এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হেদুয়ার ধারে ( তৃতীয় খন্ড) - ৩৬

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ জুন ২০২৫ | ৫৫ বার পঠিত
  • ( ৩৬ )

    শিয়ালদা স্টেশনের সামনে চায়ের দোকানে অশোক পালের ঠিকানা নেওয়া লোকজন তিন চারদিন পর থেকেই আসতে শুরু করল। স্পন্ডিলাইটিস থেকে ফিটের ব্যামো, বাচ্চা কাচ্চা না হওয়া থেকে চোখের বিভ্রম মানে হ্যালুসিনেশান সব ধরণের বিপত্তিতে পড়া মানুষ একজন দুজন করে হাজির হতে লাগল অশোক পালের ঠিকানা খুঁজে খুঁজে। রেইকি শুশ্রূষা ছাড়াও তার জানা আরও নানাবিধ টোটকার বিদ্যা প্রয়োগ করতে লাগলেন অশোক পাল। আটাত্তর নম্বর বাসের ঘোলানিবাসী সেই কন্ডাক্টরও একদিন ঘুরে গেল এবং পরমানন্দে বিভোর হয়ে ফিরে গেল।

    সাগর বলল, ' তোমার ডাক্তারখানা তো বেশ জমে উঠেছে পালদা। বলেছিলাম না, হাল ছেড় না ... তোমার হবে। লেগে থাকলে মেগে খায় ... '
    --- ' হ্যাঁ ... দেখা যাক কি দাঁড়ায়। আমার তো কপাল ... কখন কব্জা খইসা পড়ব কহন যায় না ...'
    --- ' না না ভরসা রাখ ... মর্নিং শোজ দা ডে ... মানে ... '
    --- ' বুঝসি বুঝসি ... মানে উঠন্ত মূল পত্তনে চিনা যায় ... '
    কথাটার মানে ঠিক বোধগম্য হল না সাগরের।
    সে বলল, ' তোমাকে একদিন অলোকেন্দু মিত্রের কাছে নিয়ে যাব বলেছিলাম। কবে যাবে ? '
    --- ' কুনো ব্যাপার না ... যে কোনদিন। কবে যাইবা বল ... '
    --- ' আচ্ছা দেখছি দাঁড়াও ... কবে যাওয়া যায়...'
    --- ' ঠিক আছে আমি উঠি এখন ... একটু বাজারে যেতে হবে ... ঘরে কিছু নেই ... '
    --- ' বাজারে যাচ্ছ ? সন্তোষের সঙ্গে দেখা হলে একটু আমার সঙ্গে দেখা করতে বল তো ... '
    --- ' ঠিক আছে ... '

    রাত বারোটার সময় কাবেরী আর তার স্বামী গৌতম কথা কাটাকাটি শুরু করল।
    গৌতম বলল, ' আমি অনেক মেয়ে দেখেছি কিন্তু তোমার মতো এরকম বস্তু কোথাও খুঁজে পাইনি ... '
    কাবেরী যথারীতি সঙ্গে সঙ্গেই জবাব দিল, ' অত সাজিয়ে গুছিয়ে বলার দরকার কি, খোলাখুলিই বল না যে তোমার মতো এরকম পাজি মেয়ে একটাও দেখিনি ... '
    --- ' সবই তো বোঝ, তোমার গুণের কি শেষ আছে ? আর কত খেলা দেখাবে বল তো ঠিক করে ... '
    --- ' আমি কোন খেলা খেলতে চাই না, খেলা দেখাতেও চাই না ... বরং মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চাই ... '
    --- ' জানি জানি ... অন্য মাঠে অন্য প্লেয়ার পেয়ে গেছ খেলার জন্য ... সবই বুঝি ... '
    কাবেরী কিন্তু কথাটা শুনে একটুও উত্তেজিত হল না। বরং ঠান্ডা গলায় বলল, ' তা বোঝই যখন মাঠের গেট খুলে দিচ্ছ না কেন ? এভাবে কি খেলা চালানো যায় ? '
    --- ' আমি আর খেলছি কোথায় ? আমার তো লজ্জা ঘেন্না বলে একটা ব্যাপার আছে, যেটা তোমার নেই। গায়ের চামড়াটা এখনও এত মোটা হয়নি ... তোমার মতো অতটা বেহায়া এখনও হতে পারিনি ... '
    কাবেরীর হাবভাবে এবারেও উত্তেজনার কোন লক্ষণ দেখা দিল না। বরং তার স্বপক্ষে সওয়াল করার একটা যুক্তি খুঁজে পেল বলে মনে হচ্ছে।
    বলল, ' তাহলে আমাকে রিলিজ দিচ্ছ না কেন ? তাতে তো তোমারও শান্তি আমারও শান্তি ... '
    --- ' শান্তি অশান্তি বুঝি না, মাঠ থেকে বেরোতে গেলে গেট ভেঙে বেরোতে হবে তোমাকে। চাবি তোমার হাতে তুলে দেব না ... '
    এর উত্তরে কাবেরী যে প্রতিক্রিয়া দেখাল সেটা আরো আশ্চর্যজনক।
    সে মিনতির সুরে বলল, ' ওরকম করছ কেন গো ?
    ডিভোর্সটা দিয়ে দাও না প্লিজ ... শমিক কি ভাবছে বল তো ... আর কতদিন কষ্ট পাবে ছেলেটা ? '
    শুনে গৌতম রাগ করবে কি, তার মুখ দিয়ে কোন কথা সরল না। সে হাসবে কি কাঁদবে ভেবে পেল না। কাবেরীর বেপরোয়াপনার সঙ্গে ঘর করতে গৌতম অভ্যস্ত হয়ে গেছে। কিন্তু এইসব কথা শুনে সেও হতবাক হয়ে গেল। তার মাথায় একটা চিন্তা চিড়িক দিল। মেয়েটা পাগল নয় তো ! তারপর এক পরিচিত সাইকিয়াট্রিস্টের কাছ থেকে শোনা একটা কথা মনে পড়ল --- অবসেসিভ পার্সোনাল ডিসঅর্ডার।
    ' ... প্রত্যেকের শরীরের অভ্যন্তরে নানা রাসায়নিক পদার্থ আছে। সেগুলো সঠিক মাত্রায় থাকা চাই। হিউম্যান অর্গ্যানে থাকা সেই সব কেমিক্যালসের ইমব্যালান্স হলেই কোন ইনডিভিজুয়ালের বিহেভিয়ারাল প্যাটার্ন অ্যানোম্যালাস হয়ে যাবে ... হ্যালুসিনেশানও অকার করতে পারে .... '

    গৌতম ভাবল, কাবেরীর এরকম কোন কেমিক্যাল ইমব্যালান্সের প্রবলেম নেই তো। ওই পরিচিত সাইকিয়াট্রিস্টের সঙ্গে একবার যোগাযোগ করা উচিত। ব্যাপারটা নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে গেল গৌতম।
    তার স্বামীকে চিন্তান্বিত দেখে সে বোধহয় কিঞ্চিৎ আশান্বিত হল। ভাবল, ও নিশ্চয়ই কোন রাস্তা বের করার কথা ভাবছে। হয়ত একটা সমাধান বেরোলেও বেরোতে পারে। এভাবে কতদিন চলে ?
    শমিকেরও তো ধৈর্য্যের একটা সীমা আছে। পুরুষমানুষের ধৈর্য্য বলে এমনিতেই কম, তার ওপর আবার এরকম একটা ভজখট ব্যাপার। কারেরী অপেক্ষা করে রইল গৌতমের মুখ খোলার জন্য।
    খানিকক্ষণ পরে গৌতম বেশ নরম স্বরে বলল,
    ' বলছি যে .... তোমার আগে কখনও ট্রিটমেন্ট হয়েছিল ? '
    --- ' কিসের ট্রিটমেন্ট বল তো ? ' স্বাভাবিক ভাবেই কাবেরী কিছু বুঝতে পারে না।
    --- ' এই ধর ... সাইকিয়াট্রিক কোন ট্রিটমেন্ট ... '
    --- ' সাইকিয়াট্রিক! না না ... পাগল নাকি ! আমি কি পাগল নাকি যে পাগলের ডাক্তারের কাছে যাব ? '
    --- ' না না ... তা কেন ? সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে তো পাগলরা যায় এটা ভুল ধারণা, কোন অসুবিধে হলে যে কেউ যেতে পারে ... মনের কোন বিভ্রান্তি থাকলে মানুষ ওদের সঙ্গে কনসাল্ট করে ... '
    --- ' সে যাদের দরকার আছে কনসাল্ট করুক। আমার ওসব বিভ্রান্তি টিভ্রান্তি কিছু নেই ... যাক, ও ব্যাপারটায় কিছু ডিসাইড করলে ? '
    গৌতম বলল, ' হুঁ ... করেছি। দু একদিনের মধ্যেই জানাব ... '
    --- ' আচ্ছা ... তাই নাকি ? ' কাবেরীর চোখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
    গৌতম বলল, ' হ্যাঁ তাই। পরশুদিন চল আমার এক উকিল বন্ধুর কাছে যাই। সেই মনে হয় রাস্তা
    দেখাতে পারবে ... '
    --- ' ও আচ্ছা ... ঠিক আছে, চল যাওয়া যাক ... রাস্তা যদি বেরোয় ... ' কাবেরী এক পায়ে খাড়া। ভাবল, ভালই হল ... সুমনার বাবার হেল্প তো পাওয়া গেল না। একে দিয়ে কাজটা যদি হয়ে যায় ...

    গৌতম ভাবল, ওটা যে আসলে কোন উকিল নয়, একজন সাইকিয়াট্রিস্ট, সেটা কোনোমতেই এখন কাবেরীকে বলা যাবে না।

    মনোরঞ্জন মজুমদার আজ একটু অন্য মেজাজে আছেন। উত্তর কলকাতার ওয়ার্কিং কমিটির মেম্বার করা হয়েছে তাকে। সাত জন কমিটি মেম্বারের মধ্যে সে একজন। এটা একটা স্বীকৃতি তো বটে। খুব ধাক্কাধাক্কি ছিল কমিটিতে ঢোকার জন্য। আর কয়েক মাস বাদে বিধানসভার ইলেকশান। সি পি এম এবং অন্য বাম দলগুলো ছাড়াও জনতা পার্টি এবারে কড়া ফাইট দেবে নিশ্চিত। হয়ত বামেদের সঙ্গে জোটেও যেতে পারে অনেকে বলছে। এ অবস্থায় কংগ্রেস পার্টি মরণপণ লড়াই দেবার জন্য তৈরি হতে চাইছে। দলের এই জং ধরা অবস্থায় সেটা কতটা সম্ভব হবে মোনাবাবুর সন্দেহ আছে। কিন্তু হাই কম্যান্ডের নির্দেশ আছে একটুও আলগা না দেবার। মোনাবাবু পার্টি অফিসে বসে একটা সিগারেট ধরিয়ে ভাবতে থাকেন ওপরের দাদারা যদি নিজেদের মধ্যে আকচাআকচিতে ব্যস্ত থাকেন তাহলে এত ঢেউ ঠেলে তাদের কতটুকু ক্ষমতা এই ভাঙা তরী তীরে ভেড়ানোর। মোনাবাবু দল বদলের কথা চিন্তাও করতে পারেন না। রাজনীতির লাইন ছেড়ে দেওয়াও তার পক্ষে সম্ভব নয়। ইলেকশানে পার্টি ধরাশায়ী হলে কি করবেন তিনি এখনও ভেবে উঠতে পারেননি তিনি। এক এক সময়ে ভাবেন সাগরের মতো অ্যাপলিটিক্যাল জীবন কাটাবেন। কিছুক্ষণ পরে সে পরিকল্পনাটা বাতিল করতে হয়। তিনি জানেন, সাগর মন্ডল হওয়া সবার পক্ষে সম্ভব নয়। তার চেয়ে বরং যদি ভরাডুবি হয়,ইলেকশানের পরে রাজনীতি থেকে বসে যাওয়া ভাল।
    এই সময়ে বরো প্রেসিডেন্ট চিন্ময় চক্রবর্তী ঘরে ঢুকে বললেন, ' হ্যাঁ এই যে ... অনেকেই আছেন দেখছি ... বউবাজার থেকে একটা ইনস্ট্রাকশান এসেছে, এ এরিয়ায় সপ্তাহে দুটো করে স্ট্রিট কর্ণার করার জন্য ... '
    মোনাবাবু বললেন, ' কেন ? '
    --- ' সেটা জানায়নি। তবে নিশ্চয়ই ইলেকশান পারপাজে। আমাদের আর কতটুকু জানায় ... '
    মোনাবাবু সিগারেটটা শেষটান মেরে নীচে ফেলে পা দিয়ে চেপে দিলেন।
    --- ' ঠিক আছে ডেট ঠিক করুন। এসে জেনে যাব ... এখন চলি ... দরকার হলে মিটিং ডাকুন ... সেখানে যে যার মতামত বলবে ... '
    --- ' হ্যাঁ দেখছি দেখছি ... ' চিন্ময়বাবু জানালেন।
    মোনা মজুমদার বাইরে বেরিয়ে দেখলেন বেলা এখনও পুরোপুরি ফুরোয়নি। পশ্চিম আকাশে রঙ লেগেছে গোধূলির লালচে আলোর।

    ( চলবে )

    *****
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন