এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ধর্মান্তর এবং ...

    সৈয়দ তৌশিফ আহমেদ লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১০ জুলাই ২০২৫ | ৩২ বার পঠিত
  • প্রফুল্ল রায় নামে একজন লিখতেন। সব বাঙালির মতই, লেখালেখির অল্পবিস্তর শখ ছিল! ফেসবুক ছিল না, ফলে তেমন কেউকেটা হয়ে ওঠা হয়নি। তবে মারা যাওয়ায়, শ্মশানঘাটের একটা ছবি ফেসবুকময় কদিন বাঁইবাঁই ঘুরেছে। একটি ‘আহা’ ও কয়েকটি ‘চুক’ সহযোগে কপি-পেস্ট করেছেন সুন্দরী তন্বীরা। ছেলেপুলেরা সেই পোস্টে, মরার গাল তোবড়ানো ছবি এড়িয়ে শঙ্খমসৃণ ত্বকওয়ালা তন্বীর প্রোফাইল পিকচারে লাইক মেরে এসেছে। বেশ করেছে। উটকো দাদুর ফুলমালা খাটিয়ায় স্যাড খুঁচিয়ে মজা নেই। দু-একজন অবশ্য ‘লহ প্রণাম’ লিখেছেন।
    এছাড়া, পয়লা নম্বর দৈনিক লিখেছে ‘শোকস্তব্ধ বাংলার সাহিত্যমহল’। তারপর লিখেছে—‘আকাশের নেই মানুষ’ উপন্যাসের জন্য পেয়েছিলেন বঙ্কিম পুরস্কার। শোকস্তব্ধ না হলেও, এটা পড়ে বাকরুদ্ধ হয়েছি।
     
    ইনি কে বটে, জানতেন না অনেক এলিট বিদ্বান। পানাসক্ত বিদ্বজনেরা মদির চোখে গুগলি মেরে ভরসন্ধ্যায় জেনেছেন—আচ্ছা, এই সেই লোক, যে কিনা “কেয়া পাতার নৌকা” সিরিয়াল খানি নামিয়েছিলেন। স্বনামধন্য লেখিকারা হাহাকার করে অবশ্য ইতিমধ্যেই সরকারি পরীক্ষার জিকে মার্কা পোস্ট নামিয়েছিলেন। তাতে সব ছিল, স্রেফ ওঁর লেখার প্রসঙ্গটি বাদ দিয়ে। আর সব শেষে, প্রফুল্ল রায় কতটা ধ্যানমগ্ন হয়ে লিখতেন, সকালে যোগাভ্যাস করতেন কিনা, চায়ে চিনি খেতেন কত চামচ—এইসব বানোয়াট রচেছেন। বেশি ফিকশন লিখলে হাওয়াই চটিকে খড়ম বলে ভ্রম হয় অবশ্য। প্রফুল্ল রায়ের গল্প নিয়ে পুরস্কার পাওয়া হিট ছবির চলচ্চিত্রকারদেরও দেখলাম ৫০০ শব্দ খরচ করতে গা ম্যাজম্যাজ করছে। একজন দেখলাম নেহাত দায়ে পড়ে এক লাইন বলেই তিন লাইন নিজের ঢাক পেটালেন। ঘুরে ফিরে উঠে এলো সেই “কেয়া পাতার নৌকা”, আপামর বাঙালি যেটাকে চেনে চূড়ান্ত এক পুরুষতান্ত্রিক মৌলবাদী মুসলিম সমাজে হিন্দু ছেলেকে ভালোবেসে এক মুসলিম মেয়ের দীর্ঘ আন্দোলন হিসেবে। সৌজন্যে অবশ্যই বিকৃত বাংলা মেগা।
    প্রফুল্ল রায়ের মৃত্যু অকস্মাৎ নয়। শুনতে খারাপ লাগলেও, ওঁর যে বেঁচে থাকার কথা ছিল, আমাদের অনেকের কাছেই তা বরং বেশ চমকের। আলোকপ্রাপ্ত মানুষ বেঁচে থাকতে থাকলে যে ন্যূনতম খবরখবর কানে আসে, নিদেনপক্ষে সরকার পুরস্কার ভিক্ষে দিয়ে যেভাবে ঢোল সহবত করে, তার কানাকড়িও নজরে আসেনি এক্ষেত্রে। নতুন কোনো উপন্যাসের হদিস দেখিনি কোথাও। শুধু জানতাম, দেজ থেকে ছয় খণ্ডে তাঁর সমগ্র বেরিয়েছে, এন্টিক পিসের লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্টের মত। এই সব সাতপাঁচ ভেবে আমার আন্দাজ খানিক ডালপালা মেলেছিল আর কি।

    যাইহোক, যেটা বলতে আসা—কী এত লিখতেন বাংলা সাহিত্যের এলিট ক্লাবচ্যুত প্রফুল্ল রায়? নস্টালজিয়ায় ভিজে থাকা কবিতাময় গদ্য? নাকি খুঁজে নিয়েছিলেন সমসাময়িক মহারথীদের ছায়াময় শর্টকাট? শীর্ষেন্দু টাইপ, বা সুনীল ছাপ? অতিন মার্কা, কিংবা সমরেশীয় ধাঁচ? অশ্রাব্য হলেও উঠতিদের কাছে খুবই জরুরি এইসব প্রশ্ন। এখনকার আবর্জনা পড়ুয়াদের আবার এমনিতে নেই, ওমনিতে আছে। লাইক সর্বস্ব কিছু নাকউঁচু বেঞ্চমার্ক রেখে দিয়েছে। তার বাইরে কেউ কিছুই লিখতেন না। কী গেরো! ভাষার চাকচিক্য এড়িয়ে হেজে মজে যাওয়া দলিত জীবন প্রফুল্ল রায় কেন লিখে গেছেন পাতার পর পাতা, কে বোঝাবে শালাদের। কেনই বা বেশ্যার হতকুচ্ছিত হাড়গিলে দিনযাপনকে ধরে রাখতে গিয়ে ভরিয়ে ফেলেছেন কতশত খাতা! স্রেফ গন্ধওয়ালা ঘামের গল্প লিখবেন বলে। ঘরোয়া মায়া, মায়াবী বেলাভূমিকে লোকটা জেনে বুঝে ঝেড়ে ফেলেছিল। বাংলা সাহিত্যে অন্তত আর কেউ দলিত, অন্ত্যজ, অচ্ছুৎ জীবনকে নিয়ে এইভাবে একটানা লিখেছেন বলে তো আমার জানা নেই। নিজেকে ক্রমাগত রিপিট করছেন জেনেও। গল্পের চলন ভীষণ একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে—একথা মেনে নিয়েও। হেরে যাওয়া মানুষের পক্ষ নেওয়াটা সাহিত্যিকের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ভাষা যত না অলংকারের, তার চেয়ে অনেক বেশি বিষ্ঠার গন্ধ টেনে আনা প্রান্তিক সত্যের—এই ছিল তাঁর ভাবনা।

    যেমন ধরুন—দাঙ্গা-হাঙ্গামার রক্তাক্ত বিবরণ না টেনেও, দেশভাগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী নির্মম নিষ্ঠুরতায় তুলে ধরলেন সামান্য এক হতদরিদ্র মুসলিম জেলে তোরাব আলীর চোখ দিয়ে। জঙ্গল হাঁকোয়া ভরোসালালের খাঁটি বোহেমিয়ান জীবন আমরা পড়লাম হাঁ হয়ে। করুণা হল। ঈর্ষাও হল প্রকৃত অর্থে একজন স্বাধীন মানুষকে দেখে। ঘুনুরাম বহুরূপী, বাঘ সাজে সে। পেটে বিস্তর টান, তদুপরি লোকালয়ে বাঘের সার্কাস এসেছে। ঘুনুরাম সাতপাঁচ না ভেবে স্রেফ পেটের দায়ে, নিজের গ্রহণযোগ্যতা চলে যাওয়ার আতঙ্কে দিল বাঘের খাঁচায় ঝাঁপ। রামধারী টাঙ্গা চালাতো মালিক দেওকিপ্রসাদের। রামধারীর বউ শনিচারির খুব ইচ্ছা একবার টাঙ্গায় চড়ে। কিন্তু উপায় কী, তাঁর মালিকের হল ‘গিধের’ চোখ। জুতিয়ে ছাল ছাড়িয়ে নেবে না! টাঙ্গায় সে চড়ল, তবে পরপারের রাস্তায়।কিংবা ধরুন—মাঠে ঘাটে শাক, আলু, মাকড় খুঁজতে আসা বিষ্টুপদ আর নিশি। একেবারে সম্পর্কহীন অপরিচিত দুই সত্তা। অথচ দুর্যোগভরা শীতের রাতে টিকে থাকতে একে অন্যের দেহতাপ আদানপ্রদান করে জাপটে শুয়ে রইল। তারপর ধরুন, ওই গল্পটা—‘সাতঘড়িয়া’। চাঁপিয়া জাতে দোসাদ। ভাঙাচোরা প্যাঁকাটি চেহারা। এদিকে নাটোয়ারের সাথে তার বিয়ের কথা। তবে, শর্ত হচ্ছে চাঁপিয়া তার নিজের খোরাকির বন্দোবস্ত করবে। হাটে গিয়ে কাজের সন্ধান মিললে তবেই বিয়ে। কে দেবে কাজ! শুধু তো গতর চূড়ন খাটুনি নয়, বাবুদের ভোগযোগ্যও হতে হবে যে!
    আবার ধরুন, ফাঁদুয়া লখিন্দর—বিলে বাদায় পাখি মেরে বেরোলেও সে জানে, যে নটবর তার অনুপস্থির সুযোগে রোজ ধামসায় যায় তার বউয়ের গতরখানা। সে অবশ্য লাই দেয় ব্যাপারটায়। না হলে খামোখা তাকে যে আবার নটবরের সাথে শিকার নিয়ে মোকাবিলায় নামতে হবে।

    এরকমই এক অধরা ভারতবর্ষের আখ্যান, নির্বিবাদী মেদুর বাঙালিআনার বাইরের এক প্রকাণ্ড পৃথিবীর বৃত্তান্ত, প্রফুল্ল রায় তারস্বরে শুনিয়ে গিয়েছেন। ফালতু রোমান্টিসিজম নেই সেখানে, "বাঙালিয়ানা"র বুর্জোয়া গ্লোরিফিকেশনও নেই। আছে কেবল ধাঙড়, দোসাদ, চামারদের ক্লান্তিহীন কথকথা। হয়ত তা সাহিত্য কম, বর্ণনা বেশি—পরিশীলন কম, কর্কশ শ্রেণীসংগ্রাম বেশি। সমাজকে কাঠগড়ায় তুলে কোপাতে গিয়ে, প্রফুল্ল রায় হয়ত চর্বিতচর্বণ করেছেন বিস্তর, তবে তা পুরোদস্তুর রাজনৈতিক প্রত্যয় বিচ্ছুরিত। এক বিশেষ দায়বদ্ধতাজনিত। সাহিত্যের নাম করে শুধুই যারা প্রোপাগান্ডা লেখেন, সাম্প্রদায়িকতা ইনজেক্ট করেন দিন-রাত এক করে, দায়বদ্ধতার কথা শুনে তাঁদের চক্ষু অবশ্য চড়কগাছে উঠবে। বুদ্ধদেব গুহরা যে সময়ে জংলী ব্যাপারটার সাথে আদিম মালপত্র মিশিয়ে একটা শহুরে ককটেল বানাচ্ছেন, প্রফুল্ল রায় তখন লিখছেন—রাজকীয় ভোজে পেটপুরে খেতে গিয়ে জরাজীর্ণ ধনিয়া নিজেই কীভাবে হয়ে উঠছে শুকুনের ভোজ। কার্যত, শহুরে বাবুদের জঙ্গলে ডেকে এনে উর্বর সাঁওতাল রমণীর শরীর মোচ্ছব তাঁর লেখাতে নেই। যে দুর্ধর্ষ সমাজে উচ্চবর্ণের যুবককে 'বেটা' বললে পিটিয়ে ছাতু করা হয়, সেই সমাজে প্রফুল্ল রায়ের গদ্যকে আমি রাবীন্দ্রিক গদ্যের চেয়েও বেশ জরুরি বলে মনে করি। যে মহান সমাজে ‘চামার’, ‘ধাঙড়’ গালিগালাজ হিসেবে দিব্যি গ্রাহ্য হয়, সেই সমাজে প্রফুল্ল রায়ের লেখা হওয়া উচিত অপরিহার্য। অবশ্য পাঠ্য হওয়া দরকার পঞ্চম শ্রেণি থেকে একেবারে গবেষণা অবধি।

    মনে পড়ছে কি, ‘আকাশের চাঁদ এবং একটি জানালা’ এই শিরোনামের একটি গল্প? বুদ্ধদেব দাসগুপ্ত যা থেকে ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’ বানালেন। ললিতাকে মূলধনের মত আগলে রেখেছে রজনী। নরকের খাসমহল থেকে রেহাই পেতে নিজের মেয়েকে এলাকার দোর্দণ্ডপ্রতাপ জোতদারের হাতে তুলে দেওয়া ছাড়া উপায় কী! স্কুলছুট ঘরবন্দি ললিতার শরীরে এখনও নারীত্ব আসেনি। রজঃস্বলা হওয়ার অপেক্ষা শুধু। ওদিকে ললিতার এক সহপাঠী খবর দিয়েছে—মানুষ নাকি চাঁদে যাচ্ছে, এমনটাই জানিয়েছেন স্কুলের নগেন স্যার। মানুষ চাঁদে পাড়ি জমাচ্ছে, অথচ সামান্য খিড়কি দুয়ার ডিঙোনোর হুমুক নেই এক কিশোরীর। মানুষের আত্মবিশ্বাসের শিখর—আকাশ ছোঁয়ার ইতিহাসের তীব্র বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকা জন্মাবধি যৌন মালমত্তা হিসেবে চিহ্নিত ললিতা।

    আর ‘ধর্মান্তর’ উপন্যাসের সেই অনিবার্য অন্তিম মুহূর্ত। রামধারী মিশ্রর কোঠিতে এসে গৈরুনাথ দেখে, লেঠেলরা ফেকুনাথাকে নির্বিচারে ঠেঙিয়ে তার ঘাড় ভেঙে মাথাটা ঝুলিয়ে দিয়েছে বুকের উপর। পাঠক তখনও ভেবে চলেছেন, আর তো মাত্র কয়েকটা প্যারাগ্রাফ! উপন্যাসের নাম তবে ‘ধর্মান্তর’ কেন! ওদিকে গৈরুনাথের বুকে তখন ধস নামছে। জন্মাবধি গোলামি করে যাওয়া এক ক্রীতদাসের শরীরের সমস্ত রক্ত যেন লম্ফ দিয়ে জমাট বাঁধছে চোখের কোনায়। প্রবল রক্তচাপে শুকনো দড়ির মতো পাকিয়ে যাচ্ছে গলার শিরা। পরাক্রান্ত গৈরুনাথের উপর এক অপার্থিব শক্তি ভর করছে তখন। ধর্ম পালনের মতো আজন্ম লালন করে আসা ভীরুতার খোলস ছাড়িয়ে সে তখন বেরিয়ে আসছে এক পরোয়াহীন দাপটে। এক অনিবার্য জাগতিক প্রক্রিয়ায়। ক্রীতদাসের একটাই ধর্ম—গোলামী। সেই গোলামির তখন ‘ধর্মান্তর’ ঘটে চলেছে অতর্কিতে, এক বেপরোয়া স্বতঃস্ফূর্ততায়।

     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১০ জুলাই ২০২৫ | ৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন