এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • না-মানুষের অন্য কাহিনী

    স্বাতী রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • বনের গায়ে এক ফালি মখমলি সবুজ জমি। আর তার এক পাশ দিয়ে এক বিশাল কলাবন। সেই গাছের পাতা যেমন চিকচিকে সবুজ, পাতার গায়ে আলো পিছলে পড়ে, সেই গাছের কলাও ঝকঝকে সোনার বর্ণের। বনের হাতি সেই কলা খেটে বড় ভালবাসে। কিন্তু ভালবাসলে কি হবে? কলা বনের পাশ দিয়ে বট অশ্বত্থ কাঁঠাল জামরুলের ভিড়। ভিনগাঁয়ের মৌমাছির দল এসে সেখানে বিশাল এক চাক বানিয়েছে। সারাদিন চাক ঘিরে মৌমাছির দল উড়ে বেড়াচ্ছে, আর কেউ কাছে এলেই দল বেঁধে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে।

    হাতি পড়েছে মহা বিপদে। অতগুলো চাকুমচুকুম কলা, এই ভাবে হাত ছাড়া হবে? সে চলল রাজার কাছে নালিশ করতে। রাজামশাইের গুহার বাইরে ঝর্নার জল তিরতির করে বয়েই যাচ্ছে, প্রজাপতিরা ফুলে ফুলে নেচে বেড়াচ্ছে। আর বুড়ো সিংহমশাই গুহার মাটিতে বিছানো তাল পাতার চাটাইতে নিষ্পন্দ হয়ে শুয়ে আছেন। নড়েনও না, চড়েনও না। হাতি শুঁড়ে করে বুনো ফুল তুলে তার গায়ের উপর ছড়িয়ে দেয়। বনতুলসীর পাতার আদর দিয়ে আলতো করে চোখ দুটি বুজিয়ে দেয়। তারপর গুহার বাইরে গিয়ে শুঁড়টি আকশে তুলে, ঘন ঘন কান নাড়িয়ে ডাক দেয়। এসো এসো সর্বজনা।

    সে ডাক পৌছায় জঙ্গলের কোণে কোণে। বট-অশ্বত্থের গা বেয়ে তুড়ুক তুড়ুক নেচে বেড়ানো লাল চোখের বেজিরা শান্ত হয়ে মাটির পথ ধরে রওনা দিল। ভেজা ভেজা মাটির গন্ধ মাখা গুহার ছায়ার মায়া ছেড়ে শেয়ালেরা নাকটি উঁচিয়ে বেরিয়ে আসে। পানা পুকুরের জলে গলা ডুবিয়ে বসে থাকা মোষের দলও গায়ের জল ঝেড়ে উঠে পড়ে। বনের যে যেখানে ছিল সকলেই হাতের কাজ-অকাজ সব ফেলে রওনা দিল। সবারই লক্ষ্য রাজামশাইয়ের গুহা।

    রাজামশাই আর নেই। নতুন রাজা লাগবে। বনের সব পশু পাখীরা মিলে সভা বসায়। রাজা বাছা কি সোজা কথা! আগের বারের শেয়ালের চামড়া পড়া গাধাকে রাজা করার ভুলের কথা তো আর তারা ভোলেনি। তাই অনেক ভেবে চিন্তে, মাথার চুল টেনে, গায়ের লোম চুলকে, কানে আকন্দপাতার বোঁটা দিয়ে সুরসুরি দিয়ে তারা সর্ব সম্মতি ক্রমে বেছে নিল এক ছোট্টখাট্ট গরুকে। গরুর টানা টানা চোখ, শরীর দিয়ে টুপ টুপ মায়া ঝরছে। তার রাজত্বে সবাই মায়ার বাঁধনে বাঁধা রইবে। নতুন রাজা পাওয়ার আনন্দে রাতভর অনেক আমোদ আহ্লাদ হল। তারপর যে যার ঘরে ফিরে গেল।

    কেউ জানল না, রাজা কিন্তু আসলে গরুর চামড়া পরা এক বুড়ো শেয়াল। বয়স হয়েছে, ছোটাছুটি করে আর শিকার করতে পারে না। রাজা হলে হাতের কাছেই খাবার মিলবে। তাই তার রাজা হওয়ার ভারি শখ ছিল। তবে শেয়াল হল দুষ্ট বুদ্ধির রাজা। কেউ তাকে আদর করে, যেচে রাজা বানাবে না। তাই ভেক ধরতে বাধ্য হয়েছে।

    নিজের স্বজাতির প্রতি ভালবাসা যাবে কোথায়! তার রাজত্বে শেয়ালদের পৌষমাস। রাজা মশাই তাদের ভরসা দিয়েছেন। আমি বেঁচে থাকতে তোমাদের কোন ভয় নেই। যা খুশি করগে তোমরা। শেয়ালরা তাই প্রাণের আনন্দে আছে। রাতের অন্ধকারে অন্যের বেগুন খেতের থেকে বেগুন তুলে আনে। আড়ালে আবডালে নধর কান্তি পায়রা দেখলেই ঘাড়টা মটকে দেয়। খরগোশ দেখলেই জিভ লকলক করে। তবে দশজনার সামনে তারা ভারি ভদ্র। তখন বনের জীব সবাই সমান সমান, সবাই বেরাদর।

    হাতি এদিকে অপেক্ষায় আছে, নিজের ছানাকে আদর করে আর বলে, আর একটু অপেক্ষা কর বাবা, রাজামশাই মাছির চাক ভাঙ্গতে ধূম্র-সংযোগ ঝটিকাবাহিনী পাঠাবেন। মৌমাছির দল পালাবার পথ পাবেনা। তখন আমরা কলার কাঁদি দিয়ে পেট ভরাব! কলা খেয়ে খেয়ে গলা শুকিয়ে এলে চাকভাঙ্গা মধু দিয়ে গলা ভেজাব।

    কিন্তু মৌমাছির চাক ভাঙ্গবে কে? রাজ্যের সীমানা পাহারার দায়িত্ব বুনো কুকুরের দলের ঊপর। তাদের আবার সে কাজে ভারি আপত্তি। মৌমাছি বড্ড হুল ফোঁটায়, নাকে কানে যেখানে সেখানে এফুটোয় ওফুটোয় ঢুকে পড়ে, একবার কামড়ালে আর রক্ষে নেই, বড্ড জ্বালা করে। রাজা মশাই কুকুরবাহিনীকে চটাতে চান না। রাজা হতে গেলে সেনারাই তো সহায়। রাজা শেয়ালদের উপর এই দায়িত্ব দেন, অন্য কোন উপায় খুঁজতে বলেন। 

    বনের পাশের মাঠের ওপারে একদল মানুষের বাস। শেয়াল তাদেরই একজনকে লোভ দেখায়। চাকের কাছে নিয়ে আসে। মানুষ এসে দেখে, মধু টুস টুস, মোম মোম মৌচাক। বিশাল বড়, মধ্যম পাণ্ডবের মতন অতিকায়। তাকে ঘিরে রাশি রাশি হলুদ বিজলি ঝলক। আর তার পাশে মানুষের ছোঁয়া না পড়া জঙ্গল। লোভে তাদের চোখ চকচক করে ওঠে। আপাতত কাঠকুটো জোগাড় করে, আগুন জ্বালায় তারা। মৌমাছি তাড়ায়, চাক ভেঙ্গে নিয়ে যায়। পাশের বনের থেকে কলাও নিয়ে যায় কয়েক কাঁদি। তবে সে বন কলায় ভরা, ওই কটা নিলে আর কি!

    মৌমাছির ঝাঁক সরে যায়। তখন হাতির দল আসে ছানাদের নিয়ে, আশ মিটিয়ে বাচ্চারা কলা খায়, কলাগাছ খায়। মা হাতিদের ভাগে একটু কম জোটে, ছানারা খায় সাধ মিটিয়ে, তাতেই মাদের সুখ। হাতির ছানাদের স্ফূর্তি দেখে বনের পাখিরা মজা পায়। আনন্দে নেমে আসে ঘাসের উপর। বুনো ফুলের মধু খায়। টুকটুক করে খরগোশ দম্পতিও এসে জোটে। ছানাপোনা নিয়ে মাঠ জুড়ে ইভিনিং ওয়াকে ব্যস্ত হয়। তাদের বাস বনের গভীরে, বনের ধারটাতে তারা আগে কখনো আসেনি। সবুজ ঘাস দেখে তাদের চোখ জুড়ায়, মিঠে বাতাসে প্রাণ ভরে। আরও দেখে, এ যে বড় সরেস মাটি। এখানে যা পুঁতবে, তাই সোনা হয়ে ফলবে। আহা, তাই দেখেই তাদের মন দ্রব হয়। তাদের সোনার বনেই জন্ম, বনষষ্ঠীর কোলের বাছা, কখনো কপিপাতার স্বাদ পায়নি।

    খরগোশেরা কর্তা গিন্নি মিলে পদ্মপুকুরের ধারের মিঠে ঘাস তোলে। টাটকা পদ্মপাতার দোনায় ভরে সেই ঘাস নিয়ে রাজামশাইয়ের কাছে যায়। রাজামশাই এর পায়ের কাছে বসে ল্যাজটি নামিয়ে হাত জোর করে অনুমতি চায়। বনের ধারটি ঘেঁষে যদি বাঁধাকপির চাষ করা চায়। সেদিন নরম নরম বটের পাখির মাংস ছিল ব্রেকফাস্টে। তাই রাজামশাইএর মন ভাল ছিল। তিনি দরাজ ভাবে অনুমতি দেন।

    খরগোশদের আনন্দ ধরে না। নাচতে নাচতে লাফাতে লাফাতে তারা চলে বনের ধারে। তারপর শুরু হয় মহাযজ্ঞ। খরগোশ কর্তা তুর তুর করে নখ দিয়ে মাটি ভাঙ্গেন আর অবরে সবরে গোঁফে তা দেন, তাই না দেখে গিন্নিটি লজ্জায় লাল হয়ে ওঠেন। চিকচিকে চোখে হাসি মেখে তিনি কলকে ফুলের কলস ভরে জল আনেন, পদ্ম পাতায় ধরে রাখা ভোরের শিশির নিয়ে আসেন, মাটির তেষ্টা মেটাতে। আদরে আদরে মাটি ভিজে ওঠে। কর্তাগিন্নি দুজনে মিলে ক্ষেতে কাজ করে, বীজ থেকে চারা তৈরি করে, চারাদের যত্ন করে, তাদের আনন্দে-হাসিতে পাতারাও যেন হেসে ওঠে, শক্ত করে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে, জড়াজড়ি করে ওম খোঁজে। বাচ্চারা লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে ক্ষেতের চারপাশে ছুটে বেড়ায়। হৈ হৈ করে ক্ষেত পাহারা দেয়। আর স্বপ্ন দেখে, আহা গোল গোল টাটকা বাঁধাকপির পাতা কতই না সুস্বাদু! আর কদিন পরেই তারা তাজা বাঁধাকপির পাতা দিয়ে লাঞ্চ ডিনার ব্রেকফাস্ট স-অ-ব করবে । স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকে।

    কপি তোলার সময় হলে, এক সকালে খরগোশেরা ক্ষেতে গিয়ে দেখে,
    ক্ষেতে ফসল কই?

    ক্ষেত শূন্য।

    নিঃস্ব মাটি গুমরে গুমরে কাঁদছে।

    কটা পদদলিত কপির পাতা শুধু রঙিন অতীতের সাক্ষী দিচ্ছে।

    মাঠের ওপারের মানুষ এসে সব কেটে নিয়ে গেছে।

    সব হারিয়ে খরগোশের মুখ মলিন। এত সাধের কপিচাষ! ছানাদের চোখে জল। কর্তা গিন্নি চলল রাজার কাছে। প্রতিকার চাই। সঙ্গে গেল পাশের বটগাছের মুনিয়া পাখির ঝাঁক। তারা ঘটনার সাক্ষী।

    রাজা তখন গোলাপ বাগানের শোভা দেখছিলেন। সবার কথা শুনে তিনি বললেন, “আমি আছি তো।”
    মানুষের সঙ্গে কথা বলব। তোমাদের কপি ফিরিয়ে দিতে বলব।
    পদ্মপুকুরের ধারের মাটি ভালো, বেশ বনের মাঝখানটিতে, সেখানে আবার চাষ শুরু করো।

    পাখির দলের কিচির মিচির থেমে যায়। ভীতু খরগোশ যে আজ্ঞা বলে ঘাড় নাড়তে যায়। হঠাৎ মনে পড়ে যায়, সকালবেলায় বাচ্চাদের আকুল কান্না। শুধুই কি কপিপাতা হারানোর দুঃখ? নাকি নিজেদের জিনিস রক্ষা না করতে পারার অসহায়তা? সে পিঠ সোজা করে, সিধা রাজামশাই এর চোখে চোখ রেখে দাঁড়ায়। আমার বাচ্চারা আজকে খাবে কি?

    রাজার চোখে চোখ রেখে কথা বলা? এতবড় আস্পর্ধা! সেপাই সান্ত্রী পাহারাদারদের ডাক পড়ে। বিদ্রোহকে মুড়িয়ে দিতে না পারলে কিসের রাজা? বুনো কুকুরের দল ছুটে আসে। ভীষণ দর্শন, হলুদ ধারালো দাঁত বের করে তেড়ে আসে। হিংস্র ভাবে খরগোশদের আক্রমণ করে। রাজ দরবারে হুলুস্থুলু পড়ে যায়। শেয়ালেরা ভরা দুপুরে সমস্বরে হুক্কাহুয়া করে ওঠে। সকলের হুটোপাটিতে ধুলো ওড়ে। প্রলয়ের বুঝি আর বাকি নেই!

    হাতিও ছিল সেই দরবারে। পদ্মপুকুর পেরিয়ে যে বনতুলসীর ঝোপ, তাকেও পেরিয়ে আছে এক লাল মাটির দেশ। শাল পিয়ালের ঝিম ধরানো গন্ধে সেদেশের বাতাস আমোদিত। সে বনে ইতিউতি মহুয়ার গাছ। ফুলে-ফলে ভরা রাজরানীর মত চেহারা তাদের। গাছের তলায় লাল মাটির উপর ফুলের, পাতার বিছানো গালিচায় সাজানো থাকে পাকা টুসটুসে মহুয়া। রাজকন্যার গলার জড়োয়া হারের ধুকধুকির মানিক যেন। আর কী স্বাদ সেই ফলের! সে স্বাদের ভাগ আদর করে রাজাকে দেওয়ার জন্য হাতি ছুটে এসেছিল। কথায় বলে জ্যেষ্ঠের শ্রেষ্ঠ ভাগ। রাজা তো জ্যেষ্ঠতম।

    রাজসভার কান্ড দেখে হাতি প্রথমে থতমত খেয়ে যায়। সম্বিৎ ফিরলে নিজের কর্তব্য ঠিক করে নেয়। পায়ে পায়ে গিয়ে দাঁড়ায় বাইরের চাতালে। ঠিক আগের জায়গাটিতে। তারপর শুঁড় তুলে প্রাণপণে ডেকে ওঠে। বৃংহন ছড়িয়ে পড়ে বনের আনাচে কানাচে। এসো, এসো সর্বজনা। দিকে দিকে প্রতিফলিত হয় সেই ডাক। হাতের কাজ বন্ধ করে, কান খাড়া করে সবাই শোনে। জঙ্গলের ডাক আসছে। চলো সবাই।

    দূর থেকে দূরের গ্রামের মানুষেরা সেই ডাক শোনে।  ভাবে, জঙ্গলে হাতি খেপেছে। তারা জানে, খেপা হাতি কালান্তক যমের তুল্য, সাক্ষাৎ শমন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Somnath mukhopadhyay | ১০ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৪২542242
  • আলো আঁধারির মতোই চমৎকার হেঁয়ালি।
  • | ১০ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৩১542245
  • অত্যন্ত ভাল স্বাতী। খুব খুব ভাল।  সত্যিই জঙ্গলের ডাকে জেগে উঠুক সবাই। 
     
    কিন্তু এটা হরিদাস পালে কেন? ওহে গুরুর রোবটগণ ওঠো জাগো। 
     
     
  • স্বাতী রায় | 117.197.***.*** | ১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৪৭542269
  • অনেক ধন্যবাদ @সোমনাথ ও দ। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন