এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • দস্তানগো ও একটি বোতল বন্দি তুকতাক

    Syed Azan Ahmed লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ১৩ জুলাই ২০২৩ | ৪২৩ বার পঠিত
  • ওসমান সুযোগ পেলেই ঘুরে আসে ওর পূর্বজন্ম থেকে। কৃষ্ণসায়র পার্কের সেই একফালি ভাঙা বেঞ্চটাই ওর টাইম মেশিন। যার চিড় ধরা কাঠের দিকে একবার তাকালেই সাঁত করে ঘুরে আসা যায় অতীতের কোনও চৌকাঠ থেকে। এ-বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই বেঞ্চটাতে ওসমানের ঠিক পাশেই বসতো দিয়া। শরীর ঘেঁষা শরীরের দূরত্ব কমতো একটু একটু করে, যেভাবে কাচের উপর আটকে পড়া বৃষ্টির দানারা একটু একটু করে কাছে আসে। তারপর কি করে যেন এক ঝিমঝিমে আমেজ তৈরি হতো। যেমনটা হবে ৩৫৩৭ সালের কোনও এক নির্জন নিরালা পার্কে। কিংবা যেমনটা হয়েছিল গুহামানবদের কোনও আদিম জনপদে। চোখের কোন থেকে নিষ্পাপ আকাঙ্ক্ষারা চুইয়ে পড়তো অবলীলায়। হাত আগল ছাড়িয়ে নিষিদ্ধ বাঁধনের শেষ ফাঁসটাও অক্লেশে আলগা করে দিত। মেয়েলি গন্ধের আবেশে বুজে যেত ওসমানের দু চোখ।

    ঘ্রাণের অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল তেইশ বছরের এক উদ্ভ্রান্ত গল্পপাগল যুবকের। সালোয়ারে মোড়া একটা অনিন্দ্য শরীর ওর আপাদমস্তক অস্তিত্বের সাথে একেবারে লেপটে থেকেছে দিনের পর দিন; কদিন আগে অব্ধিও।  এই - এই বেঞ্চটাতেই... এই তো এখানে। 

    ওসমান ইদানীং একাই বসে। পার্কের ঠাণ্ডা ভেজা বাতাস মৃতের আঙুলের মতো কপালে হাত বুলিয়ে যায়। নিজের বলতে ছেলেটার এটুকুই তো বিনোদন। পুরনো কথার প্রসাধন মেখে একটু পায়চারি করা। ছেঁড়া ছেঁড়া কিছু দৃশ্যকে পর্দায় ফেলে একটা মিথ্যে গল্পের ধ্বজভঙ্গ শিরদাঁড়াকে অযথাই টেনে সোজা করা। ওসমান জানে ওর সর্বনাশ হচ্ছে। প্রতিনিয়ত একটা মিথ্যে গল্পের চক্রান্তে জীবন থেকে আরও অনেক সত্যি গল্পের দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে। যে দূরত্ব আর হয়তো অতিক্রম করা গেল না। ওসমানের কলম আজকাল হাঁটতে গিয়ে খোঁড়ায় । সামান্য ঠেলা দিলেই বিকলাঙ্গ শিশুর মতোই মুখ থুবড়ে পড়ে। চরিত্ররা দানা বাঁধে না। শব্দেরা আর নিরুপদ্রব গণসঙ্গমেও মেতে ওঠে না। যতিচিহ্ন, অক্ষরদের ভালোবেসে শেষ কবে কাছে ডেকেছিল ওসমান ? 

    কী যে করবে বেচারা! শেষ গল্পটা লিখেছিল এ বছর ফেব্রুয়ারিতেই। তারপর কল্পনার সাথে কেবলই অবিরাম সংঘর্ষ। ফলাফল ঋণাত্মক। কী লাভ! যে গেছে সে তো গেছেই! যারা চলে যায় তারা ফিরতে চাইলেই কি ফিরতে পারে! একটা সস্তা গ্লাসের চুড়চুড় হয়ে যাওয়া টুকরোগুলোকে জোড়া দিলেই কি তাতে ঠোঁট ছোঁয়ানো যায়! একটা ক্ষীণ আফসোস ধূপের ধোঁয়ার মতোই পাকিয়ে ওঠে ওসমানের গল্পের খাতায়। 

    কৃষ্ণসায়রের জলে বোতলবন্দি একটা চিরকুট ঘুরত। দিয়ারই ছেলেমানুষি। সে বলতো, "ওতে একটা তুকতাক লিখেছি।" ওসমান জানতে চায়নি তুকতাকের ঠিকুজি কুষ্ঠি। জানার পরিধিটা সে কমিয়ে এনেছিল। জাত লিখিয়েদের এই হল এক মুদ্রাদোষ। সব কথা তারা জানতে চায় না। কী বলুন তো, গল্পকার বা দস্তানগোদের কোনো আঙ্গুল থাকে না। তর্জনীর জায়গায় যেটা থাকে সেটা আসলে এক ধরণের মায়াবী যন্ত্র। যার মাথাটা হয় তীক্ষ্ণ ফলার মতো, বল্লমের মতো ঋজু শরীর আর পিছনে একটা তুলির ঝাড়। ফলাটা যে কোনো শরীরে স্পর্শ করালেই অনুচ্চারিত শব্দেরা জলপরীর মতোই বুজকুড়ি তুলে অতল থেকে উঠে আসে। তারপর আচমকাই ফাঁকা পাতায় বিস্ফোরণ ঘটে যায় শব্দের। এভাবেই ওসমানের অজান্তেই কত খাতা যে ভরে উঠেছে । লেখা হয়েছে রহস্যময় সব গল্পের শিরোনাম। তবে সেই বোতলটা ওসমান নিয়মিত দেখে যেত। রোজ-রোজ দেখেও পুরনো হত না। শুধু ওসমানই কেন! মন্ত্রপূত বোতলটা পার্কে বসতে আসা প্রতিটা সুখী দম্পতীই দেখেছে। কাগজে কলমের দাম্পত্য হয়তো যাদেরকে স্পর্শ করবে না, এমনকি দাম্পত্যকে যারা আজীবন ঘৃণা করে গেল তারা অব্ধিও দেখতে ছাড়েনি । বাতাসের চাবুকে বোতলটা ওসমানের মতোই রাতদিন ঘুরে বেড়াতো। ঢেউয়ের টুসকিতে কখনো পৌঁছে যেত পাড় ভাঙা ঈশান কোনে কখনো আবার বাঁধানো ঘাটের চাতালের শেষ ধাপটায় উঠে বসতো। ওসমান দেখেছে শ্যাওলার ভেতর ডুবে যাচ্ছে মন্ত্রপূত বোতল - আবার মাথা তুলছে হঠাৎ। তার মাথায় কখনো ফেনার মুকুট। কখনো আবার শরীরে জড়ানো জলজ উদ্ভিদের শেকল। একবার ঢেউয়ের ধাক্কায় পাড়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল মন্ত্র মাখা বোতল। কৌতূহল চেপে ওসমান ফুঁক দিয়ে ওটাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল সেই স্তিমিত হয়ে আসা তরঙ্গের রাজ্যে। 

    তারপর বোতলটা একসময় নিখোঁজ হল। যেদিন দিয়া বললে, "আর আসব না", সেদিনই বোধহয়। যদিও সেদিন সম্ভবত দিয়ার কোনো কথাই শুনতে পায় নি ওসমান। শেষের দিকটায় দিয়া কথা বললে সে কেবল বাখের কনসার্ট শুনতে পেয়েছে। কথা ছাপিয়ে বেহালার অশরীরী ছড়গুলো কেঁপে উঠত এক অজানা সপ্তকে। তাই না শোনা রয়ে গেছিল প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ক্যাকোফনিক চিৎকার।

    কিছু প্রতিশ্রুতির মৌন থাকাই শ্রেয়, কিংবা অশ্রুত থেকে যাওয়াটাই হয়তো বাঞ্ছনীয়। তাহলে হয়তো বেঁচে যেত ওসমান। দিয়া চলে যেতে ওসমান ভাবল একটা নদীপথ গড়বে। কী পাগল বলুন তো ছেলেটা! নদীপথ কি একা হাতে গড়ার জিনিস! ভূগোল বদলানো তো আর লেখকের সাজে না!  একদিন পার্কের গেটে দাঁড়িয়ে সিকিউরিটিকে বললে, কৃষ্ণসায়রের পাড়ে সিঁধ কেটে একটা নদী বানাবো । নদী গিয়ে মিশবে দামোদরে। দামোদর থেকে হুগলী। নিরুদ্দেশে থাকা বোতল একদিন ঠিক ভেসে উঠবে গঙ্গার মোহনায়। তারপর সাগর পাড়ি দিয়ে পৌঁছে যাবে মার্কিন মুলুকের পশ্চিম উপকূলে। সিয়াটেল! দিয়া যে এখন ওখানেই থাকে। ওসমানকে বলিনি। বেচারা হয়তো কষ্ট পাবে। বলিনি যে, লাভ নেই ওসমান। দিয়া বা দিয়াদের মত যারা, তারা আপাতত দুর্গম, অনধিগম্য। তবে গোপন সূত্রে জানা যায় তাদের মাংসল যোনির উর্বর পিচ্ছিলতায় ভলকে ভলকে বীর্যের পতন হয় প্রতিরাত্রে। ওসমানদের হাতচাপা কলের মুখ বেয়ে তখন জল পড়ে - টুপটাপ।  

    রেণু রেণু স্মৃতিই এখন ওসমানের শেষ ভরসা ! পৃথিবীর সাথে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষে তার আর রুচি নেই। মৃত শব্দের কেনাবেচা হয় উত্তর কলকাতার যে পাড়ায় ,  সেখানেই ছেলেটা অক্ষর সাজানোর একটা চাকরি নিয়েছিল। এখন ওই চেয়ারটা বোধহয় অন্য কোনো থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বারের। আজকাল অবিশ্যি ওসমান একটা আলাদা কাজ নিয়েছে । অকেজো ভাবনাতে পার্কের বেঞ্চে বসে আকাশের আলো নিভিয়ে সে সন্ধ্যেকে ডেকে আনে । আয় ... আয় ...আয় বলছি...

    চারদিকে থৈ থৈ করে আলোআঁধারি। দূরের আলোরা ভেজা চোখে তাকিয়ে থাকে। জলের মতো ছড়িয়ে পড়ে রাস্তার এখানে ওখানে। ওসমান আরও ঘণ্টা খানেকের মতন বসে থাকে স্থির পাথর ফলক হয়ে। যতক্ষণ না পর্যন্ত পুরনো দৃশ্যগুলো মাটি চাপা দেওয়া প্রাচীন মদের মতোই আরও খানিকটা মজে যায়। তারপর তুরীয় নেশায় ঝিম ধরে তেইশ বছরের তরুণের। চোখের পাতা দুটো নেমে আসে ক্লান্ত পাখির ডানার মত। তাও সেগুলো জোর করে খুলে রেখে ওসমান দেখে - ঘুসঘুসে কিছু লোক শিকারের আশায় ওঁত পেতেছে। রাতের পাখিরা কেমন চনমন করছে। পার্কের আনাচে কানাচে নির্জন অন্ধকারে গলে যাচ্ছে হিলহিলে শরীরগুলো। খুব স্পষ্ট নয়, তবে আবছা অবয়বগুলো প্রদীপের শিখার মতোই থিরিথিরি কেঁপে উঠছে। তারপর সরীসৃপের মতো বুকে হেঁটে আরেকজনের সাথে মিশে যাচ্ছে। এক আশ্চর্য দ্রুততায়  অন্ধকার এভাবেই আরও গাঢ় হয়। ওসমান বেঞ্চের উপরে কাঠের রেখাগুলোর উপর আঙ্গুল ছোঁয়ায়। তারপর একটা অপার্থিব হাসি ফেলে রেখে ছায়ার মতো মিলিয়ে যায় নিঃশব্দে।

    পার্কার বেঞ্চের বয়স বেড়েছে। বৃদ্ধই বলা চলে। তার শরীরে অজস্র হাবিজাবি রেখা। বলিরেখা নয়, ওটা আসলে এঁকে রাখা একটা মানচিত্র । যার এক একটা রেখা বরাবর হেঁটে গেলে লুকিয়ে থাকা অনেক গল্পের খানিকটা কাছ অব্ধি পৌঁছনো যায়; সময় বিশেষে খুব কাছ অবধি। যেহেতু গন্তব্যের খানিকটা আগেই সেসব রেখার বিস্তার শেষ হয়ে গেছে, তাই স্পর্শাতীত দূরত্ব থেকেই গল্পের পরিণামের একটা আলগা অনুমান করে নিতে হয়। শেষ কোথায়, তা ওই মৃত কাঠের বুকে উদ্বেগের করাত চালালেও জানা যাবে না। কেউ জানে না। কেউ দেখেও নি। 

    সামনের ওই কৃষ্ণসায়রের বায়ুচঞ্চল ঢেউগুলোকে প্রশ্ন করুন। দেখবেন প্রাণচঞ্চল তরঙ্গ মুহূর্তেই কেমন উদাসীন নিস্তরঙ্গ হয়ে যায়। ওই পাতা ঝরা গাছটা, যার গায়ে এককালে একটা ফড়িংকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। গাছের খোলস ছাড়িয়ে আমি দেখেছি। কিচ্ছু নেই। কিচ্ছু না! কেবল কয়েকটা পিঁপড়ে কেমন মরে কাঠ হয়ে ছিল। আমি তবুও চিবুক তুলে প্রশ্ন করেছিলাম, তোমরা শুনছো? মেঘ বৃষ্টির সব প্রতিশ্রুতিগুলো বেঁচেবর্তে আছে তো? 

    উত্তরটা দিয়েছিল রেলের সমান্তরাল ইস্পাত। একটা খবর ঘাতকের বেশে সারা শহরকে মুড়িয়ে দিলো। লাইনের পাশে দৌড়ে গিয়ে দেখি, কেমন নির্লিপ্ত ঋষির মতো শুয়ে আছে ওসমান। অবাক হয়ে দেখলাম। দেখলাম জানেন, মৃত্যু কী ভীষণ পেলব, কী আন্তরিক, কতটা ব্যক্তিগত। সবাই বলল, কাটা পড়েছে।

    কোথায় কী ! ওসমানের গায়ে রেলের ইঞ্জিন আঁচড় পর্যন্ত কাটেনি। রক্ত নেই কোথাও - শুধু শব্দচ্যুত অক্ষরেরা ছড়িয়ে আছে চতুর্দিকে।
     
    ওসমানের তর্জনীটা পড়েছিল একটু দূরের একটা কাঁটাঝোপে। আমি আর দেরি করি নি জানেন। তর্জনী সোজা করে আঙুলে যন্ত্রটা পরে নিয়েছিলাম। আশ্চর্য ! আমার আঙুলের মাপেই যেন তৈরি ! মুহূর্তেই মাথায় একটা এক্সপ্লোসন ঘটে গেল। মনে হল নিবিড় ছায়াপথের আড়ালে কোনো অজ্ঞাতগ্রহে ঈশ্বর আমাকে শব্দব্রম্ভ চেনাচ্ছেন। পাশের কোনো গ্রহেই বোধহয় বাখের একটা চেনা কনসার্ট চলছিল। পুরো ছায়াপথ জুড়েই মৃত গল্পকারদের মৃদু ছন্দের হৃৎস্পন্দন। জানেন বোধহয়, দস্তানগোদের মৃত্যু নেই। রূহ শরীর ছাড়ার আগে মায়াবী যন্ত্রটা কেবল ফেলে দিয়ে যায়। গল্পের পরম্পরা খুঁজে নেয় তার রাস্তা। আদিম গল্পকাররা এভাবেই গল্পের চরিত্র হয়ে ওঠেন। যেমন ওসমান হয়েছে। 

    ওসমান যে ভাঙা বেঞ্চটায় বসতো তার ঠিক পাশের টাতেই এখন আমার আস্তানা । যেদিন পার্কে গিয়ে বেঞ্চির সেই খোদাই করা মানচিত্রে প্রথম আঙ্গুল ছোঁয়ালাম , সমস্ত শরীর দিয়ে পলকে তড়িৎ প্রবাহ ছুটে গেল যেন। যেন হাজার স্থিরচিত্রের একটা কোলাজ ফোকাসে এলো সবেমাত্র। নীলাভ নেশার মতো ঝিমঝিম করছিল চারপাশ। ঠিক তখনই একটা প্রকাণ্ড বুদবুদ পাতাল থেকে উঠে এসে যেন মিলিয়ে গেল কৃষ্ণসায়রের বুকে। মন্ত্রপূত বোতলটা ভেসে উঠেছে আবার। অবোধ শিশুর মতোই কৌতূহল অবাধ্য হয়ে উঠলো। নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি ।  
    বোতলটা তুলে এনে কাগজটা মেলে ধরলাম। দুটো মাত্র লাইন। 

    "ওসমান সুযোগ পেলেই ঘুরে আসে ওর পূর্বজন্ম থেকে। কৃষ্ণসায়র পার্কের সেই একফালি ভাঙা বেঞ্চটাই ওর টাইম মেশিন।" 
    আশ্চর্য সমাপতন! এই একই দুটো লাইন গতকাল রাত্রেই একটা গল্পের শুরুতে আমি বলেছি।

    "ওসমান সুযোগ পেলেই ঘুরে আসে ওর পূর্বজন্ম থেকে। কৃষ্ণসায়র পার্কের সেই একফালি ভাঙা বেঞ্চটাই... "
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ১৩ জুলাই ২০২৩ | ৪২৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীমু | 182.69.***.*** | ১৭ জুলাই ২০২৩ ০০:৩৮521345
  • ভালো লেখা yes 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন