এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • অম্বরীশ বাবু সিনেমা বানাতে চেয়েছিলেন

    Supratik Chakraborty লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ১২ মার্চ ২০২৫ | ৫৬ বার পঠিত
  • কোনোদিন সিনেমা বানানো হয়নি অম্বরীশ বাবুর৷ তুমুল একটা স্বপ্ন ছিল, হয়ে ওঠেনি। কত স্বপ্নই তো একটা সময়ের পর হাত ছেড়ে দিয়ে চলে যায়৷  অম্বরীশ বাবু সিনেমা বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কীভাবে বানাতে হয় জানতেন না। তেমন সঙ্গীসাথীও জোটেনি৷ ভদ্রলোকের সাথে আলাপ হয়েছিল কলকাতা ফিল্ম ফেসটিভালে। শীর্ণকায়,ক্ষীণতনু, চোখে হাই পাওয়ারের চশমা! লাইনে আমার ঠিক সামনেই ছিলেন। ডেলিগেট কার্ড জোটেনি। সেই লাইনে দাঁড়িয়েই প্রথম পরিচয় হয়েছিল৷ শ্যামবাজারে বাড়ি। অকৃতদার। প্রেম বলতে কেবল সিনেমা। এরকম আরো কত সিনেমাপ্রেমীর সাথে এইসময়টা দেখা হয়ে যায়। এক অপূর্ব টানে শহর বা শহরতলীর খুপড়ি গুলো থেকে এরা বেরিয়ে এসে লাইনে দাঁড়ান।এরা খুব একা।  চুপচাপ ছবি দেখেন। তারপর ফিরে যান। কারো সাথে কোনো কথা বলেন না, শুধুই ছবি দেখতে আসেন। অম্বরীশ বাবুও সেরকমই একজন৷ কিন্তু তিনি কোনো এককালে সিনেমা বানাতে চেয়েছিলেন। আমাদের মধ্যে কথাবার্তা আরো সুদূরপ্রসারী হল যখন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম " বানালেন না কেন?" উনি হেসে বললেন " সময়টা অন্যরকম ছিল ভাই..." 
    সত্যিই তো! আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে সিনেমা বিষয়টা যে বৈরাট্য আর কৌলীন্যের ধ্বজা বহন করত তা আজ মাটির কাছে নেমে এসেছে। অম্বরীশ বাবু সেসময় একটি সিনে সোসাইটির মেম্বার হয়েছিলেন। সারা পৃথিবীর সিনেমা নামক শিল্পের হালহকিকত বুঝতে সোসাইটি ছাড়া তখন আর কোনো উপায় ছিল না। বিশেষ বিশেষ শো হত। তিনি গিয়ে বসতেন শেষের কোণার দিকের চেয়ারটায়। তারপর আয়তকার পর্দায় আলো ফুটে উঠত। প্রজেক্টরের আওয়াজ হত।  
    -কেন ভালোলাগত সিনেমা?
    - কী জানি ভাই! ছবি গুলি দেখে রাত করে যখন বাড়ি ফিরতাম, শরীরে কেমন কেমন একটা হত! 

    অম্বরীশ বাবুর বাড়ি গেছি বেশ কয়েকবার। একলার সংসার। দু কামরার ভাড়াবাড়ি। আগে স্কুলে মাস্টারি করতেন। এখন কিছু টিউশন এদিক ওদিক। চায়ে চুমুক দিয়ে একদিন বললেন " কোনো সিনেমাই খারাপ নয় জানো?"
    - মানে?
    - আগে, তোমার মতো বয়সে যখন ছিলাম, হুট করে এটা খারাপ,ওটা ভালো বলে দিতাম। নিজেকে বিচারকের আসনে বসাতে ভালো লাগত। কিন্তু,আজকে বুঝি....
    - কী? 
    - ওসব ভালো মন্দ বলে কিছু হয় না। সবগুলোই একেকটা একেকরকম চেষ্টা!
    এর প্রত্যুত্তর আমার কাছে একশো আট রকম  ছিল। কিন্তু কিছু বলিনি। ভদ্রলোকের হাতের অচল ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। অচল,তবুও পরে আছেন। 
    কলকাতা ফিল্ম ফেসটিভালে দেখা হওয়া সেই প্রথম দিন থেকে ওঁর ছোট ঘরটায় পা রাখার মধ্যেকার সময় তিন মাসের বেশী নয়। আমি কোনোদিন শুনিনি অম্বরীশ বাবু কোনো সিনেমাকে খারাপ বলছেন। খুব বেশী উসকালে  মিহি গলায় বলতেন " আরে ভাই, সব চেষ্টা কি সফল হয়?"
    এই "চেষ্টা" শব্দটাকে ঈশ্বরের মতো ভক্তি করেন তিনি। তিনিও তো চেষ্টা করেছিলেন,  হয়ে ওঠেনি। কেন হয়ে ওঠেনি সেই কাহিনীটা ওঁর মুখে অন্ধকার নামিয়ে এনেছিল এক বিকেলে। ওঁর ঘরের ভিতর, তখন বিকেল অতিক্রম করে গেছে। মুড়ি আর চানাচুর খেতে খেতে বললেন " জানো ভাই, অন্তত একটা সিনেমা বানাব ভেবেছিলাম।  পারিনি। চলতে ফিরতে অনেক কিছুই তো মুভ করে, এমন কিছু যেটা নাড়িয়ে দেয় ভেতরটা...ইমেজের কথাই বলছি..সেসব দেখে পাগল পাগল লাগত৷ ঘরে ফিরে এসেই রাফলি এঁকে রাখতাম। কিংবা ধরো একটা গল্পের বই পড়ছি, বেশ বুঝতে পারতাম যে কোন শব্দটা বা কোন বাক্যের ওপর বেশি আলো এসে পড়েছে! সবকিছুকেই একটা সিনেম্যাটিক ইলিউশন মনে হত। মনে হত এসব একদিন জুড়ে দেব। একটার পর একটা...হল না আর..."
    অম্বরীশ বাবু থামেন৷ তারপর কী যেন ভাবেন...
    কীভাবে সিনেমা বানায়? কারা বানায়? কী কী দরকার হয়? কিছুই জানা ছিল না। অর্থও ছিল না। কিসসু ছিলনা। শুধু বুকের খুব ভিতরে অজস্র দৃশ্য পরপর সাজানো ছিল। নিখুঁত তার ফ্রেম, নিটোল কমপোজিশন, পারফেক্ট লাইটিং, নির্মেদ গতি...সবটাই ছিল বুকের ভিতরে। বুক থেকে টেনে বের করে পর্দায় ছুঁড়ে মারতে পারে ক'জন? তার জন্য টাকা লাগে,লোক লাগে, যন্ত্রপাতি লাগে। ব্যক্তি থেকে বাজারের দুরত্ব আসলে যে অনেক!
    অম্বরীশ বাবুর ঘরের জানলা দিয়ে চল্লিশ বছর আগের মেঘ ভেসে আসে। উনি বাবু হয়ে বসে বলছেন " তখন সোসাইটিতে একের পর এক ছবি দেখতাম। বাড়ি ফিরতাম। কত টুকরো টুকরো মুহূর্ত বয়ে নিয়ে আসতাম। সেগুলো জুড়লে একটা সিনেমা হত..." 
    - জুড়লেন না কেন? 
    - কাউকে পেলাম না ভাই যাকে গিয়ে বলব চলো আমরা একটা সিনেমা বানাই। 
    - কেন? বন্ধু বান্ধব ছিল না আপনার?
    - যথেষ্ট ছিল। কিন্তু সিনেমা তো দেখার জিনিস ওদের কাছে,বানানোর তো নয়! 
    মাঝে মাঝে আমি অম্বরীশ বাবুর কথা ভাবি। একজন বছর পয়ষট্টির  নিঃসঙ্গ ভদ্রলোক,  জীবন সায়াহ্নের কাছাকাছি পৌঁছে বিগত স্বপ্নের মাথায় হাত বোলাচ্ছেন রোজ, চশমার কাচটা রুমালে মুছতে মুছতে তাকিয়ে রয়েছেন জানলার বাইরের দিকে। ভেতরে কি এখোনো থইথই করে দৃশ্য? সেই ভূতে পাওয়া কবেকার ইমেজারি গুলো? ইলিউশনস? বুক চিরে বের করা হল না যাদের! 
    একদিন জিজ্ঞাসা করলাম " সিনেমা বানাবেন ভেবেছিলেন, গল্প তৈরী ছিল?" 
    আমর হাঁটতে হাঁটতে তখন আহরীটোলা ঘাটের দিকে। উনি কিছুক্ষণ চুপ রইলেন। তারপর মাথা নাড়লেন। " নাহ! আমি গল্প লিখতে পারিনা। ছবি আঁকতে পারি। "

    কিন্তু ছবি গুলো ব্লেন্ড করতে পারেননি অম্বরীশ বাবু। সাহস হয়নি। শুধু প্রেক্ষাগৃহ থেকে প্রেক্ষাগৃহে উদভ্রান্তের মতো দৌড়েছেন। সোসাইটির নির্ভেজাল নিবিষ্ট সদস্য হয়ে থেকেছেন৷ এখান থেকে সেখান থেকে বিভিন্ন ছবির ক্যাসেট জোগাড় করেছেন। বইপত্র পড়েছেন।  আর অদ্ভুত একটা তেরচা আলোর দিকে তাকিয়ে কল্পনায় লাইটস্কিম নিয়ে ভেবে গেছেন৷ কোথায় কি লাইট বসাবেন,কোথায় ফিল লাইট, আর কোথায় ব্যাক লাইট...ভেবে গেছেন কোন ছায়ার গুরুত্ব কতটা,কোন আলোর অধিকার কতটা তা নিয়ে... 
    " একবার একটা ছবির শুটিং দেখতে গেছিলাম,বুঝলে৷ পানিহাটির দিকটায়। আউটডোর। কত হাঙ্গামা! আমি মন দিয়ে কেবল ডিরেক্টর লোকটাকেই দেখছিলাম। "  তৃপ্তিবারে মুখোমুখি বসে বিয়ারে প্রথম চুমুকটা দিয়ে বললেন অম্বরীশ বাবু। 
    - তারপর? 
    - সেই প্রথম কোনে ডিরেক্টর দেখলাম। সাথে বেশ কিছু সহকারী৷ কত লাইটস! আরো বড় বড় কীসব ইকুইপমেন্টস! হঠাৎ লোকটা জোরে বলল "অ্যাকশন!" ব্যস! সব চুপ হয়ে গেল। তারপর একটু পরে লোকটা বলক "কাট!" আবার বাজার গরম হয়ে গেল!
    -  তারপর?
    - এই অ্যাকশন আর কাটের ভিতর যেটা ঘটল সেটাকে আমরা পর্দায় ঠিক ওভাবে দেখিনা জন্যই সিনেমা বিষয়টা ইনটারেসটিং। সিনেমা হল শব্দ আর ছবির দাম্পত্য। কে একজন যেন এটা বলেছিল
    - একদম।
    - ঘরে ফিরে সেদিন আয়নার সামনে আমিও জোরে চেঁচালাম অ্যাকশন! বললাম কাট! আমি পরিচালক হলে কেমন দেখাত সেটা শুধু আয়নাটা জানে।

    খেয়াল করেছি অম্বরীশ বাবুর সব কথার ভিতর এই সিনেমা না বানাতে পারার আক্ষেপটা ধরা পড়ে।দেখেছি পাতার পর পাতা তিনি হিজিবিজি কেটেছেন। স্টোরিবোর্ড করেছেন। চল্লিশ বছর ধরে একটা তেরচা আলোর দিকে তাকিয়ে থেকেছেন, তারপর একটা সময় বুঝতে পেরে গেলেন টাইম আপ! আর হবে না। ফেসটিভালে পাস পাওয়া ছবি দেখে বেরিয়ে এসে কাঁঠাল গাছের নীচে দাঁড়িয়ে একটা সস্তার সিগারেট ধরিয়ে হঠাৎ,আচম্বিতে হয়ত মনে হয়েছে, সত্যিই কী সময় শেষ? আর হবে না? 

    একদিন বললাম " এখন তো সবার হাতেই ক্যামেরা।চাইলে সবাই ফিল্ম বানাতে পারে। এটা দেখে কেমন লাগে আপনার?" 
    - ভালো লাগে। 
    - মনে হয়না যে ছবি বানানোর যে একটা গ্লোরি ছিল সেটা অনেক খেলো হয়ে গেছে?
    - কেন এরকম মনে হবে?  আমাদের কেবল চোখ ছিল, এদের চোখও আছে ক্যামেরাও আছে। এদের সম্ভাবনা অনেক বেশী। তবে কী জানো তো...
    - কী?
    - চোখ আর ক্যামেরার বাইরেও একটা কিছু লাগে ঠিকঠাক ভাবে দেখার জন্য। একটা কিছু...

    এই মেঘলা একঘেয়ে আটপৌঢ়ে জীবনের একরত্তি কামরার বাইরে অম্বরীশ বাবু বেরিয়ে আসেন কখোনো কখোনো। সামনে একটা রূপোলি পর্দা ঝুলিয়ে দিয়ে তাতে অনেক রকম রঙ বসান। আলো প্রক্ষেপ করেন। যাবতীয় ব্যক্তিগত আলো আর ছবি মাখিয়ে দেন পর্দায়। পাশ দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে যায় নতুন শতাব্দী। তুখোড় প্রজন্ম। সপ্রতিভ প্রযুক্তি। সিনেমার মহাযজ্ঞে আহুতি দিতে ছুটছে সবাই পিল পিল করে। ভারী কাচের চশমার সামনে দিয়ে, নিবিড় এক নৈঃশব্দের সামনে দিয়ে  ট্র্যাকশটে এগিয়ে যায় সিনেমার কালখন্ড।
    - স্বপ্ন কীভাবে মরে যায় অম্বরীশদা?
    - যেভাবে সুর্যাস্ত হয়। জাস্ট ফেড আউট করে যায়।
    - তারপর কালো।
    - তারপর কালো।
    - এখন আপনি নতুন করে ছবি বানাতে পারেন না? আপনার মোবাইলেও তো ক্যামেরা আছে। 
    - তা আছে।
    - তাহলে? 

    চুপ করে যান বৃদ্ধ। হাতে ধরা থাকে মোবাইল। বিটুইন দ্য লাইনস, কেউ যেন গুনছে এক..দুই..তিন... চশমার কাচটা একটু মুছে বললেন " আলোটা কমে এসেছে ভাই"।
    - কোন আলো?
    - ভেতরকার আলোটা। দৃশ্য গুলো, যেগুলো এতকাল স্পষ্ট দেখতে পেতাম, ওগুলো এখন আন্ডার এক্সপোজড! 

    অম্বরীশ বাবুর ঘরের দেওয়ালে চার্লির একটা পুরনো পোস্টার। চার্লির মুখে গোলাপের ডাঁটি। আলো কমে আসা অন্তঃপুরে,  একটা নির্ধারিত লাল রিবনের খুব কাছাকাছি এসে হাঁফিয়ে গেছেন অম্বরীশ বাবু। ওঁর সাথে বেশ কয়েকটি সিনেমা দেখতে গিয়ে বুঝেছি যে উনি সিনেমার অক্ষম প্রেমিক। সারাজীবন হাবুডুবু আদর করেছেন, কিন্তু প্রবিষ্ট হতে পারেন নি। 

    একবার বলেছিলেন যে তাঁর বাবা ছিলেন বসুশ্রীর লাইটম্যান। অল্পবয়সে মারা গেছিলেন৷ একদিন স্বপ্নে দেখলেন সিনেমাহলের ভিতর বাবাকে। টর্চের আলোটা সোজা পর্দার দিকে ফেলে মিটমিট করে হাসছেন। সিনেমা বানানো কি খুব কঠিন কাজ? অম্বরীশ বাবুর মতোন যারা, ছবি তৈরীর স্বপ্ন দেখেছিলেন, যারা এখোনো হল অন্ধকার হয়ে গেলে কল্পনা করতে ভালোবাসেন যেন নিজের ছবি শুরু হচ্ছে, যারা সপ্রতিভ ও গতিশীল একটা  প্রজন্মের দিকে ইন্দির ঠাকরুনের মতো তাকিয়ে থাকেন ফ্যাল ফ্যাল করে, যারা কোনোদিন কখোনো ডেলিগেটস কার্ড না পেয়ে ঝাঁঝাঁ রোদ্দুরে কেবল একটা ভালো ছবি দেখার জন্য আয়ুক্ষয় করেন অবলীলায়, তাদের বুকে থকথকে জমে থাকা অজাত দৃশ্যগুলি ঝাপসা হতে হতে একটা সময় মিলিয়ে যায় কোন অচিনপুরে জানিনা, কিন্তু তারাও মন্তাজের পর মন্তাজ পেরিয়ে এসে দাঁড়ান প্রত্যহ বোবা ইমেজারির সামনে। নতুন অথর্ব সম্ভাবনার সামনে। ভিউ ফাইন্ডারে চোখ রেখে নিমেষে বুঝে যান বেলা পড়ে এসেছে। আলো নিভছে। এবার প্যাক আপ বলার পালা!

    তখন বোধহয়  সবটাই সিনেমার মতো হয়ে যায়। হাজার হাজার অম্বরীশ বাবু আস্ত আস্ত সিনেমা বুকে বয়ে নিয়ে মিলিয়ে যান। থেকে যায় হিজিবিজি, থেকে যায় অনুর্বর স্টোরিবোর্ড গুলো। থেকে যায় সস্তায় কেনা ক্যাসেটে উইন্ড উইল ক্যারি আস!

    শেষবার যেদিন দেখা হয়েছিল, উনি বলেছিলেন আমায় সঙ্গে নিয়ে একদিন কেবল শহরে হাঁটবেন৷ হাঁটতে হাঁটতে মোবাইল ক্যামেরায় দেদার ছবি আর ভিডিয়ো তুলবেন। তারপর জুড়ে দেবেন সেগুলো।

    নাহ, হয়নি হাঁটা। জুড়ে দেওয়াও হয়নি। জোড়াটা যেমন সিনেমা, বাদ দেওয়াটাও তেমনি সিনেমা। জানতেন না তিনি। শুধু জুড়তে চেয়েছিলেন জন্যই কোনোদিন কোনো সিনেমা বানাতে পারেননি অম্বরীশ বাবু।

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ১২ মার্চ ২০২৫ | ৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন