাক্যস্ফুরণে ভীষণ বিব্রত বোধ করতে লাগল। সাগর ভাবল, এখানে এভাবে দেখা না হলেই ভাল হত।
    একটু চুপ করে দাঁড়িয়ে থেকে তারপর সাগর বলল, ' আচ্ছা এখন আসি তা'লে ... হ্যাঁ পরে আবার ... '
    --- ' হ্যাঁ ... এখন তা'লে আসা হোক ... পরে আবার... তা কবে আমাদের বাড়িতে পায়ের ধুলো পড়বে জানতে পারি কি ... নাকি পালিয়ে যাওয়া হবে ... ' ইন্দ্রাণী বলে উঠল।
    মাণিকলালবাবু তাড়াতাড়ি বলে উঠলেন, ' সে উনি সময় করে যাবেন'খন ... ব্যস্ত মানুষ উনি ... অযথা বিরক্ত কোর না। চল চল ... '
    ইন্দ্রানী মাণিকলালকে কি একটা বলতে যাচ্ছিল কিন্তু সেটা আটকে গেল। একটু তফাৎ রেখে বেথুন কলেজের দেয়াল ঘেঁসে দুজন লোক এসে দাঁড়াল। ওদিক থেকে মৃদু স্বরে শোনা গেল, ' দাদা ... '।
    সাগর একবার স্বাভাবিক প্রতিবর্তী ক্রিয়ায় আস্তে ঘাড় ঘুরিয়ে বাঁদিকে দেখে নিল। দেখল গোপীনাথ দাঁড়িয়ে আছে, তার সঙ্গে একজন প্রৌঢ়।
    --- ' কি রে গোপী ... কি খবর ... কাজটা হয়েছে ?'
    --- ' হ্যাঁ দাদা হয়েছে। এই যে ইনি হলেন ওই প্রফেসর ভদ্রলোক লালবিহারি সরকার মশায়। এনারই কেস ছিল ... পটলের দোকানের দিকে যাচ্ছিলাম এনাকে নিয়ে ... দেখা হয়ে গেল ভালই হল ... '
    --- ' যাক, ঠিক আছে ... সন্তোষ তা'লে ঠিকমতো নামিয়ে দিয়েছে কেসটা ... ওস্তাদ লোক ... '
    --- ' আরে, ওস্তাদ বলে ওস্তাদ ... একেবারে মারকাটারি ... লালবিহারিবাবুকে নিয়ে গিয়েছিল
    থার্ড দিন। ওদিনই খাতির করে কাগজ দিয়ে দিল শালা ...'
    --- ' কে দুলাল ঘোষ ? '
    --- ' আবার কে ... শালা বরাবরের হারামি ... আগে অ্যাকাউন্টসে ছিল ... '
    --- ' হ্যাঁ জানি ... ' সাগর বলে।
    লালবিহারিবাবু বললেন, ' নমস্কার ভাই, অনেক উপকার করলেন। একেবারে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাচ্ছিল ... কি বলব ... অনেক ধন্যবাদ... '
    সাগর হেসে বলল, ' না না, এতে ধন্যবাদ দেওয়ার কি আছে ... ওরা এরকমই ... সোজা আঙুলে ঘি ওঠে না ... '
    --- ' হ্যাঁ, তা যা বলেছেন ... সেটাই দেখলাম ... ওইটুকু কাজ ... তার জন্য বলে কিনা ... সে যাক, দয়া করে একদিন আসুন আমার বাড়িতে সময় করে। পরশু রবিবারে আসুন না ... খুব আশা করে থাকব ... দুপুরের খাওয়াটা ... '
    --- ' কি যে বলেন স্যার, আমি কি দয়া করব, একটা অর্ডিনারি লোক ... এভাবে বলবেন না প্লিজ ... আপনি একজন অধ্যাপক মানুষ ... '
    সাগরের কথাটা কেটে গেল ওদিক থেকে ছিটকে আসা ইন্দ্রাণীর কথায়।
    ঠিক সাড়ে তিন দশক আগেকার ভাষা ও ভঙ্গী।
    --- ' অই ... সাগর শোন শোন ... রবিবার তুই কারো বাড়ি যাবি না ... আমার বাড়িতে আসবি ... কোন নড়চড় যেন না হয় ... বুঝলি তো ... '
    মানিকলালের হাত ধরে একটা টান মেরে ইন্দ্রাণী বলল, ' নাও নাও চল এবার ... '

    দুজন চলে গেলে গোপীনাথ বলল, ' ওনার কি কেস দাদা ? পবলেমটা ঠিক বোঝা গেল না ... বেশ ঘোরাল কেস মনে হচ্ছে ... দেখ ... '
    --- ' হ্যাঁ, দেখা ছাড়া উপায় কি ? আমি যে সাগর মন্ডল ... '
    লালবিহারিবাবু সহমত হয়ে বললেন, ' তা বটে তা বটে ... আপনি না দেখলে আর কে দেখবে বলুন ... '

    ( চলবে )

    ***
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন